Logo
শিরোনাম

রাজধানীর ২০ হাটে আজ থেকে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হচ্ছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image



সদরুল আইন:


ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশে জমতে শুরু করেছে কোরবানির পশুরহাট। 


আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় স্থায়ী দুটিসহ মোট ২০ পশুরহাটে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। 


পশুর হাটগুলোতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কোরবানির পশু নিয়ে আসছেন খামারিরা।


দুই সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় গাবতলীর স্থায়ী হাটসহ ৯টি হাট এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাটসহ ১১টি হাট বসেছে।


 তবে, এ বছর আদালতের নির্দেশনার কারণে আফতাবনগরে হাট বসবে না।


উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা পিয়াল হাসান বলেন, রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবে স্থায়ী একটি ও অস্থায়ী আটটি হাট বসবে। এবার আজ থেকে ঈদের দিন সোমবার সকাল পর্যন্ত পাঁচ দিন হাট বসবে।


 কোরবানির পশু কেনাবেচা নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে যাতে করা যায়, সেজন্য ঢাকা উত্তরের হাটগুলোতে সব ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে।


বাজারে ক্রেতারা কোনো নগদ অর্থ না নিয়ে এসেও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পশু ক্রয় করতে পারবে জানিয়ে পিয়াল হাসান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইনস্ট্যান্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে যে কেউ টাকার লেনদেন করতে পারবে। এজন্য হাট এলাকায় অসংখ্য ব্যাংক বুথ থাকবে।


এ ছাড়া হাটে আসা মুসলিম ক্রেতাদের ওজু ও নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাটের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবার হাট ইজারাদারদের সতর্ক করা হয়েছে। কোনো বিক্রেতা যদি রাস্তায় হাট বসায়, তবে ইজাদারের জামানতের অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হবে।


 ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে বলেও জানান জনসংযোগ কর্মকর্তা।



ঢাকা উত্তরে অস্থায়ী আটটি হাটের মধ্যে রয়েছে—উত্তরা দিয়াবাড়ীর ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের পাশের খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশের খালি জায়গা, মস্তুল চেকপোস্ট এলাকা, মিরপুর-৬ নম্বর সেকশনের ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, ভাটারার সুতিভোলা খালের কাছের খোলা জায়গা, মোহাম্মদপুরের বছিলায় ৪০ ফুট সড়কের পাশের খালি জায়গা, ভাটুলিয়া সাহেব আলী মাদরাসা থেকে রানাভোলা স্লুইচগেট পর্যন্ত খালি জায়গা ও দক্ষিণখানের জামুন এলাকার খালি জায়গা।




এদিকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের বলেন, সারুলিয়ায় স্থায়ী হাটসহ ডিএসসিসি এলাকার ১১ স্থানে পশুর হাট বসেছে।


মো. আবু নাছের জানান, প্রত্যেকটি হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য একটি করে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি কমিটিতে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। 


এ ছাড়া ডিএসসিসির নির্ধারিত গাইডলাইনের বাইরে কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের পাশাপাশি প্রত্যেকটি হাটে একটি করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে নগদ অর্থের লেনদেন ছাড়া ইনস্ট্যান্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ক্রেতা-বিক্রেতারা অর্থের লেনদেন করতে পারবেন। এজন্য পর্যাপ্ত ব্যাংক বুথের ব্যবস্থা থাকবে।



ঢাকা দক্ষিণে অস্থায়ী ১০টি হাটের মধ্যে রয়েছে—খিলগাঁও রেলগেট মৈত্রী সংঘ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, পোস্তগোলা শ্মশান ঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, বনশ্রীর মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা, কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা ও লালবাগে রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা।


এদিকে কোরবানির পশুর বর্জ্য ও অস্থায়ী পশুর হাটের বর্জ্য দ্রুততম সময়ে সরিয়ে নিতে দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা এবং হাটের ইজারাদারদের সঙ্গে মঙ্গলবার সভা করেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। ইজারাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।



আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল, বন্যার শঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিপা‌ত এবং উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারো প্লাবিত হতে শুরু করেছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশের দেশ ভারতের আসাম এবং মেঘালয়েও হচ্ছে ভারী বৃষ্টিপাত। ফলে পাহাড়ি ঢলে জেলার প্রায় সব নদ-নদীতে বাড়ছে পানি।

ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছেন নগরবাসীও। অনেক এলাকার রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়ে যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই সিলেট অঞ্চলে বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

সিলেট অঞ্চলে গত বৃহস্পতিবার থেকেই থেমে থেমে ঝরছিল বৃষ্টি। গতকাল শুক্রবারেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের পর থেকে টানা ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় নগরীর জিন্দাবাজার চৌহাট্টা এলাকা।

এছাড়াও রিকাবিবাজার, আম্বরখানা, সাপ্লাই, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল সড়ক, বাগবাড়ী, মিরাবাজার, মহাজনপট্টি, কালিঘাট, কাষ্টঘর, উপশহর-সুবহানীঘাট সংলগ্ন এলাকা, কাজিরবাজার, তালতলা, জামতলা, মাছিমপুর এলাকার রাস্তাঘাটগুলো পানির নিচের তলিয়ে যায়। পরে বৃষ্টি ধারা কিছুটা কমলে জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে পানি নেমে গেলেও অন্যান্য এলাকায় জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

আজ শনিবার রাতে জেলার প্রায় সবগুলোর নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি বইছে। টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে আকস্মিক বন্যার আশংকা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ দৈনিক আমাদের সময়কে জানান, জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ৪১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই পানি ঢল হয়ে নামলে আকস্মিক বন্যার শংকা রয়েছে। এছাড়া সিলেটে আরও অন্তত দুইদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার নিম্নাাঞ্চলে দ্রুত পানি বাড়ছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলং ও বিছনাকান্দি এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পর্যটকদের সেখানে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

জলাবদ্ধতায় নগরবাসীর দুর্ভোগের বিষয় জানতে ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য ইতোমধ্যে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। যেকোনো জরুরী পরিস্থিতিতে যোগাযোগের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে রয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবরের (+৮৮০১৭১১৯০৬৬৪৭) নম্বরে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




একদিনে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৫৯

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর এ পর্যন্ত এটি একদিনে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ সময় নতুন করে আরও ১৫৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন বরিশাল বিভাগে।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত একদিনে ডেঙ্গুতে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু। সবমিলিয়ে চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গুতে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩ জন, সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১ জন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১০৪ জন ডেঙ্গুরোগী। চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫ হাজার ১১ জন। চলতি বছরের ১৩ জুন পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৭০ জন। এর মধ্যে ৫৫ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ নারী রয়েছেন।

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় ও পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।


আরও খবর



এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

দেশের সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। দেশের জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পেতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে কোনোভাবে এপ্রিল ফুলের শিকার হওয়ার জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

তারা বলেছেন, এ বছরের ডিসেম্বরে কেবল একটি দল নয়, দেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চায়। এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথাটি এপ্রিল ফুল হতে পারে। সে সময় শিক্ষার্থীদের সাধারণ পরীক্ষা থাকে, আবহাওয়া নির্বাচনের পরিবেশের অনুকূল থাকে না। সুতরাং রাজনৈতিক ও গণদাবি মেনে ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকেও সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোট নেতারা এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে জোটের নেতারা বলেন, এপ্রিলে নির্বাচন মানে রমজানের কিছুদিন পর। সুতরাং রমজানে নির্বাচনের কাজ করার সুযোগ নেই। আবহাওয়ার অবস্থাও থাকবে অনিশ্চিত। একদিকে কালবৈশাখী, একদিকে চৈত্রের খরা। পাশাপাশি সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কাকে খুশি করার জন্য অধ্যাপক ইউনূস ডিসেম্বর থেকে সরিয়ে এপ্রিলে নির্বাচন করতে চাইছেন।

এর আগে শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিক্কেই ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। তিনি এও বলেছেন, যারা এ সিদ্ধাদের বিরোধিতা করবে, তাদের প্রতিহত করা হবে।

১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, এ বক্তব্য স্পষ্টত সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি দিতে পারেন না। ড. ইউনূস প্রধান হিসেবে নিজের যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছেন। দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনার প্রথম দাবিদার দেশের মানুষ। দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, কাদের দিয়ে ব্যবস্থাপনা করা হবে। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রশ্ন উঠল, আদৌ প্রফেসর ইউনুস বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন কিনা।

নেতারা বলেন, ঈদের পর তার বক্তব্যের বিষয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তিনি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন কিনা, সে বিষয়টিও দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।

১২ দলীয় জোট নেতারা বলেন, আগামী ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন করা সম্ভব। দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও নানাভাবে বিষয়টি সামনে এসেছে। আমরা চাই দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের চাওয়া তিনি পূরণ করবেন।

এদিন বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ডক্টর গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপির) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




মোদির বৈঠক বয়কট করলেন মমতা

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশটির রাজধানী দিল্লিতে দেশটির নীতি আয়োগের বৈঠক ডাকা হয় শনিবার (২৪ মে)। ওই বৈঠকে একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত হলেও অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।

এর আগেও গত বছরের ২৭ জুলাই নীতি আয়োগের বৈঠক হয়েছিল। ওইবার বৈঠকের মাঝপথে বেড়িয়ে যান মমতা ব্যানার্জী। তখন মমতা অভিযোগ করেছিলেন, তার বক্তব্যের মাঝে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সে কারণেই তিনি বৈঠক ছেড়ে বাইরে বেড়িয়ে এসেছিলেন।

নীতি আয়োগের এই বৈঠকে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোর মধ্যে সরাসরি আলোচনার সুযোগ থাকে। বিশেষ করে এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীসহ দেশটির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী উপস্থিত থাকেন। ফলে রাজ্যের বিভিন্ন দাবিদাওয়ার কথা সরাসরি বলার সুযোগ থাকে।

এবারের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর যোগ না দেওয়া নিয়ে রাজ্যটির ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানিয়েছেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে নীতি আয়োগের বৈঠকে সকলের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত, সেখানে মাইক বন্ধ করে দিয়ে ঘৃণ্য ঘটনা ঘটেছে। মমতা ব্যানার্জী কেন যাবেন সেখানে? আর বাংলার কথা কোথায় বলবেন? অপমানিত হতে? বাংলার বঞ্চনার কথা মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেছেন। সেখানে গায়ের জোরে মাইক বন্ধ করে কেন্দ্র কি বোঝাতে চাইছে? এর থেকে খারাপ ঘটনা এর আগে হয়নি। ভবিষ্যতে হবে কি না, জানি না।

এদিকে, মমতা ব্যানার্জীর এই সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিক অভিমান’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন বিজেপির দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, নীতি আয়োগের বৈঠক রাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মমতা ব্যানার্জীর এই বয়কটের ফলে পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। তিনি নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ দেখছেন। রাজ্যের উন্নয়নের কথা ভাবছেন না।

জানা গেছে, ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে ভারত। এই লক্ষ্যে কোন পথে এগোনো যায়, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচনা করেন। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের অপারেশন সিঁদুর নিয়েও বিস্তারিত বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এ ছাড়া চলতি অর্থবছর এবং আগামী ২০২৬ সালের গৃহীত বাজেটে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ভারতের অর্থনীতির সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, সেগুলো ছিল এই বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয়।


আরও খবর



তেহরানের কাছে মোসাদের ড্রোন কারখানা গুঁড়িয়ে দিল ইরান

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী তেহরানের উপকণ্ঠে একটি তিনতলা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইসরায়েলের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ পরিচালিত একটি গোপন ড্রোন ও বিস্ফোরক তৈরির কারখানার খোঁজ পেয়েছে।

ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল প্রেস টিভির এক খবরে এমনটা দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, গত রবিবার ইরানি পুলিশ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সেখানে ড্রোনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, যেমন পাখা ও কাঠামোর অংশ আর ধাতব সরঞ্জাম রয়েছে। এসব যন্ত্রাংশ ড্রোন তৈরিতে ব্যবহৃত হতো।

ইরানের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ওই বাড়ির ভেতরেই ড্রোন তৈরি হচ্ছিল। সেখানে যন্ত্রাংশ তৈরির সরঞ্জামও জব্দ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ড্রোন কারখানার সন্ধান পাওয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের আগের একটি স্বীকারোক্তি মিলে যায়।

পশ্চিমা গণমাধ্যম অ্যাক্সিওসের এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল, মোসাদ কর্মকর্তারা আট মাস ধরে ইরানে ড্রোন পাচার করছিলেন, যাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাগুলোয় হামলা চালানো যায়।

যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান সংবাদপত্রের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটির আশপাশে মোসাদ এজেন্টরা অবস্থান করছিলেন, যেন সমন্বিতভাবে নাশকতা ও ড্রোন হামলা চালানো যায়।

এই অভিযানে পাওয়া এসব প্রমাণ ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইসরায়েল ও গাজার চলমান যুদ্ধের মধ্যেই মোসাদ ইরানের মাটিতে সক্রিয়ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল।

একই দিন গত রবিবার তেহরানের রাস্তায় নাটকীয় কায়দায় একটি ট্রাক ধাওয়া করার দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়ে। একজন ইরানি গোয়েন্দা কর্মকর্তা একটি ট্রাকের পেছনে ছুটে যাচ্ছিলেন। সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই ট্রাকে উন্নত মানের ইসরায়েলি ড্রোন বহন করা হচ্ছিল।

সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পরপর দুটি গুলি চালিয়ে ওই ইরানি গোয়েন্দা কর্মকর্তা ট্রাকটি থামান। ওই গাড়িতে অত্যাধুনিক ড্রোনের মজুত পাওয়া যায়।

এর আগে ওই দিনেই ইরানি গোয়েন্দারা ওই ড্রোন তৈরির গোপন কারখানা ধ্বংস করে। ধারণা করা হচ্ছে, ড্রোন তৈরি ছাড়াও গুপ্তচরবৃত্তি বা নাশকতার উদ্দেশ্যে ওই বাড়িকে আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।

তবে ইরানি কর্তৃপক্ষ এখনো সব তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে জোর দিয়ে বলেছে, বিদেশি হুমকির বিরুদ্ধে তারা কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী এখন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবস্থায় রয়েছে। তারা ইরানের মাটিতে থাকা সন্দেহভাজন ইহুদিবাদী নেটওয়ার্কগুলো ভাঙতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।


আরও খবর