Logo
শিরোনাম

পর্যটনের নতুন দিগন্ত

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

করোনার দুই বছরে স্বাস্থ্যবিধির নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এবার ঈদে পর্যটন শিল্পে নতুন সূর্যের উদয় ঘটেছে। দেশের কয়েকটি পর্যটন স্পটে লাখ লাখ ভ্রমণপিপাসুর সরব উপস্থিতি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। পর্যটন স্পটগুলোকে কেন্দ্র করে হোটেল-মোটেল, গণপরিবহন ব্যবসাসহ বিভিন্ন খাতে শত শত কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের দিনগুলোতে শুধু পর্যটন খাত থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারে। এ জন্য প্রয়োজন ঢাকা থেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যাতায়াতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। কুয়াকাটা, জাফলং, তামাবিল, পার্বত্য তিন জেলাসহ দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণপিপাসুদের যাতায়াত সহজ করতে পারলে এ সেক্টর থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আসবে। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা জানান, এ বছর ঈদে এই সেক্টরে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মূলত এবার ঈদকে কেন্দ্র করে দেশে অর্থের প্রবাহ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। পর্যটন খাত, মার্কেটে পোশাক বেচাকেনা, খাদ্যপণ্য ক্রয়-বিক্রি, পরিবহন ব্যবসা, জাকাত, দান-খয়রাত, নানা ধরনের আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। বিনোদন সেক্টরে ভ্রমণ, হোটেল ভাড়া ও পর্যটকদের খাওয়া-দাওয়ায় লেনদেন হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। নানা ধরনের পোশাক কেনাবেচায় লেনদেন হয়েছে এক লাখ ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও পরিবহন ও অন্যান্য খরচের লেনদেন হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। ঈদকেন্দ্রিক অর্থের প্রবাহ দেশের অর্থনীতির চাকায় গতি এনেছে। বিপুল পরিমাণ অর্থের এই হাতবদল করোনাকালের তথা বিগত দুই বছরের অর্থনৈতিক বন্ধ্যাত্ব কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করেছে।

জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের (সিপিডি) অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ঈদকেন্দ্রিক যে ব্যবসা-বাণিজ্য বিশেষ করে পর্যটন খাতে অনেক চাঙাভাব লক্ষ করেছি। কেনাকাটা, ভ্রমণ, পর্যটন, বিনোদন, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুই ইতিবাচক, যা অর্থনৈতিক গতিশীলতায় ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলালউদ্দিন বলেন, আগে ঈদকেন্দ্রিক অর্থের প্রবাহ ছিল এক লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা, এবার তা এক লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা থেকে দুই লাখ কোটি টাকা হয়েছে। শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ ঈদে সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করেছেন। ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফিউজ্জামান বলেন, ঈদের বড় ছুটিতে দেশের কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ ভ্রমণে বের হন।

করোনা মহামারিতে ঘরবন্দি কেটেছে গত চার চারটি ঈদ। তাই এবার ঈদে বাধাহীন আনন্দে মেতেছেন দেশবাসী। ঈদের টানা ছুটিতে রাজধানীসহ সারা দেশের পর্যটন কেন্দ্রে ঢল নেমেছে পর্যটকদের। আর তাই দু’বছরের মন্দার পর এবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে ঈদকেন্দ্রিক অর্থনীতিও। ঈদে পোশাক, জুতার মতো বাহারি পণ্যের পাশাপাশি বিক্রি হয়েছে বিলাসজাত পণ্য। এদিকে ইফতার পার্টি, বিয়ে, ঈদের ছুটিতে গ্রামে ফেরা ও ভ্রমণ, সব মিলে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে ধারণা বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির। বিশ্লেষকরা বলছেন, ঈদকেন্দ্রিক টাকার এই প্রবাহ করোনা-পরবর্তী অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। গতি পাবে লেনদেনেও।

দীর্ঘদিন পর প্রাণচাঞ্চল্য ফিরছে করোনায় বিপর্যস্ত পর্যটন খাতে। এবার অভ্যন্তরীণ ও বহির্গামী পর্যটনে ভালো সাড়া পাচ্ছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে দেশের পর্যটন খাতে এখনও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ প্রতিটি সেক্টরের অদায়িত্বশীল আচরণের নানাবিধ সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যে কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল এবং ভুটানের মতো বাংলাদেশের পর্যটন বিকশিত হতে পারছে না। এদিকে করোনার প্রকোপের পর শুধু দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেই মানুষের ঢল নামেনি, করোনার বিধিনিষেধ ও তেমন নির্দেশনা না থাকায় এবার বিদেশেও ঈদ করেছেন কয়েক লাখ বাংলাদেশি। পাশাপাশি এবার ঈদে ছিল লম্বা সরকারি ছুটি। আগে থেকেই তাই পরিকল্পনা করে দেশ ছেড়েছেন অনেকে। কেউ কেউ ঈদের আগের দিন, কেউ আবার ঈদের দিন দেশ ছেড়েছেন।

বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটররা বলছে, এবার ঈদে দেশের বাইরে ঈদ করা ব্যক্তিদের মধ্যে আকাশপথে সবচেয়ে বেশি গিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহর ও মালদ্বীপে। এই দুই দেশ ছাড়াও ঈদ উদ্যাপনে এবার অন্যতম জনপ্রিয় ছিল তুরস্কের ইস্তাম্বুল রুট। তারা বলছেন, এবার ১০ লাখ লোক ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ঘুরতে গেছেন। বিদেশেও গেছেন প্রায় ৫ লাখ। হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, এভিয়েশনসহ পর্যটনের বিভিন্ন উপখাতে অগ্রিম বুকিং দিয়েছেন অতিথিরা।

বাংলাদেশ ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শহীদুল ইসলাম সাগর বলেছেন, মে দিবস ও ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে দেশের প্রায় ২৫ হাজার হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে ন্যূনতম ১০০ জন ট্যুরিস্ট অবস্থান করলে ২৫ লাখ ট্যুরিস্ট হয়। এর বাইরে শুধু কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সুন্দরবন, বান্দরবান, সাজেক, রাঙ্গামাটি ও সিলেটে অতিরিক্ত পর্যটক বেড়াতে গেছেন আরো ১৫-২০ লাখ। আর সারাদেশের থিমপার্ক, এমিউজমেন্ট পার্ক, হেরিটেজ সাইট, প্রাকৃতিক পর্যটন সাইড, বিভিন্ন নদীর পাড় ও চরে প্রতিদিন ঘুরতে যাবে আরো ৩৫ লাখ। সবমিলে অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যাই প্রায় ৭৫ লাখ। অথচ অনেকেই বলছেন ১০ লাখ। এই সংখ্যা কোন তথ্যের ভিত্তিতে আমার জানা নেই। ঈদকেন্দ্রিক বাণিজ্য নিয়ে শহীদুল ইসলাম সাগর বলেন, ঈদকে কন্দ্রে করে ৭৫ লাখ পর্যটক গড়ে ২ হাজার টাকা করেও খরচ করে তাহলে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫ হাজার কোটি টাকা

ঈদে দীর্ঘ ৯ দিনের ছুটিই আশার আলো দেখিয়েছে বলে মনে করছেন পর্যটন খাতের সর্ববৃহৎ সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফিউজ্জামান। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ গত দুই বছর বেড়াতে পারেনি। বড় ছুটি পেয়ে অনেকেই এবার ঘুরতে বের হয়েছেন। সঠিক পরিসংখ্যান তার পক্ষে জানা সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমপক্ষে হলেও ১০ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমণ করছেন। অনেকে পার্শ্ববর্তী দেশে ঘুরতে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশের চেয়ে আমাদের এখানে অনেক দর্শনীয় জায়গা আছে। সেখানে অনেক ভালো উপভোগ করতে পারবে। পর্যটন খাতে আমাদের অনেক সম্ভাবনা আছে। গত ৫০ বছরে আমাদের অর্জনও কম নয়। এক ঈদেই দেশের ১০ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন স্পট পরিদর্শন করছেন। তবে এক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিশৃঙ্খলাসহ নানা প্রতিবন্ধকতাও আছে। এগুলোকে দূর করতে হবে। তিনি বলেন, সারাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ চালু করা, সড়ক যোগাযোগ এখন অনেক ভালো তবে সুশৃঙ্খল নয়। বিশেষ করে পাবলিক পরিবহনগুলোর অশিক্ষিত ড্রাইভারদের অদায়িত্বশীল আচরণ পর্যটন খাতকে ভোগাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মো. রাফিউজ্জামান। পর্যটন খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা জানান, এই ঈদে শুধু কক্সবাজার ভ্রমণ করেছে এক লাখের বেশি পর্যটক।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২০০টির অধিক রিসোর্ট আছে। বিশেষত, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ এবং নরসিংদীসহ ঢাকার আশপাশের অঞ্চলে এসব রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। ঈদকেন্দ্রিক এসব রিসোর্টও ছিল পরিপূর্ণ।

ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ট্রায়াব) সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদের মতে, ঈদে রিসোর্টগুলোর প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ অগ্রিম বুকিং হয়েছে। আবার অনেকেই সরাসরি চলে এসেছেন রিসোর্টে।

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগ করার জন্য বাংলাদেশের একমাত্র সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। এবার ঈদের ছুটির সময়ে কুয়াকাটায় বেশ ভালো পর্যটকের সমাগম হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন এখানকার হোটেল ব্যবসায়ীরা।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, তাদের সদস্যভুক্ত ৭৪সহ সব মিলিয়ে কুয়াকাটায় দেড় শতাধিক হোটেল-মোটেল রয়েছে। সব হোটেলই পরিপূর্ণ ছিল ঈদের ছুটিতে। উপচে পড়া ভিড় ছিল সমুদ্র সৈকতে। এখন কুয়াকাটার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের চেয়ে ভালো বিশেষ করে বরিশাল থেকে আসতে এখন আর কোন ফেরি পার হতে হয় না। তবে কুয়াকাটার সঙ্গে সরাসরি লাক্সারী লঞ্চ বা বাস চালু হলে পর্যটক আরো বাড়বে বলে মনে করেন মোতালেব শরীফ।

কুয়াকাটার অন্যতম লাক্সারিয়াস সিকদার রিসোর্টের হেড অব সেলস আশিকুর রহমান বলেন, এ বছর ঈদকেন্দ্রিক পর্যটকদের খুবই চাপ। তাদের ১১৪টি কক্ষ রয়েছে। সবগুলোই পরিপূর্ণ। পর্যটক আকর্ষণে নানাবিধ ছাড়ও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর এ কারণে ঈদের আগেই রিসোর্টের সব কক্ষ বুকিং হয়ে যায়। আশিকুর রহমান বলেন, কুয়াকাটার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। তবে বীচের সৌন্দর্যবর্ধনে পদক্ষেপের অভাবের কথা বলেছেন তিনি। বিশেষ করে ল্যাম্পপোস্ট নেই। বীচে পর্যটক আকর্ষণে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই বললেই চলে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে চলমান গরম আবহাওয়া সুন্দরবন ঘোরার জন্য তেমন উপযোগী না হলেও ঈদের ছুটিতে ভালো সাড়া পাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ট্যুর অপারেটররা। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের উপদেষ্টা (তোয়াস) এবং পগমার্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, এবার ঈদের ছুটির মধ্যে আমাদের ভালো বুকিং হয়েছে। বিদেশ থেকেও টিম এসেছে সুন্দরবন ঘুরতে। আর দেশি পর্যটকরাও তো আছেনই। এছাড়া পাহাড়প্রেমীরা ঈদের ছুটিতে ছুটেছেন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে। আবার কেউ কেউ গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন সিলেট ও মৌলভীবাজারের বিভিন্ন পাহাড়ি গন্তব্যও।

এছাড়া গত দু’বছর করোনাসহ বিভিন্ন দেশের ট্যুরিজম বন্ধ থাকাসহ নানা শর্তে দেশের বাইরে ভ্রমণে তেমন সাড়া ছিল না। তবে বর্তমানে বিভিন্ন দেশের ট্যুরিজম খাত বিনা শর্তে খুলে দেয়ায় এবং বড় ছুটি মেলায় দীর্ঘদিন পর বিদেশে ঘুরতে গিয়েছেন পর্যটকরা।

বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটররা বলছে, এবার ঈদে দেশের বাইরে ঈদ করা ব্যক্তিদের মধ্যে আকাশপথে সবচেয়ে বেশি গিয়েছেন দুবাই ও মালদ্বীপে। এই দুই দেশ ছাড়াও ঈদ উদযাপনে এবার অন্যতম জনপ্রিয় ছিল তুরষ্ক।
বাংলাদেশ আউটবাউন্ড ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, ঈদের ছুটিতে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ ভারতের ভিসা নিয়েছেন। দীর্ঘদিন স্থলপথে বন্ধ ছিল ভারত ভ্রমণ। বিশেষ করে গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ-ভারত যাত্রী যাতায়াতের জন্য স্থলবন্দর খুলে দেয়ার পর ভিসা আবেদন কয়েক গুণ বেড়েছে। প্রতি কর্মদিবসে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্রগুলোতে আবেদনকারীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। এছাড়া অনেকে মালদ্বীপ, দুবাই, তুরস্ক, সউদী আরব, থাইল্যান্ড ও নেপাল ভ্রমণ করেছেন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, বিদেশ ভ্রমণে বাংলাদেশিদের পছন্দের শীর্ষে আছে ভারত, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে সউদী আরব ও মালয়েশিয়া। এরপরই আছে থাইল্যান্ড। তবে এবার ঘটেছে ভিন্ন। মালদ্বীপে সরাসরি ইউএস বাংলার ফ্লাইট চালু হওয়ায় এবার পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে ছিল মালদ্বীপ। এরপর দুবাই ও তুরস্ক।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে ঈদের চাল বিতরণ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পবিত্র ঈদুল ফিতরের উৎসবকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের বিশেষ ভিজিএফ চাল বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে। 

রবিবার সকাল থেকে এ সব চাল বিতরণের উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মো. সাইফুল ইসলাম। ইউপি সচিব মো. সালাহউদ্দিন, ট্যাগ অফিসার মো.রিয়াজুল ইসলাম।

১৭৯৩ জন নারী পুরুষ সুবিধাভোগীরা নিচ্ছেন ১০ কেজি করে চাল।

এ চাল বিতরণকালে অন্যনোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আব্দুর রহিম মৃধা, আবু বকর ফরাজী, মো. কাওসার হোসেন, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য পারভীন বেগম।

চাল বিতরণকালে সকল সুবিধাভোগীদের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য,  জন্য দোয়া চেয়েছেন।


আরও খবর



নওগাঁয় জাল সনদে চাকরির অভিযোগ উঠা সেই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় এর বাংলা বিষয় এর শিক্ষক মোছাঃ ময়না খাতুন এর বিরুদ্ধে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি এই সনদ দিয়ে নিয়োগ নেওয়ার পর এক যুগ ধরে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ঐ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। 

গত সোমবার "নওগাঁয় জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে বারো বছর চাকরির অভিযোগ" শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এর আগে ঐ শিক্ষিকার শিক্ষক নিবন্ধন সনদের কোন তথ্য নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসের রেজিস্ট্রারে না থাকায় অনুসন্ধানী এই সংবাদটি প্রকাশ করেন সাংবাদিকরা। সেই সংবাদটি রাণীনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের নজরে এলে তিনি ওই শিক্ষিকার সনদ গুলো যাচাইয়ের জন্য আগামী ২৬ এপ্রিলের মধ্যে তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ সহ সকল কাগজপত্র উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য আজ বৃহস্পতিবার একটি চিঠি করেন।

চিঠি প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) উজ্জ্বল কুমার সরকার।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকাশিত সংবাদটি আমার নজরে আসার পর আমি অভিযুক্ত শিক্ষককেসহ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আগামী ২৬ তারিখের মধ্যে সকল প্রকার সনদ সহ অন্যান্য কাগজপত্র অফিসে জমা দিতে বলেছি। এরপর কাগজ পত্র যাচাইয়ের জন্য এনটি আর সিএ দপ্তরে প্রেরণ করা হবে। সেখান থেকে সনদ যাচাই প্রতিবাদ পাওয়ার পর পত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



আগুনে পুড়লো লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বাস

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাজধানীর ডেমরার ধার্মিকপাড়ায় একটি গ্যারেজে আগুন লেগে লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বাস পুড়ে গেছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের একঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে রাজধানীর ডেমরায় গ্যারেজে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বিলাসবহুল বাসের আগুন

ঘটনায় হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নিসোমবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ডেমরার ধার্মিকপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গ্যারেজে দাঁড়িয়ে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বিলাসবহুল বাসে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ফায়ার সার্ভিসের সিদ্দিক বাজার স্টেশনের ৫টি ইউনিটের একঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা বলছেন, এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা তদন্তের পর জানা যাবে


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪




চাকরি পেলেন ১৮১ তরুণ-তরুণী, প্রশংসায় ভাসছেন নওগাঁর ডিসি ও এসপি

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

সরকারি চাকরি নামক সোনার হরিণ পেতে গেলে গুনতে হবে লাখ লাখ টাকা।এছাড়া লাগবে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত মামা-খালু বা আত্মীয়-স্বজনের সুপারিশ। সহায় সম্বল বিক্রি কিংবা সংসারের জমানো অর্থ দিয়ে কর্তা ব্যক্তিদের করতে হবে ম্যানেজ। কিন্তু এবার নওগাঁর লোকজনের মন থেকে পাল্টেছে এমন সব ধারনা। সম্প্রতি মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নওগাঁ জেলার রাজস্ব প্রশাসনে ১শ' ১৬ জন এবং পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন ৬৫ জন তরুণ ও তরুণী। কাজে আসেনি কোনোই যোগাযোগ বা কারো তদবির। হয়নি অর্থের লেনদেনও। আরো স্বচ্ছতার সাথে এসব নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নওগাঁ জেলা জুড়ে প্রশংসায় ভাসছেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা এবং নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক। নিয়োগে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন অনেক দরিদ্র পরিবারের স্বপ্নবাজ ছেলে-মেয়েরা। এসব নিয়োগে এমনিতেই নানা অনিয়মের খবর মুখরোচক হিসেবে সমাজে প্রচলিত রয়েছে। তবে স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ হবে তা ছিলো কল্পনাতীত।

নওগাঁ জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার রাজস্ব প্রশাসনে ১৫ ও ১৬ তম গ্রেডে ৯টি ক্যাটাগরিতে ড্রাফটসম্যান, নাজির কাম-ক্যাশিয়ার, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, সার্টিফিকেট পেশকার, সার্টিফিকেট সহকারী, ক্রেডিট চেকিং কাম সায়রাত সহকারী, মিউটেশন কাম সার্টিফিকেট সহকারী, ট্রেসার ও কার্যসহকারী পদে মোট ৩৭টি শূণ্য পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। এতে ৬ হাজার ৭শ' ৭২ জন চাকরি প্রার্থী আবেদন করেন। এরমধ্যে লিখিত পরীক্ষায় ৩ হাজার ৪২ জন অংশ গ্রহণ করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে উত্তীর্ণ হন ১শ' ৬ জন।

এরপর ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষে গত ১২ ও ১৩ মার্চ রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে মোট ৩৩ জনকে সাতটি ক্যাটাগরিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে দ্রুত সুপারিশ প্রাপ্তদের পদায়ন করা হবে। এতে ট্রেসার ও কার্যসহকারী পদে যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ৩টি পদে কাউকে সুপারিশ করা হয়নি। এছাড়াও ২০ তম গ্রেডে তিনটি ক্যাটাগরিতে অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মোট ৮৩টি পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে নিয়োগের জন্য ৮৩ জনকে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করে সংশ্লিষ্টরা। সুপারিশ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা, উপজেলা ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে পদায়ন করা হয়েছে। এদিকে, জেলার রাজস্ব প্রশাসনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর গত ৫ ফেব্রূয়ারি জেলা প্রশাসনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিষয়ে পোস্ট করেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক। মুহূর্তের মধ্যেই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে মন্তব্যের ঘরে জেলা প্রশাসনের প্রশংসায় মেতে ওঠেন অনেকেই। স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগের এ ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা নওগাঁবাসির। অপরদিকে, নওগাঁর পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় দু' হাজার ২শ' ৩১ জন প্রার্থী। প্রথম ধাপে শারীরিক, দ্বিতীয় ধাপে দৌঁড়, পুশআপ, লং ও হাই জাম্প এবং তৃতীয় ধাপে দৌঁড়, ড্রাগিং ও রোপ ক্লাইম্বিং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উর্ত্তীন হন ৫শ' ৪৫। গত ৬ মার্চ চর্তুথ ধাপে লিখিত পরীক্ষায় ২শ' ২০ জন উর্ত্তীণ হয়। যেখানে চূড়ান্ত ভাবে মৌখিক পরীক্ষায় ৬৫ জন নিয়োগের জন্য সুপারিশ প্রাপ্ত হয়।


নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁপানিয়া ইউনিয়নের চকতাতারু গ্রামের চা বিক্রেতার মেয়ে শ্রাবন্তী বানু তার অনুভূতি ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের বলেন, ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিলো পুলিশে চাকরি করার। বান্ধবিদের কথায় পুলিশের নিয়োগে ১২০ টাকা খরচ করে আবেদন করেছিলাম। যে দোকান থেকে আবেদন করেছিলাম, অনেকেই বলেছিল এসব নিয়োগে অনেক টাকা লাগে। এতে মন ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু তারপরও মনোবল হারাইনি। অবশেষে সব পরীক্ষায় সফলতার সাথে উর্ত্তীণ হয়ে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছি। না কারো সুপারিশের দরকার হয়েছে, না কোনো টাকা লেগেছে। শ্রাবন্তীর মতো অনেক দরিদ্র পরিবারের স্বপ্নবাজ ছেলে-মেয়ের নাম পুলিশ ও জেলার রাজস্ব প্রশাসনে নিয়োগ প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেয়েছে। যারা আসলে কল্পনা করতে পারেনি এতো সহজে নিয়োগ হবে। সরকারি নিয়োগে এমনিতেই নানা অনিয়মের খবর মুখরোচক হিসেবে সমাজে প্রচলিত রয়েছে। তবে স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ হবে তা ছিলো কল্পনাতীত। অনেকের কাছে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বপ্নের মতো।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক বলেন, নিয়োগে কিছু কিছু বিতর্ক থাকায় অনেক বড় চ্যালেঞ্জিং ছিল। যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা সবাই নিজেদের যোগ্যতা ও মেধায় উত্তীর্ণ হয়েছে। সে জায়গা থেকে স্বচ্ছতার সহিত আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পেরেছি। এখানে কোনো যোগাযোগ ও অর্থের লেনদেন হয়নি। জানতে চাইলে নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা বলেন, নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর থেকেই আমি প্রচার করেছি, শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ দেওয়া হবে। কেউ যেনো প্রতারণার শিকার না হয়। অযথা তদবিরের পেছনে না ছুটে, সবাইকে লেখাপড়া করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমি আমার কথা রেখেছি। কোনো অনিয়ম হতে দেইনি। কারও তদবির শুনিনাই। শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সামনে আরও একটা নিয়োগ আছে। সেটাও একইভাবে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে দেওয়া হবে বলে ও নিশ্চিত করেন তিনি।


আরও খবর



শ্রেণিকক্ষে পাঠ বা কোচিং ছাড়াই উচ্চ মাধ্যমিকে উপজেলায় প্রথম হলেন ফাতেমা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

হাফেজ উম্মে ফাতেমা। কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন বটে। কিন্তু কোন শ্রেণিক্ষ বা শিক্ষকের সাথে নেই কোন পরিচয়। একদিনও শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহন করেননি। বাড়িতে ছিলোনা কোন প্রাইভেট পড়ার শিক্ষকও। অথচ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উপজেলায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি। ২০২৩ সালে সরকারি সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে তিনি ১৩০০ ’র মধ্যে ১১৬৫ নম্বর পেয়েছেন।

কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, হাফেজ উম্মে ফাতেমা অভাবনীয় মেধার অধিকারি। সে একদিনও কলেজে ক্লাশ বা কোচিং করেনি। বাড়িতে একাই তার পাঠ চর্চা করেছে। সে আমাদের কলেজের মুখ উজ্জল করেছে। হাফেজ উম্মে ফাতেমা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবেন আশাকরি।

উম্মে ফাতেমা মাত্র ৮ বছর বয়সে পবিত্র কোরআনের হেফ্জ শেষ করেছেন। সে কারনে তার নাম এখন ‘হাফেজ উম্মে ফাতেমা’। তার পিতা মো. টিপু সুলতান আমতলী ইসলামীয়া কামিল মাদরাসার ইংরজি বিষয়ে অধ্যাপক। মা শিউলি খাতুন একজন গৃহিনী। তবে তিনি লোক প্রশাসন বিষয়ে অনার্স মাষ্টারস্ শেষ করেছেন।  

হাফেজ উম্মে ফাতেমা ভবিষ্যতে বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করতে চান। সে লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারিভউ দিয়ে খ ইউনিটে টিকেছেন। ইংরেজি, অর্থনীতি বা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করতে আগ্রহী হাফেজ উম্মে ফাতেমা। 


আরও খবর