Logo
শিরোনাম

শাহবাগ মোড় ছেড়ে আন্দোলনকারীদের ধর্মঘটের ডাক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image



সদরুল আইন:


সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা।



 আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া এ অবরোধ সন্ধ্যা ৬টায় প্রত্যাহার করা হয়।  দীর্ঘ সময় সড়ক অবরোধ থাকার কারণে রাজধানীর শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। 



আন্দোলনকারীরা রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়া শুরু করে। সন্ধ্যায় শাহবাগ মোড় ছেড়ে যাওয়ার সময় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারীরা।



 দাবি আদায়ে আগামী রোববার সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।



আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালে বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু এই কোটা পদ্ধতির ফলে চাষার ছেলে চাষা, রাজমিস্ত্রির ছেলে রাজমিস্ত্রি, মজুরের ছেলে মজুর থেকে যাবে। আমরা একই প্রশ্নে পরীক্ষা দেব, একই প্রশ্নে রিটেন লিখব, একই প্রশ্নে ভাইভার মুখোমুখি হব।



 কিন্তু তারা কোটা সুবিধার কারণে একাই সুবিধা পাবে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। তাহলে কি জন্মই আমাদের আজন্ম পাপ? 


হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সরকার কোটা চায় না, প্রশাসন কোটা চায় না, শিক্ষকরা কোটা চায় না, বিশ্ববিদ্যালয় কোটা চায় না, তাহলে কোটা চায় কে? সরকার যেখানে কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছে সেখানে কোন অদৃশ্য শক্তি বলে এই কোটা বহাল করা হয়? আমরা এই অদৃশ্য শক্তির হাত গুঁড়িয়ে দেব। 



আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, হাইকোর্ট শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রহসন করছে। তারা পুনরায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক এবং শিক্ষার্থীদের দাবি বিবেচনা করুক। আমরা হাইকোর্টের বিরুদ্ধে না। 



তারা নিজেদের মতো কাজ করে যাবে কিন্তু আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায় করে ঘরে ফিরব। আজ আমরা ফিরে যাচ্ছি কিন্তু আগামীতে আরও বেশি শক্তি সঞ্চয় করে রাজপথে নামব। 



আজ সারা দেশে শিক্ষার্থীরা নিজেদের দাবি আদায়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। আশা করি, আমাদের দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত তারা আমাদের সঙ্গে থাকবে। 


এর আগে আজ সকাল সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে থেকে মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর-টিএসসি হয়ে বেলা সোয়া ১২টায় শাহবাগ মোড়ে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানেই অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। 


প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে টানা তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। 



এতে করে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং শাহবাগ ও আশপাশের এলাকা অচল হয়ে পড়ে।



আরও খবর



ঢাকায় ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি, কিউলেক্সের যন্ত্রণা

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শুকনো মৌসুমেও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ি, স্থাপনায় পাওয়া যাচ্ছে এইডিস মশার লার্ভা, মিলছে পূর্ণ বয়স্ক মশাও।এ বছর প্রথম তিন মাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা মাথায় রেখে বর্ষার আগেই এইডিস মশার এই উপস্থিতিকে আশঙ্কাজনক বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

এজন্য মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

ঢাকার মিরপুরের লালকুঠি এলাকায় ২৪ মার্চ গিয়ে দেখা যায়, মশার ওষুধ ছিটাতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছিল তিনজনের একটি দল। তাদের দুজন বিভিন্ন জায়গায় মশার লার্ভা খুঁজছিলেন, একজন ছিটাচ্ছিলেন ওষুধ।

তাদের মধ্যে যে দুজন লার্ভা খুঁজছিলেন তারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণাগারের কর্মী। অন্যজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা বিভাগের মশক নিয়ন্ত্রণকর্মী।

মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকার এই নগর সংস্থাটি নিয়মিত বিভিন্ন এলাকা পর্যবেক্ষণে রেখেছে, এজন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি আছে তাদের।

দলটির সঙ্গে লালকুঠির প্রথম কলোনির ১৫টি বাসায় গিয়ে ফেলে রাখা কলসি, পানি জমিয়ে রাখার ড্রাম এবং পানির মিটারে এইডিস মশার লার্ভা দেখা গেছে। ওইসব বাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেছে, বেশিরভাগ পাত্রেই লার্ভা জমেছে তাদের অসচেতনতায়।

কলোনির একটি টিনশেড বাসায় থাকা বটগাছের নিচে একটি কলসি রাখা। দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় ওই কলসিতে পানি জমে আছে। আর তাতে জমে জন্মেছে এইডিস মশার লার্ভা।

সে বাসার একজন ভাড়াটিয়া বলেন, বাড়িওয়ালা বটগাছের নিচে ওই কলসি রেখেছেন। পরিষ্কার করা হয়নি হয়তো, এ কারণে মশা ডিম পাড়ছে হয়তো।

ওই কলোনির আরেকটি বাড়িতে পানি রাখার দুইটি ড্রামে এইডিস মশার লার্ভা পান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে আসা এই কর্মীরা। ওই বাড়ির মালিকের মেয়ে ডায়না আক্তার বলছিলেন, এলাকার লাইনে ঠিকমত পানি আসে না। এজন্য পানি জমিয়ে রাখতে হয়।

রাত ৩টা-৪টার দিকে পানি আাসে। প্রতিদিন বালতিতে পানি ভরি, থালাবাসন ধোয়ার কাজে তা ব্যবহার করি। পানি তো ঢাকনা দিয়ে রাখি। এরপরও মশা সেখানে ডিম পাড়ল কীভাবে বুঝতে পারছি না। ঢাকনা দিয়ে রাখলেও লার্ভা পাওয়া যায়

প্রথম কলোনির ২২৭/ডি নম্বর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির উঠানে রাখা একটি বড় বালতিতে পানি জমানো। পানি জমে আছে আরেকটি ছোট বালতিতেও। পরীক্ষা করে দুটি বালতিতেই এইডিস মশার লার্ভা পান জরিপে আসা কর্মীরা।

যাদের ঘরের বালতিতে লার্ভা পাওয়া গেছে তারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি।

ওই বাড়ির আরেকটি বাসার বাসিন্দা হেনা বেগম বলেন, আমাদের বাসায় কোনো মোটর নাই, এজন্য টেনে পানি আনা যায় না। সাপ্লাইয়ের যে পানি আসে তা বালতিতে জমাইয়া রাখতে হয়। এ কারণে মনে হয় মশা ডিম পাড়ছে।

ওই এলাকায় মশার উপস্থিতি কেমন জানতে চাইলে মো. তরিকুল ইসলাম নামে একজন বলেন, বাসায় প্রচুর মশা। রাতে ঘুমাতে কষ্ট হয়। মশার কয়েল জ্বালাই, মশারি টানাই, তাও কামড়ায়, বেশি কামড়ায় বাচ্চাদের।

মশার গতিপ্রকৃতি, প্রজাতি বৈচিত্র, মৌসুমী অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে ডিএনসিসি। মশা ধরার জন্য পাঁচটি অঞ্চলে ফাঁদ পাতা হয়েছে, যাকে ডিএনসিসি বলছে সেনটিনাল সাইট। একটি সাইটে লাইট ট্র্যাপ,এইডিস এক্স স্মার্ট ট্র্যাপ ও গ্র্যাভিড ট্র্যাপ- এই তিন ধরনের ফাঁদ থাকে।

লাইট ট্র্যাপে সব ধরনের পূর্ণবয়স্ক মশা ধরা হয়। এইডিস স্মার্ট ট্র্যাপে পূর্ণবয়স্ক এইডিস মশা এবং গ্র্যাভিড ট্র্যাপে এইডিস মশা ডিম পাড়ে, সেখান থেকে লার্ভা হয়।

প্রতি সাতদিন পর পর এসব ফাঁদ পরীক্ষা করা হয়। ফাঁদে পাওয়া মশার সংখ্যা গণনা করে ওই এলাকায় মশার উপস্থিতির একটি ধারণা নেওয়া হয়।

মিরপুরের লালকুঠি এলাকায় ডিএনসিসির ১০ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারেও এই ফাঁদ বসানো হয়েছে।

২৪ মার্চ কমিউনিটি সেন্টারের ওই ফাঁদে মশা দেখতে যান মশক নিয়ন্ত্রণকর্মীরা। লাইট ট্র্যাপে শত শত মশা মরে আছে। আর এইডিস স্মার্ট ট্র্যাপে দুটি পূর্ণ বয়স্ক মশা পাওয়া গেছে। তবে গ্র্যাভিড ট্র্যাপে কোনো লার্ভা পাওয়া যায়নি। ফাঁদে কতগুলো মশা পাওয়া গেছে সে বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি তারা। তবে তারা জানান, সংখ্যাটি অনেক।

পরিস্থিতি কেমন

সোমবার লালকুঠি এলাকার প্রথম কলোনির ১৫টি বাড়ি পরিদর্শন করে পাঁচটি বাড়িতে ছয়টি পাত্রে মশার লার্ভা পান ডিএনসিসির কর্মীরা। হিসাব করে দেখা গেছে, এতে ওই এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ৪০ ও হাউজ ইনডেক্স ৩৩ দাঁড়ায়।

কোনো এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ২০ ও হাউজ ইনডেক্স ১০ এর বেশি হলে সেখানে মশার ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি আছে বলে ধরে নেন কীটতত্ত্ববিদরা।

কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর আহমেদ বলেন, এটা খুবই হাইলি উপস্থিতি। সামনে বর্ষায় মশা আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে। গত বছর চিকুনগুনিয়ায় অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। এবারও ডেঙ্গুর পাশাপাশি চিকুনগুনিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, ডিএনসিসির সঙ্গে চুক্তির থাকায় তারা জরিপের কোনো তথ্য দিতে পারবেন না। তথ্যের জন্য ডিএনসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

তবে কবিরুল বাশার বলেন, এখন বৃষ্টি নাই, এখন যদি ব্রুটো ইনডেক্স ৪০ হয় বৃষ্টির সময় সেটা ৮০ হয়ে যাবে। মানে মশার উপস্থিতি থাকবে আশঙ্কাজনক।

এ কারণে বছরের শুরুতে বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই যদি আমরা এইডিস মশার প্রজননস্থল নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। তাহলে বর্ষা মৌসুমে মশার উপদ্রব কম হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী দাবি করেন, গত দেড় মাস ধরে এইডিস এবং কিউলেক্স- দুই ধরনের মশার উপস্থিতিই কমেছে। এ কারণে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও কমেছে।

কিছু কিছু পকেট এলাকায় বিশেষ করে উত্তরার কিছু এলাকায় কিউলেক্স মশা কিছুটা পাওয়া যাচ্ছে। মশা নিয়ন্ত্রণে আমরা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি। নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তারপরও মানুষের অসচেতনতায় কিছু এলাকায় মশা জন্মাচ্ছে। অনেক বাড়িতে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের কর্মীদের ঢুকতেই দেওয়া হয় না, সেখানে ওষুধ দিবে কীভাবে?

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, শনিবার পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হওয়া রোগীসহ চার মাসে সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০২। তাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২০২৪ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন। মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের।

যন্ত্রণা দিচ্ছে কিউলেক্স মশা

ঢাকায় শীতের পর থেকে শুরু হয়েছে কিউলেক্স মশার উপদ্রব। বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তারা অভিযোগ করেছেন, এই মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ তারা।

ডোবা-নালা পরিষ্কার না করা এবং মশার ওষুধ না ছিটানোর কারণে কিউলেক্স মশার উপদ্রব বেড়েছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর।

ঢাকার ভাসানটেক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ভাসানটেক বস্তির মাঝখানের ঝিলটি কচুরিপানায় ভর্তি। এই জলাধার পরিষ্কার করা হয় না। তাই বদ্ধ পানিতে কিউলেক্স মশার বংশ বিস্তার হচ্ছে।

ভাসানটেক বস্তির বাসিন্দা আহমেদ আলী বলেন, বিকাল থাইকা মশার অত্যাচার শুরু হয়। কোনো জায়গায় দাঁড়ানোর উপায় থাকে না। সারাক্ষণ কানের কাছে ভনভন করে।

মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকার গৃহিনী জেমমিন আক্তার বলেন, বিকেলেই বাসায় মশার কয়েল জ্বালিয়ে দিই। রাতে ঘুমানোর আগে কয়েল নিভিয়ে মশার টানিয়ে নিই। কিন্তু তারপরও মশার হাত থেকে বাঁচার উপায় থাকে না। কোনো কারণে বাইরে বের হলেই ভেতরে মশা ঢুকে যায়। বাচ্চাটাকে কামড়ায় বেশি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মশার উপস্থিতি নিয়ে কোনো জরিপ করছে না। এ কারণে ওই এলাকায় বর্তমানে মশার পরিস্থিতি কী তা বোঝার উপায় নেই।

তবে গত বছরের নভেম্বর মাসে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় জরিপের ফলে দক্ষিণ সিটিতে মশার উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে।

সে জরিপ অনুযায়ী, তখন দুই সিটি করপোরেশনের ৯৯টি ওয়ার্ডের ৫৬টি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ওয়ার্ড ছিল ৩৫টি; বাকি ২১টি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি)।

আসছে বর্ষায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী প্রস্তুতি জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত পারভীন বলেন, কিউলেক্স মশার উপদ্রব কমে এসেছে। আর সামনে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে। আমরা সে অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করেছি। মশার ওষুধ ছিটানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি আমরা মানুষকে সচেতন করব।


আরও খবর



দূর্গন্ধের কারণ খুজতে গিয়ে মিললো ভাই ও বোনের মৃতদেহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় দূর্গন্ধে অতিষ্ট প্রতিবেশীরা দূর্গন্ধ আসছে কোথা থেকে সেটি জানতে গিয়ে দেখতে পান ঘরের ভেতর ভাই ও বোনের অর্ধগলিত মৃতদেহ। সাথে সাথে ঘটনাটি থানা পুলিশ কে জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক রিপোর্ট অন্তে ভাই-বোনের দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। নওগাঁর পোরশা থানা পুলিশ গত সোমবার সকাল ৮টার দিকে পোরশা উপজেলার পূর্ববাড়ি গ্রামে থেকে ভাই-বোন দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। নিহত দুই ভাই বোন হলেন, পোরশা উপজেলার পূর্ববাড়ি গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে নূর মোহাম্মদ ওরফে নুরু (৫৪) ও মেয়ে রেজিয়া বেগম (৫৭)। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই একই বাড়িতে দুই ভাই-বোন বসবাস করে আসছিলেন। কিছুদিন যাবত তাদের বাড়ির লোকজন বাড়ি থেকে বাহীরে যাতায়াত দেখতে পাচ্ছিল না। এছাড়া বাড়ীর মূল দরজায় বাহির থেকে তালা লাগানো ছিলো। ঘটনার দিন সকালে ঘরের ভিতর থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হওয়ায় প্রতিবেশীরা ঘরের জানালার থাই গ্লাস খুলে দেখতে পান রেজিয়া'র মৃতদেহ দরজার কাছেই উপুর অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। ঘটনাটি পোরশা থানা পুলিশে জানালে। প্রথমে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার পর ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানালে পরবর্তীতে পিবিআই এবং সিআইডি'র নেতৃত্বে পোরশা থানা পুলিশ, স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিকট আত্মীয়দের উপস্থিতিতে ঘরের দরজার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে রেজিয়া খাতুনের মৃতদেহ মেঝেতে উপুর অবস্থায় এবং তার ভাই নূর মোহাম্মদের মৃতদেহ তার শয়ন কক্ষে পড়ে থাকতে দেখতে পান। তাদের দুই ভাই ও বোনের মৃত্যু রহস্যজনক বলেই মন্তব্য স্থানিয়দের।

এব্যাপারে পোরশা থানা অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সকালে দুই ভাই-বোনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। যেহতি ময়না তদন্ত করা হয়েছে এজন্য ময়না তদেন্তর রিপোর্ট হাতে পেলে তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। জানিয়ে তিনি আরো বলেন, তারা নিজেদের বাড়িতে দুই ভাই-বোন বসবাস করতেন। নূর মোহাম্মদ কিছুটা মানষিক ভারসাম্যহীন হলেও বোন রেজিয়া বেগম সুস্থ ছিলেন। গত কয়েক দিন থেকে এলাকাবাসী তাদের দেখতে পায়নি। দূর্গন্ধ ছড়ানোর পর প্রতিবেশীরা গিয়ে তাদের মৃতদেহ দেখে থানায় সংবাদ দেয়।


আরও খবর



বাবা ভান্ডারীর ওরশে লাখ লাখ ভক্তের ঢল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি বিএসপি'র চেয়ারম্যান  শাহজাদা ডঃ সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আলহাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন,আউলীয়া কেরামদের মত ও পথই সঠিক পথ। তিনি বলেন,মাজার ভেঙে নয়, বরং আউলীয়া কেরামদের প্রতি মহব্বতই এনে দিতে পারে শান্তি ও সম্প্রীতি। উপমহাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করেছে ওলি,আউলীয়া,সূফী, সাধকরা।মাজার পন্থীরা কখনো দেশের অশান্তি কামনা করেনা।

৪ এপ্রিল (শুক্রবার)জুম্মার নামাজে খুতবায় তিনি এসব কথা বলেন। মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে হযরত গাউসুল আজ সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবা ভাণ্ডারী (ক:) ৮৯ তম শরীফ উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ ভক্ত আশেকানের ঢল নামে।

৫ এপ্রিল শনিবার ২২ চৈত্র ওরশ শরীফের প্রধান ও শেষ দিবস। আখেরি  মোনাজাত পরিচালনা করবেন, বাবাভাণ্ডারী'র( ক:) প্রভাব প্রপৌত্র, দরবারের সাজ্জাদানশীন ও মোন্তাজেম শাহ সুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী (ম:জি:আ)

ওরশ শরীফকে কেন্দ্র করে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডরীয়াসহ  ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে খতমে কোরআন, খতমে গাউছিয়া শরিফ , গাউসুল আজম বাবাভাণ্ডারী (ক:) রওজায় নতুন গিলাপ ছড়ানো,ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, যৌতুক, মাদক, অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে গণ সচেতনতায় ক্যাম্পিং,ওয়াজ, মিলাদ,ছেমা- কাওয়ালী, তবরুক বিতরণ।


আরও খবর



নওগাঁয় লুটপাটের পর বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া মামলায় ৯ জন আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দায় জমি নিয়ে বিরোধের ধরেধরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের পর বসতবাড়ি আগুন দেওয়া মামলায়  ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের বিলউথরাইল গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। 

এঘটনায় ভুক্তভোগী আতাউর রহমান বাদি হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩০-৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তবে মামলার অন্য আসামীরা পলাতক রয়েছেন বলে স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। 

আতাউর রহমান ঐ গ্রামের মৃত ফজের আলীর ছেলে। বিবাদমান একটি জমি নিয়ে বিলউথরাইল পশ্চিমপাড়া গ্রামের লোকজনের সঙ্গে ভুক্তভোগী আতাউর রহমানের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। 

সংবাদ পেয়ে ঐ রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম। বৃহস্পতিবার ৩ মার্চ গ্রেফতারকৃত ৯ জনকে নওগাঁ জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত ৯ জন হলেন, তুহিন আলী (৪০), বুলবুল আহমেদ সুমন (৩২), মাইনুল ইসলাম (৩৯), মারুফ হোসেন (১৯), পিয়াস আহমেদ (১৯), ফিরোজ হোসেন (২৬), আবু সাইদ মন্ডল (৪৫), বিদ্যুৎ হোসেন গাইন (৩৬) ও এমাজ উদ্দিন মন্ডল (৫৫)।

ভুক্তভোগী আতাউর রহমান বলেন, আমার কবলাকৃত সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে জবর দখল করে রেখেছেন বিলউথরাইল পশ্চিমপাড়ার লোকজন। আদালতের রায়ের পরও ঐ সম্পত্তিতে যেতে পারছি না। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।

আতাউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে পশ্চিমপাড়ার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আমার বসতবাড়িতে হামলা করে। হামলাকারীরা ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে আমাদের স্ব-পরিবারে হত্যার উদ্দেশ্যে বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলাকারীদের দেয়া আগুনে পুরো বাড়ির টিনের ছাউনি, দুটি মোটরসাইকেল, জমির দলিল পত্রসহ যাবতীয় আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমরা কোনোভাবে প্রাণে বেঁচে যাই।

এ ঘটনায় মামলার অন্য আসামীরা পলাতক থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর রহমান বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আতাউর রহমানের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে আতাউর রহমান বাদি হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। রাতেই যৌথ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৯ জনকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবারে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি সন্তুষ্ট না

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ না পাওয়ায় অসন্তুষ্ট বিএনপি।

বুধবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পৌনে দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ জানাননি। তিনি ডিসেম্বর থেকে জুন মাসের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি, ডিসেম্বর নির্বাচনের কাট অফ সময়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে যদি দেশে নির্বাচন না হয়, তবে দেশে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তা আরো খারাপের দিকে যাবে। তখন এটি নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন হবে।

এখন বিএনপি কী করবে—এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দলের সঙ্গে এবং আমাদের মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাব।



আরও খবর