Logo
শিরোনাম

রাজধানীতে ফিরে এলো ৪০০ বছরের ঈদ ঐতিহ্য

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

সুলতানি আমলে পুরান ঢাকায় একসময় ঈদ মিছিল হতো। সেই ঐতিহ্য অনুসরণ করে এবার ঈদ আনন্দ মিছিল বের করা হবে, পাশাপাশি আয়োজন করা হবে ঈদ মেলার।

১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা হলেও নামাজ, রোজা ও ঈদ উদ্‌যাপনের প্রচলন হয় তার বেশ আগে থেকেই। তবে ঘটা করে ঈদ পালনের রীতি শুরু হয় স্বাধীন সুলতানি আমলে।

ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে আনন্দ ভাগাভাগি হতো। তবে বঙ্গদেশে ঈদ উদযাপনকে প্রাণবন্ত করে তোলে মোগলরা। মোগলদের সময় ঈদ উদযাপনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল ঈদ মিছিল। রাজধানীতে ঈদের দিন মোগল সম্রাটরা নামাজ পড়তে যেতেন মিছিল করে। মোগলাই জৌলুস প্রকাশিত হতো সেই ঈদ মিছিলে। 

১৬১০ সালে বাদশাহ জাহাঙ্গীরের আমলে সুবেদার ইসলাম খাঁ চিশতী যখন বাংলা সুবার রাজধানী বিহারের রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। নায়েব-নাজিমদের আমলে ঈদ মিছিল বিস্তৃতি লাভ করে ও বর্ণাঢ্য হয়। ব্রিটিশ আমলেও সগৌরবে বহাল ছিল ঈদ মিছিলের ঐতিহ্য। পাকিস্তান আমলে এটি অব্যাহত থাকলেও এক পর্যায়ে বন্ধও হয়ে যায়।

এরপর গত শতাব্দীর শেষ দশকের শুরুতে চালু হয় ঢাকার ঈদ মিছিল। তবে পৃষ্ঠপোষকতার অভাব আর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আবেদন ধরে রাখতে না পেরে এখন প্রায় হারিয়ে গেছে পুরান ঢাকার ঈদ মিছিলের ঐতিহ্য।

গত বছরের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। সম্প্রতি এই সরকারের পক্ষ থেকে হারানো ঈদ মিছিলের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার কথা বলা হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, দিন যত যাচ্ছে ঈদ আয়োজনটি ক্রমে কালেক্টিভ, সামাজিক রূপ থেকে ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক উৎসবে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমরা ঈদের দিন অনেকটাই টিভি দেখে, ঘুমিয়ে কাটাচ্ছি।

তাই আসন্ন ঈদুল ফিতর সামনে রেখে তিনি বলেন, সুলতানি আমল কিংবা মোগল আমলে ঈদের ঐতিহ্য নামাজের পর ঈদ মিছিল, আমরা সেই ঐতিহ্য পুনরুজ্জীবিত করতে চাই। এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আগারগাঁওয়ে পুরনো বাণিজ্য মেলা মাঠে ঈদের জামাতের পর একটি বর্ণাঢ্য ঈদ আনন্দ মিছিলের আয়োজন করব।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠে ঈদের জামাতের পর ঈদ আনন্দ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠ থেকে শুরু হয়ে সংসদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হবে। ঈদ মিছিলটি হবে বর্ণাঢ্য। মিছিলের সামনে শাহি ঘোড়া ও সামনে-পেছনে ২০টির মতো ঘোড়ার গাড়ি থাকবে। ঈদকে আরো বেশি আনন্দময় ও জমকালো করতে থাকছে ঐরাবত হাতি। ব্যান্ড পার্টি থাকবে, সুলতানি-মোঘল আমলের ইতিহাসসংবলিত চিত্রকলাও থাকবে। নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই ঈদ আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণ করবে। অন্যান্য ধর্মামাবলম্বীও আসবেন। এর মাধ্যমে ঢাকার ৪০০ বছরের ঈদ ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা হবে।

ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানান, ঈদ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। ঈদ মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের জন্য সেমাই ও মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে। এ ছাড়া ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাতাসা থাকবে আপ্যায়নে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী ঈদ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ২০০টির মতো স্টল থাকবে এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নানা ধরনের পণ্যসামগ্রী, খাবার, চটপটি থাকবে। শিশুদের আনন্দের জন্য নাগরদোলা ও খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। এই মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আমাদের ঈদ আনন্দ উৎসব শুধু পুরুষ বা নারীর জন্য নয়, এখানে শিশুদের জন্যও নানা আয়োজন থাকবে। পুরো পরিবার নিয়ে সবাই যেন উপভোগ করতে পারেন এই ব্যবস্থা থাকছে ডিএনসিসির ঈদ আনন্দ উৎসবে।


আরও খবর



ছুটির দিনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সবজির বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

শীত মৌসুমের আগে-পরে বাজারে সবজির দামে যে স্বস্তি ফিরেছিল, তা এখন উধাও হয়ে গেছে। গত তিন-চার মাস ধরে তুলনামূলক কম দামে সবজি কিনতে পারলেও, বর্তমানে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেশিরভাগ সবজির দামই ৮০ টাকা ছাড়িয়েছে। আবার কিছু সবজির দাম ছাড়িয়েছে ১০০ টাকা। এমন অবস্থায়, এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজ এবং ডিমের দামও।২৫ এপ্রিল সকালে রাজধানীর উত্তরা, বাড্ডা ও মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির দোকানগুলোতে গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙা, কচুর লতি, ঢেঁড়শসহ অন্যান্য সবজি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় অধিকাংশটির দামই কেজি প্রতি ৮০ টাকা বা তার বেশি। বরবটি, কচুর লতি, পটোল, চিচিঙ্গা, বেগুন ও শালগম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। আর কাঁকরোল ও শজনের দাম আকাশছোঁয়া। সবজি দুটি মানভেদে ১২০-১৬০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। আর তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম দামে পাওয়া যাচ্ছে করলা, লাউ, ঝিঙে, ধুন্দুল, ঢ্যাঁড়স ও পেঁপে, যেগুলোর কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। সবচেয়ে কম দামের সবজি এখন টমেটো, যা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। এছাড়া, আলু ২০-২৫ টাকা কেজি এবং কাঁচামরিচ ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি এবং বাড়তি পরিবহন খরচই দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী।

আজমপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা বেশি দামে কিনলে বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। গত কয়েক সপ্তাহে পাইকারি বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। বিশেষ করে পটল, বরবটি, বেগুন—এগুলোর দাম বেশ চড়া। আমাদের কেনা দাম বেশি হলে আমরা কম লাভে বিক্রি করতে পারি না। তাছাড়া, শীতের পর আগের মতো এখন আর সহজে মাল পাওয়া যাচ্ছে না। দূরের মোকাম থেকে মাল আনতে খরচ বেশি পড়ছে। এখন যে সবজিগুলো বাজারে আসছে, সেগুলোর চাষের খরচও শীতের সবজির চেয়ে বেশি। সেজন্য দামও বেশি।

পেঁয়াজের দাম নিয়ে রফিকুল ইসলাম নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। আড়তে দাম বেশি। আমরা বেশি দামে কিনে আনি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হই। আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে তেমন নেই।

এমন অবস্থায় বাজারের এই ঊর্ধ্বমুখী দামে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। ছুটির দিনে কিছুটা সাশ্রয়ে বাজার করার আশায় এসেও তাদের পকেটে টান পড়ছে।

আবু সালেহ নামের এক ক্রেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের এই পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে গিয়ে অনেককেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবজির দাম হঠাৎ এত বেশি বেড়ে যাবে ভাবিনি। আজ পুরো সপ্তাহের বাজার করতে এসেছিলাম। কিন্তু আজ সবজির দাম অনেক বেশি। তাই প্রয়োজনের অর্ধেক পরিমাণ কিনেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারলে ক্রেতাদেরও সুবিধা হতো এবং তাদের বিক্রিও বাড়তো।

তবে অনেক ক্রেতাই মনে করেন, বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যও দাম বাড়ার একটি কারণ। এছাড়া, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা যে দামে সবজি কেনেন তার কয়েক গুণ বেশি দামে পরে তারা বিক্রি করেন। যার নজরদারি ঠিকমতো করা হচ্ছে না বলেও মন্তব্য অনেকের।


আরও খবর



চালের দামে স্বস্তি, চড়া সবজি-মুরগি-পেঁয়াজ ও ডিম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। ফলে নতুন চাল বাজারে এসে গেছে। এতে দাম কমেছে মিনিকেট চালের। গত দুই সপ্তাহে ধরনভেদে এই চালের দাম কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ১২ টাকা। তবে বাজারে কিছু সবজি, ব্রয়লার মুরগি ও পেঁয়াজের দাম চড়া রয়েছে। কিছুটা বেড়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দামও।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ও হাতিরপুল বাজার, পল্লবীর মুসলিম বাজার, বউবাজার, মিরপুর ১১ নম্বর কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা দোকানে ডায়মন্ড, মঞ্জুর, রশিদ প্রভৃতি ব্র্যান্ডের নতুন মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি ৭৫ থেকে ৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগেও এই চালের কেজি ৮৮ থেকে ৯০ টাকার আশপাশে ছিল। সাগর মিনিকেটের দামও ৭৮ থেকে কমে ৭৫ টাকা হয়েছে। তবে অন্যান্য চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিক্রেতারা জানান, বাজারে নতুন মিনিকেট চাল আসায় দাম কমেছে। মিনিকেট হিসেবে পরিচিত ছাঁটাই করা চাল মূলত; বোরো ধান থেকে তৈরি করা হয়। এখন এই ধানের মৌসুম। ফলে দাম কমেছে।

এদিকে রোজার ঈদের পর বাড়তে শুরু করে সবজির দাম। কম দামি সবজি হিসেবে পরিচিত প্রতিকেজি পেঁপে এখন ৮০ টাকা। করলা, বরবটি, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল, পটল, লতি, ঢ্যাঁড়স প্রভৃতি সবজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু, কাঁচকলা, মিষ্টিকুমড়ার মতো কয়েকটি ছাড়া ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি এখন কেনা যায় না। ব্যবসায়ীদের দাবি, সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।

দুই সপ্তাহ ধরে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি। এখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা ও ধরনভেদে সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কম ছিল। এ ছাড়া ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের ডিমের দাম ডজনে ৫ টাকা বেড়ে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা হয়েছে।

বাজারে পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। পাড়া-মহল্লায় এ দাম আরেকটু বেশি। মাসখানেক আগে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

এ ছাড়া মাছ ও মাংসের দাম অনেকটা আগের মতোই রয়েছে। গতকাল খুচরা বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস এক থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাছের মধ্যে প্রতি কেজি চাষের কই ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, রুই ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতি ডজন ডিম ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিরপুর ১১ নম্বর কাঁচাবাজারে ডিম ব্যবসায়ী সবুজ আহমেদ বলেন, দাম একটু বেশি, আমরা এখন বেশি দামে ডিম কিনছি।


আরও খবর



দাবানলে পুড়েই চলছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ইসরায়েলের জেরুজালেমে লাগা দাবানল কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। ফলে একরের পর একর বনাঞ্চল পুড়েই যাচ্ছে। ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যার পর দাবানলের তীব্রতা আরও ছড়িয়ে পড়ে। খবর টাইমস অব ইসরায়েল

ইসরায়েলের ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ফায়ার ফাইটারের ১৬৩ জনের একটি দল স্থল থেকে এবং আকাশ থেকে ১২টি বিমান আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। কিন্ত তাতে তেমন কোনো কাজ হয়নি, বরং জেরুজালেমের একাধিক স্থানে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে- লাটরান, নেভে শালম এবং এসটাওলে। এ ছাড়াও মেভো হারোন, বার্মা রোডের বেইত মেইর, মেসিলাত জিওন এবং শাহার গাহাই গ্যাস স্টেশনের কাছেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।

দাবানলে ফলে ডজনখানেক মানুষ আহত হয়েছেন। তবে তাদের কারো অবস্থা গুরুতর নয়। দাবানলের ফলে ২ হাজার ৯০০ এক এলাকা পুড়ে গেছে।

সরিয়ে নেয়া এস্টাওল সম্প্রদায়ের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল সন্ধ্যায় জেরুজালেম জেলার ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসের কমান্ডার শমুলিক ফ্রিডম্যান সতর্ক করে বলেছেন, জেরুজালেম পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়া আগুন সম্ভবত ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হতে পারে। আগুন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বেইত শেমেশের কাছে মেসিলাত সিয়োন এলাকার নিকটবর্তী স্থান থেকে দাবানল শুরু হয় এবং প্রবল বাতাসের কারণে দ্রুত এটি পশ্চিম দিকে ছড়িয়ে পড়ে, পরে দিক পরিবর্তন করে পূর্বমুখী হয়ে যায়।

শমুলিক বলেন, আগুনের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। কারণ বাতাসের গতিবেগ বেড়েই চলছে। যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কী কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে সে বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই। আগুণের কারণ খুঁজতে আমরা এখনও কাজ শুরু করিনি।

তবে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত জানিয়েছে, কিছু এলাকায় ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানো হতে পারে। যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



রায়পুরে বখাটেদের তাণ্ডবে থেমে গেছে মুক্তার শিক্ষাজীবন, নীরব প্রশাসন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

আতোয়ার রহমান মনির, লক্ষ্মীপুর :

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগর এলাকার বানাতুল দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা আর মাদ্রাসায় যায় না। প্রতিদিনের পথে বখাটেদের উৎপাত, উত্ত্যক্ততা আর শারীরিক হয়রানিতে জর্জরিত হয়ে শেষ পর্যন্ত শিক্ষাপথ ত্যাগে বাধ্য হয়েছে সে।


ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ—বখাটেপনার ঘটনা বারবার জানানো হলেও প্রশাসন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা থেকেছেন নির্বিকার। তাদের এই নীরবতা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।


মুক্তার বাবা মনির হোসেন বলেন, "ঘটনার কথা জানালেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবংজনপ্রতিনিধিরা গুরুত্ব দেননি। বরং সমঝোতার পরামর্শ দিয়েছেন। এখন মেয়েটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।"


মুক্তা জানায়, "প্রতিদিন ভয় নিয়ে বের হই। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু ছেলে আমার পথ আটকায়, মোবাইল নম্বর চায়। না বললে টানাহেঁচড়া, ভিডিও করা আর তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। একদিন কিছু পথচারী এগিয়ে না এলে কী হতো জানি না।"


একজন সাবেক ছাত্রী জানান, তিনিও এবং তার বান্ধবী একইরকম হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। "সেই সময়েও কেউ কিছু করেনি," বলেন তিনি।


বিএনপি নেতা খোরশেদ ঢালী বলেন, “এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এলাকায় এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বরাবরই নিষ্ক্রিয়। এখন সময় এসেছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার।”


রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঞা বলেন, “এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান খান বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে এলাকায় এবং মাদ্রাসাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হবে।”


লক্ষ্মীপুর জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, “এই ঘটনাটি শিশু নির্যাতন, যৌন হয়রানি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রশাসন নিরপেক্ষ হলে অবশ্যই বিচার হতো, কিন্তু প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।”


ব্র্যাকের এক জরিপে দেখা গেছে, দেশের ৬৪ শতাংশ স্কুলগামী মেয়ে পথে উত্ত্যক্তের শিকার হয়। শিশু অধিকার ফোরামের মতে, ২০২৪ সালে দেশে দেড় হাজারের বেশি কিশোরী হয়রানির শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৩৮% ঘটেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে।

মুক্তার এই ঘটনা যেন হাজারো মেয়ের অব্যক্ত কষ্টের প্রতিচ্ছবি। মুক্তা আজ শুধুই একজন ব্যক্তি নয়—প্রতীক হয়ে উঠেছে সেই সব কণ্ঠের, যারা ভয়ে থেমে যায়, অপমানে হারিয়ে যায় শিক্ষার পথ থেকে।

এখনই সময়—প্রশাসন, সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির আওতায় আনার। প্রয়োজন কঠোর শাস্তি, যাতে আর কোনো মুক্তাকে স্কুল ছাড়তে না হয়।


আরও খবর



ইসলামপুরের গোয়ালেরচর ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালেরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বাদশার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সোমবার বিকালে গোয়ালেরচর ইউনিয়ন বিএনপি,সহযোগী অঙ্গসংগঠন ও সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে মহলগিরি শাপলা চত্বর মোড়ে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। ইসলামপুর-গোয়ালেরচর আঞ্চলিক সড়কে ঘন্ট্যাব্যাপী মানববন্ধনে চেয়ারম্যানের অপসারণে এক দফা দাবি জানানো হয়। অপসারণ চেয়ে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গোয়ালেরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল করিম মেম্বার,সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক পাগাল,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম,শাজাহান মিয়া,সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান আলী,যুবদল নেতা পারভেজ ফারাজী,মুছা আলী,জলিল মিয়া ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রহিম বাদশা। এর আগে চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে শাপলা চত্বরে বিক্ষোভ করেন তারা। 

বক্তারা বলেন,গোয়ালেরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর  রহিম বিগত সরকারের আমলে বিএনপি,ছাত্রদল,যুবদলসহ ইউনিয়নের নিরপরাধ মানুষকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি এবং ব্যাপক চাদাঁবাজি করেছেন। চেয়ারম্যান হওয়ার পর টিআর, কাবিখা, কাবিটাসহ সকল প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। তার অত্যাচারে ইউনিয়নের মানুষ অতিষ্ঠ। আওয়ামীলীগের দোসররা পালিয়ে গেলেও বহাল তরিয়তে আছেন আবদুর রহিম। এই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের চিহ্নিত কোন দোসর থাকতে পারবে না। তাই দুর্নীতিবাজ ও বহু অপকর্মের হোতা আবদুর রহিমকে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণ করতে হবে। তাকে অপসারণ না করা হলে ইউনিয়নের সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দেন তারা। 

এ বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বাদশার ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।


আরও খবর