Logo
শিরোনাম

রাণীনগরে সাবেক এমপির স্ত্রীর দখলে রাখা জমি ফেরতের দাবিতে মানব বন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :


নওগাঁ-৬,(রাণীনগর-আত্রাই) আসনের সাবেক এমপি মরহুম ইসরাফিল আলমের স্ত্রী সুলতানা পারভিন বিউটির দখলে থাকা জমি ফেরৎ পেতে এবং মামলা হামলা থেকে মুক্তি পেতে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ভুক্তভোগীরা। রোববার দুপুরে উপজেলার কাশিমপুর এলাকায় নওগাঁÑআত্রাই সড়কে এই মানব বন্ধন করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানব বন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন, গত ২০১৫ সালে ইসরাফিল আলম এমপি কাশিমপুর মৌজায় প্রায় ৪০বিঘা জমি জবর দখল করে প্রাচীর দিয়ে “পল্লী শ্রী সম্বনিত কৃষি প্রদর্শনী খামার” গড়ে তোলেন। ওই সময় এলাকার গরীব অসহায়দের টাকা না দিয়ে জমি জোরপূর্বক দখলে নেয়। এছাড়া জমির মালিকরা জমি ছাড়তে না চাওয়ায় এলাকার সাদেকুল ইসলামসহ কয়েকজনকে কে “মিথ্যে”মামলায় হয়রানি ও নির্যাতন করে। এছাড়া জমি হারানোর শোকে বেশ কয়েকজন মারা গেছেন বলে দাবি করা হয়। এবিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেননা দাবি করে উল্লেখিত জবর দখলে রাখা জমি ফেরত পেতে এবং “মিথ্যা” মামলা,হত্যার হুমকিসহ সকল হয়রানী বন্ধে, প্রশাসনের ন্যায় বিচার এবং হকদারের নিকট জমি ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানব বন্ধন করে ভুক্তভোগীরা। কাশিমপুর ইউনিয়নের ভুক্তভোগী পরিবারের আয়োজনে এবং ভুক্তভোগী সাদেকুল ইসলামের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,মারিয়া বিবি,সুফিয়া বিবি,এবাদুল হক,আজিজার রহমান ও আব্দুস ছাত্তারসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

এব্যাপারে মরহুম এমপি ইসরাফিল আলমের স্ত্রী সুলতানা পারভিন বিউটি বলেন,গড়ে তোলা খামারে সাদেকুলের জমি নিয়ে একটু ঝামেলা ছিল। গত ২জানুয়ারী একজন মন্ত্রীর উপস্থিতীতে বৈঠকে তা নিরসন হয়েছে। এর পরেও সে কেন এমন ঝামেলা করছে বুঝতে পারছিনা 


আরও খবর



নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় কোন ভাবেই থামছে না কৃষি জমির মাটি লোপাট করা। কতিপয় মাটি কারবারিবার তাদের কৌশল পাল্টিয়ে রাত নামতেই শুরু হচ্ছে মাটি কাটার মহোৎসব। একটি মেশিনের স্থানে একাধিক মেশিন দিয়ে কাটা হচ্ছে সরকারি খাস জমির মাটি। এতে করে কৃষি জমি হারানোর পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে পাকা সড়ক। পরিবেশ ও মানুষের জন্য হুমকি বন্ধ করতে দ্রুত প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দিনে ও রাতে গিয়ে দেখা যায়, মিরাট ইউনিয়নের ২নং সুইস গেট সংলগ্ন স্থানে আতাইকুলা মৌজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ সংলগ্ন স্থানে সরকারি খাস জমির সঙ্গে ব্যক্তি কিছু মালিকানা জমি বছরে ১৬ হাজার টাকা বিঘা হিসেবে বন্ধক নিয়ে খনন করা হচ্ছে পুকুর। সম্প্রতি এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাটি বহনের কারণে দু' জন ট্রাক্টর চালককে কারাদন্ড প্রদান করেন। এরপর সংবাদ পাওয়ার পর ঐ স্থানে গিয়ে উপজেলা ভুমি অফিসের লোকজন সরকারি খাস জমির একটি সাইনবোর্ড দিয়ে আসে এবং সরকারি জমি পরিমাপ করে লাল ফিতা দিয়ে চিহ্নিত করে আসেন। এর কয়েক দিন পরে উপজেলার কুজাইল এলাকার সর্বরামপুর গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম রাজনৈতিক ব্যক্তিকে ম্যানেজের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আঁতাত করে কৌশল পাল্টিয়ে রাতে মাটি কাটাছে। এরপর বিষয়টি প্রশাসনকে একাধিকবার জানালেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় দেদারছে রাতে সরকারি খাস জমি সহ কৃষি জমি গর্ত করে মাটি কেটে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে আর বড় বড় ড্রাম ট্র্যাকের চাঁকায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক ও প্রধান প্রধান পাঁকা সড়কগুলো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতরা জানান, রাতে মাটি কাটার জন্য উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লাখ টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করা হয়। তা না হলে রাতে খবর পেয়ে পুলিশের লোকেরা দফায় দফায় ভেকু মেশিনের চাবি কেড়ে নিয়ে যায়। পরে সন্ধির মাধ্যমে চাবি ফিরিয়ে দেয়। এতো ঝাক্কি-ঝামেলা থেকে মুক্ত হতেই স্থানীয় ইউনিয়ন ভুমি অফিসের মাধ্যমে উপজেলা ভুমি অফিস ও উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই কর্মকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে।

মাটি ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম জানান, ঐ স্থানে হয়তো কিছু খাস জমি আছে। তবে জমির মালিকরা আমার সঙ্গে চুক্তি করে মাটি কেটে নিচ্ছে। আমি মাটির বিনিময়ে তাদের জমি খনন করে দিচ্ছি। অনুমতির বিষয়ে জমির মালিকগুলো জানেন তিনি কিছু জানেন না। দিনের বেলায় সাটি কাটলে প্রশাসন হানা দেয় তাই তিনি রাতে মাটি কাটছেন। 

মিরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জানান, ওই জমি থেকে মাটি কাটা নিয়ে মামলা চলমান ছিল। এরপর আমার আর কিছু জানা নেই। তবে মাটি খেকোরা নিশ্চয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেই হয়তো বা রাতে মাটি কাটছে। থানার ওসি আবু ওবায়েদ জানান, পুলিশ শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করে। কোথায় কে মাটি কাটছে সেই বিষয়টি দেখবে উপজেলা প্রশাসন কিংবা ভূমি অফিস। যারা পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছে তা সম্পন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম জানান, বিষয়টি তিনি জানার পর স্থানীয় ইউনিয়ন ভুমি অফিসের মাধ্যমে মাটি কাটা ব্যক্তিকে মাটি কাটা বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। এরপরও যদি সে মাটি কাটা বন্ধ না করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



তাপপ্রবাহ থাকবে এপ্রিল জুড়ে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঢাকাসহ দেশের চারটি বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে। তাই এসব এলাকায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এপ্রিল জুড়ে সারাদেশে এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানের আবহাওয়ার এ অবস্থা আরো এক সপ্তাহ বিরাজ করবে।

রবিবার দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। হালকা বৃষ্টিপাত হলেও তাপমাত্রা কমবে না। আর ঈদের সময় তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ আরো কিছুদিন স্থায়ী হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই এপ্রিলে গড়ে সাধারণত দুই-তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ও একটি-দুটি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। তারা আশঙ্কা করছেন, এ বছরের তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল বিগত বছরগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্ধেকের বেশি আমানত কোটিপতিদের

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যত টাকা জমা আছে, তার অর্ধেকের বেশি কোটিপতিদের অর্থ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় মোট আমানতের পরিমাণ ৪৪ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৫৫ শতাংশের বেশি বা ২৪ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা কোটিপতিদের আমানত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব আমানতকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় এক কোটি থেকে শুরু করে দেড়শ কোটি টাকার বেশি আমানত রেখেছেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১০০ কোটি টাকার বেশি আমানত রেখেছেন এ রকম আমানত হিসাব রয়েছে ছয়টি। এই ছয় হিসাবেই রয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বশেষ আর্থিক অবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের করা এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশে সরকারি, বেসরকারি ও বিশেষায়িত মিলিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪০টি। এর মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন তিনটি, বেসরকারি মালিকানাধীন ৩২টি ও বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পাঁচটি। এই ৪০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গত ডিসেম্বর শেষে গ্রাহক বা আমানতকারীর হিসাব ছিল চার লাখ ৩১ হাজার ২২১টি। এসব হিসাবের মধ্যে কোটি টাকার বেশি আমানত জমা আছে, এমন হিসাবের সংখ্যা পাঁচ হাজার ২৮৭। আর পাঁচ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক কোটি টাকার কম আমানত রেখেছেন এমন আমানতকারীর হিসাব রয়েছে চার লাখ ২৫ হাজার ৯৩৪টি।

পরিসংখ্যান বলছে, গত ডিসেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যত আমানত ছিল, তার প্রায় ৫৫ শতাংশই রয়েছে মাত্র সোয়া এক শতাংশ আমানতকারীর হিসাবে। আর পৌনে ৯৯ শতাংশ আমানতকারীর হিসাবে ছিল মোট আমানতের সাড়ে ৪৪ শতাংশ। অর্থাৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চার লাখ ২৫ হাজার ৯৩৪ জন আমানতকারী মিলে জমা রেখেছেন ১৯ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। তার বিপরীতে মাত্র পাঁচ হাজার ২৮৭ জন আমানতকারী জমা রেখেছেন ২৪ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা।

অর্থনীতিবিদেরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, দেশে বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। একশ্রেণির মানুষ রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে অর্থবিত্তের মালিক হয়ে উঠছেন। তার বিপরীতে উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তসহ বিপুল জনগোষ্ঠীর সঞ্চয়ে টান পড়ছে। দেশে বৈষম্য এখন যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেটিকে চরম উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। তাই বৈষম্য কমাতে ধনীদের ওপর কর বাড়ানোর প্রস্তাব করে আসছেন তারা।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় যে আমানত রয়েছে, তার মধ্যে ব্যক্তিশ্রেণির আমানত যেমন আছে, তেমনি রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক আমানতও। ফলে কোটি টাকার বেশি আমানত যেসব হিসাবে রয়েছে, তার সবই ব্যক্তিশ্রেণির আমানত নয়, প্রাতিষ্ঠানিক আমানতও রয়েছে এর মধ্যে।

সরকারি পরিসংখ্যানেও উঠে এসেছে দেশের প্রকট বৈষম্যের তথ্য। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বা বিবিএসের তথ্য বলছে, দেশের সবচেয়ে বেশি ধনী ১০ শতাংশ মানুষের হাতেই এখন দেশের মোট আয়ের ৪১ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে গরিব ১০ শতাংশ মানুষের আয় দেশের মোট আয়ের মাত্র ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। এ তথ্য বিবিএসের খানার আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২-এ উঠে এসেছে।

একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈষম্যের নির্দেশক জিনি সহগ সূচক বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে দশমিক ৪৯৯ পয়েন্টে। কোনো দেশে এ সূচক দশমিক ৫০০ পয়েন্ট পেরোলেই সেই দেশকে উচ্চ বৈষম্যের দেশ হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ উচ্চ বৈষম্যের দেশের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে উদযাপিত হলো ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা জাকারিয়া চৌধুরী। অন্যদিকে সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা আরিফুল্লাহ চৌধুরী।

এদিকে, সকাল ৯টায় জেলার ফরিদগঞ্জ টোরামুন্সিরহাট বাজার জামে মসজিদেও মাওলানা মাহবুবুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার আরও কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা এ ধর্মীয় উৎসবে সামিল হোন।

এর আগে গত ১১ মার্চ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেন এসব মানুষ।

চাঁদপুরে হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা পীর ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, এ দেশে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মরহুম মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। তারপর থেকে সেই ধারা দেশের বিভিন্ন দরবার শরীফের পীরের অনুসারি এবং সচেতন মুসল্লিরা পালন করছেন।

উল্লেখ্য, বিগত ১৯২৮ সালে জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) প্রথমে তার নিজ গ্রামে এবং পরে তার অনুসারীরা এমন নিয়ম মেনে রোজা রাখা শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা উদযাপন করছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি এবং মতলব উত্তর উপজেলা মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত গ্রামে প্রায় শতাব্দিকাল ধরে এভাবে রোজা এবং ঈদ উদযাপন হচ্ছে।


আরও খবর



ঈদের আগেই মুক্তি পাবেন ২৩ নাবিক

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক যেকোনও সময় দেশে ফিরছেন। তবে কবে নাগাদ দস্যুদের কবল থেকে তারা মুক্তি পাচ্ছেন সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে দস্যুদের সঙ্গে জাহাজ কর্তৃপক্ষের মুক্তিপণ নিয়ে সমঝোতা হয়েছে, এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কবির গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন।

ওই জাহাজের নাবিকদের মুক্তিপণ হিসেবে দস্যুদের অর্থ দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানাতে রাজি হননি মালিকপক্ষের কেউ। তবে কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, জাহাজে জিম্মি নাবিকরা সুস্থ আছেন। দস্যুদের সঙ্গেও আমাদের আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি ঈদের আগেই যেন জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

এদিকে, কবির গ্রুপের অপর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দস্যুদের কবল থেকে নাবিকদের মুক্ত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। জিম্মিদশা থেকে মুক্তির পর ২৩ নাবিককে আকাশপথে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। জাহাজটিতে নতুন করে ২৩ জনের একটি টিমকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তারাই কয়লাভর্তি জাহাজটিকে সোমালিয়া থেকে দুবাইয়ে নিয়ে যাবেন। ইতোমধ্যে ওই ২৩ জন নাবিকের নতুন টিম প্রস্তুত করেছেন জাহাজের মালিক।

দস্যুদের কবলে জিম্মি এক নাবিকের স্বজন বলেছেন, আমরা প্রতিদিন এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জিম্মি নাবিকদের খবর নিচ্ছি। কর্মকর্তারা সর্বশেষ আমাদের বলেছেন, নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে দস্যুদের সঙ্গে কথা হয়েছে। জাহাজমালিক দস্যুদের চাহিদামতো অর্থ দিতে রাজি হয়েছেন। এখন নাকি সমস্যাটা হয়েছে ডলার নিয়ে। দস্যুদের এই টাকা দেশ থেকে নাকি জোগান দেওয়ার সুযোগ আইনে নেই। এ টাকা অন্য দেশ থেকে সংগ্রহ করে দিতে হবে। এখন টাকা সংগ্রহের জন্য নাকি নাবিকদের মুক্তিতে দেরি হচ্ছে।

আবদুল্লাহ জাহাজে জিম্মি ওয়েলার মোহাম্মদ শামসুদ্দিনের ভগ্নিপতি বদরুল ইসলাম বলেন, আমার শ্যালক শামসুদ্দিন গত রবিবার রাতে ফোন করেছেন। জানিয়েছেন তারা সুস্থ আছেন। শামসুদ্দিন আরও জানিয়েছেন, কিছু দিন ধরে জাহাজে এক লোক যোগ দিয়েছেন দস্যুদের সঙ্গে। লোকটি স্থানীয় ভাষা বোঝার পাশাপাশি ইংরেজিতেও পারদর্শী। তারা ধারণা করছেন, ইংরেজি জানা লোকটির মাধ্যমে জাহাজমালিকের কাছে মুক্তিপণের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে।

এর আগে, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরব সাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ এমভি জাহান মণি। ওই জাহাজের ২৫ বাংলাদেশি নাবিকের পাশাপাশি এক ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ ২৬ জনকে ১০০ দিন জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। পরে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেবার ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে জিম্মি নাবিকরা মুক্তি পায় বলে জনশ্রুতি আছে। ওই সময় কেনিয়া হয়ে সোমালিয়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল টাকাভর্তি দুটি ব্যাগ। এখন কীভাবে টাকা পৌঁছানো হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

এসআর শিপিং সূত্র জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে প্রায় ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা আছে। গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে এসব কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরের জলদস্যুর কবলে পড়ে জাহাজটি। ভাড়ার বিনিময়ে মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের আমদানিকারকের কাছে কয়লা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর।

এই প্রতিষ্ঠানটির অধীনে মোট ২৪টি জাহাজের মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত হয় এমভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি এই বাল্ক ক্যারিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। ড্রাফট ১১ মিটারের কিছু বেশি। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেওয়ার আগে এটির নাম ছিল গোল্ডেন হক। মালিকানা পরিবর্তনের পর জাহাজের নামও পরিবর্তন করা হয়। নতুন নাম এমভি আবদুল্লাহ।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪