Logo
শিরোনাম

রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বাড়ি তৈরি করে দেব : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঘূর্ণিঝড় রেমালে যাদের ঘরবাড়ি ভেঙেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, যাদের ঘরবাড়ি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে, তাদেরকে আমরা ঘর তৈরি করে দেব। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো নির্মাণের উপকরণ দিয়ে সহায়তা করব।

আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের জমির মালিকানা দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা এবং ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সুবিধাভোগীদের কাছে জমির মালিকানা দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তর করা হয়। এদিন সারাদেশে গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে আরও ১৮ হাজার ৫৬৬টি বাড়ি হস্তান্তর করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কয়েক দিন আগে ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস হয়ে গেল। সেখানে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা তালিকা করেছি কোন কোন এলাকায় কতগুলো ঘর পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কতগুলো আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।

 যাদের ঘরবাড়ি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে তাদের আমরা ঘর তৈরি করে দেব। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো নির্মাণের উপকরণ দিয়ে সহায়তা করব। প্রাকৃতিক দুর্যোগে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের পাশে আমরা আছি। প্রাথমিকভাবে যা যা প্রয়োজন তা দিয়ে যাচ্ছি।

যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেকে যেন ঘর নির্মাণ করতে পারেন সেই ব্যবস্থা আমি করে দেব। এরই মধ্যে সেভাবে আমার প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রত্যেক এলাকা থেকে আমরা তথ্য সংগ্রহ করেছি। সে অনুযায়ী আমরা সহায়তা পাঠাব।

তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করার পর অবৈধভাবে ক্ষমতার দখলকারীরা এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে ব্যস্ত ছিল। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জনগণের সেবক হিসেবে যাত্রা শুরু করে।

তখন থেকেই ভূমিহীন মানুষদের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তখন বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তারপরও ভূমিহীন মানুষদের মধ্যে ঘর তৈরি করার জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প নিয়ে আমরা ঘর বানাতে শুরু করি।



আরও খবর



শনিবার থেকে ফের শুরু আইপিএল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

ভারত ও পাকিস্তান সংঘাতের কারণে স্থগিত ছিল আইপিএল। তবে এখন পরিস্থিতি সাধারণ হওয়ায় আগামী শনিবার (১৭ মে) থেকে পুরনায় শুরু হচ্ছে আইপিএল। ১২ মে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

গত শুক্রবার (৯ মে) আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, ফ্র্যাঞ্চাইজি ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা করে টুর্নামেন্টটি সাময়িকভাবে স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কারণ দুদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক উত্তেজনা চলছিল।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সরকার ও নিরাপত্তা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে বিস্তৃত পরামর্শের ভিত্তিতে বোর্ড মৌসুমের বাকি অংশ চালিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মোট ১৭টি ম্যাচ ছয়টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে, যার শুরু ১৭ মে ২০২৫ থেকে এবং ফাইনাল ৩ জুন ২০২৫-এ অনুষ্ঠিত হবে। সংশোধিত সময়সূচিতে রবিবার (১৮ মে) দুটি ম্যাচ থাকবে।


আরও খবর



পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ওয়াক্ফ আইন ঘিরে অতি সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যে সহিংসতা ঘটল, তা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মনে করে ভারত। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম গত ৮ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

শফিকুল আলমের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ শুক্রবারের বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনায় বাংলাদেশের তরফ থেকে যে বক্তব্য এসেছে, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।”

“বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সাথে তুলনা করার জন্য এটি একটি ছদ্মবেশী এবং ছলনাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যেখানে এই ধরনের অপরাধের জন্য দায়ীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অযৌক্তিক মন্তব্য করা এবং সদ্গুণের পরামর্শ প্রদানের পরিবর্তে বাংলাদেশ যদি তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে, তাহলে আরও ভাল করবে।”

গত ২ এপ্রিল গভীর রাতে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা এবং পরের দিন উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাস হয় ‘সংশোধিত ওয়াক্ফ বিল, ২০২৫’। তারপর ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে আইনে পরিণত হয় সেই বিল এবং ৮ এপ্রিল তা কার্যকর হয়।

এদিকে আইন কার্যকর হওয়ার পরপরই ভারতের রাজধানী দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুরসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু করেন মুসলিমরা ও বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই বিক্ষোভকে ঘিরে আক্ষরিক অর্থেই রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদীয়াসহ বিভিন্ন জেলা। পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘাতে মুর্শিদাবাদে ৩ জন সংবাদও পাওয়া গেছে এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ২ শতাধিক বিক্ষোভকারী। তবে বর্তমানে মুর্শিদাবাদ ও অন্যান্য জেলার অবস্থা শান্ত।

আইন স্থগিতের দাবিতে ইতমধ্যে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি সঞ্জিব খান্নার বেঞ্চে বুধবার মামলার ওপর শুনানিও শুরু হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হওয়ার দিনই আইনটির কার্যকর হওয়ার সময় পিছিয়ে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।


আরও খবর



৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায়আব্দুল গনি (৫০) নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে অভিযান চালিয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকরাবুনিয়া ইউনিয়নের সিংবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত আবদুল গণিকে। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাড়ির পাশেই অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল ৭ বছরের ওই শিশুটি। গত বুধবার, ৯ এপ্রিল দুপুরে দক্ষিণ গ্রামের প্রতিবেশী আব্দুল গনি চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে নিয়ে যান। মুখ চেপে ধরে পরনে থাকা জামাকাপড় টেনে হেঁচড়ে খুলে ফেলে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন ও শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান বৃদ্ধ গণি। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে কৌশলে পালিয়ে যান অভিযুক্ত গণি।

পরে এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল মেয়েটির মা বাদী হয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইমুনালে আব্দুল গনি বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণচেষ্টা মামলার আবেদন করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে এজাহার গ্রহণের আদেশ দেন। এরপর গত ২৪ এপ্রিল মির্জাগঞ্জ থানায় মামলাটি রুজু হয়।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাওলাদার জানান, শিশুটিকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় আব্দুল গনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হবে।


আরও খবর



আমের বাজারজাত করণ নিয়ে কোন অরাজকতা বরদাস্ত করা হবে না.

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেছেন নওগাঁ জেলা ইতি মধ্যেই আমের দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে দেশ ও বিদেশে পরিচিতি লাভ করেছে। নওগাঁ জেলার বরেন্দ্র অঞ্চলে উৎপাদিত সুস্বাদু আম্রপালিসহ অন্যান্য আমের সুনাম দেশের গোন্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও ছড়িয়ে পড়েছে। এটি শুধু নওগাঁর নয় পুরো বাংলাদেশের গর্ব। আমকে নওগাঁর ব্র্যান্ডিং হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগেই। প্রতি বছরই নওগাঁতে আমের বাগানের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আমের বাজার হিসেবে ইতি মধ্যেই সাপাহার উপজেলার আম বাজারের নাম দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এই সুনাম ধরে রাখতে পরিচ্ছন্ন কাঠামোর মধ্যে আম বাজারজাত করার কোন বিকল্প নেই। 

তিনি আরো বলেন, সাময়িক লাভকে বড় করে না দেখে আমকে নিয়ে জেলা প্রশাসনের গৃহিত দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। তবেই এই অঞ্চলে উৎপাদিত আমের যৌবন বহুবছর টিকে থাকবে। সাপাহার উপজেলার মান অক্ষুন্ন রেখে আসন্ন মৌসুমে প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক আম বাজারজাত করার আহব্বান জানান তিনি। যদি কেউ আম বাজার জাত করণে কোন অরাজকতা করেন কিংবা করার চেস্টা করেন তাহলে তা বরদাস্ত করা হবে না।    

তিনি আসন্ন আমের মৌসুমে সাপাহার উপজেলার উৎপাদিত আম বাজার জাত করণ সংক্রান্ত বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এই কথাগুলো বলেন। গত মঙ্গলবার বিকেলে সাপাহার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় আমের ওজন নির্ধারণ, আড়ৎদারী, যানজট নিরসন, বাজার পরিস্কার পরিচ্ছন্নসহ বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধানে এবং সাপাহারে উৎপাদিত আম বাজার জাত করণ সংক্রান্ত বিষয়ে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা,  বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ, আমচাষী কল্যাণ সমিতি ও আড়ৎদার সমিতির নেতৃবন্দ, থানা পুলিশ, ছাত্র প্রতিনিধি, সাংবাদিক, সকল ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ, পরিবহন শ্রমিক সভাপতি, কুরিয়ার সার্ভিসের এজেন্ট, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানান, চলতি বছর জেলার ১১টি উপজেলায় ৩০ হাজার ৩শত হেক্টর জমিতে আম্রপালিসহ

বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সাপাহার উপজেলায় বেশি জমিতে আম বাগান রয়েছে। প্রতি বছরই জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আমের বাগান সম্প্রসারিত হচ্ছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো সময় মতো জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে আম নামানোর নির্ধারিত সময়ের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হবে। যদি এবার বড় ধরণের প্রাকৃতিক কোন বিপর্যয় হানা না দেয় তাহলে চলতি বছর আমের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা পূরণ হবে। প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরও বাগানীরা আম চাষে লাভবান হবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



ঝিলাম নদীর পানি বেড়ে কাশ্মীরে বন্যা

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় প্রতিবেশী পাকিস্তানের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছে ভারত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে, বাড়ছে যুদ্ধের শঙ্কা। এর মধ্যেই পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের প্রধান নদী ঝিলমে অস্বাভাবিক পানির প্রবাহ হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, জারি করা হয়েছে সতর্কতা।

আজাদ কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফ্ফরাবাদের বিভাগীয় প্রশাসন শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জানায়, ভারত কর্তৃক ঝিলম নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পানি ছাড়ার কারণে এই আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।

মুজাফ্ফরাবাদ প্রশাসনের মুখপাত্র বলেন, “ঝিলম নদীতে ভারত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পানি ছাড়ায় মাঝারি মাত্রার বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।” খবর আনাদোলু এজেন্সির।

পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘দুনিয়া নিউজ’ জানায়, ইসলামাবাদকে না জানিয়েই ভারত বিপুল নদীর পানি ছেড়েছে। এর ফলে দ্রুত ঝিলম নদীর পানি বৃদ্ধি পায় এবং বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। বন্যার বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মসজিদ থেকে মাইকিং করা হয়েছে, যা নদী তীরবর্তী এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এই নদীর পানি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের অনন্তনাগ হয়ে পাকিস্তানের চাকোঠি দিয়ে প্রবেশ করছে।

উল্লেখ্য, ঝিলম নদী সিন্ধু নদের একটি উপনদী। এর আগে, ভারত পাকিস্তানের সাথে সিন্ধু নদের জলবন্টন চুক্তি স্থগিত করে এবং পাকিস্তানকে সিন্ধুর এক ফোঁটাও জল না দেওয়ার হুমকি দেয়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান জানায়, সিন্ধুর জলপ্রবাহ আটকানোর যেকোনো চেষ্টা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হিসেবে গণ্য করা হবে এবং সেই অনুযায়ী সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এই চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সিন্ধু দিয়ে হয় পানি প্রবাহিত হবে, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে। দুই দেশের মধ্যে এই বাগযুদ্ধ ও সীমান্ত পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।


আরও খবর