Logo
শিরোনাম

রাঙ্গাবালীতে অনলাইন হোল্ডিং এন্ট্রি বিষয়ক প্রশিক্ষণ

প্রকাশিত:রবিবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব সংবাদদাতা,রাঙ্গাবালীঃ

ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে অনলাইন ভিত্তিক ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের জন্য  পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে অনলাইন হোল্ডিং ডাটা এন্ট্রি ও রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম গতিশীল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । এ লক্ষ্যে রোববার সকাল ১০ টায় ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। 

উপজেলা ভূমি অফিস এ আয়োজন করেন। রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের প্রশিক্ষণ হয়। এতে অর্ধশতাধিক প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন।  

এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের  প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সালেক মূহিদ। তিনি ডাটা এন্ট্রি ও রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম পদ্ধতি বিষয়ে সার্বিক নিকনির্দেশনা দেন প্রশিক্ষণার্থীদের। 

এ কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির আব্দুল লতিফ, রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মুরাদুল ইসলাম ও বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ৷ 

সংশ্লিষ্টরা জানান,  জনগণের ভূমি বিষয়ক সেবা প্রাপ্তী সহজকরণ, ভূমি সেবা গ্রহীতাদের স্বল্প ব্যয়ে, স্বল্প সময়ে ও হয়রানিমুক্তভাবে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ভূমি সেবা অটোমেশনের অংশ হিসেবে অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।


আরও খবর

মোবাইল ডেটার দাম নির্ধারণ

সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ভূমধ্যসাগরে ২৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার সময় চলতি বছর এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ভূমধ্যসাগরে ডুবে নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এই তথ্য জানিয়েছে।

ইউএনএইচসিআরের নিউইয়র্ক কার্যালয়ের পরিচালক রুভেন মেনিকদিওয়েলা নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন। শুধু ভূমধ্যসাগর নয়, অনেকে সমতলেও প্রাণ হারিয়েছেন।

গত বছরের এ সময় পর্যন্ত মৃত ও নিখোঁজ হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬৮০ জন।

মেনিকদিওয়েলা আরো বলেছেন, অভিবাসী ও শরণার্থীরা প্রতি পদক্ষেপে মৃত্যু ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে থাকেন।

ইউএনএইচসিআরের তথ্য বলছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ ইতিমধ্যে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলীয় ইতালি, স্পেন, সাইপ্রাস ও মাল্টায় পৌঁছেছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ ইতালি পৌঁছেছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৩ শতাংশ বেশি।

ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে তিউনিসিয়া থেকে ১ লাখ ২ হাজারের বেশি এবং লিবিয়া থেকে ৪৫ হাজার শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এর মধ্যে তিউনিসিয়ায় ৩১ হাজার ও লিবিয়ায় ১০ হাজার ৬০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে আটক বা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর

মালয়েশিয়ায় ২০ বাংলাদেশি আটক

সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নির্বোধের মতো বিশ্বাস করোনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী শিক্ষাবিদ :

  

তরুণদের বলবো, যত বড় বড় মানুষ হোকনা কেন, তুমি তাদের কথাকে নির্বোধের মতো বিশ্বাস করোনা | কাউকে ১০০% বিশ্বাস করতে গিয়ে তোমাকে যাতে সারাজীবন কাঁদতে না হয়, ঝড়ের ভিতরে পড়তে না হয় | বড় বড় মানুষ হলেই বড় বড় সত্যের উম্মেষ ঘটবে এমনটা নয় | মানুষ বড় হলে খুব বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে, তখন তার মিষ্টি কথায় কে পুড়ে মরলো, কে বেঁচে উঠলো সেটি কখনো সে চিন্তাও করেনা | কারণ এমন মানুষ সব সময় নিজেকে সামনের দিকেই টানতে থাকে, পিছনের ফেলে আসা সময় আর মানুষ তখন তাদের কাছে মূল্যহীন হয়ে যায় |

মানুষ বড় হয়ে উঠলে তার অভিনয়টাও বেড়ে যায়, লোভের নেশায় ক্রমাগত আক্রান্ত হয় | এই মানুষেরাই তাদের নিচে পড়ে থাকা মানুষদের নিয়ে খেলতে ভালোবাসে অথচ তাদের উপরের মানুষদের মিথ্যে আনুগত্য ও পরম বিশ্বাস দেখিয়ে আরও বড় থেকে বড় হবার পথ খুঁজে | পুরো জীবনটাই তাদের এমন অভিনয়ে কেটে যায় | হয়তো অভিনয়ে নিজেকে নায়ক-মহানায়ক হিসেবে প্রমান করতে গিয়ে সবাইকে জোকার হিসেবে দেখার মজা থাকে কিন্তু সুখ থাকেনা | যেখানে সুখ থাকেনা, সেখানে সত্য থাকেনা |

সবাই পৃথিবীতে বড় হবার স্বপ্ন দেখে, প্রতিযোগিতায় নামে | সে নগ্ন প্রতিযোগিতায় সত্যের চেয়ে মিথ্যের ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে | খুব কম মানুষই আছে, যারা স্বপ্ন হয়তো দেখে কিন্তু সত্যকে বিসর্জন দিয়ে স্বপ্ন সফল হোক এটা তারা কখনো মন থেকে মেনে নিতে পারেনা | তারা সারাজীবন পিছনে পড়ে থাকলেও তাদের মধ্যে সুখ থাকে, বিশ্বাস দিয়ে বিশ্বাসকে প্রমান করার মতো সাহস থাকে |

তরুণদের বলবো, অন্ধ ভালোবাসায় গা ভাসিওনা, অন্যের বিশ্বাসের স্রোতে ভেসে গিয়ে নিজের বিশ্বাসকে হারিয়ে ফেলনা | তুমি নিজে যাচাই করতে শেখো, সেটা একদিন, দুইদিনে নয়, আরও অনেকটা সময় নাও, তারপর যেদিন তোমার মন সত্য-মিথ্যা উদ্ঘাটন করতে পারবে সেদিনই তুমি বিশ্বাস করতে শেখো | তাহলে তুমি কখনো ঠকবেনা | বিশ্বাস একটা আয়নার মতো, সেটা ভেঙে গেলে আর জোড়া লাগানো যায়না |

তুমি তোমার বিশ্বাসের পরীক্ষা নাও, সেখানে খাতা, কলম নিয়ে বসো, তারপর মা-বাবার বয়সের ভারে নুয়ে পড়া চোখের চশমাটা তার উপর রাখো | সে চশমাটা তোমাকে বুঝিয়ে দিবে তোমার বিশ্বাস আর ভালোবাসাকে জয় করতে গিয়ে তোমার মা-বাবাকে চোখে চশমা পড়তে হয়েছে | সবার চশমায় বিশ্বাসকে দেখা যায়না, কারণ সবাই চশমার দোষ দিয়ে নিজের চোখের মিথ্যা বিশ্বাসকে বাঁচিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করে | বিশ্বাস বিশ্বাসঘাতক হলে সে বিশ্বাসের উপর যত বড় মানুষই দাঁড়িয়ে থাকুক না কেন তার পায়ের নিচে যে মাটি নেই সেটা হয়তো তার পক্ষে যতক্ষণ ক্ষমতা আছে ততক্ষন বুঝে উঠাটা খুব কঠিন |

তরুণদের তাই আবারও বলবো, তুমি তোমার বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাও, মুখ থুবড়ে মাটিতে বার বার পড়ে গেলেও একসময় তোমার বিশ্বাসেরই জয় হবে | ভাড়া করা বিশ্বাস অনেক সময় ভঙ্গুর হয়


আরও খবর

আমি শেখাতে আসিনি, শিখতে এসেছি

রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় চালককে অজ্ঞান করে অটো-বাইক ছিনতাইকালে একজন আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগার বদলগাছী থেকে ইঞ্জিন চালিত অটো রিকশা চোর চক্রের মূলহোতা গ্রেফতার এবং অজ্ঞান অবস্থায় ভিকটিম অটো-বাইক চালক কে উদ্ধার করেছে র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ক্যাম্প এর চৌকস টিম।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব কাম্প থেকে প্রতিবেদক কে জানানো হয়, র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশনাল দল ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক ও স্কোয়াড কমান্ডার ইমদাদ হোসেন বিপুল এর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে  অভিযান পরিচালনা করে নওগাঁর বদলগাছী থানাধীন চকবেনী এলাকা হতে আন্তঃজেলা চোর চক্রের মূলহোতা রাজু মন্ডল (৪০), পিতা-মৃত সোলায়মান মন্ডল, গ্রাম-নগরজান, থানা-শীবগঞ্জ, জেলা-বগুড়া কে গ্রেফতার করেন এবং অজ্ঞান অবস্থায় (ভিকটিম) অটো-বাইক চালক জিল্লুর রহমান রহমান, পিতা-মৃত হবিবর রহমান, সাং-সিধাতৈল, থানা-পত্নীতলা, জেলা-নওগাঁকে উদ্ধার করেন।

র‌্যাব আরো জানায়, আটককৃত আসামী রাজু মন্ডল আন্তঃজেলা চোর চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। সে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে প্রথমে সারাদিনের জন্য অটো রিক্সা ভাড়া করেন এবং পরবর্তীতে সন্ধ্যা হলেই অটো (ড্রাইভার) চালক কে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে অজ্ঞান করে অটো রিক্সা নিয়ে পালিয়ে যায়। আসামীর স্বীকারোক্তিতে জানা যায় এর আগেও বিভিন্ন জেলায় সে ৫টি ইঞ্জিন চালিত অটো রিক্সা একই কায়দায় চুরি করেছে বলেও জানিয়েছেন র‌্যাব।

র‌্যাব আরো জানান, গত বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাজু মন্ডল ১হাজার টাকায় সারা দিনের জন্য অটো রিক্সা ভাড়া নেয়। পরবর্তীতে দিন গড়িয়ে রাত হলে আসামী কৌশলে ভিকটিম অটো বাইক চালককে চেতনা নাশক জুস খাইয়ে অজ্ঞান করেন এবং ভিকটিমকে সুবিধাজনক জায়গায় ফেলে দেয়ার সুযোগ খুজে বেড়াচ্ছিল তখন তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সোর্সের মাধ্যমে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে র‌্যাবের চৌকস টিম অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের মূলহোতা কে গ্রেফতার করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার পূর্বক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।

এব্যাপারে গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানায় হস্তান্তর করা হয় বলেও জানিয়েছেন র‌্যাব।


আরও খবর



আত্মসমালোচনার পথ খোলা রাখুন

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

-- আমিনুল ইসলাম কাসেমী :

আমরা মাঝে- মাঝে ভুল করি। বড় ভুল হয় আমাদের এবং আমাদের সন্তানদের। তবে সে ভুল শোধরানোর চেষ্টা করিনা। বরং কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে তাকে গালমন্দ করে থাকি।

আমরা কেউ চাই না আমাদের কোন সন্তান ভাদাইম্মা হয়ে যাক।কেউ চায়না তার ছেলে কট্টরপন্হী  গ্রুপে যোগদান করুক। এমনকি আজকাল কোন অভিভাবক চায়না তার সন্তান প্রচলিত রাজনীতিতে শরীক হোক বা মিছিল - মিটিং-এ যাক। কিন্তু বর্তমান যে অবস্হা তাতে সন্তানেরা গার্জিয়ানের অপছন্দের  ওইসব কর্মকান্ড টপকিয়ে ভাদাইম্মার স্তর থেকেও উপরে উঠে গেছে। এখন আর স্বাভাবিক অবস্হাতে নেই। বরং বর্তমান তাদের কার্যকলাপগুলো স্কুল- কলেজ- ভার্সিটির ছেলে-মেয়েদের হার মানিয়ে দিচ্ছে।

আমরা কারো পাগড়ি বাঁধা দেখলে ফেরেস্তা মনেকরি। মনেহয় দুনিয়ার সবচেয়ে ভাল মানুষ। কিন্তু বর্তমানে  কিছু কিছু পাগড়ির নিচেও শয়তানে বাসা বেঁধে ফেলেছে সেটা ভেবে দেখিনা। 

এজন্য আত্মসমালোচনার রাস্তা খোলা রাখতে হবে।  নিজের সন্তানদের ভুল হলে সেটা সংশোধনের নিয়্যাতে ধরিয়ে দিতে হবে। যাতে তারা ইসলাহ হয়ে যায়। সামনে থেকে আর ওই ভুলগুলো না করে।

মরহুম আইনুদ্দিন আল আজাদ( রহ,)  একটা মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে "কলরব" গঠন করেছিলেন। বিশেষ করে অপসংস্কৃতির মোকাবেলায় একটা সুস্হ - সুন্দর এবং শালীন সংস্কৃতি জাতিকে উপহার দিবেন।  কিন্তু বর্তমান "কলরব" এর শিল্পিদের যে অবস্হা তাতে আর সুস্হ- সংস্কৃতি বাকি নেই। বিশেষ করে কদিন পর পর "কলরব" এর শিল্পিদের ব্যাপারে যে সব আপত্তিকর আওয়াজ শোনা  যায় সেটাতো জাহেল আর হুজুরদের মাঝে কোন ফারাক নেই।

 "কলরব" এর শিল্পিদের ব্যাপারে আমি কোন  আপত্তি করতাম না। তারা পাগড়ি - জুব্বা খুলে কলরবের সাইনবোর্ড সরিয়ে ওরা যা ইচ্ছে তাই করুক। কোনদিন আমি কথা বলবনা। কিন্তু জুব্বা- পাগড়ি লাগিয়ে  আবার প্রখ্যাত শিল্পি আইনুদ্দিন ( রহ,) এর নাম ভাঙিয়ে নিজের ইচ্ছেমত চলবেন, শরীয়াতের হুকুমের তোয়াক্কা করবেন না, তাহলে সেক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে চরম অন্যায়। 

 কদিন আগে কলরব এর এক শিল্পি বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। তার বিয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব ভিডিওগুলো অনলাইনে ঘুরছে।   তার বিয়ের গান নাকি তিন দিনেই একলক্ষ ভিউ হয়েছে। যেটা নিয়ে তিনি খুব শুকরিয়া আদায় করলেন।  তবে  আজব ব্যাপার হল  অধিকাংশ কমেন্টার এবং রিয়েক্টার মহিলা। তারাই ওইসব ভিডিওর আগাগোড়া দেখছে,আর অন্যরকম অনুভূতি ফিল করছে।

দেখলাম, শিল্পিরা গান গাচ্ছে " বিয়ে সুন্নাত মোতাবেক হোক"  

 মানে মুখে এক বুলি আর কর্মে আরেকটা।  ওনাদের কোন জিনিসটা সুন্নাত মোতাবেক হয়েছে?  হিন্দি- বাংলা সিনেমার নায়কদের স্টাইলে শেরওয়ানী আর টোপর পরে কোন সুন্নাত আদায় হয়েছে এখানে?  সারা জীবন পাগড়ি আর জুব্বা পরে গান গাইলেন আর বিয়ের সময় শাহরুখ খান আর সাকিব খানের বেশধরা এটা কোন সুন্নতের আওতায় পড়ে।

আমি এটা নিয়ে কিছু বলতাম না,  শুনেছি তিনি নাকি  যাত্রাবাড়ি মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেছেন। তাহলে একজন আলেম হয়ে এভাবে নায়কের বেশধরা কতটা যুক্তিযুক্ত? 

 বিয়ের আদ্যপান্ত ভিডিও করে ছাড়া হল। শেরওয়ানী গায়ে জড়ানো থেকে নিয়ে ওয়ালীমা সবকিছু ধারণ করে ইউটিউব অনলাইনে ছাড়া হল। আবার বিশাল বহর নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হানা দেওয়া হল, এগুলো কোন সুন্নাতের আওতায় পড়ে? মানে সুন্নাতের কোন খোঁজ নেই, ওদিকে গান গাওয়া হচ্ছে " সুন্নাত মোতাবেক বিয়ে হোক, মানে স্পষ্ট প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়।

এই তো বেশীদিন আগের কথা নয়, মরহুম সৈয়দ ফজলুল করীম ( রহ,) এক বিয়েতে বর পক্ষকে গালমন্দ করেছিলেন। ছেলে নাকি দ্বীনদার। বিয়ে পড়ানোর সময় ছেলে এবং অভিভাবকদের বলেছিলেন, আপনারা কেমন দ্বীনদার? মেয়ের বাড়িতে গাড়ির বহর নিয়ে আসলেন এটা কেমন দ্বীনদারী? 

নব্বইদশক এবং এর পরবর্তি সময়গুলোতে দেখেছি, কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে ভিডিও করা আমাদের ওলামায়েকেরাম সে বিয়েতে শরীক হতেন না। বয়কট করতেন। অহেতুক ছবি তোলা,  ভিডিও করা এটা কোন আলেম জায়েজ বলেন নি। আজ পর্যন্ত কোন আলেম বৈধতার ফতোয়া দেয়নি। আর এখন বিয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু ভিডিও করে আপলোড করা হচ্ছে। 

এখানেও আমি সমস্যা মনে করতাম না। যদি ওনারা এভাবে পাগড়ি - জুব্বা লাগিয়ে পাক্কা হুজুর না সাজতেন। অথবা রাজনৈতিক কোন উদ্দেশ্য বা ইসলামী কোন বিষয় প্রতিষ্টার চিন্তাভাবনা থাকত। কিন্তু অহেতুক এবং মানুষকে বোকা বানানোর উদ্দেশ্যে এমন ভিডিও সত্যি আপত্তিকর। এর দ্বারা দলিল হয়ে গেল।  হুজুরেরা বিয়ের শুরুতে শেষ পর্যন্ত ভিডিও করে অনলাইনে ছাড়ে, তারা সিনেমার নায়কদের মত শেরওয়ানী আর টোপর পরে, তাহলে আর আমরা করলে সমস্যা কোথায়? দিনে দিনে মানুষ অহেতুক এবং অনার্থক কাজের দিকে ঝুকে যাবে। এখন তাদের বড় দলিল "কলরব"এর হুজুরদের বিয়ে।

হাদীস শরীফে এসেছে, " ইন্না আ'জমান নিকাহে বারাকাতান আইছারুহু মায়ুনাতান"

অর্থাৎ ওই বিয়েতে বরকত যেখানে আড়ম্বরি কম হয়।  কিন্তু বিয়েতে আজকাল হুজুরেরা, আলেমেরা, পীর সাহেবরা যেভাবে আড়ম্বারিতা দেখাচ্ছেন তাতে কোন বরকত বিয়ে- শাদীতে থাকছেনা। যার কারণে দেখবেন, কদিন পর পর এখন হুজুর শিল্পিদের  বউ ডিভোর্স হচ্ছে। বেশীদিন থাকছেনা। জাহেলদের বিয়েশাদীতে যা হয় আলেমদের বিয়েতে  এখন তাই হচ্ছে। একারণে বিয়ের পরে প্রায় জায়গাতে আজকাল কিছু কিছু হুজুরদের সংসার ভেঙে যাচ্ছে। এর একমাত্র কারণ বিয়েতে সুন্নাত নেই। এরপর জাহেলদের মত কিছু হুজুর শরীয়াত মানছেনা।যে কারণে বিপত্তি ঘটে যাচ্ছে।  

শরীয়াতের গন্ডির মধ্যে থাকার চেষ্টা করতে হবে।  টাকা পয়সা বেশী হলেই যে খুব বাড়াবাড়ি করতে হবে তা নয়। কেননা এখন তো শিল্পিদের টাকার অভাব নেই। আইতেও টাকা যাইতেও টাকা। তাই বলে "অর্থই যেন অনার্থের মুল"  এটা না হয়ে দাঁড়ায়।

আমি কলরবের বিলুপ্তি চাই না। আমি চাই সংশোধন। তারা নিজেদের ভুলগুলো ঠিক করে সামনে কদম রাখুক।  অপসংস্কৃতির মোকাবেলায় জেগে উঠুক এমনটি চাই।

আল্লাহ আমাদের সহী বুঝ দান করুন। আমিন।

লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট


আরও খবর

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আলভারেজের জোড়া গোলে সিটির জয়

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান শিরোপাধারীরা গ্রুপপর্ব শুরুর প্রথম দিনই মাঠে নেমেছে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল সার্বিয়ার ক্লাব রেড স্টার বেলগ্রেড। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচটিতে দারুণ কামব্যাক করেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। গত মৌসুমের টপ স্কোরার আর্লিং হালান্ডের সুযোগ হাতছাড়ার দিনে জোড়া গোল করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ড জুলিয়ান আলভারেজ। যার ওপর ভর করে ম্যানচেস্টার সিটি রেড স্টার বেলগ্রেডকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘরের মাঠ ইতিহাদে আতিথ্য দিয়েছিল ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে তারা বিরতির আগমুহূর্তেই পিছিয়ে পড়েছিল। এরপর আলভারেজ ছাড়াও সিটির হয়ে জালের ছোঁয়া পেয়েছেন রদ্রি। যা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন মৌসুমে সিটিকে শুভসূচনা এনে দিয়েছে।

ম্যাচজুড়েই দুই দলের স্পষ্ট পার্থক্য চোখে পড়েছিল। গত বারের ট্রেবলজয়ী সিটি ৭৬ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলমুখে ৩৭টি শট নিয়ে ১৬টি লক্ষ্যে রাখে। যদিও তাদের প্রথম গোলের দেখা পেতে বেশ কাঠখড় পোহাতে হয়েছে। এজন্য অবশ্য প্রতিপক্ষের ইসরায়েলি গোলরক্ষক ওমরি গ্লেজারের দারুণ প্রচেষ্টা স্বীকার করতেই হবে। কেবল প্রথমার্ধেই তিনি ৯টি শট ঠেকিয়েছেন।

মাঝপথের বিরতিতে যাওয়ার আগমুহূর্তে ৪৫তম মিনিটে মিরকো ইভানিচের পাস থেকে সিটিকে পিছিয়ে দেন  ওসমান বুকারি। গোলমুখে এটাই ছিল রেড স্টার বেলগ্রেডের প্রথম শট। যদিও শুরুতে সহকারী রেফারি সেটিকে অফসাইডের নির্দেশ করেন। তবে ভিএআরের সাহায্যে ওই সিদ্ধান্ত পাল্টে লিড ধরে রাখে বেলগ্রেড। ঘরের মাঠে বেশ কঠিন অবস্থায় পড়ে যায় হালান্ড-আলভারেজরা। তবে এতে দায় বেশি নরওয়েজিয়ান তারকার। তার সামনে থেকে দুটি এবং ফিল ফোডেনও হাতছাড়া করেন একাধিক সুযোগ। যার ফলে হতাশার এক অর্ধ শেষে তাদের স্কোরলাইন ছিল ১-০।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও একই ধারায় গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সিটি। যার ফলও তারা হাতেনাতে-ই পেয়েছে। বিরতির পর দ্বিতীয় মিনিটেই স্কোরলাইনে সমতা আনেন আলভারেজ। হালান্ডের বাড়ানো বল পেয়ে তিনি বাইলাইনের কাছ থেকে ডান পায়ে কোণাকুণি শটে নিশানা ভেদ করেন। পাঁচ মিনিট পর লিডও নেয় ইংলিশ জায়ান্টরা। তবে ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকারের সেই গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়ে যায়।

এরপরও লিড পেতে সময় নেয়নি সিটি। ৬০ মিনিটে আলভারেজের ফ্রি-কিক পাঞ্চ করার চেষ্টায় বলে ঠিকমতো হাত ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন গ্লেজার। ফলে ব্যক্তিগত ও দলের দ্বিতীয় গোল পেয়ে যান বিশ্বজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা। এরপর ম্যাচের বড় জয় নির্ধারক শেষ গোলটি আসে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রির কল্যাণে। ইংলিশ মিডফিল্ডার ফোডেনের কাছ থেকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণদেয়ালের ফাঁক গলে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। এরপর বাঁকানো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান।

ম্যাচের বাকি সময়ে আর কেউ গোল পায়নি। ফলে ৩-১ গোলের জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যাত্রা করল চলতি আসরেরও অন্যতম ফেভারিট সিটি।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩