Logo
শিরোনাম

রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে আরাকান আর্মি

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের এখনও তদন্ত করছে আন্তর্জাতিক আদালত। যুক্তরাষ্ট্র ওই নিপীড়নকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে। লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আর যারা রাখাইনে রয়ে যায় তারা জান্তার নিপীড়নের মুখে পড়েছে। এখন এই রোহিঙ্গারা নতুন এক হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। এবার মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পরিবর্তনে শক্তিশালী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ উঠছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি হচ্ছে আরাকান আর্মি। ইতোমধ্যে রাখাইন রাজ্যের বিশাল অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা। সম্প্রতি রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে তারা সফলতা পেয়েছে, এসব অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের আবাস। সম্প্রতি মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো অভিযোগ করেছে, রোহিঙ্গাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করছে আরাকান আর্মি। এমনকি তাদের সম্পত্তি ধ্বংস করছে বিদ্রোহীরা। অনেক ক্ষেত্রে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। অবশ্য আরাকান আর্মি এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।=

এই জাতিগত উত্তেজনা মিয়ানমারের জটিল জাতিগত চরিত্র ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি হাজির করছে। আরাকান নামে পরিচিত রাখাইন রাজ্যের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইন জাতিগোষ্ঠী মিয়ানমার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায়। তারা প্রায় সময় রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ আসা অবৈধ অভিবাসী ও দুষ্কৃতকারী হিসেবে মনে করে।

প্রায় ১৫ বছর আগে গঠিত আরাকান আর্মি দাবি করে, তাদের বাহিনীতে প্রায় ৪০ হাজার যোদ্ধা রয়েছে এবং বছরের পর বছর ধরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে। দেশটির বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে তারা। সামরিক সরকারকে উৎখাত করে চায় এমন গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তারা যোগ দিয়েছে। ২০২১ সালে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল সেনাবাহিনী। সম্প্রতি সশস্ত্র বিদ্রোহী ও গণতন্ত্রপন্থি শক্তির পক্ষ থেকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে জান্তা।

আরাকান আর্মির হাতে রোহিঙ্গাদের নিপীড়িত হওয়ার সাম্প্রতিক খবর নতুন করে নৃশংসতা আশঙ্কা তৈরি করছে। জান্তা দুর্বল হলেও রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না।

বুথিডাংয়ে বসবাস করা ৪২ বছর বয়সী রোহিঙ্গা আং হতায় বলেছেন, আরাকান আর্মির যোদ্ধারা আমাদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলেছে। আমাদের শহরে লড়াইয়ের তীব্রতা বেড়েছে এবং ঝুঁকি রয়েছে। আমরা চলে যাব কি যাব না সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বেই আমাদের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।

টেলিফোনে তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে এসব কথা বলেছেন। রাতের অন্ধকারে শহরের বিভিন্ন বাড়িতে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হচ্ছে তা জানেন না তিনি।

শহরটির আশেপাশে বসবাস করা অপর ৯জন বাসিন্দা বলেছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অনেক বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বাসিন্দাদের চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। কারা এই সহিংসতা চালাচ্ছে তা এখনও অস্পষ্ট, তবে আরাকান আর্মির জড়িত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া গবেষক শায়না বাউখনার বলেছেন, আমরা একাধিক মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। তারা বলেছেন যে, যখন ১৭ মে বিস্তৃত অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে তখন বুথিডাংয়ের নিয়ন্ত্রণ ছিল আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের হাতে।

জাতিসংঘও বলেছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী যে-সব এলাকা থেকে পিছু হটেছে সে সব স্থানে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সংঘাতের কারণে হাজার হাজার রাখাইনজুড়ে হাজার হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছেন। কিছু মানুষ প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বাংলাদেশে আগে থেকেই দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বসবাস করছেন।

আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অতীতে রাখাইন জনগোষ্ঠীর মানুষদের নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছিল। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির এক প্রতিনিধি এমন অপরাধের কথা অস্বীকার করেছেন।

আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থু খা বলেছেন, আমরা বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়াতে জড়িত নই। তিনি এসব অগ্নিকাণ্ডের জন্য মিয়ানমার জান্তাকে দায়ী করেছেন। এই বিষয়ে মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বেসামরিকদের জোর করে বাড়ি-ঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য করার অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেছেন আরাকান আর্মির মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, আমরা কখনও কাউকে সরে যেতে বলিনি। কিন্তু যুদ্ধের এলাকা নিরাপদ নয় উল্লেখ করে হয়ত চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকতে পারি।

তবে গোষ্ঠীটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টগুলোতে এমন আন্তরিকতার প্রকাশ কম। আরাকান আর্মির কমান্ডার তয়ান ম্রাত নাইং রোহিঙ্গাদের বন্ধুনাগরিক বললেও তিনি তাদের বাঙালি হিসেবে অভিহিত করেছেন। বাঙালি বলার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকারী এবং মিয়ানমারে তাদের কোনও অধিকার নেই বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়।

এক্স-এ এক পোস্টে তিনি রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্টদের বিরুদ্ধে পৃথক ইসলামি নিরাপদ অঞ্চল গড়তে চাওয়ার অভিযোগ করেছেন। যদিও অ্যাক্টিভিস্টরা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

রোহিঙ্গাদের জোর করে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দিচ্ছে মিয়ানমার জান্তা এবং তাদের রাখাইনের গ্রামগুলোতে বিদ্রোহী বিরোধী অভিযানে পাঠানো হচ্ছে, এমন খবর যখন প্রকাশ হচ্ছে তখন আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ উঠছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মনে করে, ফেব্রুয়ারির পর থেকে এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে জোর করে বাহিনীতে নেওয়া হয়েছে।

নতুন করে ছড়িয়ে পড়া সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায় উদ্বিগ্ন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার সতর্ক করে বলেছেন, আরও নৃশংসতার তীব্র ঝুঁকি রয়েছে।

সেনাবাহিনীর ফাঁদে পা না দিতে আরাকান আর্মির নেতৃত্বের প্রতি এক যৌথ বিবৃতিতে আহ্বান জানিয়েছেন রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্টরা। তারা অভিযোগ করেছেন, দুই সম্প্রদায়কে একে অন্যের বিরুদ্ধে উসকে দিয়ে সুবিধা নিতে চাইছে জান্তা।

বুথিডাং থেকে নির্বাচিত সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য ইউ অং থাউং সোয়ে বলেছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী এখনও জাতিগত ও ধর্মীয় সংকট তৈরি করতে চাইছে। যখন তারা পরাজিত হওয়ার মুখে থাকে তখন এমন সংঘাত সৃষ্টি করে। আমাদের সতর্ক হতে হবে।

তিনি জানিয়েছেন, তার বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কে দায়ী তা তিনি জানেন না।

এখন রোহিঙ্গাদের এমন একটি সংঘাতে কোনও একটি পক্ষকে বেছে নিতে হচ্ছে যাদের কোনও পক্ষই তাদের অধিকারকে সমর্থন করে না। নিজেদের সশস্ত্র গোষ্ঠীও তাদের সন্ত্রস্ত করে রেখেছে। রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শিবিরে জোর করে তরুণদের দলে ভেড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।

মিয়ানমারের প্রখ্যাত মানবাধিকারকর্মী থিনজার শুনলেই ইয়ি বলেছেন, সরেজমিনে পরিস্থিতি হয়ত জটিল হতে পারে। কিন্তু একটি বিষয় একেবারে সহজ: রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের নিয়োগ দেওয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব বিচাপতি মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আদেশ দেন। আগামীকাল বুধবার থেকে এই সাড়ে হাজার শিক্ষককে নিয়োগ পত্র দেওয়ার কথা ছিল।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর মোহাম্মদ আজমী।

এর আগে, গত ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন হাজার ৫৩১ জন। 

গত ২৮ মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকা চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) মৌখিক পরীক্ষাসহ নিয়োগপ্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণসংক্রান্ত হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন, আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। পরিপ্রেক্ষিতে মৌখিক পরীক্ষা নেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। 


আরও খবর



গৃহবধূ সালমা হত্যাকান্ড-নেপথ্যে মাদক ও অনৈতিক কাজ- ৩ জন আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

গৃহবধূ উম্মে সালমা হত্যাকান্ড ও হত্যার পর মৃতদেহ ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনা নিয়েছে নতুন মোর। হত্যাকান্ডে নিহতের ছেলে জড়িত নয়। বাসার নারী ভাড়াটিয়ারা

মাদক সহ অনৈতিক কাজে জড়ীত থাকার ঘটনাটি জানতে পেরে বাসা ছেড়ে দিতে বলায় গৃহবধূ উম্মে সালমা (৫০) কে হত্যা করার পর তার মৃতদেহ ডিপ ফ্রিজের ভেতর রাখেন বাসার 

নারী ভাড়াটিয়া ও তার সহযোগী। ইতি মধ্যেই এ ঘটনায় থানা পুলিশ ঐ বাসার ৪র্থ তলার ভাড়াটিয়া মাবিয়া বেগম সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঐ বাসার ভাড়াটিয়া ও দুপচাঁচিয়া উপজেলার উত্তর সাজাপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর স্ত্রী মাবিয়া বেগম (৫০) এবং তার দু'জন সহযোগী তালুচ পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মোসলেম উদ্দিন (২৬) ও নিখিল রবিদাসের ছেলে ভ্যান চালক সুমন রবিদাস(২৮)। 

এলাকায় ব্যাপক আলোচিত এহত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার ১০ নভেম্বর বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বগুড়া টু নওগাঁ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত 'আজিজয়া মঞ্জিল' নামক একটি বাসায়। গৃহবধূ উম্মে সালমা হত্যাকান্ড ও ডিপ ফ্রিজে মৃতদেহ রাখার ঘটনায় সে সময় আটক করা হয় হত্যাকান্ডের শিকার

গৃহবধু উম্মে সালমা'র ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে।

শুক্রবার ১৫ নভেম্বর দুপুরে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের সময় ঐ বাসা থেকে খোঁয়া যাওয়া রাউটার ও মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সেই বাসার ভাড়াটিয়া মাবিয়া বেগমকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মাবিয়া বেগম স্বীকার করেন, ৪ মাস আগে উম্মে সালমার বাসা ভাড়া নিয়ে তিনি মাদক ও অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেন উম্মে সালমা। এছাড়াও ভাড়ার পাওনা টাকা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ক্ষুব্ধ হোন মাবিয়া বেগম। সেইজের ধরে তার দু'জন সহযোগী মোসলেম ও সুমন রবিদাসকে নিয়ে উম্মে সালমাকে হত্যার পর তার মৃতদেহ ফ্রিজে রাখেন তারা। উম্মে সালমা হত্যাকান্ডের সাথে জড়ীত নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুপচাঁচিয়া থানার ওসি (তদন্ত) নাসিরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য- সে সময় র‌্যাব জানিয়েছিলো, হাত খরচের টাকার জন্য ছেলে তার মাকে হত্যা করেছিল এবং ছেলে তার মায়ের মৃতদেহ ডিপ ফ্রিজে রেখে দেন। কিন্তু শুক্রবার ১৫ নভেম্বর থানা পুলিশের তদন্তে নিলো নতুন এক মোড় যেখানে বেড়িয়ে আসলো হত্যাকান্ডের নেপথ্যে মাদক ও অনৈতিক কাজ।


আরও খবর



অর্থনৈতিক ও আয় বৈষম্য এই মুহূর্তে বড় দুশ্চিন্তা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, অর্থনৈতিক ও আয় বৈষম্য এই মুহূর্তে বড় একটি দুশ্চিন্তার বিষয়।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) উদ্যোগে আয়োজিত এবিসিডি সম্মেলনে আলোচনা রাখতে গিয়ে এ দুশ্চিন্তার কথা জানান।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্য দূর করতে মানসম্পন্ন শিক্ষা দরকার, যা থেকে অনেক দূরে রয়েছে বাংলাদেশ।

একই অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ইন্দরমিত এস গিল বলেন, মধ্যম আয়ের ফাঁদ থেকে বাংলাদেশকে বেরকরতে হলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি উদ্যোক্তা তৈরি ও প্রযুক্তির ব্যবহার জেনো বাড়ানো যায় সেদিকে বিশেষ নজর দেয়ারও তাগিদ দেন তিনি।

বিশ্বব্যাংকের মতে, এ কাজে এগুতে হলে প্রথমেই মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে কৌশল নিতে হবে। পাশাপাশি সেবা ও উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন বাড়াতে বাংলাদেশকে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান বিশ্বব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদ।

একই সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা সাজানোর পরামর্শ দেন ইন্দরমিত এস গিল।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার খেজুর রসের ঐতিহ্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম)

হেমন্তের বিদায় কালে ভোরের হালকা কুয়াশায় নিমজ্জিত সবুজ ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দু আর ঝরে থাকা শিউলি ফুলের মিষ্টি সৌরভ যেন পৌঁছে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস ছাড়া যেন শীতের আমেজেই পাওয়া যায় না। শীতের সকালে মিষ্টি রোদে বসে বসে সুস্বাদু খেজুরের রস খাওয়ার মজাটাই আলাদা। শীতের আগমনী বার্তা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে আগাম খেজুরের রস আহরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুলবাড়ী উপজেলার খেজুর গাছিরা।


কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার খেজুর রসের ঐতিহ্য। কুড়িগ্রাম জেলার জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট বন বিভাগ খেজুর গাছ সংরক্ষণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে না পারার কারণে এই অঞ্চলের খেজুর গাছ অনেকটা বিলুপ্তির পথে। খেজুরের রস দিয়ে তৈরি করা নলের গুড়,ঝোলা গুড়,দানা গুর মুটা গুড়, বাটালী গুড়ের মিষ্টি গন্ধেই যেন অর্ধভোজন হয়ে যেত। খেজুর রসের পায়েস রসে ভেজা পুলি  পিঠা সহ-বিভিন্ন সুস্বাদ খাবারের তো জুরিই ছিল না। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার এই সব সুস্বাদু ঐতিহ্য খেজুরের রস,গুড়। কিছুদিন আগেও গ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গিয়েছিল রাস্তার দুই ধারে কিংবা অধিকাংশ বাড়ির পুকুর পাড়ে সারি সারি ভাবে অসংখ্য খেজুর গাছ ছিল। খেজুর গাছগুলো কোন রকম পরিচর্যা ছাড়াই অনেকটা প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠতো। শীত মৌসুমে রস গুড় উৎপাদন করে কয়েক মাস স্বাচ্ছন্দ্যে জীবিকা নির্বাহ করেন গ্রামের অনেক খেজুর গাছির পরিবার। খেজুর গাছ সংকটের কারণে প্রতিবছরের মতো এবছর চাহিদা অনুযায়ী রস ও গুড় পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন ফুলবাড়ীর গাছিরা।


সরেজমিনে ঘুরে দেখা মেলে সকালের মিষ্টি রোদে খেজুর রস সংগ্রহের জন্য উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুটি চন্দ্র খানা গ্রামের হারান গাছি, খেজুর গাছের বুকচিরে রস সংগ্রহের প্রান্তিক কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি জানান,আমার নিজের কয়েকটি গাছ সহ-অন্যের প্রায় ৬০টির মতো গাছ লিজ নিয়েছি, এক সময় খেজুর রস ও গুড়ের জন্য হামার ফুলবাড়ী উপজেলার খ্যাতি ছিল। শীত কালে শহর থেকে মানুষ দলে, দলে ছুটে আসতো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস ও গুড় সংগ্রহের জন্য ওই সময় সন্ধ্যা কালীন গ্রামের পরিবেশটা খেজুর রসের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠতো। শীতে খেজুর গুড় দিয়ে গ্রাম বাংলার সেই আলোচিত ভাপা পিঠা খাওয়ার যেন জুরি নেই।


সদর ইউনিয়নের চন্দ্র খানা কালির হাট এলাকার খেজুর গাছ মালিক মিজানুর রহমান জানান,গাছিদের তিন/চার মাসের জন্য চার থেকে পাঁচ কেজি গুরের বিনিময়ে গাছগুলো আমরা ভাড়া দেই। অনেক পুরোনো গ্রামীণ ঐতিহ্য যাতে বিলীন না হয় অনেকটা স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখার চেষ্টা করতেছি,বর্তমানে যে হারে খেজুর গাছ হারিয়ে যাচ্ছে একসময় গ্রামীণ ঐতিহ্য খেজুর গাছ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

এব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামাঞ্চলে খেজুর গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। আমাদের হাজার বছরের গ্রামীণ ঐতিহ্যকে আগামী প্রজন্মের জন্য ধরে রাখতে চাইলে খেজুর গাছ সংরক্ষণে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪




মূল্যস্ফীতির অভিঘাত খাদ্যে, ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

চলতি বছরের নভেম্বরে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। বিশেষ করে খাদ্যপণ্যে এই মূল্যস্ফীতি হয়েছে বেশি। এর মারাত্মক অভিঘাত পড়েছে গরিবের ওপর। এতে সংসার চালাতে হিমমিশ খাচ্ছেন কম আয়ের মানুষ। এই উচ্চ দামের অভিঘাতে তাদের প্রকৃত আয় কমে গেছে। ক্রয় ক্ষমতা পেয়েছে হ্রাস। বাজার বিশ্লেষক দেশি-বিদেশি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্য-উপাত্ত যাচাই এবং অর্থনীতিবিদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ মাসে খাদ্য পণ্যে মূল্যস্ফীতি ১ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশে যা প্রায় ১৪ শতাংশ। বাংলাদেশে পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুসারে, গত মাসে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। অক্টোবরে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংকোচনমূলক পদক্ষেপ ও রাজস্ব নীতির সমন্বয়ের কারণে আগামী বছরের মে-জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামতে পারে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, নভেম্বরে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আগের মাস অক্টোবরে যা ছিল যথাক্রমে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ ও ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। গত বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।

দেউলিয়াত্ত থেকে ফিরে আসা দ্বীপদেশ শ্রীলংকায় মূল্যস্ফীতি প্রায় তিন মাস ধরে ঋণাত্মক পর্যায়ে। কিন্তু বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য সংকোচন না হওয়ায় মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। গত বছরের একই সময়ে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৮৯ শতাংশ। এছাড়া, নভেম্বরে মজুরির হার কিছুটা বেড়েছে ৮.১০ শতাংশ হয়েছে যা অক্টোবরে ছিল ৮.০৭ শতাংশ।

নভেম্বরে দেশের গ্রামাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ, অক্টোবরে যা ছিল ১১ দশমিক ২৬ ভাগ। গত বছরের একই সময়ে অর্থাৎ নভেম্বরে দেশের গ্রামাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। নভেম্বরে গ্রামাঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৪১ ও ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। চলতি বছরের অক্টোবরে যা ছিল যথাক্রমে ১২ দশমিক ৭৫ ও ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং গত বছরের নভেম্বরে যা ছিল যথাক্রমে ১০ দশমিক ৮৬ ও ৮ শতাংশ। নভেম্বরে শহরাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ; অক্টোবরে যা ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২০২৩ সালের নভেম্বরে যা ছিল ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। নভেম্বরে শহরাঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৬৩ ও ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। ২০২৪ সালের অক্টোবরে যা ছিল যথাক্রমে ১২ দশমিক ৫৩ ও ৯ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং ২০২৩ সালের নভেম্বরে যা ছিল যথাক্রমে ১০ দশমিক ৫৮ ও ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।

দেশে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে মূল্যস্ফীতির হার দুই অঙ্কের কাছাকাছি। বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেশের গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত দেশের গড় চলন্ত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ।

বাজার তদারকি করা হলেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সাফল্য আসছে না। প্রতিনিয়ত অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। উৎপাদন ও আমদানিকারক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে একটি বড় সরবরাহ চেইন রয়েছে। সেখানেও সংকট কাজ করছে। সবমিলিয়ে দ্রুত এসব পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মূল্যস্ফীতি টেনে ধরা যাবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক শফিকুজ্জামান এ বিষয়ে প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতির কারণে বাজারে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। এটাই মূল্যস্ফীতি। এতে খালি হয়েছে স্বল্প আয়ের মানুষের পকেট। তাদের প্রকৃত আয় কমেছে। এই মূল্যস্ফীতির মারাত্মক অভিঘাতে সংসারের খাবার জোগাতেই সর্বশান্ত হয়েছে বড় আয়তনের পরিবারগুলো। এই দুঃসহ অবস্থা থেকে মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। আমার সুদিনের আশা করছি।’

সর্বশেষ গত অক্টোবরে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ আর অক্টোবরে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি কমাতে সরকার কয়েক দফায় নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। তাতে বেড়েছে ঋণ ও আমানতের সুদও।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, অনেক দিন ধরে চলা উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে আইএমএফ মিশন উদ্বেগ জানিয়েছে। আইএমএফের পরামর্শে সুদহার বাড়ানো হলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আবার বাড়তে শুরু করে। এর কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেছেন, অনেক আগেই মুদ্রানীতি আধুনিকায়নের পরামর্শ দেওয়া হলেও যথাসময়ে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিনিধি দলটি দ্রুত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতি ও মুদ্রাবিনিময় হারের স্থিতিশীলতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে আইএমএফ। এ ছাড়াও ব্যাংকে বেনামে শেয়ার ধারণ বন্ধ ও খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে প্রতিনিধি দল।

আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। এরপর তিন কিস্তিতে সংস্থাটি থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৬ সাল নাগাদ পুরো অর্থ পাওয়ার কথা রয়েছে। আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে প্রতিটি কিস্তি পেতে বেশ কিছু শর্ত পরিপালন করতে হচ্ছে। চতুর্থ কিস্তির জন্য গত জুনভিত্তিক দেওয়া বিভিন্ন শর্তের মধ্যে কর-রাজস্ব সংগ্রহ ছাড়া সব শর্ত পূরণ হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংকোচনমূলক পদক্ষেপ ও রাজস্ব নীতির সমন্বয়ের কারণে আগামী বছরের মে-জুনে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামতে পারে। মূল্যস্ফীতি কমলে সংকোচনমূলক ব্যবস্থা থেকে সরে আসব, তখন সুদহার কমবে। গত মে থেকে বাংলাদেশে মুদ্রানীতির সংকোচন শুরু হয়। আর বর্তমানে যে অর্থনৈতিক অবস্থা বিরাজ করছে, সে আলোকে বলতে পারি, আগামী মে-জুনে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামতে পারে। তারপর কয়েক মাসের মধ্যে তা ৬ শতাংশের নিচে নামতে পারে। সেটি হলে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি থেকে সরে আসব।

আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমার লক্ষণ দেখা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, দেশে খাদ্যবহির্ভূত (নন-ফুড) মূল্যস্ফীতি এরই মধ্যে টানা তৃতীয় মাসের মতো কমেছে। তবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখনো বেশি। এর কারণ এই সময়ের মধ্যে আমাদের দেশে দুটি বন্যা হয়েছে। একই সঙ্গে দীর্ঘ সময় বৃষ্টি ছিল। ফলে শীতকালীন সবজি ও অন্যান্য স্থানীয় খাদ্যপণ্য বাজারে আসতে দেরি হয়েছে। গভর্নর জানান, দেশে শ্রমিক বিক্ষোভসহ বিভিন্ন অস্থিরতার মধ্যেও রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি রয়েছে। গত চার মাসে ১০ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে। আর জুলাই থেকে নভেম্বরে প্রবাসী আয় ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে।


আরও খবর