
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগের গুলিতে আহত হোটেল কর্মচারী বিল্লাল হাওলাদার চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মারা গেছেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া।
নিহত বিল্লাল হাওলাদার বরিশালের মুলাদী থানাধীন বোয়ালিয়া গ্রামের হাকিম হাওলাদারের ছেলে।
হামলাকারীরা সবাই রূপগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজীর মাহমুদ রিয়াজের কর্মী বলে জানান গেছে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি/তদন্ত আতাউর রহমান জানান,গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বরপা এলাকায় একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী রিফাতের মোটরসাইকেল ধাক্কা লাগলে প্রাইভেটকারের চালকের সাথে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য তারাব পৌর যুবলীগের ত্রান বিষয়ক সম্পাদক বায়েজিদ সাউদ স্থানীয় প্রিন্স হোটেলে উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিশী বসে। সালিশীতে একপর্যায়ে বায়েজীদের সাথে তর্ক হয় রিফাতের। এর জের ধরে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় রিফাত ও তার সহযোগীরা। সেখানে হামলাকারীরা এলোপাধারী গুলি ছুড়লে প্রিন্স হোটেলের বাবুর্চি বিল্লাল হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
হামলার ঘটনায় বুধবার বাবুর্চির স্ত্রী সাজেদা বেগম থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত মামুন ও অপু সাউদ নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেন।
এদিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান বাবুর্চি বিল্লাল হাওলাদার।
এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে ওসি/ তদন্ত আরো জানান।
তারাবো পৌর যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক বায়োজিদ অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক হামলা ও গুলিবর্ষনের ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন তার ব্যাপারে সর্বদা উদাসীন।
এই ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।