Logo
শিরোনাম

রুহ এবং মানুষ : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সুফি মাজহারুল ইসলাম মাসুম,সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, গবেষক :


মানুষের পরিচয় কি ? মানুষের পরিচয় জানার আগে মনুষ্য জাতির জানা উচিত মানব সৃষ্টির আগে কী সৃষ্টি হয়েছিল? এও জানা উচিত যে, মানবদেহে প্রাণটা স্থাপিত হওয়ার বা সৃষ্টির আগে কোথায় ছিল? তখন কি আমাদের পরিচয় মানুষই ছিল ? নাকি অন্য কোনো শিরোনামে অবহিত করা হতো? আর এ ক্ষেত্রে জানা আবশ্যক রুহ বা আত্মার বিষয়। কেননা মানব সৃষ্টির আড়াই হাজার বছর পূর্বে রুহ সৃষ্টি হয়েছে বলে উদ্ধৃত আছে।

তাহলে আপনা থেকেই প্রশ্ন জাগে রুহ কি? রুহের সঙ্গে দেহের সম্পর্ক কি ? রুহ নশ্বর না অবিনশ্বর? রুহের সঙ্গে নফসের সম্পর্ক কি? রুহ আগে সৃষ্টি হয়েছে নাকি দেহ আগে সৃষ্টি হয়েছে? মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে রুহের অবস্থান কোথায় থাকবে? এসব বিষয়ে জানার কৌতূহল ও আগ্রহ মানুষ বলতেই আছে। তাই যুগ যুগ ধরে মানুষ রুহের হাকিকত ও রহস্য সম্পর্কে চিন্তাভাবনা, ধ্যান-ধারণা ও গবেষণা করে আসছে। বাংলা ভাষায় রুহকে আত্মা বলে।

আরবিতে কখনো কলব কখনো নফস ব্যবহার হয়েছে। আমরা যদি আত্মাকে আরেকটু ব্যাপৃত করি তাহলে রুহর অর্থ দাঁড়ায় দেহবিশিষ্ট, চৈতন্যময়, সত্তা, স্বরুপে স্বয়ং, অন্তর্নিহিত শক্তি, প্রাণের মধ্যবিন্দু, কেন্দ্রবিন্দু, প্রাণকে চঞ্চল করে তুলে এমন উজ্জীবক, গভীর অনুভূতিকে জাগ্রত করে এমন শিরোনাম।

উল্লিখিত আলোকপাতে প্রশ্নোদয় হয় আত্মা কি? আত্মাবিষয়ক আলোচনা মহাগ্রন্থ আল কোরআনে একাধিকবার যেমন উত্থাপন হয়েছে, তেমন বাইবেলেও উল্লেখ রয়েছে। যেমন আল্লাহ সুবহানাহু ওতায়ালা বলেন এবং তাতে আমার রুহ থেকে ফুঁক দেব [সুরায়ে হিজর : ২৯]। বাইবেলে উল্লেখ রয়েছে আর তিনি তোমাদের কাছে চিরকাল থাকবার জন্য আরো একজন সাহায্যকারী পাঠিয়ে দেবেন। আর সে সাহায্যকারীই সত্যের রুহ [যোহন-১৪ : ১৬, ১৭]

দার্শনিক এবং বৈজ্ঞানিকদের মতে রুহ বা আত্মা তিন ধরনের হয়। (১) রুহে হায়াতী : এ রুহ বা আত্মার অবস্থান হৃৎপিন্ডে এর সাথে মানুষের জীবন এবং তার স্বস্তি ও সুস্থতা সম্পর্কিত। (২) রুহে তবয়ী : এ রুহ বা আত্মার অবস্থান রক্ত, এ আত্মা মানুষের শক্তি, সামর্থ্য এবং কর্মক্ষমতা সংশ্লিষ্ট। (৩) রুহে নাফসানি : এ রুহ বা আত্মার অবস্থান মাথা। এই রুহ হলো অনুভূতি এবং চেতনার মূল। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় মনকে আত্মা বলা হয়। বুৎপত্তিগত অর্থে যা পূর্ব অভিজ্ঞতায় স্মরণ রাখতে পারে তাই হলো আত্মা। কেউ কেউ বলেছেন, মানবদেহে যে প্রবাহমান রক্ত আছে সেই রক্ত হলো রুহ বা আত্মা। এবার জেনে নিতে পারি যুগশ্রেষ্ট মনীষীরা রুহ বা আত্মাকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন।

 আত্মা এমন বিষয় যার মাধ্যমে মানুষ শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে। যা মানুষের ভেতর হতে বের হয়ে গেলে মানুষ মারা যাবে। বিশ্বখ্যাত গবেষক আল-ফারাবীর মতে আত্মা হলো এমন বস্তু যার ওপর মানুষের জীবন নির্ভরশীল। যুগশ্রেষ্ঠ দার্শনিক ইমাম গাযযালী বলেন, আত্মা হলো মানুষের দেহ সংশ্লিষ্ট এবং দেহোত্তীর্ণ আধ্যাত্মিক সত্তা ।

মনীষীদের সারকথা হলো আত্মা এমন এক বিষয় যা চিরন্তন, অমর, অবিনশ্বর, অদৃশ্য এবং সর্বত্র বিরাজমান এবং যা মানুষের প্রাণশক্তিকে সঞ্চারিত করে। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী নফস বা আত্মাকে তিনটি শিরোনামে আখ্যায়িত তথা ভাগ করা হয়েছে। যথা- লাওয়ামা, আম্মারা এবং মুতমাইন্না। অবশ্য পবিত্র আল কোরআনেও এ তিন প্রকারের কথা উল্লেখ হয়েছে।

ইসলামিক স্কলারগণ নফস বা আত্মার উল্লিখিত তিন প্রকারের সম্পূরক তিনটি স্তরও উদ্ধৃত করেছেন। যথাক্রমে- (১) রুহে আযীম, (২) রুহে কুদ্দুস এবং (৩) রুহে নফস। এখানে আরেকটি বিষয় প্রাণিধানযোগ্য রুহ, কলব যেটাই বলেন আত্মাকে আত্মশুদ্ধ করার একটি বিশেষ পদ্ধতি আছে! যা হক্কানী পীর বুজুর্গ বা উলামায়ে কেরামগণ যুগ যুগ যাবৎ করে আসছেন। আর সেটাকে আরবি ভাষায় বলা হয় তাযকিরাতুন নফস। যার বাংলা আত্মশুদ্ধি এখানে তাযকিরাতুন কথাটি যায়িয়ূন হতে নির্গত হয়েছে যার এককথায় অর্থ হলো শুদ্ধ, পবিত্র, নিষ্পাপ বা ইসলাহ, অর্থাৎ আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা, পাক করা, উদ্বুদ্ধ করা ও উন্নত করা।


আরও খবর

রমেশ শীল সুন্নিয়তের এক মহান কবি

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪




বেতন পেলেন শ্রমিকরা, আগামীকাল খুলবে কারখানা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

টিএনজেড গ্রুপের পোশাক শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে টানা তিনদিন গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। এবার সরকারের সহায়তায় গ্রুপের পাঁচটি কারখানার তিন হাজার ৬২০ শ্রমিক এবং ১২০ জন স্টাফ বকেয়া এক মাসের বেতন পেয়েছেন। এতে খুশি শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে যথারীতি শনিবার (১৬ নভেম্বর) থেকে কারখানাগুলো পুনরায় চালু হবে।

টিএনজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের চেয়ারম্যান হেদায়তুল হক জানান, প্রথম দফায় শ্রমিকদের বকেয়া আট কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রমিকদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে এই বেতন পরিশোধ করা হয়। এর ফলে শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

বেতন পেয়ে কারখানার শ্রমিক রোকসানা আক্তার বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।

টিএনজেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হেদায়াতুল হক জানিয়েছেন, শনিবার থেকে কারখানাগুলো পুনরায় চালু হবে। তিনি আশা করছেন, শ্রমিকরা কাজে ফিরবেন এবং উৎপাদন শুরু করে মালিকপক্ষের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সহায়তা করবেন।

টিএনজেড অ্যাপারেলস লিমিটেড, বেসিক ক্লথিং লিমিটেড ও অ্যাপারেল আর্ট লিমিটেডে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ শ্রমিকের অক্টোবর ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বকেয়া ছিল। এছাড়া এক্সপো কার্টুন ও এমএনএস ইয়ার্ণ ডায়িং কারখানায় স্টাফদের বেতন ও সার্ভিস বেনিফিট বকেয়া রয়েছে।

এরপর ৯ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ভয়াবহ যানজট দেখা দেয় মহাসড়কে। সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন এবং পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হয়। টানা তিনদিনের বিক্ষোভের পর শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান ঘোষণা দেন যে, শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে উদ্যোগ নেবে সরকার।

গত সোমবার রাতে শ্রম ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে টিএনজেড গ্রুপের ৩১ শ্রমিক প্রতিনিধি, বিজিএমইএ এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সমঝোতা চুক্তি সই হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয় যে, ১৭ নভেম্বরের মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসের এবং ৩০ নভেম্বরের মধ্যে অক্টোবর মাসের বেতন পরিশোধ করা হবে।

টিএনজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের চেয়ারম্যান হেদায়তুল হক বলেন, আমরা বড় বিনিয়োগ করেছি এবং ব্যাংকের সুদ পরিশোধে আমাদের অর্থ সংকট হয়েছে। এক্সপোর্ট বিপ্ল আপ ফান্ড থেকে শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার চেষ্টাও করেছিলাম, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, সরকারের সহায়তায় নির্ধারিত সময়ের আগেই গত বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের বেতন বাবদ ৮ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। শ্রমিকরা কোনো কাজ না করেই এই অর্থ পেয়েছেন। আগামী কিস্তির অর্থও তারা কাজ ছাড়াই পাবেন।

ব্যাংক লোন প্রাপ্তিতে জটিলতার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আমরা সাড়ে ৩০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছি। ব্যাংক ইন্টারেস্ট বাবদ দেড়শ কোটি টাকা পরিশোধ করেছি। ব্যাংক থেকে ৮ কোটি টাকার একটি লোন অনুমোদন করানো হলেও, টাকা না পাওয়ায় শ্রমিকদের বেতন দিতে সমস্যা হয়।

হেদায়তুল হক আরও বলেন, আমাদের এক্সপোর্ট বিপ্ল আপ ফান্ড থেকে ১১-১২ কোটি টাকা তুলে শ্রমিকদের বেতন দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। আমাদের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো সহযোগিতা করলে এই সংকট হতো না। কয়েকবার তারিখ দিলেও তা রক্ষা করতে পারিনি।

শ্রম সচিব শফিকুজ্জামানের সহায়তায় শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া অতিরিক্ত সচিব সবুর হোসেন, বিজিএমইএ’র রফিকুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীনের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন, প্রায় শত কোটি টাকার ব্যক্তিগত সম্পত্তির দলিল নিয়ে সহযোগিতার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। কিন্তু সচিব শফিকুজ্জামান ছাড়া কেউ এগিয়ে আসেননি।

শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, সরকারের সহযোগিতায় শ্রমিকরা তাদের পাওনা টাকাগুলো সময় মতো পাবেন। আমরা আশা করি, শ্রমিকরাও এ পরিস্থিতি বিবেচনা করে কারখানার উন্নয়নে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় ট্রাক,বাস ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষে দু' জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ড্রাম ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষে 

মাহিন আহমেদ সাগর (২৭) ও আলভী রাব্বানী জিহান (৩২) নামের দু'জনের মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

এদূর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দু'জন। সোমবার ৯ ডিসেম্বর বিকেলে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের মান্দা উপজেলার শাহারপুকুর নামক স্থানে মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। 

নিহত মাহিন আহমেদ সাগর নওগাঁর সাপাহার উপজেলার চৌধুরী পাড়া গ্রামের আঃ জব্বারের ছেলে ও নিহত আলভী রাব্বানী জিহান একই এলাকার এনামুল হকের ছেলে বলে প্রাথমিকভাবে জানাগেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ অভিমুখি একটি প্রাইভেটকার ও একটি যাত্রীবাহী বাসকে রাজশাহীগামী একটি ড্রাম ট্রাক ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচরে যায় এবং বাসের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ঘটনা স্থলেই প্রাইভেটকারে থাকা দু'জনের মৃত্যু হয় এবং দু'জন আহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

সড়ক দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় দু' জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

১. ব্যাচেলর স্বামী (Bachelor Husband):

এরা কেতাদুরস্ত, মুখে সর্বদা মিষ্টি হাসি থাকে। নিজেকে ব্যাচেলর বলতে ভালোবাসে। বয়স যতই হোক না কেন, কেউ ব্যাচেলর বললে খুশী হয়। স্ত্রীর চেয়ে বন্ধুদের সাথে বেশি আড্ডা দেয়। দাম্পত্য জীবন নিয়ে মোটেও সিরিয়াস নন। এদের অনেক বান্ধবীও থাকে। 😜😂


২. তপ্ত স্বামী (Heated Husband):

এরা সবসময় সাপের মতো ফোঁস ফোঁস করে, গরম পানির মতো টগবগ করে, সব সময় রাগান্বিত, হিংস্র মেজাজ, আধিপত্যশীল ও খুব বিপজ্জনক। মধ্যরাত ছাড়া বউয়ের প্রয়োজন অনুভব করে না। গতি প্রকৃতি সাইক্লোনের মতো অনিশ্চিত। 🙄🙄


৩. ক্রীতদাস স্বামী (Slave Husband): শ্বশুর বাড়িতে লজিং থেকে পড়াশোনা, শ্বশুরের টাকায় লেখাপড়া, ছাত্রীর সাথে প্রেম কিংবা “বিবাহের বিনিময়ে চাকুরী” কর্মসূচিসহ কিছু অজ্ঞাত দূর্বলতার কারণে এদের স্বাধীনতার অপমৃত্যু ঘটে। এরপর আর কোন ভাবেই হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করতে পারে না।

🙀🙀

৪. সাধারণ স্বামী (Ordinary Husband):

এরা খুবই গতানুগতিক, আর দশটা স্বামীর মতোই সাধারণ নিরবে সব সয়ে যায়। এরা জেনেই গেছে পুরুষ হয়ে জন্মেছি এটুকু জ্বালা সহ্য করতেই হবে। তাই প্রতিবাদের ঝুঁকি নেয় না।

😼😼

৫. চামড়ামোটা স্বামী (Fat Skinned Husband): নানান কথার বাণে বিদ্ধ হয়ে এদের চামড়া গণ্ডারের ন্যায় পুরু হয়ে যায়। “তোমার ভাগ্য ভালো যে আমার মতো ... পেয়েছো আর কেউ হলে সেই কবেই ফেলে চলে যেতো” জাতীয় বাক্যবাণ এদের চামড়া ভেদ করতে পারে না।🙏🙏🙏


৬. নিপীড়িত স্বামী (Oppressed Husband):

এরা নিজ বাড়ির চাইতে জেলখানা কিংবা নির্জন বনাঞ্চলকে শান্তির জায়গা মনে করে। সয়ে সয়ে উপরওয়ালার কাছে বিচার চাওয়ারও সাহস করে না। তবে পত্রিকায় কারও বউ মরার সংবাদ খুব মন দিয়ে পড়ে, তারপর কি যেনো ভেবে লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আগের মতো চুপচাপ বসে থাকে।🙄🙄🙄😭


৭. তেজপাতা স্বামী (Dry Husband):

এরা খুব মুডি, কৃপণ, আত্মকেন্দ্রিক। স্ত্রীর ভালোলাগা, ইচ্ছা ও আগ্রহ মোটেও বিবেচনা করে না, রসবোধ নেই। বউ নিয়ে বেড়ানো রেস্টুরেন্টে যাওয়া, শখ করে বউয়ের জন্য কিছু কেনাকাটা করা এদের কাছে খুব কঠিন একটা কাজ। এরা রিলেশনকে আনন্দদায়ক করতে জানে না। 😜😜😜


৮. দাবাড়ু স্বামী (Grand Master Husband):

এরা স্ত্রীকে সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে, স্ত্রীকে শুধুমাত্র তখনই ভালোবাসে যখন তার কাছ থেকে কিছু প্রয়োজন হয়। এরা খুব চালাক, স্ত্রীর দুর্বলতাগুলি খুব ভালোভাবে জানে, স্বার্থ উদ্ধারে তা ভালোভাবে কাজে লাগাতে জানে। 🙄🙄🙄


৯. পরজীবী স্বামী (Parasite Husband):

এরা অলস, শুধুমাত্র অর্থের জন্য স্ত্রীকে ভালোবাসে। বউয়ের রোজগারের টাকায় চলে, ফুটানি করে, কেউ কেউ বিভিন্ন নেশার পেছনে বউয়ের টাকা খরচ করে। সংসারের কাজে স্ত্রী'কে মোটেও সাহায্য করে না। এদের একটি প্রজাতি “ঘর জামাই বা গৃহপালিত স্বামী” নামেও পরিচিত।🤭🤭🤭


১০. অপরিপক্ব স্বামী (Immatured Husband): এরা দায়িত্ব কাণ্ডজ্ঞানহীন ও শিশুসুলভ। তারা মা বোন বা আত্মীয়দের জিজ্ঞাসা না করে নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কিন্তু ভুল কিছু ঘটে গেলে দ্রুত বউয়ের কাছে ছুটে যায়।

🙄🙄🙄

১১. অতিথি স্বামী (Guest Husband): 

এরা সব সময় বাড়িতে থাকে না, মাঝে মাঝে ভিজিটর এর মতো আসে। যে ক'দিন ঘরে থাকে বউকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। পরিবারের বাজার ঘাট বা দরকারি জিনিসপত্র কিনে দিয়ে বউ অশ্রুজল উপেক্ষা করে বিদেয় নেয়।যেমন: চাকরিজীবী, প্রবাসী স্বামী।🙀🙀🙀


১২. যত্নশীল স্বামী (Caring Husband):

এরা যত্নশীল, প্রেমময়; সকল মানসিক চাহিদা পুরণ করে, পরিবারকে যথেষ্ট সময় দেয়। অত্যন্ত দায়িত্বশীল, স্ত্রীকে অংশীদার বিবেচনা করে, সকল কাজে সাহায্যকারী হিসাবে পাশে থাকে।


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪




বৃত্তি পরীক্ষা ফিরছে তার পুরনো রুপে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সরকার পতনের পর ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১’ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ২০১২ সালে প্রণীত সৃজনশীল পদ্ধতি বহাল করা হয়েছে। এতে গতানুগতিক ধারায় আগের মতো বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। ফলে আগের নিয়মে বৃত্তি পরীক্ষা হবে কি না, তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, আগামী শিক্ষাবর্ষে পুরোনো পদ্ধতিতে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রাথমিকের সমাপনীর (পঞ্চম শ্রেণি) আগে পৃথক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যারা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আগ্রহী, কেবল তাদের পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে। এমনটিই ছিল একসময়। শিশুরা ছোটবেলা থেকে প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বড় হতে শিখবে।

দফায় দফায় পরীক্ষা নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়বে বলেই বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছিল। এখন তা আবার চালু করলে কোচিং ও গাইড ব্যবসা রমরমা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা।


এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ  গণমাধ্যমকে বলেন, এটা নতুন কিছু না। আগের নিয়মে আবার ফেরা হচ্ছে। পঞ্চম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হবে না।


আরও খবর



ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

আমি এর আগেও বলেছি যে, কোনও সমস্যার সমাধান করতে হলে আগে স্বীকার করতে হবে যে, সমস্যা আছে। আমাদের এটিও স্বীকার করতে হবে, ৫ আগস্টের আগে এবং পরে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের একটি গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এটা মেনে নিয়ে আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। সে হিসেবে আমি প্রস্তাব করেছিলাম, আমাদের যে ফরেন অ্যাফেয়ার্স কনসালটেশন আছে সেটি শুরু করবো বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

 জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘৪০তম সার্ক চার্টার দিবস’ উপলক্ষে সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম (বাংলাদেশ চ্যাপ্টার) আয়োজিত ‘দ্য সার্ক-পিপল অব সাউথ এশিয়া ক্রেভ ফর’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত যদি আমাদের সবাইকে একসঙ্গে নিতে পারতো তাহলে ভারতের সুবিধা হতো। আমাদেরও সুবিধা হতো। কিন্তু সেটা দুঃখজনকভাবে হচ্ছে না। ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপারে ভারতের অবস্থান খুবই ভালো। কিন্তু গত দুই-তিন মাসে যে ব্যবসায়িক মন্দা যাচ্ছে, সেটা কি শুধু বাংলাদেশকে এফেক্ট করছে? এই অবস্থা শুধু বাংলাদেশকে এফেক্ট করছে না, ভারতকেও এফেক্ট করছে। পরিমাণটা অত কিন্তু বেশি না, তবে এফেট পড়ছে। কলকাতার অর্থনীতি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা আশা করি, এই অচল অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারব।৷ অচল অবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো যোগাযোগ স্থাপন।  ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আসছেন। আমাদের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করবন। এটা স্ট্যান্ডিং মেকানিজম, এটা অস্বাভাবিক কিছু না। প্রতিবছর আমাদের একজন যান ওপাশে পরের বছর ওপাশ থেকে একজন আসেন। এটাকে কনসাল্টেশন বলা হয়, এটা দীর্ঘদিন যাবৎ চলছে। আমি আশা করবো, তারা একটা ফলপ্রসূ আলোচনা করবে।

তিনি বলেন, সার্ক শক্তিশালী হোক এই বিষয়ে প্রফেসর ড. ইউনূস অত্যন্ত পজিটিভ এবং আমরা আবারও আঞ্চলিকভাবে একটি স্বাভাবিক সম্পর্কে ফিরে যাই। এটা আমাদেরকে শুরু করতে হব।৷ শুরু করলে একবারে আমরা সবকিছু করে ফেলতে পারবো, সেটি চিন্তা না করাই ভালো।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশের সরকার অস্থায়ী হতে পারে, কিন্তু দেশ ও স্বার্থ স্থায়ী। আমি নিশ্চিত যে, স্বাভাবিকভাবে সার্ক নিয়ে একটি পজিটিভ অ্যাটিচিউট মানুষের মধ্যে আছে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্ব হচ্ছে— এটিকে এগিয়ে নেওয়া। সচিব পর্যায়ের একটি বৈঠক শুরু হোক, যেটি গত ১০ বছরে হয়নি। তারপর আমরা চেষ্টা করবো্ কীভাবে একটি সামিটে রূপান্তরিত করা যায়।

আঞ্চলিক দারিদ্র্য দূরীকরণে উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমরা যদি পরস্পরকে সহযোগিতা করি, তাহলে এই অঞ্চলের দারিদ্র্য দূর করা যাবে। দারিদ্র্য থেকে সবাইকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। আমরা কিছুটা সাফল্য অর্জন করিনি তা কিন্তু না। আরও কিছুটা পথ পাড়ি দিতে হবে। সেজন্য সবার সহযোগিতা লাগবে। সার্ককে আমাদের কর্মক্ষমতা পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে৷

এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আব্দুল আওয়াল মিন্টু বলেন, আমরা যদি অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করতে চাই, তাহলে আমাদের আঞ্চলিক বাণিজ্য খুবই জরুরি। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য না সবার জন্যই প্রয়োজনীয়। আমরা যদি একে অন্যের সঙ্গে বিরোধপূর্ণভাবে চলতে থাকি, তা আমাদের সুফল বয়ে আনবে না।আমাদের প্রতিবেশী দেশের (ভারত) সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক ভালো নেই। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক হচ্ছে না এখনও। আমরা চাই না বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপ হোক। আমরা এই অঞ্চলে শান্তি চাই। আমরা চাই সবার মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক।

সার্ক জার্নালিস্ট ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল আবদুর রহমান বলেন, এখন আমাদের একটি আঞ্চলিক জোটের খুবই প্রয়োজন। এই অঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই আমাদের এই জোটের প্রয়োজন। এখন সার্কের কোনও কার্যকরীতা নেই। এই অঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সার্ককে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে। আমি সার্কের দেশগুলোর সাংবাদিকদের আহ্বান জানাই— তারা বাংলাদেশে এসে দেখুক, বাংলাদেশে কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিচার করা থেকে বিরত থাকুন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূইয়া বলেন, সার্ক ছিল জিয়াউর রহমানের একটি স্বপ্ন। কিন্তু আজকে দুটা দেশের জন্য সার্কের এই অবস্থা। যেখানে ইউরোপ এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানে আমাদের দক্ষিণ এশিয়া বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। আজকে সার্ক যদি উজ্জীবিত থাকতো, তাহলে আমাদের এই অবস্থা হতো না।

সার্ক জার্নালিস্ট ফোরামের (বাংলাদেশ চ্যাপ্টার) সভাপতি নাসির আল মামুনের সভাপতিত্বে ও সেমিনার অর্গানাইজিং কমিটির কনভেনার রফিকুল ইসলাম আজাদের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন স্ট্রাটেজিক এক্সপার্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউ নেশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মোস্তাফা কামাল মজুমদার।


আরও খবর