Logo
শিরোনাম

রুহ এবং মানুষ : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৯০জন দেখেছেন

Image

সুফি মাজহারুল ইসলাম মাসুম,সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, গবেষক :


মানুষের পরিচয় কি ? মানুষের পরিচয় জানার আগে মনুষ্য জাতির জানা উচিত মানব সৃষ্টির আগে কী সৃষ্টি হয়েছিল? এও জানা উচিত যে, মানবদেহে প্রাণটা স্থাপিত হওয়ার বা সৃষ্টির আগে কোথায় ছিল? তখন কি আমাদের পরিচয় মানুষই ছিল ? নাকি অন্য কোনো শিরোনামে অবহিত করা হতো? আর এ ক্ষেত্রে জানা আবশ্যক রুহ বা আত্মার বিষয়। কেননা মানব সৃষ্টির আড়াই হাজার বছর পূর্বে রুহ সৃষ্টি হয়েছে বলে উদ্ধৃত আছে।

তাহলে আপনা থেকেই প্রশ্ন জাগে রুহ কি? রুহের সঙ্গে দেহের সম্পর্ক কি ? রুহ নশ্বর না অবিনশ্বর? রুহের সঙ্গে নফসের সম্পর্ক কি? রুহ আগে সৃষ্টি হয়েছে নাকি দেহ আগে সৃষ্টি হয়েছে? মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে রুহের অবস্থান কোথায় থাকবে? এসব বিষয়ে জানার কৌতূহল ও আগ্রহ মানুষ বলতেই আছে। তাই যুগ যুগ ধরে মানুষ রুহের হাকিকত ও রহস্য সম্পর্কে চিন্তাভাবনা, ধ্যান-ধারণা ও গবেষণা করে আসছে। বাংলা ভাষায় রুহকে আত্মা বলে।

আরবিতে কখনো কলব কখনো নফস ব্যবহার হয়েছে। আমরা যদি আত্মাকে আরেকটু ব্যাপৃত করি তাহলে রুহর অর্থ দাঁড়ায় দেহবিশিষ্ট, চৈতন্যময়, সত্তা, স্বরুপে স্বয়ং, অন্তর্নিহিত শক্তি, প্রাণের মধ্যবিন্দু, কেন্দ্রবিন্দু, প্রাণকে চঞ্চল করে তুলে এমন উজ্জীবক, গভীর অনুভূতিকে জাগ্রত করে এমন শিরোনাম।

উল্লিখিত আলোকপাতে প্রশ্নোদয় হয় আত্মা কি? আত্মাবিষয়ক আলোচনা মহাগ্রন্থ আল কোরআনে একাধিকবার যেমন উত্থাপন হয়েছে, তেমন বাইবেলেও উল্লেখ রয়েছে। যেমন আল্লাহ সুবহানাহু ওতায়ালা বলেন এবং তাতে আমার রুহ থেকে ফুঁক দেব [সুরায়ে হিজর : ২৯]। বাইবেলে উল্লেখ রয়েছে আর তিনি তোমাদের কাছে চিরকাল থাকবার জন্য আরো একজন সাহায্যকারী পাঠিয়ে দেবেন। আর সে সাহায্যকারীই সত্যের রুহ [যোহন-১৪ : ১৬, ১৭]

দার্শনিক এবং বৈজ্ঞানিকদের মতে রুহ বা আত্মা তিন ধরনের হয়। (১) রুহে হায়াতী : এ রুহ বা আত্মার অবস্থান হৃৎপিন্ডে এর সাথে মানুষের জীবন এবং তার স্বস্তি ও সুস্থতা সম্পর্কিত। (২) রুহে তবয়ী : এ রুহ বা আত্মার অবস্থান রক্ত, এ আত্মা মানুষের শক্তি, সামর্থ্য এবং কর্মক্ষমতা সংশ্লিষ্ট। (৩) রুহে নাফসানি : এ রুহ বা আত্মার অবস্থান মাথা। এই রুহ হলো অনুভূতি এবং চেতনার মূল। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় মনকে আত্মা বলা হয়। বুৎপত্তিগত অর্থে যা পূর্ব অভিজ্ঞতায় স্মরণ রাখতে পারে তাই হলো আত্মা। কেউ কেউ বলেছেন, মানবদেহে যে প্রবাহমান রক্ত আছে সেই রক্ত হলো রুহ বা আত্মা। এবার জেনে নিতে পারি যুগশ্রেষ্ট মনীষীরা রুহ বা আত্মাকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন।

 আত্মা এমন বিষয় যার মাধ্যমে মানুষ শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে। যা মানুষের ভেতর হতে বের হয়ে গেলে মানুষ মারা যাবে। বিশ্বখ্যাত গবেষক আল-ফারাবীর মতে আত্মা হলো এমন বস্তু যার ওপর মানুষের জীবন নির্ভরশীল। যুগশ্রেষ্ঠ দার্শনিক ইমাম গাযযালী বলেন, আত্মা হলো মানুষের দেহ সংশ্লিষ্ট এবং দেহোত্তীর্ণ আধ্যাত্মিক সত্তা ।

মনীষীদের সারকথা হলো আত্মা এমন এক বিষয় যা চিরন্তন, অমর, অবিনশ্বর, অদৃশ্য এবং সর্বত্র বিরাজমান এবং যা মানুষের প্রাণশক্তিকে সঞ্চারিত করে। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী নফস বা আত্মাকে তিনটি শিরোনামে আখ্যায়িত তথা ভাগ করা হয়েছে। যথা- লাওয়ামা, আম্মারা এবং মুতমাইন্না। অবশ্য পবিত্র আল কোরআনেও এ তিন প্রকারের কথা উল্লেখ হয়েছে।

ইসলামিক স্কলারগণ নফস বা আত্মার উল্লিখিত তিন প্রকারের সম্পূরক তিনটি স্তরও উদ্ধৃত করেছেন। যথাক্রমে- (১) রুহে আযীম, (২) রুহে কুদ্দুস এবং (৩) রুহে নফস। এখানে আরেকটি বিষয় প্রাণিধানযোগ্য রুহ, কলব যেটাই বলেন আত্মাকে আত্মশুদ্ধ করার একটি বিশেষ পদ্ধতি আছে! যা হক্কানী পীর বুজুর্গ বা উলামায়ে কেরামগণ যুগ যুগ যাবৎ করে আসছেন। আর সেটাকে আরবি ভাষায় বলা হয় তাযকিরাতুন নফস। যার বাংলা আত্মশুদ্ধি এখানে তাযকিরাতুন কথাটি যায়িয়ূন হতে নির্গত হয়েছে যার এককথায় অর্থ হলো শুদ্ধ, পবিত্র, নিষ্পাপ বা ইসলাহ, অর্থাৎ আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা, পাক করা, উদ্বুদ্ধ করা ও উন্নত করা।


আরও খবর

আত্মিক জ্ঞান ও বাহ্যিক জ্ঞান

শুক্রবার ১৮ নভেম্বর ২০২২




মাঠ পর্যায়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে সব দল

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ২১৮জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম :

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী এ বছর ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নয় মাসেরও বেশি সময় বাকি থাকলেও নির্বাচন ঘিরে রাজনীতি উত্তাপ বইতে শুরু করেছে। টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার লক্ষ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি বলছে, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না। এখন পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না দিলেও ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপিও। দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারাও বিভিন্ন সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। দলীয় গণ্ডি থেকে নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তৃণমূল পর্যায়ে। তৈরি করা হচ্ছে নির্বাচনী ছক ও কৌশল। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রধান দুই দলই সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে।

এদিকে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ছক কষছে কীভাবে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা যায়। এই তিন বড় দলের পাশাপাশি ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাম প্রগতিশীল ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলোও। ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত ধর্মভিত্তিক দলগুলোও থেমে নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনই আভাস মিলেছে।

নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা শুরু হওয়ায় সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নড়েচড়ে বসেছেন। অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। সামাজিক কর্মকাণ্ডেও বেড়েছে তাদের তৎপরতা। সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন নানাভাবে।

আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্র জানায়, তারা নির্বাচনের প্রক্রিয়া বেশ জোরেশোরেই শুরু করেছে। এতে যুক্ত হয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। একই সঙ্গে নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি তারা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরছেন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে। বিগত সময়ে দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের ভুলভ্রান্তি শোধরাতে এরই মধ্যে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রার্থীদের বিষয়ে আগাম তথ্য সংগ্রহের কাজও চলছে আওয়ামী লীগে। 

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য জানিয়েছেন, দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। তবে এখন দল গোছানোর ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলাদা একটি কার্যালয় স্থাপনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ের পাশে আলাদা একটি ভবনে এ কার্যক্রম চলবে। বৃহৎ পরিসরে এ কার্যালয় থেকে নির্বাচনী সব কার্যক্রম পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণ করা হবে। এজন্য আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে।

দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, নেতাদের সাংগঠনিক সফর ও কর্মসূচিতে দল গোছানো, তৃণমূল পর্যায়ে কোন্দল দূর করা এবং সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম জনসমক্ষে তুলে ধরার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে দলের ও সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরা হবে।

বারবার সব দলকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে আসছে সরকার। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ও দলীয় ফোরামেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। বিশেষ করে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে এবং নির্বাচন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে দলের প্রধান শেখ হাসিনার এমন ইঙ্গিতে সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ।

নির্বাচনীর মাঠ প্রস্তুত করতে আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মাঠে নেমেছেন। এরই মধ্যে তিনি চট্টগ্রাম, খুলনা, কক্সবাজার এবং রাজশাহীতে জনসভা করেছেন। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য বিভাগেও জনসভা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অর্থাৎ তিনি নিজের মতো করে নির্বাচনী মাঠ গোছাতে শুরু করেছেন। দলীয় সভাগুলোতে বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, এবার নির্বাচন সহজ হবে না। পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে নানা নারকীয় ঘটনার কথাও বারবার বলছেন। সংসদীয় দলের সভায়ও তিনি নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট কথা বলছেন। এর বাইরে নির্বাচনকে ঘিরে তিনি দলীয় নেতাকর্মী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ সবাইকে নির্বাচনের প্রস্তুতির ব্যাপারে কাজ করার নির্দেশনা দিচ্ছেন। একইসঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভূমিকা রাখা, সর্বোপরি ভিশন ’৪১ বাস্তবায়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কাজ করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। 

সম্প্রতি আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের বেশি দিন বাকি নেই। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। নেতার সঙ্গে কর্মীর এবং কর্মীর সঙ্গে জনগণের সেতু নির্মাণ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ী হতে হবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানুষ উন্নয়ন ও কাজ চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও কাজ করে যাচ্ছেন। তাই দেশের জনগণ শেখ হাসিনার ওপর খুশি, আর এতে বিএনপির মন খারাপ।

ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি :

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে যুগপৎ আন্দোলন করছে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তবে আন্দোলনের পাশাপাশি ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে। দৃশ্যমান কার্যক্রম না চললেও সম্ভাব্য প্রার্থীর বিষয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রায় ২০০ আসনে প্রার্থী তালিকার খসড়া তৈরি করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। সম্ভাব্য প্রার্থীদের আমলনামা পাঠানো হচ্ছে লন্ডনে থাকা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে। তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় অবস্থানের দিকনির্দেশনা দিয়ে কেন্দ্র থেকে দেওয়া হচ্ছে পরামর্শ। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, বিএনপি বরাবরই নির্বাচনমুখী দল। প্রার্থী বাছাইয়েও বেগ পেতে হবে না। যে কোনো মুহূর্তে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত আছে। তবে তা হতে হবে দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে। অন্যথায় বিএনপি সেই নির্বাচনে যাবে না।

সরকারে থাকা দল এখন থেকেই জনসভা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেখানে বিএনপি কীভাবে প্রস্তুতি নেবে- এ প্রসঙ্গে দলের একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যত সাংগঠনিক কার্যক্রম করছি সবই তো নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ। এই যে দেখলেন ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছি। অনেক লোক হয়েছে, তারা উজ্জীবিত; নির্বাচনের জন্য তারা প্রস্তুত। তবে এই সরকারের অধীনে নয়, কেননা এই সরকারে অধীনে হাজারো প্রস্তুতি নিয়ে ভোটে গেলে ২০১৮ সালের মতো পরিস্থিতি হবে। তার ভাষ্যমতে, নির্বাচন যখনই হোক না কেন; বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ে তেমন বেগ পেতে হবে না। কারণ গত সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে হাজারখানেক প্রার্থীর নামের তালিকা আছে। এখান থেকেই অদলবদল হবে। সবকিছু দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তারেক রহমান।

এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো সমস্যা নেই। প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি হবে না। এরই মধ্যে ২০০ আসনের প্রার্থী মোটামুটি ঠিক করা আছে। কিছু আসন পূর্বনির্ধারিতই থাকে। সব মিলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে অত বেশি মাথা ঘামাচ্ছে না বিএনপি।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। রাজনৈতিক দল হিসেবে ভোটের প্রস্তুতি তো থাকতেই হবে। আন্দোলনকে অগ্রাধিকার দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেব আমরা। তবে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।

সূত্র মতে, সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সব সংসদীয় আসনের নেতাদের মাঠে নামার কথা বলেছেন। কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। পরে আমলনামা হিসেবে এগুলোর ফলোআপ রিপোর্টও সংগ্রহ করতে বলেছেন। তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা এটিকে নির্বাচনী প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন।

নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। নির্বাচন করেই কয়েকবার ক্ষমতায় যায়। নির্বাচনের বিকল্প কিছু চিন্তা করে না। তবে তা হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। এজন্যই আমরা ১০ দফা দাবি আদায়ে মাঠে আছি। আন্দোলন করে তা আদায় করার পর নির্বাচনের কথা সামনে আসবে। বিএনপি কীভাবে প্রস্তুতি নেবে এটা আমাদের ব্যাপার। এখানে দৃশ্যমান হওয়ার কিছু নেই।

নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টিসহ বাম প্রগতিশীল ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলোও। ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত ধর্মভিত্তিক দলগুলোও নির্বাচন প্রস্তুতিতে থেমে নেই। সব পক্ষই নিজেদের শক্তি এবং সামর্থ্য অনুযায়ী ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছে। একই সঙ্গে চলছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের পদ্ধতিসহ প্রয়োজনীয় কৌশল প্রণয়নের কাজও।

জানা গেছে, শাসক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা এরই মধ্যে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিকরাও বসে নেই। জোটের বাইরে বাম, ডান, মধ্যপন্থা এবং ধর্মভিত্তিক দলগুলোও ঘর গোছাচ্ছে। ভবিষ্যতে জোটবেঁধে নির্বাচনের ভাবনা মাথায় থাকলেও আপাতত তারা এককভাবেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে একক সংখ্যারিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গঠন করা জাতীয় পার্টি আছে প্রধান বিরোধী দলের আসনে। খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করে এই সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে মাঠের বড় দল বিএনপি। এর বাইরে আওয়ামী লীগের শরিক দল হিসেবে সংসদে আছে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, জাতীয় পার্টি-জেপি, তরীকত ফেডারেশন এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশ। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল হিসেবে সংসদে আছে গণফোরামও।

নির্বাচন প্রসঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিয়েছি। যেহেতু ১৪ দল এখনো আছে। ভবিষ্যতে কী হয় তা সময় বলবে। আপাতত আমরা দল গোছানোর পাশাপাশি পুরোদমে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছি।

টানাপড়েন যাই থাকুক না কেন আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যেও।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে আমরা নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছি। এরই মধ্যে নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এর বাইরে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাদের দলীয় প্রতীক হাতপাখা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করছেন। দলটির প্রচার উপকমিটির সহকারী সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম কবির। তিনি বলেন, ‘আমরা এককভাবে নির্বাচন করব। গত নির্বাচনেও এককভাবে অংশ নিয়েছি। এ ছাড়াও খেজুর গাছ প্রতীক নিয়ে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম, বটগাছ প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, রিকশা প্রতীক নিয়ে খেলাফত মজলিস, গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে জাকের পার্টিসহ ডানপন্থি এবং ইসলামি ঘরানার ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোও বসে নেই। জোটের বাইরে থেকে তারাও আপাতত নিজেদের মতো করে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, গবেষক

[email protected] 


আরও খবর

নৌকার পালে নির্বাচনের হাওয়া

মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩




মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ১৪ লাখ টাকা ছিনতাই, ২ জন গ্রেফতার, মালামাল উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজীহাট-মহাদেবপুর সড়কে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে চোখমুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনতাই এর ঘটনায় জড়ীত দু'জনকে গ্রেফতার পূর্বক ছিনতাইকৃত টাকা সহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এব্যাপারে সোমবার দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক এসব তথ্য জানান। 

এর আগে শনিবার রাতে জয়পুরহাট ও বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিয়ান চালিয়ে জড়ীতদের গ্রেফতার করেন পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জয়পুরহাট জেলার কাশাবাড়িয়া এলাকার মৃত নুরুল ইসলাম এর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৮) ও তেঘরবিশা এলাকার মাহাতাব উদ্দিন এর ছেলে লিমন হোসেন মিন্টু (৩৩)। গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা দস্যু দলের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে, জেলা পুলিশ সুপার জানান, গত ১৬ মার্চ আব্দুল জব্বার নামে এক ব্যক্তি নজিপুর ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিজ মোটরসাইকেল যোগে বাড়িতে ফিরছিলেন। ফেরার পথে মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজী-মহাদেবপুর রাস্তার বেলট মোড় 'ব্রীজ' এলাকায় পৌছালে এসময় অপর দুটি মোটরসাইকেলে যোগে আসা অজ্ঞাত ৪ জন রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মোটরসাইকেল এর গতিরোধ পূর্বক চোখেমুখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে এবং দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার ব্যাগে ও পকেটে থাকা নগদ ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত ৪ জন ছিনতাইকারী। এ ঘটনায় টাকার মালিক মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে ঘটনাটি উদর্ঘাটন ও টাকা উদ্ধার সহ জড়ীতদের গ্রেফতার এর জন্য পুলিশ একটি অভিযান পরিচালনা টিম গঠন করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ছিনতাই হওয়া টাকা দিয়ে ক্রয় করা স্বর্ণের চেন, দুল, ফ্রিজ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় আরো যারা জড়িত আছে তাদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান পুলিশ সুপার। গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মহাদেবপুর সার্কেল) জয়ব্রত পাল, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের দ্রুত অভিযান এবং ছিনতাইকারী চক্রে জড়ীতদের গ্রেফতার পূর্বক নগদ টাকা ও মালামাল উদ্ধারের ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় সহ মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তথা অভিযানিক পুলিশ টিমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল।


আরও খবর



নওগাঁয় নিরাপদ সড়ক ও নির্বিঘ্ন চলাচলে করণীয় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে স্থানীয়দের সাথে নিরাপদ সড়ক ও নির্বিঘ্নে চলাচল শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় আয়োজিত এ সভায় স্থানীয় সূধী, বাস, ট্রাক, সিএনজি, চার্জার, রিক্সাভ্যান প্রভৃতি পেশাজীবী মালিক-শ্রমিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক প্রমুখ অংশ নেয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ-৩ মহাদেবপুর-বদলগাছী আসনের এমপি সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী অনুকুল চন্দ্র সাহা বুদু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া রহমান পলি, নওগাঁ জেলা পরিষদ এর সদস্য গোলাম নুরানী আলাল প্রমুখ। মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান এতে সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত জাহান, নবগঠিত মহাদেবপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক গৌতম কুমার মহন্ত, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তরুন সমাজ সেবক সাঈদ হাসান তরফদার শাকিল, অটো-বয়লার ব্যবসায়ী আইনুল ইসলাম, মহাদেবপুর সদর হাটের ইজারাদার এমদাদুল হক, মহাদেবপুর সমন্বয় বণিক সমিতির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল হক বকুল, বাসস্ট্যান্ড বণিক সমিতির সভাপতি মনিরুল হক মনি প্রমুখ।

এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ খুরশিদুল ইসলাম, খাজুর ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বদিউজ্জামান বদি, সিনিয়র সাংবাদিক কাজী সামছুজ্জোহা মিলন, সাংবাদিক অসিত দাস, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ ওয়াদুদ, সাংবাদিক এস, এম, শামীম হাসান, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রফিক, সাংবাদিক এস, এ, উজ্জল, সাংবাদিক সুমন কুমার বুলেট, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল চন্দ্র ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলফা আনোয়ার হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজাদ হোসেন, আব্দুস সালাম, ওয়াসিফ আলী প্রমুখ এতে উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়কে যানজট নিরসনে নানা প্রস্তাব দেন। 

প্রধান অতিথি এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম বলেন, সরকার বিস্তর টাকা খরচ করে উপজেলা সদরনসহ প্রত্যন্ত পল্লীর অসংখ্য সড়ক পাকাকরণ ও সংস্কার করেছে। এখন সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে এসব সড়কের যানজট নিরসন করতে হবে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রতি বুধবার ও শনিবার হাটবারে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের ১নং গেট থেকে মডেল স্কুল মোড় পর্যন্ত বাইপাশ সড়ক বন্ধ রেখে ধান কেনাবেচা করার, ফুটপাথ ও সড়কের উপরের দোকানপাট দখলমুক্ত করা, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলা সদরে কোন ট্রাকে মালপত্র লোড অথবা আনলোড না করা, বরেন্দ্র অফিস এলাকায় উপজেলা পরিষদের কেনা হাটের ৪ বিঘা জমি উদ্ধার করা প্রভৃতি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


আরও খবর



নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় বাকলজোড়া ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলমান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

জেলা প্রতিনিধি (নেত্রকোনা):

নেত্রকোনার সীমান্ত উপজেলা দুর্গাপুরের বাকলজোড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভোটের মাঠে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত আগমন দেখা গেছে।

প্রথমবারের মতো দূর্গাপুরে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

এতে কিছুটা অসুবিধা হলেও প্রিজাইডিং অফিসাররা ডামিতে শিখিয়ে দিচ্ছেন।  

উল্লেখ্য,  গত ১০ জানুয়ারি বাকলজোড়া ইউনিয়নের  সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী তালুকদারের মৃত্যুর পর পদটি শুন্য হয়। 

শূন্য পদে উপ নির্বাচনে ইউনিয়নটিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। 

এর মাঝে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক (নৌকা) স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ তালুকদার (মোটরসাইকেল) ও সিরাজুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

৯টি ওয়ার্ডের প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহ দুই প্লাটুন বিজিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ র‍্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

এই ইউনিয়নে ভোটার রয়েছেন ২৩ হাজার ৭শ ৫৪ জন।  এরমধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ১৮১ নারী ১১ হাজার ৫৭৩ জন।

৭ নং পাইক পাড়া বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বিজন কান্তি ধর জানান সুন্দর সুষ্ঠু ভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

প্রিজাইডিং অফিসার বিজন কান্তি ধর জানান, সকাল ৮.৩০ থেকেই ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে এই প্রথমবার ইভিএম পদ্ধতি ভোট গ্রহণ চলছে, তাই ভোট দিতে হালকা অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু আমরা সবাইকে বলছি নির্দ্বিধায় ভোট দিতে। কালকা সমস্যাগুলো আমরা উপস্থিত থেকে সমাধান করে দিচ্ছি। ভোটারগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভোট দিচ্ছে। 

এছাড়া দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে নির্বাহী ম্যাজিট্রেট গণ কেন্দ্র গুলোতে উপস্থিত থেকে ভোট গ্রহণ তদারকি করছেন।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, এখন পর্যন্ত ভালো অবস্থা ভোটরা এসে ভোট তবে বাকলজোড়া কেন্দ্রে আমার অনুসারীদেরকে বিভিন্ন প্রকার সমস্যা করছে। এই বিষয়ে আমি অভিযোগ করেছি, দেখা যাক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কি ব্যবস্তা গ্রহণ করে। এছাড়া সার্বিকভাবে ভোট গ্রহণ ভালোই চলছে। 


আরও খবর



নওগাঁয় পশুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায় করার দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বাজার, হাট ও দোকান গুলোতে সরকারের বেধে দেওয়া দামে নিত্যপণ্য বিক্রি করতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে উপজেলা প্রশাসন। 

এসময় গরু-ছাগলের হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের দায়ে ও মুল্য তালিকা না থাকায় হাট কর্তৃপক্ষকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে কোন ব্যবসায়ী কিংবা কোন দোকানীরা পণ্য বিক্রিতে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করছে কিনা সেই বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত এই ধরণের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুরে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আবাদপুকুর হাটে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এসময় গরু-ছাগলের হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের দায়ে ও মুল্য তালিকা না থাকায় হাট কর্তৃপক্ষকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্য এক দোকানে ফলের দাম বেশি রাখায় ২শ' টাকা অর্থদন্ড করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন। এসময় উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সদস্য প্রমুখ ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন সারা বছরই বাজারের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এরমধ্যে রমজান মাস একটি বিশেষ সময় বলে এই সময়ে যেন কোন ব্যবসায়ী ও দোকানীরা ক্রেতাদের জিম্মি করে সরকারের বেধে দেয়া দামের বাহিরে কোন পণ্যের অতিরিক্ত দাম না নেয় সেই বিষয়টি ঠিক রাখতেই মূলত অভিযানগুলো পরিচালনা করা হয়ে থাকে। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনগুলোতে উপজেলার বিভিন্ন হাট, বাজার, খাবার হোটেল, বিভিন্ন দোকানে এই শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত রেখেছি। জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক আগামীতেও এই ধরনের  অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। 


আরও খবর