Logo
শিরোনাম

রামগড়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৫২ হাজার টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা,রামগড় :

খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে অভিযান চালিয়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার ৫ই জুন দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খাগড়াছড়ি জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় নানা অনিয়ম ও ভোক্তা অ‌ধিকার বিরোধী কর্মকাণ্ডে অপরাধ প্রমাণিত হওয়াতে ৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে এ জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

ভোক্তা অধিকার সূত্রে জানা গেছে, নোংরা পরিবেশে খাবার পরিবেশন করায় খালেক হোটেল মালিককে ১০ হাজার, মেয়াদহীন কসমে‌টিকস রাখার অপরাধে রুপ কথা কসমেটিকস'কে ২০ হাজার, মেয়াদহীন ঔষধ দোকানে রাখার অপরাধে জাহাঙ্গীর মেডিকেল হলের মালিককে ২০ হাজার ও হৃদয় কসমেটিকসকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এর সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার জানান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ও ৪৩ দ্বারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়াতে রামগড়ে ৪ প্রতিষ্ঠানে ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, ও প্রতিষ্ঠানের মালিককে সর্তক করা হয়, তিনি আরো জানান ভোক্তা অধিকারের এ অভিযান চলমান থাকবে।

অভিযানে রামগড় থানার উপপরিদর্শক এস আই মো.তারেক এর নেতৃত্বে  পুলিশের একটি টিম সঙ্গে থেকে সা‌র্বিক সহযো‌গিতা করেন।


আরও খবর



ফের একসঙ্গে খেলবেন মেসি-সুয়ারেজ-নেইমার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ক্লাব ফুটবলের অন্যতম জনপ্রিয় ত্রয়ী– ‘এমএসএন’। স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনায় লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র ও লুইস সুয়ারেজের সেই আক্রমণত্রয়ী যেকোনো ক্লাবের জন্য ছিল আতঙ্কের নাম। নানা ঠিকানা বদলের পর মেসি ও সুয়ারেজ ফের একসঙ্গে খেলছেন ইন্টার মায়ামিতে। তবে এখনও বিচ্ছিন্ন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। পুরোনো দুই বন্ধুর সঙ্গে আবারও একত্রে খেলতে পারেন বলে তিনি নতুন করে আভাস দিয়েছেন!

গত বছর আলোচনার কেন্দ্রে ছিল— সৌদি ক্লাব আল-হিলাল ছেড়ে এই সেলেসাও তারকা যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেবেন। মেসি-সুয়ারেজদের সঙ্গে এমএলএসের ক্লাবটিতে তার পুনর্মিলন নিয়ে আগ্রহও দেখিয়েছেন ভক্তরা। তবে সেই আলোচনা চূড়ান্ত সাফল্য পায়নি। আবারও সেই প্রসঙ্গ উঠেছে নেইমারের সামনে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন স্পোর্ট ফের ‘এমএসএন’-ত্রয়ী দেখা যাবে কি না সেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিল।

জবাবে নেইমার বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই মেসি এবং সুয়ারেজের সঙ্গে একত্রে খেলতে পারা অবিশ্বাস্য কিছু। তারা আমার বন্ধু। আমরা এখনও পরস্পরের সঙ্গে কথা বলি। সেই ত্রয়ী-আক্রমণ (এমএসএন) আবারও পুনরিজ্জীবিত করা খুবই উপভোগ্য হবে। আমি আল-হিলালে খুশি, সৌদি আরবে ভালো আছি। তবে কে জানে, ফুটবল তো বিষ্ময় ও চমকে পরিপূর্ণ।’

পিএসজি ছেড়ে কেন সৌদি ক্লাবকে বেছে নিলেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান, ‘যখন আমার পিএসজি ছাড়ার খবর প্রকাশিত হয়, সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রান্সফার (দলবদল) উইন্ডো বন্ধ হয়ে যায়। তাই আমার হাতে কোনো বিকল্প সুযোগ ছিল না। পরে আমাকে তারা (সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলাল) যে প্রস্তাবনা দেয়, সেটি খুব ভালো ছিল। শুধুমাত্র আমার জন্য নয়, আমার পরিবারের জন্যও। তাই সৌদি আরবে যাওয়া ছিল সবচেয়ে ভালো বিকল্প।’

মেসি-সুয়ারেজের চেয়ে পাঁচ বছরের ছোট নেইমার, তবে বেশ কয়েক বছর বার্সায় একত্রে তিনজনের আক্রমণ-ত্রয়ী অন্যরকম বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতা গড়ে দিয়েছিল। তবে নেইমার আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ার তাদের চেয়েও আরও দীর্ঘায়িত করার সুযোগ পাচ্ছেন। দুই ল্যাটিন আমেরিকান তারকা মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গেও এমএলএসের ক্লাব মায়ামির চুক্তির মেয়াদ রয়েছে ২০২৫ সাল (পুরো বছর) পর্যন্ত। অন্যদিকে, আল-হিলালের সঙ্গে নেইমারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের জুনে।

প্রসঙ্গত, বয়সে ছোট হলেও, নেইমারের ক্যারিয়ার ইনজুরিতে জরাজীর্ণ। এক বছরেরও বেশি সময় ইনজুরিতে কাটানোর পর গত অক্টোবরের শেষদিকে মাঠে ফিরেছিলেন আল-হিলালের এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। তবে আবারও তিনি চার সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন। ফলে নতুন বছরের আগে তিনি আর ক্লাবটির জার্সি গায়ে জড়াতে পারেননি। সম্প্রতি আল-হিলালের হয়ে প্রীতি ম্যাচে নেমে অবশ্য গোল পেয়েছেন নেইমার। ক্লাবটিতে তিনি আর কতদিন থাকবেন কিংবা তার পরবর্তী গন্তব্য কোথায় হবে সেটি সময়ই বলে দেবে!


আরও খবর



কুবিতে তিন দপ্তরে 'বিশৃঙ্খলার' অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

কুবি প্রতিনিধি :

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) গত ১২ জানুয়ারি গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা অর্ণব সিংহ রায়কে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়। উক্ত ঘটনায় 'বিশৃঙ্খলার' অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন দপ্তরে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে, উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দপ্তর প্রধানরা মন্তব্য করতে নারাজ।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তর, প্রক্টর দপ্তর এবং ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরে এই অভিযোগপত্র জমা দেন তারা। অভিযোগপত্রের বিষয় জানতে দপ্তর প্রধানদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা 'এ বিষয় কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না' বলে জানান।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ১২ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে লোকপ্রশাসন বিভাগের ১৪তম আবর্তনের মাহফুজ অন্তর, মার্কেটিং বিভাগের ১৫ তম আবর্তনের শাহাদাত তানভীর রাফি, ফার্মেসী বিভাগের ১৫তম আবর্তনের সাদী, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ১৬তম আবর্তনের মোহাম্মদ রাফি দ্বারা 'গণিত বিভাগের টিচার্স রুম ভাঙচুরের হুমকি, সাংবাদিকদের পা চাটা গোলাম বলে আখ্যায়িত এবং তাদের প্রাণনাশের হুমকির' মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনায় শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন।

এছাড়া অভিযোগপত্রে উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্বেও হলের সামনে জ্বালাও পোড়াও, প্রশাসনিকভাবে দেখে নেওয়ার হুমকি, সিনিয়র পেটানোর মনোভাব, গণিত বিভাগ ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের খেলায় মারামারির মূল হোতাসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

পাশাপাশি অভিযোগপত্রে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানায় তারা।

অভিযোগপত্রের বিষয় গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী হুজাইফা হামিম বলেন, 'জুলাই বিপ্লবের উদ্দেশ্য ছিল বৈষম্য দূর করা। আইনের সুসংহত প্রয়োগ করা। কিন্তু এই ঘটনার পর মনে হচ্ছে নতুন করে একটি দল সাধারণ ছাত্র নাম ধরে সেই পুরনো ক্ষমতা প্রয়োগের খেলায় মেতে উঠেছে। ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও তাদের মধ্যে যেরকম ঔদ্ধত্য দেখা গেল, এর বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যাবস্থা না নিলে সামনে আরও খারাপ কিছু হয়তো অপেক্ষা করছে। বিচার নিশ্চিত করার নামে একটা মব জাস্টিস বলি বা এটাক বলি, আমরা যেন তারই প্রতিচ্ছবি দেখলাম। যা হতাশাজনক।

গণিত বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ফরহাদুল ইসলাম নাঈম বলেন, 'গতকাল যে ধরণের ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এর সুষ্ঠু বিচার না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ কখনো শিক্ষার্থীদের অনুকূলে থাকবে না। আমরা এখানে মারামারি দেখতে আসি নাই। কেউ যদি অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে তার বিচারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। নিজের হাতে আইন তুলে ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বেও কেউ মেনে নেয়নি, বর্তমানেও কেউ মেনে নিবে না।

গণিত বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা শান্তা বলেন, 'গতকাল বাইরের বিভাগ থেকে কয়েকজন গণিত বিভাগের অভ্যন্তরে টিচার্স রুমে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে বিভাগের শিক্ষকদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছে। এমনকি নানান পোস্টে শিক্ষকদের নাম ধরে উনাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করা হয়েছে। একজন গণিত বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থী হয়ে আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং যারা এই স্পর্ধা দেখিয়েছে তাদের বিচার এর আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট অনুরোধ করছি।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, 'আমার কাছে একটি অভিযোগ পত্র দিয়েছে। এটা যদি শৃঙ্খলা বিরোধী কিছু হয় তাহলে প্রক্টর স্যারের কনসার্ন লাগবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ঐরকম মন্তব্য করতে পারব না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম বলেন, 'আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি অভিযোগপত্র পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা একটা মিটিং করব তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিব।

 উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, 'আমি এখন ঢাকায় আছি। এই মূহুর্তে অভিযোগপত্র না পাওয়ায় আমি কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। আগামীকাল অফিসে গিয়ে অভিযোগপত্র দেখে মন্তব্য করতে পারব।


আরও খবর

মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ছে না

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় পেয়ারা, ড্রাগন, মাল্টা ও কমলা চাষে সফল হারুন অর রশীদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার:

নওগাঁয় পেয়ারার পাশাপাশি ড্রাগন, মাল্টা ও কমলা চাষে

সফল হয়েছেন কৃষক উদ্যোক্তা হারুন অর রশীদ। তিনি ছোট বেলা থেকেই কৃষি কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। কৃষিতে তেমন আয় না হওয়ার কারনে এক সময় কৃষি কাজ ছেড়ে ফলদ বাগান তৈরির উদ্যোগ নেন তিনি। বাড়ির পাশের জমিতেই প্রথমে গড়ে তোলেন পেয়ারার বাগান। সফলও হোন। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। পেয়ারা চাষে সফলতা পেয়ে বাগানের পরিধি বাড়াতে থাকেন। সেই সাথেই একের পর এক যুক্ত করেন ড্রাগন, মাল্টা, কমলা ও আঙ্গুরের। মাল্টার বাগানে নতুন করে রোপণ করেছেন পেয়ারা ও আম গাছের চারাও। এছাড়া বাগানের উত্তরদিকে পলিনেট হাউজে চাষ করছেন বিষমুক্ত সবজিও। ফলদ বাগানে সফল এই চাষির নাম হারুন অর রশীদ। তিনি নওগাঁর মান্দা উপজেলার সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা। বাগানে সফলতা পেয়ে তিনি তার একমাত্র ছেলে খালেকুজ্জামান রাজীবকেও এই পেশায় দক্ষ করে তুলেছেন। এখন তার বাগানে রয়েছে ড্রাগন, মাল্টা, পেয়ারা ও কমলার গাছ। অন্য বাগানগুলোতে ফল না থাকলেও মাল্টার বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে মাল্টা। চাষি হারুন অর রশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষি কাজে তেমন সফলতা পাচ্ছিলেন না। ধান, পাট, গম, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে অধিকাংশ অর্থই ব্যয় হয়ে যেত শ্রমিক ও কীটনাশকে। সেই সাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এক সময় ফসল চাষ বাদদিয়ে পেয়ারার বাগান তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। শুরুতে বাধা আসলেও পাত্তা দেননি। অল্প দিনেই সফলতা পেয়ে যান। এরপর বাগানের পরিধি বাড়াতে থাকেন। বর্তমানে এই চাষির ৮বিঘা জমিতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ বাগান। চাষি হারুন অর রশীদ আরো বলেন, বর্তমানে ৩বিঘা জমিতে ড্রাগনের বাগান রয়েছে। শুধু এই বাগান থেকে এ বছর ৮ লাখ ৮২ হাজার টাকার ফল বিক্রি করেছেন তিনি। দাম কম না হলে বিক্রির পরিমাণ আরও বেশি হত। এছাড়া ১বিঘা ১৫ কাঠা জমিতে মাল্টা, ২বিঘা জমিতে কমলা ও ১ বিঘা জমিতে পেয়ারার বাগান গড়ে তুলেছেন। অনেক এলাকায় ধর্ণা দিয়ে বাগানের জন্য উন্নতমানের চারা সংগ্রহ করতে হয় তাকে। সফল এই চাষি আরো বলেন, টেলিভিশন ও ইন্টারন্টের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব ফসল উৎপাদনে পলিনেট হাউজের বিষয়ে জানতে পারি। এরপর দফায় দফায় যোগাযোগ করি উপজেলা কৃষি অফিসে। আমার আগ্রহ দেখে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পলিনেট হাউজ তৈরিতে সহায়তার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে রাজশাহী বিভাগে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ১৫ কাঠা জমিতে এই পলিনেট হাউজটি তৈরি করে দেয়। শুরুতে মুলা, গাঁজর, ধনিয়া, পালং ও লাল শাকসহ কয়েক ধরনের সবজির চাষ করা হয়েছিল। পলিনেট হাউজটি পরিবেশ বান্ধব। পোকা- মাকড়ের আক্রমণ নেই। তাই এখানে উৎপাদিত সবজিতে কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, পলিনেট হাউজ উন্নত মানের পলিওয়েল পেপারে আবৃত চাষযোগ্য কৃষি ঘর। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে নিরাপদ ফসল উৎপাদনে আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি। কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, এই প্রযুক্তি প্রয়োগে আর্দ্রতা ও তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে বছর ব্যাপি উচ্চমূল্যের ফসল ফলানো যায়। এই প্রযুক্তিতে উৎপাদিত ফসল প্রাকৃতিক দুর্যোগেও নিরাপদ ও অক্ষত থাকে। কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না তাই এখানে উৎপাদিত সবজি বিষমুক্ত ও সম্পূর্ণ নিরাপদ। কৃষক হারুন অর রশীদ একজন সফল চাষি ও উদ্যোক্তা বলেও জানান ঐ কর্মকর্তা।


আরও খবর



রাজাপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে জমি দখল ও ঘর নির্মানের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ঝালকাঠির রাজাপুরের বড় কৈবর্তখালি গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পৈত্রিক ও কবলাকৃত জমিতে খুপড়ি ঘর নির্মান করে দখলের পায়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে উপজেলার বড় কৈবর্তখালী গ্রামের মৃত ওফাজ উদ্দিন ফরাজির ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে জানান, বড় কৈবর্তখালী গ্রামের রুস্তুম আলীর ছেলে সোহরাফ হোসেন খোকন কিছুদিন পূর্বে তাদের অন্য ওয়ারিশদের কাছ থেকে গোপনে বড় কৈবর্তখালী মৌজায় বিএস ৭৬৯ নং খতিয়ানের ২২৭০ ও ২০৯২ দাগে ৬.১০ শতাংশ ও ৪.৩২ শতাংশ জমি ক্রয় করে এবং রাজাপুর-ভান্ডারিয়া মহসড়কের পূর্ব পাশে ২২৭০ দাগ থেকে প্রায় ৬.৫৩ শতক জমি ক্রয় করে। কিন্তু সোহরাফ হোসেন খোকন তার কবলাকৃত সম্পূর্ণ সম্পত্তির চেয়েও বেশি জমি রাস্তার পার্শ্বের দামী পজিশন থেকে আপোষ মিমাংসা না করে জোরপূর্বক রাতের আধারে দখল করে বেড়ি বাধ দেয়। মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, তার পিতা ওফাজ উদ্দিন ফরাজী এর ওয়ারিশ ও রাশিদা আক্তারের কাছ থেকে একই তফসিলভূক্ত জমি সাব কবলা সূত্রে ও ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হন। ওই বিরোধীয় জমির ওয়ারিশসূত্রে মালিক মোস্তাফিজুর রহমানের শ্যালক তারিকুল ইসলাম ন্যায্য অধিকার বঞ্চিত হয়ে ঝালকাঠি আদালতে ঝালকাঠিতে প্রিয়েমশন (জমি অগ্রক্রয়) আইনে মামলা নং ১১/২০২৪ এবং ১৬/২০২৪ দায়ের করলে আদালত গত ১ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরবর্তীতে মোস্তাফিজুর রহমানের ভাই মাহাবুবুর রহমান ওই জমি নিয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা নং ১১২/২০২৪ দায়ের করেন। যা শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত উক্ত বিরোধীয় সম্পত্তিতে উভয় পক্ষকে নির্মান কাজ পরিচালনা করতে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও রাজাপুর থানার পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে রাতের আধারে স্থায়ীভাবে পাকা বিল্ডিং নির্মানের লক্ষ্যে পিলার তৈরী করে এবং পরবর্তীতে তাদের হয়রানী ও ফাসানোর জন্য জমির এক পার্শ্বে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে পূর্বে নির্মিত একটি ছোট কুঁড়েঘর নিজে ভাংচুর করে তাদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে পাকা বিল্ডিং নির্মান ও পিলার তৈরি কাজ বন্ধ পূর্বক আইন আমান্যকারীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী বিষয়ে প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহরাফ হোসেন খোকন জানান, তিনি দলিলমূলে ১৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। তার মধ্যে ৬.১০ শতাংশ জমি নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধ ও আদালতে মামলা চলমান। কিন্তু তারা তো পুরো জমির কাজ বন্ধ করে দিতে পারে না। আদালত যে রায় দিবে তা মেনে নিতে তো আমরা বাধ্য। তিনি দাবি করেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে অন্য অংশে কাজ শুরু করলে তারা কিছু পোলাপান নিয়ে সবকিছু মেচাকার করে ফেলছে। রাজাপুর থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী উভয় পক্ষকে শান্তিশৃঙখলা বজায় রাখতে জমিতে প্রবেশে বারন করা হয়েছে। উভয় পক্ষকে আদালতের রায়ের আদেশ অনুযায়ী কাজ করতে বলা হয়েছে। যেহেতু সম্পূর্ণ বিষয়টাই আদালতের তাই আদালতের নির্দেশনা কোন পক্ষ উপেক্ষা করলেও তা ওই আদালতে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।


আরও খবর



বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৪.১ শতাংশে নামবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ১ শতাংশে নামতে পারে। এই অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য সংকটের মুখোমুখি হবে দেশের অর্থনীতি।

আজ শুক্রবার বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক বাণিজ্যে মন্দা, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং ঋণসেবা ব্যয়ের চাপসহ অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নানা কারণ এই সংকটের জন্য দায়ী। কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী ধাক্কা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রধান চালিকাশক্তি তৈরি পোশাকশিল্প। কিন্তু ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের চাহিদা কমে যাওয়ায় রপ্তানি আয় হ্রাস পাচ্ছে। দেশের মূল্যস্ফীতি ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে এবং টাকার অবমূল্যায়নের ফলে আমদানি ব্যয় বেড়েছে।

এদিকে রাজস্ব ঘাটতির কারণে বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ছে। অবকাঠামো উন্নয়ন ও সামাজিক সুরক্ষায় সরকারি বিনিয়োগ কমে গেছে। গ্রামীণ অর্থনীতি দুর্বল হওয়ায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী আরও বেশি সংকটে পড়ছে।

সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশ সরকারের জন্য কয়েকটি সুপারিশ করেছে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে আছ রাজস্ব ব্যবস্থায় সংস্কার, রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনা, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি কার্যকর করা, অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বাড়ানো।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্দরমিত গিল বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সংকটময় অবস্থায় রয়েছে। নীতিনির্ধারকদের উচিত দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, যাতে অর্থনীতির গতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা যায়। বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং রাজস্ব বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে স্বল্পমেয়াদে সংকট মোকাবিলায় জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ প্রয়োজন।


আরও খবর