Logo
শিরোনাম

রোজা রাখার বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রোজা রাখা বা না খেয়ে থাকাকে মেডিক্যাল সাইন্সের ভাষায় অটোফেজি বলে। ২০১৬ সালে জাপানের ডাক্তার ওশিনরি ওসুমি এটি আবিষ্কার করে নোবেল পুরস্কার জয় করেন এবং এরপরে থেকে বিশ্বের বহু মানুষ অটোফেজি করতে শুরু করেন।

Autophagy কি?

আমাদের শরীরের কোষগুলো বাইরে থেকে কোনো খাবার না পেয়ে নিজেই নিজের অসুস্থ কোষগুলো খেতে শুরু করে, মেডিক্যাল সাইন্সের ভাষায় একে অটোফেজি বলা হয়।

একটু সহজভাবে বলি- আমাদের ঘরে যেমন ডাস্টবিন থাকে, আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের মাঝেও একটি করে ডাস্টবিন আছে। যেখানে শরীরের অপ্রয়োজনীয় বর্জ জমা হয়। আমাদের খাদ্যাভাস এবং লাইফ স্টাইলের জন্য শরীরের কোষ থেকে ওই বর্জগুলো সাধারণত পরিস্কার করা হয় না। ফলে শরীরে বিভিন্ন প্রকারের রোগের সৃষ্টি হয়। ক্যান্সার বা ডায়াবেটিসের মতন অনেক বড় বড় রোগের

শুরু হয় ওই কোষের ডাস্টবিন থেকে।

আমরা যখন রোজা রাখি বা খালি পেটে থাকি, তখন শরীরের কোষগুলো পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে ডাস্টবিনে মুখ দেয়। অর্থাৎ বর্জগুলো খেয়ে ফেলে। এতে আমাদের শরীর অনেক জটিল কঠিন রোগ থেকে রেহাই পায়। মেডিক্যাল সাইন্সে এই পদ্ধতিকে বলা হয় অটোফেজি।

জাপানের বিজ্ঞানী ওশিনরি ওসুমি আবিষ্কার করেন- একজন মানুষ বছরে অন্তত একমাস রোজা রাখলে বা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত না খেয়ে থাকলে নিম্নলিখিত উপকারগুলো হয়-

১| দেহের সেল বা কোষ পরিস্কার হয়।

২| ক্যান্সার সেল ধ্বংস হয়।

৩| পাকস্থলীর প্রদাহ সেরে যায়।

৪| ব্রেইনের কার্যকরীতা বাড়ে।

৫| শরীর নিজেই নিজেকে মেরামত করে, (Autophazy)

৬| ডায়াবেটিস ভালো হয়।

৭| বার্ধক্য দেরিতে আসে।

৮| স্থূলতা দূর হয়।

৯| দীর্ঘ জীবন লাভ করা যায়।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে রমজান মাসে সবগুলো রোজা রাখার তৌফিক দান করুক, আমিন।


আরও খবর

হজ অ‍্যাপ ‘লাব্বাইক’ উদ্বোধন

সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫




বকশীগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহতের লাশ উত্তোলনে বাধাঁ

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহত রিপন মিয়ার লাশ উত্তোলনে বাধাঁ দিয়েছেন মামলার বাদী আকতার হোসেন। তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে গত মঙ্গলবার লাশ উত্তোলন করতে গেলে বাধাঁ প্রদান করেন বাদী ও তার লোকজন। ফলে বাধাঁর মুখে কবর থেকে লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম। এই ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। লাশকে পুজিঁ করে লাখ লাখ টাকা চাদাঁবাজির অভিযোগ উঠেছে মামলার বাদী আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে। গত ৫ আগস্ট ঢাকা উত্তরায় নিহত হয় রিপন। ২৬ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই খাইরুল ইসলাম বলেন,ময়না তদন্ত ছাড়াই নিহত রিপনের লাশ দাফন করা হয়েছে। তাই মামলাটি অধিক তদন্তের স্বার্থে লাশ উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর বিজ্ঞ আদালত রিপনের লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করতে এসে তার পরিবারের বাধাঁর মুখে পড়ি। ফলে লাশ উত্তালন করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলনের জন্য গেলে নিহত রিপনের পরিবারের লোকজন বাধাঁ প্রদান করেন। তাই লাশ উত্তোলন না করেই ফেরত আসি। এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতের সিদ্ধান্তে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

মামলার বাদী আকতার হোসেন বলেন,তার ভাই রিপন পুলিশের গুলিতে মারা গেছে এমন সকল প্রমানাদি তার কাছে রয়েছে। তাছাড়া লাশ উত্তোলনের বিষয়ে আগে থেকেই আমাকে অবহিত করা হয়নি,তাই বাধাঁ দেওয়া হয়েছে। আইনগত ভাবেই সকল কিছু মোকাবেল করা হবে।

জানা যায়, বকশীগঞ্জ পৌর শহরের চর কাউরিয়া সীমার পাড় এলাকার বাসিন্দা মৃত  রেজাউল করিমের ছেলে রিপন মিয়া ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানীতে কাজ করতো। প্রথম স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন তিনি। আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট বিকালে ঢাকার উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে গুরুতর আহতবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চীন-মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মারা যাওয়ার পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই ৬ আগস্ট বকশীগঞ্জ উপজেলার পানাতিয়া পাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। এই ঘটনার প্রায় ২০ দিন পর রিপন মিয়া পুুলিশের গুলিতে মারা গেছে দাবি করে ২৬ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা করেন নিহত রিপনের বড় ভাই আকতার হোসেন। মামলায় ক্ষমতাচুত্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ নামীয় ১৮জন ও অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামী করা হয়। নামীয় ১৮ জনের মধ্যে বকশীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম তালুকদার জুমান ও সমাজসেবক হাজী আমানুল্লাহসহ বকশীগঞ্জের ১৩ জনকে মামলায় আসামী করা হয়। মামলা দায়েরের পর আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক চাদাঁবাজির অভিযোগ উঠে। বিভিন্ন জনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন,মামলায় আসামী নাম অর্ন্তভুক্ত করণ এবং মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। গত ১৮ জানুয়ারি নিহত রিপনের স্ত্রী খাদিজা বেগম সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন।

খাদিজা বেগম বলেন,তিনি মামলা করতে চাইলে আকতার তাকে বাধাঁ দেয়। পরবর্তীতে তাকে কিছু না জানিয়ে চাঁদাবাজি করার জন্যই মামলার বাদী হয় আকতার হোসেন। অন্যায় ভাবে একটি পক্ষের কাছে সুবিধা নিয়ে বকশীগঞ্জে ১৩ জন নিরীহ মানুষকে মামলায় আসামী করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তাছাড়া লাশকে পুজিঁ করে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য ও চাদাঁবাজি করেছে সে। ৫ আগস্টের আগে আকতার পরিবার পরিজন নিয়ে থাকতো একটি কুড়েঘরে। মানুষের কাছে হাত পেতে চলতো তার সংসার। কয়েক মাসের ব্যবধানে আকতার হোসেন লাখপতি বনে গেছেন। পাকা বিল্ডিং করেছেন। দামী দামী আসবাবপত্র ও নতুন মোটরসাইকেল কিনেছে সে। নিরপরাধ কেউ যাতে হয়রানি না হয় সেজন্য আইন উপদেষ্ঠার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। তবে তার সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আকতার হোসেন।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান,গুলিতে নয়,রিপন মারা গেছে ট্রাক চাপায়। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে একটি মহলের ইন্দনে মামলাটি করা হয়েছে। লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করলেই প্রকৃত সত্য বেড়িয়ে আসবে। লাশ উত্তোলনে বাধাঁ দেওয়ায় বিষয়টি আরো সন্দেহের সৃষ্টি করেছে বলে দাবি তাদের। তাই দ্রুত লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছেন তারা।


আরও খবর



ঢাকায় ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি, কিউলেক্সের যন্ত্রণা

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শুকনো মৌসুমেও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ি, স্থাপনায় পাওয়া যাচ্ছে এইডিস মশার লার্ভা, মিলছে পূর্ণ বয়স্ক মশাও।এ বছর প্রথম তিন মাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা মাথায় রেখে বর্ষার আগেই এইডিস মশার এই উপস্থিতিকে আশঙ্কাজনক বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

এজন্য মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

ঢাকার মিরপুরের লালকুঠি এলাকায় ২৪ মার্চ গিয়ে দেখা যায়, মশার ওষুধ ছিটাতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছিল তিনজনের একটি দল। তাদের দুজন বিভিন্ন জায়গায় মশার লার্ভা খুঁজছিলেন, একজন ছিটাচ্ছিলেন ওষুধ।

তাদের মধ্যে যে দুজন লার্ভা খুঁজছিলেন তারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণাগারের কর্মী। অন্যজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা বিভাগের মশক নিয়ন্ত্রণকর্মী।

মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকার এই নগর সংস্থাটি নিয়মিত বিভিন্ন এলাকা পর্যবেক্ষণে রেখেছে, এজন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি আছে তাদের।

দলটির সঙ্গে লালকুঠির প্রথম কলোনির ১৫টি বাসায় গিয়ে ফেলে রাখা কলসি, পানি জমিয়ে রাখার ড্রাম এবং পানির মিটারে এইডিস মশার লার্ভা দেখা গেছে। ওইসব বাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেছে, বেশিরভাগ পাত্রেই লার্ভা জমেছে তাদের অসচেতনতায়।

কলোনির একটি টিনশেড বাসায় থাকা বটগাছের নিচে একটি কলসি রাখা। দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় ওই কলসিতে পানি জমে আছে। আর তাতে জমে জন্মেছে এইডিস মশার লার্ভা।

সে বাসার একজন ভাড়াটিয়া বলেন, বাড়িওয়ালা বটগাছের নিচে ওই কলসি রেখেছেন। পরিষ্কার করা হয়নি হয়তো, এ কারণে মশা ডিম পাড়ছে হয়তো।

ওই কলোনির আরেকটি বাড়িতে পানি রাখার দুইটি ড্রামে এইডিস মশার লার্ভা পান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে আসা এই কর্মীরা। ওই বাড়ির মালিকের মেয়ে ডায়না আক্তার বলছিলেন, এলাকার লাইনে ঠিকমত পানি আসে না। এজন্য পানি জমিয়ে রাখতে হয়।

রাত ৩টা-৪টার দিকে পানি আাসে। প্রতিদিন বালতিতে পানি ভরি, থালাবাসন ধোয়ার কাজে তা ব্যবহার করি। পানি তো ঢাকনা দিয়ে রাখি। এরপরও মশা সেখানে ডিম পাড়ল কীভাবে বুঝতে পারছি না। ঢাকনা দিয়ে রাখলেও লার্ভা পাওয়া যায়

প্রথম কলোনির ২২৭/ডি নম্বর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির উঠানে রাখা একটি বড় বালতিতে পানি জমানো। পানি জমে আছে আরেকটি ছোট বালতিতেও। পরীক্ষা করে দুটি বালতিতেই এইডিস মশার লার্ভা পান জরিপে আসা কর্মীরা।

যাদের ঘরের বালতিতে লার্ভা পাওয়া গেছে তারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি।

ওই বাড়ির আরেকটি বাসার বাসিন্দা হেনা বেগম বলেন, আমাদের বাসায় কোনো মোটর নাই, এজন্য টেনে পানি আনা যায় না। সাপ্লাইয়ের যে পানি আসে তা বালতিতে জমাইয়া রাখতে হয়। এ কারণে মনে হয় মশা ডিম পাড়ছে।

ওই এলাকায় মশার উপস্থিতি কেমন জানতে চাইলে মো. তরিকুল ইসলাম নামে একজন বলেন, বাসায় প্রচুর মশা। রাতে ঘুমাতে কষ্ট হয়। মশার কয়েল জ্বালাই, মশারি টানাই, তাও কামড়ায়, বেশি কামড়ায় বাচ্চাদের।

মশার গতিপ্রকৃতি, প্রজাতি বৈচিত্র, মৌসুমী অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে ডিএনসিসি। মশা ধরার জন্য পাঁচটি অঞ্চলে ফাঁদ পাতা হয়েছে, যাকে ডিএনসিসি বলছে সেনটিনাল সাইট। একটি সাইটে লাইট ট্র্যাপ,এইডিস এক্স স্মার্ট ট্র্যাপ ও গ্র্যাভিড ট্র্যাপ- এই তিন ধরনের ফাঁদ থাকে।

লাইট ট্র্যাপে সব ধরনের পূর্ণবয়স্ক মশা ধরা হয়। এইডিস স্মার্ট ট্র্যাপে পূর্ণবয়স্ক এইডিস মশা এবং গ্র্যাভিড ট্র্যাপে এইডিস মশা ডিম পাড়ে, সেখান থেকে লার্ভা হয়।

প্রতি সাতদিন পর পর এসব ফাঁদ পরীক্ষা করা হয়। ফাঁদে পাওয়া মশার সংখ্যা গণনা করে ওই এলাকায় মশার উপস্থিতির একটি ধারণা নেওয়া হয়।

মিরপুরের লালকুঠি এলাকায় ডিএনসিসির ১০ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারেও এই ফাঁদ বসানো হয়েছে।

২৪ মার্চ কমিউনিটি সেন্টারের ওই ফাঁদে মশা দেখতে যান মশক নিয়ন্ত্রণকর্মীরা। লাইট ট্র্যাপে শত শত মশা মরে আছে। আর এইডিস স্মার্ট ট্র্যাপে দুটি পূর্ণ বয়স্ক মশা পাওয়া গেছে। তবে গ্র্যাভিড ট্র্যাপে কোনো লার্ভা পাওয়া যায়নি। ফাঁদে কতগুলো মশা পাওয়া গেছে সে বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি তারা। তবে তারা জানান, সংখ্যাটি অনেক।

পরিস্থিতি কেমন

সোমবার লালকুঠি এলাকার প্রথম কলোনির ১৫টি বাড়ি পরিদর্শন করে পাঁচটি বাড়িতে ছয়টি পাত্রে মশার লার্ভা পান ডিএনসিসির কর্মীরা। হিসাব করে দেখা গেছে, এতে ওই এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ৪০ ও হাউজ ইনডেক্স ৩৩ দাঁড়ায়।

কোনো এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ২০ ও হাউজ ইনডেক্স ১০ এর বেশি হলে সেখানে মশার ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি আছে বলে ধরে নেন কীটতত্ত্ববিদরা।

কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর আহমেদ বলেন, এটা খুবই হাইলি উপস্থিতি। সামনে বর্ষায় মশা আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে। গত বছর চিকুনগুনিয়ায় অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। এবারও ডেঙ্গুর পাশাপাশি চিকুনগুনিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, ডিএনসিসির সঙ্গে চুক্তির থাকায় তারা জরিপের কোনো তথ্য দিতে পারবেন না। তথ্যের জন্য ডিএনসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

তবে কবিরুল বাশার বলেন, এখন বৃষ্টি নাই, এখন যদি ব্রুটো ইনডেক্স ৪০ হয় বৃষ্টির সময় সেটা ৮০ হয়ে যাবে। মানে মশার উপস্থিতি থাকবে আশঙ্কাজনক।

এ কারণে বছরের শুরুতে বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই যদি আমরা এইডিস মশার প্রজননস্থল নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। তাহলে বর্ষা মৌসুমে মশার উপদ্রব কম হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী দাবি করেন, গত দেড় মাস ধরে এইডিস এবং কিউলেক্স- দুই ধরনের মশার উপস্থিতিই কমেছে। এ কারণে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও কমেছে।

কিছু কিছু পকেট এলাকায় বিশেষ করে উত্তরার কিছু এলাকায় কিউলেক্স মশা কিছুটা পাওয়া যাচ্ছে। মশা নিয়ন্ত্রণে আমরা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি। নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তারপরও মানুষের অসচেতনতায় কিছু এলাকায় মশা জন্মাচ্ছে। অনেক বাড়িতে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের কর্মীদের ঢুকতেই দেওয়া হয় না, সেখানে ওষুধ দিবে কীভাবে?

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, শনিবার পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হওয়া রোগীসহ চার মাসে সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০২। তাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২০২৪ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন। মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের।

যন্ত্রণা দিচ্ছে কিউলেক্স মশা

ঢাকায় শীতের পর থেকে শুরু হয়েছে কিউলেক্স মশার উপদ্রব। বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তারা অভিযোগ করেছেন, এই মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ তারা।

ডোবা-নালা পরিষ্কার না করা এবং মশার ওষুধ না ছিটানোর কারণে কিউলেক্স মশার উপদ্রব বেড়েছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর।

ঢাকার ভাসানটেক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ভাসানটেক বস্তির মাঝখানের ঝিলটি কচুরিপানায় ভর্তি। এই জলাধার পরিষ্কার করা হয় না। তাই বদ্ধ পানিতে কিউলেক্স মশার বংশ বিস্তার হচ্ছে।

ভাসানটেক বস্তির বাসিন্দা আহমেদ আলী বলেন, বিকাল থাইকা মশার অত্যাচার শুরু হয়। কোনো জায়গায় দাঁড়ানোর উপায় থাকে না। সারাক্ষণ কানের কাছে ভনভন করে।

মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকার গৃহিনী জেমমিন আক্তার বলেন, বিকেলেই বাসায় মশার কয়েল জ্বালিয়ে দিই। রাতে ঘুমানোর আগে কয়েল নিভিয়ে মশার টানিয়ে নিই। কিন্তু তারপরও মশার হাত থেকে বাঁচার উপায় থাকে না। কোনো কারণে বাইরে বের হলেই ভেতরে মশা ঢুকে যায়। বাচ্চাটাকে কামড়ায় বেশি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মশার উপস্থিতি নিয়ে কোনো জরিপ করছে না। এ কারণে ওই এলাকায় বর্তমানে মশার পরিস্থিতি কী তা বোঝার উপায় নেই।

তবে গত বছরের নভেম্বর মাসে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় জরিপের ফলে দক্ষিণ সিটিতে মশার উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে।

সে জরিপ অনুযায়ী, তখন দুই সিটি করপোরেশনের ৯৯টি ওয়ার্ডের ৫৬টি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ওয়ার্ড ছিল ৩৫টি; বাকি ২১টি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি)।

আসছে বর্ষায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী প্রস্তুতি জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত পারভীন বলেন, কিউলেক্স মশার উপদ্রব কমে এসেছে। আর সামনে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে। আমরা সে অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করেছি। মশার ওষুধ ছিটানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি আমরা মানুষকে সচেতন করব।


আরও খবর



গজারিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে আহত

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি :

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে প্রতিবাদ করায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো.মোস্তফাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানায় আহত মো. মোস্তফা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পত্রে দেখা যায় হাসান মোল্লার নেতৃত্বে বড়ইকান্দি ভাটেরচর এলাকার মজিবুর রহমান, আলাউদ্দিন মিয়া, জাহিদ সহ অন্তত ৫-৭ জনে মিলে এ হামলা চালান।

ঘটনাটি শনিবার ৫ এপ্রিল বিকেল ৬ টায় দিকে টেংগারচর ইউনিয়নের বড়ইকান্দি ভাটেরচর এলাকায় ঘটে। আহত ব্যক্তিকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আহত মোস্তফা ও মজিবুর রহমানের মাঝে জমি রেজিস্ট্রি নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে  বাকবিতণ্ডায় জড়ানোর এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী মজিবুর রহমান মোস্তফা কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন । মোস্তফা এর   প্রতিবাদ করলে মুজিবুর ও তার দলবল মিলে মো মোস্তফাকে  পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন। 

তাছাড়া এদের কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পরার ও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকায় ভারাটিয়াদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোন, টাকা পয়সা ছিনতাই চাঁদা দাবি করার ও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে এলাকায়বাসী প্রশাসনের কাছে দাবি করে বলেন এই ধরনের  সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে মুক্ত চায়।এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেন 

তবে বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ওসি তদন্ত শহিদুল ইসলাম জানান, “বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায়  লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে গজারিয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাছাড়া হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে ন্যায় বিচার করারও দাবি জানান সাংবাদিকরা।


আরও খবর



ভারত কাশ্মীরে নিরাপত্তা ত্রুটির কথা স্বীকার করল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ভারত কাশ্মীরের পেহেলগাম হামলার কারণ হিসেবে নিরাপত্তাব্যবস্থায় ত্রুটির কথা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার রুদ্ধদ্বার সর্বদলীয় বৈঠকে ভারতের বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীদের কাছে নিরাপত্তা ত্রুটির বিষয়টি স্বীকার করেছে। সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।

কাশ্মীরের পেহেলগামে মঙ্গলবার হামলায় ২৬ জন নিহতের পর পরিস্থিতি সম্বন্ধে বিরোধী দলগুলোর নেতাদের অবহিত করতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবার এ সর্বদলীয় বৈঠক ডাকে। বৈঠকে বিরোধী দলগুলোর একাধিক নেতা নিরাপত্তা ব্যবস্থার দৃশ্যমান ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যা মেনে নেয় মোদি সরকার।

সূত্র বলছে, বৈঠকে ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা বিরোধীদলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যদি কিছুই ভুল না হয়, তাহলে আমরা এখানে বসেছি কেন? কোথাও না কোথাও ত্রুটি হয়েছেই, আর সেটাই আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।’

সরকারের কাছে তারা জানতে চান, ‘কোথায় ছিল নিরাপত্তা বাহিনী? সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী কোথায় ছিল?’

এর জবাবে সরকারের ঊর্ধ্বতনরা বলেছেন, অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের কাছে বৈসরণ এলাকাটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার আগে স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে কিছু জানায়নি। সাধারণত, জুনের অমরনাথ যাত্রা পর্যন্ত বৈসরণে যাতায়াতে বিধিনিষেধ থাকে।

ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ঘটনাস্থলে দেরিতে পৌঁছানোর নিয়েও বৈঠকে উদ্বেগ জানানো হয়।

প্রত্যুত্তরে সরকারি কর্মকর্তারা জানান, ঘটনাস্থলটি এমন জায়গায় যেখানে পৌঁছাতে উঁচু পাহাড়ি পথে ৪৫ মিনিট হেঁটে যেতে হয়, এবং এই ধরনের জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার মতো প্রস্তুতিও ছিল না।

বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজ্জু সাংবাদিকদের জানান, ভারতকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই চালাতে হবে—এ ব্যাপারে সব দল একমত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই লড়াইয়ে সরকারের সঙ্গে আছে বলে জানিয়েছে সব দল। সরকার যে পদক্ষেপই নিক না কেন, তাতে তারা সমর্থন দেবে বলে সব দল এবং তাদের নেতারা এক সুরে জানিয়েছেন। ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে বৈঠকটি শেষ হয়েছে।’

লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধীও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘সবাই পেহেলগামে হামলার নিন্দা জানিয়েছে। যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে বিরোধীরা।’

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে এ সর্বদলীয় বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজ্জু, রাজ্যসভার নেতা জেপি নড্ডা, রাজ্যসভার বিরোধীদলীয় নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে, লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুলসহ আম আদমি, তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি, এনসিপি, শিবসেনা, এসপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ডিমের চেয়েও বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ ৪টি সুপারফুড

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

১. ছোলা
ছোলা উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ একটি খাবার যা প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতা থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধা কাপ ছোলায় প্রায় ৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এটি সালাদ, স্যুপ কিংবা হামাস তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, যা পুষ্টিগুণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

২. পনির
পনিরকে একটি শক্তিশালী প্রোটিন উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আধা কাপ পনিরে প্রায় ১২ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এর নিরপেক্ষ স্বাদ একে বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার সুযোগ করে দেয়। স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের জন্য কম চর্বিযুক্ত পনির একটি ভালো বিকল্প।

৩. বাদাম
বাদাম প্রোটিন বৃদ্ধির জন্য একটি দুর্দান্ত খাবার। বাদাম বাটারে প্রতি দুই টেবিল চামচে ৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এটি হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী ফ্যাট সরবরাহ করে এবং ঘরে তৈরি করা যায়। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য এতে দারচিনি, এলাচ, ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট কিংবা হলুদের গুঁড়া মেশানো যেতে পারে।

৪. কুমড়ার বীজ
কুমড়ার বীজ সহজেই সালাদ, ডেজার্ট কিংবা স্মুদিতে যোগ করা যায়। খোসা ছাড়ানোর পর প্রতি আউন্স কুমড়ার বীজে ৮.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এছাড়াও এতে জিংক, আয়রন, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও সেলেনিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান রয়েছে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

উপরোক্ত সুপারফুডগুলো উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ এবং সুস্থ জীবনযাপনে সহায়ক হতে পারে। ডিমের বিকল্প হিসেবে এগুলো খাদ্য তালিকায় সহজেই যুক্ত করা সম্ভব।


আরও খবর

শীতের সবজি রান্নার রেসিপি

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪