Logo
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট্রের অর্থ শিক্ষকদের মোবাইলে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৬০৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির তালিকায় থাকা তিন শিক্ষার্থীর টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে ঐ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী দু' শিক্ষকের মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়েছে। গত ২০২২ সালের জুন ও ডিসেম্বর মাসে দুই কিস্তির টাকা আসে তাদের মোবাইলে। এঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা ও আঃ মান্নান নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন, নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ দায়েরের পর ঘটনাটি গোপন রাখতে দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ২৪শ' টাকা করে আর এক অভিভাবক কে ১২ হাজার টাকা দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়গেছে, প্রধান শিক্ষক মোঃ বেনজীর আহমেদ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গরীব দুঃস্থ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট্রের টাকা তার নিজের ও অন্যান্য শিক্ষকদের মোবাইল একাউন্ট ব্যবহার করে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করেন। উপবৃত্তির তালিকায় থাকা ৬ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী স্থানীয় ইউনুস আলীর ছেলে আরশাত এর অভিভাবকের নাম্বারের স্থানে সহকারী মৌলভী নুরনবীর মোবাইল নাম্বার। একই শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুনিল উরাও এর ছেলে সুজান উরাও এর টাকা আসে সহকারী শিক্ষক (কৃষি) দেলোয়ার হোসেন এর মোবাইল নাম্বারে এবং ঐ শ্রেণীর আরো এক শিক্ষার্থী শুকরা উরাও এর মেয়ে ঝরনা উরাও এর টাকা আসে প্রধান শিক্ষক বেনজির আহমেদ এর নাম্বারে। তারা এই টাকাগুলো উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।


অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঐ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেন, প্রথমে আমরা জানতাম না আমাদের সন্তানদের নামে উপবৃত্তি হয়েছে এবং তাদের নামে প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের টাকা আসছে। তারা গত বছরের টাকা তুলেছেন। এটা জানার পর আমরা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ দায়ের এর ৫মাস পরে গত শুক্রবার প্রধান শিক্ষক বাড়িতে এসে টাকা দেন এবং এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলতে নিষেধ করেন। এর মধ্যে শিক্ষার্থী আরশাতের বাবা ইউনুস আলী বলেন, অভিযোগের পর আমাকে টাকা দিতে চাইলেও আমি নেইনি। পরে রাতে প্রধান শিক্ষক আমার বাড়িতে গিয়ে আমার ছেলে ও ছেলের মাকে অনেক বুঝিয়ে ১২ হাজার টাকা দিয়ে এসেছেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, অফিস থেকে আমার নাম্বার দেয়। পরবর্তীতে টাকা এলে শিক্ষার্থীদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানতে চাইলে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক নুরনবী এবিষয়ে কোন মন্তব্য না করে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলতে বলে ফোন কেটে দেন।

এব্যাপারে জানার জন্য প্রধান শিক্ষক বেনজির আহমেদ এর মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও সেটি বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান।


আরও খবর



নওগাঁয় রাস্তা বন্ধ করায় ১৫ টি পরিবার দূর্ভোগের শিকার

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৪১৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁর পঞ্চাশ বছরের পুরাতন গ্রামীণ রাস্তা বেড়া দিয়ে বন্ধ করার অভিযোগ করা হয়েছে। ফলে কমপক্ষে ১৫টি পরিবারের ধানের গাড়ী নিয়ে যেতে বিড়ম্বনা   ''চরম দূর্ভোগে''' পড়েছেন। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বকাপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ছয়েফ উদ্দিন সরদারের ছেলে বকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক প্রতিবন্ধী রুহুল আমিন রতন, মৃত তাছির উদ্দিনের ছেলে বৃদ্ধ আজিজুল ইসলাম, সুজন হোসেন, সেকেন্দার আলী, হামিদুর রহমান, এজদুল ইসলাম, খোকা, জাহের উদ্দিন প্রমুখ অভিযোগ করেন যে, বকাপুর সরদার পাড়া পাকা রাস্তা থেকে পূর্বপাড়ায় আসার জন্য পঞ্চাশ বছর আগে থেকে একটি গরুর গাড়ী চলার রাস্তা ছিল। পূর্বপাড়ার ১৫টি পরিবারের জমি থেকে ধান আনা নেয়ার কাজে এই রাস্তা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ১৯৯২ সালে জমির মালিকেরা রাস্তায় গর্ত খুঁড়ে গাড়ী চলাচল বন্ধ করে দেন। পূর্বপাড়ার বাসিন্দারা এর প্রতিবাদ জানান। এরমধ্যে প্রতিবন্ধী শিক্ষক রুহুল আমিন রতনের বাবা প্রতিবাদ করতে গিয়ে স্ট্রোক করেন। দু’সপ্তাহ ভূগে তিনি মারা যান। এরপর গ্রামের লোকেরা ওই গর্ত পূরণ করে আবার রাস্তা বের করেন তারা। 

সম্প্রতি এই রাস্তায় আবার বাঁশ- কাবারির বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে পূর্বপাড়ার বাসিন্দারা দারুণ বেকায়দায় পড়েছেন। অবিলম্বে তারা বেড়া অপসারণ করে আবারও রাস্তাটি খুলে দেয়ার দাবি জানান।

শনিবার (৩ জুন) বিকেলে সরেজমিনে ওই গ্রামে গেলে শিক্ষক রুহুল আমিন রতন কান্নাজড়িত কন্ঠে তার বাবার মৃত্যুর কথা স্মরণ করে রাস্তাটি আবার খুলে দেয়ার দাবি জানান। ওই গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ আজিজুল হক জানান, পঞ্চাশ বছর ধরে তারা এই রাস্তা ব্যবহার করছেন। এখন এটা বন্ধ করে দিলে ভবিষ্যতে তাদের সন্তানেরা ঘরে ধান তোলার রাস্তা পাবেনা। তিনিও রাস্তাটি খুলে দেয়ার দাবি জানান।

জানতে চাইলে ওই জমির মালিক জাহাঙ্গীরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারি অধ্যাপক মাহফুজুল আহসান জুয়েল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, তার ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে তিনি বেড়া দিয়েছেন। তার পূর্বপুরুষেরা ওই জমির উপর দিয়ে রাস্তা দিলেও তিনি দিবেন কিনা সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

স্থানীয়রা যেকোন মূল্যে ওই রাস্তা খুলে দেয়ার দাবি জানান।


আরও খবর



দুই বছর সাজাভোগ করে দেশে ফিরল ১০ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

দুই বছর সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলো ১০ বাংলাদেশি যুবক। ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তারা দেশে ফেরেন। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

ফেরত আসারা হলেন, আরিফ মোল্লা (২৭), কোরবান আলী (৩৫), পান্নু মোল্লা (৩৮), সোলাইমান (৩০), শরিফ (২৪), সাইফুল ইসলাম (২৪), ইয়াছিন শেখ (২৪), নজিবুল ইসলাম (২২), সুমন্ত মন্ডল (২৩) ও সোহেল হাওলাদার (২৬)। ফেরত আসাদের বাড়ি রাজবাড়ি, বগুড়া, নড়াইল, গোপালগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা ১০ বাংলাদেশিকে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে জাস্টিক এন্ড কেয়ার নামের একটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।

জাস্টিক এন্ড কেয়ারের ফিল্ড অফিসার রোকেয়া পারভিন বলেন, ফেরত আসারা ভালো কাজের আশায় ভারতের চেন্নাই শহরে গিয়েছিল। সেখানে বিভিন্ন পেশায় কাজ করার সময় তারা সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হয়। পুলিশ তাদের আদালতে পাঠালে আদালত তাদের দুই বছরের সাজা দেন। সেখান থেকে ত্রিজি নামের একটি এনজিও সংস্থা ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। বৃহস্পতিবার বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফিরেছে তারা। তাদের যশোরে নিয়ে পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হবে।


আরও খবর



যে নিয়ম মানলে চুল পড়া বন্ধ হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৫১জন দেখেছেন

Image

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরে পরিবর্তন আসে। স্বাস্থ্য, ত্বক এবং চুলেও এর প্রভাব পড়ে। অনেকের ক্ষেত্রে বয়স মাত্র ত্রিশ পার হলেই দেখা দেয় বলিরেখা, টাক পড়ার মতো সমস্যা। তাই বয়স ত্রিশ পার হওয়ার আগেই ত্বক ও চুলের প্রতি যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এসময় থেকে যত্ন না নিলে চুল পাতলা হতে শুরু করে। এমনকী অনেকের ক্ষেত্রে দেখা দেয় টাক পড়ার সমস্যাও। মাথায় টাক পড়ার সমস্যা এড়াতে মেনে চলুন এই ৫ নিয়ম :

খাবার খেতে হবে বুঝেশুনে

বাইরের খাবার যতই এড়িয়ে চলতে চান, তবু নানা কারণে সপ্তাহে অন্তত দুই-একবার খেতেই হয়। বলা বাহুল্য, বাইরের বেশিরভাগ খাবারই অস্বাস্থ্যকর। আর এ ধরনের খাবার খেতে ভালোলাগে ঠিকই, খাওয়ার পরে শরীরে এর প্রভাব পড়ে মারাত্মক। তাই বাইরে খাবার খাওয়া যদি একান্তই এড়াতে না পারেন, তবে সতর্ক হোন। অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর খাবার খান। প্রতিদিনের খাবারে প্রচুর শাক-সবজি, ফল, শস্য, পানি ইত্যাদি যোগ করুন।

পানির ঘাটতি পূরণ করুন

চুল এবং ত্বক ভালো রাখার জন্য নিয়মিত পানি পান করা জরুরি। শরীরের ভেতরে যেন পানির ঘাটতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ত্বক ভালো রাখার পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই পানি। তাই পানি এবং তরল খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। সেইসঙ্গে ব্যবহার করতে হবে সঠিক হেয়ার প্রোডাক্ট। নিয়মিত চুলে তেল ব্যবহার করতে হবে। দিন অন্তত আড়াই লিটার পানি পান করতে হবে।

প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার

চুলের যত্নের জন্য কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট নয়, ব্যবহার করুন প্রাকৃতিক উপাদান। এতে আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো হবে, বাড়বে উজ্জ্বলতাও। বাড়িতে থাকা নানা উপকারী উপাদান দিয়েই চুলের পরিচর্যা করা সম্ভব। প্রাকৃতিক বলে সেসব উপাদানে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে না। তাই চুল ভালো রাখার জন্য বেছে নিন প্রাকৃতিক উপাদান।

দুশ্চিন্তা দূরে রাখুন

বয়স ত্রিশ পার হলে অনেক রকম দায়িত্ব চলে আসে। সেসব পালন করতে গিয়ে বাড়তে থাকে দুশ্চিন্তাও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ে। তার প্রতিফলন দেখা যায় আমাদের চুলেও। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে হবে।

নিয়মিত শরীরচর্চা করুন

আমাদের হেয়ার ফলিকলে যদি প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান থাকে এবং অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিক থাকে তবে চুল ভালো রাখা সহজ হয়। চুলের ঘনত্বও বাড়ে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা করার অভ্যাস করুন। এতে শরীরের প্রতিটি অংশে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিকভাবে হয়। যে কারণে হেয়ার ফলিকলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায়। তাই চুলের বৃদ্ধি ঠিকভাবে হয়।

তথ্য : রিমিস ড্রিম


আরও খবর

খালি পেটে গ্রিন টি নয়

রবিবার ২১ মে ২০২৩




কাজী রাইয়ানকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৩০ লাখ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৪০০জন দেখেছেন

Image

নুরুল্লাহ খান শাজাহান, নিজস্ব প্রতিনিধি:

লিকুমিয়া ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ৫ বছরের শিশু কাজী রাইয়ান আহমেদ রূপ। তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজন যা পরিবার এবং সাংবাদিক পিতার পক্ষে মেটানো অসম্ভব। সুস্থভাবে সকলের মাঝে ফিরিয়ে আনতে সকলের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।

কাজী রাইয়ান আহমেদ রূপ ঢাকার দোহার উপজেলার ঘাটা গ্রামের সাংবাদিক কাজী জোবায়ের আহমেদ ও রাশেদা আক্তার দম্পত্তির ছেলে।

জানা যায়, ২০১৯ সালে মাত্র ১১ মাস বয়সে প্রথম লিকুমিয়া (all) ব্লাড ক্যান্সার ধরা পরে রূপের। এর দীর্ঘ ৪ বছর চিকিৎসায় অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠে সে। তবে ছেলেকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্বপ্রায় রূপের বাবা। হঠাৎ গতমাসে আবারো গুরুতর অসুস্থ হলে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রূপকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি হতে থাকে শিশুটির। বর্তমান রুপ বিএসএমএমইউ হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা: এ টি এম আতিকুর রহমান তত্বাবধানে রয়েছে রূপ।

প্রফেসর ডা: এ টি এম আতিকুর রহমান জানান, বর্তমানে রূপের অবস্থা আশংকাজনক। তার লিভার ও স্প্রিন্ট বড় হয়ে গেছে। এছাড়া সে নিউমনিয়ায় আক্রান্ত, পাশাপাশি রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ছে না।

ডাক্তার আরো জানান, রূপের বনমেরু পরিবর্তন করা গেলে ৮০% সুস্থ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে এ চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। ভারতে নিয়ে করতে খরচ হবে প্রায় ৩০ লাখ টাকা।

রূপের সাংবাদিক পিতার পক্ষে এ টাকা ব্যয় করা সম্ভব নয়। এ অবস্থা ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান, দানশীল মানুষের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছে অসহায় পরিবারটি। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের সুদৃষ্টি কামনা করেন পরিবারটি।

যোগাযোগের ঠিকানা: ০১৭১৬৫৫৯১৯০ (বিকাশ), রূপের বাবা সাংবাদিক কাজী জোবায়ের আহমেদ

মো. জোবায়ের আহমেদ

একাউন্ট নাম্বার: ০০১২১০০০৩১১৪৭

সাউথইস্ট ব্যাক, জয়পাড়া শাখা, দোহার


আরও খবর



ধামরাইয়ে থুথু ফেলাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষে আহত ৭

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | ৮২জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন ( স্টাফ রিপোর্টার) :

ঢাকার ধামরাইয়ে থুথু ফেলাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষ হয়েছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছে ৭ জন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই সরকারি হাসপাতালের নিয়ে গেলে কর্তব্য চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশংকাজনক দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে রের্ফাড করেন। আজ শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে পৌর শহরের লাকুরিয়া পাড়া মহল্লায়।এঘটনায় নাজমা বেগম বাদি হয়ে ধামরাই থানায় একটা মামলা করেছেন। 

জানা গেছে, ধামরাই পৌর মহল্লার লাকুরিয়া পাড়ার কোরবান আলীর ছেলে নাছির উদ্দিন একই মহল্লার আশিকুর রহমানের বাড়ির সামনে থুথু ফেলে। এসময় নাছির কেন থুথু ফেলও বলেই চরথাপ্পর শুরু করে আশিকুর রহমান। এখবর শুনে নাছিরের মা নাজমা বেগম ও ছোট ভাই নাজমুলসহ তাদের স্ত্রীররা এগিয়ে আসলে নাছিরসহ ৭ জনকে লোহার রট ও রাম দাঁ দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ধামরাই সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তাদের মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত থাকায় কর্তব্য চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। আহতদের মধ্যে নাছির ও নাজমুলের অবস্থা আশংকা জনক বলে জানা গেছে। 

এঘটনায় নাছির উদ্দিনের মা নাজমা বেগম বাদি হয়ে আশিকুর রহমান (৪৫),নিরব হোসেনসহ (২৪),আলভী হোসেনকে (২০) আসামী করে ধামরাই থানায় মামলা করেছেন 

পুলিশ আজ শুক্রবার সকালে এক নং আসামী আশিকুর রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন। 

মামলার বাদি নাজমা বেগম বলেন, আমার ছেলে থুথু ফেলাকে আসামীরা আমার দুই ছেলেসহ আমাদের হত্যার উদ্দেশ্য পিটিয়েছে। আমি তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি।

ধামরাই থানার ওসি অপারেশন নির্মল কুমার দাস বলেন,আমি বাহিরে রয়েছে থানায় গিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।


আরও খবর