Logo
শিরোনাম

কক্সবাজারে পর্যটক ভোগান্তির চরম আশঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

পর্যটনের রাজধানী খ্যাত জেলা কক্সবাজার। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ভ্রমন পিপাসু মানুষের প্রধান আকর্ষণ। প্রতিবছর ডিসেম্বর টু ফেব্রুয়ারীতে লাখো লাখো পর্যটকদের পদভারে মুখরিত থাকে এ শহরটি। বছরের অন্যান্য সময় ও পর্যটক থাকে কমবেশি। পর্যটকদের সুবিধার্থে সরকারী ও বেসরকারী ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে আবাসিক হোটেল মোটেল জোন, টুরিস্ট পুলিশ, পর্যটন সেল, মেরিন ড্রাইভ রোড়, আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর ও বিভিন্ন বিনোদনমুলক ব্যবস্থা। সব বিষয়ে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলে ও সম্পূর্ণ হ-য-ব-র-ল অবস্থায় রয়েছে পরিবহনের জন্য নির্দিষ্ট টার্মিনালের।

দেশের সকল জেলা হতে আগত দূরপাল্লার বাস রাখার জন্য ২০০১ সালে নির্মিত হওয়া একটি নির্দিষ্ট বাসটার্মিনাল থাকলেও সেখানে গাড়ি রাখার জায়গা নেই বললেই চলে। গাড়ি রাখবার জায়গা গুলোতে গড়ে তোলা হয়েছে আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, গ্যারেজ, কাউন্টার এবং অসংখ্য বেকারী। এসব আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, গ্যারেজ ও বেকারীর মালিক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

ঝিলংজা ইউনিয়নের আওতাধীন এলাকায় নির্মিত হওয়া টার্মিনালটি শুরু থেকেই সম্পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণের দায়ীত্ব দেওয়া হয় কক্সবাজার পৌরসভাকে। ফলে যতবার পৌরসভার মেয়রের পরিবর্তন হয়েছে ততবারই গাড়ি রাখবার জায়গা গুলো দলীয় নেতৃবৃন্দ ও মেয়র-কাউন্সিলরদের নামে বে-নামে নামেমাত্র মুল্যে লীজ দেওয়ার নামে দখল করা হয়েছে। শুরুতে ২৫০-৩০০ গাড়ি রাখার লক্ষ্যে টার্মিনালটি নির্মিত হলেও বর্তমানে গাড়ি রাখা যায় সর্বোচ্চ ৫০-৬০ টি।

কক্সবাজার বাসটার্মিনালে ১৫ বছর ধরে ব্যবসা করে আসা আমির হোসেন বলেন, এক সময় বাসটার্মিনালে অনেক প্রসস্থ জায়গা ছিল, তখন ২৫০-৩০০ দূরপাল্লার বাস রাখার স্থান ছিল। তবে বর্তমানে সর্বোচ্চ ৫০ টির বেশি বাস রাখার জায়গা নেই। বেশির ভাগ গাড়ি রাখবার জায়গাতে নির্মিত হয়েছে আবাসিক হোটেল, গ্যারেজ, বেকারী দোকান এবং কাউন্টারের মাধ্যমে দখল করা হয়েছে। আর এই দখলেন মুল কারিগর অবশ্যই সাবেক ২ মেয়র, মুজিবুর রহমান ও মাহবুবুর রহমান এবং পৌর সচিব।

আগামী মাস হতে পর্যটন মৌসুম আরম্ভ হবে। পর্যটকদের বহন করে নিয়ে আসা দূরপাল্লার বাস গুলো রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় তীব্র যানজটের শংঙ্খায় আছেন ব্যবসায়ীরা। যানজটের ফলে পর্যটকরা অতিষ্ট হয়ে উঠে অনেক সময় ফিরে যায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই। মৌসুম শুরু হওয়ার আগে থেকেই লিংকরোড় হতে ডলফিন মোড় পর্যন্ত মহাসড়কের দুপাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে পার্কিং করা হয় দূরপাল্লার বাস। মৌসুম শুরু হলে তার আকার আরো বাড়বে নিঃসন্দেহে। মহা সড়কে এভাবে বাস পার্কিং করে রাখলে তীব্র যানজটের শঙ্কা রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ট্রাফিক বিভাগে নিয়োজিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দিন চৌধুরী পিপিএম বলেন "জেলার একমাত্র বাস টার্মিনালটি পৌর কতৃপক্ষ গ্যারেজে পরিনত করে রেখেছে। দূরপাল্লার বাস তো দুরে থাক স্বল্পপাল্লার বাস গুলো এখন মহা সড়কের পার্শ্বের কাউন্টার স্থাপন করে যাত্রী সেবা দিচ্ছে। যার কারনে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। শুক্র শনিবার অতিরিক্ত পর্যটকবাহী গাড়ি শহরে প্রবেশের কারনে পাবলিক টার্মিনালে গাড়ি পার্কিংয়ের পর ও অতিরিক্ত গাড়িগুলো মহাসড়কে পার্কিং করতে বাধ্য হয় এবং আমরা ও কিছুটা সময় ছাড় দিয়ে থাকি।

পুলিশ সুপার অফিস থেকে একটি অনলাইন টার্মিনাল চালু করেছি, সেখানে সিডিউল থাকে কোন গাড়ি কোন কাউন্টার হতে কয়টায় ছাড়াবে সেটির। আমরা চেষ্টা করছি আগত পর্যটন মৌসুমে যানজট সম্পূর্ণ নিরসনের এবং একটি পর্যটন বান্ধব ট্রাফিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য।

এ বিষয়ে আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক নেতা করিম এর কাছে জানতে চাইলে জানান:- আমরা বিগত কয়েক বছর ধরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সভায় বারবার অভিযোগ দিয়ে আসছি টার্মিনাল সংস্কার করে কার্যকর টার্মিনালে রুপান্তর করতে। ওনারা ও আমাদের আশ্বাস দেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেননা। বর্তমান টার্মিনালটি একপ্রকার গ্যারেজ বলা চলে। এটিকে কার্যকর টার্মিনালে রুপান্তর করতে পারলে মহাসড়কে গাড়ি পার্কিং আশি ভাগ কমে যাবে বলে আমার বিশ্বাস"।

আগামী পর্যটন মৌসুমকে সামনে রেখে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালটিকে গ্যারেজ হতে প্রকৃত টার্মিনালে পরিনত করে দূরপাল্লার ও স্বল্পপাল্লার বাস পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করে মহাসড়কের যানজট নিরসন করার অনুরোধ জানান পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এতে করে পর্যটন ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে এবং পর্যটকের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।


আরও খবর

প্যারিস, প্রেম ও ভালোবাসার শহর

রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪




তিব্বতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত ৫৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

চীনের তিব্বতের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ভূমিকম্পে বহু বাড়িঘর ধসে পড়েছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। এই ভূমিকম্পের ফলে আরও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে এবং এলাকা জুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি ঘটেছিল। চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি স্থল ছিল তিব্বতের ডিংরি কাউন্টি, যা নেপাল সীমান্তের কাছে অবস্থিত। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ১ জানালেও সিইএনসি ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হিসেবে উল্লেখ করেছে।

সিসিটিভি, চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ডিংরি কাউন্টি ও এর আশপাশের এলাকায় শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে এবং এর এপিসেন্টারের কাছের অনেক ভবন ধসে পড়েছে। দুর্ঘটনার পর, এ অঞ্চলে একাধিক আফটার শক (পরাঘাত) অনুভূত হয়, যার মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল ৪ দশমিক ৪ মাত্রার পরাঘাত।

চীনের স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায়, স্থানীয় প্রশাসন দুর্ঘটনাস্থলে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ৫৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে এবং আহত হয়েছেন ৬২ জন। তাছাড়া, ডিংরি কাউন্টি শহরতলিতে আরও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করতে লোক পাঠানো হয়েছে।

ডিংরি কাউন্টি তিব্বত অঞ্চলের সবচেয়ে উঁচু এলাকা, যেখানে প্রায় ৬২ হাজার মানুষ বসবাস করেন। এটি মাউন্ট এভারেস্টের চীনা অংশে অবস্থিত। তিব্বত অঞ্চলে ভূমিকম্প একটি সাধারণ ঘটনা হলেও, গত ৫ বছরে এই অঞ্চলের ২০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে আজকের ভূমিকম্পটি সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল।

এদিকে, নেপালেও ভূমিকম্পটির প্রভাব অনুভূত হয়েছে। কাঠমান্ডু এবং এভারেস্টের নিকটবর্তী লোবুচের এলাকার উচ্চ পর্বতমালায় কম্পন অনুভূত হয়, এবং ভূমিকম্প পরবর্তী আফটার শকও অনুভূত হয়।

তিব্বত ও নেপালে ভূমিকম্পের কারণে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা চলছে। এই ভূমিকম্পকে কেন্দ্র করে আরও তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের কাজ চলছে, এবং স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে। সূত্র: এএফপি


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে দুই দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হচ্ছে

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মো হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) ১১-১২ জানুয়ারি ২০২৫ দুই দিনব্যাপী ‘থার্ড ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এডভান্সমেন্ট অব লাইফ সায়েন্সেস’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন  এবং সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. হোসাইন উদ্দিন শেখর।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এস. এম. আব্দুল-আউয়াল এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুরের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান। 

সম্মেলনের স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কনফারেন্স এর আহ্বায়ক ও মাভাবিপ্রবির লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক।

উক্ত কনফারেন্সে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের খ্যাতনামা  প্রায় ৫৫০ জন গবেষক  শিক্ষক শিক্ষার্থী  অংশগ্রহণ করেছেন।


আরও খবর

মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ছে না

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




বায়ুতে আয়ু টান : অ্যাকশনের এখনই সময়

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মোস্তফা কামাল :

বায়ুদূষিত শহরের তালিকায় অবিরাম ঢাকার শীর্ষত্ব অটুট আবারও। এর মাঝে রাজনীতি, অর্থনীতি, কূটনীতির সংযোগ নেই। একেবারেই অরাজনৈতিক। রোগাক্রান্ত রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক, দলীয়-অদলীয় সব মানুষের সঙ্গে সুস্থ মানুষের জন্যও ভীষণ ক্ষতিকর।

আশপাশের খবরও ভালো নয়। সর্বশেষ শনিবারের তথ্য বলছে, বিশ্বের ১২৬টি শহরের মাঝে খুবই অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিয়ে দূষণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে পাকিস্তানের লাহোর। তৃতীয়তে উগান্ডার কাম্পালা শহর। শীর্ষ চারে নেমে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লি পাঁচে মঙ্গোলিয়ার উলানবাতার শহর। বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তাকে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ। সেই হিসাবে দূষণের মাত্রার দিক থেকে ঢাকার বাতাস পরপর দুদিনই খুব অস্বাস্থ্যকর।

ঢাকার বায়ুমানের অবনতির ব্যাপকতা বাড়ছেই। গত বছর থেকে বছর নভেম্বরে বায়ুর মান ১০ শতাংশ পর্যন্ত খারাপ হয়েছে। আর ডিসেম্বরে চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত। শীতকালে বাতাসে দূষণের পরিমাণ বরাবরই বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণায় বিশেষত শীতকালে দূষণের প্রভাব বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিও উঠে এসেছে। বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের নজরে ধরা পড়েছে ঢাকার বাতাসে দূষণের প্রধান কারণ বা উৎস অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম .)

বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক ব্যাধি তৈরি করে। এর চেয়ে বড় কথা বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যসমস্যায় প্রতিবছর কত মানুষের মৃত্যু হয়, সংক্রান্ত তথ্য আমাদের নেই। তবে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে গত বছরের নভেম্বরে একটি সমীক্ষা দিয়েছিল ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল-বিএমজে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে মৃত্যু হয় ৬৭ লাখ মানুষের।

রাজনৈতিক-রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক-সামাজিক নানা বাস্তবতায় ঢাকা বা অন্যান্য শহরের বায়ুদূষণ নিয়ে আমাদের ভাবনার সময় কই! এই বাতাসে যে বুকভরে শ্বাস নিতে পারছি না, এজন্য আমরা নিজের শারীরিক অক্ষমতাকে দায়ী করতে অভ্যস্ত। অনেকে জানিও না শ্বাসের সঙ্গে যেসব দূষিত বায়ু দেহে ঢুকে তা আয়ুতে টান ফেলে কোন গন্তব্যে নিয়ে ঠেকাচ্ছে আমাদের! ঢাকার দূষিত বায়ু থেকে বাঁচতে বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে। ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিকদের এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নিতে বলা হয়েছে। নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরনো ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতেও বলা হয়েছে।

বাস্তবে কে শোনে কার কথা! এসব নির্দেশনা বা ডাকদোহাইর খবর আমরা অনেকে জানিও না। বায়ুদূষণ ত্বকের কী ক্ষতি করে তা নিয়ে নতুন এক গবেষণায় উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। ব্রিটেনের বায়োব্যাঙ্কের গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা (পিএম১০) অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণা (পিএম .)-এর মাত্রা বাড়লে তা ত্বকের রন্ধ্র দিয়ে ঢুকে ত্বকের বিভিন্ন জটিল রোগ তৈরি করে। বিশেষ করে সোরিয়াসিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের রোগের বৃদ্ধি ঘটায়। বায়ুদূষণ সোরিয়াসিস রোগীদের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এমনকি করোনাও আমাদের দমাতে পারেনি। ত্বক বা নিঃশ্বাস সমস্যা আর কী করবেÑ এমন একটি মনমানসিকতা অনেকেরই।

সরকারের দিক থেকেও বায়ুদূষণকে মোস্ট প্রায়োরিটিতে নেওয়ার লক্ষণ নেই। মানুষের কাছেও বুকভরে শ্বাস নেওয়ার বাইরে আরও কত বিষয়। পরিবেশকর্মীরা কিছু কর্মসূচি পালন করলেও সেগুলো পত্রিকায় সিঙ্গেল কলাম বা ব্যাক পেজের নিউজ। আর টেলিভিশনে জায়গা সেকেন্ড পার্টে বা খুচরা নিউজের সঙ্গে। ঢাকাকে বায়ুদূষণমুক্ত করতে চাইলে সরকারকে এখনই কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার উৎকৃষ্ট সময়। রাজনৈতিক বা দলীয় সরকারের জন্য তা একটু জটিল। তারা সমস্যা স্বীকারই করতে চায় না, যদি না দলীয় কারও ক্ষতি হয়ে যায়! ইটভাটা, যত্রতত্র কল-কারখানা, গ্যারেজগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা। যে কারণে পরিবেশ নিয়ে কথা বলা ব্যক্তিরাও ক্ষমতায় গেলে তা চেপে যান। এখন কিন্তু পরিবেশ নিয়ে কাজ করার মহাসুযোগ।

ঢাকার বায়ুদূষণের একটা বড় উৎস নির্মাণকাজ। ইটভাটা, কারখানা, যানবাহন, বর্জ্য পোড়ানো থেকে বায়ুদূষণ হচ্ছে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, দূষিত বায়ুতে থাকার কারণে বছরে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বছর মাস কমে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশে বায়ুদূষণের প্রভাবে ২০১৯ সালে অন্তত ৭৮ হাজার ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপির দশমিক শতাংশ ক্ষতি করছে। বায়ুদূষণ দূর করা সময়সাপেক্ষ হলেও অন্তর্বর্তী সরকার বায়ুমানের দুর্যোগপূর্ণসময়ে দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। নিয়ম-কানুনের তদারকি চালু করতে পারে শক্ত হাতে। কারণ বাদ সাধার হোমচোমড়ারা এখন মাঠে নেই।

আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী কোনো এলাকায় পরপর দিন ঘণ্টা বায়ুর মানসূচক ৩০০ বেশি থাকলে ওই এলাকায় বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এটা আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা পরিবেশ মন্ত্রণালয় কিংবা উভয়ে মিলে নিতে পারে। এই জরুরি অবস্থার সময়ে, বিশেষ করে স্কুল-কলেজগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা, দূষণকারী শিল্পকারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ, যান চলাচলে কঠোরতা জারি এবং স্বাস্থ্যগত সহায়তামূলক পদক্ষেপ নেওয়া যায়। বায়ুমান ৩০০-এর বেশি হলেই তা দুর্যোগপূর্ণ হয়।

আর পরপর তিন দিন টানা তিন ঘণ্টা করে দূষণ পর্যায়ে থাকলে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণার রীতি আছে। এসব রীতি জরুরি বিবেচনায় প্রচলন শুরুতে দৃশ্যত কোনো বাধা নেই। বলা হয়ে থাকে, ‘উন্নয়নপরিবেশ রক্ষাদুটি বিপরীত শব্দ। উন্নয়ন করতে গেলে পরিবেশের ক্ষতি হবেই। ফলে বিশে^ উন্নত উন্নয়নশীল দেশসমূহে দূষণ বেশি! তবে সিঙ্গাপুর, নেপাল, শ্রীলংকা, লাওস, ভুটান, ইন্দোনেশিয়ার মতো অনেক দেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক উন্নতি করেছে। তবে পৃথিবীব্যাপী এখন দূষণকে দেখা হচ্ছেবিপর্যয়হিসেবে।

প্রকৃতির বাইরে মানবসৃষ্ট নানা কারণে পরিবেশ দূষণের প্রতিকার চাইলে বাংলাদেশে এর চেয়ে জুতসই সময় আর আসবে, সেই আশা নেই। শিল্প-কলকারখানার ময়লা বর্জ্য পদার্থ, জমিতে অতিরিক্ত মাত্রার কীটনাশক সারের ব্যবহার, যানবাহন কলকারখানার ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের সূচনাটা অন্তত শুরু হোক। ইটভাটার ধোঁয়া, গাড়ির কালো ধোঁয়া বায়ুসহ গোটা পরিবেশের কী সর্বনাশ করছে তা নতুন করে প্রচারের আর দরকার নেই। তা কমবেশি সবারই জানা। বিষয়ের একজন সংশ্লিষ্ট কীর্তিমান উপদেষ্টা তো আছেনই।

 বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ, মাটিদূষণ, পানিদূষণ, বর্জ্যদূষণ তার ভালো করেই জানা। নিয়ে অনেক কাজের স্বাক্ষর রয়েছে তার। তাই নতুন সচেতনতা জরুরি নয়। জরুরি হচ্ছে পদক্ষেপ। তার হাত দিয়ে অন্তত মহরতটা হয়ে যাক না। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে পরিবেশ রক্ষা করেই এগিয়ে যেতে হবে। নতুবা পরিবেশ ধ্বংস করতে করতে এমন একটা সময় আসবে যখন থাকবে শুধু অপরিকল্পিত উন্নয়ন, দূষণ আর রোগগ্রস্ত জীবন। তখন কোনো কিছুর বিনিময়ে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সুস্থ জীবনযাপন করা বাস্তবতা সাধ্যের বাইরে চলে যেতে পারে।

মোস্তফা কামাল : সাংবাদিক-কলাম লেখক; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪




৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার ৯০ শতাংশ সফল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বললেন, দেশের বর্তমান অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অনেক উন্নতি ঘটেছে। তিনি দেশ পরিচালনায় গত পাঁচ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার ৯০ শতাংশ সফল বলেও উল্লেখ করেছেন।

দেশের একটি অনলাইন মিডিয়াকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব।

অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ মাসের পরিচালনায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, আমরা দেশের অশান্ত সময়টা পার করেছি।

এখন দেশ অনেকটাই স্থিতিশীল, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অনেক উন্নতি ঘটেছে। অর্থনীতির চাকা সচল হয়েছে। আমলাতন্ত্রেও আমরা স্থিতিশীল অবস্থা ফিরিয়ে এনেছি, যদিও কিছু কিছু জায়গায় এখনও উত্তেজনা চলছে। সব মিলিয়ে দেশ পরিচালনায় গত পাঁচ মাসে অন্তর্বর্তী সরকারকে আমি একশোর মধ্যে ৯০ ভাগ সফল বলে মনে করি। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদসহ অর্থনীতির উন্নতির প্রসঙ্গ টেনে প্রেসসচিব বলেন, আপনি যদি রিজার্ভের কথা বলেন এটা কিন্তু দ্রুত বাড়ছে। অর্থনীতির দিকে তাকান, যে খারাপ সময়ের মধ্যে আমরা গিয়েছিলাম, তার উন্নতি ঘটেছে। গত তিন-চার মাসের রপ্তানির দিকে লক্ষ্য করুন, এটা খুব গতিশীল। সেপ্টেম্বরে ৭ শতাংশ, অক্টোবরে ২১ শতাংশ, নভেম্বরে এসে ১৬ শতাংশ রপ্তানি বেশি হয়েছে।

আমরা আশা করছি, ডিসেম্বরের শেষে একটা ভালো প্রবৃদ্ধি হবে। আর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা যদি বলি, সেখানে দেখা যাচ্ছে গত বছরের মতোই পরিস্থিতি বিরাজ করছে এখন।

আইনশৃঙ্খলার বর্তমান পরিস্থিতি সন্তোষজনক কি না প্রশ্নে প্রেসসচিব বলেন, এ বিষয়ে সন্তুষ্ট হওয়া যায় না। কারণ, আমরা তো চাই অপরাধ আরও কম হোক।

নির্বাচন ইস্যুতে তিনি জানান, দুটো সময়সীমার মধ্যে সিদ্ধান্তটা এগিয়ে নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ন্যূনতম একটা সংস্কার করে নির্বাচন দিলে সেটা আগামী ডিসেম্বরে এবং আরও বেশি সংস্কার চাইলে সময়টা আরো ছয় মাস এগোতে পারে।

শফিকুল আলম বলেন, গোটা বিষয়টা নির্ভর করছে সংস্কার নিয়ে সংলাপটা কেমন হবে, আমরা কতটা সংস্কার করতে চাচ্ছি তার ওপর। সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। বিষয়টা এমন না যে, এক-দেড় বছরের মধ্যে আমাদের প্রয়োজনীয় সব সংস্কার শেষ হয়ে যাবে। নির্বাচিত সরকার এলে তারা এই সংস্কার আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনটা নিশ্চিত করাই এখন প্রধান কাজ। এই সংস্কারটা আগে করতে হবে। এরই সঙ্গে সংবিধান সংশোধনীর জন্য কিছু কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে। এবং সে কাজটা এগিয়ে নিতে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। ওই ছয় কমিশনের চেয়ারম্যানদের নিয়ে ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ আছে, যেখানে অধ্যাপক ইউনূস চেয়ারম্যান।

সংস্কার ইস্যুতে বিএনপি, জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলো ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিভিন্ন ধরনের অবস্থান, অভিযোগ, বক্তব্য শোনা যাচ্ছে। এসব কারণে সংস্কার ইস্যুতে সরকার একটা বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়বে কি না প্রশ্নে তিনি বিষয়টি একেবারে নাকচ করে দেন।

প্রেস সচিব বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্ন ধরনের বক্তব্য থাকবেই। এটাই স্বাভাবিক। সবার মতামত এক হবে - এটাও ঠিক না। সবাই সবার মত, চিন্তা-ভাবনাগুলো জানাবেন। জনগণ সেখান থেকে বেছে নেবে কোনটা তাদের জন্য ভালো। এই মতামত আদান-প্রদানের সময় যে কোনো সংঘাত ঘটবে তা আমি মনে করি না।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ, বক্তৃতার মাধ্যমে একে অপরকে আক্রমণ সব গণতান্ত্রিক দেশেই হয় বলে জানান শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, এটা শুধু আমাদের দেশেই হয় না। পশ্চিমা দেশগুলোর রাজনীতিতে এই সংস্কৃতি আরও ভয়াবহ। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্যাম্পেইনের সময় দেখবেন তাদের মধ্যে কী ধরনের আক্রমণাত্মক বক্তব্য চলে। একজন আরেকজনকে ‘গণশত্রু’ বলে প্রচার করে। আসলে রাজনীতিতে এটা সাধারণ ব্যাপার, বিতর্ক থাকবেই। সবচেয়ে বড় কথা, এই তর্ক-বির্তকে যদি সবাই মিলে অংশ নেয় তবে একটা সুষ্ঠু সমাধানে আসা যায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের প্রক্লেমেশন বা জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশ না হওয়া নিয়েও বক্তব্য দেন প্রেস সচিক শফিকুল আলম।

শুরুতে এই প্রক্লেমেশনে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলা হলেও পরে বলা হয়, সরকারই এই প্রক্লেমেশন ঘোষণা দেবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিল কেন বা এই ইস্যুতে কী ঘটেছিল?

জবাবে শফিকুল আলম বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিততে যেতে চাই না। তবে একটি ঘোষণাপত্রে দেশের সব রাজনৈতিক দলের মতামতের অংশগ্রহণ থাকুক তা চায় অন্তর্বর্তী সরকার। সবাই একই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে একটা ঘোষণাপত্র তৈরি হোক, আর সেখানে ড. ইউনূস অবশ্যই থাকবেন।


আরও খবর



এইচএমপিভি ভাইরাসে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

করোনার পর বিশ্বের বহু দেশেই নতুন আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি। সম্প্রতি চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, ভারত সহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে এইচএমপিভি ছড়িয়ে পড়ায় বাড়ছে উদ্বেগ। দুশ্চিন্তা বেড়েছে বাংলাদেশেও।একজনের শরীরে, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি শনাক্ত হয়েছে।

তবে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, এই ভাইরাস বহু আগেই দেশে শনাক্ত হয়েছে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে থাকতে হবে সতর্ক। যেমন- সর্দি, কাশি, জ্বর যদি হয় মাস্ক ব্যবহার করা, অন্যদের থেকে নিজেকে দূরে রাখা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ইত্যাদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসির গবেষণা বলছে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া হতে পারে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. তুষার মাহমুদ বলেন, ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণকারী এই ভাইরাস শিশু, বয়স্ক আর গর্ভবতীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া যাদের শ্বাসকষ্ট আছে তাদের সতর্ক থাকতে হবে বেশি। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যেন নিউমোনিয়া না হয়ে যায় সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এইচএমপিভিতে মৃত্যু ঝুঁকি নেই বললেই চলে। তাই কোভিডের সময়কার মতোই স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ তাদের।


আরও খবর

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রোটা ভাইরাস

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫

দেশে পাঁচজনের শরীরে মিললো নতুন ভাইরাস

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫