Logo
শিরোনাম

সাগরের লঘুচাপ রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বুধবারের (২১ মে) মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে শঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন।

এই আবহাওয়াবিদ জানান, বুধবারের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপটি সৃষ্টি হলে সেটি আরও শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। এরপর তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে এখনই গতিপথ বলা যাচ্ছে না।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তৈরির জন্য সাগরের পানির তাপমাত্রা যে পর্যায়ে থাকতে হয়, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের পরিস্থিতি তেমনই রয়েছে।

এদিকে রবিবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

এই সময়ে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে দিন ও রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সময়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

এছাড়া আজ ভোর পাঁচটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে ১২ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



তুরস্কে এরদোয়ানের পদত্যাগের দাবি

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোলুর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে উত্তাল তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এবার এরদোয়ানের পদত্যাগের দাবি উঠেছে।

গত ১৯ মার্চ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ইমামোলুসহ বেশ কয়েকজন বিরোধী দলীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে তুরস্কের পুলিশ। এরপরই রাজধানী ইস্তানবুলসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি ২০১৩ সালের পর তুরস্কে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী আন্দোলন। সেবার বিক্ষোভ চলাকালে অন্তত আটজন নিহত হয়েছিলেন।

বিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থান

বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ইস্তানবুলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়া শহরগুলোতে সব ধরনের জনসমাগমের ওপর পাঁচ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি মেট্রো স্টেশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানায়, শুক্রবার ইস্তানবুলে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ পেপার স্প্রে, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। রাজধানী আঙ্কারা ও ইজমিরেও বলপ্রয়োগ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা সরকারের কঠোর অবস্থানের তোয়াক্কা না করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই এরদোয়ানের শাসনকে ‘ফ্যাসিবাদী শাসন’ বলে অভিহিত করে তার পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।

বিক্ষোভের কারণ কী?

সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কের অর্থনৈতিক সংকট আরও প্রকট হয়েছে। ফলে দেশের নাগরিকদের একটি বড় অংশ অভিবাসনের চিন্তা করছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই অর্থনৈতিক দুরবস্থাই বিক্ষোভের অন্যতম কারণ।

২০২৩ সালে পরিচালিত এক জরিপ অনুযায়ী, ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ সুযোগ পেলে তুরস্ক ছাড়তে চান।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ঠিকভাবে কার্যকর নেই। অন্যদিকে, ইমামোলুর বক্তব্যে তারা আশার আলো দেখছেন। তাই তার গ্রেফতারের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বেড়েছে।

বিরোধী নেতাদের ধরপাকড়

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া জানিয়েছেন, সারা দেশে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৯৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

সমালোচকদের দাবি, ২০২৮ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখেই বিরোধী দলীয় নেতাদের দমন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ইস্তানবুলের মেয়রসহ ১০০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ইমামোলু তুরস্কের জনপ্রিয় বিরোধী নেতা এবং এরদোয়ানের সম্ভাব্য প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। অভিযোগ উঠেছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে অযোগ্য করতে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ বাতিল করা হয়েছে।

তুরস্কের আইন অনুসারে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি থাকা আবশ্যক।

আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ

ইস্তানবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের এক মুখপাত্র বলেছেন, “ইমামোলুর গ্রেপ্তার ও তার সনদ বাতিল গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত।”

তবে প্রশাসন এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলছে, তুরস্কের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীন।

দেশটির শীর্ষ গণমাধ্যম জুমহুরিয়েত-এর খবরে বলা হয়েছে, ইমামোলুকে চার ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এরদোয়ানের হুঁশিয়ারি

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, “দেশে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে কেউ বিক্ষোভ করলে তা সহ্য করা হবে না। আন্দোলন কঠোর হাতে দমন করা হবে।”

তিনি বিরোধীদের ‘সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে’ জড়িত থাকার অভিযোগও করেছেন।

নতুন কৌশলে বিরোধীরা

ইমামোলুকে রিপাবলিকান পিপলস পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার কয়েক দিন আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিরোধী দলের নেতা ওজগুর ওজেল দেশবাসীকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, “সাংবিধানিকভাবে ইমামোলুকে হারাতে না পেরে আদালতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।”

তবে ইমামোলুর গ্রেফতার সত্ত্বেও প্রাথমিক নির্বাচন পূর্বনির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।

বিক্ষোভ দমনে প্রশাসনের সম্ভাব্য পদক্ষেপ

বিশ্লেষকদের ধারণা, তুরস্ক সরকার ইমামোলুকে মেয়র পদ থেকে সরিয়ে তার স্থানে ট্রাস্টি নিয়োগ করতে পারে।

এর কারণ, তুরস্ক ও তার পশ্চিমা মিত্ররা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে গণ্য করে। প্রশাসন যদি ইমামোলুকে এই সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দাবি করে, তাহলে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

এদিকে, বিরোধীরা জানিয়েছেন, ৬ এপ্রিল একটি বাহ্যিক কংগ্রেস ঘোষণা করা হবে। সেখানে নতুন রাজনৈতিক পরিকল্পনার ঘোষণা আসতে পারে।


আরও খবর

হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫




ব্যাংক আমানতে ফিরছে সুদিন

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে দেশের ব্যাংকখাতে। এতে দীর্ঘদিন ধরেই আস্থা সংকটে ভুগছিল ব্যাংকগুলো। তবে সম্প্রতি আস্থা ফিরতে শুরু করেছে ব্যাংক খাতে। টানা চার মাস পর জানুয়ারিতে ব্যাংকখাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়ে ৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ গত জানুয়ারি শেষে ব্যাংকখাতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৮১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। আগের বছর একই সময় এই পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ।বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংক খাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে, যা ৭ দশমিক ২৬ শতাংশে নেমে যায়। পরবর্তীতে অক্টোবরে তা সামান্য বেড়ে হয় ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। নভেম্বরে আরও কিছুটা বেড়ে হয় ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ডিসেম্বরে তা দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এর আগে ব্যাংকখাতে আমানতে এত কম প্রবৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তখন ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। সবশেষ চার মাসে ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ শতাংশের নিচে। এর পেছনে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও তারল্য হ্রাসের পাশাপাশি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে ব্যাংক খাতের ভঙ্গুর অবস্থার চিত্র সামনে আনা হলে লোকজন ব্যাংকে টাকা জমা রাখা কমিয়ে দেওয়া দিয়েছি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবেই ১০ শতাংশের ওপর থাকা উচিত। জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। তার আগে থেকেই ডলার সংকট, রিজার্ভের পতন, রেমিটেন্স কমে যাওয়াসহ অর্থনীতিতে বিভিন্ন ধরনের সংকট ছিল। আন্দোলনের ধাক্কা সামলে উঠতে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও অর্থনীতিতে গতি কম। সরকার পতনের মাস অগাস্টে দেশে ব্যাপক সহিংসতা, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতেও ব্যাংক আমানতে ৯.৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তথ্য দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মাঝে কিছুটা কমে তা আবারও বাড়ছে যা ইতিবাচক।


আরও খবর



নওগাঁয় গ্রামীণ মেঠো রাস্তার উন্নয়ন কাজে বাধাঁ

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগরের সীমান্তবর্তি অবহেলিত একটি গ্রাম হচ্ছে একডালা ইউনিয়নের নিচ তালিমপুর। এই গ্রামটির সঙ্গে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার বিষ্ণুপুর নামক আরেকটি গ্রাম সংযুক্ত রয়েছে। গ্রাম দুটি উপজেলার শেষ প্রান্তে অবস্থিত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় তেমন একটা আধুনিকতার ছোঁয়া স্পর্শ করেনি। সম্প্রতি গ্রামের চলাচলের একমাত্র গ্রামীণ মেঠোপথের পাঁকাকরণ কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজে বালি দেওয়াকে কেন্দ্র করে কতিপয় ব্যক্তিরা বাঁধা দিতে গেলে গ্রামবাসীরা সেই বাঁধাকে প্রতিহত করে। ফলে বহুবছর পর অবহেলিত গ্রামের বাসিন্দাদের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। অপরদিকে বালু উত্তোলনের চাঁদা না দেওয়ায় ভেকু মেশিনে হামলা করে ভাংচুর করাসহ মারপিট করার ঘটনাও ঘটেছে।  

নিচ তালিমপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত-ওয়াজেদ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান জানান গ্রাম দুটি উপজেলার শেষ প্রান্তে হওয়ার কারণে চলাচলের একমাত্র গ্রামীণ রাস্তায় আধুনিকতার ছোঁয়া স্পর্শ করেনি। একসময় রাস্তাটি জমির আইলের মতো ছিলো। এরপর গত ২০০৬ সালে একটি বরাদ্দের মাধ্যমে মাটি কেটে একটু প্রশস্ত করা হয়। শুষ্ক মৌসুমে কোন মতে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে এক হাটু কাঁদা ভেঙ্গে চলাচল করতে হয়। এতে করে গ্রামের শতাধিক শিক্ষার্থীসহ পুরো গ্রামবাসীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে গত ২০১৯ সালে আমরা গ্রামবাসীরা নিজেদের অর্থ দিয়ে ভ্যান চলাচল করা যায় এমন ভাবে মাটি কেটে প্রশস্তকরন করা হয়। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে চলতি বছর পৌনে দুই কিলোমিটার রাস্তার এক কিলোমিটার অংশ পাকাকরণ কাজ শুরু হয়েছে। সেই রাস্তার জন্য বালি দিতে আমরা গ্রামবাসীরা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বগুড়ার নাগরনদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য ঠিকাদারের প্রতিনিধিকে অনুমতি প্রদান করি। সেই বালু উত্তোলন করতে গেলে গত ২৫ফেব্রুয়ারী দিবাগত মধ্যরাতে অন্য দূরবর্তি দামুয়া গ্রামের ধান ব্যবসায়ী সবুজ, রিপন, গুয়াতা গ্রামের আম্মাদ হাজীর ছেলে লিটন বাধা প্রদান করে। ওই দিন রাতে খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) স্যার আমাদের রাস্তার পরিস্থিতি দেখে নদী থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি প্রদান করে যান। এসিল্যান্ড স্যার আসার আগে সবুজ বাহিনী ভেকুর চালককে বেদম মারপিট করে এবং ভেকু মেশিনের বাটারিসহ বিভিন্ন উপকরণ লুট করে নিয়ে যায়। এতে ভেকু মেশিনের ঠিকাদার সবুজ বাহিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পালিয়ে যায়। সবুজ বাহিনী ও এসিল্যান্ড চলে যাবার পর পাশের ঘাটাগন গ্রামের অছির উদ্দিনের ছেলে দুলাল, একই গ্রামের হামিদুল, স্বপন ও লাদুর ছেলে আকরাম মোটরসাইকেল নিয়ে পুনরায় এসে ভয়ভীতি দেখালে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে তাদের প্রতিহত করে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে এই অঞ্চলের বাসিন্দারা সবুজ বাহিনী ও ঘাটাগন গ্রামের কয়েক জনের তান্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অবহেলিত এই গ্রামের মানুষদের চলাচলের জন্য রাস্তাটির অবশিষ্ট অংশও পাঁকাকরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

রাস্তায় বালি সরবরাহকারী উপজেলার নারায়নপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী আকন্দের ছেলে ফারুক হোসেন জানান তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে বালি সরবরাহের কাজ করে আসছেন। নিচ তালিমপুর গ্রামের মেঠো রাস্তার বেহাল দশা দেখে সেখানে বালি দেওয়ার চুক্তি হওয়ার পর থেকে সবুজ বাহিনী ও ঘাটাগন গ্রামের স্বপন বাহিনীকে চাঁদা না দেওয়ায় বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকী দিতে থাকে। গ্রামবাসীদের অনুমতিতে নাগরনদীর বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থানার অংশ থেকে বালি উত্তোলন করে রাস্তায় সরবরাহের কাজ চলছিলো। তাহলে নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার অন্য গ্রামের বিএনপি সমর্থিত সুবজ বাহিনী ও দুলাল বাহিনীকে চাঁদা দিতে হবে কেন? চাঁদা না দেওয়ার কারণে তারা মধ্যরাতে ভেকু মেশিনে হামলা করে ভাংচুর করেছে। এতে করে ভেকু মেশিনের কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ভেকুর চালককে বেদম মারপিট করে আহত করা হয়েছে। তাকেও হুমকি-ধামকী প্রদান করা হয়েছে। অথচ ম্যানেজ করে আবাদপুকুর এলাকার অন্যান্য স্থানে আ’লীগের লোকেরা ভেকু দিয়ে অবৈধ ভাবে মাটি খনন করলেও তাতে কোন সমস্যা নেই।

দামুয়া গ্রামের ধান ব্যবসায়ী সবুজ মুঠোফোনে জানান, ঐ রাতে তারা কয়েকজন পাশের গ্রাম থেকে মাহফিল শেষ করে ফিরছিলেন। পথেমধ্যে এসিল্যান্ড স্যার তাদের সহযোগিতা নিয়ে নিচ তালিমপুর গ্রামের নাগর নদীর বালু উত্তোলনের স্থানে যান। তারা আবার এসিল্যান্ড স্যারের সঙ্গে ফিরে আসেন। তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পন্ন মিথ্যে। তারা চাঁদা চাওয়া কিংবা ভেকু মেশিন ভাংচুরের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান মুঠোফোনে জানান ঐ রাতে সবুজ ফোনে বালু উত্তোলনের বিষয়ে তথ্য প্রদান করে। ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য সবুজরা তাকে চয়েনের মোড় থেকে রিসিভ করে নিয়ে যান। গ্রামের মেঠো রাস্তার বেহাল দশা দেখে তিনি নদী থেকে বালু উত্তোলন করে রাস্তায় দেওয়ার অনুমতি প্রদান করে চলে আসেন। এসময় সবুজরা কারো কাছ থেকে চাঁদা দাবী কিংবা ভয়ভীতি প্রদান করেননি। তবে তিনি ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর কি হয়েছে সেটা তার অজানা বলে জানান এই কর্মকর্তা। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুঠোফোনে জানান নিচ তালিমপুর গ্রামবাসীরা চরম ভাবে অবহেলিত হয়ে আসছে। তিনি যখন একডালা ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন তখন ওই গ্রামের অভ্যন্তরীণ রাস্তায় ইট বিছিয়ে দিয়েছেন। তাই ওই গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটির পুরো অংশ পাঁকা হওয়া খুবই জরুরী। এমন বিষয়টি না বুঝে সবুজরা অন্যায় করেছে। তাদের দ্বারা এই ধরণের কর্মকান্ড আর কখনোই হবে না বলে অঙ্গিকার করেছে। পরবর্তিতে যদি সবুজসহ অন্যরা উপজেলার কোন স্থানে এমন অনৈতিক কর্মকান্ড করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



১৫ লাখ অনলাইন রিটার্নের ১০ লাখই শূন্য

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বললেন, চলতি করবর্ষে অনলাইন রিটার্নের মধ্যে ৬৬ শতাংশই শূন্য রিটার্ন।

সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি বলেন, ১৫ লাখ অনলাইন রিটার্নের ১০ লাখই সাড়ে ৩ লাখ টাকার নিচে। তার মানে আমরা সঠিক করদাতাদের ধরতে পারছি না।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়। অর্থাৎ ১০ লাখ করদাতা তাদের আয়কর বিবরণীতে যে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন তার বিপরীতে কোনো কর দিতে হয়নি।

আলোচনা সভায় ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ব্যক্তি করদাতাদের কর ছাড়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন।

জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সাড়ে তিন লাখ থেকে ৪ লাখ বা ৫ লাখ টাকায় নিয়ে আসা যৌক্তিক কথা। সমস্যা হলো- যেমন ধরেন এখন ডিজিটালি রিটার্ন সাবমিশন হওয়ায় সব তথ্যগুলো আমার হাতে চলে আসছে। আজকে দেখলাম ১৫ লাখ ১৫ হাজার হয়েছে। প্রতিদিন কিন্তু ২-৩ হাজার করে রিটার্ন পাচ্ছি এখন। আমাদের অনলাইন রিটার্ন এখনও চালু আছে। অনলাইন রিটার্ন বন্ধ নেই। আবার অনেকেই রিভাইজড রিটার্ন দিতে পারছেন অনলাইনে, এটা একটা বড় সুবিধা হয়েছে।

শূন্য আয়কর বিবরণী প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ১৫ লাখ রিটার্নের মধ্যে ১০ লাখ রিটার্নই জমা পড়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকার নিচে। এরা এক টাকাও ট্যাক্স দেয়নি। টু থার্ড। পেপার রিটার্নের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। মফস্বলে যান, চিত্র কিন্তু একই। এটি বাড়িয়ে চার লাখ করলে শূন্য রিটার্নের সংখ্যা আরও এক লাখ বেড়ে যাবে।

করদাতারা কর দিতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, কোয়ালিটি ট্যাক্সপেয়ারের সংখ্যা খুবই কম। এখন যদি আমরা এই সিলিংটাকে একটু বাড়িয়ে দেই, আমরা আলোচনা করব, দেবো না এটা বলছি না। শুধু এতটুকু বলছি, আরও বড় একটা গ্রুপ যারা মিনিমাম কর দিতো, তারাও ওই যে জিরো ট্যাক্সে চলে যাবে। এইটা হলো অসুবিধা।

ইআরএফের দেওয়া প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- বাজেটে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর ওপর করের বোঝা কমাতে বাড়তি দেওয়া কর এমএফএসের মাধ্যমে ফেরতের ব্যবস্থা করা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ওপর করহার ৫ শতাংশে সীমিত রাখা, বেসরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডকে করমুক্ত করা, ব্যক্তিশ্রেণির করহার ৩০-৩৫ শতাংশ করা, ভ্যাটের হার ৭ শতাংশ করা, প্রত্যক্ষ করের দিকে জোর দেওয়া, বাজার মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে কর আদায় ইত্যাদি।

ব্যাংকে আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক থাকায় অনেকে ব্যাংক টাকা রাখতে চাইছেন না উল্লেখ করে ইআরএফ সভাপতি বলেন, এরকম অবস্থায় ৫/১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমার ওপর আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার এবং মুনাফার ওপর কর কমানো যেতে পারে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করের হার বাড়বে না এটা যেমন সত্য, আবার হার বাড়বেও। যারা এতদিন রিডিউসড রেটে ট্যাক্স দিতো, তারা মোর অর লেস রেগুলার রেটে চলে যাবে। এটা আমাদের একটা সুপারিশ থাকবে। এটা হলে সবার জন্য ভালো হয়।বৈষম্যমুক্ত করতে চাইলে এটা আমাদের করতে হবে। কর্মকর্তাদের বলেছি, আরও সময় লাগুক। যেখানে কাজ করব, ছোট এরিয়া সবার কাছ থেকে নেব। পাশের কোনো দোকানদার বলবে না একজন দিচ্ছে, আরেকজন দিচ্ছে না। এ রকম যেন না হয়।


আরও খবর



পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকলে ইটভাটা অবৈধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

যে পদ্ধতিতেই ইটভাটা পরিচালনা করা হোক না কেন, ছাড়পত্র না থাকলেই সেটা অবৈধ বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এদিন আদালতে মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহিদুল হক, অ্যাডভোকেট এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডিএজি মো. তামিম, ইটভাটা মালিক সমিতির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুনতাসির আহমেদ।

আইনজীবীরা জানান, অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশে বর্তমান মেয়াদ পর্যন্ত লাইসেন্স এবং পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকলে সেগুলো উচ্ছেদে প্রশাসনের ওপর নির্দেশনা থাকবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।


আরও খবর