Logo
শিরোনাম

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কোকোর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বিএনপি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির চলমান আন্দোলন সফল হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পতন ঘটানো হবে।

খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকীতে, বনানীতে তার কবরে শ্রদ্ধা জানিয়ে এসব কথা বলেন ফখরুল। এ সময় বিশেষ দোয়ায় অংশ নেন দলের নেতারা। ফখরুল বলেন, কোকো কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না, তারপরও প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। দেশের মানুষ গণতন্ত্র উদ্ধারে আন্দোলন করে যাচ্ছে। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।  


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে ৬ জন শিশু পেলো হুইল চেয়ার

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় র‍্যালি ও আলোচনা সভা আয়োজন এর মধ্যে দিয়ে ৩২ তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ২৫ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টায় নওগাঁ জেলা প্রশাসকের অফিস চত্বর থেকে একটি র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি নওগাঁ জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এসে শেষ হয়।

পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে "প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাথে সম্মিলিত অংশ গ্রহণ,  নিশ্চিত করবে এসডিজি অর্জন" শিরোনামে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি এস এম জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজসেবা অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক নূর মোহাম্মদ। আলোচনা সভায় স্বগত বক্তব্য রাখেন সমাজ সেবা অধিদপ্তর নওগাঁ'র সহকারী পরিচালক মোঃ মহতাসিম বিল্লাহ।  

নওগাঁ জেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা সাবেরা সুলতানা আল আমান্না, নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ কায়েস উদ্দিন, বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন রানী'র প্রধান নির্বাহী ফজলুল হক খান এবং ধামইর উপজেলার আমবাটি প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক আঁখি আকতার। 

অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের উদ্যোগে ৬ জন প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



স্বতন্ত্রদের পাশে শেখ হাসিনা : ভয়ভীতি প্রচারণায় বাধা দিলেই ব্যবস্থা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন :এবার নির্বাচনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। প্রায় ৮০০ স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে শতাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। 

 যারা বাতিল হয়েছে তারাও আপিল করেছেন আর যে ৭০০ স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনের জন্য প্রাথমিকভাবে যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন তারা এবার নির্বাচনে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।

আওয়ামী লীগের মধ্যে থেকে বিভিন্ন নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে বসিয়ে দেওয়া বা একটা নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করছিলেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে স্ববিরোধিতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

 আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান যেমন বলেছেন যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোন অস্তিত্ব নাই, তাদের বিরুদ্ধে দলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যেমন বলছেন যে, স্বতন্ত্র প্রার্থী যে কেউ হতে পারবে না, এটা দল ঠিক করে দেবে, তেমনটি বলেননি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরং তিনি স্পষ্টতই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

 যারাই তার কাছে আসছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নালিশ করতে তারাই উল্টো ধমক খাচ্ছে। কারণ তিনি বারবার বলে দিয়েছেন যে যার খুশি সে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারে। যাদের প্রার্থী করা হয়েছে, তারা নিজ যোগ্যতায় জিতে আসবে। 

শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, কোন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভয়ভীতি দেখালে, তার নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিলে বা পেশিশক্তির প্রয়োগ করে তাকে ঠান্ডা করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 একই বার্তা প্রশাসনে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন বলেছে যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন করে সেটি নিশ্চিত করা হবে। এর ফলে এবার নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে স্বস্তিতে এবং ফুরফুরে অবস্থানে রয়েছে।

 বহু আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের জন্য রীতিমতো হুমকি হয়ে আছে এবং অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না যদি একটা বিপুল সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এই নির্বাচনে বিজয়ী হয়। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের বিভিন্ন নেতাদেরকে যারা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন তাদেরকে সুস্পষ্ট ভাবে তিনটি বার্তা দিয়েছেন। 

কোন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বসিয়ে দেওয়া যাবে না। এমনকি আওয়ামী লীগ সভাপতি জাতীয় পার্টি ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকেও তাদেরকে স্ব স্ব প্রতীক নিয়ে উন্মুক্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

 প্রধানমন্ত্রী ১৪ দলের নেতাদের বলেছেন, আপনারা ১৫ বছর ক্ষমতায় আছেন, আপনাদের সংগঠন কোথায়? আর শেষ পর্যন্ত করুণা করে হলেও ১৪ দলের শরিকদের কিছু আসন দেওয়া হলেও জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন ভাগাভাগির ব্যাপারে সম্মত নন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

 বরং তিনি চান বেশি সংখ্যক প্রার্থী অংশগ্রহণ করুক বেশি ভোটাররা ভোট দিক। এর ফলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে এক বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোন কাজের জন্য তিরস্কৃত বা বহিষ্কৃত হবেন না। 

 তাদেরকে প্রচারণা করার ক্ষেত্রে দলের প্রার্থীরা বাধা দেবেন না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে বসিয়ে দেওয়ার জন্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না। এই সমস্ত কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে একটা বিস্ফোরণ দেখা যাচ্ছে এবারের নির্বাচনে।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগ সভাপতির কৌশলের একটি অংশই হল স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নির্বাচনে প্রার্থী করা। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যেন নির্বাচনের মাঠে টিকে থাকেন, শক্তপোক্ত করতে পারেন সেটা তিনি মনেপ্রাণে চাইছেন।

 তার প্রধান লক্ষ্য হল নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা এবং জনগণের অভিপ্রায়ের যেন প্রতিফলন ঘটে সেটা নিশ্চিত করা। এর ফলে এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্রতা সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে আছে।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য সাদেকা হালিম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন উপাচার্য হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.সাদেকা হালিম চৌধুরী। 

তিনি জবির ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য হলেন সাদেকা হালিম।

আজ বৃহস্পতিবার সাদেকা হালিমকে এ নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন। 

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোখছানা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলে হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫–এর ১০ (১) ধারা অনুসারে অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছেন। 

উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ চার বছর। তবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তিনি নিয়মিত চাকরির বয়স পূর্তিতে মূল পদে প্রত্যাবর্তনপূর্বক অবসরগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন শেষে ওই মেয়াদের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করবেন।

 উপাচার্য পদে তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন এবং বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ড. সাদেকা হালিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। 

রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম প্রথম উপাচার্যের দায়িত্ব পান। 

এরপর ২০০৮ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক আবু হোসেন সিদ্দিক দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেসবাহ উদ্দিনকে তৃতীয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।

 ২০১৩ সালে অধ্যাপক মীজানুর রহমানকে চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০২১ বছরে গত ১৮ মার্চ উপাচার্য মীজানুর রহমান দ্বিতীয় দফার মেয়াদের পর পঞ্চম উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক। 

দ্বায়িত্বকালীন সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১১ নভেম্বর তিনি মারা গেলে ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম চৌধুরী।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




আবারো ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ বিএনপির

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

দুই দিনের বিরতি দিয়ে আগামী ২৬ ও ২৭ নভেম্বর (রবি ও সোমবার) ৪৮ ঘণ্টা দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী বলেন, অবৈধ আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনপ্রতিষ্ঠা, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসা এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবং অবৈধ তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে আগামী ২৬ নভেম্বর রবিবার ভোর ৬টা থেকে ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে রিজভী বলেন, এক বিশেষ পরিস্থিতি ও দুর্যোগ দুর্বিপাকের মধ্যে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন না। স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেন না। আর সরকার প্রতিনিয়ত ধাপ্পাবাজি করছে জনগণের সঙ্গে। সরকার প্রধান বলেছেন, নির্বাচনে আসুন কার কত দৌড় আমরা দেখি। নির্বাচনে দৌড়াবেন তো আপনি, আপনার মনের মতো করে তৈরি করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন তাদেরকে নিয়ে আপনি দৌড়াবেন। জনগণ তো প্রতিযোগিতার জন্য দৌড়াতে পারবে না। কারণ জনগণকে আপনি বন্দি করে রেখেছেন।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রকামী মানুষ আজ বন্দি জীবনযাপন করছে। বিএনপির অধিকাংশ নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) কারাগারে দিয়েছেন। আমাদের দলের তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলে ঢুকিয়েছেন। মাঠ খালি করে একা দৌড়ানোর জন্য আপনি রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করেছেন। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, আন্ডারগ্রাউন্ড দল নই। আমরা রাস্তায় প্রতিবাদ করি সকল অন্যায়ের। আর এই অপরাধেই আপনি গ্রেপ্তার করছেন । গ্রেফতারের জন্য মহাউৎসব শুরু করেছেন আপনি। প্রাণভরে গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছেন আপনি।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, একতরফা নির্বাচন, দুর্নীতি এবং টাকা পাচার করতে আপনি এবং আপনার সরকার পছন্দ করেন। একতরফা নির্বাচনী দৌড় আপনি দেবেন। তবে বলে রাখছি, এটা বাংলাদেশ। দেশের অসংখ্য মানুষের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ গঠিত হয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আপনি কিছু কিছু দেশকে সব উজাড় করে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সেদিন এক পুলিশ সদস্য নিহত হন এবং অনেকে আহত হন। সমাবেশ ভন্ডুল করার প্রতিবাদে পরদিন হরতাল আহ্বান করে বিএনপি। ওইদিন বিএনপি মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়। এর পরের কয়েকদিনে মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।

এসব গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের আগে থেকে চলা এক দফা দাবিতে ৩১ অক্টোবর থেকে মোটামুটি লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে আসছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষিত হওয়ায় এর প্রতিবাদে দুই দিন হরতাল পালন করা হয়। এখন নিয়মিতভাবে সপ্তাহের মঙ্গলবার বাদে বাকি চার দিন অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

 


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




আওয়ামী লীগের প্রার্থীর চেয়েও আলোচিত যে সব স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক :

 আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগই ইতোমধ্যে ২৯৮ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।

 এবারের নির্বাচন এমনভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যেখানে আওয়ামী লীগের জয় নিয়ে কোনরকম সংশয় নেই। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, যেমন জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম তারা নির্বাচনের দ্বিতীয় হওয়ার লড়াই করছে।

 কিন্তু কেউই নির্বাচনে ক্ষমতায় যাবে এমন কোন আশাবাদ ব্যক্ত করছেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

 যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে নানা ভাবে যুক্ত ছিলেন, আছেন। তারাই এবার অনেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

এর ফলে এবারের নির্বাচন শুরু থেকেই জমে গেছে। 

অনেক স্থানেই দেখা যাচ্ছে যে, আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থীর চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী অনেক বেশি আলোচিত এবং আলোকিত।

 যে সমস্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন জাতীয় রাজনীতিতেও আলোচিত, গুরুত্বপূর্ণ এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে তারা কোণঠাসা করে ফেলতে ফেলতে পারেন এমন আশঙ্কাও সৃষ্টি হয়েছে।

এ কে আজাদ চৌধুরী:

      এ কে আজাদ চৌধুরী একজন বর্ণাঢ্য শিল্পপতি ব্যবসায়ী। তিনি এক সময় বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি ছিলেন। 

আওয়ামী ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ী একদা আওয়ামী লীগ সভাপতিরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন ফরিদপুর-৩ আসনে।

 কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়ন পাননি। তার বদলে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে শামীম হককে। শামীম হকের চেয়ে জাতীয়ভাবে অনেক বেশি পরিচিত এ কে আজাদ চৌধুরী।

 তিনি ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের নেতাই শুধু নন, একটি টেলিভিশন চ্যানেল এবং একটি দৈনিক পত্রিকার মালিকও বটে। আর এর ফলে নির্বাচনের মাঠে তিনি যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দেবেন এটি এখন থেকেই বিভিন্ন মহলে আলোচিত হচ্ছে।

হাবিবে মিল্লাত:

   হাবিবে মিল্লাত সিরাজগঞ্জ থেকে দুই বারের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু সিরাজগঞ্জ-২ আসন থেকে এবার তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

 তার বদলে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জান্নাত আরা হেনরীকে। হাবিবে মিল্লাত সাবেক  স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের জামাতা।

 তিনি এলাকাতেও অনেক শক্তিশালী অবস্থানে ছিলেন বলে কোন কোন মহল মনে করে। তবে তার বিরুদ্ধে সংগঠন বিরোধী তৎপরতা নানা অভিযোগ রয়েছে।

 হাবিবে মিল্লাত একজন শুধু চিকিৎসকই নন, তিনি বিভিন্ন টকশোর কারণে দেশে আলোচিত নাম। দু বারের এমপি থাকার কারণে স্থানীয় পর্যায়ে তার একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে।

 এই অবস্থায় তার নির্বাচনী আসনে জান্নাত আরা হেনরীকে প্রার্থী করা হয়েছে যিনি ২০০৮ এর নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। 

এরপর তিনি সোনালী ব্যাংকের পরিচালক হন এবং সেখানে সেখানেও তিনি নানা কর্মকাণ্ডের কারণে বিতর্কিত হয়েছিলেন। তবে দীর্ঘদিন রাজনীতি করে এবং রাজনৈতিক পরিবার থেকে বেড়ে ওঠা হেনরী, হাবিবে মিল্লাত এর চেয়ে জাতীয় পর্যায়ে কম আলোচিত হলেও স্থানীয় পর্যায়ে তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। 

এই নির্বাচনী এলাকাতেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। 

মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন:

 ফরিদপুর মানেই কাজী জাফর উল্লাহ এবং মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের লড়াই। গত দুটি নির্বাচনে কাজী জাফর উল্লাহ ফরিদপুর-৪ আসন থেকে মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন।

 এবার কাজী জাফর উল্লাহ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ার হয়েছেন। অনেকে ধারণা করেছিলেন যে, তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করবেন না। তারপরও তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে সকলকে বিস্মিত করেছেন। 

এই আসনে মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সঙ্গে পেরে ওঠা কষ্টকর হবে বলেই অনেকে মনে করছেন। 

ইহতেশামুল হক চৌধুরী: 

      ইহতেশামুল হক চৌধুরী আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারি। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিএম-এর মহাসচিব হিসেবেও কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। 

তিনি এবার সিলেটের তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিলেটে তার একটা শক্ত ভিত রয়েছে। চিকিৎসক মহলে তার আলাদা অবস্থান রয়েছে। তিনি সিলেট অঞ্চলে নির্বাচন জমিয়ে দিতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন। 

মেজর জেনারেল (অব:) সুবিদ আলী ভূঁইয়া: 

  মেজর জেনারেল (অব:) সুবিদ আলী ভূঁইয়া আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। কিন্তু এবার তিনি মনোনয়ন পাননি। তার বদলে কুমিল্লা-১ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন আবদুস সবুর। এটি পছন্দ করেনি মেজর জেনারেল (অব:) সুবিদ আলী ভূঁইয়া।

 তিনি এখন পাল্টা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এই নির্বাচনী এলাকাতে নিঃসন্দেহে সুবিদ আলী ভূঁইয়া আলোচিত নাম। জাতীয়ভাবেও তিনি একজন পরিচিত ব্যক্তিত্ব। 

এই আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন জমিয়ে ফেলবেন বলে অনেকেই মনে করছেন।

ইকবাল হোসেন সবুজ:


   গাজীপুর-৩ আসনের বর্তমান এমপি দলিয় মনোনয়ন না পেয়ে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থি হয়েছেন।নির্বাচনী এলাকাটির প্রতিটি কোন চষে বেড়ানো জেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা মনোনয়ন না পাওয়াটা ছিল বিস্ময়ের।

অনেকেই ধারনা করেছিল তার মনোনয়ন না পাওয়ার কারনে হয়ত বা তার রাজনৈতিক জীবনের চরম উত্থানের ভাটা পড়তে যাচ্ছে।কেউ কেউ ধারনা করেছিল হয়ত বা তার রাজনৈতিক উত্থানে ছন্দনপতন শুরু হয়ে গিয়েছে।

কিন্তু জনদাবির প্রেক্ষিতে আকস্মিকভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থি হওয়ার ঘোষণা এবং বুধবার লক্ষাধিক লোকের সমাবেশের মধ্য দিয়ে তিনি মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে যে চমক এনেছেন তা দেখে অনেকেই চমকে গেছেন।

এখানে তার জনপ্রিয়তা এখনো অটুট বলে বলে মনে করছেন অনেকেই এবং নৌকার সাথে তার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩