Logo
শিরোনাম

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image



সদরুল আইনঃ



সৌদি আরবে চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আজ। এ বছর সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ২০ লাখ মানুষ হজ পালন করবেন। আর বাংলাদেশ থেকে হজ পালন করবেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন।



আরবি হিজরি সন ১৪৪৫ এর জিলহজ মাসের ৮ তারিখ আজ। আরবি বর্ষপঞ্জিকার শেষ মাস জিলহজের ৮ তারিখ থেকে শুরু হয় হজ। এরপর ৯ জিলহজে হয় আরাফাতের দিন। 


আর ১০ জিলহজে পশু কোরবানি করেন হাজিরা। পশু কোরবানি শেষে আরও দুইদিন থাকে হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা। অর্থাৎ হজ সম্পন্ন করতে সবমিলিয়ে সময় লাগে পাঁচদিন।


প্রথমদিন হজযাত্রীরা (পুরুষ) সেলাই ছাড়া ইহরাম বা সাদা কাপড় পরেন। অপরদিকে নারীরা ঢিলেঢালা পোশাক পরেন। এদিন আরও কিছু নিয়ম নীতি মানতে হয়। যেমন কারও সঙ্গে রাগারাগি না করা এবং যৌন সম্পর্কে লিপ্ত না হওয়া।


ইহরাম বাধার পর দলে দলে হাজিরা মিনায় যান। বেশিরভাগ মানুষ বাসে ও গাড়িতে গেলেও কেউ কেউ হেঁটেও মিনায় যান। এটি ৮ কিলোমিটারের একটি পথ।



হজযাত্রীরা এদিন মিনাতেই কাটান। এর পরের দিন ভোরে তারা সেখান থেকে চলে আসেন। হজযাত্রীরা মিনায় নামাজ এবং আল্লাহকে স্মরণ করে সময় কাটান।


দ্বিতীয় দিন হজযাত্রীরা যান আরাফাতের ময়দানে। সেখানে তারা পুরো দিনটি কাটান। আরাফাত শুধু হজের কারণেই গুরুত্বপূর্ণ নয় এটি ইসলামিক বর্ষপঞ্জিকার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।


আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত আরাফাতের পাহাড়ে দাঁড়িয়ে নিজের জীবনের শেষ ভাষণটি দিয়েছিলেন হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)। মিনা থেকে ১৪ দশমিক ৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিন হন লাখ লাখ মানুষ। বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় এদিন রোজা রাখা হয়।


আরাফাতের ময়দানে সারাদিন কাটানোর পর সূর্যাস্তের পর মুজদালিফায় যান হাজিরা। যা ৯ কিলোমিটারের একটি পথ। সেখানে খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করেন তারা। ওই সময় প্রতীকি শয়তানের দিকে ছুড়ে মারার জন্য ছোট পাথর সংগ্রহ করেন তারা। সূর্যোদয়ের ঠিক আগে তারা মুজদালিফা ছাড়েন।



তৃতীয় দিনের শুরুটা হয় মুজদালিফায়। সেখান থেকে সূর্যোদয়ের আগে তারা মিনার দিকে রওনা দেন। মিনায় পৌঁছে তারা প্রতীকি শয়তানকে লক্ষ্য করে ছোট সাতটি নুড়ি পাথর নিক্ষেপ করেন।


মহান আল্লাহ ইব্রাহিম (আঃ)-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি যেন তার পুত্রকে কোরবানি করেন। মিনার এই স্থানে যখন আল্লাহকে খুশি করতে ইব্রাহিম (আঃ) তার পুত্রকে নিয়ে আসেন তখন এখানে উপস্থিত হয় শয়তান। যেটি নবী ইব্রাহিমকে আল্লাহর আদেশ অমান্য করতে প্ররোচনা দিচ্ছিল।



 ওই সময় ইব্রাহিম (আঃ) শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেন। এখন হাজিরা এই স্থানে প্রতীকি শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর মারেন।


পাথর নিক্ষেপ শেষে হাজিদের কোরবানি করতে হয়। ইব্রাহিম (আঃ) যখন তার পুত্রকে কোরবানি করতে যান তখন সেখানে আল্লাহ তায়ালা একটি ভেড়াকে এনে দেন।


কোরবানি শেষে হাজিরা (পুরুষ) তাদের মাথা মুণ্ডণ করেন এবং ইহরামের কাপর খোলেন। এরপর অনেকে কাবা তাওয়াফ করতে মক্কায় যান। সেখানে কাবায় সাত চক্কর দেওয়ার পাশাপাশি সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে তারা সাতবার আসা যাওয়া করেন। সবকিছু শেষ হওয়ার পর মিনায় তারা তাদের ক্যাম্পে ফিরে যান।



চতুর্থ ও পঞ্চম এ দুইদিনও প্রতীকি শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়েন তারা। এই সময় প্রতীকি শয়তানের তিনটি স্তম্ভের প্রত্যেকটিতে সাতটি করে নুড়ি পাথরর ছোড়েন হাজিরা। এখানে হাজিরা আরও দুইদিন অবস্থান করবেন।


মিনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে হজযাত্রীরা মক্কায় ফিরে যান এবং শেষবারের মতো কাবা তাওয়াফ করেন। যা ‘বিদায়ী তাওয়াফ’ নামেও পরিচিত।


নিজ বাড়িতে বা দেশে ফিরে যাওয়ার আগে বেশিরভাগ হাজি যান মদিনায়। যেখানে শুয়ে আছেন শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)। মদিনায় হাজিরা নবীজীর রওজা পরিদর্শন করেন।



আরও খবর



২০২৩ সালে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

কর ফাঁকির কারণে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ হারিয়েছে করপোরেট কর ফাঁকির কারণে। ২০২৩ সালে আনুমানিক করপোরেট কর ফাঁকির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকা।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সাল থেকে কর ফাঁকির পরিমাণ বেড়েছে, ২০১২ সালে ৯৬ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা এবং ২০১৫ সালে তা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকায় পৌঁছায়। গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্স অ্যাসোসিয়েট তামিম আহমেদ।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক অবস্থার মতো বাংলাদেশেও করপোরেট কর কমতির দিকে। পোশাক, আইসিটিসহ অনেক খাত কর সুবিধা পেয়ে থাকে। ২ লাখ ৮৮ হাজার কোম্পানি রেজিস্ট্রার্ড, কিন্তু ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিশন করেছে মাত্র ৯ শতাংশ কোম্পানি বা ২৪ হাজার ৩৮১ কোম্পানি। এটা একটা বড় বৈষম্য। যারা কর দিচ্ছে তাদের ওপর করের বোঝা বাড়ছে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আগামী দিনে সরকার যদি উচ্চমাত্রায় রাজস্ব না পান তাহলে ভর্তুকি, রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ, দক্ষ জনবল তৈরি করা সরকারের পক্ষে সহজ হবে না। প্রত্যক্ষ কর, অপ্রত্যক্ষ কর ও কর বহির্ভূত আয় এই তিন উৎস থেকে মূল রাজস্ব আদায় করি। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আসে করপোরেট খাত থেকে। প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত রাজস্ব এখান থেকে আসে। আর ভ্যাট থেকে আসে ৪০ শতাংশ রাজস্ব। এই দুই উৎস থেকে প্রায় ৬০ ভাগ রাজস্ব প্রতিবছর আসছে। এ জন্য করপোরেট কর ও ভ্যাটের সংস্কার নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চাই।

তিনি বলেন, প্রতিবছর বাজটে আসলে প্রেশারগ্রুপ সরকারের উপর চাপ দিতে থাকেন তার কর হার কমানোর জন্য। এর ফলে কর নিয়ে সরকারের যে লক্ষ্য তা প্রায়শই বিচ্যুত হয়, এটা খোলস আকারে থেকে যায়। যার পরিণতি ভালো হয়না। কর জিডিপির বাড়ানোর লক্ষ্যে আগামী দিনে একটি কাঠামো প্রণোয়ন করা প্রয়োজন।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আমাদের গবেষণায় দেখতে পেয়েছি, ২০২৩ সালে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি কর ফাঁকি হয়েছে। এনবিআর কি পরিমাণ প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করছে। শুধু যে কর ফাঁকি তা নয়, করজালের বাইরেও অনেক খাত ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যাদেরকে করজালের মধ্যে আনা যায়নি। এই বিপুল পরিমাণ ফাঁকি রোধ করতে পারলেও বড় পরিমাণ অর্থ বা রাজস্ব আদায় সম্ভব।

তিনি বলেন, ডিজিটালইজেশন কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। ব্যবসায়ী ও এনবিআরের স্বার্থে এটা করা জরুরি। অথচ এনবিআর ও ব্যবসায়ীদের এক ধরনের অনীহা রয়েছে। বাংলাদেশে যে কোনো লেনদেন একক ডিজিটাল সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। যাতে করে যে কোনো লেনদেন ট্রেস ও ট্র্যাক করা যায়। সেটার আলোকে দাখিলকৃত রিটার্নকে ভেরিভাই করা যায়।

ক্রিশ্চিয়ান এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর নুজহাত জাবিন বলেন, বেশিরভাগে নিম্ন আয়ের দেশ প্রত্যক্ষ করের ওপর নির্ভরশীল। এটা পরিবর্তন করতে হবে। আমরা যখন এলডিসি গ্রাজুয়েশন করছি প্রত্যক্ষ করের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে।

সিপিডি বাংলাদেশের ক্রমাগত কর ফাঁকি সমস্যার পেছনে বেশ কয়েকটি মূল কারণ চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে উচ্চ করের হার, দুর্বল প্রয়োগ, জটিল আইনি কাঠামো এবং কর ব্যবস্থার মধ্যে ব্যাপক দুর্নীতি।

সিপিডি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, কর ন্যায়বিচারের দৃষ্টিকোণ থেকে, উচ্চ মাত্রার কর ফাঁকি সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করে এবং যারা আইন অনুসরণ করে তাদের ওপর বোঝা বাড়িয়ে দেয়।


আরও খবর



নওগাঁয় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার বলিহার দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার নওগাঁ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীর নামের এক একজন। এর আগে গত সোমবার দুপুরে বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এলাকাবাসীর আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। 

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের আগে স্কুলটি জাঁকজমকপূর্ণ ছিল। নবম ও দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে দূর্বল শিক্ষার্থীদের আলাদা ভাবে ক্লাস করা হতো এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের নানা ভাবে সহযোগীতা করা হতো। বিভিন্ন দিবস ও ধর্মীয় দিনগুলো জাঁকজমক ভাবে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গের সমন্বয়ে পালিত হতো। কিন্তু আফজাল হোসেন প্রধান শিক্ষক হওয়ার পর হতে শিক্ষা ব্যাবস্থা ভেঙ্গে তছনছ করেছে। ঐ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, নৈশ্য প্রহরী, অফিস সহায়ক, অফিস সহকারীদের নিয়োগ হইতে ৪৭ লাখ টাকা নিলেও স্কুলে খাতে জমা করেননি। গত কয়েক বছর হতে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন বন্ধ রেখে দুর হতে কমিটির সভাপতি বানিয়ে স্কুলকে এক নায়কতন্ত্র বানিয়ে চলেছেন। স্কুলের মার্কেট, ফসলি জমি, পুকুর ইজারা ও স্কুলের মূল্যবান সম্পদ নানা কৌশলে নানা ভাবে হস্তান্তর করেছেন। আয়কৃত অর্থ পুরোপুরি স্কুল ফান্ডে জমা না করে জমাকৃত অর্থ বিভিন্ন ভাবে খরচ দেখানো হয়েছে এবং অনিয়ম করে স্কুলের বিভিন্ন গাছ কেটেছেন।

অভিযোগে তিনি আরও বলেন, গত ১২ থেকে ১৩ বছরে স্কুলের আয় ছিল সর্বমোট প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এরমধ্যে কিছু অর্থ জমা করলেও ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে খরচ দেখিয়ে তা লোপাট করেছে। এ সময় বিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় হতে আজ পর্যন্ত বিশ লাখ টাকারও কোন উন্নয়ন করা হয়নি। প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন গত সরকারের বড় দুর্নীতিবাজদের তালিকায় মাঠ পর্যায়ের বড় দুর্নীতিবাজ। 

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিদ্যালয়ের নামে থাকা ৬টি পুকুর লিজ দেওয়া নিয়ে প্রধান শিক্ষক নানান তালবাহানা করছে। গত সোমবার প্রকাশ্যে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জনস্মুখে বিদ্যালয়ের পুকুর লিজ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি সেদিন বিদ্যালয়েই আসেননি। গত ১২-১৩ বছরের মতো আবারও তিনি অর্থ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে বিদ্যালয়ের পুকুরগুলো গোপনে লিজ দেওয়ার পাঁয়তারা করেছিলেন। কিন্তু এলাকাবাসী সেটা আর হতে দেবে না। এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন বলেন, আমি কোন দূর্ণীতি করিনি। স্বচ্ছতার সাথে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছি। তবে তিনি ২০১১ সালে সাড়ে চার লক্ষ টাকা দিয়ে নিয়োগ নিয়েছেন বলে স্বীকার করেন এবং অন্যান্য শিক্ষকদের কাছে থেকে কিছু টাকা নেওয়া হয়েছিল। 

অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

দেশজুড়ে প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। রাজধানী ঢাকাসহ আটটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে চুয়াডাঙ্গা, ঢাকা, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ ও যশোর।

রোববার (১১ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে। একই দিনে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়। যা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এ ছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ চলছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে জনজীবন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।

তবে কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সোমবার (১২ মে) ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় ও ঢাকা বিভাগের কোনো কোনো অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

এ ধরনের আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে দেশের অনেক জায়গায় দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত কমে আসতে পারে। রাতের তাপমাত্রাও সামান্য হ্রাস পেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ফলে কোথাও কোথাও চলমান তাপপ্রবাহ কিছুটা কমে আসতে পারে।

সামনের দিনগুলোতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে তাপপ্রবাহ কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ততক্ষণ পর্যন্ত জনসাধারণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে রোদে বাইরে বের হওয়ার সময় ছাতা ব্যবহার, পর্যাপ্ত পানি পান ও হিটস্ট্রোকের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন থাকার আহবান জানানো হয়েছে।


আরও খবর



ভয়ে, আতংকে শরীরটা কেমন ঠান্ডা হয়ে আসে এই হত্যার দায় কার

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

নিউজটা চোখের সামনে বার বার আসতেই স্ক্রল করে চলে যাচ্ছি ভয়ে আতংকে। চাইছি না দেখতে, একদমই না, তবুও সামনে আসছে। কি এক ভয়াবহ অস্থিরতা কাজ করছে মনে। সপ্তম শ্রেনির বাচ্চা, হ্যাঁ সপ্তম শ্রেনি! সবে প্রাইমারি পাশ করেছে। এখনও নিজ হাতে তুলে ভালোমতো খাবার খাওয়ার বয়স হয়নি, এখনও একটু ধমকালে ভ্যা ভ্যা করে কাঁদার বয়স। মায়ের আঁচলে মুখ গুজে থাকার বয়সটাও যে পেরোয়নি এখনও। অথচ এই বয়সী কজন বাচ্চা তারই বয়সী এক সহপাঠিকে মেরে ফেললো!! তাও আবার ক্লাসে সামনের বেঞ্চে বসার মতো সামান্য বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাঁটিতে। কিভাবে সম্ভব! এইটুকু বাচ্চা, বলা যায় মুখে এখনও দুধের গন্ধই রয়ে গেছে। 


 চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার হামিদচর, কর্ণফুলীর চর। সেই চরে কাদায় মাখামাখি হয়ে উপুড় হয়ে পরে আছে রাহাত। বন্ধুরা খেলতে ডেকে এনে মেরে ফেলেছে। প্রতিদিনের মতো বন্ধুদের সাথে খেলার জন্য কত খুশি হয়েই না বাড়ি থেকে বের হয়েছিলো। ভালো ক্রিকেট খেলতো ছেলেটা, সামনের সিজনে অনুর্দ্ধ ১৪ ক্রিকেটের জন্য বাছাইও হয়েছিলো৷ কিন্তু জানতেই পারেনি সে যে আর ফিরবে না, হাতে আর কখনো উঠবে না শখের ব্যাট বল।  না জানি বাড়ি ফেরার জন্য, বাঁচার জন্য কতই না কান্নাকাটি করেছে। মায়ের কাছে যেতে চেয়েছে। অথচ প্রতিদিন একই সাথে বসা, টিফিন ভাগ করে খাওয়া, আড্ডা মজার খুনসুটির বন্ধুরাই তাকে বাঁচতে দিলো না। মৃত্যুর আগে বন্ধুদের না জানি কতটা হাতেপায়ে ধরেছে। কিন্তু এইটুকু বাচ্চাদের মনে কেন এতটুকুও দয়া হয়নি। একটা জলজ্যান্ত মানুষ, এবং তাদেরই বন্ধুকে মেরে ফেললো! এত পাষাণ! এই বয়সেই! অথচ মায়ের চোখ রাঙানো দেখলেও ভয়ে চুপসে থাকার কথা এ বয়সীদের। কিন্তু কি দুঃসাহস! কি ভয়ংকর হয়ে উঠেছে এরা!! 


আচ্ছা, এমন ভয়ংকর কি একদিনে হয়েছে? মোটেই না৷। এর জন্য আমরা দায়ী। বাচ্চাকে ভালো ছাত্র হওয়ার দৌড়ে নামিয়ে ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষাটা দিচ্ছি না। মায়ের সাথে যেদিন প্রথম তর্ক করেছিলো, বাবার পকেট থেকে যেদিন না বলে ৫ টা টাকা নিয়েছিলো, দেরিতে বাসায় ফিরেছিলো, কোচিং  প্রাইভেটের কথা বলে পার্কে ঘুরেছিলো, বন্ধুর সাথে ঝগড়া করে এসেছিলো, শিক্ষকের সাথে বেয়াদবি করেছিলো, শাসনটা আমরা শক্ত করে তখন শুরু করিনি। ছোট মানুষ বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে বলে মেনে নেই৷ ছোট বাচ্চা বুদ্ধি হয়নি বলে চোখের খেয়ালটাও করি না। কিন্তু ভুল আমাদের এখানেই। বাচ্চাকে চোখে চোখে রাখার আর কোন বিকল্প নেই। তিতা হলেও সত্য যে, আপনার বাচ্চা তা নয় যা সে আপনাকে দেখায়। এই একটা কথা মাথায় রেখে সতর্ক থাকা উচিত।  


কষ্টে, ভয়ে, আতংকে শরীরটা কেমন ঠান্ডা হয়ে আসছে নিউজটা পড়ে। ঠিক এই বয়সী শত শত ছেলে আছে ,,,,আৎকে উঠি আমি ,,,মন শুধু এটুকুই বলছে, বাবা তোরা মানুষ হ, ভালো মানুষ। ভালো ছাত্র না হলেও ক্ষতি নেই......


আরও খবর



ঝালকাঠিতে কারারক্ষী পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিয়োগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image


হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠিতে কারারক্ষী পদে অংশ নেওয়া চাকরি প্রত্যাশী পরিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিয়োগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে নিয়োগ বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরা ও চাকরি প্রত্যাশীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।

পরিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ঝালকাঠি জেলা থেকে কারারর্ক্ষী পদে ৬০ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এই পরিক্ষার কেন্দ্র ঝালকাঠিতে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে কারারক্ষী পদে অংশ নেওয়া চাকরি প্রত্যাশীরা ঝালকাঠি জেলা কারাগাড় চত্ত্বরে লাইনে দাড়ায়। এ সময় গেইট থেকে অনেককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়, শিক্ষা সনদ ছিড়ে ফেলা এবং শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়। এ অবস্থায় এই নিয়োগ বাতিল করার দাবি জানান তারা। সংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তাদের বাঁধা দেওয়া হয়।

চাকরি প্রত্যাশীরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে নিয়োগ বালিতের জন্য অভিযোগ দায়ের করেছে। 

ঝালকাঠির জেল সুপার মো. আব্দুল্লাহ ইবনে তোফাজ্জেল হোসেন খান জানান, এ নিয়োগ পরিক্ষার সঙ্গে তারা সংশ্লিষ্ট নাই। ঝালকাঠি জেলা ভ্যানু হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ঢাকা থেকে কর্মকর্তারা এসে পরিক্ষা নিয়েছে।


আরও খবর