Logo
শিরোনাম

পেটের দায়ে পেশা বদলাচ্ছে পরিবহণ শ্রমিকরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মইনুল ইসলাম মিতুল : চলমান অবরোধ-হরতালে যানবাহনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আতঙ্কে নিরূপায় হয়ে পেশা পরিবর্তন করছেন পরিবহণ শ্রমিকরা। এর মধ্যে দূরপাল্লার বাসের শ্রমিকদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। জীবন বাঁচাতে বহু শ্রমিক ইতোমধ্যেই পরিবহণের চাকরি ছেড়ে হোটেলে, গার্মেন্টস, গ্যারেজ ও কৃষি কাজে যোগ দিয়েছেন। অনেকে দিনমজুরের কাজও করছেন। অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়া শ্রমিকদের সংখ্যা হাজারো হতে পারে। পরিবহণের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনালে শিপন (২৩) নামের এমনই এক পরিবহণ শ্রমিকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি বলেন, অভাবের তাড়নায় বাসের হেলপার হিসেবে কাজ শুরু করি। দুই মাস আগে ঢাকা-ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে যাতায়াতকারী সৌখিন পরিবহণের হেলপার হিসেবে যোগ দেই। দিনে একটি ট্রিপ দেওয়া যায়। আবার রাতে আরেকটি ট্রিপ দেই। দুটি ট্রিপে ৮০০ টাকা পাই। এর মধ্যে খাওয়া-দাওয়াসহ অন্যান্য খরচ আছে। সব শেষে কোনো কোনো দিন ৩০০ বা ৪০০ টাকা থাকে। সবদিনই রোজগার সমান হয় না। প্রতিমাসে গড়ে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত থাকে। এই দিয়েই সংসার চলে।

এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলের হরতাল অবরোধ শুরু হলে একেবারে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। দূরপাল্লার বাস যাতায়াত করে না বললেই চলে। আর বাস না চললে টাকা রোজগার বন্ধ। কারণ পরিবহণ শ্রমিকরা দিন হাজিরা অনুযায়ী টাকা পায়। ট্রিপ নাই, টাকাও নাই। অবরোধ-হরতালে মালিকরা গাড়ি বের করেন না। উল্টো গাড়ি ভালোভাবে পাহারা দিতে বলেন। অথচ দিন হাজিরার কোনো টাকাও দেন না। শুধু সামান্য দুই বেলা খাওয়ার জন্য মানবিক কারণে টাকা দেন। আবার কোনো কোনো মালিক তাও দেন না বলে পরিচিত অনেক হেলপারের কাছে শুনেছি।

হরতাল-অবরোধ শুরুর আগে গাড়ি যদি টার্মিনালের ভেতরে নিরাপদ জায়গায় পার্কিং করে রাখা যায়, তাহলে তো কথাই নেই। মালিক একেবারে নিশ্চিন্ত থাকেন। কোনো কোনো মালিক সত্যি সত্যিই গাড়ি ভেতরে রাখা হয়েছে কিনা, তা এসে দেখে যান। মালিক বুঝে যান, তার গাড়ি যেহেতু নিরাপদ জায়গায় আছে, সেহেতু গাড়িতে ভাংচুর বা অগ্নিসংযোগের কোনো সম্ভাবনা নেই। এমন পরিস্থিতিতে অধিকাংশ মালিকই গাড়ি তালা দিয়ে চাবি নিয়ে শ্রমিকদের বাড়ি চলে যেতে বলেন। কারণ হেলপার, সুপারভাইজার ও চালক থাকলে মানবিক কারণে তাদের টাকা দেয়ার বা হাত খরচ দেয়ার বিষয় থাকে। মালিকরা গাড়ি বন্ধ তো সবই বন্ধ। অর্থাৎ পরিবহণ শ্রমিকদের পেছনে বাড়তি টাকা খরচ করতে রাজি নন। এমন পরিস্থিতিতে পরিবহণ শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে অন্য গাড়িতে করে ভেঙে ভেঙে বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হন। এছাড়া আর কোনো উপায়ও থাকে না। কারণ থাকলেই খরচ।

 সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি হানিফ খোকন বলেন, পেটের দায়ে অনেক পরিবহণ শ্রমিক হোটেলের বয় হিসেবে কাজ নিয়েছেন। অনেকেই গ্যারেজে কাজ নিয়েছেন। এছাড়া যেসব শ্রমিকের গ্রামের বাড়িতে জমি আছে, তারা কৃষি কাজ করছেন। অনেকেই আবার দিনমজুর হিসেবে কাজ করছেন। এমন অনেক সুপার ভাইজার ও চালককে দেখেছি এই পেশা ছেড়ে আপাতত গ্রামে গিয়ে কৃষি কাজ করছেন। অনেকেই দিনমুজুর বা অটো চালাচ্ছেন। কারণ অনেকের সঙ্গেই পেশাগত কারণে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয়। তারা কে কোথায় কেমন আছে বা কি করছে তা কথা প্রসঙ্গে জানা যায়।

সুপার ভাইজার ও চালকদের এছাড়া আর কোনো উপায়ও নেই। কারণ একজন সুপার ভাইজার সিঙ্গেল দুই বার আপ-ডাউন করলে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা পায়। আর চালক পায় ১৪শ টাকা। গাড়িই যেহেতু চলে না, সে ক্ষেত্রে পরিবহণ শ্রমিকদের রোজগার বন্ধ। এজন্য তাদের অনেকেই গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। এছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কারণ ঢাকায় বিভিন্ন বাসের ভেতরে থাকার সুযোগ থাকায় টাকা লাগে না। তবে খাওয়া দাওয়া করতে অনেক টাকা ।

হানিফ খোকনের ভাষ্য মতে, বহু শ্রমিক পরিবহণ সেক্টরের পেশা ছেড়েছেন। কারণ একদিকে রোজগার নেই। আরেক দিকে প্রাণের মায়া। সম্প্রতি যাত্রাবাড়িতে পার্কিং করে রাখা একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে বাসের ভেতরে থাকা হেলপার জীবন্ত পুড়ে মারা যান। সবারই প্রাণের মায়া আছে। দূরপাল্লার বাসে ভয় আরও বেশি। কারণ রাতে বাস চলাচল করে। কে কোথা থেকে অন্ধকারের মধ্যে বাসে আগুন বোমা ছুড়ে মারবে, তার কোনো হদিস নেই। বাস মালিকের বাস পুড়ে যাবে। আর যাত্রী, হেলপার, সুপারভাইজার ও চালকের জীবন যাবে। চোরাগোপ্তা হামলা করে বাসে আগুন দেওয়ার কারণে পরিবহণ মালিকরা রাস্তায় বাস বের করতে চান না। আর শ্রমিকরাও জীবনের মায়ায় যানবাহন চালানোর সাহস পাচ্ছেন না।

অনেকটা কষ্টেই হানিফ খোকন বলছিলেন, সবারই তো জীবনের মায়া আছে! যাত্রীরা প্রাণের ভয়ে বাসে উঠেন না। বেঁচে থাকলে কিছু না কিছু করে জীবন পার করতে পারবে। ঘরে পিতা-মাতা ভাই বোন আছে।

পরিবহণ শ্রমিক লীগের তথ্য মতে, সারা দেশে পরিবহণ শ্রমিকের সংখ্যা এক কোটির উপরে। দূরপাল্লার প্রতিটি বাসে কমপক্ষে তিনজন করে শ্রমিক থাকেন। চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার। তবে মালবাহী যানবাহনে শ্রমিকের সংখ্যা আরও বেশি। আর লেগুনা, হিউম্যান হলারে দুজন করে শ্রমিক থাকেন।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাবেশে ব্যাপক নাশকতার ঘটনা ঘটে। ওইদিন অনেক যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের কবলে পড়ে। এরপর থেকে বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী অবরোধ ও হরতালের মতো কর্মসূচি পালন করছে। এসব কর্মসূচিতে যানবাহনে চোরাগোপ্তা হামলার ঘটনা ঘটছে। যাত্রীবাহী বাস বা মালবাহী কাভার্ড ভ্যান ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন হামলাকারীদের মূল টার্গেটে পরিণত হয়েছে। এখন পর্যন্ত আড়াই শতাধিক যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের কবলে পড়েছে। হতাহত হয়েছেন যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, হেলপারসহ পরিবহণ সংশ্লিষ্ট অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে রীতিমত আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে কারণে অবরোধ বা হরতালের দিন দূরপাল্লার বাস বা অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে না বললেই চলে। যেসব যানবাহন চলাচল করছে, তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিতান্তই পেটের দায়ে যানবাহন নিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছেন।

পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা জানান, পুলিশ ও র‌্যাবের তরফ থেকে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নিশ্চয়তা দিলেও পরিস্থিতির তেমন একটা উন্নতি হয়নি। আতঙ্কে পরিবহণ মালিকরা যেমন রাস্তায় যানবাহন বের করছেন না, তেমনি পরিবহণ শ্রমিকরাও জীবনের মায়ায় রাস্তায় যানবাহন নিয়ে বেরুতে সাহস পাচ্ছেন না।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য মতে, চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত সারা দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ৫৭ লাখ ৪২ হাজার। অনিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা লাখ লাখ। যার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। যদিও ২০২১ সালে জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা ছিল প্রায় ৫ লাখ। সারা দেশে ১১ হাজার ৭০৮ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। মহাসড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী দূরপাল্লার যানবাহনের সংখ্যা ২১ লাখের বেশি।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




মাভাবিপ্রবিতে সেশন জট নিরসনে আমরা সফল হতে পেরেছি- উপাচার্য

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অন্যতম দাবি ছিল সেশনজট নিরশন। বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন যোগদানের পর ২০২৩ সাল থেকে যথাযথভাবে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করার প্রতি জোর দেন। 

আজ ১৮ নভেম্বর ২০২৩ (শনিবার) একাডেমিক ক্যালেন্ডারের ২য় দফা অনুযায়ী ১ম দিনে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টারের ইন্ট্রোডাকটরি বায়োকেমিস্ট্রি-২ কোর্সের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন। এসময় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি যোগদানের পর থেকে আমার অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল সেশনজট নিরসন। বিগত সেমিস্টারগুলো প্রায় চার মাসে সম্পন্ন করা গেছে। ২০২৩ সালের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে যথাযথ সময়ে সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু করেছি। আমরা বলতেই পারি, সেশন জট নিরসনে আমরা সফল হতে পেরেছি।

পরীক্ষার হল পরিদর্শনকালে ভাইস-চ্যান্সেলরের সাথে শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শাহীন উদ্দিনসহ বিভাগের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ফ্যামিলি কার্ড ছাড়াও পাওয়া যাবে টিসিবির পণ্য

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মঙ্গলবার থেকে রাজধানীতে ফ্যামিলি কার্ডের বাইরে ২৫ থেকে ৩০টি ট্রাকের মাধ্যমে মশুর ডাল, সয়াবিন তেল, আলু ও পেঁয়াজ ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

তিনি বলেছেন, আগামীকাল থেকে রাজধানীতে ২৫ থেকে ৩০টি ট্রাকে মশুর ডাল, সয়াবিন তেল, আলু ও পেঁয়াজ টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। একেকজন ২ কেজি মশুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি আলু ও ২ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। প্রতিটি ট্রাক থেকে প্রায় ৩০০ জনকে এ পণ্য দেওয়া হবে। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের বাইরে এ পণ্য বিক্রি হবে। এর ফলে নতুন করে ৯ হাজার পরিবার এ সুবিধায় যুক্ত হবে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এসব কথা জানান সচিব।

তিনি আরো জানান, ট্রাকে প্রতি কেজি মুশুর ডাল ৬০ টাকা, প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা ও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি করা হবে। চিনি পাওয়া গেলে দেওয়া হবে। আপাতত চিনি দেওয়া হবে না। আমরা সব কর্মদিবসে কার্যক্রম চলমান রাখব। শুক্র-শনিবার বন্ধ থাকবে।


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩




মুখ খুললেন রাশমিকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় আপত্তিকর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে রাশমিকা মান্দানার। ইতোমধ্যে ভিডিওটি নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে নেটিজেনদের মাঝে। যদিও এটি ডিপফেক ভিডিও। কিন্তু দেখে আপাতদৃষ্টিতে তা বোঝা কঠিন। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন রাশমিকা।

৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন রাশমিকা। ওই স্ট্যাটাসে অভিনেত্রী লিখেছেন, নেটদুনিয়ায় আমার ডিপফেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার বিষয় নিয়ে কথা বলতে আমার ভীষণ খারাপ লাগছে। সত্যি বলতে বিষয়টি নিয়ে আমি শঙ্কিত।

আর এই শঙ্কা শুধু নিজের জন্য না, বরং তাদের প্রত্যেকের জন্য, যারা প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণে বিভিন্নভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, আজ একজন নারী ও অভিনেত্রী হিসেবে আমি আমার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে কৃতজ্ঞ, যারা আমাকে এই সময়ে সমর্থন করে পাশে দাঁড়িয়েছেন।

কিন্তু এই ঘটনা যদি আমার স্কুল কিংবা কলেজ জীবনে ঘটতো, তাহলে আমি কীভাবে বিষয়টি সামাল দিতাম তা কল্পনাও করতে পারছি না। আমাদের সকলের উচিত সমষ্টিগতভাবে এই ধরনের সমস্যা নিয়ে কথা বলা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করছেন সবাই। এমনকি এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন অমিতাভ বচ্চনও।

প্রসঙ্গত, আগামী ১ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে রাশমিকা অভিনীত সিনেমা অ্যানিমেল। এতে রণবীর কাপুরের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন সন্দীপ রেড্ডি এবং এটি প্রযোজনা করেছেন গুলশান কুমার। 


আরও খবর

নওগাঁয় নবান্ন উৎসব উদযাপন

বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩




জামালপুর-১ আসনে নৌকা প্রত্যাশী

ব্যারিস্টার সামীরের পক্ষে বিশাল নির্বাচনী শোডাউন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে  নৌকা প্রত্যাশী ব্যারিস্টার সামীর সাত্তারের পক্ষে বিশাল শোডাউন করেছে তার কর্মী সমর্থকরা। মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় সহস্্রাধিক মোটর সাইকেলের একটি বিশাল বহর নিয়ে বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নে শোডাউন করেছেন তারা। দিনব্যাপী বহরটি বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলাক্ষিয়া,সাধুরপাড়া, বগারচর, ধানুয়া কামালপুর, বাট্টাজোড় ও সদর ইউনিয়নে শোডাউন শেষে বহরটি দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় যায়। পরে দেওয়ানগঞ্জের ডাংধরা, চর আমখাওয়া, পাররামরামপুর, হাতীভাঙ্গা বাহাদুরাবাদ,চিকাজানী,চুকাইবাড়ী ইউনিয়নে শোডাউন করেন। শোডাউনে দলীয় নেতাকর্মী,জনপ্রতিনিধি,ব্যবসাীয়,পরিবহন শ্রমিক,চালক ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। শোডাউন থেকে শেখ হাসিনা,নৌকা ও সামীরের পক্ষে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। ব্যারিস্টার সামীর সাত্তারকে নৌকা দেয়ার দাবি জানান শোডাউনে অংশ গ্রহন কারীরা। 

জানা যায়,সাবেক মন্ত্রী এম এ সাত্তারের ছেলে ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তিনি। এবার নৌকার প্রত্যাশায় জোরেশোরেই মাঠে নেমেছেন তিনি। নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য সেলাই মেশিন বিতরণ,অস্বচ্ছল মানুষকে পুজিঁ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা,হুইল চেয়ার বিতরণ,টিওবয়েল বিতরণ,বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় অনুদান,গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মান ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ সহ সমাজসেবা মূলক কাজ করে যাচ্ছেন।

বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মির্জা সোহেল বলেন,স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দরকার স্মার্ট নেতৃত্ব। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতির ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার সৎ এবং দায়িত্বশীল মানুষ। তাকে এবার এমপি হিসেবে দেখতে চায় এলাকার জনগন। সামীর সাত্তারকে নৌকা দেয়া হলে বিপুল ভোটে জয়ী হবে। 

শোডাউনে অন্যান্যের মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান,প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান,পৌর কাউন্সিলর কামরুজ্জামান সুজন,ব্যাবসায়ী জুয়েল মিয়া,খোকন মিয়া,মুসা তারেক,ইউপি সদস্য আবদুল বাসেদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সারাদেশে টহল দিচ্ছে RAB এর ৪৬০টি দল

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৪৬০টি টহল টিম মাঠে নামিয়েছে র‌্যাব। তারা ০৬ নভেম্বর সকাল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে কাজ করছে।

সকালে র‌্যাবের সদর দফতর থেকে মিডিয়া বিভাগের পক্ষ থেকে এক ক্ষুদে বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তাতে জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে র‍্যাবের ১৬০টি টহল দলসহ সারাদেশে ৪৬০টি টইল দল মোতায়েন রয়েছে। তারা বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে টহলরত অবস্থায় আছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা সরকারবিরোধী দলগুলো। ওই দিন দুপুরে বিএনপির মহাসমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে কাকরাইল মোড়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী লোকজনের সংঘর্ষ হয়। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরে সেটি ত্রিমুখী সংঘর্ষে রূপ নেয়।

একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয় এবং বেশকিছু গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এছাড়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদেরও মারধর করা হয়। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও উপুর্যুপরি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে বিএনপির সমাবেশ ভণ্ডুল করে দেয়। এতে সংঘর্ষ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। এছাড়া পুলিশ হাসপাতালেও হামলার ঘটনা ঘটে।

২৯ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করে বিএনপি। একই দিন গ্রেফতার করা হয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরকে। এছাড়া পুলিশি অভিযান চালানো হয় দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাসা-বাড়িতে। পরদিন মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়। এরপর দুই দিনের বিরতি দিয়ে আবারও ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। রোববার (৫ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফার প্রথম দিনের অবরোধ কর্মসূচি শুরুর আগেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৯টি গাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩