Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

সাদা দলের ফজলুল হক এখন পবিপ্রবির আওয়ামী শিক্ষক

প্রকাশিত:রবিবার ২২ মে 20২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

পটুয়াখালি প্রতিনিধি।।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সাদা দলের এক সময়ের প্রভাবশালী সদস্য প্রফেসর ফজলুল হক।

২০০৫ সালের বিএনপির ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ ওয়াহিদ-উ-জামানের ঘনিষ্ঠজন হিসাবে পরিচিত। তৎকালিন সময়ে তিনি বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সাদা দলের সদস্য পদে অন্তর্ভুক্তির জন্য তার স্বাক্ষরিত ফরম জমা দিয়ে সদস্যপদ লাভ করেন। ওই সময়ে সাদা দলের সদস্য থাকাকালে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ক্রয় কমিটির সদস্য, পরিবহন কর্মকর্তাসহ ৭ টি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে থেকে কোটিপতি বনে যান। ফজলুল হক মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান থাকাকালে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠে।

সম্প্রতি প্রফেসর ড. মোঃ ফজলুল হক ভোল পাল্টিয়ে আওয়ামীলীগের তকমা ধারন করেন। ইতিমধ্যে রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য, সেন্ট্রাল ল্যাবের পরিচালক সহ ৫টি গুরুত্বপূর্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৯ সালে ভিসি হারুনর রশীদের আমলে সেন্ট্রাল ল্যাবের পরিচালক থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে ৩ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ আছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি পরায়ন শিক্ষক হিসাবে তিনি সমধিক পরিচিত। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং দুমকী উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন সভা ও অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি ছিল। 

শেরপুর মহিলা আওয়ামী লীগের জনৈক নেত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এক প্রভাবশালী কর্মকর্তাকে ১ কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে এ দুর্নীতি পরায়ন শিক্ষক পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ট্রেজারার পদে নিয়োগ পাবার দৌড়ঝাপ করছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্রে জানা যায়।

অভিযুক্ত মোঃ ফজলুল হকের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ২০০৫ সালে বিএনপি পন্থী শিক্ষকদের সাদা দলের সভাপতি প্রফেসর মোঃ হামিদুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক প্রফেসর ড. এস.এম. হেমায়েত জাহান জানান ফজলুল হক তখন সাদা দলের সিনিয়র সদস্য ছিলেন।  



আরও খবর



নেত্রকোনা অঞ্চলের পানি সংকট বিষয়ে শিশুদের চিত্রাংকন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

'শান্তির জন্য পানি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষ্যে নেত্রকোনা অঞ্চলের পানি সংকট বিষয়ে শিশুদের চিত্রাংকন চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শুক্রবার(২২ মার্চ) জেলা শহরের সাতপাই কালীবাড়ি এলাকার নেত্রকোনা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি’র সভাপতি জনাব নাজমুল কবীর সরকার, নেত্রকোনা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব লুৎফর রহমান প্রমুখ। আলোচনা শেষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এ সময় অতিথিরা বলেন, হাওর—পাহাড় আর বৈচিত্রের লীলাভূমি নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী মানুষের পানি সংকট দীর্ঘদিনের। কখনো পাহাড়ি ছড়া থেকে, কখনো বালু খুঁড়ে, কখনো বা কয়েক কিলোমিটার ঘন ঝঙ্গল পাড়ি দিয়ে সীমান্তবর্তী বাসীন্দাদের যেতে হচ্ছে ব্যবহার্য পানি সংগ্রহের জন্য। দিনকে দিন সে সংকট আরো তীব্রতর হচ্ছে। অন্যদিকে নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলে দিন দিন ভূর্গভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে সেখানেও দেখা দিচ্ছে খাবার পানির সংকট। দিন দিন দূষণে—দখলে বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো। নেত্রকোনা অঞ্চলের পানি’র সংকট ও সম্ভাবনার এই দৃশ্যগুলোই ফুটিয়ে তুলেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বিশ্ব পানি দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় এ সমস্ত দৃশ্য অংকন করে শিক্ষার্থীরা। 


আরও খবর



নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় গৃহবধু আয়না হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী শাশুড়ী আমেনা, স্বামী এরশাদ ও দেবর শাকিল'কে ঢাকার আদাবর এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে আটক করেছে র‌্যাব।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ কাম্প থেকে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, এর চৌকস অভিযানিক দল মঙ্গলবার ঢাকা জেলার আদাবর থানাধীন সুনিবির হাউজিং এলাকা অভিযান পরিচালনা করে গৃহবধূ আয়না হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক স্বামী নুরুল আমিন ওরফে এরশাদ (৩২), দেবর শাকিল হোসেন (২২) উভয়ের পিতা খোরশেদ আলম এবং তাদের মা মোসাঃ আমেনা বেগম কে আটক করা হয়। আটককৃতরা সকলে, নওগাঁর ধামুরহাট উপজেলার বিহারী নগর গ্রামের বাসিন্দা।


মামলার বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, গত ১২ মার্চ নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলার বিহারীনগর গ্রামের নরুল আমিন ওরফে এরশাদ এর স্ত্রী মহসিনা খাতুন ওরফে আয়না (৩০) কে ভোর রাতে বাড়ীর পূর্ব পার্শ্বে একটি আম গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন থানা পুলিশ কে খবর দিলে সকালে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। উল্লেখ্য, মৃত আয়না আক্তারের সাথে তার শাশুড়ী আমেনা, স্বামী এরশাদ ও দেবর শাকিল এর সাথে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা, সোফা সেট, আলমীরা ও খাট ইত্যাদি আনার জন্য বিরোধ লেগেই থাকতো। সেই জের ধরে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শাশুড়ী আমেনা, স্বামী এরশাদ, দেবর শাকিল এবং আমেনার জামাতা বিদ্যুৎ তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আম গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে জানান মৃতের স্বজনরা। এঘটনায় মৃতের চাচা আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে ধামুইরহাট থানায় ভাতিজিকে শ্বাসরোধে হত্যার দ্বায়ে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। মামলার পর থেকেই শাশুড়ী আমেনা, স্বামী এরশাদ, দেবর শাকিল ও আমেনার জামাতা বিদ্যুৎ আত্নগোপনে চলে গেলে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, এর একটি আভিযানিক দল গত ২৩ মার্চ আমেনার জামাতা বিদ্যুৎ কে নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলার গোপিরামপুর থেকে আটক করেন এবং আমেনা, এরশাদ ও শাকিল কে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। পরবর্তীতে র‌্যাব-২, সিপিসি-১ এর সহায়তায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আমেনা, স্বামী এরশাদ ও দেবর শাকিল কে ঢাকা জেলার আদাবর থানাধীন সুনিবির হাউজিং এলাকায় থেকে ২৬ আটক করা হয়।


আরও খবর



নেত্রকোনায় গণহত্যা দিবসে পালন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক দলিলপত্র এবং ছবি প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার(২৫ মার্চ) দুপুরে শহরের রাজুরবাজার এলাকায় রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুলের গেইটে এই প্রদর্শন করা হয়। 

স্কুলের প্রধান শিক্ষকের উদ্যোগে প্রদর্শনী ঘুরে ঘুরে দেখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আক্তার।

এসময় শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ এই প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। 

পরে উক্ত প্রদর্শনীর উপর দলীয় প্রতিবেদন তৈরি করায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাতে বই উপহার তুলে দেন।


স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, ১৭৫৭ সন থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ের যুদ্ধ সংক্রান্ত একশত ছবি সংগ্রহ করে এখানে রাখা হয়েছে। রাখা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক ছবি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই। 

কারণ ওই পরিস্থিতি যেহেতু তাদেরকে দেখানো যাবে না। 

সে জন্য ছবি দেখে যেন নতুন প্রজন্ম জানতে পারে এর জন্যই এই আয়োজন। এই দুর্লভ ছবি গুলো যেখানে সেখানে পাবে না। এগুলো দেখতে  জাতীয় যাদুঘরে যেতে হবে।  


এছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানান, এ প্রদর্শনী মাধ্যমে আমরা স্বচক্ষে বিভিন্ন ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারলাম। এখানে পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের দলিল সহ মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন দুর্লভ ছবি, অবিভক্ত বাংলা মানচিত্রসহ ২৫ শে মার্চ কাল রাত্রির বিভিন্ন চিত্র উপস্থাপন করা হয়। 

চাইলেও এই চিত্রগুলো যেকোনো জায়গায় দেখা সম্ভব নয়, একমাত্র জাতীয় জাদুঘর ও সরকারি কোন উদ্যোগ ছাড়া। আমরা স্যারের এই উদ্যোগকে আমরা ধন্যবাদ জানাই, তিনি দুর্লভ কিছু জিনিস সংগ্রহ করে আমাদের মাঝে প্রদর্শন করেছেন। 


আরও খবর



ভাঙ্গাড়ি দোকানের কর্মচারী হাজার কোটি টাকার মালিক নাজিম!

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মাটিকাটা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে ভূমিদস্যু নাজিম উদ্দিন। এলাকাবাসি ও ভুক্তভোগিদের অভিযোগ থেকে জানা যায় ,লক্ষীপুরের এক হত দরিদ্র পরিবারে নাজিম উদ্দিনের জন্ম, পিতা-আবু তাহের, জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন । সন্তানদের বেশি লেখাপড়া করাতে না পারলেও ছোট বেলা থেকেই জামাতের আদর্শে বড় করেছেন।

পিতার অভাবের সংসারের হাল ধরতে ঢাকায় চলে আসেন নাজিম । ভাষাণটেক বস্তিতে অবস্থানকালে মাসিক  তিন হাজার টাকা বেতনে ভাঙ্গারীর দোকানে চাকুরী নেন। ধীরে ধীরে নাজিম উদ্দিন এলকার বিভিন্ন নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর ভাঙ্গারী দোকানের আড়ালে মাদক বিক্রি করে কিছু টাকা পুজি করেন । পরবর্তীতে নব্য আওয়ামীলীগ নেতা আব্বাস উদ্দিনের সাথে সখ্যতা গড়ে  ক্যান্টনমেন্ট থানার মানিকদি নামাপাড়ায় নেতার বাড়ির পাশেই নাজিম বাসা ভাড়া করে ।

আব্বাস উদ্দিনের নির্দেশে ও অর্থায়নে নাজিম উদ্দিন ভূইয়া শুরু করেন জমি কেনা বেচার ব্যবসা। নিউগিনি প্রপার্টিজ লি: নামে সাইন বোর্ড লাগিয়ে শুরু করেন জমি দখল । এলাকার নিরীহ দরিদ্র জমির মালিকদেরকে টার্গেট করে নাজিম উদ্দিন জোর পূর্বক জমি দখল ও জমি ভরাট শুরু করেন। নিজের ভাই সাইফুল, শামীম, তাজুল, রেজাউলকে রাজননৈতিক ছায়া ও শেল্টার দেন আওয়ামীলীগ নেতা আব্বাস উদ্দিন । আর সন্ত্রাসী শাহীন, নয়ন, মিলনসহ শতাধিক অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসী নিয়ে গড়ে তোলেন নাজিম বাহিনী । নামাপাড়ার জলাধার ধীরে ধীরে গিলতে থাকে নাজিমের নিউগিনি প্রপার্টিজ।

আওয়ামী নেতার ছত্রছায়ায় নাজিম বাহিনী রাতের আঁধারে শত শত ড্রাম ট্রাক ভরে বালু ফেলে এলাকার নিরীহ দরিদ্র লোকের জমি দখল করে ভূয়া দলিল সৃষ্টি করে শেয়ার আকারে ও প্লট আকারে  বিক্রি করতে থাকে । শত শত সেনা,নৌ,বিমান,পুলিশ বাহিনীর সদস্য সহ স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের শেষ সম্বল দিয়ে নাজিম উদ্দিনের নাম সর্বস্ব কোম্পানিতে জমি কিনতে ছুটে আসে। চটকদার বিজ্ঞাপন আর অল্প দামে প্লট/শেয়ার পাবার আশায় শত শত মানুষ নাজিমকে দেয় কোটি কোটি টাকা।

এভাবে অবৈধ টাকায় আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছেন । স্থানিয় বাসিন্দা এবং তার নিজ গ্রামের লোকজনের ধারনা নাজিমের হাতে আলাদিনের চেরাগ আছে নইলে এত অল্প সময়ে কি ভাবে এত টাকার মালিক হলেন । তার অবৈধ টাকা থেকে নামাপাড়ার ঐ আওয়ামী নেতাকে মাসিক দশ লক্ষ টাকা প্রদান করে । এর বিনিময়ে  সকল অপকর্ম হালাল করতে আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী বাহিনীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতায় জমি দখল করে পাহারা দেয় ফলে দিন দিন ভূমিদস্যু নাজিম উদ্দিন হয়ে উঠছে শক্তিশালী ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জোয়ার সাহারা মৌজার আরএস ৫৬১, ৫৬২, ৫৬৫ দাগের প্রায় ১০ বিঘা জমি দলিল ও নামজারী ছারা শুধুমাত্র অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভূমিদস্যু নাজিম উদ্দিন দখল করে রেখেছেন। প্রকৃত মালিকগণ এসব জমির কাছে যেতে পারে না।

এ বিষয়ে নাজিম উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তার মুঠো ফোনের নাম্বার টি বন্ধ পাওয়া যায়। জোর পূর্বক দখল করা ১০ বিঘা জমিতে নাজিম বাহিনী অস্ত্র হাতে নিয়ে দিন রাত পাহারা দেয় । এলাকার সকল প্রকার নির্মাণ ও উন্নয়ন মূলক কাজে নাজিম উদ্দিনের সন্ত্রাসী বাহিনী পরিচালিত সাপ্লায়ারদের নিকট থেকে বাজার মূল্যের বেশি মূল্যে মালামাল কিনতে বাধ্য হয় । নাজিম বাহিনীর বেধে দেওয়া চড়া দামে নির্মাণ সামগ্রী না কিনলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় । রাতের বেলায় নাজিম বাহিনীকে চাঁদা না দিলে কোন বালুর ট্রাক ঢুকতে পারেনা । এভাবেই চলছে নাজিম উদ্দিনের অপকর্ম। ক্যান্টনমেন্ট থানায় নাজিম বাহিনীর বিরুদ্ধে রয়েছে প্রায় দেড় ডজন ফৌজদারী মামলা। নামে বেনামে নাজিম উদ্দিনের রয়েছে অঢেল, সম্পদ।

 ভাঙ্গারীর দোকানের কর্মচারী থেকে নাজিম উদ্দিন  হাজার কোটি টাকার মালিক । জোয়ার সাহারা মৌজার ৬১০, ৬১১, ৬১২, ৬১৩, ৬১৪, ৬১৫, ৬১৬ ও ২৫৬ দাগে রয়েছে নাজিম উদ্দিনের প্রায় বিশ বিঘা জমি। বাউনিয়া মৌজার ২৫৭ নং দাগের ১০ বিঘা, মিরপুর ডিওএইচএস এ তিন হাজার বর্গফুট আয়তনের ২টি ফ্ল্যাট। গ্রামের বাড়ীতে কিনেছে ২০ বিঘা জমি। দুবাইতে রয়েছে ২টি স্বর্নের দোকান ।

কয়েকমাস আগে সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হত্যা চেষ্টা মামলায় জেল খেটেছেন নাজিম উদ্দিন। এ বিষয়ে অবসর প্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল বলেন, সেনা বাহিনী থেকে অবসর গ্রহনের পর আমার উর্দ্ধতন কয়েকজন কর্মকর্তা নিয়ে জোয়ার সাহারা মৌজার ৫৬১, ৫৬২ ও ৫৬৩ নং দাগের ৫(পাঁচ) বিঘা জলাশয় জমি ক্রয় করি। নিজেদের টাকায় মাটি কিনে জমিতে ফেলে ভরাট করি। ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামীলীগের কর্মী হয়েও বারবার নাজিম বাহিনীর হাতে নির্মম অত্যাচারে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে এসেছি।

প্রায় ১৫/২০ জন সেনা কর্মকর্তার জমি নাজিম বাহিনী জোর পূর্বক দখল করে রেখেছে। জমির কাছে গেলেই লাঠি সোটা নিয়ে আক্রমন করে। জীবন বাঁচাতে জমির মায়া ছেড়ে গৃহবন্ধী হয়ে আছি । পথ চলতে ভয় পাই। ২০২১ সালে বৃদ্ধ বোরহান উদ্দিনের নিকট নাজিম বাহিনী ২ কোটি টাকা চাঁদা দাবী করলে বোরহান উদ্দিন দিতে অস্বীকার করলে নাজিম বাহিনী তাকে আক্রমন করে ও তার জমি দখল করে নেয়। এতে বাধা দিলে নাজিম বাহিনী রাতে তার বাড়ীতে হামলা করে ও তাকে বেদম প্রহার করে। এছাড়া এলাকার বেশ কয়েকটি বিয়েল এস্টেট ও হাউজিং কোম্পানির প্রায় ১২ বিঘা সম্পত্তি নাজিম বাহিনী জোর পূর্বক দখলে নিয়েছে। 

সিআইডি অফিসে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে, দূর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দিয়েও নাজিম উদ্দিনের অত্যাচার থেকে এলাকার নিরীহ এমন কি সরকার দলীয় লোকজনও রেহাই পায়নি। এক অদৃশ্য শক্তির বলে জামায়াতের অর্থযোগান দাতা আইনের উর্দ্ধে থেকে অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। সাধারণ জনগন নাজিম বাহিনীর অত্যাচার থেকে মুক্তি চায় এবং ভূমিদস্যু নাজিম উদ্দিনের অবৈধ দখল থেকে তাদের জমি জমা ফেরত চায় ।  শফিকুল ইসলাম লালমিয়া, ক্যান্টনমেন্ট ১৫ নং ওয়ার্ডের একজন ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতা ।

জামায়াত বিএনপির কর্মী নিয়ে চাঁদাবাজী ও ভূমিদস্যুতার ইন্দন দেবার প্রতিবাদ করায় নব্য আওয়ামী নেতা আব্বাস উদ্দিন লালমিয়াকে নিজে কিল ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দিলে তার সাথে থাকা সন্ত্রাসী বাহিনী লালমিয়াকে খাবার টেবিল থেকে ডেকে নিয়ে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। এ বিষয়ে লালময়িার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার পিতা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা।

২১ শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলায় জননেত্রীর জীবন বাঁচাতে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার নিজের শরিরে ধারন করে কিছুদিন আগে মৃত্যুবরন করেন । তার সন্তান হয়েও নব্যআওয়ামীলীগের হাতে মাইর খেয়ে পঙ্গু হতে চলেছি।  হামলাকারি নব্যআওয়ামীলীগ নেতার নাম বাদ দিয়ে মামলা নেওয়া হলেও আসামী না ধরায় মামলা তুলে নেবার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে । এতে আমার পরিবারের চলাফেরা সীমিত হয়ে গেছে । ছেলে মেয়ের লেখা পড়াব বন্ধ হয়ে গেছে । আব্বাস উদ্দিনের সহযোগীতায় বিএনপি জামায়াতের অর্থ যোগান দাতা জামায়াত নেতা নাজিম উদ্দিনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামীলীগ এখন দুটি ভাগে বিভক্ত। আব্বাস উদ্দিনের আশ্রয় প্রশয়ে জামায়াত নেতা নাজিম উদ্দিন অন্যের জমি দখল করে হাজার কোটি টাকার মালিক।


আরও খবর



রাণীনগরে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

“দুর্যোগ প্রস্তুতিতে লড়বো, স্মাট সোনার বাংলা গড়বো” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নওগাঁর রাণীনগরে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রবিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও রাণীনগর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার বাস্তবায়নে র‌্যালি, আলোচনা সভা, ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ৯টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে র‌্যালি বের করা হয়। এরপর পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনষ্ঠিত হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ দুলু, ভাইস চেয়ারম্যান জারজিস হাসান মিঠু, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান,ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমেন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা জাফরুল ইসলাম, সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের পিন্টু প্রমুখ।


আরও খবর