Logo
শিরোনাম

রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরতে চায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মায়ানমারে ফিরে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এজন্য মায়ানমারে শান্তি পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ১৪ মার্চ কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক‍্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মায়ানমারের নিরাপত্তার নিশ্চিতের দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আমি দুটি স্পষ্ট বার্তা পেয়েছি।

প্রথমত, রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। এটি তাদের অধিকার, তারা বঞ্চনার শিকার।

আর দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গারা আরো ভালো পরিবেশ চায় ক্যাম্পে। দুর্ভাগ্যবশত যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য অনেক দেশ সম্প্রতি নাটকীয়ভাবে মানবিক সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে।

এই কারণে আমাদের মানবিক সহায়তার মধ্যে খাবারের রেশন কমাতে হয়েছে। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। যত দেশ সম্ভব আমি কথা বলবো, যাতে করে ফান্ড পাওয়া যায় এবং এর থেকে আরও খারাপ পরিস্থিতি না আসে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবে, এমনটি প্রত্যাশা করেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে জোরালো আওয়াজ তুলবো।

কারণ সম্মানের সঙ্গে এখানে বসবাসের জন্য এই সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।

এর আগে, দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক‍্যাম্প পরিদর্শন করেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের কথা শোনেন, বলেন এবং ক্যাম্পের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে বিমানের একই ফ্লাইটে কক্সবাজার যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।


আরও খবর

মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫




উখিয়ায় বিএনপি নেতার নেতৃত্বে সাংবাদিকের বাড়ি দখলের চেষ্টা

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

কক্সবাজারের উখিয়ায় একটি পরিকল্পিত, বর্বর ও সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও পরিচ্ছন্ন সাংবাদিকতার প্রতীক জসিম আজাদ। ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র রবিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে তার রত্নাপালং ইউনিয়নের টেকপাড়াস্থ বসতবাড়িতে ঢুকে তাকে ও তার স্ত্রীকে মারধর করে এবং বাড়ি থেকে জোর করে উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়। নেতৃত্বে ছিলেন কুখ্যাত চাঁদাবাজ ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাফুজ উদ্দিন বাবু।


স্থানীয় সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরে বাবু ও তার দলবল জসিম আজাদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছিল। জসিম আজাদ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ও তার স্ত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে, প্রাণনাশের হুমকি দেয়, এমনকি জমি ও বসতঘর দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় “জমি আমাদের, তুই এখানে থাকতে পারবি না” বলে চিৎকার করতে থাকে হামলাকারীরা।


জসিম আজাদ জানান, “বাবু নিজে এসে বলে, পাঁচ লাখ টাকা দিলে তোকে থাকতে দিব, না দিলে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে দেব। আমি অপারগতা জানালে ওরা আমার স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে, আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়।”


তিনি এ ঘটনায় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০২৩ সালের ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’-এ মামলা দায়ের করেছেন। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে রত্নাপালংয়ের মৃত মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে তাইমুন উদ্দিন (২৮), তাইফুর উদ্দিন (৩৬), মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মাহাফুজ উদ্দিন বাবু (৪২), হলদিয়া পালংয়ের মৃত মীর কাশেম চৌধুরীর ছেলে আলা উদ্দিন চৌধুরী (৫৮) এবং অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জন সন্ত্রাসীকে।


অভিযুক্ত বিএনপি নেতা বাবু নিজের দায় অস্বীকার করে বলেন, “আমি নিরপেক্ষ বিচারকের ভূমিকায় ছিলাম।” এটি একধরনের হাস্যকর, ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য ছাড়া কিছু নয়। একজন মানুষ বাড়ি দখল, চাঁদা দাবি এবং নারীর ওপর হামলার সময় “বিচারক” হয়ে উপস্থিত থাকে—এই কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। বরং বাবুর এই বক্তব্যই প্রমাণ করে, সে পুরো ঘটনার নেপথ্যের মাস্টারমাইন্ড।


স্থানীয়রা বলছে, উখিয়ায় বিএনপির একাংশ এখন চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা। কেউ মুখ খুললেই তার উপর নেমে আসে হামলা, মিথ্যা মামলা কিংবা হত্যার হুমকি। এই ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে, জসিম আজাদকে ঠাণ্ডা মাথায় টার্গেট করা হয়েছে, কারণ তিনি মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন।


এটি শুধুমাত্র একজন সাংবাদিকের উপর হামলা নয়, এটি মুক্ত সাংবাদিকতা, সত্য প্রকাশ এবং জনস্বার্থে কাজ করা সকল মানুষের উপর সশস্ত্র আগ্রাসন। যারা এই হামলায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার, গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে সাংবাদিক সমাজসহ সকল বিবেকবান নাগরিক।


তাদের প্রশ্ন, প্রশাসন কি নীরব দর্শক হয়ে থাকবে? নাকি এই ভূমিদস্যু-চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে প্রমাণ করবে যে রাষ্ট্র এখনো আইনের শাসনে বিশ্বাস করে?


আরও খবর



নওগাঁয় পুলিশে চাকুরি দেওয়ার নামে প্রতারনা, বিজিবি সদস্য ও ছাত্রদল নেতা আটক

প্রকাশিত:শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় অর্থের বিনিময়ে কনস্টেবল নিয়োগের নামে প্রতারনা করায় ফরিদ হোসেন (৩২) নামের এক বিজিবি সদস্য ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক পরিচয় দানকারী খায়রুল সরকার (৩০) নামের দু'জন প্রতারককে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। শনিবার পূর্বরাতে ডিবি পুলিশের একটি বিশেষ টিম নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানার কোলা ইউনিয়ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। আটককৃতরা দু'জন হলেন, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলা হুদ্রাকুড়ী গ্রামের মৃত সেকান্দার মন্ডলের ছেলে মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ও একই গ্রামের সিরাজুল সরকারের ছেলে খায়রুল সরকার।

জানা যায়, ফরিদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ ছাড়াও অন্যান্য সংস্থায় চাকরি প্রার্থীর নিকট থেকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অনেক টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন এবং খায়রুল ছিল তার সহযোগী। উভয়ে পরস্পর যোগসাজসে পুলিশ কনস্টেবলে চাকুরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে এক প্রার্থীর অভিভাবকের সাথে ৮ লক্ষ টাকায় চুক্তি করেন এবং তাদের কাছে থেকে ৩ টি ব্যাংকের স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক ও স্বাক্ষরিত ৩ টি ১শ টাকা মূল্যমানের নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মান্নান বলেন, আটককৃতদের কাছে থেকে এবারে চাকরি দেওয়ার কথা বলে স্বাক্ষরিত ব্যাংকের ৩টি ফাঁকা চেক ও ৩ টি ১শ টাকা মূল্যমানের নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সন্দেহে স্বাক্ষরিত আরও ৬ টি ফাঁকা ব্যাংক চেক ও ৯ টি ১শ টাকা মূল্যমানের নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার আরও বলেন, চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। টিআরসি নিয়োগ সংক্রান্ত কোন ধরণের প্রতারণার ফাঁদে পা না দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।


আরও খবর



নওগাঁয় প্রতিবেশীদের মারপিটে এক কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীদের মারপিটে জহিরুল ইসলাম ওরফে খোকন (৫৪) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত জহিরুল ইসলাম খোকনের ছেলে শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার বিকেলে মহাদেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মারপিটের ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামে। 

নিহত জহুরুল ইসলাম ওরফে খোকন খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামের মৃত জান বক্সের ছেলে। জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যারাতে জহিরুল ইসলাম ওরফে খোকনের ছেলে চার্জার ব্যাটারি চালিত অটো-বাইক যোগে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এসে নিজ বাড়ীর নিকটে অটো-বাইকটি রেখে চালক সহ মালপত্র নিয়ে তার বাড়িতে রাখতে যান। এ সময় প্রতিবেশী শাহীন শেখের ছেলে আপন শেখসহ বেশ কয়েকজন যুবক অটো-বাইক রাখাকে কেন্দ্রকরে বিরোধে লিপ্ত হোন এবং এক পর্যায়ে আপন শেখসহ প্রতিবেশী আরো বেশ কয়েকজন জহিরুল ইসলাম খোকন, তার ছেলে শরিফুল ইসলামকে লাঠিদিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে।


তাদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসার পর জহুরুল ইসলাম ওরফে খোকনকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বগুড়া নিয়ে যাওয়ার সময় পথে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। রাতে মৃতদেহ গ্রামে আনার পর থেকে মারপিটকারী পক্ষের লোকজন ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দফায় দফায় বসেন ও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে হত্যা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু নিহতের পরিবার ও স্বজনরা টাকা চাই না ন্যায় বিচার চাই দাবি জানালে ঘটনাটি নিয়ে এলাকার লোকজনের মাঝে আলোচনার চৃস্টি হয় এবং ঘটনাটি পুলিশ প্রশাসন অবগত করেন নিহতের স্বজনরা।   

এব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহীন রেজা বলেন, মারপিটে এক জনের মৃত্যু হয়েছে এমন খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক রিপোর্ট অন্তে মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় নিহতের ছেলে বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।


আরও খবর



মিয়ানমারে ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মৃতদেহ

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শতাব্দীর ভয়ংকর ভূমিকম্পে সাগাইং এখন মৃত্যুপুরী! মিয়ানমারে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ‘সাগাইং শহরটি যেন পারমাণবিক বোমায় বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। মৃতদেহের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো শহরে।

যেদিকে চোখ যায় ধ্বংসাবশেষ। আর তার নিচে চাপা পড়ে আছে লাশ। মরদেহ বা চাপা পড়ে থাকা জীবিতদের উদ্ধারে বিন্দুমাত্র কোনো প্রচেষ্টা নেই জান্তা সরকারের।

উলটো রাস্তায় রাস্তায় তল্লাশির মাধ্যমে আরও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। সিএনএনকে দেওয়া ধসে পড়া সাগাইং শহরের ভূমিকম্প-পরবর্তী অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) স্থানীয় বাসিন্দা কো জেয়ার বলেন, আমরা নিজেরাই যতটুকু পাড়ছি গৃহস্থালি সরঞ্জাম দিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। সবাই মিলে গণকবরে ব্যবস্থা করছি।

সাগাইংয়ের প্রায় ৮০% ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশপাশের গ্রামীণ শহরগুলো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। মান্দালয় থেকে ৪৫ মিনিট দূরত্বের এ শহরটিতে আসতে এখন সময় লাগে ৪৫ মিনিট।

গত ২৯ মার্চ ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাস্তায় বড় বড় ফাটল-গর্ত, ছোট ছোট ব্রিজ-কালভার্টগুলো সব ভেঙে গেছে। এখন পর্যন্ত তিন হাজার ১৪৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

আরো কত লাশ চাপা পড়ে আছে তার হিসাব নেই। যার বেঁচে আছেন তারাও আতঙ্কে দিন পার করছেন। ভূমিকম্পের ৭ দিন পরও থেকে থেকেই আফটারশক হচ্ছে।

ভয়ে স্থানীয়রা কেউ ঘরে ঘুমাচ্ছেন না। প্রায় পুরো শহরটির মানুষ এখন- রাস্তা, প্ল্যাটফর্ম, ফুটবল মাঠে ঘুমান। আমি নিজেও ঘরের ভেতরে ঘুমাই না। দরজায় ঘুমাই। যেন সহজেই দৌড়াতে পারি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরেকটি আফটারশক আঘাত হানার পর ফোনে সিএনএনকে এ কথা বলেন জেয়ার। আফটারশকগুলো অঞ্চলটিকে কাঁপিয়ে তুলছে।

আরেক স্বেচ্ছাসেবক কিয়াও মিন বলেন, সাগাইংয়ের যেদিকেই তাকান- ঘরবাড়ি, স্কুল, মন্দির, মসজিদ এবং দোকান ধ্বংসস্তূপে ভরা। আমরা উদ্ধারকারীরা খালি হাতে বা ন্যূনতম সরঞ্জাম দিয়ে জীবিতদের সন্ধানে ধ্বংসস্তূপ খনন করে চলছি। আমরা আমাদের কাছে থাকা সামান্য সরঞ্জাম দিয়ে যতটা সম্ভব মানুষকে বাঁচাতে পেরেছি।

আমরা অনেক মৃতদেহ উদ্ধার করেছি, যার মধ্যে শিশু এবং বয়স্করাও রয়েছেন... মাথা, হাত বা পা ছাড়া মৃতদেহ ... আমরা এত ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন আগে কখনো হইনি।

একই মন্তব্য জাতিসংঘের সাবেক বিশেষ প্রতিবেদক ইয়াংহি লির। তিনি বলেন, আমরা কেবল বেসামরিক লোকদের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে খনন করতে দেখছি। কেন মিন অং হ্লাইং তার সব সামরিক বাহিনীকে উদ্ধার ও ত্রাণের জন্য পাঠাননি?


আরও খবর



আশার আলো দেখছেন রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয়ে থাকা আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা থেকে আংশিক যাচাই-বাছাইয়ে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছে মিয়ানমার সরকার। আরও ৭০ হাজার রোহিঙ্গার চূড়ান্ত যাচাই-বাছাইয়ের অংশ হিসেবে ছবি ও নাম মিলিয়ে দেখার কাজ চলছে। ওই তালিকার বাকি সাড়ে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গার যাচাই-বাছাই কাজও দ্রুত সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মিয়ানমার।

এদিকে, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পের অধিকাংশ রোহিঙ্গা আশার আলো দেখছেন। দীর্ঘদিন পর নিজের জন্মভূমিতে ফেরার তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন তারা। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার খবরে ইতোমধ্যে অধিকাংশ ক্যাম্পে হুলুস্থুল কাণ্ড বয়ে যাচ্ছে, অনেকে আনন্দ উল্লাসে মেতেছে। তবে উদ্বিগ্ন ও ভয়ের কারণও দেখছেন অনেক রোহিঙ্গা। এছাড়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিজ দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে জটিল সমীকরণও দেখছেন বিশ্লেষকরা।

কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ফয়েজ উল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন পর একটা সুসংবাদ পেলাম। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে আরাকানে ফিরে যেতে। আরাকান আমাদের দেশ আমাদের চিরস্থায়ী বসবাস সেখানে হবে৷ রোহিঙ্গা ফয়েজ উল্লাহ আরও বলেন, আমাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।

রোহিঙ্গা বাসিন্দা আব্দুল মালেক জানান, জন্মভূমি আরাকানে ফিরতে পারবো খবরটি শুনে খুব ভালো লেগেছে। জানি না কবে সেটি কার্যকর হবে। তবে দাবি থাকবে আরাকানে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জীবন জীবিকার নিশ্চয়তা দিতে হবে। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে আজকেই আমরা (রোহিঙ্গা) মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই।

রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা সালাউদ্দিন বলেন, আরাকান আমাদের জন্মভূমি, সেখানে ফিরতে পারলে আমাদের সকলের জন্যে ভালো। কিন্তু এই প্রত্যাবাসন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে কি না! সেটিও ভাবতে হচ্ছে। বর্তমানে আরাকান আর্মি ও জান্তা বাহিনীর মধ্যে লড়াই তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে মিয়ানমারের অনেক রাজ্য আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের (রোহিঙ্গা) প্রত্যাবাসন সঠিক প্রক্রিয়ায় হবে কি না সেটি নিয়েও ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।

উখিয়া-টেকনাফের স্থানীয় নাগরিকেরা জানান, অনেক হয়েছে এবার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া উচিত। তাদের কারণে স্থানীয়রা অনেক হয়রানি, বিড়ম্বনা ও ঝুঁকির মধ্যে আছে। এসব রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের বনভূমি, কৃষিজমি, শ্রম বাজার নষ্ট হয়ে গেছে। বেড়ে গেছে খাদ্য পণ্যের দাম। রোহিঙ্গাদের বর্জ্যের কারণে শত শত একর কৃষিজমি অনাবাদি পড়ে আছে। রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা জন্মসনদ ও জাতীয়তা সনদ নিতে হিমশিম খাচ্ছেন। স্থানীয় এবং দেশকে ঝুঁকিমুক্ত করতে রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমার ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এত সহজ হবে না। কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এই প্রক্রিয়াটি আলো'র মুখ দেখতে পারে। অধিকাংশ রোহিঙ্গা আরাকানে ফিরতে ইচ্ছুক। তবে কিছু এনজিও সংস্থার 'প্রেসক্রিপশন' এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া থামিয়ে দিতে পারে। এতদিন রোহিঙ্গাদের ভুলভাল বুঝিয়ে কিছু এনজিও সংস্থা ফায়দা নিয়েছিল। কারণ রোহিঙ্গারা যতদিন বাংলাদেশে থাকবে, ততদিন তাদের (এনজিও) লাভ। দেশ এবং কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ রক্ষায় দ্রুত সময়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হোক। তারা যতদিন থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ ঝুঁকির মধ্যে থাকবে বলে মনে করেন এই জনপ্রতিনিধি।

বাংলাদেশের একজন সাবেক কূটনীতিক মুন্সী ফয়েজ আহমদ জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক অগ্রগতি। তবে, এখনই কোনো উপসংহারে পৌঁছানো উচিত হবে না বলে মনে করছেন তিনি। নিঃসন্দেহে এটি একটি পজিটিভ ডেভেলপমেন্ট। কিন্তু, এর মধ্য দিয়ে কনক্লুসিভ ডেভেলপমন্টে পৌঁছানো সহজ হবে না। কারণ রোহিঙ্গাদের আবাসভূমি ও রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি এখন ভিন্ন। সময়টা একটু জটিল। রাখাইন এখন প্রধানত আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। সেখানে জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে। ফলে, জান্তার তৎপরতার পাশাপাশি অন্যদের সম্পৃক্ততা জরুরি। যেহেতু এক লাখ আশি হাজার রোহিঙ্গার একটা আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মিললো, আজ হোক কাল হোক প্রত্যাবাসনের জন্য একটা প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কাজ করবে এই স্বীকৃতি। তবে, রাখাইনে জান্তা বাহিনী নিয়ন্ত্রণ ফিরে না পেলে, সেগুলো নিছকই দলিল হয়েও থেকে যেতে পারে। আর যদি জান্তা বাহিনী বা কেন্দ্রীয় সরকার কখনো নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়ও, স্থানীয় প্রশাসনে রাখাইনদের আধিপত্য থাকবেই। সেক্ষেত্রে, তাদের সঙ্গেও একটা বোঝাপড়া কিংবা আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন সাবেক এই কূটনীতিক।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব নয়। রাখাইনের পরিস্থিতি অত্যন্ত অস্থিতিশীল, যেখানে নিরাপত্তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সম্প্রতি জাতিসংঘের মহাসচিবও বলেছেন, রাখাইনে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই প্রত্যাবাসনের কথা বিবেচনা করা হবে। এখন সেখানে রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য বাড়িঘর নেই। দ্বিতীয়ত, যেসব এলাকায় রোহিঙ্গাদের বসতি ছিল, সেসব এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে? কখন, কীভাবে, কার ক্লিয়ারেন্সে তা সম্ভব হবে এসবই অনিশ্চিত।

সরকার প্রধানের দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সঙ্কট ও সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমানকে এ তথ্য জানান মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান শিউ। বাংলাদেশ ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ছয়টি ধাপে ওই আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারকে দিয়েছিল।

প্রধান উপদেষ্টার দফতর বলছে, মিয়ানমার প্রথমবারের মতো ‘প্রত্যাবাসনের যোগ্য’ রোহিঙ্গাদের এমন তালিকা দিল, যা দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা ঢলের শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট। এরপর কয়েক মাসের মধ্যে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে ওই এলাকার ক্যাম্পে বসবাস করছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।

বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর থেকে কক্সবাজার ও উখিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বাঁশ আর প্লাস্টিকের খুপড়ি ঘরে বসবাস শুরু করে রোহিঙ্গারা। উখিয়ার কুতুপালং পরিণত হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৭ সালের শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় মিয়ানমারের অং সান সু চি সরকার। ওই বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতেও সই করে।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা চলার এক পর্যায়ে ২০১৯ সালে দুই দফায় প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু মিয়ানমার সরকারের প্রতিশ্রুতিতে রোহিঙ্গারা আস্থা রাখতে না পারায় সেই চেষ্টা ভেস্তে যায়।

এরপর আসে কোভিড মহামারী; রোহিঙ্গাদের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগেও ঢিল পড়ে। বিশ্বজুড়ে সেই সংকটের মধ্যেই ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সু চির সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন সামরিক জান্তা জেনারেল মিন অং হ্লাইং। তাতে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আসে নতুন ধাক্কা।

এর মধ্যে চীনের মধ্যস্থতায় ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগের অংশ হিসেবে কয়েকবার রোহিঙ্গাদের ফেরানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের যুদ্ধের তীব্রতার মধ্যে প্রত্যাবাসনের আলোচনা কমে আসে। উল্টো রাখাইনে যুদ্ধের কারণে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হয়।

এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে আরও ৮০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের তথ্য দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

মিয়ানমারের জাতিগত সশস্ত্র সংঘাতের মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া সব এলাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি দখলে চলে যাওয়ার মধ্যে নেপিদোর সঙ্গে যোগাযোগেও ভাটা পড়ে ঢাকার।

এর মধ্যে গত ১৪ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কক্সবাজারে গিয়ে রোহিঙ্গাদের কষ্ট নিজের চোখে দেখেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে তিনি সেদিন ইফতারও করেন।

প্রত্যাবাসনই যে রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান, সে কথা তুলে ধরে জাতিসংঘ প্রধান সেদিন বলেন, “শেষমেষ মিয়ানমারেই সমাধান পেতে হবে আমাদের। এখানে থাকা সব শরণার্থীর স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের পরিবেশ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্ষান্ত হব না।


আরও খবর