Logo
শিরোনাম

রাজশাহীতে নার্সিং শিক্ষার্থীদের ‘প্রতীকি ক্লাস ও বই পড়া’ কর্মসূচি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী ::


রাজশাহীতে ‘প্রতীকি ক্লাস ও বই পড়া’ কর্মসূচি পালন করেছেন। রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) নার্সিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশমারের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।কর্মসূচিতে রামেবি অধিভুক্ত ২৩টি নার্সিং কলেজের বিএসসি কোর্সের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। 

ইতোমধ্যে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট সরকারি নার্সিং কলেজ এবং সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও রাজশাহীস্থ বিভিন্ন বেসরকারী নার্সিং কলেজের এ শিক্ষার্থীরা ৭ দফা দাবিতে ‘প্রতীকি পরীক্ষা ও প্রতীকি বিষপান’, গলায় ‘ফাঁসির দড়ি’ ঝুলিয়ে মিছিল, ‘কাফনের কাপড়’ জড়িয়ে অনশন এবং ক্লাস ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস বর্জনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছিলেন। 

এ চলমান কর্মসূচিতে অসুস্থ  ১৫ শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের অনেকেই এখনো চিকিৎসাধীন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দেন শিক্ষার্থীরা।


নার্সিং শিক্ষার্থীরা জানান, রামেবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তারা বৈষম্যের শিকার। তারা এর অবসান চান।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নবাজ-এর প্রতিষ্ঠাতা আমানুল্লাহ আমান বলেন, প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ও পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে আমাদের প্রতীকি ক্লাস ও বই পড়া কর্মসূচি নেয়া হয়। আমরা উচ্চ পর্যায়ে স্মারকলিপি প্রদান করে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি। 

আমরা আশাবাদি, রামেবিতে শীঘ্রই নতুন কর্মকর্তা এসে আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিয়ে পরীক্ষা শুরু ও সেপ্টেম্বর মাসেই কাঙ্খিত ফলাফল প্রকাশ করবেন।
এ ব্যাপারে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। কাজ চলমাম। দ্রুতই সমাধান হবে।

আরও খবর



ঢাবি ছাত্র শিবিরের কমিটি প্রকাশ, মিয়াজি পরিবারের অভিনন্দন ও মিষ্টি বিতরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

গতকাল বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় ছাত্রশিবিরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করে। এতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আবু সাদিক কায়েমকে সভাপতি এবং সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী এস এম ফরহাদকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষনা করে।


এছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে লোক প্রশাসন বিভাগের মহিউদ্দিন খান, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের হোসাইন আহমাদ জুবায়ের, ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মো. মাজহারুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইমরান হোসাইন, বায়তুল মাল সম্পাদক তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের আলাউদ্দিন আবিদ, দাওয়াহ ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক আরবি বিভাগের হামিদুর রশিদ জামিলকে ঘোষনা করা হয়।


ঢাবির ছাত্র শিবিরের কমিটিতে থাকা সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়ে এলাকায় মিষ্টি বিতরন করেছে মিয়াজি পরিবারের সদস্যরা। এসময় কুষ্টিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সদস্য নাজমুস সাইফ, বীরশ্রেষ্ট মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সহযোগী সৈয়দা তুত তাহিরা এবং তাদের পিতা মুখলেছুর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করায় আমরা সবাই অত্যন্ত খুশি, ছাত্রদের উজ্জল ভবিষ্যত কামনা করি। এসময় তারা নিকট আত্মীয়দের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ ভাগাভাগি করেন।


আরও খবর

সব হত্যার বিচার চান জামায়াত আমির

রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪




ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি নিরসনে জাতীয় মানবাধিকারে কমিশনের পদক্ষেপ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ওষুধ একটি নিত্য প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। দেশে কয়েক মাস পরপরই ওষুধের দাম বৃদ্ধি যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এবং বিশেষতঃ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দেশীয় কোম্পানিগুলো ওষুধের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টিতে উদ্বেগ ও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় নজরদারিসহ রাষ্ট্রকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে মর্মে কমিশন মনে করে। এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের উপরে স্বঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে। 

প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনাপূর্বক সুয়োমটোতে উল্লেখ রয়েছে, গত কয়েকদিনে অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথানাশক ট্যাবলেট, ভিটামিন, গ্যাস্ট্রিক ও ডায়াবেটিকসের ওষুধসহ বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশনের দাম বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো। অপরদিকে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভোক্তা অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের অভিযানে ভাটা পড়েছে। এই সুযোগে ওষুধের দাম বেড়েছে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। রাজধানীর গোপীবাগ, শাহবাগ, মিটফোর্ড ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার কয়েকটি ফার্মেসিতে ক্রেতাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ওষুধের দাম বাড়ার বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন ক্রেতা-বিক্রেতা। জানা যায়, দেশে উৎপাদিত মোট ওষুধের মাত্র ৩ শতাংশের দাম নির্ধারণ করতে পারে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। বাকি ৯৭ ভাগের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইচ্ছে মতো ওষুধ কোম্পানিগুলো মুনাফা করছে। এক্ষেত্রে বরাবরই বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ওষুধের কাঁচামাল, মার্কেটিং খরচ ও ডলারের দাম বাড়ার বিষয়টি সামনে আনা হয়। ওষুধের দাম বৃদ্ধি রোধে গত ২৯ এপ্রিল উচ্চ-আদালত থেকে নির্দেশনা দেয়া হয় কিন্তু সেটিও কার্যকর হচ্ছে না। ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। 

এ অবস্থায়, গৃহীত সুয়োমটোতে জীবনরক্ষাকারী সকল ওষুধের তালিকা করাসহ সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমার মধ্যে রেখে ওষুধের দাম নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করতে মহাপরিচালক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে। আদেশের অনুলিপি জ্ঞাতার্থে সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে প্রেরণ করা হয়েছে। আগামী ২১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ প্রতিবেদনের জন্য ধার্য করা হয়েছে।   


আরও খবর



নওগাঁয় ভারতে পালানোর সময় দু'জন ছাত্রলীগ নেতা শ্রীঘরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

ভারতে পালানোর সময় নওগাঁর মহাদেবপুরে আটক আব্দুল্লাহ আল আহসান (২৪) নামের চট্রগ্রামের এক ছাত্রলীগ নেতাসহ মান্দায় মেহরাব হোসেন মিষ্টার (৩২) নামে অপর এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে করেছে থানা পুলিশ। বুধবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুই থানার অফিসার ইনচার্জ। 

আটককৃত আব্দুল্লাহ আল আহসান চট্রগ্রামের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলামের ছেলে ও চান্দগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপিতি ও অপর আটক ছাত্রলীগ নেতা মিস্টার উপজেলার পরানপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও পরানপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান ওরফে আবুলের ছেলে।


থানা সূত্রে জানা যায়, আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর তার নামে চান্দগাঁও থানায় তার নামে ৩ টি মামলা হয়েছে। মামলার ভয়ে সে নওগাঁর ধামইরহাট থানার সীমান্ত দিয়ে পালানোর জন্য মহাদেবপুর থানার এক এজেন্টের সাথে চুক্তি করে। এই তথ্যটি বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা পাওয়ার পর প্রথমে সেই এজেন্টকে জিম্মায় নেয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে উপজেলার হাতুর ইউপির দেওপাড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। অপরদিকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের বান্দাইপুর গ্রামে ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে ওইদিন সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী ফেটগ্রামের প্রতিপক্ষের লোকজনের সঙ্গে বাকবিতন্ডার একপার্যায়ে অভিযুক্ত মিষ্টার গংয়ের মারপিটে ৮ জন গুরুতর আহত হন। ওই ঘটনায় ভূক্তভোগী রিয়াজ উদ্দিন শাহ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে মান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে পরানপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ব্যাক্তির নিকট চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে।

সত্যতা নিশ্চিত করে তাদের দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাসমত আলী ও মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান।


আরও খবর

সব হত্যার বিচার চান জামায়াত আমির

রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪




কক্সবাজারে নিহত সেনা কর্মকর্তা তানজীম সরোয়ারের লাশ টাঙ্গাইলে সামরীক মর্যাদায় দাফন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

টাঙ্গাইল প্রতিবেদক :

কক্সবাজারের চকরিয়ায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান পরিচালনার সময় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত সেনা কর্মকর্তা  তানজীম সারোয়ার নির্জনের লাশ সামরীক কায়দায় টাঙ্গাইলে দাফন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল  ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে পৌর এলাকা করের বেতকা গ্রামে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে বাদ আসর স্থানীয় বোয়ালী মাদ্রাসা মাঠে জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে  জিওসি ১৯ পদাদিক ডিভিশন ও এরিয়া সদর দপ্তর ঘাটাইল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল হুসাইন মোহাম্মদ মাসীহুর রহমান ও ৯৮ সংমিশ্রিত ব্রিগেড কমান্ডারসহ সেনাবাহিনরি উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও  আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় সর্বস্তরের মানুষ জানাজা নামাজের অংশ নেয়।

বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সেনা কর্মকর্তা তানজীম সরোয়ার নির্জনের মরদেহ হেলিকপ্টারযোগে টাঙ্গাইল পৌছে। জেলা সদরে সার্কিট হাউজের সামনে হেলিপ্যাডে মরদেহ পৌছলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মরদেহ গ্রহন করেন। এরপর তারা নির্জনের মরদেহ পৌর এলাকা করের বেতকা গ্রামে বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় সেখানে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সুচনা হয়। নির্জনের লাশ দেখে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

এদিকে তানজীর সরোয়ার নির্জনের মৃত্যুর খবর পৌছলে টাঙ্গাইলে শোকের ছায়া নেমে আসে। সর্বস্তরের মানুষ করের বেতকা গ্রামে নির্জনের বাসায় ভীল জমায়। দুপুরের পর থেকেই সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা নির্জনের বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজনের ভীর সামলাতে হিমশিম ক্ষেতে হয় তাদের।

নির্জনের প্রতিবেশী ও স্বজনরা জানায়, স্কুল থেকেই নির্জন খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। খুবই শান্ত স্বভাবের এই ছেলেকে কখনো কারো সাথে খারাপ আচরণ করতে দেখা যায়নি।

সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত তানজীর সরোয়ার নির্জনের বাবা সরোয়ার জাহান জানান, ভোর ছয়টার দিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আমাদের বিষয়টি জানানো হয়। ছেলের এমন খবরে আমরা হতবিহবল হয়ে পড়ি। নির্জনের মা খবরটি শোনার পর থেকে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে বারবার। তিনি এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।  দুই ভাই বোনের মধ্যে তানজীম সরোয়ারের নির্জন হচ্ছে ছোট।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চকরিয়া উপজেলার অন্তর্গত ডুলহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে ডাকাতির খবর পেয়ে চকরিয়া আর্মি ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল দ্রুততার সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায়। পরে রাত ৪টার দিকে মাইজপাড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করার সময় ৭-৮ সদস্যের একটি ডাকাত দল সেনা টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার সময় লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন (২৩) ডাকাত দলের কয়েকজনকে তাড়া করেন।

এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনের ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করলে গুরুতর আহত হয় এবং এতে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


আরও খবর



বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত:শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে বিজেপির আয়োজিত নির্বাচনী এক সমাবেশে এই হুমকি দিয়েছেন তিনি।

অমিত শাহ বলেছেন, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি সরকার গঠন করতে পারলে প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে খুঁজে বের করে উল্টো ঝুলিয়ে রাখা হবে। প্রদেশের সাহেবগঞ্জ জেলায় পরিবর্তন যাত্রা নামের এক পদযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, রাজ্যের প্রত্যেকটি গ্রামে গ্রামে আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত পরিবর্তন যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এই পদযাত্রার মাধ্যমে পরিবর্তনের বার্তা দেওয়া হবে

দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যে বিজেপিকে সরকার গঠনে সহায়তা করার জন্য জনতার প্রতি আহ্বান জানান অমিত শাহ। এ সময় তিনি বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন

ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগণা জেলায় উপজাতি জনগোষ্ঠীর লোকজনের সংখ্যা কমে যাওয়া এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা সম্পর্কে অতীতে বিজেপির বিভিন্ন নেতার করা মন্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন তিনি

অমিত শাহ বলেছেন, ‘‘এই জমি আদিবাসীদের। কিন্তু এখানে অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। আদিবাসীদের সংখ্যা ৪৪ শতাংশ থেকে কমে ২৮ শতাংশ হয়েছে। অনুপ্রবেশকারীরা জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডির ভোট ব্যাংক হওয়ায় এখানকার সরকার জনকল্যাণের পরিবর্তে অনুপ্রবেশকারীদের কল্যাণে নিযুক্ত রয়েছে।

রাজ্যের পাকুর জেলায় ‘‘হিন্দুদের ঝাড়খণ্ড ছাড়তে হবে’’ স্লোগান দিতেও শুনেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভারতের এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে হেমন্ত সরেন নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ডের জোট সরকারকে ভারতের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, হেমন্তের সরকার দুর্নীতি ছাড়া কিছুই করছে না। এই সরকার ভারতে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার

রাজ্যসভার কংগ্রেস দলীয় সদস্য ধীরাজ সাহুর বাসভবনে পাওয়া সাড়ে ৩০০ কোটি রুপির হদিশ সম্পর্কে জনগণের কাছে প্রশ্ন করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘এই টাকা মদের টাকা নয়। এটা রাজ্যের দরিদ্র জনগণের টাকা

সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ


আরও খবর