
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান
জানিয়েছেন।
শনিবার (১৭
ফেব্রুয়ারি) সকালে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স (এমএসসি)-২০২৪ এর সাইডলাইনে হোটেল
বেইরিশার হফে দুই নেতার মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বলেন, আমরা সব
ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আজ জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় তিনি বারবার আলোচনা করেছেন
যে, কীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করা যায়।
হাছান মাহমুদ বলেন,
গাজায় নিরপরাধ নারী-পুরুষের ওপর হামলা কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়েও তারা
আলোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে, যুদ্ধ কারও জন্য
মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। শেখ হাসিনা বলেছেন, অন্যরা যুদ্ধের মাধ্যমে উপকৃত হতে
পারে। কিন্তু যুদ্ধ যুদ্ধে জড়িত দেশগুলোর জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না এবং
তাদের জনগণকে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়।
এ প্রসঙ্গে
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশবাসীর দুর্ভোগের কথা এবং তিনি নিজেও
তার মুখোমুখি হওয়ার স্মৃতি স্মরণ করেন, জানান হাছান মাহমুদ।
তিনি যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বন্দিদশায় তার অমানবিক কষ্ট এবং
তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মের কথা স্মরণ করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র
নীতি-'সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বিদ্বেষ নয়'- প্রধানমন্ত্রী এবং জেলেনস্কির
মধ্যে আলোচনায় প্রধানত উঠে এসেছে বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক,
মুক্তিযুদ্ধের সময় ভিত্তি পেয়েছিল, তাতে কোনো বাধা আসবে না। রাশিয়ার সঙ্গে
আমাদের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল
এবং যুদ্ধের পর বাংলাদেশের পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল।
তিনি বলেন, আমরা শুধু
আলোচনা করেছি, কীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করা যায়।
ব্রিফিংকালে
জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর
ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মো. নূরেলাহী মিনা উপস্থিত ছিলেন।
দিনভর শেখ হাসিনা একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ যোগ দিতে তিন দিনের
সরকারি সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখে পৌঁছান। সফর শেষে শেখ হাসিনা
আগামীকাল রোববার ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে মিউনিখ ত্যাগ করবেন এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে
ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।