Logo
শিরোনাম

রমজানে ত্বকের পানিশূন্যতা রোধে করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রোজা রাখায় অনেকের দেহে পানির ঘাটতি দিয়ে থাকে। পানিশূন্যতায় চরম ক্ষতি হয় ত্বকের। দেখা দেয় শুষ্কতা। পাশাপাশি ত্বক হারায় ঔজ্জ্বল্য। একজন রোজাদারের শরীরে পানিশূন্যতার পরিমাণ নির্ভর করে ব্যক্তিটি ইফতার থেকে শুরু করে সেহরি পর্যন্ত কতটুকু পানি পান করেছেন, তার ওপর। অর্থাৎ তিনি রোজা থাকা অবস্থায় কী পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম করেন এবং তিনি যেখানে অবস্থান করছেন, সেখানকার আবহাওয়ার ওপর। পানি ও খাবারের স্বল্পতা, দৈনন্দিন রুটিনের পরিবর্তন এবং পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতিতে রমজান মাসে আমাদের শারীরিক ও মানসিক এক ধরনের চাপতৈরি হয়। ক্লান্তিহীনতা দেখা দেয়। এ ছাড়া চোখের চারপাশে ডার্ক সার্কেল অর্থাৎ কালো দাগ পড়ে। শরীর পানিশূন্য হলে চোখের ক্লান্তি ফুটে ওঠে।

লক্ষণ : রোজা থাকা অবস্থায় যদি শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে, তা হলে দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া, চোখ গর্তে চলে যাওয়া, প্রস্রাবে ইনফেকশন, প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া, মাথাব্যথা ও ঝিমঝিম, কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, দুর্বলতা, শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া, ত্বক শুকিয়ে যাওয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। পানির অভাব দেখা দিলে শরীরে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স হয়। অর্থাৎ শরীরে তরলরূপে থাকা বিভিন্ন লবণ, যেমন- সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম, ফসফেট, পটাসিয়ামের মতো বিভিন্ন উপাদানের অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়। এ অবস্থা আরও বেড়ে গেলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

যা খাবেন : পানিশূন্যতা রোধে রমজানে শুধু পানি পরিমাণমতো পান করলেই চলবে না। বেশি বেশি অন্যান্য তরল খাবার খেতে হবে, যাতে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স না হয়। ডাবের পানি, চিনির শরবত, গুড়ের শরবত, লাচ্ছি, দুধ, স্যুপ খাওয়া যেতে পারে। পানিশূন্যতা দেখা দিলে স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। পানিশূন্যতা খাবার দিয়েও পূরণ করা যায়। মাছের ঝোল, ডাল, দুধ খেতে হবে। এতে কিছুটা পানির চাহিদা পূরণ হবে। ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্সে ঠিক রাখতে পানির চাহিদা পূরণে ফলের রস পান করা যায়। এটি ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্সে সাহায্য করবে। তরমুজ, বাঙি, কমলা, বেলসহ মৌসুমি ফল খেতে পারেন। তবে ফলের জুস ইফতারের সময় সরাসরি খাওয়া যাবে না। পানি মিলিয়ে খেতে হবে। সারা দিন রোজা রেখে খালি পেটে ফলের রস খেলে অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা হতে পারে।

ত্বক সতেজ রাখতে : একজন রোজাদার ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করবেন। ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত শর্করা, লবণাক্ত খাবার, ফলমূলের কনসেনট্রেটেড জুস পুরোপুরি বাদ দিন। বেশি করে শাক-সবজি, ফলমূল খান। আট ঘণ্টার মতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফেইস-সিরাম ও হায়ালুরনিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ প্রসাধন ব্যবহার করতে পারেন। মানসিক চাপমুক্ত থাকুন। ইফতারের আধঘণ্টা পর অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটুন বা শারীরিক ব্যায়াম করুন।

 

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগ


আরও খবর

কখন কীভাবে দই খাবেন

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




ঝালকাঠিতে চীনের বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনের দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

চীনের উপহারের একটি হাসপাতাল দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্মাণ এবং ভাঙ্গা-কুয়াকাটা ৬ লেন সড়ক বাস্তবায়নের দাবিতে নলছিটি বাসস্ট্যান্ডের চায়না কবরস্থানের সামনে মানববন্ধন ও বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

২২ এপ্রিল, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে বক্তব্য রাখেন ইজিবাইক শ্রমিক নেতা আল-আমিন হাওলাদার, বিডি ক্লিন সমন্বয়কারী মারজান, সমাজকর্মী বালী তূর্য প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়কের পাশে নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকায় অথবা কুমারখালি মরা নদীর ১২০ একর খাসজমিতে চীনের উপহারে একটি ১০০০ শয্যার “চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল” স্থাপন সময়ের দাবি। তারা আরও বলেন, মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ৬ লেন সড়ক বাস্তবায়ন এই অঞ্চলের পর্যটন, ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।

সমাজকর্মী বালী তাইফুর রহমান তূর্য তার বক্তব্যে বলেন, ভারত সবসময় বন্ধু পরিচয়ে আমাদের শোষণ করেছে, কিন্তু চীন বরাবরই বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে পাশে থেকেছে। নলছিটির সঙ্গে চীনের সম্পর্ক প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো—যার সাক্ষ্য মেলে “চায়না বাজার”, “চায়না ফিল্ড” এবং “চায়না কবর” এর অস্তিত্বে।

জনশ্রুতি অনুযায়ী, সপ্তম শতাব্দীতে চীনের তাং রাজবংশের এক ব্যবসায়ী নলছিটিতে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এবং তাঁকে চায়না ফিল্ড সংলগ্ন স্থানে দাফন করা হয়। সেই কবরস্থান আজও স্থানীয়রা শ্রদ্ধার সঙ্গে সংরক্ষণ করে আসছেন।

এছাড়া বক্তারা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, দপদপিয়া এলাকাটি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে সংযুক্ত ও একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ কেন্দ্রস্থল হওয়ায় হাসপাতাল নির্মাণের জন্য উপযুক্ত স্থান। তারা জানান, হাসপাতাল স্থাপনে জমি ও স্থানীয় সহযোগিতা প্রদানে নলছিটির জনগণ প্রস্তুত রয়েছে।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসে প্রেরণ করা হয়। প্রায় শতাধিক লোকের অংশগ্রহণে এই কর্মসূচি ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় চারজন, কিশোরগঞ্জে তিনজন, সুনামগঞ্জে একজন, হবিগঞ্জে একজন ও ও নেত্রকোণায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।২৮ এপ্রিল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কালবৈশাখী ঝড়ের মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লা

জেলায় বজ্রপাতের পৃথক দুটি ঘটনায় দুই কৃষক ও দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কোরবানপুর পূর্ব পাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে বজ্রপাতে মারা যান দুই কৃষক।

তারা হলেন- দেওড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভুঁইয়া (৩৫) ও কোরবানপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া (কালীবাড়ি) এলাকার মৃত বীরচরণ দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৬০) ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ওই সময় তারা মাঠে কাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম (মেম্বার) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে দুপুরের দিকে বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগাছা গ্রামে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছে দুই স্কুলছাত্র। নিহতরা হলো- ওই এলাকার মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন (১৩) এবং একই এলাকার আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন। দুজনেই বড় হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হালকা মেঘলা আবহাওয়ায় তারা মাঠে ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নেত্রকোণা

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় আকস্মিক বজ্রপাতে দিদারুল ইসলাম নামে কওমি মাদরাসার এক শিক্ষক ও মদন উপজেলায় আরাফাত মিয়া নামে এক মাদরাসার ছাত্র (১০) মারা গেছেন।

ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী গ্রামে নিজ বাড়ির সামনেই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় আরাফাত মিয়ার। সে উপজেলার তিয়শ্রী গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে।

অপরদিকে কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, রোববার দিবাগত রাত ১০টার দিকে আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হোন মাদরাসা শিক্ষক দিদারুল। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং এর হাওরে বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে ঝড়বৃষ্টির সময় এই ঘটনা ঘটে।

জেলার ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আজাদুর রহমান জানান, সোমবার সকালে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আড়িয়ামুগুর গ্রামের কালবাসী দাসশর ছেলে দূর্বাসা দাশ (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত হয় তার ভাই ভূষণ দাশ (৩৪) ও বোন সুধন্য দাশ (২৮) । এছাড়াও বজ্রপাতে বানিয়াচং উপজেলার বাগহাতা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে বায়েজিদ মিয়া (১৩) আহত হয়।

সুনামগঞ্জ

শাল্লা উপজেলায় বজ্রপাতে রিমন তালুকদার নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সকালে উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে এই ঘটনা ঘটে।

রিমন তালুকদার উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও শাল্লা ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে গ্রামের পাশে বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যান রিমন তালুকদার। এক পর্যায়ে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। রিমন তালুকদার নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আগেই বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় একটি গরুও বজ্রপাতে মারা যায়। শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন কৃষক ও একজন কৃষাণী। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলার মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে খড় শুকাতে গিয়ে ফুলেছা বেগম নামে এক কৃষাণী বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।

এছাড়া সকাল ১০টার দিকে জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর হাওরে ধান কাটার সময় ইন্দ্রজীত দাস ও কলমা হাওরে ধান কাটার সময় স্বাধীন মিয়া নামে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়।

মৃত ফুলেছা বেগম মিঠামইনে উপজেলার রাণীগঞ্জ কেওয়ারজোড় এলাকার মৃত আশরাফ আলীর স্ত্রী, ইন্দ্রজীত দাস অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর গ্রামের মৃত যতীন্দ্র দাসের ছেলে এবং স্বাধীন মিয়া একই উপজেলার খয়েরপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।

মিঠামইন থানার উপ-পরিদর্শক অর্পন বিশ্বাস জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পাশে ধানের খড় শুকাচ্ছিলেন ফুলেছা বেগম। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে কৃষক ইন্দ্রজীত দাস বাড়ির পাশে হালালপুর হাওরে ধান কাটছিলেন। এ সময় বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই কৃষক ইন্দ্রজীত দাসের মৃত্যু হয়। একই সময় উপজেলার খয়েরপুর হাওরে কৃষক স্বাধীন মিয়া ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।


আরও খবর



সৃষ্টির কল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দেয়াই হচ্ছে বাবাভাণ্ডারী’র জীবন দর্শন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী :

দূর দূরান্ত থেকে আসা লাখো ভক্তজনতার অংশগ্রহণে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে ত্বরীকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়ার পূর্ণতাদানকারী হযরত গাউছুল আ’যম শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভান্ডারীর (ক.) ৮৯তম বার্ষিক ওরশ শরীফ মহাসমারোহে উদযাপিত হচ্ছে। তিনদিনব্যাপী ওরশ শরীফ উপলক্ষে শুক্রবার ৪ এপ্রিল আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়াসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। খতমে কুরআন, খতমে গাউছিয়া শরীফ, রওজায় গিলাফ চড়ানো, ফ্রি চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প, রক্তদান, ব্লাড গ্রুপ নির্ণয়, মাদকের বিরুদ্ধে গণসচেতনার লক্ষ্যে র‍্যালিসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়। শনিবার সমাপনী দিনে বাবাভান্ডারীর কেবলার জীবনী আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে। এছাড়াও ২য় দিনের কর্মসূচিতে বিশ্বশান্তি, নিপীড়িত মানবতার মুক্তি এবং দেশবাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা ও মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান, রাহবারে শরিয়ত ও ত্বরীকত হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্ হাসানী (মাজিআ)। তিনি বলেন, আল্লাহ পাকের মহান ওলীগণ মানুষকে ইসলামের সহজ সরল সঠিক পথই দেখান। আল্লাহ পাকের সেরা সৃষ্টি মানুষ। আর মানুষের সেবা ও কল্যাণ করাই সবচেয়ে বড় ইবাদত। মানুষের প্রতি দরদী ও কর্তব্যনিষ্ঠ হয়ে হযরত বাবাভাণ্ডারী (ক.) আল্লাহ পাকের যোগ্য প্রতিনিধিত্বের দায়িত্বই পালন করেন। তিনি ছিলেন মহান আল্লাহর রহমান নামের গুণাবলীর উজ্জ্বল প্রতীক। মানুষের সেবার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্যাজনের পথই দেখিয়েছেন তিনি। সৃষ্টির প্রতি ভালবাসা, পরকল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দেয়া ও মানুষের সেবায় সর্বদা প্রস্তুত থাকাই হচ্ছে হযরত বাবাভাণ্ডারী’র জীবন দর্শন। আত্মকেন্দ্রিকতা, স্বার্থান্ধতা ও ভোগল্পিসাই আজ পৃথিবীতে যতো অশান্তি–হানাহানির মূল কারণ। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে ত্যাগের পথ ধরতে হবে। গণকল্যাণে নিজেদের ব্যাপৃত রাখতে হবে। এটাই হচ্ছে বাবাভাণ্ডারী’র শিক্ষা। তিনি আর্তমানবতা ও গণকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত রেখে অবিস্মরণীয় কর্মকীর্তির স্বাক্ষর রাখেন বলে হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্–হাসানী

(মাজিআ) উল্লেখ করেন। বিএসপি চেয়ারম্যানের ইমামতিত্বে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে আগত লাখো মুসল্লী জুমার নামাজ আদায় করেন। ওরশ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মইনীয়া যুব ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা শাহজাদা সৈয়দ মেহবুব-এ মইনুদ্দীন আল্ হাসানী, মইনীয়া যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট শাহজাদা সৈয়দ মাশুক-এ মইনুদ্দীন আল হাসানী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব খলিফা এডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার মহাসচিব আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, মইনীয়া যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা মুফতি মাকসুদুর রহমান, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হাফেজ ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ কেরামত আলী,আনজুমান চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি খলিফা আলহাজ বোরহান উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক খলিফা কাজী মো: শহীদুল্লাহ্ প্রমুখ।


আরও খবর

মাইজভান্ডারির মোনাজাত

বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫




গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিজ আসনে চাপা পড়া চালককে উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 | হালনাগাদ:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি:

ঢাকা -চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের ভাটেরচর নতুন রাস্তা এলাকায় দুর্ঘটনায় পিকাপে আটকে পড়া চালককে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের একদল কর্মী। আজ সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮ টায় এ ঘটনা ঘটে। 

পরে তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আহতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ঢাকাগামী একটি পিকাপ ভ্যান দ্রুতগতিতে  মহাসড়কের ভাটেরচর এলাকা অতিক্রমের সময়  চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি অজ্ঞাত গাড়ির পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে পিকাপের সামনের অংশ দুমরে-মুচড়ে যায়। 

এ সময় পিকাপ চালক সানি মিয়া তার আসনে আটকা পড়ে। আহত চালক সানি মিয়া কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার গাজীরচর গ্রামের আসু মিয়ার ছেলে।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে ধান কেনাকে কেন্দ্র করে তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম,

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

নলছিটি উপজেলার পৌরসভা এলাকার সূর্যপাশা গ্রামে ধান কেনার নামে ডেকে নিয়ে এক ব্যবসায়ীর তিন ছেলেকে ধারালো দা ও রড দিয়ে কুপিয়ে,পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থল থেকে নগদ ৮৭ হাজার টাকা ও একটি স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।


ঘটনাটি ঘটে সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে সূর্যপাশা এলাকার মোনাই বাড়িতে।


এ বিষয়ে আহতদের পিতা বাদী হয়ে নলছিটি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।  এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সূর্যপাশার বাসিন্দা ও ধান ব্যবসায়ী মো. নুরে আলম হাওলাদারের তিন ছেলে তারেক, তুহিন ও তাহিন হাওলাদার স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার কাজে জড়িত। ঘটনার দিন আসামিরা তাদের মোনাই বাড়িতে ধান বিক্রির কথা বলে ডেকে নেয়। সেখানে গিয়ে ধানগুলো কাঁচা ও ভিজা দেখে তারা না নিতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়।


পরে উত্তেজনার একপর্যায়ে আসামিরা তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন হিরন তালুকদার, হারুন তালুকদার, মজিবর তালুকদার, মাহফুজ তালুকদার, শরিফুল হাওলাদার ও রিয়াম।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, হিরন তালুকদার দা দিয়ে তারেক হাওলাদারের মাথায় পরপর দুটি কোপ মারে, হারুন তালুকদার লোহার রড দিয়ে তার ডান হাতে আঘাত করে। অন্য দুই ভাইকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।


হামলার সময় তারেক হাওলাদারের পকেটে থাকা ধান কেনার নগদ ৮৭ হাজার টাকা এবং একটি রেডমি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

আহতদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী পিতা মো. নূরে আলম হাওলাদার বলেন,আমার ছেলেরা দীর্ঘদিন ধরে ধান কেনাবেচার ব্যবসায় যুক্ত। সেদিন ধান দেখেই না নেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরক্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। তারা মারার জন্যই কুপিয়েছে। এমনকি টাকাও নিয়ে গেছে। আমি থানায় মামলা করেছি, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি  করছে। স্থানীয়রা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছেন।


আরও খবর