Logo
শিরোনাম

পাওয়ার প্লে’তে নতুন রেকর্ড বাংলাদেশের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ২২৯জন দেখেছেন

Image

ইয়াশফি রহমান :আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন দাস ও রনি তালুকদারের ব্যাটে দুর্দান্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। এই দুই ব্যাটারের কল্যাণে পাওয়ার প্লেতে কোনও উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৮১ রান তুলে স্বাগতিক বাংলাদেশ। যা পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর।

এর আগে সাকিব বাহিনীর পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ রান ছিল ৭৪। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই রান করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

এদিকে লিটন-রনির ব্যাটে ভর করে ইনিংসের প্রথম ওভারেই ১১ রান তুলে বাংলাদেশ। হ্যারি টেক্টরের প্রথম ৩ বলে ২ রান আসার পর চতুর্থ বলে ডাউন দা গ্রাউন্ডে এসে লং অন দিয়ে ছক্কা মারেন লিটন দাস। পরবর্তীতে মার্ক এডেয়ারের ওভার থেকে আসে ১৪ রান। এরপর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকে বাংলাদেশ।

সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুপুর ২টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিং। আইরিশদের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে নিজেদের জয়ের পাল্লা ভারী করার লক্ষ্যে তিন স্পিনার ও তিন পেসার নিয়ে মাঠে নামছে স্বাগতিকরা। স্পিনার হিসেবে একাদশে রয়েছেন নাসুম আহমেদ, সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।


আরও খবর



নওগাঁয় জাতীয় কবির ১২৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁর পত্নীতলায় উপজেলা কবি পরিষদ এর আয়োজনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১২৪ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে কবির জীবন ও সাহিত্যকর্ম বিষয়ক আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সারে ১০টায় পত্নীতলা প্রেস ক্লাব এর অস্থায়ী কার্যালয় নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে উক্ত আলোচনা সভায় মূল্যবান বক্তব্য রাখেন, পত্নীতলা উপজেলা কবি পরিষদ এর সভাপতি কবি গুলজার রহমান, উপজেলা কবি পরিষদ এর সিনিয়র সহসভাপতি ও পত্নীতলা প্রেস ক্লাব এর সভাপতি ইউনুছার রহমান, উপজেলা কবি পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক ও পত্নীতলা প্রেস ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, উপজেলা কবি পরিষদ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ছানাউল হোসাইন, নির্বাহী সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ। আলোচনা শেষে কবির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উপজেলা লাইব্রেরীয়ান মাও মোহাঃ মাসুদ আলী। 


আরও খবর



বেড়েছে তেল-চিনি ডিম-আলু পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

ঈদ উল ফিতরের আগে থেকে বেড়ে গেছে মুরগি ও গরুর গোশতের দাম। ঈদ শেষ হওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ হয়ে গেলেও এখনও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের গোশত। গোশতের পাশাপাশি এবার বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সব ধরনের সবজি। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজিই মিলছে না। এতে বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ।

রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মরিচ ১২০ টাকা, করলার কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা, পটল ৬০-৮০ টাকা, লাউ পিস ৬০, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ৩০-৩৫ টাকা, চাল কুমড়া ৫০-৬০ টাকা, সজনে ১৪০ টাকা কেজি, ৩০০ গ্রাম ওজনের ফুলকপি ৪০ টাকা, পাতাকপি ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা কেজি, কাঁকরোল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, কচু ১২০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা কেজি ও লেবু ৩০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাসাবো বাজারে আসা ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কোনো পণ্যের দাম একবার বাড়লে আর সেটি কমছে না। গরু-খাসীর দাম বাড়ায় সেগুলো আর কিনতে পারি না। এখন মুরগির দামও বেড়ে গেছে। খাবার মত সামর্থ আছে সবজির। সেটিও এখন ৫০ টাকার নিচে মিলছে না।

বিক্রেতারা বলছেন, আমাদের নিজেদেরকেও সবজি খেতে হয়। ৫০-৬০ টাকায় সবজি খাওয়া আমাদের জন্যও কষ্টের। আমরা চাই সব ধরণের সবজি ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি করি। কিন্তু পাইকারী বাজারে দাম বেশি। বেশি দামে কেনা থাকায় কম দামে সবজি বিক্রি সম্ভব হচ্ছে না।

বাজারে পাট শাক জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কলমি শাক জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কচুর দুই আঁটি ১০ টাকা, লাল শাকের জোড়া আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা, শাপলা ডাটা ১০ টাকা, ডাটা শাক ১০ টাকা, সবুজ ডাটা ২০ টাকা আঁটিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ধনে পাতা ১০০ গ্রাম ৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

এছাড়াও বাজারে নতুন করে তেল, চিনি, ডিম, আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দামও বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটারে ১২ টাকা এবং খোলা সয়াবিনের লিটারে লিটারে ৯ টাকা বেড়েছে। আর ৫ লিটারের বোতলের দাম বেড়েছে ৫৪ টাকা। এছাড়া পাম সুপার ওয়েলের দাম লিটারে বাড়ানো হয়েছে ১৮ টাকা। এখন বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৯৯ টাকা, ৫ লিটারের দাম ৯৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারের দাম ১৭৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে কোথাও মিলছে না প্যাকেটজাত চিনি। খোলা চিনি কিনতে হলে খুঁজতে হচ্ছে দুই-চার দোকান। কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম আরো বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজিপ্রতি। যা গত সপ্তাহে ১২০-১২৫ টাকার মধ্যে ছিল।

এ ছাড়া বাজারে ঈদের পরে আলুর দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। সারাবছরই স্থিতিশীল থাকলেও মৌসুমের শুরুতে আলুর অস্থিতিশীল বাজারকে অস্বাভাবিক মনে করছেন ক্রেতারা।

দফায় দফায় দাম বেড়ে খুচরা বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, যা ঈদের আগে ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে ছিল। আর গত বছরের এ সময় আলুর দাম ছিল ১৬ থেকে ২০ টাকা।

আগে দেশী পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। যা এখন বেড়ে হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। একইভাবে আমদানি করা চায়না রসুনের কেজি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর দেশী রসুনের কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। রোজার ঈদের দুই-এক দিন পরও চায়না রসুনের কেজি ছিল ১৩০ টাকার আশপাশে। আর দেশি রসুন বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।

পাশাপাশি দর বেড়েছে আদার। দেশী আদা ২০০ থেকে ২২০ এবং আমদানি করা চায়না আদার কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগেও দেশী আদা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এবং আমদানি করা আদার দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে ছিল।

এদিকে বাজারে ঈদের মধ্যে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম কমেনি। বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। সোনালি মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা। এর সাথে গত দুই দিন ধরে বাড়ছে ডিমের দাম। ১৫ টাকা বেড়ে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পাঙ্গাস ১৭০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। প্রতি কেজি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। তাজা রুই, কাতলা, মৃগেল বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে। দেশি প্রজাতির টেংরা, শিং, গচি ও বোয়াল মাছের কেজি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 


আরও খবর



দেশ রক্ষায় এই সরকারকে বিদায় করতে হবে : মির্জা আব্বাস

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপনাদের আন্দোলনের সম্মান জানিয়ে সেদিন তত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছিল। এই তত্বাবধায়ক সরকারের দাবী সবার আগে ছিল জামাতের। আজ তাদের নাকি আবার আপোষ হচ্ছে শুনলাম। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চাইলে আজ পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারতেন তিনি যদি চাইতেন। আর আপনারা কী করলেন। শত শত মানুষকে গুম করলেন হত্যা করলেন। এভাবে একটা দেশ কখনও চলতে পারে না। 

তিনি বলেন, দেশকে রক্ষা করতে হলে এই লুটেরা সরকারকে বিদায় করতে হবে। এদের বিদায় না করলে উন্নয়ন হবে না। মানুষের পেটে ক্ষুধা রেখে দুটো ব্রিজ করলে উন্নয়ন হয় না। আগে পেটের ভাত তারপর উন্নয়ন। যে উন্নয়নের চেয়ে বেশি নিজের পকেটের উন্নয়ন হয় সেই উন্নয়ন আমাদের প্রয়োজন নেই। 

শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির জনসমাবেশে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, ওরা সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। আমি বলিনি, এটা শিল্প মন্ত্রী বলেছে। দেশের জনগণ এই লুটপাটের কারণে দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে গেছে৷ আমরা বারবার প্রতিবাদ করেছি। সরকারের বোধদয় হয়নি। 

ব্রিজ করতে বাইরে লাগে ছয় সাত হাজার ডলার। আমার দেশে লাগে ত্রিশ হাজার ডলার। এটা কী মগের মুল্লুক নাকি। সরকারি কর্মকর্তারা একে অপরের বিরুদ্ধে লেগে আছে। এ বলে তুই বেশি খেয়েছিস ও বলে তুই বেশি খেয়েছিস। পানির দাম, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। ওরা বলে তেলের দাম বাড়াবো না আন্তর্জাতিক বাজারের দামে ছেড়ে দিবো। এতদিনে কেন। আমার নেত্রী কী দেশ চালায়নি ভর্তুকি দেয়নি। তখন কী দাম বেড়েছিল? বাড়েনি। 

তিনি বলেন, ওদের এক নেতা এক এগারোর সময় জেলে আমার সামনে কান ধরে উঠবস করেছিলো। বলেছিল আর রাজনীতি করবো না ভাই। আজ সেই নেতা বড় বড় কথা বলেন। তিনি বলেন খেলা হবে। আমরা আপনাদের এইসব খেলায় অংশগ্রহণ করবো না৷ খেলা তো শুরু হয়ে গেছে। আমরা আপনাদের সাথে কোন ঝামেলায় যেতে চাই না৷ 

তিনি আরো বলেন, এখনও সময় আছে মানুষের মুখের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন। নয়ত পরে পালানোর রাস্তা খুঁজে পাবেন না। আপনারা কীভাবে পালাবেন চিন্তাভাবনা করেছেন। আপোষে গেলে যান জোর করে পালাতে পারবেন না। জনগণ আপনাদের বিচারের পাল্লায় তুলবে। জনগণ আপনাদের ছাড়বে না। যারা গুম হয়েছে তাদের বাবা মা আপনাদের ছেড়ে কথা বলবে না। 

নারায়ণগঞ্জের অনেক নেতা কারাগারে আছে। আরেকটা ছেলে আছে। সেও জেলে, নাম জাকির খান। আমরা জেল থেকে তাদের মুক্ত করবো। এ সরকারের কাছে আর মুক্তি চাই না আমরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা ও সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন, যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি আমিরুল ইসলাম ইমন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভুইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, যুগ্ম আহবায়ক শাহেদ আহমেদ প্রমুখ।


আরও খবর



কাজী রাইয়ানকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৩০ লাখ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৪০০জন দেখেছেন

Image

নুরুল্লাহ খান শাজাহান, নিজস্ব প্রতিনিধি:

লিকুমিয়া ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ৫ বছরের শিশু কাজী রাইয়ান আহমেদ রূপ। তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজন যা পরিবার এবং সাংবাদিক পিতার পক্ষে মেটানো অসম্ভব। সুস্থভাবে সকলের মাঝে ফিরিয়ে আনতে সকলের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।

কাজী রাইয়ান আহমেদ রূপ ঢাকার দোহার উপজেলার ঘাটা গ্রামের সাংবাদিক কাজী জোবায়ের আহমেদ ও রাশেদা আক্তার দম্পত্তির ছেলে।

জানা যায়, ২০১৯ সালে মাত্র ১১ মাস বয়সে প্রথম লিকুমিয়া (all) ব্লাড ক্যান্সার ধরা পরে রূপের। এর দীর্ঘ ৪ বছর চিকিৎসায় অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠে সে। তবে ছেলেকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্বপ্রায় রূপের বাবা। হঠাৎ গতমাসে আবারো গুরুতর অসুস্থ হলে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রূপকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি হতে থাকে শিশুটির। বর্তমান রুপ বিএসএমএমইউ হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা: এ টি এম আতিকুর রহমান তত্বাবধানে রয়েছে রূপ।

প্রফেসর ডা: এ টি এম আতিকুর রহমান জানান, বর্তমানে রূপের অবস্থা আশংকাজনক। তার লিভার ও স্প্রিন্ট বড় হয়ে গেছে। এছাড়া সে নিউমনিয়ায় আক্রান্ত, পাশাপাশি রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ছে না।

ডাক্তার আরো জানান, রূপের বনমেরু পরিবর্তন করা গেলে ৮০% সুস্থ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে এ চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। ভারতে নিয়ে করতে খরচ হবে প্রায় ৩০ লাখ টাকা।

রূপের সাংবাদিক পিতার পক্ষে এ টাকা ব্যয় করা সম্ভব নয়। এ অবস্থা ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান, দানশীল মানুষের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছে অসহায় পরিবারটি। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের সুদৃষ্টি কামনা করেন পরিবারটি।

যোগাযোগের ঠিকানা: ০১৭১৬৫৫৯১৯০ (বিকাশ), রূপের বাবা সাংবাদিক কাজী জোবায়ের আহমেদ

মো. জোবায়ের আহমেদ

একাউন্ট নাম্বার: ০০১২১০০০৩১১৪৭

সাউথইস্ট ব্যাক, জয়পাড়া শাখা, দোহার


আরও খবর



জামালপুরে কেন্দুয়া বাজার রেলওয়ে স্টেশন চালুর দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

মাসুদ উল হাসান,  জামালপুর :

জামালপুর সদর উপজেলার ১নং কেন্দুয়া ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী কেন্দুয়া বাজার রেলওয়ে স্টেশন। ১৮৯৯ সালে এই রেলওয়ে স্টেশনটি স্থাপিত হয়। কিন্তু এক সপ্তাহের বেশি সময় হঠাৎ এই রেলওয়ে স্টেশনটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এতে সর্বস্থরের জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এই এলাকার জনগণের দাবী থাকা স্বত্বেও বন্ধ থাকা কেন্দুয়া বাজার রেলওয়ে স্টেশন চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। 

অবশেষে আজ (১৫ মে) সোমবার দুপুরে কেন্দুয়া বাজার রেলওয়ে স্টেশনে কেন্দুয়া এলাকাবাসী ও সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে কয়েক শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন, কেন্দুয়া ইউনিয়নের আশপাশের আরও বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নাগরিকবৃন্দ।  সকলের দাবি অবিলম্বে কেন্দুয়া বাজার রেলওয়ে স্টেশন চালু করতে হবে এবং আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ দিতে হবে। 

জামালপুর টু তারাকান্দি রেল সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে কেন্দুয়া বাজার রেলওয়ে স্টেশন অবস্থিত। জামালপুর জংশন এর পরের স্টেশনটিই পড়ে কেন্দুয়া রেলওয়ে স্টেশনের অবস্থান। ৩৭নং মেইল ট্রেন, ৭৫ নং মেইল ট্রেন, ২৫৩ নং লোকাল ট্রেনে যাত্রীরা যাতায়াত করেছেন। সেই সাথে যমুনা,অগ্নিবীণা ও জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেন ক্রসিং হতো এই স্টেশনটিতে৷ কিন্তু বেশকিছু দিন থেকেই বন্ধ এই রেলওয়ে স্টেশনটি।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কেন্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান সোহেল, বিএনপি নেতা রুহুল আমিন মিলন, ফখরুল আলম লিটু, আরিফুর রহমান আরিফ প্রমূখ। 

মানববন্ধন শেষে ঘন্টাব্যাপী জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে কেন্দুয়া বাজার রেলওয়ে স্টেশনের সামনে অবরোধ করেন এলাকাবাসী। 

১ ঘন্টা পর সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মো: মোজাফফর হোসেন সিআইপি বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত হয়ে উপস্থিত সকলকেই আশ্বস্ত করে বলেন, যৌক্তিক দাবীতে এই মানববন্ধন তিনি সমর্থন করেন। তবে জনগণের দুর্ভোগ হয় এমনটি না করে ট্রেন যাত্রা সচল করার আহবান জানান।

তিনি আরও বলেন, আমি ইতিমধ্যে মানববন্ধনের কথা শুনে রেলওয়ে বিভাগের ডিজি'র সাথে কথা বলেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই দাবী বাস্তবায়ন করা হবে তিনি আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করেন। কেন্দুয়া বাজার রেলওয়ে স্টেশন থাকবে৷ টিকিট বিক্রিসহ যাত্রীরা এইখান থেকে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারবেন। এছাড়াও আন্ত:নগর ট্রেনের স্টপেজ ও টিকিট বিক্রির সুযোগসহ একাধিক দাবী বাস্তবায়ন করা হবে। প্রয়োজন হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবগত করে হলেও দাবী পূরণ করা হবে ইনশাল্লাহ । 

অতপর সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোজাফফর হোসেন সিআইপির কথায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করেন। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- এই এলাকার মানুষ হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের। এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ ঢাকায় জীবিকার জন্য কাজ করেন। কেন্দুয়া ইউনিয়ন সহ আশপাশের ৪ টি  ইউনিয়নের মানুষ এখান থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন যাবত এটি বন্ধ হওয়ার ফলে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির মধ্যে পরেছে।

মানববন্ধনে ১ নং কেন্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান সোহেল বলেন,কেন্দুয়া রেলওয়ে স্টেশন চালু এখন সময়ের দাবি। আমরা চাই অতি সত্ত্বর এটি চালু করা হোক। সাধারণ মানুষের দাবি অতিসত্ত্বর কেন্দুয়া রেলওয়ে স্টেশন চালু করতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠিন কর্মসূচির ডাক দিতে বাধ্য হব। আমাদের যৌক্তিক দাবী মানতেই হবে। এই দাবী আমাদের অধিকার আদায়ের। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।


আরও খবর