Logo
শিরোনাম

পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকলে ইটভাটা অবৈধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

যে পদ্ধতিতেই ইটভাটা পরিচালনা করা হোক না কেন, ছাড়পত্র না থাকলেই সেটা অবৈধ বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এদিন আদালতে মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহিদুল হক, অ্যাডভোকেট এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডিএজি মো. তামিম, ইটভাটা মালিক সমিতির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুনতাসির আহমেদ।

আইনজীবীরা জানান, অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশে বর্তমান মেয়াদ পর্যন্ত লাইসেন্স এবং পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকলে সেগুলো উচ্ছেদে প্রশাসনের ওপর নির্দেশনা থাকবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।


আরও খবর



মাত্র ১৫ মিনিটে ছাতা তৈরি করেন ঈমান আলী

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সামনে বর্ষাকাল আর বর্ষা এলেই বেড়ে যায় ছাতার চাহিদা। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে বর্ষায় ছাতা মাথায় ঘোরাফেরা।

যুগের আবর্তনে ছাতা তৈরিতে এসেছে নতুনত্ব এবং গ্রাম থেকে শহরে সব স্থানে বেড়েছে এর চাহিদা। এ ছাতা তৈরির এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন ময়মনসিংহের এক সংগ্রামী কারিগর।

নাম ঈমান আলী, বয়স ৭০ বছরের বেশি। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সকালের নাস্তা সেরে পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে হালকা পাতলা গড়নের শরীর নিয়ে হেলেদুলে হেঁটে দীর্ঘ ছয় কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে শহরের দোকানে যান ঈমান আলী।

দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকে তিনি ছাতা তৈরি করে আসছেন। শহরের একটি দোকানে ছাতা তৈরি করেন। ঈমান আলীর কাজের স্পৃহা দেখে অভিভূত বর্তমান প্রজন্মের তরুণরা। অনেকের কাছে এটা গল্পের মতো মনে হয়।

ওই দোকানে গিয়ে দেখা যায়, ঈমান আলী মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে দিয়ে একটার পর একটা ছাতা তৈরি করে যাচ্ছেন। সামনে ঈদ এবং গরম পড়তে শুরু করেছে, হবে বৃষ্টিও। সেজন্য ছাতার চাহিদা বেড়েছে। ফলে বেড়েছে কাজের চাপ।

ঈমান আলীর বলেন, আমার চাচার কাছ থেকে ছাতা তৈরি করতে শিখেছি। আমাদের সময়ে মানে স্বাধীনতার আগে তেমন কাজ পাওয়া যেতো না। সেই সময়টাতে আমার চাচা ভালো ছাতা তৈরি করতেন। তখন চাচার সঙ্গে থেকে ছাতা তৈরি করতে শিখেছি। বলতে পারেন, কিছুটা বাধ্য আর কিছুটা নেশায় পড়ে এ পেশা বেছে নেওয়া।

তিনি আরও বলেন, ছাতা বানানো এখন আমার নেশায় পরিণত হয়েছে। আমি এখন কাজ না করে থাকতে পারি না। আমার কাছে এ কাজটা এখন খুবই সহজ লাগে। এখন আমার একটা ছাতা তৈরি করতে সর্বোচ্চ সময় লাগে ১৫ মিনিট। আমি একদিনে প্রায় ৩৬-৪৮টা ছাতা বানাতে পারি। আমার তৈরি করা ছাতা চলে যায় গ্রামের হাট-বাজারে। সেখানে এসব ছাতা খুচরা দামে বিক্রি করা হয়। আগে আমি বাইরে বসে ছাতা তৈরি করতাম। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ময়মনসিংহ নগরের ছোটবাজারের এ ছাতার দোকানটিতে কাজ শুরু করি, এখনো করছি। বর্তমানে দিনে ছাতা বানিয়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় হয়।

আমি বছরের নয় মাস ছাতা তৈরি করি। আর বাকি তিন মাস অন্য কাজ করি। ফাল্গুন থেকে শ্রাবণ এ চার মাস ছাতার চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। এ সময়টাতে বেশি ছাতা বিক্রি করা হয়। ছাতা বানিয়ে আমার পাঁচ সন্তানকে বড় করে বিয়ে দিয়েছি। কাজ করতে করতে এখন ছাতা তৈরি করা আমার এক রকম নেশায় পরিণত হয়েছে।

ঈমান আলীর মেজো ছেলে আমিরুল ইসলাম (৪০) বলেন, আমার বাবা আমাদের জন্মের আগে থেকে ছাতা তৈরির কাজ করেন। আমাদের তিনি এ কাজ করে বড় করেছেন।

ঈমান আলীর ছোট ছেলের স্ত্রী ফারজানা আক্তার বলেন, আমার শ্বশুর খুবই সহজ সরল একজন মানুষ। তিনি তার কাজ করে আনন্দ পান। তিনি এতই কাজ পাগল একজন মানুষ যে দোকানে না গেলে ভালো লাগে না।

ঈমান আলী যে দোকানে কাজ করেন নব-ছাতা দোকানের মালিক নব কুমার সাহা বলেন, ঈমান আলী খুবই সৎ এবং কাজ পাগল মানুষ। তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখনও আমাদের দোকানে ছাতা তৈরি করে আসছেন। তার কাজের দক্ষতা অসাধারণ। আমরা তার মতো একজন কর্মী পেয়ে খুবই খুশি।


আরও খবর

প্রিয় বন্ধু হবেন যেভাবে

মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫




সব বিদেশী মুদ্রায় হিসাব খুলতে পারবেন প্রবাসীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

এখন থেকে সব ধরনের বিদেশী মুদ্রায় হিসাব খুলতে পারবেন প্রবাসীরা। সেই সঙ্গে প্রবাসীদের নামে খোলা বৈদেশিক হিসাবের সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সুদের হার নির্ধারিত হবে। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এতদিন শুধু অনুমোদিত চারটি বৈদেশিক মুদ্রা ডলার, পাউন্ড, ইউরো ও ইয়েনে প্রবাসীদের হিসাব খোলার সুযোগ ছিল। এখন অনুমোদিত মুদ্রার পাশাপাশি ব্যবহারযোগ্য সব বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব খুলতে পারবেন প্রবাসীরা। এ সুযোগ দেয়ায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অনাবাসী বাংলাদেশীরা অনুমোদিত বিদেশী মুদ্রার পাশাপাশি ব্যবহারযোগ্য বিদেশী মুদ্রায় প্রাইভেট ফরেন কারেন্সি (পিএফসি) হিসাব এবং নন-রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (এনএফসিডি) হিসাব খুলতে পারবেন। পিএফসি ও এনএফসিডি হিসাবের বিপরীতে সুদের নির্ধারিত হারও প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফলে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সুদের হার নির্ধারণ করতে পারবে ব্যাংকগুলো।


আরও খবর

মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫




লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ১৬৭ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

লিবিয়ায় অনিয়মিত অভিবাসী হিসেবে আটকেপড়া আরও ১৬৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় বুরাক এয়ারের চার্টার্ড ফ্লাইট যোগে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।

এর মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় দেশটির বেনগাজি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক ১৬ জন এবং গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৫১ জনসহ মোট ১৬৭ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরে এসেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানান।

এই ফ্লাইটে প্রত্যাবাসিতদের অধিকাংশই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ গমনের উদ্দেশে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন। তাদের অধিকাংশই লিবিয়ায় বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।

ভয়ংকর পথ পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে আর কেউ যেন লিবিয়ায় না যায়, সে বিষয়ে সচেতন হওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় সবাইকে অনুরোধ করেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসনকৃতদের প্রত্যেককে ছয় হাজার টাকা, খাদ্যসমগ্রী, চিকিৎসা সেবা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।

লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশিদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ত্রিপলীতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।


আরও খবর

মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫




শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার আবারও সাক্ষী হলো দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শিশুটির মলদ্বারে বাতাস ঢুকিয়ে আজকে নির্মমভাবে হতা করা হয়েছে। শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার আবারও সাক্ষী হলো দেশ।  

শিশুটির বাবারও আহামরি বয়স নয়। বড়জোর ৩০ হবে। এই লোক তার বড় ছেলে জিহাদকে একটি গ্যারেজে কাজ শেখার জন্য দিয়েছিলো। নিহত ছোট শিশুটির নাম আবু বকর সিদ্দিকী। শিশু শ্রেনীতে পড়তো।  

মিরপুর-১১, বাউনিয়াবাদ, ডি ব্লক পোড়া বস্তি পেরিয়ে 'আলহামদুলিল্লাহ বাইক সার্ভিসিং সেন্টার'। এই গ্যারেজেই বড় ভাই জিহাদ কাজ করতো। 

শিশু আবু মাঝেমধ্যে এখানে স্কুল শেষে ভাইয়ের সাথেই থাকতো। বাইকে চড়ার বায়না করতো। শিশুর এই আচরণ  গ্যারেজ মালিকের চোখে দুষ্টুমি লেগেছে। ব্যাস শিশুর অপরাধ এইটুকুই। 

গ্যারেজের মালিক সুজন খান বড় ভাইকে পাউরুটি-চা আনার জন্য পাঠায়। আর এই ফাঁকে শিশু আবুবকরকে দুষ্টুমির শাস্তিসরূপ মলদ্বারে কর্মচারীদেরকে দিয়ে মেশিনের বাতাস প্রবেশ করায়। 

ফলাফল, মূহুর্তেই শিশুটির নাক মুখ দিয়ে খাবার বেরিয়ে যায় ও পায়ুপথ দিয়ে রক্ত। হাসপাতাল যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। 

এই ঘটনা ঘটানোর পর, হতাকারী শান্ত থাকেনি।

সমাধানের জন্য হতাকারী স্হানীয় রাজনৈতিক নেতাকে ধরেছে। তার মাধ্যমে হুমকি ধামকি দিয়েছে ক্ষতিপূরণ দিয়ে ঘটনাটি চেপে যাওয়ার জন্য।  

সবশেষ তিনজনের মধ্যে মাত্র একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

আপনাদের মনে আছে কীনা জানিনা, এর আগেও ২০১৫ সালে খুলনায় রাকিব (১২) এবং ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জে ইয়ামিন (১৩) নামের দুই কিশোরের পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল। ওই দুই কিশোর কারখানায় কাজ করত। 

এবং ২২ সালেও গাজীপুরে একই ঘটনা ঘটে ও একজন শিশু নিহত হয়। একই বছরে আরেক নারী শ্রমিককে এভাবে আহত করা হয়েছিলো।    

আমার চোখে, এতটুকু দুধের শিশুর প্রতি যারা সহিংসতা করে। এদেরকে আসলে আইনী সাজা দেওয়ার চেয়ে উপস্থিত সাজাই দেওয়া উত্তম। কারণ এসব নপুংসক মানুষ না। নরখোর। এদের বেঁচে থাকার অধিকার নাই। 

প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, এই শিশুর হতাকারী তিনজনকে ফাঁসি দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি যে বা যারা এখানে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে শিশুর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। এদেরকেও আইনের আওতায় আনা হোক।

শিশু আবু বকর সিদ্দিকীর হতার বিচার চাই।


আরও খবর



নওগাঁয় ঈদের দিন সড়কে ঝরলো এক বন্ধুর প্রাণ, ৪ বন্ধু হাসপাতালে

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ঈদের দিন সড়কে ঝরলো এক বন্ধুর প্রাণ, ৪ জন আহত। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় একজনকে ঢাকাতে প্রেরণ। পৃথক দুটি দূর্ঘটনা ঘটে নওগাঁ সদর থানাধীন বলিহার নামক স্থানে ও নওগাঁর সাপাহার থানাধীন মিরাপাড়া এলাকা নামক স্থানে।সাপাহার উপজেলার

কালাইবাড়ী টু দিঘিরহাট আঞ্চলিক সড়কের মিরাপাড়া নামক স্থানে ঈদের দিন সোমবার বেলা ১১টারদিকে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শাহিন আলম (১৭) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়। এদূর্ঘটনায় একই মোটরসাইকেলে থাকা 

আহসান আলী (১৭) ও জামিরুল হোসেন (১৭) নামে আরো দুই বন্ধু আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সাপাহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর আহসান আলীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত শাহিন আলম হলেন, পোরশা উপজেলার পশ্চিম হরিপুর গ্রামের মোঃ ইব্রাহিমের ছেলে। আহতরা হলেন, সাপাহার উপজেলার আলাদীপুর গ্রামের তাহির উদ্দিনের ছেলে আহসান আলী (১৭) এবং পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল গ্রামের মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে জামিরুল (১৭)। পুলিশ ও স্থানিয় সুত্র জানায়, তারা ৩ জন বন্ধু ঈদ উপলক্ষে একটি মোটরসাইকেল যোগে ঘুরতে বের হয়েছিলেন। ঘোরা-ফেরা করার এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হাঁড়িয়ে সড়কের ধারে থাকা গাছের সাথে ধাক্কালেগে দূর্ঘটনাস্থলেই 

শাহিন আলমের মৃত্যু হয়। এব্যাপারে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ

আব্দুল আজিজ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দূর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পৌছেছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

অপরদিকে নওগাঁ সদর থানাধীন নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের বাবলাতলিমোড় বলিহার নামক স্থানে ঈদের দিন দুপুর দেরটারদিকে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী দুই তরুন বন্ধু গুরুতর আহত হয়। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ ও ভীমপুর তদন্ত কেন্দ্র থেকে পুলিশ দ্রুত দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানিয়দের সহযোগীতায় আহত দুই জনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। আহতদের মধ্যে এক জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকাতে হস্তান্তর করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। প্রাথমিকভাবে জানাগেছে, আহতরা দু'জন বন্ধু, তাদের বাসা নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে। তারা ঈদের দাওয়াত খেতে মোটরসাইকেল যোগে এক জনের নানার বাড়ি মান্দা উপজেলার বদ্দপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে তারা দুই বন্ধু গুরুতর আহত হোন বলে জানাগেছে।তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। দূর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছেন ভীমপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র'র পুলিশ।


আরও খবর