Logo
শিরোনাম

রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলায় রায় ৮ মে

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

২০০১ সালে ঢাকার রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের ওপর রায়ের জন্য আাগামী ৮ মে দিন রেখেছেন হাইকোর্ট ।

বুধবার এ দিন ধার্য করেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও সরওয়ার আহমেদ এবং আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন। এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা করেন।


আরও খবর



ভারতীয় হামলা নিয়ে নতুন তথ্য দিল পাকিস্তান

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ভারত শিগগির সামরিক অভিযান চালাতে পারে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। এ বিষয়ে ইসলামাবাদের কাছে ‘নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য’ রয়েছে। ৩০ এপ্রিল এমন তথ্য জানানো হয়। খবর রয়টার্স

কাশ্মীরে বন্দুক হামলার ঘটনায় পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। এ অবস্থায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ যুক্তরাষ্ট্রর কাছে আর্জি জানিয়েছেন, ভারতকে যেন উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান বন্ধ এবং দায়িত্বশীল আচরণ করতে চাপ প্রয়োগ করা হয়।

গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক রুবিও ভারত ও পাকিস্তানে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছেন।

ভারতীয় কর্মকর্তারা এবং কাশ্মীরের হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বলেন, ইসলামপন্থি হামলাকারীরা প্রথমে পুরুষদের আলাদা করে। পরে হিন্দুদের চিহ্নিত করে একের পর এক গুলি চালায়। এত ২৬ জন নিহত হয়।

ভারত দাবি করছে হামলাকারীদের মধ্যে তারা তিনজনকে চিহ্নিত করেছে। যারা পাকিস্তানের নাগরিক। তবে পাকিস্তান ভারতের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে হামলা চালাতে অর্থের যোগান ও সন্ত্রাসবাদ উস্কে দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে। উভয় দেশই হিমালয়ের এই অঞ্চলকে নিজেদের দাবি করে। তবে দুই দেশই এর একাংশ শাসন করে আসছে।

অন্যদিকে ইসলামাবাদ বলছে, তারা শুধু মাত্র কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবির প্রতি নৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন প্রদান করে।

ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তানের জন্ম হয়। সবশেষ কাশ্মীরে হামলায় ঘটনায় ভারত সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করেছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।

কিস্তান সরকার জানিয়েছে, তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য আছে, ভারত পেহেলগামে হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের ওপর মিথ্যা দায় চাপিয়ে আগামী ২৪ অথবা ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হামলা চালাতে পারে।তবে এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।


আরও খবর



এক মুঠো চালের জন্য জেলেদের বুক ফাটা কান্না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

ভোরের সূর্য ওঠার আগেই বরগুনার আমতলি ফকিরঘাটে ভিড় জমায় সাগরের সাহসী সন্তানরা। একসময় যাদের হাতের জালে ধরা পড়তো সাগরের সোনা, আজ তাদের হাতে কিছুই নেই। চোখে শূন্যতা, মুখে হতাশা। ট্রলারগুলো নিশ্চুপ, জালগুলো ছেঁড়াআর মানুষগুলো নীরব, অথচ বুকের ভেতর চলছে কান্নার তীব্র গর্জন।


সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সাথে যুদ্ধ করে যারা জীবন কাটিয়েছেন, আজ সেই জীবনের সামনে শুধুই অনিশ্চয়তা। ১৫ দিন ধরে চলা মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা হাজারো জেলের ঘরে এনেছে হাহাকার, আর পাতে এনে দিয়েছে ফোঁটা ফোঁটা ক্ষুধা। প্রায় আট হাজার নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জেলে আজ বাঁচার জন্য তাকিয়ে আছেন এক মুঠো সাহায্যের দিকে। কিন্তু এখনো তাদের ভাগ্যে জোটেনি সরকারি সহায়তার চালের এক দানাও।


ষাটোর্ধ্ব মোশাররফ হোসেন এক কোণে বসে আকাশের দিকে চেয়ে কাঁদছেন। তার কণ্ঠ রুদ্ধ, চোখের জল অবিরাম গড়িয়ে পড়ছে।


"ঝড়-তুফান, সাগরের কাঁচা ঢেউসবকিছুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। কিন্তু আজ... আজ তো নিজেরই যুদ্ধ জীবন বাঁচানোর। সরকার যদি চাল না দেয়, আমরা না খেয়ে মরে যাবো।" তার কাঁপা কণ্ঠের এই মর্মস্পর্শী আহাজারি যেন আঘাত হানে মানবতার শেষ প্রাচীরে।


আরেক কোণে দাঁড়িয়ে শহিদুল ইসলাম, ছোট্ট মেয়ের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন। মেয়ের ক্ষুধার্ত চোখ যেন হাজারটা প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে তার দিকে। মাথা নিচু করে শহিদুল ফিসফিস করে বলেন, "মাছ ধরতে জীবন বাজি রাখি। আজ মেয়েটার ভাতের জন্য রাস্তায় দাঁড়াতে হচ্ছে। একজন বাবার চেয়ে বড় লজ্জা আর কী হতে পারে?" 

মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, তালতলীতে প্রায় আট হাজার নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জেলে রয়েছেন, যাদের কেউই এখন সাগরে যেতে পারছেন না। সাগরের হাওয়ায় এখন আর মাছের ঘ্রাণ নেইভেসে আসছে দুর্ভিক্ষের গন্ধ। প্রতিবছর নিষেধাজ্ঞার সময় কিছু খাদ্য সহায়তা মিললেও, এবারের নিষেধাজ্ঞায় এখনো কোনো বরাদ্দ এসে পৌঁছায়নি। সাগরের গর্জন আজ আর তাদের কাছে রোমাঞ্চ নয়, বরং মৃত্যুর সুর হয়ে বাজছে।


উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, "নীতিমালা অনুযায়ী সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। আগেরবার খাদ্য সহায়তা ছিল, এবার বিলম্ব হয়েছে। চাল আসলে দেওয়া হবে।" কিন্তু তার কথাগুলো যেন ক্ষুধার্ত পেটের গহীন আর্তনাদের সামনে একটি তুচ্ছ আশ্বাসমাত্র। চাল কবে আসবে, তা কেউ জানে না। আর ততদিন ক্ষুধা আগুন হয়ে পুড়িয়ে দেবে তাদের শরীর ও আশা।


ফকিরঘাট নয়, উপকূলের সবখানেই একই ছবি। শীর্ণকায় জেলেরা ছেঁড়া গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে কান্না চেপে রাখার চেষ্টা করছে। শিশুদের কান্না মিলিয়ে যাচ্ছে সাগরের বাতাসে। "ভাত দে মা, ক্ষুধা পেয়েছে"শত শত শিশুর এই চিৎকার যেন আকাশকেও ভারী করে তুলেছে।

এই বাস্তবতা কেবল দারিদ্র্যের গল্প নয়এ হলো লজ্জার গল্প। যেখানে রাষ্ট্রের নিষ্ক্রিয়তা আর মানবতার ব্যর্থতা মিলেমিশে একটি জাতির বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করে। জীবনের যুদ্ধ তো তারা জিতেছে বারবার, কিন্তু আজতালতলীর সাগরপাড়ে বসে থাকা এই হাজারো জেলে হারছে ক্ষুধার কাছে।


আরও খবর



রাণীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সম্পাদক গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ মে ২০২৫ |

Image

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগর থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দীন (৬৫) কে গ্রেফতার করেছে। রোববার (২০ এপ্রিল ) বিকেলে অভিযান 

চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মফিজ উদ্দীনকে এদিন বিকেলেই আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাফিজ মো: রায়হান জানান,গত ২৬আগষ্ট উপজেলা বিএনপির দলীয় অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর,লুটপাট,অগ্নি সংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরনের অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলার সাথে জরিত সন্দেহে আওয়ামীলীগ নেতা মফিজ উদ্দীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার বিকেলে তাকে নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মফিজ উদ্দীন উপজেলার বানিয়া পাড়া গ্রামের মৃত কোকাই প্রামানিকের ছেলে।তাকে এদিন বিকেলেই আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



গজারিয়ায় মর্টার শেল বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়ি পরিদর্শনে বিএনপি নেতৃবৃন্দ

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

গজারিয়া(মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি :

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার আড়ালিয়া গ্রামে মর্টার শেল বিস্ফোরণে গ্রামের অর্ধশতাধিক বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত,  ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি  হয়েছে বলে দাবী করেন  এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।

সরজমিনে  জানা যায়, মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করতে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল ৫ টা থেকে কাজ শুরু করে পুলিশের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা। রাত ৭ টা ৫৬ মিনিটে মর্টার শেলটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতা এতোটাই বেশি ছিল

বিকট শব্দে  গ্রামটির ঘরবাড়ি,মসজিদ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে এলাকার ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী তুলেন স্হানীয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।

মর্টার শেল বিস্ফোরণের আফরিন( ৭)   নামে এক শিশুর  পায়ে আগাত পাপ্ত হয়ে আহত হন।

এলাকায় বাসী  বলেন, বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করার সময়  বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটা বেশি ছিল বিস্ফোরিত এলাকা আশে পাশের প্রায় ৭০ টি বাড়ি ঘর ও বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের ধারনা ক্ষতির পরিমান ৫ কোটি টাকা হবে।

বিক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা বলেন, এত শক্তিশালী বোমা এখানে এই ভাবে নিস্ক্রিয় করা উচিত হয় নাই,আমরা ক্ষতিপূরণ দাবি করি।

বুধবার সকাল ১১ঘটিকায় উপজেলার বালুয়াকান্দী ইউনিয়ন এর আড়ালিয়া গ্রামে কেন্দ্রীয় বি,এন,পি'র সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক মো:কামরুজ্জামান রতন এর নির্দেশে বাড়িঘড় পরিদর্শনে উপজেলা বিএনপি'র একাংশের নেতাকর্মী'রা।পরিদর্শন দলে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সভাপতি মো:রফিকুল ইসলাম (ভিপি মাসুম)ও গজারিয়ায় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহমান সফিক,সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইসহাক আলী,জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোজাম্মেল হক মুন্না,উপজেলা বি,এন,পি নেতা মুক্তার হোসেন,দেওয়ান হারুন অর রশিদ,নুরুল আমিন সরকার,উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নজরুল মেম্বার,মাসুম আহমেদ, তারেক সরকার,দেলোয়ার হোসেন(দুলাল সরকার),উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি আইবী আক্তার,উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

অপর দিকে বেলা১২ঘটিকায় জেলা বি,এন,পি'র সদস্য সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ এর নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি আলহাজ্ব মজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে আরেক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত দের বাড়িঘর পরিদর্শন করেন,এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বি,এন,পি'র সাবেক সভাপতি প্রফেসর গিয়াসউদ্দিন,উপজেলা বি,এন,পি'র যুগ্ম আহবায়ক আহসান উল্লাহ, মাহাবুব আলম খাঁন,বোরহান উদ্দিন ভূঁইয়া, ইঞ্জি:মুকবুল আহমেদ রতন,উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জিএস ওয়াহিদুজ্জামান,উপজেলা ছাত্রদলের সা:সম্পাদক নাদিম মাহমুদ প্রমুখ। 

পরিদর্শন শেষে নেতারা জানান,গ্রামের সাধারণ মানুষের বিশাল ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে,আমরা দলের পক্ষ থেকে তাদের পাশে আছি,আশা করি সরকারও তাদের ক্ষতিপূরণ দিবে।গত মঙ্গলবার রাত ১০ঃ০০ ঘটিকার সময় উপজেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা   আশরাফুল আলম  ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।  গজারিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার আলম আজাদ  জানান, বোমা বিস্ফোরণ বিকট শব্দে  স্থানীয় জনতার রোষানলে থানা পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে


আরও খবর



চিকিৎসাখাতে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা প্রয়োজন

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বললেন, চিকিৎসকদের নিজের দায়িত্ব, সৃজনশীলতা, মননশীলতা ও সক্ষমতা নিয়ে চিকিৎসাসেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে সিভিল সার্জন সম্মেলন-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন । জেলা সিভিল সার্জনদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী সম্মেলন সোমবার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা যে স্বাস্থ্যহীন সেটা আমরা সবাই বুঝি এবং একে অপরকে দোষ দেই। কিন্তু দোষ দিলে তো স্বাস্থ্যহীনতা দূর হয়ে যাবে না। এটার প্রতিকার করতে হবে যাতে করে আমরা স্বাস্থ্যসেবা ঠিক করতে পারি। দুনিয়ার যত দেশ আছে, যত জাতি আছে তারা যদি নিজ নিজ স্বাস্থ্যসেবা আমাদের চাইতে ভালো করতে পারে তাহলে আমাদের মধ্যে কী গাফেলতি আছে, কী অভাব আছে যে কারণে আমরা পারছি না? নিজেদের কাছে আত্মজিজ্ঞাসা করতে হবে যে, কীভাবে আমরা এটা ঠিক করতে পারব।

তিনি বলেন, আমাদের যতটুকু চিকিৎসা সরঞ্জাম বা সুযোগ সুবিধা রয়েছে, এই পরিস্থিতির মধ্যে যদি আমরা পরিবর্তনের জন্য নিজের মন ঠিক করতে পারি তাহলে আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার ২৫ শতাংশ উন্নতি হয়ে যাবে।

সম্মেলনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম কোভিড মহামারি ও জুলাই আন্দোলনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা করায় চিকিৎসদের অভিনন্দন জানান।

স্বাস্থ্যসেবায় সিভিল সার্জনরা মূল কান্ডারি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আমাদের যথেষ্ট সাফল্য থাকলেও ওষুধ খাত, যন্ত্রপাতিসহ জনবলের ঘাটতি প্রকট থাকায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত এখনো অনেকটাই পেছনে। কিন্তু সিভিল সার্জনরা তাদের মেধা-মনন ও দায়িত্বশীলতাকে কাজে লাগিয়ে চিকিৎসাখাতকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

সাত হাজার সুপার নিউমারারি (অতিরিক্ত) পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতির কাজ চলমান আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। শুধু চিকিৎসক নয়, নার্সও নিয়োগ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. সাইয়েদুর রহমান বলেন, পদোন্নতি, পদায়ন, বাজেট এবং ওষুধের অপ্রতুলতা সমস্যার সমাধান হলেই স্বাস্থ্যখাতের উন্নতি সম্ভব। স্বাস্থ্যখাত পুনর্গঠনের জন্য ইউনিক হেলথ কার্ড করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. জিল্লুর রহমান ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর।


আরও খবর