Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

রাণীনগরে অগ্নিকান্ডে প্রায় ৩০ বিঘার খড় ভস্মিভূত অর্ধলক্ষ টাকার ক্ষতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

 নওগাঁর রাণীনগরে অগ্নিকান্ডে প্রায় ৩০বিঘার খড় পুরে ভস্মিভূত হয়েছে। এতে অর্ধলক্ষাধীক টাকার ক্ষতি হয়েছে। সোমবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ উপজেলার শিবের মাধাইমুড়ি গ্রামে এঘটনা ঘটে। এতে গরু নিয়ে বিপাকে পরেছেন পরিবারটি।

ওই গ্রামের বানেশ্বর চন্দ্রের ছেলে বৃন্দাবন চন্দ্রের স্ত্রী পাপিয়া রাণী বলেন,সোমবার দুপুরে বাড়ীর পাশে হঠাৎ’ করেই আগুন দেখতে পায় প্রতিবেশির লোকজন। এসময় লোকজন ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্র 

করার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে রাণীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন করে। এরই মধ্যে বৃন্দাবন,তার ভাই বিধান চন্দ্র ও আরো এক ভাইয়েরসহ মোট পাঁচটি খড়ের পালা ভস্মিভূত হয়ে যায়। এছাড়া সুব্রত নামে একজনের বাড়ীর কিছু অংশ পুরে যায়। পাপিয়া রাণী বলেন, শুধু আমাদের নিজেরই ৭টি গরু আছে। সব খড়পুরে গেল এখন গরুকে খাওয়াবো কি । পূর্ব শক্রতার জ্বের ধরে হয়তো কেউ আগুন ধরে দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। 

রাণীনগর ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের ভারপ্রাপ্ত লিডার শামীম হোসেন বলেন,কয়েকটি পালা মিলে প্রায় ৩০ বিঘা জমির ধানের খড় ছিল। তাতে অর্ধ লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি হয়েছে।

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন,এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



পুলিশ ও র‍্যাবের অভিযান একটু বাড়াবাড়ি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো যেন রেস্তোরাঁ গজিয়ে উঠতে না পারে এজন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করে নীতিমালা করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান।

তিনি বলেন, রেস্তোরাঁ করতে হলে বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতির ছাড়পত্র নিতে হবে, বাংলাদেশে স্ট্রিট ফুড থেকে শুরু করে যেকোনো রেস্তোরা ভ্যাটের নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। এতে অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে।

ইমরান হাসান বলেন, রেস্টুরেন্টে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় একাধিক সংস্থা থেকে। আইন-শৃঙ্খলা কর্মে নিয়োজিত বাহিনী সমূহ যেমন- আনসার, পুলিশ ও এলিট ফোর্স র‍্যাব বাহিনীও তাদের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট। এটা হয়তো একটু বাড়াবাড়ি। কেননা নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে সরকার একটি কর্তৃপক্ষই গঠন করেছেন। তাদের কাজটি করতে দিতে হবে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিজয়নগরে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সাম্প্রতিক সময়ে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে রেস্তোরাঁ শিল্পের সঙ্কটের উত্তরণের উপায় এবং আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা বজায় রেখে রেস্তোরাঁ ব্যবসা করা নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের দায় কেউ এড়াতে পারে না। পুরো ভবনটাই ছিল অনিয়মে ভরা, ভবনটির অনুমোদন দিয়েছে রাজউক, রেস্তোরাঁ সেক্টরটি তদারকি করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদফতর, সিটি কর্পোরেশন, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতর, সংযুক্ত আছেন জেলা প্রশাসক প্রশাসনসহ অনেক অধিদফতর ও সংস্থা। ৪৬ জনের প্রাণহানির পর রাজউক ও সিভিল ডিফেন্সের টনক নড়েছে। ঘটনার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকা শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে গ্যাসের সিলিন্ডার জব্দ করছে এবং স্টাফদের গ্রেফতার করছে। এটি সমস্যার সমাধান নয়।

তিনি বলেন, তিতাস গ্যাসের পর্যাপ্ততা নেই। আবার লাইন সংযোগ থাকলেও লাইনে গ্যাস নেই। এখন বিকল্প ব্যবস্থা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার বা লাকড়ি ব্যবহার। লাকড়ি ব্যবহার করলে কিচেনসহ পুরো রেস্টুরেন্ট কালো হয়ে যায়। পরিবেশ ঠিক থাকে না। পুরো বিষয়টি নিয়ে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাচ্ছি।


আরও খবর



রাজাপুরে ট্রান্সফরমার চুরির অভিযোগে দুই ব্যক্তি আটক, ১৩ কেজি তামার তার উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

হাসিবুর রহমান :

ঝালকাঠির রাজাপুরের ট্রান্সফর্মার চুরির অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পশ্চিম ফুলহার ও বড় কৈবর্তখালী থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। 

গ্রেফতারকৃতরা হল, উপজেলার পশ্চিম ফুলহার গ্রামের মৃত আয়েন আলী খানের ছেলে দলিল উদ্দিন ওরফে ধলু (৫৫) ও বড় কৈবর্তখালী গ্রামের হানিফ ঘড়ামীর ছেলে ইসা ঘড়ামী (৪৫)। 


রাজাপুর থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বেশ কয়েকটি ট্রান্সফর্মার চুরির ঘটনা ঘটলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের দুজনকে আটক করে এবং ট্রান্সফর্মারের ১৩ কেজি তামার তার উদ্ধার করা হয়। 

আটকৃতদের বিরুদ্ধে রাজাপুর পল্লী বিদ্যুতের এজিএম (ওএন্ডএম) মধুসূদন রায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



রামগড় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা,রামগড় :

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণে রামগড় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। সূর্যদয়ের সাথে সাথে উপজেলা বিজয় ভাস্কর্য প্রাঙ্গনে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষথেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রামগড় হাই স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে সকাল সাড়ে ৮টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন এবং পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রামগড় পৌরসভার মেয়র মো.রফিকুল আলম কামাল, রামগড় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো.আনোয়ার ফারুক, রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ, রামগড় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মো.মফিজুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা বেগম প্রমূখ।

এদিকে সকাল ১০টায় উপজেলা টাউন হলে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংর্বধনা দেওয়া হয়।


আরও খবর



ওষুধ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া বহন করছে ৮.৬১% রোগী

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

তিন মাস বয়সী শান্তা। শিশুটির জ্বরসহ আরো কিছু সমস্যা দেখা দিলে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। প্যাথলজি পরীক্ষায় দেখা যায়, শিশুটি ওষুধ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া বহন করছে। চিকিৎসক জানালেন, বেশির ভাগ অ্যান্টিবায়োটিক আপাতত তার শরীরে আর কাজ করবে না।উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার মা-বাবা।

 

জীবাণুর অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠা বিশ্বব্যাপীই চিকিৎসাবিদ ও স্বাস্থ্য প্রশাসকদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। দেশে শান্তা নামের তিন মাস বয়সী শিশুটির মতো হাজারো শিশু আছে, যাদের শরীরে থাকা জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। যথেচ্ছ ওষুধ প্রয়োগ ছাড়াও প্রকৃতি-পরিবেশ ও খাদ্য থেকে মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক প্রবেশ করা এর অন্যতম কারণ।

অনেক ক্ষেত্রে পোলট্র্রি, মাছ ও গরু-খাসির খামারে পশুর চিকিৎসায় অনিয়ন্ত্রিতভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মধ্যে ৮.৬১ শতাংশ বহু ওষুধ প্রতিরোধী (মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্স বা এমডিআর) ব্যাকটেরিয়া বহন করছে। এর মধ্যে ২৯.২ শতাংশের বয়স ২০ বছরের কম। এদের অনেকেই শিশু।

৪০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে এর হার ৫৭.৬ শতাংশ। সম্প্রতি এক গবেষণায় জীবাণুর অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠার উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে। 

 

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত সাত মাস এ গবেষণাটি চালিয়েছে। এতে অর্থায়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ১২টি বিশেষায়িত (টারশিয়ারি) সরকারি হাসপাতালের ১৩ হাজারের বেশি রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে এক হাজার ১৪৯টিতে বহু ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণু পাওয়া যায়।

গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ২০ বছরের কম বয়সী রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি (২৯.২ শতাংশ) ওষুধ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব রয়েছে। ২০-৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে এর হার ২৮.৪ শতাংশ । ৪০-৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে তা ২৫ শতাংশ। ১৮ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে।

গবেষণায় দেখা গেছে, আইসিইউতে ভর্তি হওয়া রোগীদের জন্য এমডিআর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, পালমোনারি যক্ষ্মা, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের মতো অসুখে আক্রান্তদের মধ্যে এমডিআর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের প্রবণতা বেশি।

গবেষক ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার মাইক্রোবায়োলজির চিকিৎসক ডা. সানজিদা আরিনা বলেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন কিংবা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি ছিলেন এমন ব্যক্তিদের এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, বহু ওষুধ প্রতিরোধে জীবাণুর সক্ষমতা সবচেয়ে বেশি (২১ শতাংশ) পাওয়া গেছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের রোগীদের মধ্যে। বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে নেওয়া রোগীদের ক্ষতের নমুনার ৯৩ শতাংশে এমডিআর পাওয়া গেছে। আর পুঁজের মধ্যে সর্বোচ্চ রেজিস্ট্যান্স পাওয়া গেছে শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সরকারি হাসপাতালটির ৫৮ শতাংশ পুঁজের নমুনায়ই এমডিআর পাওয়া গেছে।

ডা. সানজিদা বলেন, আমাদের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ভাবতে হবে। কারণ মাছে, মাংসে, পানিতে, ফসলে, গাছে প্রতিটি ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগ করা হচ্ছে। এই অ্যান্টিবায়োটিক শেষ পর্যন্ত পানি ও মাটিতে গিয়ে পরিবেশ দূষিত করছে। মাটি ও পানিতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণু সৃষ্টি হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, হাসপাতালে রোগাক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশিতে যেমন রোগ ছড়ায়, তেমনি মশা-মাছির মাধ্যমেও অনেক রোগ ছড়ায়। রোগীদের দেখতে বাইরে থেকে লোকজন আসা-যাওয়া করে। এ অবস্থায় দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ প্রায় অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। সংক্রমণগুলো অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হলে রোগীকে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে থাকতে হয়। এতে চিকিৎসা ব্যয়ও কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

আইইডিসিআরের চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন হাবিব বলেন, দুই জায়গা থেকে মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। হাসপাতালে যেমন জীবাণু থাকে, কমিউনিটিতেও থাকে। মানুষ কখনো সংক্রমিত হয় বাসা থেকে, আবার কখনো হাসপাতালে একটা রোগ নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে অন্য রোগে আক্রান্ত হয়। কারণ সেখানে অনেক জীবাণু থাকে।

অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন বলেন, হাসপাতাল থেকে সংক্রমিত হলে জীবাণু বেশি প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। কারণ হাসপাতালে রোগীদের ওপর প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে আইসিইউতে থাকা রোগীর ক্ষেত্রে মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট জীবাণু পাওয়া যায়। ভর্তি ও বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর মধ্যে তুলনা করলে দেখা যায় ভর্তি রোগীদের মধ্যে বেশি জীবাণু রেজিস্ট্যান্ট হচ্ছে। 

ডা. জাকির বলেন, হাসপাতালগুলোকে কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক পলিসি ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রিন্সিপাল মানতে হবে। অন্যথায় অদূর ভবিষতে সংক্রামক ও অসংক্রামক অন্যান্য রোগের চেয়ে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের কারণে বেশি মানুষের মৃত্যু হবে।


আরও খবর



মামলা নিতে পুলিশের অবহেলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী:

সোনাইমুড়ীতে থানা পুলিশ মামলা নিতে সময় ক্ষেপন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করা, হুমকী-ধুমকী ও অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার বিকেলে উপজেলা সাংবাদিক কর্ণার সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে উপজেলার আবিরপাড়া মৃত বদু মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন বলেন, পার্শ্ববর্তী গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে মো: হৃদয় ও নাজির আহম্মেদের ছেলে মো: সোহেল তার একটি সরিষাক্ষেত কিছুদিন পূর্বে হালচাষ করে নষ্ট করে দেয়। এই বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম্য শালিশে তাদের জরিমানা করা হয়। সেই ঘটনায় তারা জরিমানা তো দেয়নি বরং কামাল হোসেনকে অনেকবার মেরে ফেলার হুমকী দেয়। গত ১০ই র্মাচ ২০২৪ রোববার রাতে তিনি বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে হুকু মিয়ার বাড়ীর পাশে হৃদয় ও সোহেল পথরোধ করে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ী মারধর করে। এসময় তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে কামাল হোসেনের  পরিবার তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। 

কামাল হোসেন ১১ই মার্চ সোমবার সোনাইমুড়ী থানায় মামলা করার জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।তিনি দাবী করেন  ঘটনার তদন্ত্যের নামে সোনাইমুড়ী থানার দারোগা কাউসার, ওসি ও তার নিজের জন্য কামাল হোসেনের কাছে অনৈতিক সুবিধা দাবী করেন। পরে কামাল হোসেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানের কাছে অভিযোগ করলে পুলিশ সুপার থানা পুলিশকে মামলা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। থানা পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার সুযোগে রবিবার (১৭ই মার্চ) সন্ধ্যা ৭.৩০ এর দিকে আবার সেই হৃদয় ও সোহেল ও আরও ৮/১০ জন সন্ত্রাসী মোটর সাইকেলে এসে কামালের বাসায় ককটেল বিস্ফোরণ করে ও বাড়ীর দরজা, জানালায় ভাংচুর করে। 

সংবাদ সম্মেলনে কামাল হোসেন আরও দাবী করেন, ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও সন্ত্রাসীদের পুলিশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদত দিচ্ছে। এসময় তিনি সন্ত্রাসীদের এই অব্যাহত হামলা, হুমকী-ধামকী, পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা, মামলা নিতে অনৈতিক দাবীর বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তা চান।


আরও খবর