Logo
শিরোনাম

রিয়াজুল জান্নাত বা বেহেশতের বাগানে গিয়েছিলাম

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ড. শফিকুল ইসলাম, লেখক ও গবেষক :

সৌদি সরকারের অ্যাপস এর ঝামেলা মিটিয়ে ওখানে যেতে পারা এখন চ্যালেঞ্জিং। এই অ্যাপস এখন বাংলাদেশের জন্ম নিবন্ধনের হয়রানির মতো। সার্ভার ডাউন, কিংবা ডাটা এরর কিংবা ভ্যাকেন্সি নেই- এ ধরণের মেসেজ দিয়ে হাজীদের ভূগান্তি দেয়। যাই হোক, চিকন লাইন এখানেও আছে। সেভাবে মুয়াল্লেমের সহযোগিতায়  যেতে সক্ষম হয়েছি।  আমার বৃদ্ধ বাবামার জন্য এটা খুবই জরুরি ছিল। আর আমার গবেষক মন বেহেশতের বাগান না দেখে যাবে না- এই ছিল পন। যারা ভবিষ্যতে আসবেন তারা আগে থেকেই নুসুক এপস ডাউনলোড করে শিডিওল নিয়ে রাখবেন বা মূয়াল্লেমকে আগে থেকে বুকিং দিতে বলে দেবেন। আগে এটা সহজ হলেও এখন কড়াকড়ি হয়েছে। ভিসা ও অ্যাপস এর কোড মিলিয়ে দেখে। তারপর ঢুকতে দেয়। 

.

মাত্র দশ মিনিট সময় দেয়, ওখানে প্রবেশের পর মন মানসিকতার গভীরতা নরম হয়ে  একেবারে ফানাফিল্লার পর্যায়ে চলে যায়। দশ মিনিট মনে হয় দুমিনিট। দশ মিনিট পেরিয়ে গেলে ওখানকার হুজুর কাম সিকিউরিটির লোকজন তাড়া দেয় ইয়া হাজ্জী ইয়া হাজ্জী বলে বের হতে বলে। ওদের চিতকার চেঁচামেচিতে ধ্যান বা প্রার্থনারত ক্রন্দন বা ফানাফিল্লা পর্যায় ভেঙ্গে বের হবার চেষ্টা করতে হয়। তখনই মনে পড়ে রিয়াজুল জান্নাত ছেড়ে চলে যাবো, দুটি ছবি নিয়ে যাবো না? -তাই কি হয়। ভবিষ্যতে যদি দেখতে মন চায়। তাই দ্রুত বের হতে হতে কয়েকটি ক্লিক করা। আপনারা দেখতে পারেন। 

.

রিয়াজুল জান্নাত কি?

মসজিদে নববির ভেতরে একটা জায়গা আছে, তার নাম রিয়াজুল জান্নাত। রিয়াজুল জান্নাত বলতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সময়ে তৈরি করা মসজিদকে বোঝায়। মিম্বর ও হুজরাহর মধ্যবর্তী স্থান। মসজিদে নববিতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক এবং তাঁর জমানার মূল মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানকে নবীজি বেহেশতের বাগানসমূহের একটি বাগান বলেছেন। এটাই রিয়াজুল জান্নাত। এই জায়গায় সবুজ-সাদা রঙের কার্পেট বিছানো আছে। মসজিদের অন্য কার্পেটগুলো লাল রঙের। ভিন্ন রঙের কার্পেট দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না রিয়াজুল জান্নাতের সীমানা। এ স্থানে নামাজ পড়া অতি উত্তম।

.

রিয়াজুল জান্নাত বা বেহেশতের বাগান সম্পর্কে কয়েকটি ব্যাখ্যা রয়েছে। ইবনে হাজাম (রা.) বলেন, রিয়াজুল জান্নাতকে জান্নাতের বাগান বলা হয়েছে রূপকভাবে। ওলামায়ে কেরামরা রূপক অর্থে ব্যবহার করেছেন। তাঁদের মতে, এখানে জিকির করলে রহমত ও সৌভাগ্য লাভ করা যায়। নুরুদ্দিন সামহুদির লেখা অফা আল অফার দ্বিতীয় খণ্ডে বর্ণিত, রিয়াজুল জান্নাতে ইবাদত বেহেশতের বাগানে পৌঁছায় এই অর্থে ও তা রূপক অর্থবোধক। আল্লাহ এই স্থানটুকু হুবহু বেহেশতে স্থানান্তর করবেন। এই অংশ অন্যান্য জমিনের মতো নয়। পবিত্র স্থান সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো আমরা যেন ইবাদতের মাধ্যমে তা আবাদ রাখি। রিয়াজুল জান্নাতের ভেতরে কয়েকটি স্তম্ভ রয়েছে, সেগুলোকে রহমতের স্তম্ভ বলে। রাসুল (সা.)-এর তৈরি মসজিদে খেজুরগাছের খুঁটিগুলোর স্থানে উসমানি সুলতান আবদুল মাজিদ পাকা স্তম্ভ নির্মাণ করেন। এগুলোর গায়ে মর্মর পাথর বসানো এবং স্বর্ণের কারুকাজ করা।

.

উস্তুওয়ানা হান্নানা (সুবাস স্তম্ভ)


প্রথমদিকে রাসুল (সা.) মিম্বর ছাড়াই খেজুরগাছের একটি কাণ্ডে হেলান দিয়ে খুতবা দিতেন। পরবর্তী সময়ে জুমার খুতবা দেওয়ার জন্য দুটি সিঁড়ি ও একটি বসার স্থান তৈরি করা হয়। মিম্বরে নববির ডান পাশে খেজুরগাছের গুঁড়ির স্থানে নির্মিত স্তম্ভটি। এতে নিয়মিত সুগন্ধি মাখানো হয় বলে একে সুবাস স্তম্ভ বলা হয়। এটি বর্তমানে স্তম্ভ আকারে আর নেই। একে উস্তুওয়ানা হান্নানাও বলা হয়।

.

উস্তুওয়ানা সারির


সারির অর্থ বিছানা। এখানে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইতিকাফ করতেন এবং রাতে আরামের জন্য তাঁর বিছানা এখানে স্থাপন করা হতো। এ স্তম্ভটি হুজরা শরিফের পশ্চিম পাশে জালি মোবারকের সঙ্গে রয়েছে। ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, সেখানে তাঁর জন্য খেজুরপাতার তৈরি মাদুর এবং একটি বালিশ রাখা হতো। বুখারি শরিফে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) মধ্যস্থতার জন্য এই স্তম্ভের কাছে বিছানা পেতে বসতেন।

.

উস্তুওয়ানা উফুদ (প্রতিনিধি স্তম্ভ)


বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন প্রতিনিধিদল উস্তুওয়ানা উফুদে বসে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে কথা বলতেন। এ স্তম্ভও জালি মোবারকের সঙ্গে রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরবের বিভিন্ন প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানাতেন। তিনি তাঁদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিতেন ও এর সৌন্দর্য ব্যাখ্যা করতেন। ফলে বহু গোত্র ইসলাম গ্রহণ করে। এটাকে ‘গণ্যমান্য মজলিশ’ও বলা হয়, যেখানে বড় বড় সাহাবায়ে কিরামও বসেছেন। একে প্রতিনিধি স্তম্ভও বলে।

.

উস্তুওয়ানা আয়েশা (আয়েশা স্তম্ভ)


নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আমার মসজিদে এমন একটি জায়গা রয়েছে, লোকজন যদি সেখানে নামাজ পড়ার ফজিলত জানত, তাহলে সেখানে স্থান পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করত।’ স্থানটি চিহ্নিত করার জন্য সাহাবায়ে কিরাম চেষ্টা করতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইন্তেকালের পর হজরত আয়েশা (রা.) তাঁর ভাগনে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা.)–কে সে জায়গাটি চিনিয়ে দেন। এটিই সেই স্তম্ভ। এই স্তম্ভটি উস্তুওয়ানা উফুদের পশ্চিম পাশে রওজায়ে জান্নাতের ভেতর।

.

উস্তুওয়ানা আবু লুবাবা (তওবা স্তম্ভ)


হজরত আবু লুবাবা (রা.) থেকে একটি ভুল সংঘটিত হওয়ার পর তিনি নিজেকে এই স্তম্ভের সঙ্গে বেঁধে বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত হুজুরে পাক (সা.) নিজে না খুলে দেবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এর সঙ্গে বাঁধা থাকব।’ নবী করিম (সা.) বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমাকে আল্লাহ আদেশ না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত খুলব না।’ এভাবে দীর্ঘ ৫০ দিন পর হজরত আবু লুবাবা (রা.)–এর তওবা কবুল হলো। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজ হাতে তাঁর বাঁধন খুলে দিলেন। এটি উস্তুওয়ানা উফুদের পশ্চিম পাশে রওজায়ে জান্নাতের ভেতর অবস্থিত।


আরও খবর

প্রথম ধাপের ইজতেমা তুরাগ তীরে জনসমুদ্র

শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫




রাজাপুরে অপপ্রচারের প্রতিবাদে জাতীয় নাগরিক কমিটির সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির রাজাপুরে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যদেরকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি হুমকি ও তাদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে জাতীয় নাগরিক কমিটির সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির রাজাপুর থানা প্রতিনিধি সদস্য তাইমুল হায়দার সজীব বলেন,   গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণ একটি নজিরবিহীন ফ্যাসিবাদী ও মাফিয়া শাসনের অধীনে চরম জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকার জনগনের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছিলো। রাজনৈতিক দল সহ সাধারণ জনগণ ও শিক্ষার্থীদের জীবনে নেমে এসেছিল ঘোরতর এক বিপর্যয়। আর তার থেকে পরিত্রান পেতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্র জনতা ও সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহনে গত ০৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে উৎখাত করতে সক্ষম হয়। পরবর্তিতে এ অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানকে টিকিয়ে রাখতে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় সারা দেশের ন্যায় রাজাপুর উপজেলায় তৎকালীন আন্দোলনরত ছাত্র জনতার সমন্বয়ে তাদের পরামর্শক্রমে ১০৮ সদস্যের তালিকা করে কেন্দ্রে পাঠানো হলে কেন্দ্র থেকে রাজাপুর থানা প্রতিনিধি কমিটি হিসেবে গত ৮ জানুয়ারী অনুমোদন দেয়। এ প্রতিনিধি কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ হলে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল বিভিন্নভাবে এর বিরোধীতা করতে থাকে। কেননা তারা মনে করছেন জাতীয় নাগরিক কমিটি থাকলে ওই কুচক্রি মহল টেন্ডারবাজি, চাদাবাজি, দখলবানিজ্য করতে পারবে না। তাই ওই কুচক্রিমহল বিভিন্ন কৌশলে আমাদের কয়েকজন সদস্যকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং কিছু সদস্যের নাম তাদের লোকজনের নামের সাথে মিলে যাওয়ায় তাদের দ্বারা সংবাদ সম্মেলন করিয়ে পদত্যাগের ঘোষনা দেওয়ানো হয়। তারা এমনও বলেন, আমাদের এ কমিটিতে নাকি ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোষররা রয়েছেন। ইহা একদম মিথ্যে, বানোয়াট ও ভিক্তিহীন কথা। তারা আমাদের ঐক্যে ফাটোল ধরানোর জন্য এখনও মিথ্যে কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন। তাদের এমন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সংবাদ সম্মেলনে রাজাপুর থানা প্রতিনিধি সদস্য তাইমুর হায়দার সজীব আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে আরও একটি বিষয় লক্ষ করেছি। আমাদের রাজাপুরের কৃতি সন্তান জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক মশিউর রহমানের বরাত দিয়ে রাজাপুর কমিটি থেকে কয়েকজন সদস্যের পদত্যাগের বিষয়ে লেখা হয়েছে। আদৌ কেন্দ্রীয় সংগঠক মশিউর রহমান মিডিয়ায় এমন কোন বক্তব্য দেননি এবং কোন সাংবাদিক এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চায়নি। রাজাপুর উপজেলা জাতীয় নাগরিক কমিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ ও আমাদেরকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য কিছু কুচক্রি মহল মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্যদিয়ে আপনাদের সহযোগিতা নিচ্ছে। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি আপনাদের সহযোগীতা ও লিখনীর মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি আমাদের এ উপজেলাকে চাদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দখলবানিজ্যসহ বিভিন্ন অপরাধমুক্ত করতে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করেছেন। এ বিষয়ে রাজাপুর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মালেক জানান, এ বিষয়ে তাদের কাছে কেহ কোন অভিযোগ করা হয়নি বা কেহ জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।  


আরও খবর



বাড়বে তাপমাত্রা, রয়েছে বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়ার পাশাপাশি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময়ে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের এবং কুমিল্লা অঞ্চলের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেইসঙ্গে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলসহ খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় হালকা অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




জবির প্রধান ফটকে ৩ দাবিতে তালা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জবির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে অনশন করছেন।

আজ সোমবার সকালে শিক্ষার্থীদের জবির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিতে দেখা গেছে। এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনশন করেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে অসুস্থ হয়ে প্রায় ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উপাচার্যের আশ্বাসেও অনশন ভাঙেনি তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, সমাজকর্ম বিভাগ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রসায়ন বিভাগ, সিএসই বিভাগ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, অ্যাকাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ, আইইআর বিভাগ, ফার্মেসি বিভাগ, গণিত বিভাগ, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা শাটডাউন কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বিভাগের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।

এদিকে প্রধান ফটকে তালা ঝুলানোর ফলে ক্যাম্পাসের মধ্যে কোনো ধরনের যানবাহন ঢুকতে পারছে না। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য পকেট গেট খোলা রয়েছে।

জবি শিক্ষার্থীদের তিন দাবি হলো- দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করা; শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা; অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা দিতে হবে।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ভঙ্গুর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কমেছে মূল্যস্ফীতি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রফতানি আয়, রেমিটেন্স প্রবাহ, বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য, কর্মসংস্থান এবং মাথা পিছু আয় বেড়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি বিষয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বৈঠকের পর শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আগস্ট-ডিসেম্বর এই ৫ মাসে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আগামী জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি কমে ৭ থেকে ৮ শতাংশে নেমে আসবে। গত তিন বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মত বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য উদ্বৃত্ত হয়েছে।’

মজুদ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চলতি বছর নয় লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ খাতে বকেয়া পরিশোধে ভর্তুকির পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬২ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানোর মাধ্যমে ভর্তুকি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। এর ফলে চলতি বছর প্রায় ১১ হাজার ৪শ’ ৪৪ কোটি টাকা অর্থাৎ প্রায় ১০ শতাংশ ব্যয় কমানো সম্ভব হবে। গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কূপ খনন করে দৈনিক ৬৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৮ সালের মধ্যে তা বাড়িয়ে ১ হাজার ৫শ’ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রেস সচিব আরও বলেন, বর্তমানে টাকা ছাপানো বন্ধ আছে। কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বন্ধ আছে। নিত্যপণ্যের ওপর শুল্ক ছাড় অব্যাহত রয়েছে। দেশের ১ কোটি পরিবার ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য পাচ্ছে। ১৩ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত রয়েছে। যে পরিমাণ মজুত আছে আর আমদানি হচ্ছে তাতে পণ্যের দাম আরও কমে আসবে।

শফিকুল আলম বলেন, দেশে কোরিয়ান ইপিজেড নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে একটা বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে। জমি জটিলতার কারণে তারা বিনিয়োগ করতে পারছিল না। পতিত স্বৈরাচারেরা এই সমস্যা তৈরি করেছিল। এখন এই ভূমির সমস্যা সমাধানে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। কোরিয়ান ইপিজেডকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাদের ভূমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন এখানে বিনিয়োগে কোন সমস্যা নেই।

তিনি বলেন, এই ইপিজেডে কোরিয়ার বিভিন্ন বড় কোম্পানি রয়েছে। আশা করছি, সমস্যা সমাধানের ফলে সেখানে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়বে।

শফিকুল আলম জানান, গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা যা ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে দেশের মানুষের মাথা পিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৩৮ মার্কিন ডলার। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা যা ছিল ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন ডলার।

প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে তার প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্ত্বশাসন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠকে গত ৬ মাসে দেশের অর্থনৈতিক অর্জন এবং আগামী দিনের পরিকল্পনা তুলে ধরেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান।

এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কথা আসছে। কিন্তু বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো অবস্থায় রয়েছে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ বছরের মধ্যে খুন সবচেয়ে কম সংঘটিত হয়েছে। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের নেতাদের পালিয়ে যেতে যারা সহায়তা করেছে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না কেন? জবাবে শফিকুল আলম বলেন, যারা বিদেশে পালিয়ে গেছে, তাদের বেশিরভাগই ৫ থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে গেছে। ওই সময় দেশে কোনো সরকার ছিল না। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিলেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। পুলিশকে কাজে ফেরাতে অনেক সময় লেগেছে। এরপর এই অপরাধে কারা জড়িত ছিল, তাদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে।


আরও খবর

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কেটে যাবে

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫