Logo
শিরোনাম

প্রেমে পড়েছেন পরীমনি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

এক প্রেমে জীবন যাবে এমন কোনো কথা আছে, এই জীবনে বারেবারে নত হবো প্রেমের কাছে।’ কবির কথা সত্যি হয়ে ধরা দিচ্ছে পরীমনির বেলায়। ফের প্রেমে পড়েছেন ঢালিউড লাস্যময়ী। সামাজিকমাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন বিষয়টি।

ফেসবুকে পরীমনি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। যেখানে দেখা গেছে, গাড়ির জানালায় আধো আলোয় আধো আঁধারে আলিঙ্গনে মেতে উঠেছে দুটি হাত। ক্যাপশনে নায়িকা লিখেছেন, ‘ইয়েস আই অ্যাম ইন লাভ অ্যাগেইন’। যার বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘হ্যা আমি আবার প্রেমে পড়েছি।’

নায়িকার এমন পোস্ট দেখে মন্তব্যের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন অনুসারীরা। কেউ অভিনন্দন জানিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, ভালোবাসা সুন্দর। আবার কেউ করেছেন সতর্ক। তবে সেসবের কোনো জবাব দেননি অভিনেত্রী। একই সঙ্গে কার প্রেমে পড়লেন, সে বিষয়েও বলেননি কিছু।

গেল ৮ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছে পরীমনি অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন মোস্তাফিজ ইমরান নূর। থ্রিলার ঘরানার গল্পে নির্মিত এ সিরিজে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর ভূমিকায় দেখা গেছে পরীমনিকে। সিরিজটি বানিয়েছেন অনম বিশ্বাস।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে, খেজুরের গুঁড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, (কুড়িগ্রাম) 

বাংলার সংস্কৃতি বৈচিত্র্যময় পিঠা পায়েস এর কথা উঠতেই বাংলা মুলকে পৌষ কথা মনে আসে।পৌষের শীতে জমে উঠে পিঠা পুলি তৈরির আয়োজন,বিশেষ করে বাঙালিদের এই আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় পৌষ সংক্রান্তিতে,পৌষ সংক্রান্তি আবহমান বাংলার এক চিরায়ত সংস্কৃতি। পিঠা উৎসবের সঙ্গে এর ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র রয়েছে,এর আরেক নাম মকরক্রান্তি পৌষ মাসের শেষ দিকে এই সংক্রান্তি পালন করা হয়।বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটি পিঠা উৎসবে পরিণত হয়।

শীত কাল আসলেই খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে পিঠা পায়েস খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। তারপর পৌষের শেষ দিকে বাঙালি সংস্কৃতি ঐতিহ্য পৌষ সংক্রান্তি কে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস ও রসের গুঁড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খেজুর গাছিরা।এদিকে সংক্রান্তির দিনও ঘনিয়ে আসছে শীতের তীব্রতাও বেশি হচ্ছে রস ও গুড়ের চাহিদা ততই বেড়েই চলছে।


পৌষের এই কনকনে শীতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,প্রায় পরিবার গুলোতে খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে নানা রকমের পিঠা পুলি,পায়েস, ক্ষীর তৈরির এক রকম ধুম পড়ে গেছে। আবার কেউ কেউ পৌষ সংক্রান্তিতে সামনে রেখে নতুন করে পিঠা পুলি তৈরির উপকরণ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।এই কারণে বর্তমান সময়ে খেজুর রস ও গুড়ের চাহিদা বেড়েই চলছে। এদিকে পৌষ সংক্রান্তি কে সামনে রেখে রস ও গুড়ের চাহিদা বাড়ায় শীতের তীব্রতা কে উপেক্ষা করে খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন অঞ্চলের খেজুর গাছিরা।

দেখা গেছে খেজুর রস সংগ্রহকারী গাছিরা প্রতিদিনই গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার খেজুর গাছ গুলোতে ধারালো কাস্তে দিয়ে (চেঁচিয়ে) যেটাকে গ্রামের ভাষায় বলে,গাছ কাম দেওয়া বা পরিস্কার করা সেটি করে রস নামানোর জন্য একটি নল বসিয়ে দিয়ে ঠিক দুপুরের দিকে রস সংগ্রহের জন্য সেখানে বেঁধে দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রকার হাঁড়ি,পাতিল,কলস প্লাস্টিকের জেরিকেন ইত্যাদি। রসের পাত্র গুলোর মুখে সুন্দর করে বেঁধে দেওয়া হতো নেট, কাপড় বা পলিথিন যাতে কোন ময়লা বা পাখপাখালির মলমূত্র রসের পাত্রের ভীতরে ঢুকতে না পারে।পরে দিন সাত সকালে খেজুর গাছ থেকে নামানো হয় রসে ভরা পাত্র গুলি।এভাবে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেছেন গাছিরা,এই সুস্বাদু রস বিক্রির পাশাপাশি রসের তৈরি পাঁঠালি গুঁড় বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করে আর্থিক চাহিদা মেটাচ্ছেন গাছিরা।


উপজেলার নাও ডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষা ফেরুষা গ্রামের খেজুর গাছি, মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেন, এবারে খেজুরের রসের চেয়ে গুড়ের চাহিদা বেশি যেটা তরল গুঁড় প্রতি কেজি ২৫০ টাকা আর পাঁঠালি গুঁড় ২৬০ টাকা ধরে বিক্রি করছি। আমি সবসময় ভালো মানের গুঁড় তৈরি করে থাকি। তিনি আরও বলেন, এবছর ৮০ টি খেজুর গাছ এভাবে কন্টাক্ট নিয়েছি যে গাছের প্রকারভেদে গাছ প্রতি দুই, আড়াই, সর্বোচ্চ তিন কেজি গুঁড় দেওয়া লাগবে। তিন দিন পর পর ৪০টি গাছের রস সংগ্রহ করে জাল দিয়ে গুঁড় তৈরি করি। আশাকরি গাছের মালিক খড়ের দাম সহ সবকিছু মিটিয়ে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভবান হবো। ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কুটি চন্দ্র খানা গ্রামের হারান গাছি জানান, আমার নিজের কয়েকটি গাছ সহ এবারে ৪০টি খেজুর গাছ লিজ নিয়েছি মালিক ও খড়ের খরচ মিটিয়ে গুঁড় বিক্রি করে ৩০/৪০ হাজার টাকা কামাই হবে আর কি।

কুরুষা ফেরুষা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ও চওড়া বাড়ি এলাকার অতুল চন্দ্র রায় কুটি চন্দ্র খানা গ্রামের সোহেল মাষ্টার জানান, হেমন্ত, শীত ও বসন্তের পাঁচ মাস পর্যন্ত খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়।এসময় এটি খুব সুস্বাদু খাবার, বিশেষ করে সামনে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে বাঙালি সংস্কৃতি ঐতিহ্যবাহী খাবার হচ্ছে খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে গ্রামীণ বিভিন্ন ধরনের পিঠা পুলি, পায়েস, পাটিসাপটা, ক্ষীর ইত্যাদি। গ্রামীণ পুরাতন রেওয়াজ অনুযায়ী পৌষ সংক্রান্তিতে এইসব পিঠা পুলি পায়েস খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ বা দাওয়াত করা হয় নতুন পুরাতন জামাই সহ আত্নীয় স্বজনদের। সত্যি পৌষের শীতে এটি একটি মজাদার খাবার, যার কারণে এই সময়টাতে রস ও গুড়ের চাহিদা একটু বেশি।

শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের খেজুর গুড় ক্রেতা রবীন্দ্রনাথ মোহন্ত জানান, আমার জানামতে রেজাউল গাছি ভাইয়ের খেজুর গুড়ে কোন ভ্যাজাল নাই,খাবার উৎকৃষ্ট সুস্বাদু বটে।তারপর সামনে আসছে বাঙালি বাংলা সংস্কৃতির ঐতিহ্য পৌষ সংক্রান্তি এই দিনটি কে আমরা পিঠা উৎসব হিসেবে উপভোগ করি ওই দিনে আমার বাড়িতে সবার পছন্দ খেজুর গুড়ের তৈরি পিঠা পুলি পায়েস পাটিসাপটা ক্ষীর, অনেক আত্নীয় স্বজনদের দাওয়াত করতে হবে সেই উপলক্ষে রেজাউল গাছি ভাইয়ের নিকট থেকে পনের কেজি খেজুর গুড় ক্রয় করলাম। তিনি আরও বলেন, এলাকায় যেভাবে খেজুর গাছ কমে যাচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে গ্রামীণ এই ঐতিহ্যবাহী খাবার একদিন না বিলীন হয়ে যায়। যাতে এটিকে রক্ষা করা যায় সেই কারণে  সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে খেজুর গাছ উৎপাদন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। তা নাহলে গ্রামীণ ঐতিহ্য খেজুরের রস গুড় একদিন বিলীন হয়ে যাবে।


আরও খবর



দ্রুতই অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পর্যালোচনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কী পয়েন্ট ইনস্টলেশন-কেপিআই) সচিবালয়ের নিরাপত্তা বিবেচনায় অন‍্যান‍্য সব বেসরকারি পাসের পাশাপাশি বর্তমান অ‍্যাক্রিডিটেশন কার্ড নিয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশও সীমিত করা হয়েছে।

তবে সরকার শিগগিরই বিদ্যমান প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডগুলো পর্যালোচনা করবে। এছাড়া নতুন অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু করার জন্য তথ‍্য অধিদফতরের (পিআইডি) মাধ্যমে সব স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করা হবে বলেও জানান তিনি।

ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া পোস্টে এসব কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।

পোস্টে উল্লেখ করা হয়, এই সময়ে যেকোনও ইভেন্টের জন্য সাংবাদিকরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিত অস্থায়ী অ্যাক্সেস কার্ড পাবেন।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য সরকার আন্তরিকভাবে দুঃখিত উল্লেখ করে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন শফিকুল আলম।


আরও খবর



নিজের বিরুদ্ধে তদন্ত চাইলেন টিউলিপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক নিজের বিষয়ে মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ড ওয়াচডগে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া একাধিক ফ্ল্যাটে বসবাস করেছেন– এমন অভিযোগ ওঠার পর এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার লাউরি ম্যাগনাসের কাছে লেখা এক চিঠিতে টিউলিপ মন্ত্রিত্বের কোনো বিধি লঙ্ঘন করেছেন কি না সে বিষয়ে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

চিঠিতে টিউলিপ লিখেছেন, গত কয়েক সপ্তাহে আমি গণমাধ্যমের বিষয়বস্তু হয়েছি, যার অনেক কিছুই সঠিক নয়। যেখানে আমার আর্থিক ও আমার পরিবারের বাংলাদেশের সাবেক সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উঠে এসেছে।

আমি একদম স্পষ্ট যে আমি কিছু ভুল করিনি। যাইহোক, সন্দেহ এড়ানোর জন্য আমি চাই আপনি স্বাধীনভাবে এগুলো নিয়ে সত্য প্রতিষ্ঠা করবেন।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে লন্ডনের কিং’স ক্রস এলাকায় অবস্থিত ২ শয্যাকক্ষের একটি ফ্ল্যাট ২০০৪ সালে টিউলিপ সিদ্দিককে আবদুল মোতালিফ নামের এক ডেভেলপার উপহার দিয়েছিলেন বলে জানানো হয়। মোতালিফ বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী এবং টিউলিপের খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৯৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা) দিয়ে ২০০১ সালের জানুয়ারিতে ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন আবদুল মোতালিফ। বেশ সস্তাতেই পেয়েছিলেন তিনি, কারণ একই বছর আগস্ট মাসে সেই ফ্ল্যাটটির পার্শ্ববর্তী আরেকটি ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা)।

যুক্তরাজ্যের ইলেক্টোরাল রোল ডেটার তথ্য বলছে, ২০০৪ সালে উপহার হিসেবে পাওয়ার পর কিং’স ক্রসের সেই ফ্ল্যাটটিতে কয়েক বছর ছিলেন টিউলিপ। এরপর তার অন্য ভাই-বোনরা ছিলেন আরও বেশ কয়েক বছর। বর্তমানে ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছেন টিউলিপ। সেখান থেকে বাৎসরিক ৯০ হাজার পাউন্ড (১ কোটি ৩৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা) উপার্জন হচ্ছে তার।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ পর্যন্ত লেবার পার্টির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাজ্য শাখার ‘লবিং ইউনিট অ্যান্ড ইলেকশন স্ট্র্যাটেজি টিম’-এ সংশ্লিষ্ট ছিলেন তিনি। তার নির্বাচনে জয়ের ক্ষেত্রেও এ সংশ্লিষ্টতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

তবে কোনও নির্বাচনী হলফনামায় ফ্ল্যাটটির বিষয়ে উল্লেখ করেননি টিউলিপ। হলফ নামায় তিনি যুক্তরাজ্যের হাইগেট এবং হ্যাম্পস্টেড এলাকার ফ্ল্যাটের ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন। ৭০ বছর বয়সী আবদুল মোতালিফ বর্তমানে পূর্ব লন্ডনে মুজিবুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে থাকেন। মুজিবুল ইসলাম আওয়ামী লীগের একজন সাবেক এমপির সন্তান।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। মুজিবুল ইসলাম স্বীকার করেছেন, তিনি ফ্ল্যাটটি ২০০১ সালে কিনেছিলেন। কিন্তু আর কোনও তথ্য জানাননি তিনি।

লন্ডনের ভূমি রেজিস্ট্রি রেকর্ডে দেখা যায়, ২০০৪ সালের নভেম্বরে তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটটির একক মালিক হন টিউলিপ সিদ্দিক। আর তখন তিনি কেবল লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেছিলেন এবং তার কোনও উপার্জন ছিল না। ফ্ল্যাটটির কোনও মর্টগেজও ছিল না এবং এর কোনও দামও উল্লেখ ছিল না। এর ফলে ফ্ল্যাটটি যে কেনা হয়নি এবং তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল, সেটির প্রমাণ মিলেছে। ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারির এই ঘটনায় যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর পদত্যাগের চাপ জোরাল হয়েছে।

ব্রিটেনের টরি এমপিরা দাবি জানিয়ে বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক যদি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে না পারেন, তাহলে তার মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত।


আরও খবর



অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের শুল্ক জিরো করে দিয়েছি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের ডিউটি (শুল্ক) জিরো করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বাড়লেও জিনিসপত্রের দামের ওপর তেমন প্রভাব পড়বে না। আপনি ছাড়টা দেখবেন। মূল্যস্ফীতির মূল ওয়েটের ইন্ডিকেটরগুলো হলো- চাল, ডাল এগুলো; সেটা আপনারা জানেন। আমরা যেসব জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছি এগুলো আমাদের মূল্যস্ফীতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে খুবই কম গুরুত্বপূর্ণ।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, তিন তারকার ওপরে যে রেস্টুরেন্টগুলো সেগুলোর ক্ষেত্রে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। ভাতের রেস্টুরেন্ট বা অন্য রেস্টুরেন্ট থেকে তো যাবে না। থ্রেসহোল্ড আছে, যাদের টার্নওভার ৫০ লাখ টাকার ওপরে, তাদের ক্ষেত্রে এটা আসবে। অন্য কোনো ব্যবসা তো এটার মধ্যে আসছে না।

বিমান ভাড়ার ক্ষেত্রে কী ভ্যাট বাড়ছে— এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বিমানের ভাড়ার ক্ষেত্রে আগে ৫০০ টাকা ছিল সেটি এখন ২০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ বিমানে এখন লোকজন মোটামুটি চড়ে। তারা ২০০ টাকা বেশি দিতে পারবে না বলে মনে হয় না। এগুলো মার্জিনাল। পৃথিবীর যে কোনো দেশ যেমন নেপাল-ভুটান ধরেন, এত লো ট্যাক্স কোথাও নেই। সব জিনিসের দাম ওপরে। এসেন্সিয়াল জিনিসের ক্ষেত্রে আমরা সবসময় বলেছি, সেখানে আমরা প্রায় জিরো করে নিয়ে আসব। চূড়ান্তভাবে ভোক্তা ১৫ শতাংশ ট্যাক্সও দিচ্ছে না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পাঁচ মাস পরে এই সিদ্ধান্ত কেন নিচ্ছে— এ বিষয়ে সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটা করার কারণটা হলো যে ছাড় দিয়েছি, সেটা হিসাব করে... কয়েক হাজার কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের রাজস্ব গ্যাপ এত বেশি, আমি তো আর বড় করে ডেফিসিট ফাইন্যান্সিং করে এগোতে পারব না।

আইএমএফের পরামর্শে এটি করা হচ্ছে কি না— জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, না, সবদিক চিন্তা-ভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এমন সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের কষ্ট হবে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, মনে হয় না কষ্ট হবে। জনগণের স্বস্তি না পাওয়ার তো কোনো কথা না।

সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইটি খাতে আমরা বরাদ্দ কমাব না বরং বৃদ্ধি করব। কিন্তু আমাদেরকে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। ধার করে বেশিদিন চলা যায় না।

ট্যাক্স এবং কাস্টমস ক্ষেত্রেও কি রাজস্ব বাড়তে পারে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা এখন বলব না।

নতুন বছরে অর্থনীতিকে কোন জায়গায় নিয়ে যেতে চান— এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনীতি মোটামুটি স্ট্রং তো হয়েছে, এখন দরকার স্থিতিশীলতা। আমি বলব না, সব ক্ষেত্রে এটা হয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টরে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক চেষ্টা করছে, কিছু দুর্বল ব্যাংককে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের বর্ণাঢ্য রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবালের। শনিবার (১০) জানুয়ারি ১৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন তামিম। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের জার্সিতে অনেক নতুন রেকর্ড জন্ম দিয়েছেন এবং অনেক রেকর্ডও ভেঙ্গেছেন এই বাঁ-হাতি ওপেনার। তার সেসব রেকর্ডের দিকেই চোখ বুলানো যাক।

টেস্ট :

টেস্ট অভিষেক : ৪ জানুয়ারি, ২০০৮, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ডানেডিন

শেষ টেস্ট : ৪ এপ্রিল, ২০২৩, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, মিরপুর

৭০ টেস্টের ১৩৪ ইনিংসে ৫১৩৪ রান, সেঞ্চুরি-১০টি, হাফ-সেঞ্চুরি- ৩১টি, গড়- ৩৮.৮৯

বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে টানা তিন টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন তামিম। ২০১৪-১৫ মৌসুমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২টি এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে ১টি সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।

বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে টেস্টে টানা ৫ ইনিংসে অন্তত হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন তামিম। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই টানা পাঁচ ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন তিনি। হাফ-সেঞ্চুরি পাওয়া তার ঐ পাঁচটি ইনিংস ছিলো এমন- ৮৫, ৫২, ৫৫, ১০৩ ও ১০৮।

টেস্টে টানা ৭ ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি আছে তামিমের। ২০১০ সালে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাত ম্যাচে অর্ধশতক করেন তামিম। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭ ছক্কা মেরেছেন তামিম। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭টি ছক্কা ও ১৭টি চারে ২৭৮ বলে ২০৬ রান করেছিলেন তামিম।

টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে এখনও সর্বোচ্চ গড়ের মালিক তামিম। ৭০ টেস্টে তার গড় ৩৮.৮৯ টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৪১ বার হাফ-সেঞ্চুরির বেশি রানের ইনিংস খেলেছেন তামিম।

টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে নাম আছে তামিমের। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ইমরুল কায়েসের সাথে ৩১২ রান করেছিলেন তিনি।

টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৪১ ছক্কা মেরেছেন তামিম।

ওয়ানডে :

ওয়ানডে অভিষেক : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, হারারে

শেষ ওয়ানডে : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, মিরপুর

২৪৩ ওয়ানডের ২৪০ ইনিংসে ৮৩৫৭ রান, সেঞ্চুরি-১৪টি, হাফ-সেঞ্চুরি- ৫৬টি, গড়- ৩৬.৬৫

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান তামিমের। ২৪৩ ম্যাচে ৮৩৫৭ রান করেছেন।তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৪টি সেঞ্চুরির মালিক তামিম।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বাধিক হাফ-সেঞ্চুরির বেশি রানের ইনিংস খেলেছেন তামিম। সর্বমোট ৭০টি।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে সাকিব আল হাসানের সাথে রেকর্ড ভাগাভাগি করেছেন তামিম। সাকিব ও তামিম সমান ৫৬টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে লজ্জার রেকর্ডও আছে তামিমের। দেশের হয়ে ৫০ ওভারের ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ১৯বার শূন্যতে সাজঘরে ফিরেন তামিম।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড তামিমের।

বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে যেকোন উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে অবদান আছে তামিমের। ২০২০ সালে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে লিটন দাসকে নিয়ে ২৯২ রানের জুটি গড়েছিলেন তামিম।

ওয়ানেডে ইতিহাসে এক ভেন্যুতে সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড তামিমের। মিরপুরে ৮৭ ম্যাচের ৮৫ ইনিংসে ৫ সেঞ্চুরি ও ১৯টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৮৯৭ রান করেছেন তামিম।

ওয়ানডেতে টানা পাঁচ ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরি আছে তামিমের। ২০১২ সালে পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ ইনিংসে অর্ধশতক করেছেন তামিম।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কনিষ্ঠতম সেঞ্চুরিয়ান। ২০০৮ সালে মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ঐ সময় তামিমের বয়স ছিল ১৯ বছর ২ দিন।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৯৩০টি চার মেরেছেন তামিম।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ৬, ৭ ও ৮ হাজার রানের মালিক তামিম।

টি-টোয়েন্টি :

টি-টোয়েন্টি অভিষেক : ১ সেপ্টেম্বর, ২০০৭, কেনিয়ার বিপক্ষে, নাইরোবি

শেষ টি-টোয়েন্টি : ৯ মার্চ, ২০২০, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, মিরপুর

৭৮ টি-টোয়েন্টির ৭৮ ইনিংস ১৭৫৮ রান, সেঞ্চুরি-১টি, হাফ-সেঞ্চুরি- ৭টি, গড়- ২৪.০৮

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান তামিম। ২০১৬ সালে বিশ্বকাপে ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে ১০টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৬৩ বলে অপরাজিত ১০৩ রান করেছিলেন তামিম।

টি-টোয়েন্টি যেকোন সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক তামিম। ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে ৬ ইনিংসে ২৯৫ রান করেছিলেন তিনি। সংক্ষিপ্ত ভার্সনে যেকোন উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটিতে নাম আছে তামিমের। ২০১২ সালে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১৩২ রান করেছিলেন তিনি।

অধিনায়ক তামিম :

টেস্টে এক ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি।

৩৭ ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম। তার অধীনে ২১টিতে জয়, ১৪টিতে হার ও ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দেননি তামিম।

তিন ফরম্যাটে তামিম :

বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ২৫টি সেঞ্চুরির মালিক তামিম।

তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেছেন তামিম।

তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৩৬বার শূন্যতে ফিরেছেন তামিম।


আরও খবর