পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে রাজধানী
ছেড়েছেন লাখো মানুষ। কেউ গেছেন গ্রামের বাড়িতে, আবার কেউ পরিবার নিয়ে বেড়াতে গেছেন
কোনো পর্যটন স্থানে। ফলে রাজধানীতে মানুষের চাপ নেই বললেই চলে।
মানুষের চাপ
কমে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর সড়কেও। দেখা যায়নি চিরচেনা যানজট। গণপরিবহনে
ওঠার জন্য নেই কোনো হুড়াহুড়ি। সবমিলিয়ে ঈদের ছুটিতে ফাঁকা রাজধানীর রাজপথ।
মঙ্গলবার (১৮
জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা,
শান্তিনগর ও পল্টন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা
যায়, সকাল
থেকে ঢাকার রাজপথে যানবাহন ও যাত্রীদের উপস্থিতি একেবারেই কম। রাস্তায় হাতেগোনা
কয়েকটি গণপরিবহন চলছে, এসব বাসেও যাত্রীর সংখ্যা খুব কম।
অন্যদিকে রাস্তায় কিছু ব্যক্তিগত যানবাহন, সিএনজি অটোরিকশা ও
রিকশা চলাচল করছে।
রাস্তায় বের
হওয়া মানুষজন জানান,
ঈদের ছুটিতে রাস্তা ফাঁকা থাকায় এক ঘণ্টার রাস্তা ১০-১৫ মিনিটে
যাওয়া যাচ্ছে।
রাজধানীর
রামপুরা থেকে বাসে উঠে ২০ মিনিটে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় পৌঁছেছেন রজব আলী। তিনি
বলেন, ফাঁকা ঢাকায় ঈদের ছুটিতে ঘুরতে বের হয়েছি। রাজধানীতে মানুষের চাপ নেই
বললেই চলে। মাত্র ২০ মিনিটের রামপুরা থেকে কুড়িল বিশ্বরোড এসেছি। আগে এ রাস্তায়
এলে তো ঘণ্টা পার হয়ে যেত। ফাঁকা ঢাকায় ঘুরতে ভালোই লাগছে।
এদিকে, ফাঁকা ঢাকায়
অনেকে রিকশায় চেপে ঘুরতে বের হয়েছেন। রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে রিকশায় করে
ঘুরতে বের হওয়া যাত্রী শামসুল হক বলেন, এবারের ঈদ ঢাকাতে
পালন করেছি। ঈদে সবচেয়ে ভালো লাগে ঢাকার ফাঁকা রাস্তা। এসময়ে রিকশা দিয়ে ঘুরতে
খুব ভালো লাগে। তাই আজ পরিবার নিয়ে বের হয়েছি রিকশা দিয়ে ঘোরাঘুরি করার জন্য।
তবে রাস্তা
ফাঁকা হলেও কিছুক্ষণ পরপর গণপরিবহন দেখা যাচ্ছে ঢাকার রাস্তায়।ঢাকায় যে
অল্পসংখ্যক মানুষ রয়ে গেছেন তারা ঈদের ছুটিতে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় যাচ্ছেন, ঘুরতে বের
হচ্ছেন। এ কারণে স্বল্পসংখ্যক যাত্রী নিয়েই গণপরিবহন চলছে। ঈদের উপলক্ষ্যে ভাড়া
কিছুটা বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান যাত্রীরা।
সদরঘাট থেকে
উত্তরাগামী ভিক্টর ক্লাসিকের একটি বাসের চালক জুনায়েদ বলেন, এখন রাস্তায় চাপ
নেই, যাত্রীও নেই। তারপরও মাঝেমধ্যে কিছু যাত্রী পাওয়া
যাচ্ছে, সেজন্য গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। সদরঘাট থেকে উত্তরা
এখন পর্যন্ত দুই ট্রিপ দিয়েছি। রাস্তা একদম ফাঁকা, কোথাও
বিন্দুমাত্র যানজট নেই।