Logo
শিরোনাম
ছেলে ও দলিল লেখক শ্রীঘরে

রাজবাড়ীতে মৃত্য বাবাকে জীবিত দেখিয়ে দলিল !

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি.রাজবাড়ী ঃ

রাজবাড়ী শহরের শ্রীপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় পিতার মৃত্যুর চার মাস পর ছেলে কর্তৃক জাল হেবা দলিল সৃজনের অভিযোগে ছেলে মোঃ রহিম মিয়া ও দলিল লেখক গনেশ চন্দ্র বৈদ্যকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। 

রবিবার ( ২৪ জুলাই ) রাজবাড়ীর ১ নং আমলী আদালতে অভিযুক্ত মোঃ রহিম মিয়া ও দলিল লেখক গণেশ চন্দ্র বৈদ্য উপস্থিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় জামিনের আবেদন জানালে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সুমন হোসেন তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

এর আগে ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাজবাড়ীর ১ নং আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন পাশর্^বর্তী গোপিনাথদিয়া এলাকার বাসিন্দা বাসটার্মিনাল সংলগ্ন ম্যাকানিক্যাল গ্যারেজ ব্যবসায়ী মোঃ হারুন অর রশীদ।

জানাগেছে, মামলা দায়েরের পর আদালত গত ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর অভিযোগ তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশনার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি রাজবাড়ীর উপ-পুলিশ পরিদর্শক কাজী শাওন দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। সিআইডি রাজবাড়ীর অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মোঃ মোজাম্মেল হক গত ৭ মার্চ প্রতিবেদন আদালতে অগ্রগামী করেন।

মামলার আরজীতে উল্লেখ করা হয়, রাজবাড়ী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন শ্রীপুর মৌজার মধ্যে এসএ-৪১৫ যাহা প্রস্তাবিত ৪১৫/৩ নং খতিয়ানভূক্ত , আরএস-৭৯০ নং দাগে ২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর তারিখে ৮৫৪২, ২০১০ সালের ৯ মে তারিখে ৩৭৩৪, ২০১০ সালের ১২ জুলাই তারিখে ৫৭১৫, ২০১১ সালের ৫ এপ্রিল তারিখে ২৭৯৩, ২০১১ সালের ২৬ অক্টোবর তারিখে ৮১৪২, ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রæয়ারী তারিখে ১৭১৫ এবং ২০১৩ সালের ৫ মার্চ তারিখে ১৮০১ নং কবলা দলিল মূলে ১২.২৬ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে সরেজমিন ভোগদখলদার হন। পরবর্তীতে বাদী হারুন অর রশীদ নাম পত্তন পূর্বক প্রস্তাবিত ৪১৫/৩ নং খতিয়ান প্রাপ্ত হয়ে উক্ত জমি হতে ৯.০৭ শতাংশ জমি সোনালী ব্যাংক লিঃ রাজবাড়ী উপজেলা কমপ্লেক্স শাখায় মর্টগেজ প্রদান করেন।  

কিন্তু গত ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ ইং তারিখে রাজবাড়ী সদর সাব-রেজিষ্টার অফিস হতে রেজিষ্ট্রিকৃত  ২২২৪ নং হেবা ঘোষণা দলিল, মৌজা শ্রীপুর, জেএল নং-এস.এ ৯৭, বিএস-১৫৬ নং, খতিয়ান নম্বর-এসএ ৪১৫, বিএস ডিপি ৪১২ নং খতিয়ানভূক্ত , দাগ নম্বর এসএ-৭৯১, বিএস-১৬২৯ নং দাগে জমি ১৩.৮৭ শতাংশ জমির কাত ০৫.৫০ শতাংশ জমি আসামী মোঃ রহিম মিয়া হেবা দলিলমূলে সৃজন করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজবাড়ী সদর সাব রেজিস্টার অফিসে সংরক্ষিত ভলিউম যাচাই করে উল্লেখিত হেবা ঘোষণা দলিল (নং-২২২৪ তারিখ-১৩/০৩/২০১৮) সম্পাদনার বিষয়ে নিশ্চিত হন। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজবাড়ী পৌরসভায় মৃত আঃ আজিজ মিয়ার মৃত্যু সনদ যাচাইকালে পৌরসভার প্যানেল মেয়র নির্মল কৃষ্ণ চক্রবর্তী শেখর একটি প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করেন। উক্ত প্রত্যয়ন পত্রে রাজবাড়ী পৌরসভার গত ২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর ইং তারিখে ২৪ নং বহির ৪৮৯৭ নং ক্রমিকের মৃত্যু নিবন্ধনে আঃ আজিজ মিয়ার মৃত্যুর তারিখ ০৫/১১/২০১৭ উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু পুত্র রহিম মিয়া কর্তৃক হেবা দলিল সম্পাদিত হয়েছে ১৩/০৩/২০১৮ ইং তারিখে। এছাড়া উক্ত দলিলে উল্লেখিত স্বাক্ষী চরলক্ষীপুর এলাকার জনৈক আলমগীর হোসেন ও ভবানীপুর এলাকার নুর হোসেন এর  কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। 

এবিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদনে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা প্রতীয়মান  হওয়ায় আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে সমনের আদেশ দেন। ধার্য্য তারিখে আসামীদ্বয় আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কায়ছুন্নাহার সুরমা গত ২২/০৫/২০২২ ইং তারিখে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানার আদেশ দেন। 

অভিযোগ রয়েছে, আসামীদ্বয় সুকৌশলে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগসাজশে মৃত আঃ আজিজ মিয়ার একটি জাল মৃত্যু সনদ প্রস্তত করেন। ওই জাল সনদ আদালতে উপস্থাপন করে আদালতকে ভুল বুঝিয়ে আসামীদ্বয় জামিন হাসিল করেন। ওইদিন বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পরবর্তী ধার্য তারিখে হাসপাতালের মৃত্যু রেজিষ্টার তলব করেন।

রবিবার (২৪ জুলাই) আসামীদ্বয় রাজবাড়ীর ১ নং আমলী আদালতে পুনরায় জামিনের আবেদন জানালে আদালত হাসপাতালের রেজিস্টার পর্যবেক্ষণ করেন। একই সময় বাদীপক্ষের আইনজীবীগণ হাসপাতালের মৃত্যু রেজিস্টারের ১৭৬/১ নং ক্রমিকে জাল ও তঞ্চুকতার আশ্রয় নিয়ে ১১/৫/২০১৮ তারিখে আঃ আজিজ মিয়া মৃত্যুবরণ করেছেন মর্মে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগসাজশে হাসপাতালে রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করেছেন। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আসামীদ্বয়কে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। 


আরও খবর



নওগাঁয় ঈদের দিন বিষাক্ত মদপানে কলেজ পড়ুয়া ৩ বন্ধুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ঈদের দিন বিষাক্ত মদপানে ৩ জন কলেজ পড়ুয়া বন্ধুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। খবর পেয়ে ঈদের দিন বৃহস্পতিবার দিবাগত ৮টারদিকে নওগাঁর মান্দা থানা পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য নিহত ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহত ৩ জনের অপর আরেক বন্ধু গা ঢাকা দিয়েছে। হা ঢাকা দেওয়া বন্ধু হলেন মুক্তার হোসেন।

নিহত ৩ জন নওগাঁর মান্দা উত্তরা ডিগ্রি কলেজ এর একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানাগেছে। নিহত ৩ জন হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়ন এর পাকুড়িয়া গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে শারিকুল ইসলাম ওরফে পিন্টু (২২), পাকুড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ এর ছেলে আশিক হোসেন (২২) ও প্রসাদপুর ইউনিয়ন এর দ্বারিয়াপুর গ্রামের  নেকবর আলীর ছেলে নাঈমুর রহমান ওরফে নিশাত (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মান্দা উপজেলার বিলউরাইল গ্রামের মাঠে ৪ জন যুবক এক সঙ্গে মাদপান করে। মদ পানের কিছু পরই তারা অসুস্থ হয়ে পরলে। তাদের উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ 

নেওয়ার পথে আশিক এর মৃত্যু হয়। অপর দু' জনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন। মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আনন্দ কুমার বলেন, হাসপাতালে আনার পূর্বেই পিন্টু ও নিশাতের মৃত্যু হয়েছে। 

এব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ

মোজাম্মেল হক কাজী প্রতিবেদক কে ৩ জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ৩ জনের মৃতদেহ ময়না তদন্ত এর জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর পস্তুতি চলছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে রাজধানীর নিরাপত্তা জোরদার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

ঈদের আনন্দ পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। ফাঁকা ঢাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো ঘটনা মোকাবিলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বৈঠক হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে। চুরি ছিনতাইসহ ঈদকেন্দ্রিক সব ধরনের অপরাধ দমনে দেয়া হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশনা। মহাসড়কেও ডাকাতি ছিনতাই রোধে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

গ্রামে ছুটছে মানুষ। উপলক্ষ ঈদ, তাই আগ্রহটাও বেশি, সংখ্যাও অনেক। তবে এবারের ঈদে মানুষ ঢাকা ছাড়ছে অন্যান্য বারের চেয়ে কিছুটা বেশি। কারণ লম্বা ছুটি।

ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা সাধারণ মানুষের চাপও বাড়ছে। এতে ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানী। আর ফাঁকা ঢাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা অপ্রতাশিত নয়। বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে স্বর্ণের দোকান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা বেশি ঘটে। মহানগর পুলিশ বলছে, এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। বৈঠক হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে। দেয়া হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশনা।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, বাড়িওয়ালা এবং দোকান মালিকদের নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথার্থ করে রাখার কথা বলা হয়েছে। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার, অফিসার ইনচার্জ, বিওপি (বর্ডার আউটপোস্ট) পুলিশ অফিসারদেরকে এ বিষয়ে বলা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, ১৪টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে নগরবাসীকে। এর মধ্যে অন্যতম অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি।

এ বিষয়ে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ঢাকার বাসিন্দাদেরকে খুব দামি জিনিসপত্র থাকলে সেটিকে সাবধানে রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া যারা গ্রামে যাচ্ছেন, তারা প্রত্যেকে যেন গ্যাসের চুলাগুলো বন্ধ করে যান। গ্যাস সিলিন্ডার থাকলে যেন সাবধানে নিরাপদ জায়গায় বন্ধ করে রেখে যান।

এদিকে হাইওয়েতে ডাকাতি, ছিনতাইরোধে তৎপর আছে পুলিশ। ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।

ঢাকার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ঈদযাত্রা যেন সুন্দর, নির্বিঘ্ন এবং যানজটমুক্তভাবে নিরাপদে আনন্দমুখর পরিবেশে হয়, সেটি নিশ্চিত করতে আমাদের জেলা পুলিশের ১ হাজার ২০০ সদস্য ট্রাফিক এবং নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত থাকবেন।

সব ব্যাংক এবং এটিএম বুথের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি ঢাকায় প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার পথে থাকছে ২৪ ঘণ্টার চেকপোস্ট।


আরও খবর



নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নড়িয়া, শরীয়তপুর প্রতিনিধি :

শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের জাকির খারকান্দি জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ককটেল ফুটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। 

এ ব্যাপারে হাবিব  মাদবর বাদী হয়ে বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়ান ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে সি আর ৯১ /২০২৪ শরীয়তপুরে ২৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। 

আসামিরা হলেন বাবুল মাতবর,আবুল মাদবর,রাসেল মাদবর,সিয়াম মাদবর,আনোয়ার মৃধা,অনিক মৃধা, ফরিদ মুন্সী,নূর হোসেন মুন্সী,মোজাম্মেল মুন্সী,আজাহার মুন্সী,মেহেরাব মুন্সী,সেলিম চৌধুরী,অনিক চৌধুরী,মোহাম্মদ শাহিন সহ ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। 

মামলার বিবরণীতে জানা যায় সোমবার  রাত ১১ টার সময় ককটেল ফুটিয়ে আসামিরা আমার দুইটি বসত  ঘর দরজা-জানলা ভাঙ্গিয়া ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিয়া  লুটপাট করে এবং ঘর ভাঙচুর করে আসবার পত্র নিয়ে যায়। আমি ৯৯৯  ফোন দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল তদন্ত করে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। আমি নড়িয়া থানায় অভিযোগ করলে মামলা আমলে নেয়নি পুলিশ। তাই আমি শরীয়তপুর আদালতে মামলা করি। বর্তমানে আমিও আমার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। আমার বসত বাড়ি  তফসিল বনিত ভুমিতে আমার ছোট ভাই ফজলুর রহমান ও ভাতিজা মাহবুব মাদবর বসবাস করছে। জমির মোজা ১৬ নং জপসা বি আর,এস ১৫৫৫ খতিয়ান ভুক্ত বি আব এস ৫৩২৬ নং দাগে ২২ শতাংশ। 

বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়ান ম্যাজিস্ট্রেট সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মামলাটি  শরীয়তপুর ডিবি নির্দেশ প্রদান করেন। 

মামলার বাদী হাবিব বলেন আমার সৎ ভাই বাদশা মাদবর দীর্ঘদিন যাবত এই জমিটি ভোগ করার জন্য হামলা মামলা দিয়ে আমাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে অনেক ক্ষতি করছে। 

তার মৃত্যুর পরে তার পরিবারের লোকজন আবার আমাদের মামলা হামলা দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি করছে। বর্তমানে কোর্টে মামলা দিয়েও জীবনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি পুরো পরিবারের লোকজন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্পদ ফিরে পেতে চাই।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে সারাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন খেটে খাওয়া শ্রমিকরা।

দেশের চার জেলায় এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। বয়ে যাওয়া এ দাববাহ আগামী কয়েকদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এছাড়া সারা দেশে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ।

তবে দেশের দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলের তুলনায় পশ্চিমাঞ্চলে এ তাপপ্রবাহ বেশি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসময় আবহাওয়া নিয়ে ভালো কোনও খবর নেই সংস্থাটির কাছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গরম আরও বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়লেও রাতে অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এ তাপমাত্রা বেড়ে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।


আরও খবর



অগ্নিনির্বাপন বিধিমালা মানছে না কেউ

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সম্প্রতি ভয়াবহ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের মুখোমুখি হয়েছে দেশবাসী। কোনও ঘটনা থেকেই পরবর্তী দুর্ঘটনা রোধে তেমন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি কর্তৃপক্ষকে। সর্বশেষ গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সমালোচনার পর নড়েচড়ে বসেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। যথাযথ অগ্নিপ্রতিরোধব্যবস্থা না রাখায় রাজধানীর অনেক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে এসব সংস্থা। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা পাওয়ায় সিলগালাসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে।

কোনও অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক হতাহত হওয়ার পর অভিযানে নামে সিটি করপোরেশন ও রাজউক। কয়েক দিন চলার পর এসব অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। গত বছর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার সার্ভিস, সিটি করপোরেশন বিভিন্ন ভবনে মার্কেটে অভিযান চালিয়েছে। অগ্নিকাণ্ড নীতিমালা যারা মানেনি, তাদের সতর্ক করে নোটিশ দিয়েছিল। কয়দিন পর অভিযান বন্ধ করে দেয়।

এবার আবার বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের দুই দিন পর একযোগে আবার অভিযানে নামে বিভিন্ন সংস্থা। তিন দিন অভিযান চালিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আর কোনও সাড়াশব্দ নেই। এভাবেই একটা ঘটনা ঘটে আর সংস্থাগুলো তৎপর হয়; তা-ও খুব অল্প সময়ের জন্য।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, বিভিন্ন ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশ আমলে নেয় না রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টরা। রাজধানীতে দুর্ঘটনা ঘটলেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত ভবন-মার্কেটের অনুমোদন না থাকা বা ঝুঁকিপূর্ণ থাকার বিষয়টি সামনে আনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।

তারা বলছে, ফায়ার সার্ভিস সরেজমিনে অগ্নি-সতর্কতা নোটিশ দিলেও তা আমলে নিতে চান না অধিকাংশ মার্কেট দোকান মালিক প্রতিষ্ঠান ও ভবনের মালিকরা। নানাভাবে ম্যানেজ করে অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা ছাড়াই ভবনগুলোয় কার্যক্রম রাখা হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে।

ফায়ার সার্ভিসের সূত্র বলছে, যথাযথ জবাবদিহি ও সতর্কতার অভাবেই ঘটছে ভয়াবহ এসব অগ্নিকাণ্ড। সংস্থাটি জানায়, তাদের কাজ হলো, কোনও ভবনে প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা না রাখা হলে নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নোটিশ দেওয়া। এরপরও যদি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে ফের নোটিশ দেয় ফায়ার সার্ভিস।

তবে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কেউ যদি নীতিমালা অমান্য করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার ফায়ার সার্ভিসের নেই। ফলে সংস্থাটি যেন নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত চালাতে পারে, এ জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করা উচিত।

২০২৩ সালে রাজধানীর ৫৮টি বিপণিবিতান পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস। পরিদর্শন শেষে তাদের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সব কটি বিপণিবিতানই অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ৯টি বিপণিবিতান অগ্নিকাণ্ডের জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করে ফায়ার সার্ভিস। বাকি ৪৯টির মধ্যে ৩৫টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ১৪টি মাঝারি মাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ।

গত বছরের ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লেগে প্রায় পাঁচ হাজার দোকান পুড়ে যায়। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল পাশের মার্কেট মহানগর কমপ্লেক্স পর্যন্ত। এমন ভয়াবহু অগ্নিকাণ্ডের পরও ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা এখনও সতর্ক হননি। টিন আর কাঠ দিয়ে তৈরি করা দ্বিতীয় তলাবিশিষ্ট ওই মার্কেটটিতে অগ্নিঝুঁকি নিয়েই ব্যবসা করে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মার্কেটিতে যেমন রয়েছে সরু পথ, তেমনি নেই কোনও ধরনের অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা। এ ছাড়া বঙ্গবাজারে এনেক্সকো টাওয়ারের বেসমেন্টে দোকান খুলে এখনও দেদার চলছে ব্যবসা।

শুধু মহানগর কমপ্লেক্স, এনেক্সকো টাওয়ারই নয়, সরেজমিনে দেখা যায়, অগ্নিঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করছে রাজধানীর আরও কয়েকটি মার্কেট। এর মধ্যে রয়েছে নিউ মার্কেটের নূর ম্যানশন ও গাউছিয়া মার্কেট। দোকান খুলে ব্যবসা করছে নিউ মার্কেটের গ্লোব শপিং সেন্টারের আন্ডারগ্রাউন্ডেও।

জানতে চাইলে এনেক্সকো টাওয়ারে নিচতলার আকসান ফাহিম ফ্যাশনের ব্যবস্থাপক সোলেমান বাদশা  বলেন, এত বড় অগ্নিকাণ্ডের পরও অগ্নিঝুঁকি বিষয়ে কোনও প্রশিক্ষণ আমাদের দেওয়া হয়নি। অগ্নি প্রতিরোধের তেমন কোনও ব্যবস্থা আমরা পাইনি। আমি প্রতি মাসে সার্ভিস চার্জ দিচ্ছি। তাহলে আমি কেন সুবিধাটা পাচ্ছি না? আমরা সব হারিয়ে এখন নতুন দোকান শুরু করেছি। এসব দায়িত্ব তো মার্কেট সমিতির!

এ বিষয়ে এনেক্সকো টাওয়ারের পরিচালক আল-মামুন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের পর মার্কেটে অনেক কাজ করা হয়েছে। বসানো হয়েছে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র। তবে আমাদের এখনও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আরও কী কী সুবিধা বাড়ানো যায়, মার্কেটকে কীভাবে নিরাপদ রাখা যায়, সে জন্য আমরা কাজ করছি। সম্প্রতি ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আমাদের মার্কেট এসে ভিজিট করে গিয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে গেছে। সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। প্রশিক্ষণের বিষয়ে যেটি বলা হচ্ছে, সেটিও আমরা দ্রুত ব্যবস্থা করবো।

শুধু কমিটির দোষ দিলেই হবে না মন্তব্য করে প্রশ্ন রাখেন তিনি, কতজন দোকানদার অগ্নি বিষয়ে সচেতন? কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করবে, অথচ সামান্য টাকা দিয়ে দোকানে একটি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র বসাবে না? সেটির ব্যবস্থা রাখবে না তারা?

রাজধানীর কয়েকটি মার্কেটের ব্যবসায়ীর ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের মধ্যেও অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে আগ্রহ কম। এ বিষয়ে অনেকের জ্ঞান শূন্য। বছর পর বছর ব্যবসা করছে, অথচ অনেক দোকানমালিক ও কর্মচারীর অগ্নি প্রশিক্ষণের বিষয়ে কোনও ধারণাই নেই। এমনই দুজন মহানগর কমপ্লেক্সের রিম গার্মেন্টসের মালিক মো. মামুন ও গাউছিয়া মার্কেটের ফিমা ফ্যাশনের পরিচালক নাসিরু উদ্দিন বাবু।

নাসিরু উদ্দিন বাবু বলেন, সব মার্কেটের একই অবস্থা। কোনও কিছু ঠিক নেই। প্রশিক্ষণ কারা দেবে? আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানি না। সব তো মার্কেট সমিতির কাজ।

এ প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া) শাজাহান শিকদার বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কাজ হলো কোনও ভবনে প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা না রাখা হলে নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নোটিশ দেওয়া। এরপরও যদি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে ফের নোটিশ দেওয়া হয়। তবে কেউ যদি নীতিমালা না মানে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার নেই সংস্থাটির।

ফলে যেহেতু বাধ্যবাধকতা নেই, সেই সুযোগটাই নিচ্ছেন ভবনমালিকরা মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাদের মধ্যে অগ্নিনীতিমালা মানার উদাসীনতা রয়েছে। আমরা বারবার ভবন পরিদর্শন যাচ্ছি, নোটিশ দিচ্ছি; যারা না মানছে, তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও ব্যবস্থা চাইলেও নিতে পারছি না। তবে মাঝেমধ্যে প্রশাসনের অনুমোদন নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সেটিও অল্প সময়ের জন্য।

মানবাধিবার কমিশন চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রীয় সংস্থা হিসেবে রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, সিটি করপোরেশন তাদের ভূমিকা কি কেবল নোটিশ দেওয়া? বেইলি রোডের ভবনটিতে বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রভাবশালী মহলের চাপ ছিল বলে শোনা যাচ্ছে। যে কারণে ভবনটিকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনায় শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে বাণিজ্যিক ব্যবহার ও রেস্তোরাঁ পরিচালনা দুটি ভিন্ন ব্যবহার। যেখানে মাত্র একটি সিঁড়ি, এমন একটি ভবনে রেস্তোরাঁ চলতে পারার কথা নয়।

ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ডে সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা প্রভাবশালী, তারা কি এতগুলো মানুষের জীবনের চেয়েও প্রভাবশালী? তারা কীভাবে দিনের পর দিন এগুলোর পুনরাবৃত্তি করছে? এত দুর্ঘটনার পরও কি রাষ্ট্রের টনক নড়বে না?

এদিকে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) বলছে, ইস্যু করার ক্ষেত্রে যেসব নথিপত্র প্রয়োজন হয়, তার ভিত্তিতেই ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়। পরে ব্যবসায়ীরা নিজেদের সুবিধামতো ব্যবসার শ্রেণি পরিবর্তন করলেও তা আর জানায় না।

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, অনেক ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়ার সময় ব্যবসায়ীরা যে ঠিকানা ও ব্যবসার শ্রেণি উল্লেখ করে, পরে তা পরিবর্তন করে ফেলে। নিয়মিত অভিযান চালালেও সব ক্ষেত্রে তা আমাদের নজরে আসে না।

ফায়ার ও দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ করতে হলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শুধু ফায়ার সার্ভিস একা তা পারবে না। ফায়ার সার্ভিসের নিজস্ব কোনও আইন নেই। অগ্নিনীতিমালা তাদের সুপারিশ যেন মানতে বাধ্য হয়, সেই ক্ষমতা ফায়ার সার্ভিসকে দিতে হবে। যারা অনিয়ম করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট সংস্থা যেমন সিটি করপোরেশন, রাজউক, এফবিসিসিআই, ব্যাংকসবাই যদি তাদের কাজটি যথাযথভাবে পালন করে, ভবন নির্মাণের ছাড়পত্র, ব্যবসার লাইসেন্স ও ব্যাংকঋণ দেওয়ার আগে ভবন বা ওই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অগ্নিনীতিমালা মানছে কি না, এসব যাচাই-বাছাই করে তারপরই অনুমতি দিতে হবে। এককথায় ভবন মালিকদের নিয়মের জালে আনতে হবে। তাহলেই অগ্নিকাণ্ড কমানো সম্ভব।


আরও খবর