Logo
শিরোনাম

পুলিশকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশে সতর্কতার অনুরোধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএসএ) জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া) ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আংশিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ঢালাও প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে ভবিষ্যতে পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে কোনো ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন ও সাংবাদিকতার নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণের অনুরোধ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ শত বছরের পুরনো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। মুক্তিযুদ্ধকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কালজয়ী আহ্বানে সাড়া দিয়ে তৎকালীন পুলিশের বাঙালি সদস্যরা আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। সেই থেকে শুরু। অদ্যাবধি বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদার সদস্যরা যে কোনো সংকট ও প্রয়োজনে দেশ এবং জনগণের কল্যাণে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিতেও কখনো কুন্ঠাবোধ করেননি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দেশে এক সময় উগ্র সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের নগ্ন থাবায় দেশবাসী চরম উৎকণ্ঠিত ছিলেন। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ছিল চরমপন্থী সন্ত্রাসের জনপদ। বাংলাদেশ পুলিশ এই জনপদকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে সাহসী ভূমিকা পালন করেছে। একইভাবে, বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের প্রভাবে বাংলাদেশে গড়ে উঠা উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে বাংলাদেশ পুলিশ দেশবাসীর সহযোগিতায় নিয়ন্ত্রণে রাখতে সফল হয়েছে। উগ্র সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের সাফল্য বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশের ভূমিকা বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ শুধু দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নয়; যে কোনো মানবসৃষ্ট কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবার হাত বাড়িয়ে দিতে কখনো পিছপা হয়নি। করোনা অতিমারিকালে বাংলাদেশ পুলিশের অকুতোভয় বীর সদস্যরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে, জীবনের মায়া তুচ্ছ করে জনগণের প্রতি গভীর মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধে উজ্জীবিত হয়ে সেবার মানসিকতা নিয়ে মানবিক পুলিশ হিসেবে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ কোয়ারেন্টাইন, লকডাউন বাস্তবায়নের পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত মানুষকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছে, শুধু তাই নয়, মানুষের বাসায় ওষুধ ও খাবার পৌঁছে দিয়েছে। মানবতার চরম বিপর্যয়ের সময় করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে যখন লাশ ফেলে প্রিয়জনরা চলে গেছে, তখন লাশের দাফন বা সৎকারের ব্যবস্থা করেছে। করোনাকালে জনগণের সেবায় ১০৯ জন পুলিশ সদস্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন। তবুও পুলিশ সদস্যরা জনগণকে সেবা দেওয়া থেকে পিছপা হননি, তারা নিজের দায়িত্ববোধে ছিলেন অবিচল। করোনাকালে বাংলাদেশ পুলিশ সেবার যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা অত্যন্ত বিরল।

স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী চক্র কর্তৃক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড যেমন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজি ও পেট্রোল বোমাবাজদের প্রতিহত করার ক্ষেত্রে পুলিশের সফলতার কারণে উক্ত গোষ্ঠী বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে প্রতিপক্ষ বিবেচনায় প্রতিনিয়তই পুলিশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক সমালোচনায় লিপ্ত। স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী চক্র তাদের দোসর বিদেশে পলাতক সাইবার সন্ত্রাসী কর্তৃক ধারাবাহিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত তথ্য প্রকাশ করে পুলিশ কর্মকর্তাদের চরিত্র হননে ব্যস্ত। তাদেরই অনুকরণে ইদানিং কোন কোন গণমাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান ও প্রাক্তন সদস্য সম্পর্কে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মানহানিকর নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করছে, যা বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার হীন উদ্দেশ্য বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ ধরনের রিপোর্টের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোন তথ্যসূত্রের উল্লেখ নেই। তথ্যসূত্রবিহীন বাস্তবতা বিবর্জিত অতি কথিত এ ধরনের রিপোর্টে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদার সদস্যদের মনোবল ক্ষুন্নের পাশাপাশি পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। পলাতক সাইবার সন্ত্রাসীদের অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদার ভূমিকাকে জনসমক্ষে প্রশ্নবিদ্ধ করে পুলিশকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য কতিপয় মিডিয়া অত্যন্ত সচেতনভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে এক ধরনের কুৎসিত প্রচার যজ্ঞে শামিল হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এছাড়াও কোনো কোনো মিডিয়া হাউজ ব্যক্তিগত আক্রোশ ও নিজস্ব স্বার্থ রক্ষায় কোনো কোনো পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবমাননাকর নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করছেন, যা সাংবাদিকতার নীতিমালা বিরোধী।

এমতাবস্থায়, কি কারণে, কার উদ্দেশ্য হাসিল এবং কার ম্যানডেট বাস্তবায়নের জন্য কতিপয় মিডিয়া বাংলাদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে এ ধরনের কুৎসা রটনায় লিপ্ত- সেই প্রশ্ন উত্থাপন করা অযৌক্তিক নয়।

পুলিশ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বদা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আসছে। কোন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হয় না। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আমরা বিশ্বাস করি, গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। গণমাধ্যম কর্তৃক গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা বরাবরই স্বাগত জানাই। কিন্তু গণমাধ্যমে কোন খন্ডিত বা আংশিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ করতে চাই। গণমাধ্যমে কোনো ঘটনার সামগ্রিক চিত্র উঠে আসুক, সত্য উন্মোচিত হোক। গণমাধ্যমের রিপোর্ট হোক সত্যাশ্রয়ী ও বস্তুনিষ্ঠ। নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশে পাঠকের কাছে গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতা রয়েছে বলে মনে করি। অথচ কোনো এক রহস্যময় কারণে এক শ্রেণির মিডিয়া অতি সুকৌশলে বাংলাদেশ পুলিশকে বিতর্কিত করে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর অপচেষ্টায় মেতেছে, যা সৎ সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধকারী অপসাংবাদিকতারই নামান্তর বলে পরিগণিত।

গণমাধ্যমের এ ধরনের একপেশে আচরণ সাধারণ পাঠকের সঙ্গে প্রতারণারই শামিল। এ ধরনের অপসাংবাদিকতা বাংলাদেশ পুলিশের সৎ, নিষ্ঠাবান, পেশাদার ও দেশপ্রেমিক সদস্যদের মনোবল ধ্বংসের অপপ্রয়াস বলে প্রতীয়মান হয়, যা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এ ধরনের অপপ্রচার সন্ত্রাসীদের উৎসাহিত করা এবং দেশবিরোধী চক্রান্তের অপকৌশল কিনা তা বিবেচনার দাবি রাখে। ফলে, পুলিশি সেবাপ্রত্যাশী মানুষ তথা দেশ ও জাতি সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না । বাংলাদেশ পুলিশ কখনোই গণমাধ্যমের কাছে এ ধরনের অপেশাদারী সাংবাদিকতা প্রত্যাশা করেনা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা চাই, সমাজের সবার ন্যায়সংগত অধিকার সুনিশ্চিত হোক, সমাজ থেকে বঞ্চনা দূর হোক, মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত হোক। আমাদের প্রাণপ্রিয় স্বদেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে মর্যাদায় আলোকিত প্রাঙ্গণে উপনীত হোক।

বাংলাদেশ পুলিশ কখনোই গণমাধ্যমের কাছে এ ধরনের অপেশাদারী সাংবাদিকতা প্রত্যাশা করেনা। আমরা চাই, সমাজের সকলের ন্যায়সংগত অধিকার সুনিশ্চিত হোক, সমাজ থেকে বঞ্চনা দূর হোক, মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত হোক। আমাদের প্রাণপ্রিয় স্বদেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে মর্যাদায় আলোকিত প্রাঙ্গণে উপনীত হোক।

জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে কোনো ধরনের রিপোর্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিকতর সর্তকতা অবলম্বন ও সাংবাদিকতার নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণের জন্যও আমরা সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি। উপরের বক্তব্যটি যথাযথভাবে প্রকাশ বা প্রচারের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

 


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেস : ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা না করেই বিক্ষোভ কবলিত লস অ্যাঞ্জেলেসে হাজার হাজার ন্যাশনাল গার্ড ও ৭০০ মেরিন সেনা সদস্যকে মোতায়েন করায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের রাজ্য প্রশাসন।

রাজ্যের রাজধানী সান ফ্রান্সিসকো শহরের ফেডারেল আদালতে দায়ের করা এই মামলায় আসামি করা হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মার্কিন সংবিধান অনুসারে প্রেসিডেন্ট নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের কোথাও সেনা মোতায়েন করতে পারেন না এবং ক্যালিফোর্নিয়ার রাজ্যপ্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা না করেই লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড ও সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে ট্রাম্প সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছেন।

সেই সঙ্গে দাবি জানানো হয়েছে যে বর্তমানে ন্যাশনাল গার্ড এবং মেরিন বাহিনীর যেসব আধা সামরিক ও সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, তারা যেন এই বিক্ষোভ পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা ট্রাম্পের পরিবর্তে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলেন।

মামলা দায়েরের পর ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল রব বনতা সাংবাদিকদের বলেন, “লস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রাম্পের ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত অপ্রয়োজনীয়, বিপরীতমুখী এবং সর্বোপরি আইন বহির্ভূত।”

গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসন উচ্ছেদ এবং নথিবিহীন অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন ট্রাম্প। তার পর থেকে নথিবিহীন অভিবাসীদের শনাক্ত ও আটক করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অভিযান শুরু করে পুলিশ এবং মার্কিন কাস্টমস বিভাগের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা আইসিই।

তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যের দ্বিতীয় প্রধান শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিযানে নামে পুলিশ এবং আইসিই। প্রসঙ্গত, প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার নথিবিহীন অভিবাসী আছেন। এদের অধিকাংশই মেক্সিকো এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা। সাধারণত শহরতলী এলাকাগুলোতে তারা থাকেন।

গত ৬ জুন শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলেসের শহরতলী এলাকা প্যারামাউন্টে নথিবিহীন অভিবাসীদের শনাক্ত ও আটক করতে অভিযানে নামেন পুলিশ ও আইসিই সদস্যরা। তবে অভিযানের শুরুতেই তারা ব্যাপক প্রতিরোধের সম্মুখীন হন। প্যারামাউন্টের বাসিন্দারা তীব্র বিক্ষোভের পাশাপাশি পুলিশ ও আইসিই সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল, বোতল ও মলোটভ ককটেল বা পেট্রোল বোমা ছুড়তে থাকেন।

অবস্থা বেগতিক দেখে পরের দিন পুলিশ ও আইসিই সদস্যদের সহায়তার জন্য মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন আধা সামরিক বাহিনী হাজার ন্যাশনাল গার্ডের ২ হাজার সদস্যকে মোতায়েনের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটার পরিবর্তে সংঘাত আরও বাড়তে থাকে।

এই অবস্থায় গতকাল সোমবার লস অ্যাঞ্জেলেসে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড এবং তাদের সঙ্গে ৭০০ মেরিন সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাম্প।

আজ চার দিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে আছে লস অ্যাঞ্জেলেস। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার নিউইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকোতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রথম দফায় যখন লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের পাঠিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সে সময়েই এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম। সে সময় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। সোমবার লস অ্যাঞ্জেলেসে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য ও ৭০০ মেরিন সেনাসদস্য নামানোর পর সানফ্রান্সিসকোর ফেডারেল আদালতে এ মামলা করল ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য প্রশাসন।

মামলার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আনা কেলি সিএনএনকে বলেছেন, “নিউসাম নিজের মুখ বাঁচানো বা আত্মসম্মান রক্ষার জন্য এই মামলা করেছেন। এটা খুবই দুঃখজনক যে রাষ্ট্রের প্রয়োজন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তার থেকে নিজের আত্মসম্মানকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।”

এদিকে নিউসাম জানিয়েছেন, ট্রাম্প যদি ন্যাশনাল গার্ড ও সেনাদের প্রত্যাহার করেন, তাহলে তিনিও মামলা তুলে নেবেন।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্পের উদ্দেশে নিউসাম বলেছেন, “এই সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করার ক্ষমতা আপনার আছে। দয়া করে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করুন।


আরও খবর



গরমে হিটস্ট্রোক হওয়ার পূর্ব লক্ষণ এবং করণীয়

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

রক্তচাপের সমস্যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তা সেটি বেশি হোক বা কম। রক্তের চাপ স্বাভাবিক থাকা জরুরি। এটি বেশি হলে যেমন স্বাস্থ্যের ক্ষতি, তেমনি রক্তচাপ কমে গেলেও বিপদ ঘটতে পারে।

গরমে বেড়ে যায় নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা। সময়মতো সতর্ক না হলে এই কারণে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। এটি ক্লান্তি ও হৃদরোগের জটিলতাও সৃষ্টি করে। তাই রক্তচাপের সমস্যা থেকে বাঁচতে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি- 

গরমে রক্তচাপ কমে যায় কেন? 

গরমে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত ঘাম। অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইট বেরিয়ে যায়। র ফলে রক্তের পরিমাণ কমে গিয়ে রক্তচাপ কমে যায়।

গরমে শরীরের মধ্যে রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখতে রক্তনালিগুলো প্রসারিত হয়ে যায়। এতে কমে যেতে পারে রক্তচাপ। এছাড়াও, গবেষকদের মতে প্রচণ্ড গরমের কারণেও রক্তনালিগুলি প্রসারিত হয়। ফলে রক্তচাপ অনেকটাই কমে যেতে পারে। 

গরমে রক্তচাপ ঠিক রাখতে করণীয়:

১. প্রচুর পানি পান করুন: 

সারা দিন প্রচুর পানি পান করুন। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে। রক্তের পরিমাণও ঠিক থাকে শরীরে। ফলে সহজে নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয় না। পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় রাখুন লেবুর শরবত, ডাবের পানি, ওআরএস খেতে পারেন। 

২. সোডিয়ামের ঘাটতি পূরণ করুন: 

গরমে সোডিয়ামের ঘাটতি হলেও রক্তচাপ কমে যেতে পারে। এই ঘাটতি পূরণ করতে লেবুর পানিতে সামান্য লবণ, বাটারমিল্ক বা জিরার গুঁড়া দিয়ে নিন। এসব পানীয় সোডিয়ামের ঘাটতি মেটায়। এছাড়া খাদ্যতালিকায় রাখুন তরমুজ, শসা, কমলা, পেঁপের মতো ফল। 


আরও খবর



আগামী ২৫ বছর গরমকালে হজ হবে না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

হজ করতে আগামী ২৫ বছর যারা সৌদি আরব যাবেন, তাদের আর তীব্র গরম সইতে হবে না। ২০২৬ সাল থেকে শুরু করে হজযাত্রা ধীরে ধীরে বসন্ত, শীত ও শরতের মত তুলনামূলক ‘ঠান্ডা’ মৌসুমে চলে আসবে হবে বলে গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে।

দেশটির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র—এনসিএমের মুখপাত্র হুসেইন আল কাতানি বলেন, এবার যে হজ হলো, সেটা গ্রীষ্মের শেষ হজ। তিনি বলেন, আগামী আট বছর হজ হবে বসন্তে; পরের আট বছর শীতে। তারপর শরৎ পার করে আস্তে আস্তে তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে প্রায় ২৫ বছর পর গিয়ে গ্রীষ্মে ফিরবে।

এনসিএমের মুখপাত্র বলেন, চন্দ্রবর্ষের হিসাব ধরে ২৫ বছরের হজ পঞ্জিকা করা হয়েছে। হিজরি বর্ষপঞ্জির ভিত্তিতে ২০৫০ সাল পর্যন্ত হজের যেসব তারিখ পাওয়া গেছে, সেগুলো গ্রেগরিয়ান হিসাবে কবে পড়ে, তাও পঞ্জিকায় তুলে ধরা হয়েছে।

হিজরি বর্ষপঞ্জি চাঁদের গতিপথের ওপর নির্ভর করায় এটি গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির তুলনায় প্রায় ১১ দিন ছোট। আর ছোট হওয়ায় হজের সময় প্রতিবছর কিছুটা করে এগিয়ে আসে।

সেই হিসাবে ২০৫০ সালে গ্রীষ্মকাল ফিরে আসার আগ পর্যন্ত হজযাত্রীরা তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা আবহাওয়া পাবেন।

২০৫০ সাল পর্যন্ত হজের সূচি:

২০২৬ থেকে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বসন্তে (মে থেকে মার্চ)

২০৩৪ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত শীতে (ফেব্রুয়ারি থেকে জানুয়ারি, পরে ডিসেম্বর)

২০৪২ থেকে ২০৪৯ সাল পর্যন্ত শরতে (নভেম্বর থেকে সেপ্টেম্বর)

২০৫০ সালে আবার আগস্টে; অর্থাৎ গ্রীষ্মকালে

হজের সময়ের এই পরিবর্তনটি হাজিদের শারীরিক কষ্ট লাঘবে সহায়ক হবে। বিশেষ করে বয়স্ক এবং যাদের স্বাস্থ্য সমস্যায় রয়েছে। পাশাপাশি হজের সময় জনসমাগম পরিচালনা, লজিস্টিকস এবং নিরাপত্তা পরিকল্পনায় সহায়তা করবে।


আরও খবর



বকশীগঞ্জে বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদককে গ্রেফতার দাবিতে সভাপতির সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:রবিবার ০১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

মাসুদ উল হাসান,জামালপুর :

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান,সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া,বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপির কোষাধ্যক্ষ সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতের ছবি মাটিতে ফেলে অবমাননার অভিযোগ উঠেছে বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিলন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তাদের দুজনকেই দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন বাস মালিক সমিতির সভাপতি বিপ্লব সওদাগর। শনিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান তিনি। তার দাবি তারা দুজনেই আওয়ামীলীগের দোসর ছিলেন। তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন ও সাজানো দাবি করেছেন মিলন ও আমিনুল ইসলাম। এ ঘটনায় বকশীগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এখন মুখোমুখি অবস্থানে। 

জানা যায়,২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বকশীগঞ্জ বাস মালিক সমিতির কমিটি গঠন করা হয়। উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আবদুল্লাহ সওদাগর বিপ্লবকে সভাপতি ও মাহমুদুল হাসান মিলনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেন জেলা কমিটি। কমিটি গঠনের পর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড মোড়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিলনের একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সমিতির অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। অফিস কক্ষের দেয়ালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান,সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া,বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতের ছবি সাটিয়ে রাখা হয়। শুক্রবার (৩০) মে সন্ধ্যায় বকশীগঞ্জ বাস মিনিবাস মালিক সমিতির কার্যালয় থেকে ছবি গুলো নামিয়ে মাটিতে ফেলে রেখে অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বাস মালিক সমিতির সভাপতি যুবদল নেতা বিপ্লব সওদাগর। তার অভিযোগ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিলন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাৎক্ষনিক তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মিলন ও আমিনুলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। এবং রাতেই সাধারণ সম্পাদক মিলন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামহসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বাদী হন বাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির। 


সংবাদ সম্মেলনে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বাস মালিক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা যুবদলের আহবায়ক বিপ্লব সওদাগর বলেন,তারা দুজনেই (মিলন ও আমিনুল) আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী দোসর বলেই তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান,সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপির কোষাধ্যক্ষ সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতের ছবি মাটিতে ফেলে রেখে অবমাননার দু:সাহস দেখিয়েছেন। তিনি আরো বলেন মিলনের স্ত্রী ছিলেন ছাত্রলীগের পদধারী নেতা। আওয়ামীলীগের কোঠায় প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছেন। এডিসি স্ত্রীর দাপটে মিলন এখন শত কোটি টাকার মালিক। একাধিক বাস, প্রাইভেটকার,একাধিক ফ্ল্যাট সহ বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। ছবি অবমাননার জন্য  মাহমুদুল হাসান মিলন ও আমিনুল ইসলামকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচীর হুশিয়ারি দেন তিনি। 


অভিযোগকারী বাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। 


বকশীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান লাভলু বলেন,বিষয়টি অত্যান্ত দু:খজনক। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। বিষয়টি থানা পুলিশ ও উপজেলা বিএনপিকে অবহিত করেছি। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

 

তবে এই অভিযোগ মনগড়া ও সাজানো দাবি করেছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিলন ও আমিনুল ইসলাম। 

মাহমুদুল হাসান মিলন বলেন,বিপ্লব সওদাগরের কোন বাস নেই,তবুও তিনি সভাপতি। আমার গাড়ির মালিকানা সেজেই তিনি সভাপতি হয়েছেন। শুরু থেকেই তিনি একক ভাবে সব কিছু করতে চান। এতে নানা বিষয় নিয়ে তার সাথে আমার কিছুটা দুরত্ব সৃষ্টি হয়। তাই আমাকে হেয় করতে ছবি অবমাননার মিথ্যা নাটক সাজিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 


বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন,এটা মনগড়া বানানো কাহিনী। ছবিগুলো নিজেরাই মাটিতে ফেলে রেখে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। ক্ষমতার দাপটে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে সমাজে হেয় করছেন। 


বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শাকের আহাম্মেদ বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



নগদ আসলে কার! তৈয়ব না মিশুক!!

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

নিজস্ব সংবাদদাতা :

ভয়ংকর প্রতারণার মাধ্যমে গড়ে উঠা এক প্রতিষ্ঠানের নাম নগদ। মাস্তানি স্টাইলে ২০১৭ সালে জোর করে কার্যক্রমে আসে প্রতিষ্ঠানটি। শুরু থেকেই তারা প্রচার করতো ডাক বিভাগের প্রতিষ্ঠান নগদ। অথচ এই প্রতিষ্ঠানে ডাক বিভাগের এক শতাংশ শেয়ারও নেই। আশ্চার্যের বিষয় হলো- এখনও প্রতিষ্ঠানটিতে ডাক বিভাগের কোনো মালিকানা প্রতিষ্ঠা হয়নি। এ নিয়ে ডাক বিভাগের তেমন আগ্রহও নেই।


নগদ এখন অনেকটা বেওয়ারিশ সম্পত্তি। একদিকে ডাক বিভাগের এক শতাংশ মালিকানাও নেই। আরেকদিকে হাল ছেড়ে পলাতক এমডি তানভীর এ মিশুকদেরও সেখানে উল্লেখযোগ্য শেয়ার নেই। নগদ মূলত ৬টি শেল কোম্পানির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।যেসব প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত। যতোদূর জানা যায়, ওই ৬ শেল কোম্পানির মালিক আসলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় গং।


বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে বিগত সরকারের সময়ে  ৬৪৫ কোটি টাকার জাল ই-মানি ইস্যুর ভয়ংকর এক জালিয়াতির তথ্য উদ্ঘাটিত হয়। এছাড়াও আরও ২ হাজার কোটি টাকার জালিয়াতি করেছে তারা। এসব নিয়ে এখন তদন্ত শেষ পর্যায়ে। দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পালা। এ সময়ে একের পর এক ঘটনা!


আওয়ামী লীগ পতনের পর বিভিন্ন জালিয়াতির বোঝা মাথায় নিয়ে নগদ পরিচালনায় যুক্ত সবাই বিদেশে পালিয়েছে। এরকম অবস্থায় আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২১ আগস্ট থেকে প্রশাসক নিয়োগ করে সুশৃংখলভাবে প্রতাষ্ঠানটি পরিচালনা করে অসছিলো। এর মধ্যে গত ৭ মে আদালতের এক পাক্ষিক রায়ের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক আর নগদে বসতে পারছে না। পূর্ণাঙ্গ শুনানিও আর হচ্ছে না।এখন রায়ের পেছনে আসলে কি ছিলো!


বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা ছিলো প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়ব চাচ্ছেন না নগদে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ থাকুক। নিজের মতো করে তিনি প্রতিষ্ঠানটি চালাতে চান।


এখন দেখা যাচ্ছে নিজের পিএস আতিক মোর্শেদের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুইকে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরির ব্যবস্থা করেছেন। আরও কতো কি ঘটেছে নিশ্চয় জানা যাবে।


এখন প্রশ্ন হলো ফয়েজ আহমদ তৈয়ব কি সরকারের হয়ে নগদ পরিচালনা করছেন! নাকি তানভীর এ মিশুকদের (আসলে সজীব ওয়াজেদ জয়) হয়ে তিনি এই প্রতিষ্ঠান চালাতে চান!


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫