Logo
শিরোনাম

পৃথিবীর মতো গ্রহের সন্ধান : নাসা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

পৃথিবীর মতো নতুন গ্রহের সন্ধান পেল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এই গ্রহ আকৃতিতে পৃথিবীর ৯৫ শতাংশ। নিজের সূর্যকে ২৮ দিনেই প্রদক্ষিণ করে এই গ্রহ। তবে নিজের অক্ষের উপর ঘোরে না একেবারেই। এ ব্যাপারে তার মিল বরং চাঁদের সঙ্গে।

নতুন আবিষ্কৃতি গ্রহ বাসযোগ্য কি না, তা এখনই বলা না গেলেও সেখানে পানি থাকতে পারে বলে অনুমান করছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ নব আবিষ্কৃত গ্রহটির অবস্থান তার সূর্যেহ্যাবিটেবল জোন অর্থাৎ বাসযোগ্য এলাকার মধ্যেই।

গ্রহের নাম টিওআই ৭০০ই। পৃথিবী থেকে প্রায় ১০০ আলোকবর্ষ দূরে ডোরাডো নক্ষত্রপুঞ্জের ঠিকানা। মহাবিশ্বের হিসাবে এই দূরত্ব খুব বেশি নয়। টিওআই ৭০০ নামের নক্ষত্রকে মাঝখানে রেখে সঙ্গী আরো কয়েকটি গ্রহের সঙ্গে ঘুরে চলেছে টিওআই ৭০০ই

নাসার ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইটের (টেস) চোখেই ধরা পড়েছে এই গ্রহ। টেসের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করেই এই গ্রহের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পারে নাসার জেট প্রপালসান গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা। সেই বিজ্ঞানী দলেরই প্রতিনিধি এমিলি গিলবার্ট সম্প্রতি আমেরিকার সিয়াটেল শহরে আয়োজিত জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের বার্ষিক বৈঠকে এই নতুন গ্রহ সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন। যা গ্রহণও করেছে দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিকাল জার্নাল লেটারস নামের বিজ্ঞানবিষয়ক গবেষণা পত্রিকা।

গিলবার্ট জানিয়েছেন, টিওআই ৭০০ একটি বামন নক্ষত্র। তাকে প্রদক্ষিণকারী আরো তিনটি গ্রহ টিওআই ৭০০ বি, সি এবং ডি-এর খোঁজ আগেই পেয়েছিল নাসা। এবার একটি চতুর্থ গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে। নাসার পাওয়া তথ্য অনুযায়ী টিওআই ৭০০ ই-এর জমি পাথুরে। তবে তাতে পানিও থাকতে পারে। তার কারণ, বিজ্ঞানীদের কথায় নক্ষত্রের সঙ্গে এই গ্রহের যে দূরত্ব, সেই দূরত্বে গ্রহের পৃষ্ঠে পানি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

নাসার দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, নব্য আবিষ্কৃত গ্রহটি পৃথিবীর আয়তনের ৯৫ শতাংশ। নিজের সূর্যকে ২৮ দিনেই প্রদক্ষিণ করে এই গ্রহ। তবে নিজের অক্ষের উপর ঘোরে না টিওআই ৭০০ই। ফলে চাঁদের মতো তার একটি দিক সব সময়েই নক্ষত্রের আলোর দিকে মুখ করে থাকে। অন্য দিকটি অন্ধকার। এর ফলে এই গ্রহ যদি বাসযোগ্য হয়ও তবে এর একদিকে সর্বক্ষণ দিনের আলো থাকবে, অন্য দিকে অন্তহীন রাত।

নাসা জানাচ্ছে টিওআই ৭০০-এর পরিবারের বাকি গ্রহগুলোও নিজের অক্ষে স্থির। কোনোটির আকৃতি পৃথিবীর ৯০ শতাংশ কোনোটি আড়াই গুণ। কোনোটি ১৬ দিনে তাদের নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে। আবার কোনোটি ৩৭ দিনে। তবে আপাতত সেই সব গ্রহে মন না দিয়ে টিওআই ৭০০ই সম্পর্কেই আরো জানার তোড়জোড় শুরু করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

 


আরও খবর

CMOS(সিমোস) কি?এবং এর কাজের বর্ননা

শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩




নানা সমস্যায় জর্জরিত মাভাবিপ্রবি ভেটেরিনারি অনুষদ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image


মো: হৃদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

মাওলানা ভাসানী  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি ) ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড এনিমেল সায়েন্স  অনুষদটি নানা সমস্যায় জর্জরিত।চলতি বছরের ১ লা ফেব্রুয়ারি  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আগের সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে মাভাবিপ্রবি অনুষদ হিসেবে যুক্ত করা হয়। 

বর্তমানে মাভাবিপ্রবির এ অনুষদটিতে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত দুটি ব্যাচে  ১০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এর বিপরীতে শিক্ষক আছেন মাত্র এগারো জন যারা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রেষণে কর্মরত আছেন। নেই কোন অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক। খেলার মাঠ অনুপোযোগী, বিশুদ্ধ পানির স্বল্পতা, বৈদ্যুতিক বাল্ব সমস্যা, বৈদ্যুতিক বিভ্রাট, জিমনেসিয়ামে সরঞ্জাম নেই, কম্পিউটারের স্বল্পতা (১৪টি কম্পিউটার), পাঠাগারে বইয়ের স্বল্পতা (৮৪৩টি বই), মেডিকেল সেন্টার ডাক্তার নেই ও মসজিদে মুয়াজ্জিন নেই।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আউটসোর্সিং থেকে ৩৬ জন কর্মচারী নিয়োজিত আছেন। নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে আসেন না বললেই চলে। ফলে ক্যাম্পাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বলে কিছু নেই। বিশ^মানের ‘ডিভিএম’ (ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন) গ্র্যাজুয়েট তৈরির লক্ষ্যে ল্যাবগুলোতে আনা হয় অনেক দামি রাসায়নিক ও যন্ত্রপাতি। কিন্তু দক্ষ জনবলের অভাবে সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী শাওন মাহমুদ বলেন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসনের পরও দীর্ঘ নয় মাসেও সংকট সমাধান না হওয়ায় আমরা শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার আশংকা করছি। ভেটেরিনারি মেডিসিনের মতো টেকনিকাল বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে অপর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছে, যা মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি অন্তরায়। অন্যদিকে ল্যাবগুলোতে ব্যাবহারযোগ্য পর্যাপ্ত ল্যাব ইক্যুইপমেন্ট না থাকার কারণে আমরা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। ইতোমধ্যে করোনাসহ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আমাদের দীর্ঘ ৩ বছরের সেশনজটে পড়তে হয়েছে। এ সকল সমস্যার স্থায়ী সমাধান এখনো হয়নি। আমরা মাননীয় উপাচার্য স্যারের নিকট সকল সমস্যা সমাধানের আবেদন করছি।

প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবা আক্তার বলেন, এই অনুষদের মেডিকেল সেন্টারে কোনো ডাক্তার নেই। কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে তাকে দূরবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় এবং এক্ষেত্রে মেডিকেল সেন্টারে কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই। এছাড়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য কোনো বাসের ব্যাবস্থা নেই। এখানে এনিমেল সেড থাকলেও শিক্ষা ও গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত প্রাণি নেই। চলমান সংকট সমাধানের মাধ্যমে তীব্র সেশনজট কমিয়ে আনতে (৪ থেকে ৫ মাসে সেমিস্টার) উপাচার্যের নিকট অনুরোধ করছি।

মাভাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ১১ জানুয়ারি ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ হিসেবে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেন। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দিয়েছেন আপনারা একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমের বেশ কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। এটি যদি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি আকারে নিতে চাই তাহলে আমাকে একাডেমিক কাউন্সিলে পাস করাতে হবে, এটি কি ফ্যাকাল্টি হবে সেটা পাস করাতে হবে, কি কারিকুলাম হবে, পাস করাতে হবে, এটি নিয়ে একটি অর্ডিন্যান্স করতে হবে।

ক্ষথীদের ক্লাস শেষ পরীক্ষা নিতে গিয়ে দেখলাম এখানের সিলেবাস শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোকে, সেই অর্ডিন্যান্সের ভিত্তি‌ করে ক্লাসও হয়েছে। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ্ধতি ভিন্ন রকমের। দুটার মধ্যে সমন্বয় করে পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি নিলাম। এই প্রতিষ্ঠানটি যদি পুরোপুরি আমাদের হস্তান্তর করা না করা হয় তাহলে আমরা যেটুকু এগিয়ে গিয়েছি এবং যে পরীক্ষাগুলো নেয়ার চেষ্টা করতেছি এই পরীক্ষাগুলো নেয়ার পরপরই আমাদের এক্টিভিটিস বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা আগাতে পারবো না। এই ক্যাম্পাসটি পরিচালনা করতে বাজেট ঘাটতি রয়েছে। যে কয়জন শিক্ষক তা খুবই কম। শিক্ষক কমপক্ষে ৪০ জন লাগবে। এছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষক বিভিন্ন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা।

তিনি আরো বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছেন এবং বড় অর্থ ব্যয় করেছেন সেই অর্থটা কাজে লাগানোর জন্য আমরা সরকারের কাছে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, পশু পালন মন্ত্রণালয়, সর্বোপরি ইউজিসি কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করবো যতদ্রুত সম্ভব আমরা যে বাজেট সাবমিট করেছি বাজেট পাস করে পুরোপুরি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যেন আমরা সুষ্ঠুভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারি।

এই বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুর রহিম বলেন, কলেজের যেসকল সমস্যা ছিল সেগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



রাণীনগরে পাতিচাষী-বুনন কারিগরদের মাঝে ঋণ বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগরে পাতিচাষী-বনুন কারিগরদের মাঝে ঋণ বিতরনের উদ্বোধন করা হয়েছে।“পাতি চাষে সুরক্ষিত পরিবেশ, গড়বো মোরা স্বাস্থ্যকর বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সোনালী ব্যাংক টি.টি.ডি.সি শাখায় ঋণ বিতরনের উদ্বোধন করা হয়। 

সোনালী ব্যাংক পিএলসি নওগাঁ অঞ্চল এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিতরণ অনুষ্ঠানে সোনালী ব্যাংক প্রিন্সিপাল অফিস নওগাঁর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. ওলিউজ্জামান এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঋণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম। এছাড়াও সোনালী ব্যাংক প্রিন্সিপাল অফিস নওগাঁর এ্যাসিষ্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মো. আহসান রেজা, প্রিন্সিপাল অফিসার মাহমুদুল হাসান, সোনালী ব্যাংক নওগাঁ শাখার ম্যানেজার আজমল হোসেন, রাণীনগর শাখার ম্যানেজার এবিএম আ: হাকিম, টিটিডিসি শাখার ম্যানেজার মামুনুর রশীদ তালুকদার, আবাদপুকুর হাট শাখার ম্যানেজার সাকিনুজ্জামান, ত্রিমোহনী শাখার ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম ও আত্রাই শাখার ম্যানেজার নূরনবী মিলনসহ ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সোনালী ব্যাংক নওগাঁ, রাণীনগর, টি.টি.ডি.সি, আত্রাই, ত্রিমোহনী ও আবাদপুকুর শাখার মাধ্যমে ৫৭ জন পাতিচাষী ও মাদুর বুনন কারিগরদের মাঝে ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার ঋণের চেক বিতরণ করা হয়। 


আরও খবর



বিসিবি ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন পাপন

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে নাজমুল হাসান পাপনের নাম জড়িয়ে আছে অনেক দিন ধরেই। ক্রিকেটের উত্থান-পতনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার নাম। তবে এবার ক্রিকেট বোর্ড ছাড়ার ঘোষণাই দিয়ে রাখলেন নাজমুল হাসান। বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নিজের ব্যাপারে ঘোষণা দিয়ে রাখলেন বোর্ড সভাপতি।

নিজ বাসার সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, এই টার্ম তো আর বেশিদিন নাই। আমি আর বেশিদিন নাই। আমার প্ল্যান হচ্ছে, আর একটাবছর আছে। এবং এরমধ্যে যাওয়ার আগে অবশ্যই টিমকে ঠিক করে যাব। যা যা করা দরকার এটা আমি করে যাব। সেটা ঠিক হবে কিনা আমি জানিনা। আমি যেটা মনে করি, এটা করা দরকার, সেটা যদি অনেক কঠিন সিদ্ধান্তও হয়, সেটাও নিব।

নিজের শেষ সময়ে খানিক কঠোর হবেন, সেই আভাসও দিয়ে রেখেছেন বোর্ড সভাপতি, 'একেকজন একেকটা কথা বলবে। সেটা শুনে একটা ডিসিশন নিব এসবের মধ্যে আমি নাই। আমি নিজে ভেতরে ঢুকব, আগে যেমন সব জানতাম। আমি জানিনা অনেক কিছু। সেটা তামিমও স্বীকার করলো সে জানেনা। আমি বললাম আমি আগে সব জেনে নিই। কেবল তোমার সঙ্গে কথা বললে তো হবে না, আমি সবার সঙ্গে কথা বলি। ভেতরে যেয়ে ক্রিকেটের স্বার্থে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আমি নিব।

নিজের সিদ্ধান্তের ফলাফল নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন পাপন, 'সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কে পছন্দ করলো বা না করলো তাতে আমার কিছু যায় আসে না। ক্রিকেটের স্বার্থে যা যা সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সেটা যদি খুব কঠিনও হয়, আমি নিব।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৭ই অক্টোবর চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হন নাজমুল হাসান পাপন। বোর্ড পরিচালকের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে সভাপতি আগে সরকার থেকে মনোনীত হতো। নাজমুল হাসান পাপন ২০১২ সালে প্রথমে সরকার কর্তৃক মনোনীত সভাপতি ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে বিসিবি সভাপতি পদটি নির্বাচনের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয়। ২০১৩ ও ২০১৭ সালে দুই মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পাপন। চতুর্থ মেয়াদে ২০২১ থেকে বোর্ড সভাপতির পদে আছেন তিনি।

এর আগে, নিজ বাসায় বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে লম্বা সময়ের জন্য বৈঠক করেছিলেন বোর্ড সভাপতি। আলাপের পর তামিম কথা না বললেও নাজমুল হাসান পাপন কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। জানিয়েছেন কবে নাগাদ মাঠে ফিরবেন তামিম। বিসিবি সভাপতি পাপন বলেন, বিপিএলের পর তামিমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার আগে সে ফিরবে না। আমার মেয়াদ শেষের দিকে, দায়িত্ব ছাড়ার আগে বেশকিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চাই।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে সেশন জট নিরসনে আমরা সফল হতে পেরেছি- উপাচার্য

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অন্যতম দাবি ছিল সেশনজট নিরশন। বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন যোগদানের পর ২০২৩ সাল থেকে যথাযথভাবে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করার প্রতি জোর দেন। 

আজ ১৮ নভেম্বর ২০২৩ (শনিবার) একাডেমিক ক্যালেন্ডারের ২য় দফা অনুযায়ী ১ম দিনে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টারের ইন্ট্রোডাকটরি বায়োকেমিস্ট্রি-২ কোর্সের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন। এসময় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি যোগদানের পর থেকে আমার অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল সেশনজট নিরসন। বিগত সেমিস্টারগুলো প্রায় চার মাসে সম্পন্ন করা গেছে। ২০২৩ সালের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে যথাযথ সময়ে সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু করেছি। আমরা বলতেই পারি, সেশন জট নিরসনে আমরা সফল হতে পেরেছি।

পরীক্ষার হল পরিদর্শনকালে ভাইস-চ্যান্সেলরের সাথে শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শাহীন উদ্দিনসহ বিভাগের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



খুলনার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত সম্পন্ন

আউটসোর্সিং জনবল সরবরাহের টেন্ডার অনিয়ম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

খুলনা ব্যুরো: খুলনা সিভিল সার্জনের দপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের টেন্ডারে অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর বুধবার তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে গঠিত তদন্ত কমিটির সভাপতির অবর্তমানে কমিটির সদস্য খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দপ্তরের সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টিম তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে এসময় খুলনার সিভিল সার্জনসহ ওই দপ্তরের মোট ছয়জনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় বলে সহকারী পরিচালক(প্রশাসন) ডাঃ মোঃ আখতারুজ্জামান জানান তিনি বলেন, তদন্তকালে কমিটির অপর সদস্য খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এম এম জাহাতাব হোসেন প্রধান সহকারী মোঃ মাছুম বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন সকাল ১০টা থেকে প্রায় আড়াইঘন্টাব্যাপী সিভিল সার্জনের দপ্তরে তারা অবস্থান করে সিভিল সার্জন, হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ঠিকাদারসহ আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত টেন্ডার প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত অন্তত: ছয়জনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় তদন্ত শেষে তদন্ত প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হবে বলেও তিনি জানান তবে কমিটির সভাপতি বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদ জরুরি কাজে ঢাকায় অবস্থান করায় তিনি তদন্তকাজে থাকতে পারেননি বলেও জানান এর আগে চলতি বছরের ১১ মার্চ খুলনার সিভিল সার্জন বরাবর এবং ১৯ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন, আউটসোর্সিং কর্মচারী সরবরাহের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টি, ফোর এস. ইন্টারন্যাশনাল প্রাঃ লিঃ এর পক্ষে এস, এম গিয়াস উদ্দীন ওই অভিযোগপত্রে আউটসোর্সিং কর্মচারী সরবরাহের ঠিকাদার নিয়োগের টেন্ডারে অনিয়ম হয়েছে বলে সাত দফা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরা হয় যার আলোকে গত ২২ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক(প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সামিউল ইসলাম খুলনার বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে বিষয়টি তদন্ত করে পত্র প্রাপ্তির পর ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ দেন গত ৩১ অক্টোবর ওই পত্র প্রাপ্তির পর পরিচালক(স্বাস্থ্য) ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয় কমিটির পক্ষ থেকে সম্প্রতি পত্র দিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে সরোজমিনে তদন্তের দিন-তারিখ জানানো হয় নির্দিষ্ট দিনে গতকাল সকালে ওই তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয় উল্লেখ্য, যে টেন্ডারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং তদন্ত হলো সেই টেন্ডারে অংশ নিয়েই ফুলতলার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জনবল সরবরাহের কাজ পায় ওই টেন্ডারের বিরুদ্ধে অবশ্য মাছরাঙা সিকিউরিটি সার্ভিসেস (প্রাঃ) লিঃ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একাধিক মামলা এবং সর্বশেষ আইনী নোটিশও দেওয়া হয় কিন্তু কোন কিছুকে তোয়াক্কা না করেই সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাব বিভাগের এক ব্যক্তির মাধ্যমে নানাভাবে আইনী ফাঁক-ফোঁকর বের করে পূর্বের ঠিকাদারের কাজ চলমান রাখার চেষ্টা চলে ঠিক এমন সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত অনেকটা গুরুত্ব বহন করে বলেও অভিজ্ঞ মহলের অভিমত


আরও খবর