Logo
শিরোনাম

রাঙ্গামাটির বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন পার্বত্য মন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

উচিংছা রাখাইন,রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি ঃ

পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর (উশৈসিং)  আজ শুক্রবার রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালীতে ১ কোটি ৭৭লক্ষ টাকার মসজিদ, মন্দির ও বিহার সহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করে। 

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্ত সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য প্রশাসন ড.ইফতেকার আহমেদ (যুগ্ন সচিব), রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, দীপ্তিময় তালুকদার, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান, কাপ্তাই সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব, চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য থোয়াইচিং মং মারমা, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, ১নং চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মিলন,  ২নং রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান মংক্য মারমা, ৩নং চিৎমরম ইউপি চেয়ারম্যান ওয়েশ্লি মং চৌধুরী, ৫নং ওয়াগ্গা ইউপি চেয়ারম্যান চিরঞ্জিৎ তনচংগা সহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


উদ্বোধনকৃত প্রকল্পগুলো হচ্ছে ৯০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কাপ্তাই উপজেলাধীন রায় সাহেবের বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ, ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শ্রীশ্রী ত্রিপুরা সুন্দরী কালী বাড়ির গীতা শিক্ষা ভবন নির্মাণ, ৩২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নারানগিরিমুখ মসজিদুল আকসা ভবন নির্মাণ ও ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ড্রাগন স্পোটিং ক্লাব নির্মাণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। 

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতি গোষ্টীর উন্নয়নে কাজ করে গেছেন বলেই আজ জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী বিশ্ব সেরা ২য় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত হয়েছেন। এটা আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি। 


আরও খবর



চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শিশু ও নারীসহ ৫০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় হামাসের সঙ্গে চার দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েল সরকার।

বিবিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার এক দীর্ঘ বৈঠকে যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

কখন থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বা জিম্মিদের কোথায় কীভাবে মুক্তি দেওয়া হবে, সেসব বিষয়ে বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি। তবে ওই ৫০ জনের অতিরিক্ত প্রতি ১০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরো একদিন করে বাড়বে।

হামাসের দাবি ছিল, ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি তাদের সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। সে বিষয়ে ইসরায়েলের বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই চুক্তির আওতায় তিন বছরের এক শিশুসহ অন্তত তিন মার্কিন নাগরিককেও হামাস মুক্তি দেবে বলে তারা আশা করছেন।


আরও খবর



চিনি খাওয়া বন্ধ করলে কী হবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মিষ্টি খেতে ভালবাসে না এমন লোক কমই আছে। উৎসবের মৌসুমে রসগোল্লা, পায়েস, জিলিপি। সরাসরি মিষ্টি না খেলেও বিভিন্ন খাবারের সাথে চিনি ঢোকে শরীরে। অনেকেই আছে যারা সচেতনভাবে চিনি ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। কেউ ওজন কমানোর ইচ্ছায়, কেউ আবার ডায়াবেটিসের ভয়ে চিনি খাওয়া কমিয়েছে।

কর্মব্যস্ত জীবনে খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম, ঘুমের ঘাটতি, অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগব্যাধি। স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আরো একটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ হলো চিনি খাওয়ার অভ্যাস। এক মাসের জন্য ডায়েট থেকে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় কোনো খাবার বাদ দিয়ে দিলেই কিন্তু শরীরে একাধিক বদল লক্ষ করা যাবে।

১) উৎসবে প্রচুর মিষ্টি খেয়ে দু-চার কেজি ওজন বেড়ে গেছে? ওজন কমানোর চিন্তা ঘুরছে মাথায়? এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে দেখুন। মিষ্টি জাতীয় খাবার ও চিনি খেলে শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি যায়। যা হলো ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ। চিনি খাওয়া বন্ধ করলেই ওজন দ্রুত কমে।

২) অনিদ্রার সমস্যায় অনেকেই ভোগে। চিনি কম খেলে ঘুম ভালো হয়। কিন্তু চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।

৩) অনেক সময়ে কাজের প্রতি অনীহা আসে। শরীরে শক্তির অভাব হয়। এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেখুন শরীরে স্ফূর্তি বাড়বে। কর্মক্ষমতাও বাড়বে।

৪) হার্টের রোগের ঝুঁকিও বাড়ে বেশি চিনি খেলে। হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন। লিভারের রোগ ঠেকাতেও চিনি খাওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।

৫) বাতের ব্যথা থেকে রেহাই পেতেও চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চিনি খেলেই গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বাড়ে, তাই যাদের বাতের ব্যথা আছে তারা এক মাস চিনি না খেলেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরও খবর

ওজন কমাতে লেবু পানি ?

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

খাওয়ার পরেই চা নয়

বৃহস্পতিবার ০৩ আগস্ট ২০২৩




বিদেশি সহযোগিতা ছাড়াই নির্বাচনে সক্ষম বাংলাদেশ: রাশিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বিদেশি শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতা ছাড়াই জাতীয় নির্বাচন করতে সক্ষম বাংলাদেশ। ২৫ নভেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভারের বরাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুক পোস্টে এমন দাবি করে ঢাকাস্থ রাশিয়ান দূতাবাস।

পোস্টে বলা হয়, স্বাধীন, বিদেশি শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতা ছাড়াই বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ২০২৪-এর ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে সক্ষম বাংলাদেশ। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি এমন আত্নবিশ্বাস আছে রাশিয়ার।

পোস্টে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা। বিশেষ করে স্বচ্ছতা এবং অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার ব্যানারে এমন করা হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে দূতাবাসের পোস্টে আরও বলা হয়, অক্টোবরের শেষের দিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং বিরোধীদলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের বিষয়ে খবর উঠে পাওয়া যায়। বৈঠকে তারা দেশে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ সংগঠিত করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে। বিশেষ করে, আমেরিকান রাষ্ট্রদূত তার কথোপকথনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে কর্তৃপক্ষ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করলে তথ্য সহায়তা প্রদান করবে।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




মাভাবিপ্রবিতে বৃত্তি পাচ্ছেন ৬৩১ জন শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) তে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সর্বমোট ২৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকার বৃত্তি (এককালীন) প্রদান করা হচ্ছে। এবছর দুইটি ক্যাটাগরিতে মোট ৬৩১ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করবে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ক্যাটাগরি দুইটির মধ্যে রয়েছে মেধাবৃত্তি ও উপবৃত্তি / দরিদ্র বৃত্তি। 


মেধাবৃত্তির আওতায় আসছেন ৬ টি অনুষদের প্রত্যেক বিভাগে প্রতিবর্ষে ফলাফলের দিক থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএধারী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানকারী শিক্ষার্থী মেধাবৃত্তি পাবেন। এ বছর ২৬০ জন শিক্ষার্থী মোট ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকার মেধাবৃত্তি পাচ্ছেন । প্রতিবিভাগের ১ম স্থানকারী শিক্ষার্থী  পাবেন ৮০০০ টাকা, ২য় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থী পাবেন ৭০০০ টাকা ও ৩য় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থী  পাবেন ৬০০০ টাকা। 


অপরদিকে উপবৃত্তি / দরিদ্র বৃত্তি পাচ্ছেন ৩৭১ জন শিক্ষার্থী মোট পাচ্ছেন ১১ লাখ ১৩ হাজার টাকা। উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে ৩০০০ টাকা করে পাবেন। স্নাতক পর্যায়ে ফার্মেসী বিভাগের ৫ ম বর্ষের শিক্ষার্থী ৫ জন, ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ৭৪ জন, ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ৭২ জন, ২য় বর্ষের ৭৭ জন, ১ম বর্ষের ১৪৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। 


এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালটির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে চাই। মেধাবৃত্তি ফলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা উৎসাহিত হবে। যেসকল শিক্ষার্থী তুলনামূলক ভাবে অসচ্ছল, তারা উপবৃত্তির ফলে আরও ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারবে। ভবিষ্যতে দরিদ্র বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানোর চেস্টা করবো।


আরও খবর



বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অবস্থান 'স্পষ্ট' করেছে ভারত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে। শুক্রবার ভারত আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের টু-প্লাস-টু বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ভিনয় কোয়াত্রা।

তিনি বলেছেন, একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে সেদেশের মানুষ যেভাবে দেখতে চায়, সেই ভিশনকে ভারত কঠোরভাবে সমর্থন করে। তিনি এটাও বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং সেদেশের মানুষই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পরে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিবৃতি দেয়নি।

নিজেদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট করে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে তুলে ধরার বিষয়টিকে বিশ্লেষকরা ব্যাখ্যা করছেন যে- আমেরিকা যাতে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বেশি চাপ না দেয়, সেই বার্তাই শুক্রবারের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়েছে ভারত।

আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই স্পষ্ট করে তুলে ধরেছি


টু প্লাস টু বৈঠকের পরে শুক্রবার বিকেলে এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সেখানেই এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই স্পষ্ট করে তুলে ধরেছি আমরা। তৃতীয় কোনো দেশের নীতিমালা নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার জায়গা নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেদেশের মানুষ তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এক বন্ধু এবং সঙ্গী দেশ হিসাবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান জানাই আমরা। একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে সেদেশের মানুষ যেভাবে দেখতে চায়, সেই ভিশনকে ভারত কঠোরভাবে সমর্থন করে, বলছিলেন কোয়াত্রা।

তিনি একটু জোর দিয়েই বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের যে দৃষ্টিভঙ্গি, আমরা যেভাবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করি, সেটা খুব স্পষ্ট করে তুলে ধরেছি।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের এই অবস্থান নতুন নয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যেভাবে নানা মন্তব্য করছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা, তার বিপরীতে গিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করে মার্কিন সচিবদের সামনে তুলে ধরার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

টু প্লাস টু বৈঠকের পরে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যুক্তরাষ্টের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি বা সংবাদ সম্মেলন করা হয়নি।

ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করার দরকার ছিল


বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের নানা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শুক্রবারের বৈঠকে ভারত তাদের অবস্থান যে স্পষ্ট করে দিয়েছে, সেটাকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ী বলছেন, ভারতের অবস্থান স্পষ্টই ছিল, কিন্তু সেটা খুব স্পষ্ট করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিবের সামনে তুলে ধরাটা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে আমাদের।

তার কথায়, ভারতের পক্ষে বাংলাদেশে একটা স্থিতিশীল সরকার থাকা খুবই জরুরি আমাদের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সাথে যোগাযোগের কারণে। সেদেশের ভোটের আগে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে শেখ হাসিনার সরকারের ওপরে নানাভাবে চাপ বাড়াচ্ছে, সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়েও তারা যুক্ত হওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে, সেগুলো তো ঘটনা। তাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যাতে তারা বেশি মাথা না ঘামায়, সেটা ভারত স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে। যদিও যৌথ বিবৃতি জারি করা হলে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানটা জানা যেত।

ভারত কেন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দ্বন্দ্বে যাচ্ছে ?


সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক অনেক দৃঢ় হয়েছে। প্রতিবছর টু প্লাস টু বৈঠক যেমন করছেন দুই দেশের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা, তেমনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আর নরেন্দ্র মোদির মাঝে-মধ্যেই সাক্ষাত হয়।

এরকম একটা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কেন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়বে ভারত?

পররাষ্ট্র সম্পর্কের বিশেষজ্ঞ শশাঙ্ক মাট্টু তার এক্স (আগেকার টুইটার) হ্যাণ্ডেলে পর পর বেশ কয়েকটি পোস্ট করেছেন বাংলাদেশ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রর ভূমিকা ও ভারতের অবস্থান নিয়ে।

তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ভারত কেন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দ্বন্দ্বে যাচ্ছে? যুক্তরাষ্ট্রের মাথা গলানোর কারণে ভারতের এক গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হুমকির মুখে পড়ছে।

প্রথম এই পোস্টের সাথে ভারত আর বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর একটা ছবি দিয়েছেন মাট্টু।

এর পরবর্তী পোস্টগুলিতে মাট্টু ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ওয়াশিংটন প্রকাশ্যেই হাসিনা সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাসিনা সরকার আর আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে মানবাধিকার ইস্যুতে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমেরিকার অবস্থান একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে।

তিনি এও বলেছেন যে- ভারতের প্রতিবেশীদের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শরিক হলেন শেখ হাসিনা। তিনি যদি নির্বাচনে পরাজিত হন, তাহলে প্রতিবেশীদের নিয়ে ভারতের নীতিমালাতেও সমস্যা হবে।

শুক্রবারের বৈঠকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে যেমন আলোচনা হয়েছে, তেমনই কথা হয়েছে ইসরাইল-গাজা যুদ্ধ নিয়েও, এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।

আবার প্রতিরক্ষা খাতেও দুই দেশের সহযোগিতা, যৌথ উৎপাদন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে ভারতের তরফে জানানো হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩