
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চনপাড়া
বস্তিতে ২০০ মাদকের ডিলার রয়েছে। প্রতি
সন্ধ্যায় এই বস্তিতে বসে মাদকের হাট। পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বস্তিতে
প্রতি মাসে প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি টাকার মাদক বিক্রি হয়। আর মাসে ১০ লাখ টাকা
বখরা হিসেবে পায় পুলিশ। উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন এলাকায় এই চনপাড়া বস্তি। স্থানীয়
সূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকার সীমানায় এই বস্তির অবস্থান। বস্তিতে প্রায় ৮০ হাজার মানুষের
বাস। এখানে মাদক বেচাকেনা চলে প্রকাশ্যে। রূপগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ
ও রাজধানীর ডেমরা, সারুলিয়া, যাত্রাবাড়ীসহ
বিভিন্ন এলাকার মানুষ বস্তিতে আসে মাদক সেবন করতে। মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে
প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রশাসন এখানকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নিতে
বরাবরই ব্যর্থ হয়েছে। মাদকের হাটখ্যাত চনপাড়া বস্তি থেকে থানা পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক
নেতা, প্রভাবশালীরা নিয়মিত বখরা পায়। মাদক কারবারকে কেন্দ্র করে গত তিন মাসে কমপক্ষে শতাধিক বাড়িতে লুটপাট হয়েছে। হত্যা ধর্ষণ আর লুট--
চনপাড়া বস্তির নিয়মিত ঘটনা । চনপাড়ার বেশিরভাগ মানুষের অভিযোগ ইউপি সদস্য ও প্যানেল মেয়র বজলুর রহমানের দিকে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মাদক ব্যবসা করে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বজলুর রহমান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা
জানায়, সন্ধ্যা
ঘনিয়ে এলে চনপাড়ায় কোলাহল শুরু হয়। এ রমরমা আসর চলে গভীর রাত পর্যন্ত। এখানে ফেরি
করে বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ
জেলার সীমান্তবর্তী শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর মোহনায় চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র।
বায়ান্ন বাজার তেপ্পান্ন গলিখ্যাত চনপাড়ায় প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ রয়েছে অনেক।
একদিকে পুলিশ প্রবেশ করলে মাদকসেবীরা অন্য পথ দিয়ে বের হয়ে যায়। এখানে দিনমজুর,
ঠেলাগাড়িচালক, রিকশাচালক, ফেরিওয়ালা, গার্মেন্ট শ্রমিকের পাশাপাশি পেশাদার
খুনি, ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টির
সদস্যরা বাস করে।
পুলিশ, এলাকাবাসী, মাদকসেবী ও কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর তথ্যমতে ২০০ ব্যক্তি মাদক ব্যবসা করে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, থানায় অভিযোগ দিলে তাদের উপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়ে। তাই তারা থানায় কোন অভিযোগ দেন না।