Logo
শিরোনাম

সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী ফুটবলার কৃষ্ণা রাণী সরকার বিপাকে

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বিডি টু ডে ডেস্ক:


সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় কৃষ্ণা রাণী সরকার অনেক দিন ধরে ইনজুরিতে পড়ে ছিলেন। 


জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামতে না পারলেও ক্লাব লিগে খেলেছেন নাসরিন স্পোর্টস একাডেমির হয়ে। তার পায়ের পাতায় সমস্যা। ঢাকায় ডাক্তার দেখানোর পরও পুরোপুরি পূর্ণসুস্থ হচ্ছিলেন না তিনি। 


পায়ের আঙ্গুল শুকিয়ে আসছিল। এর মধ্যে লিগেও খেলেছেন, চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। গোল করেছিলেন তিনি। 


কিন্তু সম্প্রতি কৃষ্ণা তার ফেসবুকে একটি পোষ্ট দিয়ে, অভিযোগ তুলেছিলেন যে, বাফুফের কাছ থেকে বিদেশে চিকিৎসায় সহায়তা পাচ্ছিলেন না। তার এই হতাশার কথা প্রকাশ করে বিপদে রয়েছেন কৃষ্ণা। 


তার যে সমস্যা সেটি নিরাময়ের জন্য উন্নত দেশে চিকিৎসা দরকার, একথা নাকি বিসিবির ডাক্তার দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছিলেন। 


পায়ের চিকিৎসক দেখানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। অন্তত পক্ষে ভারতে গিয়েও ডাক্তার দেখানো হলেও ভালো হতো। কিন্তু সেটিও নাকি পাননি কৃষ্ণা। তাকে বিদেশে চিকিৎসা করাতে যেতে হলে অর্থের প্রয়োজন।


 সেটি কে দেবে। বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির দায়িত্ব এটি। কিন্তু সেটি করা হয়নি। কৃষ্ণা রাণী যখন তার সমস্যার কথা ফেসবুকে লিখেছেন তা দেখে চটে গেছে বাফুফে। 


দ্রুতই কৃষ্ণার জন্য ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার সংবাদ মধ্যমকে জানিয়েছেন এবং কৃষ্ণা কেন অভিযোগ করেছেন তার জবাব চাইবে বাফুফে। বিপাকেই পড়েছেন কৃষ্ণা। 


আরও খবর

বাংলাদেশে আসবেন ফিফা প্রেসিডেন্ট

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




শুধু নির্বাচন দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বললেন, শুধু নির্বাচন আয়োজন করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়। তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কেয়ারটেকার সরকার নয়। তাই শুধু নির্বাচন দেওয়াই এই সরকারের কাজ নয়। ইতিমধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের জন্য বিভিন্ন কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়া হবে।

সোমবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের অফিসকক্ষে কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক লুইস ফ্রান্সেচির সঙ্গে সাক্ষাতে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

দেশের স্বার্থ রক্ষা হয়, এমন যেকোনো কাজ করতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রস্তুত জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে যে গণহত্যা হয়েছে, তার বিচারপ্রক্রিয়া চলমান। এ বিচার নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে কমনওয়েলথের সহযোগিতা প্রয়োজন। পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সারা পৃথিবী থেকে সমর্থন পেয়েছে, যা এখনো অব্যাহত আছে।

কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব লুইস ফ্রান্সেচি নির্বাচনী প্রক্রিয়া সংস্কারসহ সরকারের চলমান সংস্কার উদ্যোগে কমনওয়েলথের সমর্থনের আশ্বাস দেন।

তিনি বৈষম্যমুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য কমনওয়েলথের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন। বাংলাদেশের পাশে তারা আছেন জানিয়ে বলেন, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, গণমাধ্যম, সাইবার নিরাপত্তা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী কমনওয়েলথ।

সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মুহম্মদ মেহেদী হাসান, কমন‌ওয়েলথের অ্যাডভাইজার অ্যান্ড হেড অব এশিয়া দিনুসা নিহারাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


আরও খবর



তাপমাত্রার পারদ নামল ৯ ডিগ্রিতে, আরও কমবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

উত্তরের জেলা নওগাঁয় জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি হিম বাতাস আর ঘন কুয়াশা শীতের তীব্রতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নওগাঁয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি বছর এখন পর্যন্ত এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সামনে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সকাল ৯টায় জেলায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

গতকাল একই সময়ে সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। সেই হিসেবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এই জেলার তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমেল হাওয়ায় শীত আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ একটু বেশি থাকছে। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা কয়েকগুণ বাড়িয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকেই গরম কাপড় পরে চলাফেরা করছেন মানুষ। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। সকাল ১০টার পর কুয়াশা ভেদ করে সূর্য উঁকি দিলেও বিকেল চারটার পর আবার হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে।

শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল আর খেটে খাওয়া মানুষদের দুর্ভোগ বাড়ছে। গরম কাপড়ের অভাবে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ অনেক কষ্টে দিন পার করছেন। শীতের কারণে কাজে যেতে না পারায় অনেকের সংসার চালাতেও কষ্ট হচ্ছে। অনেক এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ।

সকালে সদর উপজেলার সামনে কথা হয় রিকশা চালক কুরবান আলীর সঙ্গে। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, সারাদিন যতক্ষণ গরম থাকে তখন যাত্রী পাওয়া যায়। রিকশাও ভালোভাবে চালানো যায়। কিন্তু সন্ধ্যার পর কিংবা খুব সকালে যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না। শীতের কারণে রিকশা ঠিকভাবে চালানো যায় না। ফলে আয় উপার্জন কমে গেছে।

এদিকে শীত বাড়ায় জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। এসব রোগীর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেশি। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।


আরও খবর



নায়িকা শিল্পীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা আঞ্জুমান আরা শিল্পী। সালমান শাহ'র সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করে বেশ প্রশংসা পেয়েছিলেন সে সময়। তবে প্রায় দুই দশক ধরে তিনি চলচ্চিত্রে নেই। তবুও দর্শকের আগ্রহ কমেনি তার প্রতি।

এদিকে এই অভিনেত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই সঙ্গে ফ্রিজ করা হয়েছে তার স্বামী প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি ডা. এইচবিএম ইকবালসহ তার তিন সন্তানের অ্যাকাউন্ট। তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সব ব্যাংকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে বিএফআইইউ।

চিঠিতে বলা হয়েছে, হেফজুল বারি মোহাম্মদ ইকবাল ওরফে এইচবিএম ইকবাল, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শিল্পী, ডা. ইকবালের প্রথম স্ত্রী প্রয়াত মমতাজ বেগম পক্ষের সন্তান মঈন উদ্দিন ইকবাল, ইকরাম ইকবাল এবং নওরীন ইকবালের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার নির্দেশ দেয়া হলো। আগামী ৩০ দিনের জন্য এসব ব্যক্তি ও একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের হিসাবের লেনদেন স্থগিত থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২৩(১)(গ) ধারা অনুযায়ী এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব ব্যক্তি ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত সব হিসাবের তথ্য আগামী ৪ দিনের মধ্যে পাঠানোর অনুরোধ করা হলো। এসব ব্যক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক হিসাবে লেনদেন যেন শুধু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সংশ্লিষ্ট বিষয়েই হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের সময়ের সাবেক মন্ত্রী, এমপি, বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, সাংবাদিক, পুলিশসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ বা তথ্য তলব করেছে বিএফআইইউ।

নায়িকা শিল্পীর প্রথম ছবি মোহাম্মদ হোসেন পরিচালিত ‘বাংলার কমান্ডো’ ১৯৯৫ সালের ১১ই মে মুক্তি পায়। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘প্রিয়জন’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘শেষ প্রতীক্ষা’, ‘মুক্তি চাই’, ‘লাভলেটার’, ‘বীর সন্তান’, ‘মিথ্যার মৃত্যু’, ‘দোস্ত আমার দুশমন’, ‘গৃহবধূ’, ‘কে আমার বাবা’, ‘রাজপথের রাজা’, ‘শক্তের ভক্ত’ ও ‘সুজনবন্ধু’।


আরও খবর

জয় বাংলা' এখন থেকে জাতীয় স্লোগান নয়

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

জামিন পেলেন এসপি বাবুল আক্তার

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪




অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই মুহূর্তে সহযোগিতা করা উচিৎ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমাদের জায়গা থেকে আমরা মনে করি অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারকে তিন, চার, পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা বলছি না। আবার কেউ যদি বলে ছয় মাস, এর মতো অযৌক্তিক কোন কথা হতে পারে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ১০০ দিনে যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ হয়নি, তবে রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা করলে এই সরকারের অবস্থান আরও ভাল হতো। সকল রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই মুহূর্তে সহযোগিতা করা উচিৎ। তারা যদি সরকারকে সহযোগিতা করে তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। নির্বাচন দ্রুত হবে। রবিবার (১৭ নভেম্বর) রাতে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।


সারজিস আলম বলেন, এই সংস্কার সিস্টেমের প্রত্যেকটি জায়গায় রাজনৈতিক দলগুলো দেশের কথা, দেশের মানুষের কথাকে প্রায়োরিটি না দিয়ে কিভাবে ব্যক্তির স্বার্থ প্রাধান্য পায়, দলীয় স্বার্থ প্রাধান্য পায়, কিভাবে নিজের দলের মানুষকে একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো যায়। এগুলো নিয়ে তারা ব্যস্ত হয়ে গেছে। বাজারে গেলে সাধারণ মানুষ চাহিদা মতো কেনা-কাটা করতে পারে না। বাজার সিন্ডিকেটগুলো হাত বদল হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, দুই হাজার মানুষ পরিবারের সদস্যদের কথা চিন্তা না করে জীবন দিয়েছে শুধু মাত্র একটি নির্বাচনের জন্য নয়। তাহলে বিগত ১৬ বছরে সকল মানুষ এক সাথে রাজপথে নেমে যেতো। এই মানুষগুলো এক সাথে নেমেছে যখন খুনি হাসিনার করাপটেড প্রত্যেকটি সিস্টেম ধ্বংশ হয়ে গিয়েছিল। মানুষ প্রত্যেকটি জায়গায় মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। সাধারণ মানুষের সেবা পেতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছিল। মানুষকে টাকা দিতে হতো, সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি ছিল, তখন এই সামগ্রিক সিস্টেমগুলোর বিরুদ্ধে ছাত্র জনতা এক সাথে রাজ পথে নেমেছিল। ১৬ বছরে যে সমাধানটি রাজনৈতিকভাবে হওয়ার কথা ছিল, সেই খুনি হাসিনার পতন হয়েছে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নাতি মাহমুদুল হক সানু, সমন্বয়ক মো. মাহিম সরকার, টাঙ্গাইলের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আল আমিন, মো. কামরুল ইসলাম, আল আমিন সিয়াম প্রমুখ।


আরও খবর



ফুলবাড়িতে মুক্ত জলাশয়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কচুরি পানার ফুল

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার হেমন্ত :

সবুজের মাঝখানে সাদা হালকা বেগুনি ও গোলাপী রঙে বিভিন্ন খালবিল, ডোবার জলাশয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে ফুটে উঠেছে অযত্নে বেড়ে উঠা কচুরি পানার ফুল। দেখলে মনে হবে যেন ফুলের চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে জলাশয় গুলো। প্রস্ফুটিত এইসব ফুলের অপরুপ সৌন্দর্যে বিমোহিত হচ্ছেন ফুল প্রেমী সহ-নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের মাথা ধুল্ল্যার ছড়ার পাড় নামক এলাকায় ফুলবাড়ী সদর টু বালার হাট পাকা সড়কের পাশে মুক্ত জলাশয়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কচুরি পানার ফুল গুলো। সড়কের পাশে এই অসাধারণ কচুরি পানার ফুলের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য নজর কাড়ছে সবার দু'চোখ দৃষ্টি পটে মনোমুগ্ধকর কচুরি পানার ফুল দেখে মানুষের হৃদয় জড়িয়ে যায়।

জানাগেছে কচুরি পানা মুক্তভাবে ভাসমান এক ধরনের বহুবর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস অ্যামেরিকায়, চকচকে সবুজ ডিম্বাকৃতির পাতা বিশিষ্ট কচুরিপানা পানির উপরিভাগে জন্মায় ও বংশবিস্তার করে। এর কান্ড থেকে দীর্ঘ তন্ত্রময় বহুধা বিভক্ত মুল বের হয় যার রং বেগুনি কালো। এক একটি কান্ড থেকে ছয়টি পাপড়ি বিশিষ্ট ফুলের থোকা তৈরি হয়ে থাকে এবং ফুলের পাপড়ি গুলো অত্যন্ত নরম হয়ে থাকে। এই উদ্ভিদ দ্রুততম ভাবে বংশ বিস্তার করে থাকে, এদের সাতটি প্রজাতি রয়েছে। সৌন্দর্য্য বিলানোর পাশাপাশি এই উদ্ভিদ টি মানুষ ও প্রকৃতির নানা উপকারে আসে।এটি দেশীয় মাছের বংশবিস্তার ও জলাশয়ের পানি ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে থাকে। কিছু কিছু মাছ এটাকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে,আবার এটি থেকে তৈরি জৈব সার কৃষিকাজে রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পানির উপর কচুরি পানার স্তূপ করে এর উপর সবজি চাষ করা যায়, এছাড়াও এটি গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সবমিলিয়ে এই কচুরি পানার বহুমাত্রিক গুণ রয়েছে।


উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে খাল বিল,ডোবা, নিচু জমি পুকুর ও জলাশয়ে ফুটে আছে কচুরি পানার ফুল। ফুটন্ত এইসব ফুলের সৌন্দর্যে আসা-যাওয়ার পথে বিমোহিত হচ্ছেন ফুল প্রেমী মানুষ সহ-পথচারীরাও বিশেষ করে কোমলমতি শিশুদের খেলনা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই ফুল। সৌন্দর্য প্রেমীরা এসব ফুলের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন আঙ্গিকে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে আনন্দ পান, আবার কেউ কেউ ফুলের সঙ্গে নিজেকে ও ক্যামেরা বন্দি করছেন পরম আনন্দে। কচুরি পানা ফুলের মুগ্ধতায় মন জুড়িয়ে যায় স্থানীয়দের।ছড়ার পাড় এলাকার বাসিন্দা সাজু কাজি, জোনাব আলী ও বাবুল মিয়া বলেন,বর্তমানে এলাকার প্রায় জলাশয়েই কচুরি পানার ফুল ফুটে রয়েছে,আমরা জলাশয় পরিস্কার করে এই সব কচুরি পানা উপরে তুলে রোদে শুকিয়ে রান্না বান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করি।

উপজেলার বেড়াকুটি হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুল প্রেমী প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, মুক্ত জলাশয়ে এক সঙ্গে ফুল ফুটে থাকার যে সৌন্দর্য তা অন্যকোন ফুল থেকে পাওয়া যায় না।এই ফুলের পাপড়ি নকশা খচিত হত্তয়ায় এর প্রেমে পড়তে বাধ্য হয় মানুষ। কচুরি পানা ফুল গ্রামীণ ঐতিহ্যের একটি ফুল।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, কচুরি পানা এক ধরনের বহুবর্ষজীবী ভাসমান উদ্ভিদ। কচুরি পানার মাধ্যমে জৈব সার প্রস্তুত করা যায় যা কৃষি কাজে আসে, বর্তমানে কোথাও কোথাও এই উদ্ভিদ দিয়ে তৈরি জৈব সার বাণিজ্যিক ভাবে বেচাকেনা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় ভাসোমান সবজি চাষেও কচুরি পানা ব্যবহার করা হয়, এছাড়াও এই উদ্ভিদ টি গো-খাদ্যের চাহিদা মেটানো সহ-নানাবিধ কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। এই উদ্ভিদের ফুল ও দেখতে অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর,এর বংশবিস্তার খুব দ্রুততম ভাবে হয়ে থাকে। এজন্য নিচু ফসলি জমিতে বিশেষ করে ধানের জমিতে এর বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি,তা নাহলে দ্রুত বংশবিস্তার করে ফসলের ফলকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।


আরও খবর