Logo
শিরোনাম

রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তিতে হাত বাড়ালেই মাদক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

 নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চনপাড়া বস্তিতে ২০০ মাদকের ডিলার রয়েছে। প্রতি সন্ধ্যায় এই বস্তিতে বসে মাদকের হাট। পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বস্তিতে প্রতি মাসে প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি টাকার মাদক বিক্রি হয়। আর মাসে ১০ লাখ টাকা বখরা হিসেবে পায় পুলিশ। উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন এলাকায় এই চনপাড়া বস্তি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকার সীমানায় এই বস্তির অবস্থান। বস্তিতে প্রায় ৮০ হাজার মানুষের বাস। এখানে মাদক বেচাকেনা চলে প্রকাশ্যে। রূপগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ ও রাজধানীর ডেমরা, সারুলিয়া, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ বস্তিতে আসে মাদক সেবন করতে। মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রশাসন এখানকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নিতে বরাবরই ব্যর্থ হয়েছে। মাদকের হাটখ্যাত চনপাড়া বস্তি থেকে থানা পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, প্রভাবশালীরা নিয়মিত বখরা পায়। মাদক কারবারকে কেন্দ্র করে গত তিন মাসে কমপক্ষে শতাধিক বাড়িতে লুটপাট হয়েছে হত্যা ধর্ষণ আর লুট-- চনপাড়া বস্তির নিয়মিত ঘটনা চনপাড়ার বেশিরভাগ মানুষের অভিযোগ ইউপি সদস্য প্যানেল মেয়র বজলুর রহমানের দিকে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মাদক ব্যবসা করে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বজলুর রহমান

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে চনপাড়ায় কোলাহল শুরু হয়। এ রমরমা আসর চলে গভীর রাত পর্যন্ত। এখানে ফেরি করে বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি করা হয়।

এলাকাবাসী জানায়, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর মোহনায় চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র। বায়ান্ন বাজার তেপ্পান্ন গলিখ্যাত চনপাড়ায় প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ রয়েছে অনেক। একদিকে পুলিশ প্রবেশ করলে মাদকসেবীরা অন্য পথ দিয়ে বের হয়ে যায়। এখানে দিনমজুর, ঠেলাগাড়িচালক, রিকশাচালক, ফেরিওয়ালা, গার্মেন্ট শ্রমিকের পাশাপাশি পেশাদার খুনি, ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা বাস করে।

পুলিশ, এলাকাবাসী, মাদকসেবী ও কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর তথ্যমতে ২০০ ব্যক্তি মাদক ব্যবসা করে।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, থানায় অভিযোগ দিলে তাদের উপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়ে তাই তারা থানায় কোন অভিযোগ দেন না


আরও খবর



রামগড়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় চিনি আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা,

রামগড়(খাগড়াছড়ি) :

পার্বত্য খাগড়াছড়ি রামগড় ব্যাটালিয়ন ৪৩ বিজিবি'র অধিনস্থ মহামুনি বিওপির একটি টহল দল কতৃক অভিযান চালিয়ে ভারতীয় চিনি আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার ৩১ আগষ্ট দুপুর ১.৫০ সময় মহামুনি  বিওপিতে কর্মরত নায়েব সুবেদার মোঃ ফরিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি টহল দল কর্তৃক রামগড় থানার অন্তর্গত ফেনী নদীর কুল, কলাবাগান নামক স্থান হতে মালিকবিহীন ১১৫ কেজি ভারতীয় চিনি আটক করতে সক্ষম হয়। 

রামগড় ব্যাটালিয়ন ৪৩ বিজিবি'র জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মো.আবু বকর সিদ্দিক সাইমুম পিএসসি+জি বলেন, সীমান্তে কোনো ধরনের অবৈধ কর্মকান্ডকে বিজিবির পক্ষ থেকে ছাড় দেওয়া হবে না, মাদক চোরাচালান দমনে বিজিবি সর্বদা প্রস্তুত।


আরও খবর



নিরাপত্তাহীনতায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ছেন নাগরিকরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে পরিবারসহ স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ইউরোপের দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা। শুনতে অবাক লাগলেও, সম্প্রতি এমন তথ্যই দিয়েছে ইউরোপীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো ইউরো স্ট্যাট। এর কারণ হিসেবে সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, বন্দুক হামলাসহ একাধিক বিষয়কে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইউরোপীয় অভিবাসীদের জন্য পছন্দের জায়গা যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশ। নানা সংকটের মুখে লাখ লাখ ইউরোপীয় নাগরিক একসময় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘটছে উল্টো ঘটনা।

ইউরোপের পরিসংখ্যান ব্যুরো ইউরো স্ট্যাটের তথ্যমতে, আমেরিকান হাজার হাজার নাগরিক দেশ ছেড়ে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য পাড়ি জমাচ্ছেন। ভালো স্বাস্থ্যসেবা, উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা, বর্ণবাদমুক্ত পরিবেশ আমেরিকানদের ইউরোপে বসবাসে আগ্রহী করে তুলেছে বলে মত অনেকের।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকি বন্দুক সহিংসতা। এসব কারণে অনেকেই দেশটি ছাড়ছেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

গত এক যুগে ইউরোপের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি অনেকটা এগিয়ে গেলেও, সেখানে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বন্দুক হামলা ও বর্ণবাদ। এছাড়া জীবন ধারণের জন্য ইউরোপের তুলনায় আমেরিকানরা প্রতিদিন অনেক বেশি সময় কাজ করে থাকেন। যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা ইউরোপে প্রায় বিনামূল্যে পাওয়া যায়।

ইউরোপের অনেক দেশেই স্থায়ীভাবে বসবাস করা কঠিন। তাই মাল্টা, পর্তুগাল, স্পেন, সাইপ্রাস ও ক্রোশিয়ার মতো সহজে স্থায়ীভাবে বসবাসের উপযোগী দেশগুলোতে বেশি আবেদন করছেন তারা।


আরও খবর

বন্ধের পথে ট্রাম্পের ব্যবসা

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ভিসানীতিতে যুক্ত হবে গণমাধ্যমও

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশে আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসানীতিতে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে ম্যাথু মিলার বলেছেন, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই তালিকায় রয়েছেন- আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্য। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগের প্রক্রিয়াসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ডোনাল্ড লু বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলেছি, এই নীতির আওতায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা যাদের দেওয়া হবে, তাদের নাম আমরা প্রকাশ করব না। কাউকে ভিসা না দেওয়াসহ যে কোনো ভিসা রেকর্ড মার্কিন আইন অনুযায়ী গোপনীয় তথ্য।


আরও খবর



ভাড়া কমিয়েও যাত্রী মিলছে না লঞ্চে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

ভাড়া কমিয়েও যাত্রী মিলছে না লঞ্চে । ঢাকা থেকে বরিশাল বিভাগসহ উপকূলীয় জেলাগুলোর বিভিন্ন নৌপথে লঞ্চযাত্রীর সংখ্যা কমার পেছনে চারটি প্রধান কারণ রয়েছে। এগুলো হচ্ছেপদ্মা সেতুর কারণে রাজধানী ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে উন্নত সড়ক যোগাযোগ, মহানগরীর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কে দুঃসহ যানজট, প্রয়োজনীয় খনন ও নিয়মিত পলি অপসারণের অভাবে বিভিন্ন নৌপথে তীব্র নাব্যসংকট এবং টার্মিনালসহ এর আশেপাশে ইজারাদারের লোকজন ও কুলি-মজুরের দৌরাত্ম্য। নাগরিক সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির এক প্রতিবেদনে এসব কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য পর্যালোচনা, নৌযান ও বাসমালিক, নৌ ও বাসশ্রমিক, সাধারণ যাত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। সংকট নিরসনে সাতটি সুপারিশ উত্থাপন করেছে জাতীয় কমিটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা থেকে বরিশাল বিভাগসহ উপকূলীয় জেলাগুলোর বিভিন্ন নৌপথে ৩৫ থেকে ৪৫ শতাংশ লঞ্চযাত্রী কমেছে। এর মধ্যে গত এক বছরেই কমেছে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ। এই মন্দার কারণে নৌযান মালিকরা অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন এবং লঞ্চ চলাচল কমে আসছে। ফলে অনেক নৌযান- শ্রমিকও দিন দিন বেকার হয়ে পড়ছেন।

জাতীয় কমিটি জানায়, ঢাকা থেকে লঞ্চে যাতায়াতকারীদের বড় অংশ বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার যাত্রী। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা শহরের সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও ফরিদপুর বিভাগের ২১ জেলার অত্যাধুনিক সড়ক যোগাযোগ হয়েছে। মানুষ স্বল্প সময়ে আরামদায়ক যাতায়াত করতে পারছে। ফলে বরিশালগামী যাত্রীদের একটি বড় অংশ আর লঞ্চে চড়ছে না।

প্রতিবেদনে বলা হয়, লঞ্চে ওঠার জন্য যাত্রীদের সদরঘাট পর্যন্ত যেতে হয়। কিন্তু গুলিস্তান, দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু (বাবুবাজার ব্রিজ) ও শ্যামপুর থেকে সদরঘাট টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কে সারা বছর তীব্র যানজট থাকে। এতে মানুষের দীর্ঘ সময় নষ্ট ও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ কারণে অনেক মানুষ লঞ্চে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে।

নাব্যসংকটের কারণেও নৌপথে যাত্রী কমেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার নাব্যসংকট নিরসনে পর্যাপ্ত অর্থ দিলেও নদীগুলো যথাযথভাবে খনন করা হচ্ছে না। অনেক নৌপথে নিয়মিত পলি অপসারণের জন্য সংরক্ষণ খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা করেনি। ফলে মালিকরা ঢাকা থেকে নাব্যহীন নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিকে বাধ্য হয়েছেন।

এছাড়া সদরঘাট টার্মিনালসহ আশেপাশের ঘাটগুলোতে হয়রানির কারণেও লঞ্চযাত্রী কমছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইজারাদারের লোকজন যাত্রীদের সঙ্গে থাকা মালামালের টোল বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। কুলি-মজুররাও মালামাল নিয়ে টানা-হেঁচড়া করে এবং বাড়তি মজুরি নেয়। সব মিলিয়ে গত দুই বছরে ৩৫ থেকে ৪৫ শতাংশ লঞ্চযাত্রী কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

জাতীয় কমিটি সংকট নিরসনে সাতটি সুপারিশ হলো :

১. শহীদ নূর হোসেন স্কোয়ার (জিপিও মোড়) থেকে সদরঘাট পর্যন্ত অবিলম্বে উড়াল সেতু নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এ সেতু সদরঘাট থেকে একদিকে বাবুবাজার ব্রিজ, অপরদিকে শ্যামপুর পর্যন্ত সংযুক্তকরণ।

২. উড়াল সেতু নির্মাণের আগ পর্যন্ত উল্লিখিত সড়কগুলোকে যানজটমুক্ত রাখতে দুপাশের হকারসহ সব ধরনের অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার।

৩. প্রয়োজনীয় খনন ও পলি অপসারণের মাধ্যমে সব নৌপথে সারা বছর নাব্য সংরক্ষণ।

৪. টার্মিনাল ও আশপাশের ঘাটগুলোতে যাত্রী হয়রানি বন্ধে ইজারাদার ও কুলি-মজুরের দৌরাত্ম্য বন্ধ। ৫. লঞ্চে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি, ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চ চলাচল বন্ধ ও নৌ দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। ৬. টার্মিনাল ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়ন, যাত্রীদের বিনামূলে টয়লেট ব্যবহার, বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।

৭. লঞ্চমালিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের সম্ভাব্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান। 


আরও খবর



হাসিনা-মোদি বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়নি

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও একান্ত বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই দেশের অনিষ্পন্ন বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ অবস্থা নিশ্চিতকরণে অবদান রাখায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মোদি।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে হাসিনা-মোদির দ্বিপক্ষীয় এবং একান্ত বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বৈঠক শেষে মোমেন জানিয়েছেন, হাসিনা-মোদি বৈঠকে তিস্তাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। তবে, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। কিছুক্ষণ তারা একান্তে আলোচনা করেছেন।

এই একান্ত বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে কিনা- সে বিষয়ে কিছুই জানেন না মোমেন।

মোমেন বলেন, মোদির আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা দিল্লি সফর করছেন। তিনি দুপুর সোয়া ১টা নাগাদ দিল্লিতে পৌঁছান। সাড়ে ৫টায় মোদির সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সাদর অভ্যর্থনা জানান। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়। একান্ত বৈঠকও হয়।

মোমেন আরও বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করেন। জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রণের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বিশেষভাবে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।

গ্লোবাল সাউথের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়কে জি-২০তে তুলে ধরার জন্য তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদিও জি-২০তে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার জন্য হাসিনাকে সাধুবাদ জানান।

মোমেন বলেন, শেখ হাসিনা বৈঠকে বলেছেন, ভারত হলো বাংলাদেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বৃহত্তম  অংশীদার। ভারত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধও তিনি মোদিকে করেছেন।

জানা যায়, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে তিনটি সমঝোতাপত্র সই হয়েছে। কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রকল্প ২০২৩ থেকে ২৫ এবং দুই দেশের মুদ্রার বিনিময় সহজতর করা নিয়ে।

এদিকে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলায় টুইট করে বলেন, আমাদের আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।’

মোদি বলেছেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত নয় বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক।


আরও খবর