Logo
শিরোনাম

প্রশাসনের কর্তৃত্ব না থাকায় ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশে প্রশাসনের কর্তৃত্ব না থাকায় ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করে  বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশজুড়ে ভয়াবহভাবে বেড়েছে ধর্ষণ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিতভাবে এমন ঘটনা ঘটছে, যা অনেকেই ভয়ে কিংবা মানসম্মানের কারণে প্রকাশ করেন না। বিভিন্ন বয়সী নারীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, বাদ পড়ছে না একরত্তি শিশুও।

সমাজের অস্থিরতার এই সময়ের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা -এ কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে এখন যা চলছে তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক গৃহবধূর স্বামী-সন্তানকে বেঁধে তাকে পিটিয়ে আহত ও ধর্ষণ করা হয়। ওই নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তার ওপর ওই নির্যাতন চালিয়েছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব।

এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেছেন, নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অনৈতিক শাসনেরই ধারাবাহিকতা। তাই এখন এই প্রথা ভেঙে রাষ্ট্রকে একটি নৈতিক জায়গায় আনতে হবে। একটি বৈধ সংসদে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য শাস্তির আইন পাস করতে হবে।

দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাই সরকার ও প্রশাসনকে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিবৃতিতে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোক বিহব্বল পরিবার, নিকটজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে চীনের বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনের দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

চীনের উপহারের একটি হাসপাতাল দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্মাণ এবং ভাঙ্গা-কুয়াকাটা ৬ লেন সড়ক বাস্তবায়নের দাবিতে নলছিটি বাসস্ট্যান্ডের চায়না কবরস্থানের সামনে মানববন্ধন ও বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

২২ এপ্রিল, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে বক্তব্য রাখেন ইজিবাইক শ্রমিক নেতা আল-আমিন হাওলাদার, বিডি ক্লিন সমন্বয়কারী মারজান, সমাজকর্মী বালী তূর্য প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়কের পাশে নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকায় অথবা কুমারখালি মরা নদীর ১২০ একর খাসজমিতে চীনের উপহারে একটি ১০০০ শয্যার “চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল” স্থাপন সময়ের দাবি। তারা আরও বলেন, মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ৬ লেন সড়ক বাস্তবায়ন এই অঞ্চলের পর্যটন, ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।

সমাজকর্মী বালী তাইফুর রহমান তূর্য তার বক্তব্যে বলেন, ভারত সবসময় বন্ধু পরিচয়ে আমাদের শোষণ করেছে, কিন্তু চীন বরাবরই বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে পাশে থেকেছে। নলছিটির সঙ্গে চীনের সম্পর্ক প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো—যার সাক্ষ্য মেলে “চায়না বাজার”, “চায়না ফিল্ড” এবং “চায়না কবর” এর অস্তিত্বে।

জনশ্রুতি অনুযায়ী, সপ্তম শতাব্দীতে চীনের তাং রাজবংশের এক ব্যবসায়ী নলছিটিতে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এবং তাঁকে চায়না ফিল্ড সংলগ্ন স্থানে দাফন করা হয়। সেই কবরস্থান আজও স্থানীয়রা শ্রদ্ধার সঙ্গে সংরক্ষণ করে আসছেন।

এছাড়া বক্তারা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, দপদপিয়া এলাকাটি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে সংযুক্ত ও একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ কেন্দ্রস্থল হওয়ায় হাসপাতাল নির্মাণের জন্য উপযুক্ত স্থান। তারা জানান, হাসপাতাল স্থাপনে জমি ও স্থানীয় সহযোগিতা প্রদানে নলছিটির জনগণ প্রস্তুত রয়েছে।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসে প্রেরণ করা হয়। প্রায় শতাধিক লোকের অংশগ্রহণে এই কর্মসূচি ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



দেশে ৩০ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হতে পারে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ধীরগতির কারণে বাংলাদেশে চলতি বছর নতুন করে ৩০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের কবলে পড়তে পারে। আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য সীমা ব্যবহার করে এই পূর্বাভাস দিয়েছে ব্যাংকটি।বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক দারিদ্র্য পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করেছে।

বিশ্ব ব্যাংকের হিসেবে কোনো মানুষের দৈনিক আয় ২ দশমিক ১৫ ডলারের কম হলে তাকে হত দরিদ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০২২ সালে বাংলাদেশে এ হার ছিল ৫ শতাংশ। ২০২৫ সালে হতদরিদ্রের হার ৯ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংক জাতীয়ভাবে হিসাব করা দারিদ্র্যের হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছে। ২০২২ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপে দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। চলতি বছরে তা বেড়ে ২২ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। বিশ্বব্যাংক বলেছে অর্থনৈতিক ধীর গতির কারণে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর ওপর বেশি প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়া শ্রম বাজার পরিস্থিতি চলতি বছর দুর্বল থাকতে পারে।

এর আগে বিশ্বব্যাংকের দ্বি-বার্ষিক প্রতিবেদন ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট: ট্যাক্সিং টাইমস’-এর পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে ৪ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে জানিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। নতুন পূর্বাভাসে সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে।


আরও খবর



দেশকে বদলাতে পরিচালনা পদ্ধতি পাল্টাতে হবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশকে বদলাতে চাইলে পরিচালনার পদ্ধতি পাল্টাতে হবে। একই নিয়মে সবসময় চলা যায় না। এক্ষেত্রে তরুণরা বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিমসটেক ইয়াং জেন ফোরামে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে কী-নোট স্পিকার ছিলেন ড. ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শুধু মুনাফার জন্য ব্যবসা করলে হবে না। সমাজকে বদলানোর জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। সম্পদের ভারসাম্য আনতে হবে। একইসঙ্গে পরিবেশের কথাও ভাবতে হবে। বাংলাদেশ অনেক বড় জায়গা, সেই তুলনায় নিজের পরিধি ছোট। ছোট পরিসরেই কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে।

ড. ইউনূস বলেন, ব্যবসায় মুনাফা পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু উদ্যোক্তার মনে লোভ চলে আসলে সেই ব্যবসা ধ্বংস হতে বাধ্য।

তরুণদের তিন-শূন্য ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি পরিষেবা প্রদান করতে চাই, তাহলে আমাদের তিনটি শূন্যের একটি নতুন সভ্যতার দিকে যেতে হবে - শূন্য কার্বন নির্গমন, শূন্য বর্জ্য এবং শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, কার্বন নির্গমন, বর্জ্য উৎপাদন এবং সম্পদ কেন্দ্রীকরণ পুরানো অর্থনৈতিক মডেলগুলি প্রয়োগ করে বিশ্ব একটি আত্ম-ধ্বংসাত্মক সভ্যতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রকৃতির সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি না আপনার সম্পদ ভাগাভাগি করা হয়, তাহলে আপনি সমাজে টিকে থাকতে পারবেন না।

মানুষ অন্য কারও অধীনে কাজ করার জন্য জন্মগ্রহণ করেনি বরং তারা উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য জন্মগ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হওয়ার কথা মাথায় রাখতে বলেন।

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তরুণদের চাকরিপ্রার্থী না হয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই কেবল টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।

বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম হিসেবে অভিহিত করে প্রধান উপদেষ্টা তাদের শুরুতে বা ক্ষুদ্র পরিসরে ব্যবসা চালু করার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, ‘তুমি একবারে রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করতে পারবে না। তাই ছোট পরিসরে শুরু করে পরিবর্তনের সূচনা কর।

তরুণদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শুরুতে বড় পরিসরে ব্যবসা চালু করা ভুল পথ। বক্তব্যের পর তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধান উপদেষ্টা।


আরও খবর



ট্রাম্প প্রশাসনের দুই কূটনীতিক ঢাকায়

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঢাকায় এসেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল অ্যান চুলিক ও পূর্ব এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয়বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যান্ড্রু আর হেরাপ। ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার গঠনের পর তার প্রশাসনের কোনো প্রতিনিধির এটাই প্রথম ঢাকা সফর।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই দুই কর্মকর্তা আলাদা ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছেছেন। এর মধ্যে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল অ্যান চুলিক গতকাল মঙ্গলবারই (১৫ এপ্রিল) ঢাকায় আসেন। আর পূর্ব এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয়বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যান্ড্রু আর হেরাপ ঢাকায় এসেছেন বুধবার সকালে।

জানা গেছে, ঢাকা সফরকালে তারা বাংলাদেশ সরকারের সংস্কার ও রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। এই সফরে তাদের সঙ্গে রয়েছে মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসনও।

মার্কিন কূটনীতিক নিকোল ঢাকা সফরে সংস্কার ও গণতান্ত্রিক পথে ফেরত আনার বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। সফরকালে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তারা। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে তাদের।


আরও খবর



ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ টিউলিপের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশে একটি ফ্ল্যাটের মালিকানার হস্তান্তর নিয়ে এই প্রশ্ন তুলেছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ডেইলি মেইল। ঢাকার গুলশানের এই ফ্ল্যাট নিয়ে টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনিয়মের কথা অস্বীকার করেছেন টিউলিপ। ডেইলি মেইলকে এই লেবার এমপি বলেন, ২০০২ সালে বাবা-মায়ের কাছ থেকে উপহার হিসেবে ফ্ল্যাটটি পেয়েছিলেন। ২০১৫ সালের মে মাসে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীকে তা হস্তান্তর করেন।

২০১৫ সালের জুনে ওয়েস্টমিনস্টারে এমপিদের জমা দেওয়া সম্পদের হিসাবে বলা হয়েছিল, পরিবারের একজনের সঙ্গে যৌথভাবে ওই সম্পত্তির মালিকানায় আছেন টিউলিপ। পরের মাসে ওই ফ্ল্যাটের মালিকানা হস্তান্তর করার কথা বলা হয়।

গত সপ্তাহে ঢাকার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অনুসন্ধান চালিয়ে ভিন্ন তথ্য পায় ডেইলি মেইল। সেখানে সংরক্ষিত নথি বলছে, টিউলিপ এখনো ওই ফ্ল্যাটের মালিক, যা দুদকের অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

গত ১০ মার্চ দুদক জানায়, টিউলিপ তার বোনকে গুলশানের ওই ফ্ল্যাট হস্তান্তরে যে নোটারি ব্যবহার করেছেন, তদন্তে তা ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে।

টিউলিপ ওই ফ্ল্যাটের মালিকানা রূপন্তীকে দান করেন। দলিলটি হয় ২০১৫ সালের ৯ জুন। দলিল অনুযায়ী, ২৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকায় কেনা ফ্ল্যাট আজমিনাকে দেওয়া হয়। দলিলে ফ্ল্যাটের সম্পূর্ণ মালিকানা, স্বত্ব, অধিকার এবং একটি পার্কিং স্পেস হস্তান্তরের কথা বলা হয়। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, ফ্ল্যাট বা সম্পত্তির হস্তান্তর করতে হয় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে।

দুদকের দাবি, হেবা দলিলটি ভুয়া ছিল। কারণ সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এর সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি উল্টো অভিযোগ করেন, তার সই জাল করা হয়েছে।

ডেইলি মেইলের প্রশ্নে টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবী বলেছেন, যথাযথভাবে হেবা সম্পন্ন করা হয়েছিল। পরিবারের সদস্যের সঙ্গে যৌথভাবে ফ্ল্যাটের মালিকানায় থাকার কথা জানিয়েছিলেন টিউলিপ। ফ্ল্যাটের ভাড়া তার বোন পেতেন।

টিউলিপের প্রতিনিধি দুদকের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক’ বলে দাবি করেছেন।

তার আইনজীবী পল থুয়েট বলেছেন, ‘টিউলিপ পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছেন—এমন দাবি অসত্য ও অযৌক্তিক।’

আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ এক ডেভেলপারের কাছ থেকে লন্ডনে ৭ লাখ পাউন্ড দামের একটি ফ্ল্যাট ‘উপহার’ পাওয়ার খবর নিয়ে সমালোচনার মধ্যে গত জানুয়ারিতে সিটি মিনিস্টারের পদ ছাড়েন টিউলিপ। গত আগস্টে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর তার ভাগ্নির এই ফ্ল্যাট নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম সরব হয়।


আরও খবর

মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫