Logo
শিরোনাম

পেঁয়াজ ছাড়া রান্নার বিকল্প চিন্তা

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কিছুতেই। প্রতিবছরই প্রায় লাগামছাড়া বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম। যে কারণে পেঁয়াজ ছাড়া রান্নার বিকল্প চিন্তা করছেন অনেকেই।

পেঁয়াজের দাম যতই বাড়ুক তাতে কিছু আসে যায় না আপনার। পেঁয়াজ ছাড়া রান্নায় কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনার রান্নার স্বাদ থাকবে অটুট। দেখে নিন পেঁয়াজহীন তেমন কিছু রেসিপি:

খিচুড়ি
দেশজুড়ে শীতের আগমন হচ্ছে, সাথে আসছে শীতের মজার মজার সব সবজি। বাড়িতে মেহমান এলে আপনি অনায়াসে বানাতে পারেন শীতের সবজি দিয়ে খিচুড়ি। সেক্ষেত্রে আপনাকে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। শুধু সবজি-চাল-ডালের পরিমাণ সমান রেখে, রসুন, আদা, জিরা এবং গরম মশলার পরিমাণ সামান্য বাড়িয়ে দিলেই হয়ে যাবে মজাদার খিচুড়ি।

গোশত
আমরা সবাই জানি পেঁয়াজ ছাড়া গোশত রান্না করা যায় না। গোশত রান্নায় অনেক পেঁয়াজের পাশাপাশি প্রচুর মসলার মধ্যে কষিয়ে রান্না করা হয় গোশত, সেটার সাথেই তো আমরা অভ্যস্ত। তবে বর্তমানে পেঁয়াজ যেহেতু নিত্যদিনের পণ্যের জায়গায় প্রায় বিলাসিতায় রূপ নিয়েছে, তাই অনেকের পক্ষেই এখন ইচ্ছেমতো পেঁয়াজ দিয়ে থকথকে ঝোলের গোশতের ভুনা রান্না করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু আপনি জানেন কি, যদি রান্নার আগে সব মশলা মিশিয়ে গোশত ম্যারিনেট করে রাখেন, তাহলে সেটা খুবই সুস্বাদু হবে। ম্যারিনেট করার জন্য রসুন বাটা, আদা বাটা, হলুদ, মরিচ, ধনিয়া, জিরা, দই, এবং অন্য সকল মশলা দিয়ে মেখে রাখুন। গোশত চুলায় দিয়ে পানি কমে আসলে একটু বেশি করে আলু অথবা পেঁপে দিন।

ইলিশ মাছের ঝোল
একটু চেষ্টা করলেই পেঁয়াজ ছাড়া ইলিশ মাছের তেল ঝোল রান্না করে চমকে দিতে পারেন অতিথিদের। সেক্ষেত্রে, বেছে নিতে পারেন কালোজিরা আর কাঁচামরিচের ফোড়ন বা বাগাড়। পুরো রান্নার প্রণালী আপনি খুঁজলেই পেয়ে যাবেন ইউটিউবে।

ভর্তা, ভাজি এবং সবজি
নানান রকমের ভর্তা, ভাজি এবং সবজি বানানো যায় পেঁয়াজ ছাড়া। ইউটিবে অনেক রকমের রেসিপি আপনি পাবেন।

এছাড়া ডিমভাজি এবং পেঁয়াজুতে ব্যবহার করতে পারেন পেঁপেকুচি। অথবা পেঁয়াজের জায়গায় স্প্রিং ওনিয়ন বা পেঁয়াজের কলি ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি অলিভ অয়েল দিয়ে রান্না করলেও খাবারের স্বাদ অনেকগুণ বেড়ে যাবে।

সম্প্রতি ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হবার পর, বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ যেন দিনদিন বেড়েই চলেছে। প্রতি কেজি এক শ’ ছুঁতেই যেখানে সাধারণ ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছিলেন। এমতাবস্থায়, অনেকেই এখন পেঁয়াজের বিকল্প অথবা পেঁয়াজহীন রেসিপির খোঁজে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন।


আরও খবর

গরমে কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪




শিক্ষার ব্যয় বেড়েছে

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে পারিবারিক শিক্ষা ব্যয় আগের বছরের তুলনায় প্রাথমিক স্তরে বার্ষিক ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরে ৫১ শতাংশ বেড়েছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গণসাক্ষরতা অভিযান পরিচালিত বাংলাদেশে বিদ্যালয় শিক্ষা মহামারী উত্তর টেকসই পুনরুত্থান শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। গতকাল শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এডুকেশন ওয়াচ২০২৩ শিরোনামে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন ও জাতীয় শিক্ষানীতি২০১০ প্রণয়ন কমিটির কোচেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, গবেষণা দলের প্রধান ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদ বক্তব্য দেন।

প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক ও গবেষক দলের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন গবেষণার পর্যালোচক আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী, গবেষক দলের সদস্য সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন, মো. আহসান হাবিব।

গবেষণার তথ্য বলছে, সামগ্রিকভাবে ২০২১ সালে সর্বস্তরে প্রায় ৪৪ মিলিয়ন শিক্ষার্থীর (কওমি মাদ্রাসা ব্যতীত) মধ্যে ৪২ শতাংশ সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ৩৮ শতাংশ সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং ২০ শতাংশ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও শিশুদের শিক্ষার জন্য পারিবারিক ব্যয়ের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।

মুদ্রাস্ফীতির ক্রমবর্ধমান ধারা, আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক ফি, প্রাইভেট টিউটর, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ ও স্টেশনারিসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট পারিবারিক খরচ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

২০২২ সালের জানুয়ারিডিসেম্বর সময়ে বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিশুর শিক্ষার জন্য বার্ষিক পারিবারিক গড় ব্যয় ছিল ১৩ হাজার ৮৮২ টাকা, যেখানে গ্রাম ও শহরে কিছু ভিন্নতা রয়েছে। একই সময়ে মাধ্যমিক স্তরের একজন শিক্ষার্থীর জন্য পরিবারের ব্যয় ছিল ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। উভয় স্তরেই প্রধানত ব্যয় হয়েছে প্রাইভেট টিউটরের বেতন ও গাইডবই বা নোটবই বাবদ।

২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে পারিবারিক শিক্ষা ব্যয় আগের বছরের (২০২২) তুলনায় প্রাথমিক স্তরে বার্ষিক ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরে ৫১ শতাংশ বেড়েছে।

প্রাথমিক স্তরে প্রায় ৪১ শতাংশ অভিভাবক এবং মাধ্যমিক স্তরে ১৭ শতাংশ অভিভাবক বলেছেন, প্রতি সন্তানের জন্য তাদের মাসিক ব্যয়ের সামর্থ্য ছিল ২ হাজার টাকার মধ্যে, যা ২০২২ ও ২০২৩ সালের গড় ব্যয়ের তুলনায় অনেক কম।

শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিক্ষার্থীরা উপার্জনের মাধ্যমে তাদের পরিবারে আর্থিক অবদান রাখে, যা তাদের ঝরে পড়ার কারণ হিসেবে দারিদ্র্যকেই নির্দেশ করে। ঝরেপড়ার কারণসমূহ দূর করতে এবং স্কুলে কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিতের লক্ষ্যে স্কুলের লেখাপড়ার মান গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে এবং তা পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী হতে হবে।

সুপারিশে বলা হয়, পারিবারিক সহায়তা এবং শিক্ষা ব্যয়ের বোঝা কমানো প্রাইভেট টিউটরিং, কোচিং, বাণিজ্যিক গাইডবই এবং বিভিন্ন স্কুল ফির ক্রমবর্ধমান খরচ পরিবারগুলোর ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছে, যা বৈষম্য এবং শিক্ষাবঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং পরিবারের ওপর অর্থনৈতিক বোঝা কমানোর লক্ষ্যে শিক্ষায় ন্যায়সঙ্গত সুযোগের জন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

এই পদক্ষেপগুলো হলো :

মনিটরিং ও গাইডেন্স : শ্রেণিকক্ষের কার্যক্রমের মনিটরিং, প্রাইভেট টিউটরিং এবং গাইডবই নির্ভরতা কার্যকরভাবে হ্রাস করা। অভিভাবক ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের মুখস্থভিত্তিক শিখন থেকে নিবৃত্ত করে প্রকৃত জ্ঞান আরোহণের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করা।

পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীর জন্য বাড়তি সহায়তা : যারা পড়ালেখায় পিছিয়ে পড়ছে তাদের জন্য অতিরিক্ত পাঠ এবং চাহিদাভিত্তিক সহায়তা দিয়ে সফল হতে সাহায্য করা।

ফি নিয়ন্ত্রণ : স্কুল কর্তৃক আরোপিত আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক ফি নিয়ন্ত্রণ এবং দূর করার জন্য বিধান কার্যকর করা, যা পরিবারের ওপর আর্থিক বোঝা কমাতে এবং শিক্ষায় আরও বেশি সুযোগ তৈরি করতে সাহায্য করে।

স্কুল মিল কর্মসূচির সম্প্রসারণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল মিল কর্মসূচি প্রবর্তন ও সমপ্রসারণ করা এবং সরকারি বাজেটের সহায়তায় মাধ্যমিক স্তরে ভর্তুকিযুক্ত পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা। এই উদ্যোগের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলা এবং তাদের শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সুস্থতা বাড়ানো।

 

 


আরও খবর



দাম কমল ২৩ ধরনের হার্টের রিংয়ের

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

দেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম কমিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী সর্বনিম্ন ২০ হাজার ও সর্বোচ্চ ৬৮ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে রিং।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ও অন্যান্য দেশের হার্টের রিং উৎপাদনকারী কোম্পানির প্রতিনিধি এবং ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির হার্টের রিংয়ের দাম কমানো হয়েছে।

তবে সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে নির্ধারিত দামের থেকে বেশি দামে এই মূল্য নির্ধারণ করেছে অধিদপ্তর। নতুন করে হার্টের রিংয়ের দাম নির্ধারণ করায় রিং ভেদে দাম বেড়েছে ২ হাজার থেকে প্রায় ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

ইউরোপীয় আমদানিকারকেরা রিং সরবরাহ বন্ধ রাখায় বাজারে সংকট তৈরি হয়েছিল বলে দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজেসের পরিচালক ও ডিজিডিএর বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য ডা. মীর জামাল উদ্দিন।

তিনি বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে হার্ট রিংয়ের দাম কমানো হলে ইউরোপিয়ান রিং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আদালতের দারস্থ হয়েছিল। রিটের মিমাংসা হওয়ার পরে তাদের প্যারেন্ট কোম্পানির প্রতিনিধিদের নিয়ে আমরা বসেছিলাম। ওই দামে রিং বিক্রি করলে তাদের ক্ষতি হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছে। তাদের পক্ষে ওই দামে রিং সরবরাহ করা সম্ভব নয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, হার্টের রিংয়ের মূল্য হ্রাসে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ডিজিডিএ নতুন নির্ধারিত দামের সঙ্গে ২০২১ ও ২০২২ সালের রিংয়ের দামের তুলনা করেছে। সে হিসেবে রিংয়ের দাম কমেছে। তবে সেখানে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বরে নির্ধারণ করা দামের উল্লেখ নেই।

অধিদপ্তরটির পরিচালক (প্রশাসন) মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে রিংয়ের দাম কমানোর চেষ্টা করছিলাম। এর প্রেক্ষিতেই এটা করা হয়েছে। সবগুলো হাসপাতালে নতুন এই মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখতে হবে।

বাংলাদেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় বিভিন্ন দেশের তৈরি ২৬ ধরনের রিং ব্যবহার হয়ে থাকে। নতুন মূল্য তালিকায় এগুলোর দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মাস কয়েক আগে ৩টি স্টেন্টের দাম কমানো হয়েছিল, যেগুলো এখন অপরিবর্তিত রয়েছে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ঔষধ প্রশাসন যখন রিংয়ের দাম নির্ধারণ করে দেয় তখন আমদানিকারকদের একটি বড় অংশ নতুন মূল্য নিয়ে আপত্তি তুলেছিলে। যা পরবর্তীতে আদালতেও গড়িয়েছিল। তবে এবার নতুন দাম নির্ধারণ করার পর এখন পর্যন্ত কোনো আপত্তি দেখা যায়নি।

কোন রিংয়ের কত দাম নির্ধারণ-

পোল্যান্ডের তৈরি অ্যালেক্স প্লাস ব্র্যান্ডের দাম ৬০ হাজার টাকা, অ্যালেক্স ব্র্যান্ড ৬০ হাজার টাকা, অ্যাবারিস ব্র্যান্ড ৬০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

জার্মানির করোফ্ল্যাক্স আইএসএআর ব্র্যান্ডের দাম ৫৩ হাজার টাকা, করোফ্ল্যাক্স আইএসএআর নিও ব্র্যান্ড ৫৫ হাজার টাকা, জিলিমাস ব্র্যান্ড ৫৮ হাজার টাকা করা হয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের ওরসিরো ব্র্যান্ডের দাম ৬৩ হাজার টাকা, ওরসিরো মিশন ৬৮ হাজার টাকা করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার তৈরি জেনোস ডেস ব্র্যান্ডের দাম ৫৬ হাজার টাকা করা হয়েছে।

স্পেনের ইভাসকুলার এনজিওলাইটের দাম ৬২ হাজার টাকা করা হয়েছে।

জাপানের আল্টিমাস্টারের দাম ৬৬ হাজার টাকা করা হয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের অ্যাবলুমিনাস ডেস প্লাসের দাম ৬৩ হাজার টাকা করা হয়েছে।

ভারতে তৈরি মেটাফর ব্র্যান্ডের দাম ৪০ হাজার টাকা, এভারমাইন ফিফটি ব্র্যান্ড ৫০ হাজার টাকা, বায়োমাইম মর্ফ ৫০ হাজার টাকা, বায়োমাইম ৪৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাফিনিটি-এমএস মিনির দাম ৬০ হাজার টাকা, ডিরেক্ট-স্টেন্ট সিরো ৬৬ হাজার টাকা এবং ডিরেক্ট-স্টেন্ট ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

সিঙ্গাপুরের তৈরি বায়োমেট্রিক্স নিওফ্ল্যাক্সের দাম ৬০ হাজার টাকা, বায়োমেট্রিক্স আলফা ৬৬ হাজার টাকা এবং বায়োফ্রিডম ৬৮ হাজার করা হয়েছে।


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা

রামগড়(খাগড়াছড়ি):

প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে দুপুর পর্যন্ত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল আলম।

তবে এই নিবার্চনে দলীয় প্রতীক না থাকায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আরও দুইজন প্রার্থী সহ মোট ৩ জন চেয়ারম্যান পদে লড়বেন। এছাড়াও ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিবার্চনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী পেয়েছেন আনারস প্রতীক, রামগড় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো.আবদুল কাদের পেয়েছেন দোয়াত কলম এছাড়াও কংজঅং মারমা ঘোড়া প্রতীক পেয়ে নির্বাচনে লড়বেন।


এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো.আনোয়ার ফারুক পুনরায় টিয়া প্রতীক পেয়েছেন, মো.শামছুউদ্দিন মিলন তালা প্রতীক, মো.ওমর ফারুক মাইক প্রতীক, মোবারক হোসেন বাদশা চশমা প্রতীক, মো.নুরুল আমিন টিউবওয়েল প্রতীক এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা বেগম কলস প্রতীক ও নাছিমা আহসান নীলা প্রজাপ্রতি প্রতীকে নিবার্চনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রামগড় উপজেলা নিবার্চন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৮ই মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে একটি পৌরসভা ও দুইটি ইউনিয়নের ৪১ হাজার দুইশত ৬১ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।


আরও খবর



সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

মোটরযান নিবন্ধন বা ফিটনেস নবায়নকালে ৭ ধরনের মোটরযানের অগ্রিম কর মওকুফ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ৮ এপ্রিল এনবিআর করনীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত স্পষ্টীকরণ চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১৫৩ (৫) অনুযায়ী ওই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ধারা মোটরযান নিবন্ধন বা ফিটনেস নবায়নকালে কোনো প্রকার অগ্রিম কর সংগ্রহ প্রযোজ্য হবে না। আর ওই সুবিধা পাওয়ার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কোনো সনদের প্রয়োজন হবে না।

জানা গেছে, সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলতে সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ); সরকার বা স্থানীয় সরকারের অধীন কোনো প্রকল্প, কর্মসূচি বা কার্যক্রম; কোনো বৈদেশিক কূটনীতিক, বাংলাদেশে অবস্থিত কোনো কূটনৈতিক মিশন, জাতিসংঘ ও ইহার অঙ্গ সংগঠনের দপ্তরসমূহ; বাংলাদেশের কোনো বিদেশি উন্নয়ন অংশীদার এবং ইহার সংযুক্ত দপ্তর বা দপ্তরসমূহ; সরকারের এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা অগ্রিম কর সুবিধার তালিকায় আছে।

উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৫০০ সিসি পর্যন্ত ব্যক্তিগত গাড়ির অগ্রিম কর ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার, ১৫০০ সিসির বেশি; কিন্তু ২০০০ হাজার সিসির কম এমন গাড়ির অগ্রিম কর ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার, ২০০০ সিসি থেকে ৩০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির জন্য ১ লাখ, ৩০০০ সিসি থেকে ৩৫০০ সিসি পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং এর বেশি সিসি হলে দুই লাখ টাকা অগ্রিম কর দিতে হয়।

তবে, দেশে ব্যবহৃত গাড়ির প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি ১৫০০ সিসির কম।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




ঈদে সেমাই খাওয়ার প্রচলন শুরুর অজানা তথ্য!

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

দেশে সেমাই ছাড়া ঈদ উদযাপন কল্পনা করা যায় না তবে মজার বিষয় হচ্ছে, ঈদের সাথে সেমাইয়ের এই যোগসূত্র কিন্তু খুব পুরনো নয় তবে ইতিহাস বলে সেমাইয়ের প্রচল নিয়ে আছে ভিন্ন রকম মত

ঈদুল ফিতরের সঙ্গে সেমাইয়ের সম্পর্কটা কীভাবে তৈরি হলো তার হদিস পাওয়াটাও একটু কঠিন বাঙালির সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাসে গ্রন্থে যেটুকু পাওয়া যায় তার মধ্যে সেমাইয়ের কথা কোথাও উল্লেখ নেই তবে ফিরনির কথা আছে নবাব আলিবর্দী খাঁর খাদ্য তালিকায় খিচুড়ির উল্লেখযোগ্য অবস্থান ছিল সেমাইয়ের বিষয়ে উল্লেখ পাওয়া যায় না মোগল রসুইঘরেও সুতরাং সেমাই মোগলাই খাবারের মধ্যে পড়ে না 

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যেও বেশ কিছু খাবারের নাম পাওয়া যায় কিন্তু সেমাইয়ের কথা কোথাও নেই হিন্দু কবিদের রচনাতে তো নেই মুসলমান কবির রচনাতেও নেই সেমাইয়ের দেখা পাওয়া যায় না মোগলদের রন্ধনশালাতেও অর্থাৎ সেমাই মোগলাই খানার মধ্যে পড়ে না অথচ সম্রাট বাবর এসেছিলেন যে আফগানিস্তান থেকে সেই আফগানিস্তানে এখনো সেমাই চলে তবে ভিন্ন নামে আগেও নিশ্চয় চলতো সেখানে সেমাইকে বলেসেমিরা

ভারতের অনেক অঞ্চলে অবশ্য সেমাই রান্নার প্রকরণ দুই রকম এক হলো নামকিন সেমিয়া অর্থাৎ তা নোনতা স্বাদের অন্যটা হলো সেভিয়া ক্ষির বা দুধ সেমাই নামকিন সেমিয়া নিয়ে আমার কোনো কথা নেই কথা বলতে গেলে নুডল্, স্প্যাগেটি, চাওমিন ইত্যাদি খাদ্য চলে আসবে আমার কথার বিষয় খাওয়া শেষে মুখ মিষ্টি করার মিষ্টান্ন নিয়ে মিষ্টান্ন হিসেবে সেমাইয়ের ব্যাপারটা কিন্তু বহুজাতিক মিষ্টি স্বাদ চেহারার সেমাই পাওয়া যাবে গ্রিসে নাম কাতাইফি বাংলাদেশে ঘি দিয়ে ভেজে যে দমের সেমাই তৈরি হয়, প্রায় সেরকমই সেমাইয়ের দেখা পাওয়া যাবে আফ্রিকার সোমালিয়াতে নাম কাদ্রিয়াদ 

প্রচলিত বাংলা অভিধানে সেমাই শব্দটাকে কোথাও বলা হয়েছে হিন্দি, কোথাও দেশি তবে ভাষাতত্ত্বের পণ্ডিত সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেছেন গ্রিক শব্দ সেমিদালিস থেকে বাংলা সেমাই শব্দের উৎপত্তি আমরা যে সেমাই খাই তার রন্ধন-প্রণালী স্বাদ গ্রিস না অন্য কোনো দেশের তার সুলুকসন্ধান কেউ দিতে পারেননি তাই অনেক পণ্ডিত আবার সেমাই শব্দের উৎস সন্ধানে অন্য পথ ধরেছেন

জানার আগ্রহ নিয়ে শব্দের পথ ধরে ইতিহাসের দিকে এগোনো যায় বহু পথ আর শব্দের অর্থ দিয়ে খোলা যায় অতীতের অনেক ইতিহাসের দরজা এদিকে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় সেমাই শব্দের বুৎপত্তি নির্দেশ করে দেখিয়ে দিয়েছেন, সেমাই শব্দের গায়ে গ্রিসের গন্ধ থাকলেও সেমাই দ্রব্যটা আসলে ভারতীয় ভারতের অনেক রাজ্যেই সেমাই নানাভাবে খাওয়া হয় এছাড়া উপমহাদেশের মুসলমান-মাত্রই ঈদের দিনে সেমাই খায় অন্যদিকে পাকিস্তানেও সেমাই ছাড়া ঈদ কল্পনা করা যায় না

বাংলাদেশে এখন প্যাকেটজাত সেমাইয়ের ছড়াছড়ি মেশিনে বানানো এই সেমাই বাহারি সব প্যাকেটে পাওয়া যায় মজার কথা হলো, এই যে প্যাকেটজাত কিংবা বোতলজাত ইত্যাদি শব্দের যে (জাত) তার অর্থ হলো রক্ষিত, সঞ্চিত ইত্যাদি প্যাকেটজাত মানে প্যাকেটে রক্ষিত শব্দটা আরবি থেকে আসা শব্দের জাত চেনা সত্যিই মুশকিল কারণ এই জাত শব্দটার আবার বাংলা অর্থ সম্পূর্ণ আলাদা

৮০ থেকে ৯৫ বছর আগে সুদূর মফঃস্বল বা গ্রামে প্যাকেটজাত রেডিমডে সেমাই পাওয়া যেতো না শহরে পাওয়া যেতো কিনা তা জানা নেই ঈদের বেশ দিন আগে থেকেই গ্রামের নারীদের হাতে তখন তৈরি হতো আদি অকৃত্রিম ঈদের সেমাই বাড়িতে বাড়িতে সেমাই তৈরির ধুম পড়ে যেতো মা-খালা-চাচি-ফুপিরা মাটির কলসি উপুড় করে হাতের অপূর্ব সৃজন ক্ষমতা দক্ষতায় আটা-ময়দার লেই ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নতুন কেনা কুলোয় নামাতেন নরম সুতো ক্রমাগত সুতো নেমে তৈরি হতো সেমাইয়ের স্তূপ আর এভাবেই তৈরি হতো হাতে বানানো সেমাই তবে বর্তমানে সেমাই দুই প্রকারের খিল সেমাই বা তার সেমাই আরেকটা হলো লাচ্চা বা লাচ্চি সেমাই


আরও খবর

গরমে কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪