Logo
শিরোনাম

রোহিঙ্গারা নিরাপত্তার জন্য হুমকি

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

রায়হান আহমেদ তপাদার : রোহিঙ্গা ইস্যু একটি কঠিন ও জটিল সমস্যা। দিন যত গড়াচ্ছে ততই যেন এর সমাধানের পথ দূরে সরে যাচ্ছে। সম্প্রতি উখিয়ার লাম্বাশিয়া আশ্রয় শিবিরেও প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গার পৃথক সমাবেশ হয়েছে। তা ছাড়া উখিয়া ও টেকনাফের চৌত্রিশটি আশ্রয় শিবিরের সব কটিতে ছোট ছোট ত্রিশটির বেশি সমাবেশ করে জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়ার দাবি জানায় রোহিঙ্গারা। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে তিন দফা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু রোহিঙ্গাদের অনীহার কারণে প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি। তখন রোহিঙ্গাদের দাবি ছিল, মিয়ানমার সরকার কর্তৃক রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। লম্বাশিয়া আশ্রয় শিবিরের সমাবেশের স্লোগান ছিল বাড়ি চলো এবং তারা বলছে আমরা এই দেশে আশ্রিত, এটি আমাদের চিরস্থায়ী ঠিকানা নয়। দিন যত বাড়ছে, সমস্যা তত প্রকট হচ্ছে। কিন্তু আমরা বাংলাদেশে থাকতে চাই না। আমরা নিজের অধিকার নিয়ে দ্রুত মিয়ানমারে ফেরত যেতে চাই। তাই বাড়ি চলো আন্দোলন।

সফল নিদর্শন ও আলামত থাকার পরও ২০১৭ সালের আগে যেমন কেউ বুঝতে পারেনি আজকের অবস্থা, তেমনি দ্রুত একটা সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গারা ফেরত না গেলে আগামী পাঁচ-সাত বছরের মাথায় এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য কতখানি হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। মিয়ানমারের নাগরিক, ১১-১২ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু চার বছরের বেশি সময় ধরে কক্সবাজারে অবস্থান করছে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সবাই একটু সরব হয়েছে বলেই চার বছর ধরে বলছি। আসলে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিয়ানমারের শাসকগোষ্ঠীর সংঘাত-সংঘর্ষ কয়েক শ বছরের পুরোনো, আর বাংলাদেশ এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে ১৯৭৮ সাল থেকে, তা-ও প্রায় ৪৩ বছর হয়ে গেল।

২০১৭ সালের অনেক আগে থেকেই প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে এসে অবৈধভাবে কক্সবাজারে অবস্থান করছিল। ১৯৭৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো সরকারই বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়নি। আজ বাংলাদেশ একটি দ্রুত উন্নয়নশীল দেশ, যা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের জীবন বাঁচিয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের শরণার্থীরা এক বছরের মধ্যে দেশে ফিরতে পেরেছিল, কিন্তু রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি তার চেয়ে ভিন্ন। তবু তারা সুযোগ পেলেই বারবার বলে যে, তারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই চায় না। তবে সহজাতভাবেই তাদের মধ্যে ভয় কাজ করে যে তাদের অধিকার, প্রয়োজনীয় পরিষেবা, সুষ্ঠু নিবন্ধন ও ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা না নিয়েই যদি তারা ফেরত যায়, তাহলে তাদের জীবন আগের মতোই ঝুঁকিপূর্ণ হবে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে রেকর্ডসংখ্যক ১০ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত অবস্থায় আছে। একাধিক শরণার্থী সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলা করার রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে বেশির ভাগ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি ও পরিবারের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা আদতে খুব কম।

এই শরণার্থীদের মধ্যে প্রায় ১১ লাখ বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রিত অবস্থায় আছে। তাদের বেশির ভাগই প্রায় পাঁচ বছর ধরে এখানে বসবাস করছে। তাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে কিছু মৌলিক বিষয় নিশ্চিত করতে হবে, যেমন নিরাপত্তা, প্রয়োজনীয় পরিষেবা, আবাসন, জীবিকার সুযোগসহ অন্যান্য মৌলিক মানবাধিকার, যেমন চলাচলের স্বাধীনতা ও নাগরিকত্ব পুনরুদ্ধার। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর অন্য মানবিক অংশীদারদের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যসহ মিয়ানমারের অন্যান্য স্থানে উপস্থিত রয়েছে। সেসব জায়গায় তারা কাজ করছেন। তবে কিছু বাস্তবতা মেনে নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার কারণে রাখাইন রাজ্যসহ মিয়ানমারের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল রয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে এখনো জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।

সরকার, মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থাগুলো এবং স্থানীয় সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ সহায়তা বজায় রাখতে হবে; তবে শরণার্থীদের শিক্ষা, তাদের দক্ষতার বিকাশ ও জীবিকার সুযোগ নিয়েও কাজ করতে হবে। অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে, টেকসই প্রত্যাবাসনের পর এগুলো তাদের নিজ সমাজে পুনর্বাসনে দীর্ঘমেয়াদি সাহায্য করবে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারের পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে তারা যে দক্ষতা অর্জন করবে, সেটি তারা কাজে লাগাতে পারবে মিয়ানমারে। শরণার্থী শিবিরে তাদের নিরাপত্তা ও মঙ্গলের ক্ষেত্রেও এটি দরকারি; কারণ এর মাধ্যমেই তাদের একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশা বাঁচিয়ে রেখে অর্থবহ জীবন দেওয়া সম্ভব। ভাসানচরে বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বাধীন প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে তারা পাচ্ছে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও জীবিকার সুযোগ, যা তাদের করে তুলছে আরো যোগ্য ও প্রত্যয়ী।

ইউএনএইচসিআর ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার সহায়তায় স্থানীয় এনজিওগুলো দক্ষতা বিকাশ ও জীবিকা, যেমন কৃষি, মাছ ধরা বা টেইলারিংয়ের সুযোগ দিচ্ছে। ভাসানচরে জীবিকা-সংশ্লিষ্ট কাজগুলো কক্সবাজারের শিবিরগুলোয় সমানভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে ভৌগোলিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে। শরণার্থী শিবিরগুলোয় প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো অনেক দূর এগিয়েছে এবং একটি পরিবেশবান্ধব কর্মপরিকল্পনা ক্যাম্পজুড়ে প্রকৃতিকে পুনরুদ্ধার করেছে। তবে এটি বজায় রাখার জন্য আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, যেন জ্বালানি কাঠের বিকল্প শক্তির উৎসগুলো, বিশেষ করে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস, শরণার্থী পরিবার ও তাদের আশপাশের স্থানীয় পরিবারগুলোকে নিয়মিত সরবরাহ করা যায়। উপরন্তু বন্যা, ভূমিধস ও অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্যোগের প্রস্তুতি ও মোকাবিলার জন্য আমাদের অবশ্যই উভয় জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

বিশ্বে একাধিক মানবিক সংকটের—বিশেষ করে আফগানিস্তান ও ইউক্রেনের কারণে একটি গুরুতর ঝুঁকি রয়েছে যে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য রাজনৈতিক ও আর্থিক সহায়তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে। আমাদের অবশ্যই রোহিঙ্গাদের চাহিদা তুলে ধরার মাধ্যমে বৈশ্বিক মনোযোগ ও সমর্থন বজায় রাখার সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আমাদের অবশ্যই পৃথিবীকে দেখাতে হবে যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আমাদের কাজ সুসমন্বিত, কার্যকর ও প্রয়োজনীয়। আমাদের অবশ্যই স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, দাতা সংস্থা ও সুশীলসমাজের নেতৃত্বকে তুলে ধরতে হবে। তারাই আমাদের সব কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় এবং তাদের অবদান অনস্বীকার্য। আমাদের অবশ্যই দাতা তহবিলে বৈচিত্র্য আনতে হবে এবং দাতা, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি খাতের সঙ্গে অংশীদারত্ব জোরদার করতে হবে।

বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতি এখন আগের চেয়ে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সংহতি ও অব্যাহত সমর্থনের জন্য আবেদন জানাই। আর আমি এখনো আশা করি, মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবাসনে এবং সেখানে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ পেতে আমাদের সবার সম্মিলিত পদক্ষেপ অব্যাহত থাকা খুবই জরুরি। রোহিঙ্গা সংকটকে ঘিরে বাংলাদেশের ওপর অভিঘাতের স্বরূপ বহুমুখী। ক্যাম্পগুলো ঘিরে মানব পাচারসহ মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের বিস্তার ঘটছে ভয়াবহভাবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জঙ্গি সংগঠনগুলোর ধর্মীয় উন্মাদনায় উদ্বুদ্ধ করে রোহিঙ্গা যুবকদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টা সম্পর্কে সবাই জানে। ক্যাম্পের ভেতরে স্বার্থান্বেষী এনজিও, ধর্মান্ধ গোষ্ঠী, মাদক, মানব ও অস্ত্রপাচার গোষ্ঠী এরই মধ্যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জঙ্গি, সন্ত্রাস, উগ্রবাদ নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকলে শুধু বাংলাদেশ নয়, চীন ও ভারত ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে রাখাইন অঞ্চলে যেসব অবকাঠামো তৈরি করেছে তার নিরাপত্তা সব সময় হুমকির মধ্যে থাকবে। যেকোনো বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের জন্য জরুরি, সময়ক্ষেপণ ঠিক হবে না। মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়ভাবে সরকার এবং তার সঙ্গে জোরালোভাবে ট্র্যাক টু ও ট্র্যাক থ্রি কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে এবং আমাদের অবস্থান সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে এই মর্মে যে রোহিঙ্গা ও মিয়ানমার সরকারের মধ্যে বাংলাদেশ কারো পক্ষে বা বিপক্ষে নয়।

শুধু ২০১৭ থেকে নয়, ১৯৭৮ সাল থেকে সংঘটিত ঘটনাবলিকে ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে উভয় দেশকে পরবর্তী কোর্স অব অ্যাকশন নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, সমস্যাটি আন্তর্জাতিক, কিন্তু ভিকটিম বাংলাদেশ। সমস্যা সমাধানে সফল হতে হলে আত্মপর্যালোচনা ও আত্মসমালোচনা দরকার। আমাদের বোঝা উচিত ছিল এবং এখনো বুঝতে হবে মিয়ানমার রাষ্ট্র চালায় সে দেশের সেনাবাহিনী। তাদের কাছে রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তা ও উন্নতির চেয়ে ক্ষমতায় থাকা জরুরি। ১১ লাখ নিপীড়িত, নির্যাতিত এবং চৌদ্দ পুরুষের ভিটামাটি থেকে উৎখাত হওয়া ক্ষুব্ধ মানুষ, যার মধ্যে উঠতি বয়সি ও যুবক শ্রেণি হবে এক-চতুর্থাংশ, অর্থাৎ প্রায় আড়াই-তিন লাখ, বিপর্যয়ের ক্ষুব্ধতায় তারা প্রত্যেকেই হয়ে উঠতে পারে একেকটি স্বতন্ত্র বোমা। হতাশ ও সর্বহারা মানুষের পক্ষে অনেক কিছু করে ফেলা সম্ভব। যত যা-ই হোক, বাংলাদেশ তার নিজের স্বার্থেই কখনো জঙ্গি, সন্ত্রাসী বা অন্য দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবে না। এ ব্যাপারে সরকারের জিরো টলার‌্যান্সনীতি রয়েছে। কিন্তু এত বিশালসংখ্যক উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠী, যেখানে দেশ-বিদেশের অসংখ্য এনজিও এবং বহু পক্ষ সংগত কারণেই জড়িত, সেখানে বাংলাদেশ সরকারের শতভাগ সদিচ্ছা থাকলেও সব অপতৎপরতা ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। সম্ভব নয়। সুতরাং মিয়ানমার সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় না হলে সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া কঠিন। দিন যত যাবে বাংলাদেশের নিরাপত্তার ঝুঁকি ততই বাড়বে।

লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট [email protected]


আরও খবর



রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ দেশ। ঘরে-বাইরে কোথাও নেই স্বস্তি। বৃষ্টি এসে তাপ কমাবে মানুষ সেই আশায় থাকলেও গত এক মাস ধরে বৃষ্টির কোনো দেখা নেই। মাঝেমধ্যে দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হলেও তা গরম কমাতে খুব একটা সহায়ক ছিল না। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে অধিক আর্দ্রতায় শুকাচ্ছে না ঘাম, কাপড় ভিজে লেপ্টে যাচ্ছে শরীরে, আর দ্বিগুণ হচ্ছে অস্বস্তি। এই যখন পরিস্থিতি, এর মধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহে। বাসা-বাড়িতে পানি না পেয়ে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা।

গত কয়েক দিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বাড্ডা, নতুন বাজার, রামপুরা, মেরুল, ডিআইটি, মালিবাগ, বাসাবো, মিরপুর, পুরান ঢাকা, মুগদা, মান্ডা, লালবাগ, রায়েরবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা পানি পাচ্ছেন না ঠিকঠাক মতো।

হঠাৎ রাজধানীর এতগুলো এলাকায় পানির এ সংকটের কারণ জানতে গেলে ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হয়, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে কয়েক দিনের অসহনীয় গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে। মূলত যেখানকার ডিপ টিউবওয়েলে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, সেসব এলাকায় কিছুটা পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে কয়েকদিনের অসহনীয় গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে। সেসব জায়গায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। আবার কিছু এলাকায় ঢাকা ওয়াসার গভীর নলকূপ কম থাকায় সেখানেও পানির সংকট তৈরি হয়েছে।

এদিকে লাইনে পানি না পেয়ে যারা টাকার বিনিময়ে ওয়াসার গাড়ির পানি অর্ডার করছেন তারাও ঠিকমতো পানি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, ঢাকা ওয়াসার আওতায় ১০টি মডস জোনে পানির চাহিদা জানানো হলে বিশেষ গাড়ির মাধ্যমে বাসা-বাড়িতে পানি পৌঁছে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে প্রতি ছয় হাজার লিটারের একটি বড় গাড়ির জন্য নেওয়া হয় ৬০০ টাকা। কিন্তু চাহিদা অনেক বেশি থাকায় সিরিয়াল দিয়ে, ফোন করেও এসব পানির গাড়ি পাচ্ছেন না পানি সংকটে থাকা বাসিন্দারা। অভিযোগ এসেছে, ৬০০ টাকার গাড়ির জন্য হাজার-বারোশ টাকা দিয়েও সিরিয়াল পাচ্ছেন না তারা।

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ভাড়া বাসায় থাকেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাফায়েত ইসলাম। গত ৪-৫ দিন ধরে বাসায় পানি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তার। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, গত ৪-৫ দিন ধরে ওয়াসার লাইনে পানি পাই না আমরা। এত গরমে মানুষের জীবন যায় যায় অবস্থা, এর মধ্যে বাসায় পানি না থাকা যে কতটা কষ্টের তা বলে বোঝানো সম্ভব না। এই ৪-৫ দিন গোসল নেই ঠিকমতো, বাথরুমে যাওয়া যায় না। আমাদের সমস্যা নিরসনে পাশে পাওয়া যাচ্ছে না ওয়াসাকে।

যাবির হাওলাদার নামে একই এলাকার আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা ওয়াসার মডস জোনে বারবার যোগাযোগ করছি। বারবার অর্ডার দিয়েও আমরা পানি পাচ্ছি না। পানির গাড়ি পেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। ৬০০ টাকার পানির গাড়ি দ্বিগুণ টাকা দিয়েও অনেক সময় পাওয়া যাচ্ছে না।

একই অভিযোগ পাওয়া গেছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়েও। এ ব্যাপারে মডস জোনের আওতায় বাড্ডার বৌবাজার এলাকার ওয়াসার পাম্পের অপারেটর মনিরুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে পানি সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা মেশিন চালিয়ে ঠিকমতো পানি পাচ্ছি না। পানির স্তর নিচে নেমে গেছে কিছু কিছু এলাকায়। গরমে পানির চাহিদাও অনেকগুণ বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে পানি সরবরাহ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা ওয়াসার এক কর্মকর্তা বলেন, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে; মূলত সেই সব এলাকাতেই কিছুটা পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

ঢাকা ওয়াসা বলছে, প্রতিদিন প্রায় ২৯০ কোটি লিটার পানির উৎপাদনের সক্ষমতা আছে তাদের। গরমকাল এলে রাজধানীতে পানির চাহিদা থাকে ২৬০ কোটি লিটার। সে হিসাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি থাকার কথা না। তবে, ভূগর্ভস্থ পানির ওপর অতি নির্ভরশীলতাই পানির বর্তমান সংকটের কারণ।

বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার পানি শোধনাগার রয়েছে পাঁচটি। তবে সংস্থাটি পানি পাচ্ছে চারটি শোধনাগার থেকে। উপরিতলের পানির উৎপাদন ৭০ শতাংশে উন্নীত করার কথা থাকলেও সেই লক্ষ্য এখনো পূরণ করতে পারেনি ঢাকা ওয়াসা। বর্তমানে উপরিতলের পানি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। আর বাকি ৬৫ শতাংশ ওয়াসার সরবরাহ করা পানি আসছে ভূগর্ভ থেকে।

প্রসঙ্গত, শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা মহানগরীর পানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসার সব মডস জোনের কার্যক্রম তদারকির জন্য ১০টি মনিটরিং টিম গঠন করেছে ঢাকা ওয়াসা। রাজধানীতে পানির সমস্যা সমাধানে এসব টিম আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত পানি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম মনিটরিং করবে। গঠন করা এই ১০টি মনিটরিং টিম জোনভিত্তিক পাম্পগুলো নিয়মিত ও আকস্মিক পরিদর্শন করবে। পাম্প চালকরা যথানিয়মে দায়িত্ব পালন করছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হবে টিমগুলো। পরিদর্শনকালে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করবে ঢাকা ওয়াসার এ কমিটি।

 


আরও খবর



গাজীপুরের শ্রীপুরে আদালতের নির্দেশণা উপেক্ষা করে অধ্যক্ষ নিয়োগের পাঁয়তারা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image
সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক ;

গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলার একমাত্র নারী শিক্ষার বিদ্যাপীঠ ঐতিহ্যবাহী মিজানুর রহমান খান ডিগ্রী মহিলা কলেজে আদালতের নির্দেশণা উপেক্ষা করে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির হোতা এক শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগের পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত বিষয় নেই এমন শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করার বিধানকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শণ করা হবে যদি এ ধরনের শিক্ষককে সত্যিই নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রাপ্ত অভিযোগ ও কলেজটির সাবেক অধ্যক্ষ লিখিত রেজুলেশণ খাতায় লিপিবদ্ধ তথ্যে জানা যায়, উক্ত কলেজের শিক্ষক মাহফুজুল হক ৩১/৯/১১ ইং তারিখেের পূর্বে তার মালিকানাধীন প্রিপেটরী স্কুলের সাবেক ছাত্রিক শ্লীলতাহানী করেন যা দেশের প্রথমশ্রেনীর জাতিয় দৈনিকসমুহে গুরুত্বসহকারে প্রকাশিত হয়।
উক্ত সংবাদসমুহ এবং সেই ছাত্রির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় এবং সেসময়কার পরিচালনা পর্ষদ উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত রেজুলেশণ গ্রহন করেন।তিনি কলেজের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ছাত্রিদের যৌন হয়রানি করেন বলেও কলেজটির তৎকালিন পরিচালনা পর্ষদের কাছে প্রতিয়মান হয়।
এ ধরনের নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত বিতর্কিত উক্ত শিক্ষককে আদালতের রায় ও নির্দেশণা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভঙ্গ করে বিশেষ উদ্দেশে আগামিকাল ১৬ এপ্রিল গোপনে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে ব্যাপক গুঞ্জণ ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র শ্রীপুরে।
এ ব্যাপারে কলেজটির শিক্ষক, পরিচালনা পর্ষদ এবং শ্রীপুরের সচেতন মহল আগামিকাল কি ঘটে এবং সকল আইন বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে সত্যিই তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ  হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় কি না তা জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছে।
অনেকেই বলেছেন, আদাৱতের রায় ও নির্দেশণা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ের এ সংক্রান্ত আইন উপেক্ষা করে যদি সত্যিই কোন নারী কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কোন শিক্ষককে গায়ের জোরে নিয়োগ দেওয়া হয় তবে তা আবারও আদালত পর্যন্ত গড়াবে, এতে সন্দেহের অবকাশ নেই।

আরও খবর



এবার ২০ লাখ হাজির সমাগম হতে পারে মক্কায়

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

এ বছর জুনের মাঝামাঝি সময়ে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে মের শেষ সময় থেকেই পবিত্র নগরী মক্কায় ভিড় জমানো শুরু করবেন হজযাত্রীরা।

আর এবার মক্কায় রেকর্ড সংখ্যক ২০ লাখ হাজির সমাগম হতে পারেএমন ধারণা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে সৌদি আরব।

সুন্দর ও আরামদায়কভাবে যেন হাজিরা হজ সম্পন্ন করতে পারেন, সে বিষয়টি মাথায় রেখে সৌদির সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ করছে।

হজসংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলো ধারণা করছে, এবার পবিত্র রমজানে রেকর্ড সংখ্যক ৩ কোটি মানুষ ওমরাহ পালন করার পর হজেও মুসল্লির ঢল নামবে।


আরও খবর



মে মাসের শুরুতেই টানা বৃষ্টি নামবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশজুড়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। একাধিকবার জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। গা ঝলসানো এমন গরম থেকে কবে মুক্তি মিলবে তা জানার আগ্রহ মানুষের। গরমের এই তীব্রতার মধ্যেই আজ বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আগামী মাসের শুরুতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলেও তার আগে আরও কয়েকদিন দাবদাহ ভোগান্তি পোহাতে হবে মানুষকে।

শুক্রবার আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, চলমান তাপদাহ এপ্রিলের বাকি দিনগুলোতেও থাকবে। ঢাকাসহ চলমান এলাকাগুলোতে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। তবে মে মাসের প্রথম দিন থেকেই দেশের আকাশে মেঘের উপস্থিত বাড়বে। ২ মে থেকে পরবর্তী কয়েকদিন সারাদেশেই বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হবে। এতে গরমের তীব্রতা অনেকটাই কমে আসবে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, ২ মের পর থেকে সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় কালবৈশাখী হতে পারে। টানা ২ থেকে ৩ দিন বা তার বেশিও বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির ফলে সারাদেশের তাপমাত্রা কমে আসবে।

চলমান তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙার তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে দেশের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত চলমান তাপপ্রবাহ একটানা সবথেকে বেশিদিন স্থায়ী রয়েছে। গতবছর এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত ২৩ দিন তাপপ্রবাহ বজায় ছিল যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেয়।

তিনি জানান, চলতি বছর গতকাল পর্যন্ত ২৩ দিন তাপপ্রবাহ বজায় ছিল। আজ তা রেকর্ড ভেঙেছে এবং আরও কিছুদিন তা বজায় থাকবে। তাছাড়া এবারের তাপমাত্রা বলতে গেলে সারাদেশেই বিরাজ করছে, যা এর আগে দেখা যায়নি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবহাওয়া অফিসের সবশেষ ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঢাকা, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।


আরও খবর



সদরঘাটে লঞ্চে ওঠা নামার দড়ি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীর সদরঘাটে এক লঞ্চের সাথে অন্য লঞ্চের ধাক্কায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ২ জনকে সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সযোগে মিটফোর্ড হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া হয়। মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ২টা ৫৪ মিনিটে সদরঘাট ১১ নম্বর পল্টুনের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে একজন নারী, ৩ জন পুরুষ এবং এক শিশু রয়েছে। নিহতরা হলেন, নবিউর (১৯), বেল্লাল (২৫), মাইশা (১৩), মুক্তা (২৬) এবং রিপন হাওলাদার (৩৮)।

 

জানা গেছে, ঘাটে ভেড়ার সময় দুই লঞ্চের ধাক্কায় ঘটে এই দুর্ঘটনা।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামে দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে গেলে পাঁচ জন যাত্রী লঞ্চে উঠার সময় গুরুতর আহত হন।

এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিন করা হবে বলেও জানা গেছে। ইতোমধ্যে এমভি ফারহানের দুই মাস্টারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আটক করেছে বিআইডব্লিউটিএ।  


আরও খবর