Logo
শিরোনাম

রাজবাড়ীতে ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে মোটর সাইকেল আরোহীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি,রাজবাড়ী :

রাজবাড়ীর পাংশায় ড্রামট্রাক ও মোটর সাইকেলের সংঘর্ষে মোটর সাইকেলের আরোহী শাহারুল ইসলাম সাহা ওরফে শহর আলী (৭০) মৃত্যু  হয়েছে। 

তিনি পাংশা উপজেলার শিয়েলডাঙ্গী গ্রামের শীতল মন্ডলের ছেলে। এ সময় কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার বসুয়া গ্রামের মৃত লতিফ শেখের ছেলে আইউদ্দিন শেখ (৭৫) আহত হয়েছেন। শুক্রবার ( ৩ ফেব্রুয়ারী ) বিকেলে  রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেল আরোহী পাশের সড়ক থেকে মহাসড়কে উঠার সময় কুষ্টিয়া থেকে রাজবাড়ীগামী একটি ড্রাম ট্রাক এসে পিছন থেকে ধাক্কা দিলে ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয় ও একজন গুরুতর আহত হয়। আহত ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে খোকসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা ঘাতক ড্রাম ট্রাকটি ও চালককে আটক করে। 

পাংশা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি ) মোঃ লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ এসে, ট্রাকটি জব্দ করে ও চালককে পুলিশের হেফাজতে নেয়। এবং মৃত ব্যক্তিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে 


আরও খবর



অবাধ সুস্ঠু নির্বাচনের রুপ‌রেখা‌ দি‌বে জাতীয়পার্টি - জিএম কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক,কুমিল্লা :

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করছিনা । মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি হতে পারি,পা‌কিস্থানীরা ও বৃটিশের যা করেছিলো তাই করছি।

 জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, জাতীয়পার্টি মনে করে অবাধ সুস্ঠু নির্বাচন বর্তমান সংবিধান অনুয়ায়ী হবে । তার বিস্তারিত বিবরণ জাতীয়পার্টি দিবে যদি সরকার চায়। 

সরকারের সমালোচনা করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন- সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে,  শ্রীলংকা যে কাজ করেছে বাংলাদেশও তাই করে‌ছে।  বড় প্রকল্পের জন্য যে লোন নেয়া হয়েছে তা অনেক বেশি। বড় লোন নিয়ে শ্রীলংকা দিতে পারে নাই। যার জন্য শ্রীলংকা দেওলিয়া হয়ে গেছে।দেশ দেওলিয়া হয়ে গেছে। বাংলাদেশের বড় প্রকল্পের বিনিয়োগ বেশি। কয়েকদফা সময় বৃদ্ধি করেও কাজ শেষ করতে পারছেনা। ফলে রির্জাভ থেকে লোনের টাকা দিতে হচ্ছে। 

শনিবার বিকালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্ত‌ব্যে আওয়ামীলীগ ও বিএন‌পির সমা‌লোচনা ক‌রে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন- ৩২বছর আওয়ামীলীগ ও বিএনপি দুটি জামিল সরকার এদেশকে শেষ করে দিয়েছে। লুটপাট, দূনীর্তি এমন কোন কাজ নেই এই দুটি দল করেনি। 

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক এয়ার আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতি,এডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া,কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ আলমগীর কবির মজুমদার। 

সম্মেলনে কেন্দ্রিয় ও জেলার নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য দেন।এসময় কুমিল্লার দক্ষিণ জেলার  ১০‌টি উপজেলা জাতীয়পা‌র্টি,দল‌টির ৪ পৌরসভার অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সম্মেলনে উপস্থিত হন।

সম্মেলন শেষে জাতীয়পার্টির মহাসচিব জেলা জাতীয়পার্টির আহবায়ক এয়ার আহমেদ সেলিমকে সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি হুমায়ুন মুন্সিকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, উবায়দুল কবির মোহনকে সাধারণ সম্পাদক করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয়পার্টির কমিটি ঘোষনা করেন।।


আরও খবর



মিলন সভাপতি, রিয়াসাদ সম্পাদক

সুন্দরবন অঞ্চল সহ ব্যাবস্থাপনা নেটওয়ার্কের কমিটি গঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি :

সুন্দরবন অঞ্চল সহ ব্যাবস্থাপনা নেটওয়ার্ক এর কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে শরণখোলা সিএমসির আসাদুজ্জামান মিলন সভাপতি ও খুলনা সিএমসির রিয়াসাদ আলী সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। 

সোমবার ১৩ মার্চ খুলনা সিএসএস আভা সেন্টারে নেটওয়ার্কের সাধারণ সভা শেষে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। 

আরন্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রাকিবুল হাসান মুকুল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহওর কুমার দো। বিশেষ অতিথি ছিলেন সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ডিএফও বেলায়েত হোসেন, পশ্চিম বিভাগের ডিএফও এম এ হাসান, প্রতিবেশ প্রকল্পের কর্মকর্তা মোস্তফা ওমর শরীফ, মাসুদ খান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও মোসুমী 

সভার শুরুতে সদ্য প্রয়াত শরণখোলা সিএমসির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেন এর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রস্তাব সমর্থনের ভিত্তিতে আসাদুজ্জামান মিলন কে সভাপতি ও রিয়াসাদ আলী কে সাধারণ সম্পাদক কটে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়। এতে সাতক্ষীরা সিএমসির আবু ফরিদ ও চাঁদপাই সিএমসির শর্মিলা সরকার কে সহ সভাপতি, টেংরাগিরি সিএমসির আঃ জলিল ফকির কে যুগ্ম সম্পাদক, চাঁদপাই সিএমসির আল-আমীন মুসল্লি কে কোষাধ্যক্ষ, শরণখোলা সিএমসির মর্জিনা বেগম কে দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক, খুলনা সিএমসির অসিত কুমার মন্ডল, টেংরাখালি সিএমসির মোঃ মহসিন,সাতক্ষীরা সিএমসির জুলেখা বেগম, ও খুলনা সিএমসির আসমা বেগমকে কার্যকরি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। 

সভায় অতিথিবৃন্দ আশা প্রকাশ করে বলেন, নব নির্বাচিত এ কমিটি সুন্দরবন ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি, সহ ব্যাবস্থপনা কমিটি গুলোর দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বনের উপর নির্ভরশীল পেশাজীবীদের জীবনের মানোন্নয়নে কাজ করবে।


আরও খবর



চট্রগ্রামে ১৫০ শয্যার বার্ণ ইন্সটিটিউট করতে চীনের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ২৭জন দেখেছেন

Image

আজ ৩০ মার্চ, বৃহস্পতিবার, সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে, চীন সরকাররের অনুদান সহায়তায় চট্টগ্রাম মডেকিলে কলজে হাসপাতালে ১৫০ শয্যা বিশিষ্টি একটি বার্ণ ইউনিট স্থাপনের বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি বাস্তবায়ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। 

বাংলাদশে সরকাররে পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু: আনোয়ার হোসনে হাওলাদার এবং চীন সরকাররে পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়নে উক্ত বাস্তবায়ন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী  জাহিদ মালেক, এমপি,  শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক  ডা. মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/ বিভাগের ঊর্ধ্বতন   কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশেল পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

চীন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান দেং বোকিং, ঢাকাস্থ চীন দূতাবাসের অন্যান্য ঊর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং চীনের একটি এক্সপার্ট টীম চীন সরকাররে পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। 

স্বাক্ষরিত বাস্তবায়ন চুক্তির আওতায় চীন সরকাররে সম্পূর্ণ অনুদান সহায়তায় চট্টগ্রাম  মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫০ শয্যা বিশিষ্টি একটি বার্ণ ইউনিট স্থাপিত হবে। উক্ত ইউনিটের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ধরণের মেডিকেল যন্ত্রপাতি এবং আসবাবপত্র চীন সরকার অনুদান সহায়তা হিসাবে প্রদান করবে। নির্মিতব্য বার্ণ ইউনিটে একটি  বহিঃবিভাগ, একটি অন্তঃবিভাগ, একটি জরুরী বিভাগ, ১০টি আইসিইউ বেড, পুরুষদের জন্য ১০টি এইচডিইউ বেড, মহিলাদের জন্য ১০টি এইচডিইউ বেড এবং শিশুদের জন্য ৫টি এইচডিইউ বেড থাকবে। কাজটি সম্পন্ন করতে দুই বছরের মত সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। 

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ঢাকার মতই চট্রগ্রামেও আগুনজনিত বিভিন্ন দুর্ঘটনা নৈমিত্তিক ঘটে চলেছে। এজন্য চট্রগ্রামে এরকম ঢাকার মানের একটি বার্ণ ইন্সটিটিউটের প্রয়োজন ছিল। ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ণ ইন্সটিটিউটের ৫০০ বেডই প্রায় পুর্ণ থাকে।  ঢাকায় এই একটি বার্ণ ইন্সটিটিউটের কারনে ঢাকার উপর যে চাপ পড়ছে তা চট্রগ্রামে ১৫০ বেডের বার্ণ ইন্সটিটিউট চালু হলে কিছুটা কমে যাবে। এর পাশাপাশি শীঘ্রই আমরা আরো নতুন করে ৫ বিভাগে ৫ টি বার্ণ ইন্সটিটিউট নির্মান কাজ হাতে নিয়েছি। এতে করে দেশে ৭ টি উন্নত মানের বার্ণ ইন্সটিটিউট হয়ে যাবে। 


আরও খবর



তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৩৪২৬

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার :দেশে ব্যাংকে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত তিন মাসে কোটিপতি হিসাবধারী বেড়েছে সাড়ে তিন হাজারের মতো।

২০২২ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিকে তিন মাসে কোটি টাকার অ্যাকাউন্টে যোগ হয়েছে আরও ৩ হাজার ৪২৬টি হিসাব। বিশ্ববাজারের ন্যায় দেশের বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে অধিকাংশ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপক মুনাফা করায় কোটিপতি অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েছে বলে ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোয় জমাকৃত আমানতের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। মোট ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৪৯ হাজার ৭৬৪টি হিসাবে এই আমানত জমা হয়েছে। এসব হিসাবে মোট জমার পরিমাণ ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কোটিপতিদের যে আমানত রয়েছে তা মোট ব্যাংকিং খাতের আমানতের ৪২.৬৩ শতাংশ। ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এক লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি হিসাবে। শুধু কোটি টাকার ওপরে এসব হিসাবে জমার পরিমাণ ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ডিসেম্বর শেষে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯৯৪৬। সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬৫২০। অর্থাৎ তিন মাসে ব্যাংকে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে ৩৪২৬টি।

ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি ব্যক্তির হিসাব নয়। কারণ ব্যাংকে ১ কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

আবার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক হিসাবও রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।

২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৮ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩৪টি। এসব হিসাবে জমার পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ১২ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। আর কোটি টাকার ওপরে এক লাখ এক হাজার ৯৭৬টি হিসাবে জমার পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা।

২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকার বেশি আমানতের হিসাব ছিল ৯৩ হাজার ৮৯০টি। হিসাবগুলোতে জমার পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৯৫ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা।

২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক কোটি এক টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকার আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাজার ১৬৭টি। যেখানে জমার পরিমাণ এক লাখ ৮০ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা। পাঁচ কোটি থেকে ১০ কোটির ১১ হাজার ৯৪৫টি হিসাবে জমার পরিমাণ ৮৪ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।

এছাড়া ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা রয়েছে তিন হাজার ৮৪৫টি, ১৫ কোটি থেকে ২০ কোটির মধ্যে ১৮৩৩টি, ২০ কোটি থেকে ২৫ কোটির মধ্যে এক হাজার ১৪৩টি, ২৫ কোটি থেকে ৩০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৮৮৭টি আমানতকারীর হিসাব।

আর ৩০ কোটি থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ৪৭২টি এবং ৩৫ কোটি থেকে ৪০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৩১৫টি, ৪০ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা ৫৭৭টি। তাছাড়া ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা হিসাবের সংখ্যা এক হাজার ৭৬২টি। এসব হিসাবে দুই লাখ ২৯ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা জমা রয়েছে।

এ বিষয়ে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, গত এপ্রিল থেকে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম ব্যাপক বাড়ায় অনেক ব্যবসায়ীদের আগে থেকে ক্যাপিটাল মেশিনারিজসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আমদানিকৃত পণ্য মজুদ ছিল। যার কারণে বিশ্ববাজারের ন্যায় ওইসব পণ্যের দাম দেশের বাজারে অেনেক বেড়ে যায়। এর ফলে অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ব্যাপক লাভ করেছে।

 


আরও খবর

ঈদের বাজারেও চড়া দাম

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩

সরকারের প্রশংসায় ব্লুমবার্গ

শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩




করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক শিশুরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার : করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকার সময় প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজনেরও কম (১৮ দশমিক ৭ শতাংশ) দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেয়। করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের যেসব দেশে দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ ছিল সেগুলোর একটি হলো বাংলাদেশ। এই বন্ধের কারণে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রান্তিক পর্যায়ের শিশুরা, যাদের ইন্টারনেট ও টেলিভিশন ব্যবহারের সুযোগ সীমিত এবং যাদের বাড়িতে কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মতো সহায়ক ডিভাইসের অভাব রয়েছে। তা ছাড়া শহর এলাকার শিশুদের (২৮ দশমিক ৭ শতাংশ) তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় কমসংখ্যক শিশু (১৫ দশমিক ৯ শতাংশ) দূরশিক্ষণ ক্লাসে অংশ নেয়।

ন্যাশনাল সার্ভে অন চিলড্রেনস এডুকেশন ইন বাংলাদেশ-২০২১ শীর্ষক জরিপ প্রতিবেদনে শিশুদের লেখাপড়ার ওপর স্কুল বন্ধ থাকার প্রভাব ওঠে এসেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও ইউনিসেফ যৌথভাবে জরিপটি পরিচালনা করে।

বড় ধরনের ভৌগোলিক বৈষম্যের বিষয়টিও জরিপে দেখা গেছে, দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের হার সবচেয়ে বেশি ছিল খুলনায় ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ঢাকায় ২৩ দশমিক ১ শতাংশ। সবচেয়ে কম ছিল ময়মনসিংহে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। সবচেয়ে কম বয়সি শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে। দূরশিক্ষণ ক্লাসে অংশগ্রহণের হার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের (নিম্ন মাধ্যমিকে ২০ দশমিক ৩ শতাংশ ও উচ্চমাধ্যমিকে ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ) তুলনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের ক্ষেত্রে (১৩ দশমিক ১ শতাংশ) ছিল কম।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, শিশুদের ওপর মহামারির প্রভাব দেশজুড়ে এখনো একই রকম। শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো বেশি মাত্রায় অভিঘাত সহনশীল করতে ডিজিটাল বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে। উদ্ভাবনী প্রতিকারমূলক শিক্ষাসহ পড়াশোনার ক্ষতি দূর করতে ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকারকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে।

জরিপে বাল্যবিবাহ সম্পর্কিত মহামারি-পরবর্তী প্রাথমিক উপাত্ত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জরিপটি এ ক্ষেত্রে নিম্নমুখী প্রবণতা নির্দেশ করে, যা সতর্কতার সঙ্গে আশাবাদী হওয়ার কারণ। শিশুদের পরিস্থিতির ওপর দেশের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জরিপ ২০১৯ সালের বাংলাদেশ মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে (এমআইসিএস) অনুসারে, ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়েছে তাদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগে। ২০২৪ সালে হতে যাওয়া পরবর্তী এমআইসিএস নিশ্চিত করবে যে ন্যাশনাল সার্ভে অন চিলড্রেনস এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০২১ জরিপে নির্দেশিত বাল্যবিবাহ ইতিবাচক নিম্নগামী প্রবণতা টিকে আছে কি-না।


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩