Logo
শিরোনাম

রাজধানীতে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩ বাসে আগুন

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বিএনপি-জামায়াতের ৪৮ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীতে ৩টি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা পৃথক তিন স্থানে এসব আগুনের ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি

প্রথমে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায়। দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে সেখানে বিআরটিসির একটি দোতলা বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা

ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এটি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের দুটি ইউনিট সেখানে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যে বাসটির আগুন নির্বাপণ করে

এরপর বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর মতিঝিলে মধুমিতা সিনেমা হলের গলিতে সোনালী ব্যাংকের একটি স্টাফ বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। তবে ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার আগে স্থানীয়রা ওই বাসের আগুন নিভিয়ে ফেলেন

বিষয়ে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মধুমিতা সিনেমা হলের পেছনের গলিতে দাঁড়িয়ে থাকা সোনালী ব্যাংকের বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়েছে। আগুনে বাসের পেছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

এছাড়া বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে পল্টন এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সদরঘাট থেকে মিরপুরগামী তানজিল পরিবহনের বাসটি পল্টন এলাকায় পৌঁছালে এটিতে আগুন দেওয়া হয়

আদালত প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণ

এদিকে বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল সাংবাদিকদের বলেন, আমি তখন আপনাদের কয়েকজনের সঙ্গেই কথা বলছিলাম। আমার ঠিক পেছনে কয়েক গজ দূরে বিকট শব্দে ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। বিচার বিভাগকে কলঙ্কিত করার জন্য কোর্টের আঙিনায় ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যারাই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে অবশ্যই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বিচারের আওতায় নিয়ে আসবে। এখানে কেউ থাকলে মারাত্মক আহত হতে পারত। এটা সেই ২০১৩-১৪ সালে যেভাবে কোর্টের ভেতরে হামলা হতো সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বলে মনে করছি


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




মার্কিন পরামর্শে নির্বাচনে যেতে রাজি নয় তারেক জিয়া,বিএনপিতে ভাঙনের সুর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন :

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে শর্তহীন সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে নির্বাচনে যাবারও পরামর্শ দিচ্ছে।

 নির্বাচনে গিয়ে যদি তারা দেখে যে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হচ্ছে না, তখন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া বা নির্বাচনের ব্যাপারে আপত্তি তোলার প্রস্তাব দিয়েছে। 

কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ নেতা এই প্রস্তাবে রাজি হলেও লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া এই প্রস্তাবে সম্মত হননি। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সমর্থনের প্রশ্ন নিয়ে বিএনপির মধ্যে সুস্পষ্ট দ্বিধা-বিভক্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই দ্বিধা বিভক্তির ফলে বিএনপিতে ভাঙ্গনের গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। 

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বিএনপির একটি বড় অংশ মনে করে বর্তমান আন্দোলন সফল করতে গেলে বা সরকারকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা এবং সমর্থন লাগবে। এর কোনো বিকল্প নেই৷ 

আর এ কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ এবং নির্দেশনাগুলো শোনা উচিত। যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে শর্তহীন সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোকে যেতে হবে, এজন্য বিএনপির উচিত সংলাপের প্রস্তাবে রাজি হওয়া। 

কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সংলাপের প্রস্তাবে বিএনপি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেননি। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত দুই বছর ধরে বিএনপির প্রতি যে ধরনের সহানুভূতি দেখাচ্ছিল তার অবসান ঘটবে বলে অনেক বিএনপি নেতার শঙ্কা। 

বিএনপি নেতারা এটাও বলছেন যে, আওয়ামী লীগ বিভিন্ন মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, ভারত এখন বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে সরাসরি স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে।

 এই অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে রুষ্ট করে বিএনপি আন্দোলন করলে সেটি হবে আত্মঘাতী এবং সেই আন্দোলনের ফলে আর যাই হোক নির্বাচন ঠেকানো যাবে না এবং সরকারেরও পতন ঘটানো যাবে না। 

এরকম বাস্তবতায় কৌশলগত কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ শোনার তাগিদ দিচ্ছেন বিএনপির অনেক নেতা এবং এই মতামতের পক্ষে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। 

তিনি এই নিয়ে একাধিকবার লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে।

তবে ড. মঈন খান এবং অন্য যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ অনুযায়ী সংলাপে বসা এবং নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তাবের পক্ষে তাদেরকে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া তীব্র ভর্ৎসনা করছেন এবং কোনো অবস্থাতেই সংলাপ নয় বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবকে বিএনপি একটি ফাঁদ হিসেবে দেখছে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, তারেক জিয়া এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা মনে করে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আওয়ামী লীগ ম্যানেজ করে ফেলেছে। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে মনোভাবগুলো দেখাচ্ছে সবই ২০১৮ তে ড. কামাল হোসেন যেরকম নাটক করেছিল তারই অনুরূপ। 

এর মাধ্যমে বিএনপিকে সংলাপে নিয়ে যাওয়া হবে। সংলাপের পর বিএনপিকে নির্বাচনেও নিয়ে যাওয়া হবে এবং নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগকে আরেকবার বৈধতা দিবে। এই কৌশলেই এখন শর্তহীন সংলাপের কথা বলা হচ্ছে। 

বিএনপির তারেকপন্থিরা মনে করছেন যে এতদিন ধরে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি বলা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাব না ইত্যাদি বলে এখন যদি বিএনপি সংলাপে অংশগ্রহণ করে তাহলে সেটি হবে তাদের সুস্পষ্ট পরাজয় এবং এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনে বিএনপির কোনো অবস্থানে থাকবে না।

 বরং আন্দোলন অব্যাহত রাখাকেই তারা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে। বিএনপির মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশ্নে বিভক্তি এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে।

 এর মধ্য দিয়ে বিএনপির একটি অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথামতো সংলাপে অংশগ্রহণ এবং নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন।


আরও খবর



ঘনীভূত হতে পারে লঘুচাপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় যে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, তা আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়া আগামী পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।

আবহাওয়া অধিদফতরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও আরো ঘনীভূত হতে পারে। আগামী পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডে ৩৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঢাকায় ৩২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, যুবক আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

নওগাঁর মহাদেবপুরের বহুল আলোচিত শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় অভিযুক্ত নিপেন চন্দ্র বর্মণ ওরফে ভুট্টু (৪০) আটক করেছে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। 

সোমবার সকাল ১১টায় নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের মধ্য-বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন মহাদেবপুর থানা পুলিশ। আটকের পর সোমবার বিকেলে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্তকে নওগাঁ জেল- হাজতে প্রেরন করেছেন পুলিশ।

আটককৃত নিপেন চন্দ্র বর্মন ওরফে ভুট্টু মহাদেবপুর উপজেলার হাতুড় ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের রাজেন্দ্র চন্দ্র বর্মণের ছেলে।

মামলা ও স্থানিয় সুত্রে জানা যায়, চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ঐ শিশু শিক্ষার্থীকে গত ৩১ অক্টোবর বিকেলে ধর্ষণ চেষ্টার এ ঘটনাটি ঘটে। এরপর ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মহাদেবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এজাহার দায়ের করলে গত ২ নভেম্বর মামলাটি রেকর্ড করেন থানা পুলিশ।

অভিযুক্তকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, মামলার পর থেকে সে পলাতক ছিল। অবশেষে তাকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



কিশোরগঞ্জে নিহত ২, পুলিশসহ আহত ২০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা ৩ দিনের অবরোধ শুরুর প্রথম দিন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পুলিশের গুলিতে ১ জন নিহত হয়েছেন। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে ২ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম দাবি করেন, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির দুইজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- বড় ছয়সূতি ইউনিয়নের ছাত্রদল নেতা শেফায়েত উল্লাহ (২০) ও একই ইউনিয়নের কৃষকদল সভাপতি বিল্লাল মিয়া (৩০)।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বলেন, অবরোধের প্রথম দিনে মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে ছয়সূতি ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নিয়ে উপজেলার ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাওয়ামাত্র আগে থেকে অবস্থান নেওয়া পুলিশ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে ২০ থেকে ২৫ জন আহত হন।

পুলিশের দাবি, মিছিলকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে আগে পুলিশের ওপর হামলা করেন। আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ পাশের একটি বাড়িতে অবস্থান নেয়। সেখানে গিয়েও বিএনপির কর্মীরা হামলা করেন। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মিছিলকারীরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।

এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, মিছিলকারীরা প্রথমে পুলিশের ওপর হামলা চালান। হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হন। তাদের অনেকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। আমার জানামতে এ ঘটনায় একজন মারা গেছেন। তবে সেটি গুলিতে, নাকি অন্য কোনো কারণে মারা গেছেন, তা নিশ্চিত নয়।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্র সুপার পাওয়ার, তাদের অগ্রাহ্য করতে পারি না

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুপার পাওয়ার। আমরা তাদের প্রত্যাখ্যান করতে পারি না। আমরা করিও না। আমাদের কোনো উদ্দেশ্যও নেই।

ড. মোমেন বলেন, উন্নত দেশ (যুক্তরাষ্ট্র), তাদের তো আমরা কখনো অগ্রাহ্য করতে পারি না। আমরা তো এজন্য তাদের পরামর্শকে অত্যন্ত গুরত্বসহকারে গ্রহণ করি। তবে আমাদের দেশের একটা বাস্তবতা আছে। বাস্তবতার নিরিখে তারা যদি কোনো প্রস্তাব দেয় আমরা তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখি।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র কিছু চায় না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা কিন্তু বেশি কিছু চায় না। তারা চায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরাও চাই। তারা আমাদের সাহায্য করছে। আমরা নিজেরা একটা সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন চাই। আমরা যদি এটা করি, আমেরিকা আমাদের সঙ্গে থাকবে। তারা আমাদের বন্ধু দেশ। শুধু নির্বাচন নয়, তাদের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন রকম সম্পর্ক আছে। আমেরিকা সবসময় বাস্তববাদী।

তিনি বলেন, বরং আমরা তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) বলব, যারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে, তাদের তারা ভিসা পলিসির মধ্যে ঢুকাক। তারা তাদের যা করার করুক নির্বাচনে যারা বাধা দেবে। আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নষ্ট করতে চাই না। আমেরিকা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আমরা তাদের সঙ্গে আছি, তারা আমাদের সঙ্গে আছে।

একাত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের সঙ্গে না থাকার প্রসঙ্গ টানেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের একাত্তরে সমর্থন দেয়নি। তারা পাকিস্তান সরকারকে সমর্থন করেছে। কিন্তু আমরা ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা পাওয়ার পর আমেরিকা প্রতিনিয়ত আমাদের সমর্থন দিয়ে গেছে। কোনো দিন আমাদের বিরুদ্ধে যায়নি। এটা কি মিন করে? তারা আমাদের সঙ্গে আছে।

নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের তৎপরতা কম দেখা যাচ্ছে। সরকার কি বিদেশিদের চুপ থাকতে বাধ্য করল কি না জানতে চাইলে মোমেন বলেন, আমাদের সেই ক্ষমতা নেই। আমাদের বন্ধু দেশ যারা তারা অনেক সময় আমাদের উপদেশ দেয়, যেটা ভালো সেটা গ্রহণ করি। অন্যের যদি ভালো উপদেশ থাকে সহায়ক নির্বাচনের জন্য, আমরা এটাকে স্বাগত জানাই। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেক দিন ধরে বলছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা। সম্প্রতি তারা বলছে, সংঘাতমুক্ত, আমরাও চাই। কিন্তু সেটা আমরা একা পারব না।

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনগণের যদি সম্পৃক্ততা থাকে, জনগণ যদি ভোট দেয় তাহলে সেটা অংশগ্রহণমূলক। আমাদের প্রায় নির্বাচনে শতকরা ৫০ ভাগ লোক ভোট দেয়। আমেরিকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সবসময় নির্বাচন হয়। সিনেটর কেনেডি, সিনেটর জন কেরি তাদের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ায় না। সম্মানিত লোকের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ায় না।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ নিয়ে ঐতিহাসিকভাবে রাজনীতিবিদদের দায় দেখছেন মোমেন। তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে আমাদের রাজনীতিবিদ এটার জন্য দায়ী। কিছু হলেই মিশনে গিয়ে ধরনা দেয়। সাম্প্রতিককালে আমাদের মিডিয়াও এটার জন্য দায়ী। কিছু বাঙালি বিদেশি আছে, তারাও এটার জন্য দায়ী। কয়েকটি গোষ্ঠীর কারণে বিদেশিরা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায়। প্রত্যেক দিন মার্কিন মুখপাত্রকে ত্যক্ত করে ফেলে বাংলাদেশি সাংবাদিকরা, বাংলাদেশি লোকেরা।

মন্ত্রী বলেন, তারানকো সাহেব কিছু করতে পারছে? আমরা চাইব না, বিদেশিরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক। তবে সহায়কের ভূমিকা পালন করলে স্বাগত জানাব। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই, এখানে যদি কেউ সহায়তা করতে চায়, স্বাগত জানাব। কিন্তু আমরা মাতব্বরি করতে দেব না। যারা মাতব্বরি করবে, তাদের আমরা সহ্য করতে পারি না।

বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার পরও যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, বিদেশিরা গ্রহণ করবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই গ্রহণ করবে। যদি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হয়। একটি বড় দল যদি না আসে। মিশরে বড় দল ছিল ব্রাদারহুড, তারা নির্বাচনে আসেনি; আফগানিস্তানে তালেবান আসেনি। যুক্তরাষ্ট্র এটা গ্রহণ করেছে। কোনো একটি বিশেষ দল যদি না আসে, এটা খুব গুরত্বপূর্ণ নয়।

তিনি বলেন, সরকার হিসেবে সব দলকে চাই, নির্বাচনে আসুক। আর আমরা আমাদের নিজেদেরও যাচাই করতে চাই। তাদের যদি কোনো জনসমর্থন থাকে তারা নির্বাচনে আসবে এবং প্রমাণ করবে তাদের অবস্থান।

র‌্যাব প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আমেরিকা পরিণত সরকার। তারা জানে, র‌্যাব অত খারাপ কাজ করে না। আমেরিকা র‌্যাবকে সমর্থন করবে। হয়ত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমরা আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি।

অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, আমাদের দেশের লোকেরা আগেভাগে দুশ্চিন্তা করে। আমরা বিদেশে যে জিনিসপত্র বিক্রি করি, কেউ আমাদের দয়াদাক্ষিণ্য দেখায় না। সস্তায় ভালো জিনিস বিক্রি করি এবং যথাসময়ে পায় বলে কেনে। সুতরাং আমাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই।

 


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩