Logo
শিরোনাম

রাস্তা নির্মানের খবর নেই উদ্বোধন নিয়ে প্রতিযোগিতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবদেক :

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের উদ্বোধনের পর, এবার উদ্বোধন করলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান! 

নরসিংদী সদর উপজেলা পাইকারচর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড মেঘনাবাজার সিএনজি স্ট্যান্ড হতে বেরিবাধ পর্যন্ত রাস্তাটির সংস্কারের জন্য আজ ০৪-ই জুলাই বেলা ১১ঃ৩০ ঘটিকায় ভিত্তি প্রস্তুর ফলক উন্মোচন করেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন এ সময় তাঁর সাথে পাইকারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা সাফায়েত হোসেন,গফুর প্রধান সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

আরো জানিয়ে রাখতে চাই যে,এর পূর্বে গত ২৯-ই জুন ২০২৪ইং উক্ত রাস্তাটির কাজের শুভ উদ্বোধন করেন পাইকারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল হাসেম, সাথে ছিলেন মাধবদী থানা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল্লাহ সহ অন্যান্য আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী বৃন্দ।

এসময় স্থানীয় বাসিন্দা মোরসালিন জানান,ছোটবেলা থেকে দেখতে আসতাছি, কিন্তু কাজ শেষ হয় না, এ কাজের উছিলায় নেতাদের পেট ভরে আর কিছুই না।

স্থানীয় বাসিন্দা কালাম জানান,এ বর্ষার মৌসুমে দুই চার জন লেবার দিয়ে ' কয় মাসে কাজ শেষ করবে 


আরও খবর



সবজির দামে স্বস্তি ক্রেতাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাজারে বেড়েছে সবজির সরবরাহ ফলে দাম গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কমে যাচ্ছে। দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের। বিক্রেতারা বলছেন, গত দুই মাস আগের তুলনায় বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, সেই সঙ্গে বেড়েছে বিক্রিও।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

আজকের বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়, শালগম প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, সাধারণ শিম ৩০ টাকা, আর বিচিসহ শিম ৪০ টাকা, লম্বা আকৃতির ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, খিঁড়া ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, করলা (হাইব্রিড) ৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গাজর ৪০ টাকা, ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা প্রতি কেজি এবং লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।



আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




শবেবরাতে করণীয় আমল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শবেবরাত একটি মর্যাদাপূর্ণ রাত। ১৪ শাবান দিবাগত রাত তথা ১৫ শাবানের রাতকে হাদিসের ভাষায় ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ বলা হয়। যা আমাদের সমাজে শবেবরাত হিসেবে পরিচিত।

‘শবেবরাত’ মূলত ফারসি শব্দ। ‘শব’ অর্থ রাত, ‘বরাত’ অর্থ নাজাত বা মুক্তি। এই দুই শব্দ মিলে অর্থ হয় মুক্তির রজনী। একাধিক সহিহ হাদিসে এ রাতের মর্যাদা প্রমাণিত।

বিখ্যাত সাহাবি মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তার সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫)

শবে বরাতে করণীয়

ফরজ ইবাদতে অবহেলা নয় : এই রাতে এশা ও ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করা উচিত। খেয়াল রাখা জরুরি, রাত জেগে নফল ইবাদতের কারণে ফজরের নামাজ যেন ছুটে না যায়। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ল, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ল।’ (মুসলিম: ৬৫৬)

দীর্ঘ সেজদার নফল নামাজ : শবেবরাতের রাত ইবাদত-বন্দেগি ও জিকির-আজকারে কাটানো উচিত। এক্ষেত্রে নবীজির সুন্নত অনুযায়ী আমল করা কর্তব্য। সুন্নতের বাইরে গিয়ে বাড়াবাড়ি কিংবা ছাড়াছাড়ি কোনোটাই করা উচিত নয়। প্রিয়নবী (সা.) এই রাতে দীর্ঘ সেজদায় নামাজ আদায় করতেন। তাই আমরাও এই রাতে তাহাজ্জুদসহ বেশি বেশি নফল নামাজ আদায়ের চেষ্টা করব। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন—‘একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) রাতে নামাজে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সেজদা করেন যে, আমার ধারণা হলো- তিনি হয়ত মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করলেন, তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়েশা তোমার কি এই আশঙ্কা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসুল তোমার হক নষ্ট করবেন?

আমি উত্তরে বললাম, না, হে আল্লাহর রাসুল। আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার এই আশঙ্কা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কি না। তখন নবী (সা.) জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তার রাসুলই ভালো জানেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন ইরশাদ করলেন, ‘এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত (শবে বরাত)। আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে তার বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই।’ (শুআবুল ঈমান, বায়হাকি: ৩/৩৮২-৩৮৩; তাবারানি: ১৯৪)

দোয়া ও ইস্তেগফার : এই রাতে দোয়া ও ইস্তেগফার করা খুবই ফজিলতপূর্ণ আমল। ইবনে উমর (রা.) বলেন, ‘পাঁচটি রাত এমন রয়েছে, যে রাতের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।— ১. জুমার রাত। ২. রজব মাসের প্রথম রাত। ৩. শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত (শবে বরাত)। ৪. ঈদুল ফিতরের রাত। ৫. ঈদুল আজহার রাত।’ (মুসান্নাফে আব্দুর রাজজাক: ৭৯২৭) এছাড়া রমজানের দুই মাস আগ থেকেই রাসুল (সা.) একটি দোয়া বেশি বেশি পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই দোয়াটি আমরা পুরো রজব-শাবানে এবং শবেবরাতেও পড়তে পারি। দোয়াটি হলো— اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ (অর্থ) ‘হে আল্লাহ, আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দিন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ আনাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, রজব মাস শুরু হলে রাসুল (স.) এই দোয়া পাঠ করতেন। (বায়হাকি: ৩৫৩৪; নাসায়ি: ৬৫৯; মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)

কবর জিয়ারত : এই রাতে দলবদ্ধ ছাড়া একাকীভাবে কবর জিয়ারতে কোনো সমস্যা নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) চুপিসারে একাকী জান্নাতুল বাকিতে কবর জিয়ারত করেছেন। আয়েশা (রা.) বলেন- ‘এক রাতে হজরত রাসুল (স.)-কে না পেয়ে খুঁজতে বের হলাম। খুঁজতে খুঁজতে জান্নাতুল বাকিতে গিয়ে তাঁকে দেখতে পেলাম। তিনি বললেন- কি ব্যাপার আয়েশা? তোমার কি মনে হয় আল্লাহ এবং তার রাসুল তোমার উপর কোন অবিচার করবেন? আয়েশা (র.) বললেন, আমার ধারণা হয়েছিল— আপনি অন্য কোনো বিবির ঘরে গিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন বললেন, যখন শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত আসে, তখন আল্লাহ তাআলা এ রাতে প্রথম আসমানে নেমে আসেন। তারপর বনু কালব গোত্রের বকরির পশমের চেয়ে বেশি সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ৭৩৯)

আইয়ামে বিজের রোজা : ‘শবেবরাত’ উপলক্ষে বিশেষ কোনো রোজা না থাকলেও কেউ চাইলে আইয়ামে বিজের রোজা রাখতে পারেন। প্রত্যেক মাসেই আইয়ামে বিজের রোজা রাখা ফজিলতপূর্ণ আমল। প্রতি চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখকে ‘আইয়ামে বিজ’ বলা হয়। আবু জর ও কাতাদা ইবনে মিলহান (রা.)-কে রাসুলুল্লাহ (স.) আইয়্যামে বিজ তথা শুক্লপক্ষের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে প্রতি মাসে এই তিন দিন রোজা রাখতে বলেছিলেন।’ (তিরমিজি: ৭৬১; নাসায়ি: ৪/২২৩-২২৪; ইবনে মাজাহ: ১৭০৭-১৭০৮; আবু দাউদ: ২৪৪৯)

দান-সদকা : এই রাতে দরিদ্রদের সাহায্য, জাকাত ও দান-সদকা করা সুন্দর একটি আমল। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের অনেক আয়াতে বান্দাদের দান-সদকার জন্য উৎসাহিত করেছেন। এক আয়াতে ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনরা! আমি তোমাদের যে রিজিক দান করেছি, তা থেকে তোমরা ব্যয় করো সেই দিন আসার আগে, যেদিন কোনো ক্রয়-বিক্রয় থাকবে না, কোনো বন্ধুত্ব কাজে আসবে না এবং সুপারিশও গ্রহণযোগ্য হবে না।’ (সুরা বাকারা: ২৫৪)

সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব রাখা : দোয়া কবুলের রাতেও মুশরিক ও হিংসা-বিদ্বেষকারীরা আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হবে। তাই মন থেকে হিংসা দূর করে দিতে হবে। বিশেষত উম্মাহর পূর্বসূরি ব্যক্তিদের সম্পর্কে অন্তর পুরোপুরি পরিষ্কার থাকা অপরিহার্য, যাতে রহমত ও মাগফেরাতের সাধারণ সময়গুলোতে বঞ্চিত না হতে হয়।’ (লাতাইফুল মাআরিফ পৃ. ১৫৫-১৫৬)

কোরআন তেলাওয়াত : শবেবরাতে কোরআন তেলাওয়াত একটি সুন্দর আমল। কোরআন তেলাওয়াতের চেয়ে উত্তম কোনো জিকির নেই। তাই ফজিলতপূর্ণ এই রাত তিলাওয়াতে কাটানো উত্তম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোরআনওয়ালাই আল্লাহওয়ালা এবং আল্লাহর খাস পরিবারভুক্ত।’ (মুসনাদে আহমদ: ১২২৯২) আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘যে অন্তরে কোরআন নেই, তা যেন পরিত্যক্ত বিরান বাড়ি।’ (তিরমিজি: ২৯১৩) ‘হাশরে বিচারের দিনে কোরআন তোমার পক্ষে বা বিপক্ষে সাক্ষী হবে।’ (মুসলিম: ২২৩)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শবেবরাতে সুন্নত অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন। মর্যাদাপূর্ণ এই রাতে ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।


আরও খবর

পীর হও কিন্তু পীর সেজনা!

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




গজারিয়া থেকে বাল্কহেড চুরি করে শ্যামপুরে বিক্রি, ৩০টন মালামাল-সহ আটক ৪

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

খবর নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলাধীন বাউশিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত চর বাউশিয়া ফরাজীকান্দি নদীর ঘাট হতে এমবি মাছিয়াতা দরবার শরীফ নামক একটি বালুবাহী বাল্কহেডের স্টাফগণ বাল্কহেড খরচ বাবদ নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেলসহ বালু আনার জন্য সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরবর্তীতে বাল্কহেডের স্টাফগণ  উক্ত বালুবাহী বাল্কহেড চুরি করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। 


গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রি. নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এমন সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলকে দ্রুততার সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত অবগত করা হয়। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের নৌ পুলিশ জোরদার অভিযান পরিচালনাসহ তাদের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। অভিযান পরিচালনাকালে ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রি.  নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আলমগীর হোসেন এর নেতৃত্বে নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল ও নৌ পুলিশ ঢাকা অঞ্চলের যৌথ অভিযানে ডিএমপি, ঢাকার শ্যামপুর থানার সহায়তায় পোস্তগোলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একজন আসামীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। তার হেফাজত থেকে চোরাইকৃত বাল্কহেডটির ৪১১টি কাটা অংশ (ওজন প্রায় ৩০টন) উদ্ধার করা হয়। তৎক্ষণাৎ ডিএমপি ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত চোরচক্রের আরো তিনজন সহযোগীসহ শাহাদাত হোসেন (২৪), সাদ্দাম হোসেন (৩৩), মোঃ শফিকুল ইসলাম (৫৫) ও নাছিমা (৫০) সহ মোট চারজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। এই সংক্রান্তে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানায় মামলা রুজু হয়েছে। অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারে জোর অভিযান অব্যাহত আছে।


আরও খবর



৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের নিউমার্কেট থানা ঘেরাওয়ের ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা জানালেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনা না হলে এবং প্রত্যাহার করা না হলে নিউমার্কেট থানা ঘেরাও করবে।

সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের শহীদ মিনার থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাসহ ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর নিউমার্কেট থানা পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় এসি, ওসিসহ জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী মইনুল হোসেন বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে। এর দায়ভার পুলিশকে নিতে হবে। নিউমার্কেট থানার ওসি এবং এসিকে প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এবং ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার দায়ভার নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে।

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি মেনে নেওয়া না হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিউমার্কেট থানা ঘেরাও করা হবে। একইসঙ্গে ৭ কলেজের সামনে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন এই শিক্ষার্থী।

এর আগে, দুপুরে ঢাবি প্রশাসনের সঙ্গে ৭ কলেজের অধ্যক্ষদের জরুরি সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজ না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নির্বাচন ও রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

গোলাম মাওলা রনি, সাবেক সংসদ সদস্য:

জামাত ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবে । ইতিমধ্যে ১০০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে যারা নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী মহড়া দিচ্ছেন ।

উল্লেখিত কাজটি বিএনপির করা উচিত ছিল ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ! প্রার্থী ঘোষণা করে সংসদীয় আসনের সকল কমিটি বিলুপ্ত করে তা প্রার্থীর অধীন করে দিয়ে নিজ নিজ এলাকার সকল দায় দায়িত্ব প্রার্থীর উপর ছেড়ে দিলে আজকের অবস্থা তৈরি হতোনা । বিএনপি সময় মত সিদ্ধান্ত নিতে পারলে এখন তাদেরকে নির্বাচনের পিছে ঘুরতে হতোনা , উল্টো নির্বাচনই তাদের পিছনে ঘুরতো ! চাঁদাবাজির অভিযোগ অনেক অনেক কম হতো । সারা বাংলাদেশের প্রশাসন তাদের হাতে থাকতো । উল্লেখিত বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের পতনের দলিল ! বিএনপির ম্যাগনাকার্টা শিরোনামে একটি সম্পাদকীয় লিখেছিলাম ২০২৪ সালের ১৬ই অগাস্ট তারিখে ! সেখানে বিএনপিকে নিয়ে যেসব আশংকা করেছিলাম তার চেয়েও ভয়াবহ অবস্থায় পড়েছে দলটি ! যারা লিখাটি পড়তে চান তাদের জন্য - আ’লীগের পতনের দলিল! বিএনপির ম্যাগনাকার্টা দৈনিক নয়া দিগন্ত, ১৬ই অগাস্ট, ২০২৪ আওয়ামী লীগের পতন কেন হলো- এমন প্রশ্ন করা হলে আমার মতো মোটা মাথার লোকজন গড়গড় করে কয়েক শ’ কারণ বলে দিতে পারি যা হয়তো তেলাপোকা-টিকটিকিরাও বলতে পারবে। কিন্তু দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে আওয়ামী লীগের পতনের নেপথ্য কারণ বিশ্লেষণ করার জন্য যে জ্ঞান-গরিমা দরকার তা আমার নেই। আমি একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সাদা চোখে যা দেখি বা শুনি তা বলি কিংবা লিখি। কিন্তু দার্শনিক হতে হলে কনফুসিয়াস-প্লেটো-এরিস্টটল-সক্রেটিস-ইবনে খালদুনের মতো প্রজ্ঞা থাকতে হবে। আর সেই প্রজ্ঞাবান যেহেতু দেশে নেই; সুতরাং আমি আমার সীমিত জ্ঞান নিয়ে আজকের শিরোনাম প্রসঙ্গে কিছু বলার চেষ্টা করব। আওয়ামী লীগের পতনের একনম্বর কারণ হলো, দলটি তার রাজনৈতিক দর্শন এবং রাজনৈতিক পথ ও মত ত্যাগ করে আমলা-কামলা-ব্যবসায়ী, দেশী-বিদেশী গোয়েন্দাদের কবলে পড়ে নিজের রাজনীতি থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছিল। যেসব পদ-পদবি রাজনৈতিক ইংরেজিতে যার নাম পলিটিক্যাল অফিস, সেখানে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দায়িত্ব না দিয়ে কথিত জ্ঞানী-গুণী-পণ্ডিত-সফল ব্যবসায়ী-আমলা প্রমুখদের নিয়োগ দিয়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অপমানিত ও লাঞ্ছিত করেছে। ফলে পলিটিক্যাল অফিসগুলো প্রাণশূন্য হয়ে পড়েছিল এবং জনগণের সাথে অফিসের কর্তাদের কোনো সংযোগ ছিল না। এইচ টি ইমাম, ড. মশিউর রহমান, আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রমুখের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ যে চমক দেখানোর চেষ্টা করেছে তা বুমেরাং হয়ে ধীরে ধীরে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরিণতিতে নিয়ে এসেছে। দ্বিতীয় ধাপে এসে আওয়ামী লীগ অসৎ ব্যবসায়ী-অসৎ আমলা, তেলবাজ ও ধড়িবাজ সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের জালে আটকা পড়ে যায়। এদের কারণে আওয়ামী লীগের হিতাহিত জ্ঞান লোপ পেতে থাকে- তাদের হেদায়েতের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তারা ভালো-মন্দের পার্থক্য করা, সঠিক পথ অনুসরণ করা, ভালো মানুষদের সম্মান করে যোগ্য পদে পদায়ন করার প্রয়োজন অনুভব করতে পারেনি। মন্দ লোকের আধিক্য এবং মন্দদের দাপটের কারণে ভালোরা ব্যাকফুটে চলে যায়। ফলে আওয়ামী লীগের কাছে মন্দ কাজ-মন্দ চিন্তা-গুনাহ-ব্যাভিচার-অবিচার ও অনাচার ক্রমেই আকর্ষণীয় মনে হতে থাকে। তৃতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহা-জুলুম-অত্যাচারের মাধ্যমে আনন্দ লাভ, অহমিকা বোধ, দাম্ভিকতা প্রদর্শন এবং দুষ্টের লালন-শিষ্টের দমন-ফ্যাশন বা স্টাইল হয়ে দাঁড়ায়। চোরাকারবারি-লুটেরা-মদ্যপ এবং চরিত্রহীনরা রাষ্ট্রের সম্মান ও মর্যাদাজনক স্থানগুলো দখল করে ফেলে। ফলে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থার ওপর মানুষের অভক্তি ও অশ্রদ্ধা দেখা দেয়। রাষ্ট্র পরিচালকরা দিন-দুপুরে লাখ লাখ মানুষের সামনে মিথ্যা বলতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এবং জনগণের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ না পেয়ে ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ফলে অন্যায়-অনিয়ম সরকারি অফিস-আদালত এবং রাষ্ট্র পরিচালক আমলা-কামলাদের ব্যক্তিগত-পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের অলঙ্কারে পরিণত হয়। চতুর্থ ধাপে আওয়ামী লীগ বিচার বিভাগ ও পুলিশ বিভাগের ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে এবং এই দু’টি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল শুরু করে এবং ব্যাপক সফলতা লাভের পর নিজেদের ঘরের শ্রেণীশত্রু চিহ্নিত করে তাদের দুর্বল-অসহায় ও অকার্যকর বানানোর মিশন হাতে নেয়। নিজ দলের যোগ্যতম রাজনৈতিক নেতা, রাজনৈতিক জোটের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার লোকদের নিজেদের শ্রেণীশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে নানা উপায়ে তাদের অপমানিত, লাঞ্ছিত ও পদদলিত করে তাদের বাকস্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা ও ভালো কাজের সক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। পঞ্চম ধাপে এসে তারা সবাই মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তাদের মানবিক গুণাবলি রহিত হয়ে যায়। নিলর্জ্জতা, বেহায়াপনা ও অহেতুক রঙ্গরস এবং ভয়ানক রাজনৈতিক খেলাধুলা নিত্যদিনের বিনোদনে পরিণত হয়। মধ্যযুগের রক্তপিপাসু জুলুমবাজদের মতো ক্ষমতার চেয়ারগুলো রক্তপিপাসু হয়ে পড়ে। মানুষের মৃত্যু দেখলে তাদের হৃদয় বিগলিত না হয়ে বরং উল্লসিত হতে শুরু করে। এ অবস্থায় প্রাকৃতিক অভিশাপ তাদের জন্য অনিবার্য হয়ে পড়ে এবং সারা বিশ্বকে অবাক করে বাংলার জমিনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়। আওয়ামী লীগের পতনের উল্লিখিত সাদামাটা কারণগুলো পর্যালোচনা করে আগামী দিনের কর্মপন্থা অবলম্বন করতে না পারলে বিএনপির কপালে আওয়ামী লীগের চেয়েও বড় দুর্ভোগ-দুর্দশা অনিবার্য হয়ে পড়বে। বিএনপি যদি সতর্ক না হয় এবং অতি দ্রুত ও জরুরিভাবে কার্যকর কিছু উদ্যোগ না নেয় তবে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ফসল ঘরে তোলা তো দূরের কথা, উল্টো ৫ আগস্ট তাদের কাছে বিগত ওয়ান-ইলেভেনের চেয়েও ভয়াবহ আজাব হিসেবে হাজির হতে পারে। এ জন্যই শিরোনামে আমি আওয়ামী লীগের পতনের দলিলকে বিএনপির জন্য ম্যাগনাকার্টা বা মুক্তির সনদ হিসেবে উল্লেখ করেছি। চলমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপিকে এক মুহূর্ত সময় ব্যয় না করে নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে হবে : ১. বিএনপির সব পর্যায়ে রাজনৈতিক বিরোধ, অন্তর্দ্বন্দ্ব-হানাহানি তুঙ্গে। বেশির ভাগ নির্বাচনী এলাকায় দুই-তিনটি কমিটি রয়েছে। গত নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গত পাঁচ বছরে এলাকায় যেতে পারেননি প্রথমত, আওয়ামী লীগের মামলা-হামলার কারণে। দ্বিতীয়ত, দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে। এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ যে, এক পক্ষ তার প্রতিপক্ষকে দমন করার জন্য আওয়ামী লীগের গুণ্ডাদের ভাড়া করে অনেক জাতীয় নেতাকে সস্ত্রীক রক্তাক্ত করেছে। চলমান পরিস্থিতিতে অতীতের সেই বিরোধ কয়েক শ’গুণ বেড়েছে। বিশৃঙ্খল নেতাকর্মীরা যা শুরু করেছে, তা যদি আর দুই সপ্তাহ চলে তবে জনগণ বলা শুরু করবে যে, আগের জমানা ভালো ছিল। এ অবস্থায় সেনাবাহিনী অপারেশন ক্লিনহার্টের মতো অভিযান শুরু করলে বিএনপি অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে এবং আরেকটি মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। উল্লিখিত অবস্থা মোকাবেলার জন্য বিএনপির উচিত কালবিলম্ব না করে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা। জেলা কমিটিতে জেলার প্রার্থীরা উপদেষ্টা থাকবেন এবং জেলা কমিটি উপদেষ্টাদের পরামর্শে সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাবেন। নির্বাচনী এলাকার সব কমিটি প্রার্থীর নিয়ন্ত্রণে চলবে। কোনো কমিটি প্রার্থীর কথা না শুনলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী সেই কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করবেন এবং সেভাবেই নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকা নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। ২. যেসব আমলা-কামলা এবং ব্যবসায়ীর কারণে বিএনপির পতন হয়েছিল এবং যেসব নেতার আর্থিক দুর্নীতি সর্বজনবিদিত, যেসব লোক যেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দলীয় অফিসগুলোতে ভিড় জমাতে না পারে তা শতভাগ নিশ্চিত না করা গেলে মাইনাস টু থিওরি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। বিএনপিকে মনে রাখতে হবে, ২০০৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত হাজার হাজার আমলা-কামলা যারা বিএনপি জমানায় রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পেয়েছিল তারা এক দিনের জন্যও নির্যাতিত বিএনপি নেতাকর্মীদের খোঁজ নেয়নি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা বিএনপিকে পরিহার করেছে, না চেনার ভান করেছে- আর কেউ কেউ আওয়ামী আমলাদের চেয়েও বেশি মাত্রায় বিএনপিকে নির্যাতন করেছে। তারা সবাই চাকরি বাঁচানোর জন্য আওয়ামী লীগকে সকাল-বিকাল আব্বা ডেকেছে। সুতরাং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেসব পুরোনো দলবাজদের তাড়াতে হবে এবং প্রশাসনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখার শপথ নিতে হবে। ৩. বিএনপির মূল শক্তি তার কর্মী-সমর্থক এবং ভোটার, যারা কি না সংসদ সদস্য প্রার্থীর মাধ্যমে দলের নিউক্লিয়াসে যুক্ত থাকে। সুতরাং সংসদীয় পদ্ধতি মেনে সব দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্র্থীকে সম্মান ও মর্যাদা দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের মর্যাদা সমপর্যায়ের- এই বিশ্বাস ও আস্থা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ধারণ করতে হবে এবং সেভাবেই নিজ দলের প্রার্থীদের মূল্যায়ন করা হলে তৃণমূল বিএনপিতে দ্রুত শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। ৪. দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কিছু পদে দ্রুত পরিবর্তন আনা জরুরি। চাটুকার, দুর্নীতিবাজ এবং ইয়েস বস বলা লোকজন দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না। ৫. আগামীতে দু’টি সম্ভাবনা মাথায় রেখে এগোতে হবে। প্রথমত আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের প্রেক্ষাপট, মাইনাস টু থিওরি বাস্তবায়ন, বিএনপিকে নতুন ফাঁদে ফেলে ক্র্যাকডাউন ইত্যাদির মতো পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হতে পারে। দ্বিতীয়ত, যদি নির্বাচন হয় তবে আওয়ামী লীগসহ, কিংস পার্টি এবং কিংস পার্টির অনুগত ছোট পার্টির যন্ত্রণা মোকাবেলা করতে হবে। দলের ভেতরে-বাইরে যারা বিভিন্ন সময়ে গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করেছে ও তাদের টাকা নিয়ে রাজপথে সরকারবিরোধী লম্ফঝম্প করেছে এবং এখনো সব দরবারে বাতি জ্বালানোর চেষ্টা করছে, এদের কাছ থেকে দলকে ১৩৩ মাইল নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে। লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

জামাত ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবে । ইতিমধ্যে ১০০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে যারা নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী মহড়া দিচ্ছেন । 

উল্লেখিত কাজটি বিএনপির করা উচিত ছিল ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ! প্রার্থী ঘোষণা করে সংসদীয় আসনের সকল কমিটি বিলুপ্ত করে তা প্রার্থীর অধীন করে দিয়ে নিজ নিজ এলাকার সকল দায় দায়িত্ব প্রার্থীর উপর ছেড়ে দিলে আজকের অবস্থা তৈরি হতোনা । 

বিএনপি সময় মত সিদ্ধান্ত নিতে পারলে এখন তাদেরকে নির্বাচনের পিছে ঘুরতে হতোনা , উল্টো নির্বাচনই তাদের পিছনে ঘুরতো ! চাঁদাবাজির অভিযোগ অনেক অনেক কম হতো । সারা বাংলাদেশের প্রশাসন তাদের হাতে থাকতো । 

উল্লেখিত বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের পতনের দলিল ! বিএনপির ম্যাগনাকার্টা শিরোনামে একটি সম্পাদকীয় লিখেছিলাম ২০২৪ সালের ১৬ই অগাস্ট তারিখে ! সেখানে বিএনপিকে নিয়ে যেসব আশংকা করেছিলাম তার চেয়েও ভয়াবহ অবস্থায় পড়েছে দলটি !

যারা লিখাটি পড়তে চান তাদের জন্য - 

আ’লীগের পতনের দলিল! বিএনপির ম্যাগনাকার্টা

দৈনিক নয়া দিগন্ত, ১৬ই অগাস্ট, ২০২৪ 

আওয়ামী লীগের পতন কেন হলো- এমন প্রশ্ন করা হলে আমার মতো মোটা মাথার লোকজন গড়গড় করে কয়েক শ’ কারণ বলে দিতে পারি যা হয়তো তেলাপোকা-টিকটিকিরাও বলতে পারবে। কিন্তু দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে আওয়ামী লীগের পতনের নেপথ্য কারণ বিশ্লেষণ করার জন্য যে জ্ঞান-গরিমা দরকার তা আমার নেই। আমি একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সাদা চোখে যা দেখি বা শুনি তা বলি কিংবা লিখি। কিন্তু দার্শনিক হতে হলে কনফুসিয়াস-প্লেটো-এরিস্টটল-সক্রেটিস-ইবনে খালদুনের মতো প্রজ্ঞা থাকতে হবে। আর সেই প্রজ্ঞাবান যেহেতু দেশে নেই; সুতরাং আমি আমার সীমিত জ্ঞান নিয়ে আজকের শিরোনাম প্রসঙ্গে কিছু বলার চেষ্টা করব।


আওয়ামী লীগের পতনের একনম্বর কারণ হলো, দলটি তার রাজনৈতিক দর্শন এবং রাজনৈতিক পথ ও মত ত্যাগ করে আমলা-কামলা-ব্যবসায়ী, দেশী-বিদেশী গোয়েন্দাদের কবলে পড়ে নিজের রাজনীতি থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছিল। যেসব পদ-পদবি রাজনৈতিক ইংরেজিতে যার নাম পলিটিক্যাল অফিস, সেখানে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দায়িত্ব না দিয়ে কথিত জ্ঞানী-গুণী-পণ্ডিত-সফল ব্যবসায়ী-আমলা প্রমুখদের নিয়োগ দিয়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অপমানিত ও লাঞ্ছিত করেছে। ফলে পলিটিক্যাল অফিসগুলো প্রাণশূন্য হয়ে পড়েছিল এবং জনগণের সাথে অফিসের কর্তাদের কোনো সংযোগ ছিল না। এইচ টি ইমাম, ড. মশিউর রহমান, আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রমুখের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ যে চমক দেখানোর চেষ্টা করেছে তা বুমেরাং হয়ে ধীরে ধীরে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরিণতিতে নিয়ে এসেছে।


দ্বিতীয় ধাপে এসে আওয়ামী লীগ অসৎ ব্যবসায়ী-অসৎ আমলা, তেলবাজ ও ধড়িবাজ সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের জালে আটকা পড়ে যায়। এদের কারণে আওয়ামী লীগের হিতাহিত জ্ঞান লোপ পেতে থাকে- তাদের হেদায়েতের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তারা ভালো-মন্দের পার্থক্য করা, সঠিক পথ অনুসরণ করা, ভালো মানুষদের সম্মান করে যোগ্য পদে পদায়ন করার প্রয়োজন অনুভব করতে পারেনি। মন্দ লোকের আধিক্য এবং মন্দদের দাপটের কারণে ভালোরা ব্যাকফুটে চলে যায়। ফলে আওয়ামী লীগের কাছে মন্দ কাজ-মন্দ চিন্তা-গুনাহ-ব্যাভিচার-অবিচার ও অনাচার ক্রমেই আকর্ষণীয় মনে হতে থাকে।


তৃতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহা-জুলুম-অত্যাচারের মাধ্যমে আনন্দ লাভ, অহমিকা বোধ, দাম্ভিকতা প্রদর্শন এবং দুষ্টের লালন-শিষ্টের দমন-ফ্যাশন বা স্টাইল হয়ে দাঁড়ায়। চোরাকারবারি-লুটেরা-মদ্যপ এবং চরিত্রহীনরা রাষ্ট্রের সম্মান ও মর্যাদাজনক স্থানগুলো দখল করে ফেলে। ফলে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থার ওপর মানুষের অভক্তি ও অশ্রদ্ধা দেখা দেয়। রাষ্ট্র পরিচালকরা দিন-দুপুরে লাখ লাখ মানুষের সামনে মিথ্যা বলতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এবং জনগণের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ না পেয়ে ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ফলে অন্যায়-অনিয়ম সরকারি অফিস-আদালত এবং রাষ্ট্র পরিচালক আমলা-কামলাদের ব্যক্তিগত-পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের অলঙ্কারে পরিণত হয়।


চতুর্থ ধাপে আওয়ামী লীগ বিচার বিভাগ ও পুলিশ বিভাগের ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে এবং এই দু’টি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল শুরু করে এবং ব্যাপক সফলতা লাভের পর নিজেদের ঘরের শ্রেণীশত্রু চিহ্নিত করে তাদের দুর্বল-অসহায় ও অকার্যকর বানানোর মিশন হাতে নেয়। নিজ দলের যোগ্যতম রাজনৈতিক নেতা, রাজনৈতিক জোটের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার লোকদের নিজেদের শ্রেণীশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে নানা উপায়ে তাদের অপমানিত, লাঞ্ছিত ও পদদলিত করে তাদের বাকস্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা ও ভালো কাজের সক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।


পঞ্চম ধাপে এসে তারা সবাই মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তাদের মানবিক গুণাবলি রহিত হয়ে যায়। নিলর্জ্জতা, বেহায়াপনা ও অহেতুক রঙ্গরস এবং ভয়ানক রাজনৈতিক খেলাধুলা নিত্যদিনের বিনোদনে পরিণত হয়। মধ্যযুগের রক্তপিপাসু জুলুমবাজদের মতো ক্ষমতার চেয়ারগুলো রক্তপিপাসু হয়ে পড়ে। মানুষের মৃত্যু দেখলে তাদের হৃদয় বিগলিত না হয়ে বরং উল্লসিত হতে শুরু করে। এ অবস্থায় প্রাকৃতিক অভিশাপ তাদের জন্য অনিবার্য হয়ে পড়ে এবং সারা বিশ্বকে অবাক করে বাংলার জমিনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়।


আওয়ামী লীগের পতনের উল্লিখিত সাদামাটা কারণগুলো পর্যালোচনা করে আগামী দিনের কর্মপন্থা অবলম্বন করতে না পারলে বিএনপির কপালে আওয়ামী লীগের চেয়েও বড় দুর্ভোগ-দুর্দশা অনিবার্য হয়ে পড়বে। বিএনপি যদি সতর্ক না হয় এবং অতি দ্রুত ও জরুরিভাবে কার্যকর কিছু উদ্যোগ না নেয় তবে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ফসল ঘরে তোলা তো দূরের কথা, উল্টো ৫ আগস্ট তাদের কাছে বিগত ওয়ান-ইলেভেনের চেয়েও ভয়াবহ আজাব হিসেবে হাজির হতে পারে। এ জন্যই শিরোনামে আমি আওয়ামী লীগের পতনের দলিলকে বিএনপির জন্য ম্যাগনাকার্টা বা মুক্তির সনদ হিসেবে উল্লেখ করেছি। চলমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপিকে এক মুহূর্ত সময় ব্যয় না করে নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে হবে :


১. বিএনপির সব পর্যায়ে রাজনৈতিক বিরোধ, অন্তর্দ্বন্দ্ব-হানাহানি তুঙ্গে। বেশির ভাগ নির্বাচনী এলাকায় দুই-তিনটি কমিটি রয়েছে। গত নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গত পাঁচ বছরে এলাকায় যেতে পারেননি প্রথমত, আওয়ামী লীগের মামলা-হামলার কারণে। দ্বিতীয়ত, দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে। এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ যে, এক পক্ষ তার প্রতিপক্ষকে দমন করার জন্য আওয়ামী লীগের গুণ্ডাদের ভাড়া করে অনেক জাতীয় নেতাকে সস্ত্রীক রক্তাক্ত করেছে। চলমান পরিস্থিতিতে অতীতের সেই বিরোধ কয়েক শ’গুণ বেড়েছে। বিশৃঙ্খল নেতাকর্মীরা যা শুরু করেছে, তা যদি আর দুই সপ্তাহ চলে তবে জনগণ বলা শুরু করবে যে, আগের জমানা ভালো ছিল। এ অবস্থায় সেনাবাহিনী অপারেশন ক্লিনহার্টের মতো অভিযান শুরু করলে বিএনপি অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে এবং আরেকটি মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়ন হয়ে যাবে।

উল্লিখিত অবস্থা মোকাবেলার জন্য বিএনপির উচিত কালবিলম্ব না করে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা। জেলা কমিটিতে জেলার প্রার্থীরা উপদেষ্টা থাকবেন এবং জেলা কমিটি উপদেষ্টাদের পরামর্শে সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাবেন। নির্বাচনী এলাকার সব কমিটি প্রার্থীর নিয়ন্ত্রণে চলবে। কোনো কমিটি প্রার্থীর কথা না শুনলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী সেই কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করবেন এবং সেভাবেই নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকা নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই।


২. যেসব আমলা-কামলা এবং ব্যবসায়ীর কারণে বিএনপির পতন হয়েছিল এবং যেসব নেতার আর্থিক দুর্নীতি সর্বজনবিদিত, যেসব লোক যেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দলীয় অফিসগুলোতে ভিড় জমাতে না পারে তা শতভাগ নিশ্চিত না করা গেলে মাইনাস টু থিওরি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। বিএনপিকে মনে রাখতে হবে, ২০০৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত হাজার হাজার আমলা-কামলা যারা বিএনপি জমানায় রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পেয়েছিল তারা এক দিনের জন্যও নির্যাতিত বিএনপি নেতাকর্মীদের খোঁজ নেয়নি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা বিএনপিকে পরিহার করেছে, না চেনার ভান করেছে- আর কেউ কেউ আওয়ামী আমলাদের চেয়েও বেশি মাত্রায় বিএনপিকে নির্যাতন করেছে। তারা সবাই চাকরি বাঁচানোর জন্য আওয়ামী লীগকে সকাল-বিকাল আব্বা ডেকেছে। সুতরাং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেসব পুরোনো দলবাজদের তাড়াতে হবে এবং প্রশাসনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখার শপথ নিতে হবে।


৩. বিএনপির মূল শক্তি তার কর্মী-সমর্থক এবং ভোটার, যারা কি না সংসদ সদস্য প্রার্থীর মাধ্যমে দলের নিউক্লিয়াসে যুক্ত থাকে। সুতরাং সংসদীয় পদ্ধতি মেনে সব দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্র্থীকে সম্মান ও মর্যাদা দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের মর্যাদা সমপর্যায়ের- এই বিশ্বাস ও আস্থা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ধারণ করতে হবে এবং সেভাবেই নিজ দলের প্রার্থীদের মূল্যায়ন করা হলে তৃণমূল বিএনপিতে দ্রুত শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।


৪. দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কিছু পদে দ্রুত পরিবর্তন আনা জরুরি। চাটুকার, দুর্নীতিবাজ এবং ইয়েস বস বলা লোকজন দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না।


৫. আগামীতে দু’টি সম্ভাবনা মাথায় রেখে এগোতে হবে। প্রথমত আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের প্রেক্ষাপট, মাইনাস টু থিওরি বাস্তবায়ন, বিএনপিকে নতুন ফাঁদে ফেলে ক্র্যাকডাউন ইত্যাদির মতো পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হতে পারে। দ্বিতীয়ত, যদি নির্বাচন হয় তবে আওয়ামী লীগসহ, কিংস পার্টি এবং কিংস পার্টির অনুগত ছোট পার্টির যন্ত্রণা মোকাবেলা করতে হবে। দলের ভেতরে-বাইরে যারা বিভিন্ন সময়ে গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করেছে ও তাদের টাকা নিয়ে রাজপথে সরকারবিরোধী লম্ফঝম্প করেছে এবং এখনো সব দরবারে বাতি জ্বালানোর চেষ্টা করছে, এদের কাছ থেকে দলকে ১৩৩ মাইল নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য


আরও খবর

মিডিয়ায় ৩০ বছর...

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আসলে জীবনটা কী? অনেকটা সময় নিয়ে ভাবলাম

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫