Logo
শিরোনাম

রামগঞ্জে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি বাতিলে সাংবাদিক সম্মেলন

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ঃ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবীতে সাবেক সাংসদ নাজিম উদ্দিন নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার  বেলা ১১ টার দিকে তিনি রামগঞ্জ স্থানীয় আলীয়া মাদ্রাসার মাঠে সংবাদ সম্মেলনে আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবী করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সাংসদ ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নাজিম উদ্দীন আহমেদ বলেন, হাইব্রিড ও এলডিপি নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিমেরকর্মি সমর্থকদের দলে অর্ন্তভুক্ত করতে কোটি টাকা বানিজ্য করে জেলা বিএনপি নেতারা। পরে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, নতুন কমিটির আহবায়ক পদে তিনি থাকলেও স্থান পায়নি যারা বিগত আন্দোলন সংগ্রামে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে হামলা ও মামলার শিকার অসংখ্য বিএনপির নেতাকর্মী। এ কমিটিতে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করায় তিনি এ পদ নিয়ে কমিটিতে থাকতে চান না। 

এ সময় পৌর বিএনপি সাবেক আহবায়ক জাকির হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম ভিপি‘র সঞ্চালনায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা এলরহমান, মাহমুদুল আলম মন্টু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়রসহ-সভাপতি সাহাব উদ্দিন তুর্কি,পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু,উপজেলা বিএনপি নেতা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, রফিক উল্যাহ পাটোয়ারী,অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিরন, মোঃ লিটন এভিন,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরনবী,যুবদল নেতা জামাল পাটোয়ারী,কাউছার পাঠান,ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক এমরান হোসেন রাসেল হবি এনপি অঙ্গসংগঠনের নেতারা। এসময় উপজেলা বিএনপির পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে সংবাদ সম্মেলনটি সমাবেশে রুপ নেয়। তারা বলেন,বিগত দিনে যারা রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না, তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনকে গতিহীন করতে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা এ কমিটি মানি না। অনতি বিলম্বে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি বাতিল না করলে গণপদত্যাগ ও অনশনের হুমকি দেয়া বক্তারা।


দলীয় সূত্রে জানাগেছে, গত ২৯ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে সাবেক সাংসদ ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি নাজিম আহাম্মেদ রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সদস্য সচিব, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামানকে পৌর বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সদস্য সচিব মিয়া আলমগীরকে সদস্য সচিব করে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত আহবায়ক কমিটিতে স্বাক্ষর করে অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুগ্ন আহবায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান ও সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু।

এদিকে কয়েকদিন ধরে কমিটির ঘোষণার পর উপজেলা ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক বিএনপি দলীয় সাংসদ নাজিমউদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম ভিপি, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা এল রহমান, সাহাব উদ্দিন তুর্কী, মতিঝিলের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ, চট্টগ্রামস্থ বিএনপি নেতা লায়ন নুরুল আলম বাচ্চুসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপির পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন। 

এছাড়া একই দিন দুপুরে সদ্য কমিটির উদ্যেগে রামগঞ্জ পৌর নন্দনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহাবুবুর রহমান বাহার, পৌর বিএনপির আহবায়ক শেখ কামরুজ্জামানসহ দলের আরেকটি গ্রুপ।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। কমতে শুরু করেছে রাতের তাপমাত্রা। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যা নামলেই উত্তর হিমালয় দিকে থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় শীত অনুভূত হয়।

৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সোমবার রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী নভেম্বর থেকে উত্তরের পঞ্চগড় জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়ায় শীত পড়তে শুরু করেছে। তাপমাত্রা বর্তমানে ১৪-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ড হচ্ছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে শীতের প্রকোপ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপে ৩১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩০.৩ রাজশাহীতে ৩০.০, রংপুরে ২৯.৫, ময়মনসিংহে ২৮.৫, সিলেটে ২৯.৫, চট্টগ্রামে ৩০.৫, খুলনায় ২৮.০ ও বরিশালে ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ জানান, জেলায় একটু একটু করে শীত বাড়ছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। তিনি জানান, আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে । যা গতকাল মঙ্গলবার রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর গত সোমবার রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু এবার তেমন কুয়াশা নেই।

 


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




প্রকাশ্যে এলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরী

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিজ হাতে গুলি করে খুন করা এস এইচ এম বি নূর চৌধুরীকে নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করেছে কানাডিয়ান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসি। যে প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীর দেখা মিলেছে। সিবিসি টেলিভিশিনের জনপ্রিয় অনুসন্ধানী বিভাগ দ্য ফিফথ স্টেটদ্য অ্যাসাসিন নেক্সট ডোর শিরোনামের ৪২ মিনিটের এই প্রতিবেদনটি প্রচারিত হয় শনিবার (বাংলাদেশ সময়) সকাল ৮টায়।

প্রতিবেদনে নূর চৌধুরীর কানাডায় পালিয়ে যাওয়া, ২৭ বছর সেখানে থেকে যাওয়া এবং খুনের অভিযোগে হওয়া শাস্তি বাস্তবায়নে তাকে বাংলাদেশের ফেরত চাওয়ার বিষয়গুলো উঠে এসেছে। কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার শক্তিশালী বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, এই একটি ইস্যু বাদে কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। কেবল বাংলাদেশি হাই কমিশনার হিসেবে নয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি চাই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক।

নূর চৌধুরী কোথায় আছেন, কী করছেন, এ নিয়ে জানা থাকলেও তথ্য আকারে সামনে আসেনি তেমন। তার অবস্থান নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরির প্রচেষ্টা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই রিপোর্ট প্রচারের মধ্য দিয়ে সেই ধোঁয়াশা কেটে যাবে এবং কানাডিয়ান সাধারণ জনগণ তাদের পাশের বাসায় থাকা ভয়ানক এই খুনি সম্পর্কে পরিষ্কার একটি ধারণা পাবে।

প্রতিবেদনে টরন্টোর নিজ ফ্লাটের ব্যালকনিতে নূর চৌধুরীকে এক ঝলক দেখানো হয়। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীকে ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা অবস্থায় ধরতে পারেন প্রতিবেদক। কিন্তু কথা না বলে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে কোনোমতে কেটে পড়েন তিনি। দীর্ঘদিন অনুসরণ করে খুঁজে বের করেছে ফিফথ স্টেটের অনুসন্ধানী দলটি।

বঙ্গবন্ধুকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যার পর কূটনীতিক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেন নূর চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে তিনি পালিয়ে প্রথমে আমেরিকা, পরে কানাডায় ঢোকেন দর্শনার্থী হিসেবে। এরপর ১৯৯৯ সালে শরণার্থী হিসেবে থেকে যাওয়ার আবেদন করলেও কানাডা সরকার তা নাকচ করে দেয়। আপিল করেও হেরে যান নূর চৌধুরী। ২০০৯ সালে কানাডা থেকে নূরকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন কানাডিয়ান সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু বাংলাদেশে পাঠালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে ২০১০ সালের দিকে সরকারের কাছে প্রি রিমুভাল রিস্ক এসেসমেন্টর আবেদন করেন নূর চৌধুরী। যেহেতু কানাডা মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে না, সেহেতু এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে সেখানে মুক্ত জীবনযাপন করছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বরে সচিবালয়ে আসেন কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস। সাক্ষাতের পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কানাডার আইনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় বলে আমাকে হাইকমিশনার জানিয়েছেন।

আমি তাদের অনুরোধ করেছি, বিকল্প পন্থা বের করা যায় কিনা। তাকে বলেছি, একজন খুনিকে আশ্রয় দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন। তিনি এও বলেন, আমি তারপরেও তাকে অনুরোধ করেছি যে, আমাদের আইন এবং যে সব রুলস আছে, আমরা যদি সেগুলো এক্সামিন করি তাহলে কানাডা যাতে ফিরিয়ে দিতে পারে এমন কোনও পন্থা খুঁজে পাবো আমরা। এটাও বলেছি, তাকে ওখানে রাখাটা মানবাধিকার লঙ্ঘন।


আরও খবর



ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন হবে : শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অস্ত্র হাতে রাতের অন্ধকারে না, ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন হবে। সবসময় আমাদের লক্ষ্য ছিল জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা।

শুক্রবার তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয়ে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারে আসার পর থেকে একের পর এক নির্বাচন হয়েছে। এখানে নানা ধরনের অনিয়ম দেখেছি। যখনই আমরা সুযোগ পেয়েছি সেগুলো সংশোধন করে জনগণের ভোটের অধিকার যাতে নিশ্চিত হয়, তার ব্যবস্থা করেছি। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন পর্যন্ত করে দিলাম। আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে।

তিনি বলেন, আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’— এই স্লোগান দিয়ে আমরা মানুষকে তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করি এবং ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করি।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




নতুক কারিকুলাম বাতিলে শিক্ষামন্ত্রীর বরাবর স্বারকলিপি ৫ ডিসেম্বর

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

 নতুন কারিকুলাম বাতিল এবং নম্বরভিত্তিক পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর দাবিতে আগামী ৫ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ও দেশের সব জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এ ছাড়া ২২ ডিসেম্বর অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের নিয়ে মতবিনিময় সভারও আয়োজন করা হবে।

২৪ নভেম্বর রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক মানববন্ধন শেষে এই কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।  নতুন কারিকুলাম বাতিলসহ আটদফা দাবি নিয়ে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে এ মানববন্ধন করে একদল অভিভাবক।

মানববন্ধনে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা বলেন, নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা তাত্ত্বিক কিছুই শিখছে না। গুগলের সহায়তায় তারা বিভিন্ন কাজ কপি করে জমা দিচ্ছে। তাছাড়া কারিকুলামে বিজ্ঞান ও গণিতের পরিসর সংকোচন করা হয়েছে। ফলে বিদেশে গিয়ে যারা উচ্চশিক্ষা নিতে চায়, তাদের সুযোগ কমে গেছে।

তিনি বলেন, বলা হচ্ছে বিদেশের সঙ্গে মিল রেখে আমাদের কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের শিক্ষকদের মান, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, শ্রেণীকক্ষ সংখ্যা কোনটিই বিদেশের মতো অবস্থায় নেই। নতুন কারিকুলামে এসব বাস্তবতা বিবেচনা করা হয়নি।

সেন্ট জোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ডালিয়া পারভীন বলেন, আমার ছেলেকে বিজ্ঞান পরীক্ষায় বাসার এসি-ফ্রিজের মতো যেকোনো একটি ডিভাইসের ওপর পোস্টার বানিয়ে নিতে বলা হয়েছে। সে ইন্টারনেট থেকে দেখে দেখে পোস্টার বানিয়েছে। কিন্তু গ্রামের একটা শিক্ষার্থীর এ ধরনের ডিভাইস বা ইন্টারনেট সার্ভিস নেই। কারিকুলামে কি গ্রামের কৃষক-শ্রমিকের সন্তানের কথা বিবেচনা করা হয়েছে? হয়নি।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীর অভিভাবক শাহ আলম বলেন, আমরা জানতাম শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু শিক্ষা গ্রহণ করার পর একটি জাতি যে মেরুদণ্ডহীন হতে পারে, তার ব্যবস্থা এই নতুন কারিকুলাম করেছে।

আরেক অভিভাবক ফাতেমা সুলতানা বলেন, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘসময় অনলাইনে থাকতে হচ্ছে। একজন শিক্ষার্থী কোন সাইটে যাচ্ছে, কী দেখছে তার প্রতি সার্বক্ষণিক খেয়াল রাখা তো অভিভাবকের পক্ষে সম্ভব নয়। তাদের অনেকেই অল্প বয়সে বিভিন্ন নিষিদ্ধ সাইটে চলে যেতে পারে। তাছাড়া নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে। সম্পূর্ণ মূল্যায়ন শিক্ষকের হাতে থাকায় ভালো পড়ানোর যে তাড়না, তাও শিক্ষকরা হারিয়ে ফেলবেন।

নবাব কাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোহাম্মদ মুসলিম বলেন, কারিকুলাম অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু তা তৈরিতে কতজন অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষাবিদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে? এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেটধারী শ্রমিক হবে। নতুন শিক্ষাক্রম হবে সার্টিফিকেটধারী শ্রমিক তৈরির কারখানা। পরে দেশের বাইরে থেকে চুক্তিভিত্তিক লোক এনে দেশ পরিচালনা করতে হবে।

অভিভাবকদের দাবির মধ্যে রয়েছে শিক্ষানীতিবিরোধী নতুন কারিকুলাম সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে; নম্বরভিত্তিক দুইটি সাময়িক লিখিত পরীক্ষা (৬০ নম্বর) চালু রাখতে হবে এবং ধারাবাহিক মূল্যায়ন হিসেবে ৪০ নম্বর রাখতে হবে; নবম শ্রেণী থেকেই শিক্ষার্থীর আগ্রহ অনুযায়ী বিষয় নির্বাচনের সুযোগ অথবা বিজ্ঞান বিভাগ রাখতে হবে; ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ ইত্যাদি নির্দেশক বাতিল করে নম্বর ও গ্রেডভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি রাখতে হবে।

এ ছাড়াও রয়েছে- সব সময়ে সকল শিখন, প্রজেক্ট ও অভিজ্ঞতা ভিত্তিক ক্লাসের ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে এবং স্কুল পিরিয়ডেই সকল প্রজেক্ট সম্পন্ন হতে হবে; শিক্ষার্থীদের দলগত ও প্রজেক্টের কাজে ডিভাইসমুখী হতে অনুৎসাহিত করতে হবে এবং তাত্ত্বিক বিষয়ে অধ্যয়নমুখী করতে হবে; প্রতি বছর ক্লাসে নিবন্ধন ও সনদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা চালু রাখতে হবে এবং এসএসসি ও এইচএসসি দুইটি পাবলিক পরীক্ষা বহাল রাখতে হবে; সব শ্রেণীতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই তা মন্ত্রিপরিষদ ও সংসদে উত্থাপন করতে হবে।

সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের দাবিগুলো হলো-

১. শিক্ষানীতি বিরোধী নতুন কারিকুলাম সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে।
২. নম্বরভিত্তিক দুটি সাময়িক লিখিত পরীক্ষা (৬০ নম্বর) চালু রাখতে হবে এবং ধারাবাহিক মূল্যায়ন হিসেবে ৪০ নম্বর রাখতে হবে।
৩. নবম শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীর আগ্রহ অনুযায়ী বিষয় নির্বাচনের সুযোগ অথবা বিজ্ঞান বিভাগ রাখতে হবে।
৪. ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ ইত্যাদি নির্দেশক বা ইন্ডিকেটর বাতিল করে নম্বর ও গ্রেডভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি রাখতে হবে।
৫. সবসময় সব শিখন, প্রোজেক্ট ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক ক্লাসের ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে এবং স্কুল পিরিয়ডেই সব প্রোজেক্ট সম্পন্ন হতে হবে।
৬. শিক্ষার্থীদের দলগত ও প্রোজেক্টের কাজে ডিভাইসমুখী হতে অনুৎসাহিত করতে হবে এবং তাত্ত্বিক বিষয়ে অধ্যয়নমুখী করতে হবে।
৭. প্রতিবছর প্রতি ক্লাসে নিবন্ধন ও সনদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা চালু রাখতে হবে এবং এসএসসি ও এইচএসসি দুটি পাবলিক পরীক্ষা বহাল রাখতে হবে।
৮. সবসময় সব শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই তা মন্ত্রিপরিষদ ও সংসদে উত্থাপন করতে হবে।

 


আরও খবর



খুলনার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত সম্পন্ন

আউটসোর্সিং জনবল সরবরাহের টেন্ডার অনিয়ম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

খুলনা ব্যুরো: খুলনা সিভিল সার্জনের দপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের টেন্ডারে অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর বুধবার তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে গঠিত তদন্ত কমিটির সভাপতির অবর্তমানে কমিটির সদস্য খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দপ্তরের সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টিম তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে এসময় খুলনার সিভিল সার্জনসহ ওই দপ্তরের মোট ছয়জনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় বলে সহকারী পরিচালক(প্রশাসন) ডাঃ মোঃ আখতারুজ্জামান জানান তিনি বলেন, তদন্তকালে কমিটির অপর সদস্য খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এম এম জাহাতাব হোসেন প্রধান সহকারী মোঃ মাছুম বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন সকাল ১০টা থেকে প্রায় আড়াইঘন্টাব্যাপী সিভিল সার্জনের দপ্তরে তারা অবস্থান করে সিভিল সার্জন, হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ঠিকাদারসহ আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত টেন্ডার প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত অন্তত: ছয়জনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় তদন্ত শেষে তদন্ত প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হবে বলেও তিনি জানান তবে কমিটির সভাপতি বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদ জরুরি কাজে ঢাকায় অবস্থান করায় তিনি তদন্তকাজে থাকতে পারেননি বলেও জানান এর আগে চলতি বছরের ১১ মার্চ খুলনার সিভিল সার্জন বরাবর এবং ১৯ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন, আউটসোর্সিং কর্মচারী সরবরাহের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টি, ফোর এস. ইন্টারন্যাশনাল প্রাঃ লিঃ এর পক্ষে এস, এম গিয়াস উদ্দীন ওই অভিযোগপত্রে আউটসোর্সিং কর্মচারী সরবরাহের ঠিকাদার নিয়োগের টেন্ডারে অনিয়ম হয়েছে বলে সাত দফা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরা হয় যার আলোকে গত ২২ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক(প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সামিউল ইসলাম খুলনার বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে বিষয়টি তদন্ত করে পত্র প্রাপ্তির পর ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ দেন গত ৩১ অক্টোবর ওই পত্র প্রাপ্তির পর পরিচালক(স্বাস্থ্য) ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয় কমিটির পক্ষ থেকে সম্প্রতি পত্র দিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে সরোজমিনে তদন্তের দিন-তারিখ জানানো হয় নির্দিষ্ট দিনে গতকাল সকালে ওই তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয় উল্লেখ্য, যে টেন্ডারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং তদন্ত হলো সেই টেন্ডারে অংশ নিয়েই ফুলতলার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জনবল সরবরাহের কাজ পায় ওই টেন্ডারের বিরুদ্ধে অবশ্য মাছরাঙা সিকিউরিটি সার্ভিসেস (প্রাঃ) লিঃ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একাধিক মামলা এবং সর্বশেষ আইনী নোটিশও দেওয়া হয় কিন্তু কোন কিছুকে তোয়াক্কা না করেই সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাব বিভাগের এক ব্যক্তির মাধ্যমে নানাভাবে আইনী ফাঁক-ফোঁকর বের করে পূর্বের ঠিকাদারের কাজ চলমান রাখার চেষ্টা চলে ঠিক এমন সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত অনেকটা গুরুত্ব বহন করে বলেও অভিজ্ঞ মহলের অভিমত


আরও খবর