Logo
শিরোনাম

পটুয়াখালীতে সর্বোচ্চ ১০২ কি.মি. বেগে আঘাত হেনেছে রেমাল

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:

ঘূর্ণিঝড় রেমাল এখন পর্যন্ত পটুয়াখালীর উপকূলে সর্বোচ্চ ১০২ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।


 সংস্থাটি বলছে, এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হওয়ায় এর গতি ৯০ থেকে ১১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠানামা করতে পারে। সোমবার (২৭ মে) রাত ২টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ কথা জানান।


তিনি বলেন, আশা করছি ১০২ কিলোমিটার ঘূর্ণিঝড় রেমালের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল প্রবল শক্তি নিয়ে উপকূল অতিক্রম করছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বাতাসের গতি।


 রেমাল কেন্দ্র রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম শুরু করে। বাগেরহাটের মোংলা ও পটুয়াখালীর খেপুপড়া এবং পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে ঘণ্টায় ১৫ থেকে ১৮ কিলোমিটার গতিতে এগুচ্ছে।



এদিকে সোমবার (২৭ মে) রাতে আবহাওয়ার ১৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।


পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।



কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।


খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।


প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।


প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ (৪৪-৬৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (১৮৯ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে।


 অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।


উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



গ্রেপ্তারের পর যা বললেন সাবেক মেয়র আইভী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

প্রায় ৬ ঘণ্টা চেষ্টার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে। আজ শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় আইভীর বাড়ির সামনে বিপুলসংখ্যক সমর্থক অবস্থান করছিলেন।

পুলিশের ভ্যানে ওঠার আগে আইভী সাংবাদিকদের বলেন, আমি জানি না আমাকে কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? আমার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে জানিয়েছে প্রশাসন, কিন্তু আমাকে দেখাতে পারেনি। আমি ২১ বছর সকল কিছুর উর্ধ্বে থেকে নারায়ণগঞ্জবাসীকে সেবা দিয়েছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমি সেই অপরাধে অপরাধী হতে চাই।

আইভী বলেন, আমি কি কোনো জুলুমবাজ? আমি কি হত্যা করেছি? আমি কি চাঁদাবাজি করেছি? নারায়ণগঞ্জ শহরে আমি কোনো দিন কোনো বিরোধী দলকে আঘাত করেছিএমন রেকর্ড আছে? তাহলে কিসের জন্য, কোন ষড়যন্ত্রের কারণে, কার স্বার্থে আমাকে গ্রেপ্তার করা হলো? আমিও প্রশাসনের কাছে জানতে চাই। বর্তমান যারা সরকারে আছেন, তারা সাম্যের কথা বলেছেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আপনারা আন্দোলন করেছেন, সরকারকে হটিয়ে নতুন সরকারে এসেছেন-তাহলে কী এই বৈষম্য? তাহলে সৎ রাজনীতি, সততার কী মূল্যায়ন? আমি তো বাড়িতেই ছিলাম, পালাইনি। তাহলে এভাবে আমাকে গ্রেপ্তার করতে হলো কেন? সেই জবাব জনগণের কাছে চাই, জনগণই দিবে। ইনশাল্লাহ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

এরআগে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত সাবেক এই মেয়রের বাড়িতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল অভিযান শুরু করে। খবর পেয়ে বাড়ির বাইরে অবস্থা নেয় এলাকাবাসী। পরে সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে বাড়ির চারপাশে ঘিরে রাখে।

স্থানীয়রা জানায়, গত ৫ আগস্টের পর এই প্রথম বিপুলসংখ্যক পুলিশের একটি বহর সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাড়িতে আসে। এ সময় এলাকাবাসী পুলিশ আসার খবর পেয়ে বাড়ির চারপাশে অবস্থা নিতে শুরু করে। পরে আশপাশের মসজিদগুলো থেকে পুলিশ আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে শতশত মানুষ এসে বাড়ির আশপাশের কয়েকটি স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।

এলাকাবাসী জানায়, সাবেক মেয়র আইভী স্থানীয়দের মধ্যে জনপ্রিয়। তাই স্থানীয়রা এই পুলিশি অভিযান প্রতিহত করতে সড়কে নেমেছেন।


আরও খবর



ব্রিটিশ নাগরিকদের ভারত-পাকিস্তানে ভ্রমণে সতর্কতা জারি

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনায় দুই প্রতিবেশী ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য নিজেদের নাগরিকদের জন্য পাকিস্তান ও ভারত ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে।৫ মে এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে তুর্কি গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।

ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে জারিকৃত সতর্কতায় বলা হয়েছে, পাকিস্তান-ভারত সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অব কন্ট্রোল/এলওসি) সংলগ্ন অঞ্চলগুলোতে নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। তাই নাগরিকদের এই অঞ্চলগুলোতে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ভারত ও পাকিস্তানে নির্ধারিত বা পরিকল্পিত ভ্রমণ স্থগিত রাখাই বাঞ্ছনীয়। এ ছাড়া সীমান্ত এলাকায় সম্ভাব্য সংঘাত বা সামরিক সরবতার ঝুঁকির কথাও তুলে ধরা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগেই পহেলগাঁও হামলার ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রও পাকিস্তান ও ভারতের জন্য একই ধরনের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছিল।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের আরও সতর্কবার্তায় বলা হয়, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কোনো অংশে, বিশেষ করে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর, কোনো কারণেই ভ্রমণ করা উচিত নয়।

বর্তমানে ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের সীমান্তে শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে। ভারতে প্রবেশের জন্য অবশ্যই বৈধ ভারতীয় ভিসা থাকতে হবে, এবং সীমান্তে কোনও ভিসা সুবিধা নেই।

দুই দেশের মধ্যে একমাত্র সরকারিভাবে স্বীকৃত সীমান্ত পারাপার পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াঘা (পাকিস্তান) ও আটারি (ভারত) সীমান্তপথ। তবে যাত্রার আগে সীমান্ত পথটি খোলা আছে কিনা, তা যাচাই করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



২৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো পৌনে ২৮ হাজার কোটি

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ঈদের আগে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড ৩.২৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। রেমিট্যান্সের সেই গতিধারা এখনো অব্যাহত। চলতি মাসের (এপ্রিল) প্রথম ২৬ দিনেই এসেছে ২.২৭ বিলিয়ন (২২৭ কোটি ১০ লাখ ডলার) ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ২৭ হাজার ৭০৬ কোটি টাকার বেশি। আর প্রতিদিন আসছে ৮ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের বেশি বা ১ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন বলছে, চলতি মাসের (এপ্রিল) প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে মার্চের পুরো সময়ে এসেছে ৩.২৯ বিলিয়ন (৩২৯ কোটি ডলার) ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন আসে প্রায় ১০.৬১ কোটি ডলার বা ১২৯৫ কোটি টাকা করে।

তথ্য বলছে, গত বছরের মার্চের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৭১ বিলিয়ন বা ১৭১ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি বছরের মার্চে ১৫৮ কোটি ডলার বেশি এসেছে। চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৭৮ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরে একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ৭০৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে ৪৭০ কোটি ডলার বেশি।

গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। সে রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়ে মার্চ মাসে। এ নিয়ে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা ৮ মাস দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। সবশেষ মার্চে আসে ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়।


আরও খবর



ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ভারতীয় ক্রিকেটার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হলেন ভারতীয় ক্রিকেটার শিবালিক শর্মা। গুজরাটের সেই ক্রিকেটারকে সোমবার রাজস্থান পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, শিবালিকের নামে দেশটির যোধপুরের কুড়ী ভগতাসনী থানায় অভিযোগ জমা পড়েছিল।

এ নিয়ে তদন্তের পর শিবালিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইতিমধ্যে আদালত তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, শিবালিক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছেন। যেখানে এক নারীর সঙ্গে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বডোদরায় আলাপ হয়েছিল দুজনের। তার পর থেকেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। দুজনের পরিবারও দেখা করে। ২০২৩ সালের অগস্টে শিবালিকের পরিবার যোধপুরে গিয়েছিল। সেই সময়ই বাগদান হয়।

তবে বাগদানের পর শিবালিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয় অভিযোগকারীর। ২০২৪ সালের অগস্টে সেই নারী বডোদরায় গিয়েছিলেন। সেই সময় শিবালিকের পরিবার জানায়, তারা ছেলের অন্য জায়গায় বিয়ের কথা ভাবছে। এর পরেই পুলিশে অভিযোগ জানান সেই নারী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই চলে তদন্ত। এর পরেই সোমবার শিবালিককে গ্রেপ্তার করা হয়।

শিবালিক ভারতের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৮টি ম্যাচ খেলেছেন। বাঁহাতি ব্যাটার ১০৮৭ রান করেছেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে খেলেছিলেন শিবালিক শর্মা। ১৩টি লিস্ট এ এবং ১৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেছেন তিনি। বডোদরার হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের বিরুদ্ধে। প্রথম ইনিংসে তিনি ৬৪ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলন ১৮ রান।


আরও খবর

শনিবার থেকে ফের শুরু আইপিএল

মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫




এক মুঠো চালের জন্য জেলেদের বুক ফাটা কান্না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

ভোরের সূর্য ওঠার আগেই বরগুনার আমতলি ফকিরঘাটে ভিড় জমায় সাগরের সাহসী সন্তানরা। একসময় যাদের হাতের জালে ধরা পড়তো সাগরের সোনা, আজ তাদের হাতে কিছুই নেই। চোখে শূন্যতা, মুখে হতাশা। ট্রলারগুলো নিশ্চুপ, জালগুলো ছেঁড়াআর মানুষগুলো নীরব, অথচ বুকের ভেতর চলছে কান্নার তীব্র গর্জন।


সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সাথে যুদ্ধ করে যারা জীবন কাটিয়েছেন, আজ সেই জীবনের সামনে শুধুই অনিশ্চয়তা। ১৫ দিন ধরে চলা মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা হাজারো জেলের ঘরে এনেছে হাহাকার, আর পাতে এনে দিয়েছে ফোঁটা ফোঁটা ক্ষুধা। প্রায় আট হাজার নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জেলে আজ বাঁচার জন্য তাকিয়ে আছেন এক মুঠো সাহায্যের দিকে। কিন্তু এখনো তাদের ভাগ্যে জোটেনি সরকারি সহায়তার চালের এক দানাও।


ষাটোর্ধ্ব মোশাররফ হোসেন এক কোণে বসে আকাশের দিকে চেয়ে কাঁদছেন। তার কণ্ঠ রুদ্ধ, চোখের জল অবিরাম গড়িয়ে পড়ছে।


"ঝড়-তুফান, সাগরের কাঁচা ঢেউসবকিছুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। কিন্তু আজ... আজ তো নিজেরই যুদ্ধ জীবন বাঁচানোর। সরকার যদি চাল না দেয়, আমরা না খেয়ে মরে যাবো।" তার কাঁপা কণ্ঠের এই মর্মস্পর্শী আহাজারি যেন আঘাত হানে মানবতার শেষ প্রাচীরে।


আরেক কোণে দাঁড়িয়ে শহিদুল ইসলাম, ছোট্ট মেয়ের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন। মেয়ের ক্ষুধার্ত চোখ যেন হাজারটা প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে তার দিকে। মাথা নিচু করে শহিদুল ফিসফিস করে বলেন, "মাছ ধরতে জীবন বাজি রাখি। আজ মেয়েটার ভাতের জন্য রাস্তায় দাঁড়াতে হচ্ছে। একজন বাবার চেয়ে বড় লজ্জা আর কী হতে পারে?" 

মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, তালতলীতে প্রায় আট হাজার নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জেলে রয়েছেন, যাদের কেউই এখন সাগরে যেতে পারছেন না। সাগরের হাওয়ায় এখন আর মাছের ঘ্রাণ নেইভেসে আসছে দুর্ভিক্ষের গন্ধ। প্রতিবছর নিষেধাজ্ঞার সময় কিছু খাদ্য সহায়তা মিললেও, এবারের নিষেধাজ্ঞায় এখনো কোনো বরাদ্দ এসে পৌঁছায়নি। সাগরের গর্জন আজ আর তাদের কাছে রোমাঞ্চ নয়, বরং মৃত্যুর সুর হয়ে বাজছে।


উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, "নীতিমালা অনুযায়ী সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। আগেরবার খাদ্য সহায়তা ছিল, এবার বিলম্ব হয়েছে। চাল আসলে দেওয়া হবে।" কিন্তু তার কথাগুলো যেন ক্ষুধার্ত পেটের গহীন আর্তনাদের সামনে একটি তুচ্ছ আশ্বাসমাত্র। চাল কবে আসবে, তা কেউ জানে না। আর ততদিন ক্ষুধা আগুন হয়ে পুড়িয়ে দেবে তাদের শরীর ও আশা।


ফকিরঘাট নয়, উপকূলের সবখানেই একই ছবি। শীর্ণকায় জেলেরা ছেঁড়া গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে কান্না চেপে রাখার চেষ্টা করছে। শিশুদের কান্না মিলিয়ে যাচ্ছে সাগরের বাতাসে। "ভাত দে মা, ক্ষুধা পেয়েছে"শত শত শিশুর এই চিৎকার যেন আকাশকেও ভারী করে তুলেছে।

এই বাস্তবতা কেবল দারিদ্র্যের গল্প নয়এ হলো লজ্জার গল্প। যেখানে রাষ্ট্রের নিষ্ক্রিয়তা আর মানবতার ব্যর্থতা মিলেমিশে একটি জাতির বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করে। জীবনের যুদ্ধ তো তারা জিতেছে বারবার, কিন্তু আজতালতলীর সাগরপাড়ে বসে থাকা এই হাজারো জেলে হারছে ক্ষুধার কাছে।


আরও খবর