Logo
শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী স্বপন কুমার হত্যা মামলায়

পিন্টু দেবনাথকে মৃত্যুদন্ডের রায় ও রত্না রাণী চক্রবর্তীকে যাবজ্জীবন সাজা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল ঃ


নারায়ণগঞ্জ নগরের আলোচিত ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহা ওরফে সাইদুল ইসলাম স্বপন হত্যা মামলায় স্বর্ণলংকার ব্যবসায়ী পিন্টু দেবনাথকে মৃত্যুদন্ডের রায় ও রত্না রাণী চক্রবর্তীকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে আদালত। দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক উম্মে সারাবান তহুরা এ রায় দেন। রায়ে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামীকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে আর অপর আসামী আব্দুল্লাহ আল মামুন মোল্লাকে খালাস দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামী আদালতে উপস্থিত ছিল।


অতিরিক্ত পিপি মাকসুদা আহম্মেদ জানান, নিহত স্বপন কুমার সাহা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে সাইদুল ইসলাম স্বপন নাম ধারণ করে মুসলিম নারী বিয়ে করেন। স্বপন ও পিন্টু তারা দুইজন বন্ধু ছিলেন। ২০১৬ থেকে থেকে নিখোঁজ থাকে স্বপন।২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে তাকে হত্যা পর মরদেহ সাত টুকরো করে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয় আসামিরা। ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই তিনজনকে অভিযুক্ত করে নিহতের বড় ভাই অজিত কুমার সাহা হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশি তদন্ত ও ষোল জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ প্রমানের ভিত্তিতে আদালত আজ পিন্টু দেবনাথকে মৃত্যুদন্ড ও রত্না রাণীকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে। মামলার অপর আাসামী  আব্দুল্লাহ আল মামুনকে খালাসের আদেশ দেন।

নারায়ণগঞ্জ নগরের স্বর্ণপট্টি এলাকায় জুয়েলারী ব্যবসায়ী প্রবীর হত্যা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে স্বপন হত্যা মামলার রহস্য। ঘাতক পিন্টু দেবনাথ কে এর আগে প্রবীর হত্যা মামলায়ও মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রত্না রাণী চক্রবর্তী ঘাতক পিন্টু দেবনাথের পরকীয়া প্রেমিকা ছিলেন।


আরও খবর

সংশোধনী আসছে কাবিননামায়

বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪




এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্রান্স রচনা প্রতিযোগীতায় সেরা হলেন ফাহিম-মেহেদী

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং বাংলাদেশ এএমআর রেসপন্স অ্যালায়েন্স (বারা) এর উদ্যোগে 'সেনিটাইজেশন ওয়ার্কশপ অন এএমআর উইথ স্টুডেন্টস ফর্ম ভেটেরিনারি অ্যান্ড মেডিকেল ইনস্টিটিউশন' অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উক্ত কর্মশালায় রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ের ভেটেরিনারি ও মেডিকেলের নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এতে মানবদেহে ও প্রাণীদেহে অনিরাপদ এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধ করার ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়। অনুষ্ঠানের পূর্বেই 'প্রিভেন্টিং  এন্ট্রিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্রান্ট টুগেদার ' রচনা প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। এতে ভেটেরিনারি ও মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। উক্ত প্রতিযোগীতায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের শিক্ষার্থী আসিফ আল ফাহিম প্রথম, মেহেদী হাসান দ্বিতীয় স্থান  অর্জন করেন।

পরবর্তীতে তাদের হাতে ক্রেস্ট প্রদান করেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান ও দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: এ. এফ. এম নূরউল্লাহ। এই কর্মশালায় এএএমআরও এএমইউ এর উপর কুইজ প্রতিযোগিতার ও আয়োজন করা হয় এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, বারা এবং এফএও সদস্যদের উপস্থিতিতে এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মশালার সমাপ্তি হয়।


রচনা প্রতিযোগীতায় প্রথম হওয়া শিক্ষার্থী আসিফ আল ফাহিম বলেন, এএমআর একটি মাল্টিসেক্টরাল সমস্যা যার জন্য প্রয়োজন মাল্টিসেক্টরাল সমন্বয়, তাই কর্মশালাটি ওয়ান হেলথ পদ্ধতি অনুসরণ করে ভবিষ্যতের প্রেসক্রাইবারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ডিজাইন করা হয়েছিল। ভবিষ্যৎ প্রেসক্রাইবার যারা এখন শিক্ষার্থী,  তাদের এই কর্মশালার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। যেহেতু তারা বারা পদ্ধতি অনুসরণ করে এন্টিবায়োটিকের দায়িত্বশীল ব্যবহার বাস্তবায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। শিক্ষার্থী এবং অনুষদ সদস্যরা অ্যাক্সেস, ওয়াচ, রিজার্ভ শ্রেণীকরণ পোস্টার এবং ব্যানার বিতরণের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণায় অংশগ্রহণ করবে।

প্রতিযোগীতায় দ্বিতীয় স্থান  অর্জন করা মেহেদী হাসান বলেন, এই মাল্টিসেক্টরাল সমস্যা এটা সমাধানের জন্য প্রয়োজন মাল্টিসেক্টরাল সমন্বয়। মানবদেহে এন্টিবায়োটিক এর রেজিস্ট্রান্ট যে হারে বাড়ছে তা আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিকে মৃত্যুর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। 

 ২০২২-২০২৩ সালে,  বাংলাদেশেই ২৫ হাজার মানুষ শুধুমাত্র এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্রান্ট এর কারনে মৃত্যুবরন করেছে। অর্থাৎ, এন্ট্রিবায়োটিকের মাত্রা এতো বেশী যে যখন এন্ট্রিবায়োটিক গ্রহন করলেও সেটা মানবদেহে কাজ করছে না। এসকল বিষয়ে সচেতনতামূলক কাজ করার জন্য  আমাদের সবার এগিয়ে আসতে হবে। 

অনিরাপদ এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, মানুষ ও প্রানী কোনো ক্ষেত্রেই রেজিস্টার্ড ডাক্তারে প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রয় করা এবং সেবন করা যাবে না।


আরও খবর



চাকরি পেলেন ১৮১ তরুণ-তরুণী, প্রশংসায় ভাসছেন নওগাঁর ডিসি ও এসপি

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

সরকারি চাকরি নামক সোনার হরিণ পেতে গেলে গুনতে হবে লাখ লাখ টাকা।এছাড়া লাগবে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত মামা-খালু বা আত্মীয়-স্বজনের সুপারিশ। সহায় সম্বল বিক্রি কিংবা সংসারের জমানো অর্থ দিয়ে কর্তা ব্যক্তিদের করতে হবে ম্যানেজ। কিন্তু এবার নওগাঁর লোকজনের মন থেকে পাল্টেছে এমন সব ধারনা। সম্প্রতি মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নওগাঁ জেলার রাজস্ব প্রশাসনে ১শ' ১৬ জন এবং পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন ৬৫ জন তরুণ ও তরুণী। কাজে আসেনি কোনোই যোগাযোগ বা কারো তদবির। হয়নি অর্থের লেনদেনও। আরো স্বচ্ছতার সাথে এসব নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নওগাঁ জেলা জুড়ে প্রশংসায় ভাসছেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা এবং নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক। নিয়োগে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন অনেক দরিদ্র পরিবারের স্বপ্নবাজ ছেলে-মেয়েরা। এসব নিয়োগে এমনিতেই নানা অনিয়মের খবর মুখরোচক হিসেবে সমাজে প্রচলিত রয়েছে। তবে স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ হবে তা ছিলো কল্পনাতীত।

নওগাঁ জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার রাজস্ব প্রশাসনে ১৫ ও ১৬ তম গ্রেডে ৯টি ক্যাটাগরিতে ড্রাফটসম্যান, নাজির কাম-ক্যাশিয়ার, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, সার্টিফিকেট পেশকার, সার্টিফিকেট সহকারী, ক্রেডিট চেকিং কাম সায়রাত সহকারী, মিউটেশন কাম সার্টিফিকেট সহকারী, ট্রেসার ও কার্যসহকারী পদে মোট ৩৭টি শূণ্য পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। এতে ৬ হাজার ৭শ' ৭২ জন চাকরি প্রার্থী আবেদন করেন। এরমধ্যে লিখিত পরীক্ষায় ৩ হাজার ৪২ জন অংশ গ্রহণ করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে উত্তীর্ণ হন ১শ' ৬ জন।

এরপর ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষে গত ১২ ও ১৩ মার্চ রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে মোট ৩৩ জনকে সাতটি ক্যাটাগরিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে দ্রুত সুপারিশ প্রাপ্তদের পদায়ন করা হবে। এতে ট্রেসার ও কার্যসহকারী পদে যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ৩টি পদে কাউকে সুপারিশ করা হয়নি। এছাড়াও ২০ তম গ্রেডে তিনটি ক্যাটাগরিতে অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মোট ৮৩টি পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে নিয়োগের জন্য ৮৩ জনকে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করে সংশ্লিষ্টরা। সুপারিশ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা, উপজেলা ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে পদায়ন করা হয়েছে। এদিকে, জেলার রাজস্ব প্রশাসনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর গত ৫ ফেব্রূয়ারি জেলা প্রশাসনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিষয়ে পোস্ট করেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক। মুহূর্তের মধ্যেই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে মন্তব্যের ঘরে জেলা প্রশাসনের প্রশংসায় মেতে ওঠেন অনেকেই। স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগের এ ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা নওগাঁবাসির। অপরদিকে, নওগাঁর পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় দু' হাজার ২শ' ৩১ জন প্রার্থী। প্রথম ধাপে শারীরিক, দ্বিতীয় ধাপে দৌঁড়, পুশআপ, লং ও হাই জাম্প এবং তৃতীয় ধাপে দৌঁড়, ড্রাগিং ও রোপ ক্লাইম্বিং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উর্ত্তীন হন ৫শ' ৪৫। গত ৬ মার্চ চর্তুথ ধাপে লিখিত পরীক্ষায় ২শ' ২০ জন উর্ত্তীণ হয়। যেখানে চূড়ান্ত ভাবে মৌখিক পরীক্ষায় ৬৫ জন নিয়োগের জন্য সুপারিশ প্রাপ্ত হয়।


নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁপানিয়া ইউনিয়নের চকতাতারু গ্রামের চা বিক্রেতার মেয়ে শ্রাবন্তী বানু তার অনুভূতি ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের বলেন, ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিলো পুলিশে চাকরি করার। বান্ধবিদের কথায় পুলিশের নিয়োগে ১২০ টাকা খরচ করে আবেদন করেছিলাম। যে দোকান থেকে আবেদন করেছিলাম, অনেকেই বলেছিল এসব নিয়োগে অনেক টাকা লাগে। এতে মন ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু তারপরও মনোবল হারাইনি। অবশেষে সব পরীক্ষায় সফলতার সাথে উর্ত্তীণ হয়ে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছি। না কারো সুপারিশের দরকার হয়েছে, না কোনো টাকা লেগেছে। শ্রাবন্তীর মতো অনেক দরিদ্র পরিবারের স্বপ্নবাজ ছেলে-মেয়ের নাম পুলিশ ও জেলার রাজস্ব প্রশাসনে নিয়োগ প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেয়েছে। যারা আসলে কল্পনা করতে পারেনি এতো সহজে নিয়োগ হবে। সরকারি নিয়োগে এমনিতেই নানা অনিয়মের খবর মুখরোচক হিসেবে সমাজে প্রচলিত রয়েছে। তবে স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ হবে তা ছিলো কল্পনাতীত। অনেকের কাছে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বপ্নের মতো।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক বলেন, নিয়োগে কিছু কিছু বিতর্ক থাকায় অনেক বড় চ্যালেঞ্জিং ছিল। যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা সবাই নিজেদের যোগ্যতা ও মেধায় উত্তীর্ণ হয়েছে। সে জায়গা থেকে স্বচ্ছতার সহিত আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পেরেছি। এখানে কোনো যোগাযোগ ও অর্থের লেনদেন হয়নি। জানতে চাইলে নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা বলেন, নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর থেকেই আমি প্রচার করেছি, শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ দেওয়া হবে। কেউ যেনো প্রতারণার শিকার না হয়। অযথা তদবিরের পেছনে না ছুটে, সবাইকে লেখাপড়া করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমি আমার কথা রেখেছি। কোনো অনিয়ম হতে দেইনি। কারও তদবির শুনিনাই। শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সামনে আরও একটা নিয়োগ আছে। সেটাও একইভাবে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে দেওয়া হবে বলে ও নিশ্চিত করেন তিনি।


আরও খবর



আগামী বছর থেকে শনিবার স্কুল খোলা রাখার ইঙ্গিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রমজানের ছুটি সমন্বয় করতে আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে শনিবার স্কুল খোলা রাখা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব মতের মানুষের বিশ্বাস ও চিন্তা-চেতনার প্রতি সম্মান রেখে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ সব বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে মন্ত্রণালয়।

এ বছর রমজানে স্কুল ছুটির আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল মন্ত্রণালয়। রমজানের আগের দিন তারা আপিল করে বসে। সোমবার বিকেলের দিকে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি হয়। শুনানিতে স্কুল খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা এএম আমিন উদ্দিন।

এ সময় চেম্বার বিচারপতি প্রশ্ন রাখেন, এই কদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকলে কী এমন অসুবিধা হবে? পরে উচ্চ আদালতের আদেশ স্থগিত না করে মঙ্গলবার আপিল বিভাগে শুনানির দিন ধার্য করা হয়। পরে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।

 


আরও খবর



দেশজুড়ে তীব্র লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ভেস্তে গেল বিদ্যুৎ বিভাগের সব পরিকল্পনাই। গ্রাম থেকে নগর- সবখানেই লোডশেডিং চরমে। গরমে সর্বোচ্চ চাহিদা দাঁড়াতে পারে প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট, এমন পূর্বাভাস থাকলেও ১৫ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা মেটাতেই হিমশিম অবস্থা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সামনে দিনগুলোতে আরও তীব্র হতে পারে পরিস্থিতি।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দিনে কয়েকবার লোডশেডিং সইতে হচ্ছে নগরবাসীকে। তবে শহরের পরিস্থিতি যাই হোক, গ্রামের চিত্র আরও নাজুক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে অনেক এলাকার মানুষকে।

চলতি মৌসুমে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা প্রাক্কলন করা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট, কিন্তু এখন পর্যন্ত চাহিদা ১৫ হাজার মেগাওয়াটের ঘরে উঠতেই ঘাটতি ছাড়িয়েছে দুই হাজার মেগাওয়াট।

এবারের গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ বিভাগের বড় নির্ভরতার জায়গায় রাখা হয়েছিল, গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলোকে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনে দৈনিক ন্যূনতম ১৫৪ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও মিলছে মাত্র এর দুই-তৃতীয়াংশ। আবার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ৪ হাজার মেগাওয়াট বেশি রাখার লক্ষ্য থাকলেও এখনো আটকে আছে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াটের নিচে।

বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যমতে, জ্বালানি সংকটে ধুঁকছে ৬০টির বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র, আর কারিগরি ত্রুটি ও রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বন্ধ আছে ৩০টির বেশি কেন্দ্র। এতে সক্ষমতা থাকার পরও উৎপাদন করা যাচ্ছে না সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আমদানি নির্ভর পরিকল্পনার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবেই প্রকট হচ্ছে লোডশেডিং। শঙ্কা রয়েছে সংকট আরও তীব্র হওয়ার।

কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, বর্তমানে বিদ্যুতের যে পরিস্থিতি, সেটা কদিনে আসেনি। নানা ধরনের ভুল, বিভ্রান্তি, অপরিকল্পনা, অদূরদর্শিতা থেকে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমদানি করার মতো ডলারও নেই। কাজেই যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেটা আরও প্রকট হবে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের কথা বলছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, ১২ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে তারা যেতে পারছে না। এই যে বিরাট একটা গ্যাপ, এই গ্যাপটা তো সহজে তারা কভার করতে পারবে না। ডলারের যে সংকট, এ অবস্থায় আমরা একেবারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারবো না।

তবে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানাচ্ছে, দিনকয়েকের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণ শেষে সামিটের ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল আবারও সচল হলে বাড়বে গ্যাস সরবরাহ, আর তাতে স্বস্তি মিলবে বিদ্যুতেও।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




পদ্মা সেতুতে একদিনে ৫ কোটি টাকা টোল আদায়

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শাহ আলম ইসলাম নিতুল: একদিনে টোল আদায়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতু। গতকাল মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) পদ্মা সেতু দিয়ে ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা। এটি পদ্মা সেতুতে ১ দিনে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ টোল আদায় বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এদিন সেতুর মাওয়া প্রান্ত হয়ে ৩০ হাজার ৩৩০টি ও জাজিরা প্রান্ত হয়ে ১৪ হাজার ৮৭৪টি যানবাহন সেতু পারাপার করে। এতে মাওয়া প্রান্তে ইটিসিএস, ক্রেডিটসহ আয় হয় ২ কোটি ৭৬ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০ টাকা। আর জাজিরা প্রান্তের আয় ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৪০০ টাকা।

আমিরুল হায়দারের দেওয়া তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুই প্রান্ত মিলিয়ে মোট টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখ ৪৫০ টাকা। এ সময় শুধু মাওয়া প্রান্তে টোল আদায় হয় ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

এর আগে, গত ৮ এপ্রিল ২৪ ঘন্টায় টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫০ টাকা। রোববার (৭ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে এই টোল আদায় হয়।

রেকর্ড অনুযায়ী, এর আগে পদ্মাসেতুর সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছিল গতবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২৭ জুন। সেদিন সেতু দিয়ে ৪৩ হাজার ১৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা। যা বর্তমানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সেতুতে তৃতীয় সর্বোচ্চ টোল আদায়ের পরিমান ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা। যা আদায় হয়েছিল গতবছরের ৮ জুলাই।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ জুন ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের ২৩ জেলার সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। পরের দিন ২৬ জুন থেকে যানবাহন পারাপারের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়। সেদিন পদ্মা সেতু দিয়ে মোট ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পাড়ি দেয়। এ পর্যন্ত এটাই পদ্মা সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপারের রেকর্ড।


আরও খবর