Logo
শিরোনাম

রাজাপুরে দিনের বেলায় গ্রীল কেটে টাকাসহ ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রাজাপুর, হাসিবুর রহমান :

ঝালকাঠির রাজাপুরে একটি বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি হয়েছে। বাসার শিক কেটে ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ১২ হাজার টাকা চোরেরদল চুরি করে নিয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দিনের বেলায় রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মোঃ মশিউর মেজবাহ কাজীর বসতঘরে এঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আতাউর রহমান। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মশিউর মেজবাহ কাজী গালুয়া বাজারে মুদি দোকানের ব্যবসা থাকায় তিনি দুপুরের খাবার খেয়ে সেখানে চলে যায়। তার স্ত্রী ফাতেমাতুজ যোহরা ভান্ডারিয়া উপজেলায় আল-আরাফাত ব্যাংকে চাকুরী করেন। দিনের বেলায় বাসা ফাঁকা থাকায় চোরদের দল এই সুযোগে ঘরের জানালার শিক কেটে প্রবেশ করে। স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পরে মশিউর মেজবাহর স্ত্রী বাসায় এসে দেখে জানালার শিক কাটা। ঘরের বিভিন্ন মালামাল এলোমেলো অবস্থায় পরে আছে। রুমের মধ্যে স্ট্রিলের আলমিরা, অয়ারড্রোপ ভাঙ্গা, মাটির মধ্যে গর্তে হাড়িতে রাখা স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। 

ব্যবসায়ী মোঃ মশিউর মেজবাহ কাজী বলেন, আমি প্রতিদিনের মতো দুপুরে খাবার খেয়ে দোকানে চলে এসেছি। আমার স্ত্রী ভান্ডারিয়া ব্যাংকে চাকুরী করায় তিনি সেখানে ছিলেন। আমার মা ঝালকাঠিতে চলে গেছেন। বাসা ফাঁকা ছিলো কেউ ছিলো না। এই সুযোগে চোরের দল শিক কেটে ঘরে প্রবেশ করে ৩০  ভরি স্বর্ণালংকার, ১১ ভরি রূপা ও নগদ ১২ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে।

এবিষয়ে রাজাপুর থানার ওসি মু. আতাউর রহমান বলেন, খবর শুনে ঘটনা স্থানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে আদানি

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশকে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার। আগামী তিন মাস পর এ সরবরাহ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিদ্যুতের দামে যে ছাড় ও কর-সুবিধা চাওয়া হয়েছিল, তা দিতে রাজি হয়নি আদানি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, গ্রীষ্ম মৌসুমের আগে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) অনুরোধে আগামী সপ্তাহ থেকে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহে রাজি হয়েছে আদানি পাওয়ার। ঝাড়খন্ডে অবস্থিত আদানি পাওয়ারের এই কেন্দ্র থেকে কেবল বাংলাদেশেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

সূত্র দুটি আরও জানিয়েছে, আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে রাজি হলেও ঢাকার অন্যান্য অনুরোধ মানতে রাজি হয়নি। গত মঙ্গলবার আদানি পাওয়ারের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করে বিপিডিবি।

বৈদেশিক মুদ্রা ঘাটতির কারণে বিদ্যুতের মূল্য পরিশোধে বিলম্ব হলে গত বছরের ৩১ আগস্ট বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে অর্ধেক করে দেয় গৌতম আদানির কোম্পানি। পরে গত ১ নভেম্বর ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেয় তারা। শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাবে, সে কারণে বাংলাদেশও বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দেয়; সেই সঙ্গে মূল্য পরিশোধের বিষয়টি তো ছিলই।

এদিকে আদানি পাওয়ার সম্পর্কে একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, আদানি পাওয়ার ছাড় দিতে রাজি নয়, এমনকি ১০ লাখ ডলারও নয়। বাংলাদেশ কেনো ছাড় পায়নি। তবে এ বিষয়ে বিপিডিবির চেয়ারপারসন রেজাউল করিমের মন্তব্য পায়নি রয়টার্স। এর আগে তিনি সংস্থাটিকে বলেছিলেন, আদানির সঙ্গে এখন আমাদের বড় কোনো সমস্যা নেই এবং তারা পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে যাচ্ছে। আদানি পাওয়ারের পাওনা পরিশোধের পরিমাণ মাসে সাড়ে ৮ কোটি ডলার থেকে বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে।

সম্প্রতি আদানি পাওয়ারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ক্রেতার চাহিদার সাপেক্ষে বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়; ক্রেতাদের চাহিদা সময় সময় পাল্টায়।

গত ডিসেম্বর মাসে আদানি পাওয়ারের মুখপাত্র বলেছিলেন, বিপিডিবির কাছে তাদের পাওনা প্রায় ৯০ কোটি ডলার; যদিও রেজাউল করিম তখন বলেছিলেন, এই অঙ্ক ৬৫ কোটি ডলার। মতভিন্নতা মূল কারণ হলো বিদ্যুতের শুল্ক হিসাবের পদ্ধতি।

এর আগে বিপিডিবি আদানি পাওয়ারের কাছে কয়েক লাখ ডলারের কর–সুবিধা এবং গত বছরের মে মাস পর্যন্ত যে ছাড় ছিল, তা পুনর্বহাল চেয়ে চিঠি দিয়েছিল।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




আমদানি-রপ্তানি শুল্কায়নে নতুন শর্ত

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

আমদানি-রপ্তানিতে শুল্কায়নের ক্ষেত্রে সাত সংস্থার ইস্যু করা সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট বাংলাদেশ সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেমের (বিএসডব্লিউ) মাধ্যমে দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ন্যাশনাল সিঙ্গল উইন্ডো প্রকল্প পরিচালক জুয়েল আহমেদ জানান, ৩১ জানুয়ারির পর থেকে আমদানি ও রপ্তানি পণ্য চালান শুল্কায়নের ক্ষেত্রে এই সাত সংস্থার ইস্যু করা সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট বিএসডব্লিউ সিস্টেমের মাধ্যমে দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ওই তারিখের পর কোনো ধরনের ম্যানুয়াল সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট গ্রহণ করা হবে না।

ন্যাশনাল সিঙ্গল উইন্ডো প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বিএসডব্লিউ মূলত একটি অনলাইন প্ল্যাটফরম, যা ব্যবহার করে একজন আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক পণ্য খালাসের জন্য প্রযোজ্য সব ধরনের সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিটের (সিএলপি) জন্য অনলাইনে আবেদন করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিএলপি সংগ্রহ করতে পারবেন। সিএলপি গ্রহণের আগে বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন) ব্যবহার করে বিএসডব্লিউ সিস্টেমে নিবন্ধন করতে হবে।

এই সিস্টেম ব্যবহারের ফলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে সেগুলো হলো—একটি কমন প্ল্যাটফরমে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের জন্য প্রযোজ্য সার্টিফিকেট, লাইসেন্স এবং পারমিটসংক্রান্ত সব কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা কর্তৃক যুগপত্ভাবে অনলাইনে সম্পন্ন করা হবে। সরকারি কাজে ব্যক্তিগত যোগাযোগ (হিউম্যান ইন্টারেকশন) না থাকায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সময় ও ব্যয় কমবে। দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মহার্ঘ ভাতা পাবেন কি পাবেন না সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

 সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মহার্ঘ ভাতার বিষয় থেকে সরকার সরে আসছে কি না— এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা কে দিলো? কে ঘোষণা দিয়েছে আমি জানি না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আসলে তারপরে সিদ্ধান্ত নেব, দেব কি দেব না। তারপর ঘোষণা দেব।

এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাবনা গেছে কি না, জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা তো এখনো ঘোষণা দেইনি। আমিতো এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি।

সম্প্রতি সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার খসড়া প্রস্তুত করেছিল অর্থ বিভাগ। তবে ইতোমধ্যে পাওয়া সরকারি চাকরিজীবীর বাড়তি ৫ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) বাদ দেওয়ার সুপারিশও করা হয়। অর্থ বিভাগের হিসাবে এটি বাস্তবায়নে এক অর্থবছরে বাড়তি খরচ হবে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

অর্থ বিভাগের খসড়া প্রস্তাবে ব্যয় কিছুটা কমাতে ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও প্রথম থেকে দশম গ্রেডের কর্মচারীদের ১০ বা ১৫ শতাংশ হারে ভাতার বিষয়টি আলোচনায় ছিল। এ ক্ষেত্রে প্রথম থেকে দশম গ্রেডে ১০ শতাংশ দেওয়া হলে পাঁচ হাজার কোটির কিছু বেশি টাকার প্রয়োজন ছিল। আর ১৫ শতাংশ দেওয়া হলে ব্যয় আরেকটু বেড়ে দাঁড়াত– প্রায় ৫ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগ এ পরিমাণ টাকার সংস্থান করে সংশোধিত বাজেটে তা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করে।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নতুন করে যুক্ত হতে পারেন ৩৭ লাখ ভোটার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভোটার হালনাগাদে ৩৭ লাখের বেশি নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া প্রায় ১০ লাখের মতো মৃত ভোটারেরও তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) তথ্য সংগ্রহের শেষ দিনে এমন তথ্য জানা গেছে।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর জানান, রবিবার পর্যন্ত আমরা ১০ লাখ ৩৯ হাজার ২২০ জন মৃত ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করেছি। আর নতুন করে ভোটার হবেন এমন ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮৪ জন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করেছি। সোমবারের তথ্য এখনো যোগ হয়নি। তাই এই সংখ্যা বাড়তে বা কমতে পারে।

গত ২০ জানুয়ারি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিল নির্বাচন কমিশন। গতকাল ছিল তথ্য সংগ্রহের শেষ দিন।

৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি গ্রহণের কাজ, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। ২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এর আগে ভোটার তালিকা হালানাগাদ করা হয়েছে ছয়বার। ২০০৯-২০১০, ২০১২-২০১৩, ২০১৫-২০১৬, ২০১৭-২০১৮, ২০১৯-২০২০ ও ২০২২-২০২৩ সালে


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




শৈতপ্রবাহে কাঁপছে পঞ্চগড়, বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

কনকনে হিমশীতল বাতাস এবং ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। তীব্র শীত এবং ঘন কুয়াশার সঙ্গে ঝরছে শিশির, সূর্যের দেখা মিলছে না গত তিন দিন ধরে। এর ফলে শীতের দাপটে কাঁপছে পুরো জেলা। প্রতিনিয়ত তাপমাত্রার ছন্দপতন ঘটছে। উত্তর হিমালয় অঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস এবং ঘন কুয়াশার কারণে মৃদু শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে এ জেলায়। সারাদিন হিমেল বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতের প্রকোপ।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ। এর আগে শুক্রবার এ জেলায় ১০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে উত্তর হিমালয় থেকে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস। অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন। হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কিছুটা কাহিল হয়ে পড়েছে। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হচ্ছেন।

অপরদিকে, তীব্র শীতে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজারগুলো অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে। দিনের বেলা সূর্যের দেখা না মিললেও ঠান্ডা বিরাজ করছে, ফলে অনেকেই কাজে যাচ্ছেন না। ভোরে হালকা কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলো চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অত্যধিক হওয়ায় দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিলছে না এবং সূর্যের কাঙ্ক্ষিত তাপ পাওয়া যাচ্ছে না। আজ শনিবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২-১৩ কিলোমিটার।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫