
শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :
নওগাঁয় ঘরে স্ত্রী ও দু' সন্তান থাকার পরও সুমন হোসেন (৩০) নামের এক যুবক দু' সন্তানের জননী গোলাপী আক্তার (৩০) এর সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে সেই সম্পর্ক স্থায়ী করতে গোপনে তারা দু'জন বিয়ে করেন। বিয়ের পর বউ কে ঘরে নিয়ে তোলার পরই সুমন হোসেন এর পরিবারে শুরু হয় দন্দ-বিবাদ। আর সেই দন্দ বিবাদ মেটাতে সুমন হোসেন ও গোলাপি আক্তার
(স্বামী-স্ত্রী) দু'জন গ্যাস বড়ি সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়ন এর বড়াইল গ্রামে।
নিহত স্বামী স্ত্রী হলেন, বড়াইল গ্রামের
আঃ রাজ্জাক এর ছেলে সুমন হোসেন (৩০) ও তার স্ত্রী গোলাপী আক্তার (৩০)। স্থানিয় ইউপি সদস্য তাছির প্রতিবেদক কে বলেন, সুমন হোসেন এর ঘড়ে স্ত্রী সহ ১০ বছর বয়সী ছেলে এবং ৬ বছর বয়সী এক মেয়ে দু'জন সন্তান থাকার পরও সে পরক্রিয়ায় জড়িয়ে ফের বিয়ে করার পর পরিবারে বিবাদ-দন্দ শুরু হলে স্বামী-স্ত্রী গ্যাস বড়ি পান করে আত্নহত্যা করেন।
অপরদিকে নিহত দু' জনের পরিবার, স্বজন ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুমন হোসেন তার প্রথম স্ত্রী খাতিজা বেগম কে না জানিয়ে সরস্বতীপুর গ্রামের মৃত মতিন মিস্ত্রির স্বামী পরিতাক্তা মেয়ে ও দু' সন্তানের জননী গোলাপী আক্তার কে গোপনে এক সপ্তাহ পূর্বে বিয়ে করার পর নওহাটামোড় বাজারে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করলেও গত মঙ্গলবার সুমন এর প্রথম স্ত্রী খাদিজা দু' সন্তান সহ তার বাবার বাড়ি বেড়াতে গেলে এ সুযোগে সুমন তার ছোট বউ গোলাপি কে বাড়িতে (ঘরে) এনে তোলেন। বুধবার বিকেলে খাদিজা বাড়িতে ফিরে আসার পর থেকেই স্বামীর গোপন সম্পর্ক, বিয়ে ও নতুন বউকে এনে ঘরে তোলা নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ চলছিলো তাদের মাঝে। তারা রাতের খাবার এক সাথে খাই। পারিবাকি দ্বন্দ্বে রাত ৯টার দিকে সুমন হোসেন ও গোলাপী আক্তার গ্যাস বড়ি সেবন করলে প্রতিবেশীরা জানতে পেরে তাদের উদ্ধার পূর্বক রাত ১১টার দিকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে বৃহস্পতিবার পূর্বরাত সারে ১২টার দিকে গোলাপী আক্তার ও রাত ২ টার দিকে সুমন হোসেন স্বামী-স্ত্রী দু' জনের মৃত্যু হয়। এব্যাপারে
নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল এর
ডাঃ আবু আনসারি জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর দু' জনের অবস্থা খুবই ঝুকি ছিলো। তাদের অবস্থা আশংকা জনক অবস্থায় হাসপাতাল থেকে রেফার্ড করার প্রক্রিয়া করা হলেও রোগীর স্বজনরা অন্যত্র নিতে অপরগতা জানালে এক পর্যায়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু' জনের মৃত্যু হয় বলেও জানান তিনি।
দু' জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে
নওগাঁর মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বে গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানাগেছে। তারপরও ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি। ময়না তদন্তের পর দুটি মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।