Logo
শিরোনাম

সাইবার ক্রাইম আসলে কী ? যেভাবে প্রতিকার পাবেন

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

মফিজুর রহমান, অ্যাডিশনাল সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ :

সাইবার ক্রাইম বা সাইবার অপরাধ কাকে বলে? তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইনে যে অপরাধসমূহ সংঘটিত হয় তাকে সাইবার অপরাধ বা সাইবার ক্রাইম বলে।

প্রযুক্তির সহজলভ্যতা বিশ্বের অপার জ্ঞানভাণ্ডারকে উন্মুক্ত করে দিয়ে যেমন অভাবনীয় উন্নয়নের দ্বার উন্মোচন করেছে তেমনি ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে নানাবিধ অপরাধ কৌশল উদ্ভাবনের ফলে 'নেটওয়ার্কভিত্তিক অপরাধ বা সাইবার ক্রাইম'-এর মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে প্রায়ই ঘটা সাইবার অপরাধসমূহের মধ্যে রয়েছে আইডি হ্যাকিং, উগ্র ও বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য/অডিও/ভিডিও প্রচার, ফেইক অ্যাকাউন্ট তৈরি, সাইবার বুলিং বা হ্যারাসমেন্ট, প্রশ্নপত্র ফাঁস, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, অনলাইন মাল্টি লেভেল মার্কেটিং ও গ্যাম্বলিং ইত্যাদি। তাই অনলাইনে সুরক্ষিত থাকতে হলে আমাদের সাধারণ কিছু নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

অনলাইনে নিরাপদ থাকার জন্য সাধারণ সতর্কতা

ব্যক্তিগত ফোন/ল্যাপটপ বা অন্য যে কোনো পাবলিক ডিভাইসে অনলাইন মাধ্যম ব্যবহারের পর যথাযথভাবে লগআউট হতে হবে।

আপনার পরিচিতজনের বিপদের কথা জানিয়ে ই-মেইল অথবা মেসেজ আসলে আগে যাচাই করুন এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।

লটারি/মূল্য হ্রাস বা কোনো আকর্ষণীয় সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব দিয়ে কোনো লিঙ্ক প্রেরণ করা হলে সেই লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে, ই-মেইলে বা ইনবক্সে প্রেরিত কোনো অপরিচিত এ্যাটাচমেন্ট ওপেন করা যাবে না।

অপরিচিত কাউকে ফ্রেন্ডস লিস্টে এ্যাড করা যাবে না। অনলাইনে পরিচিত হওয়া কোনো ব্যক্তি কোনো স্থানে দেখা করতে চাইলে তা এড়িয়ে চলতে হবে।

নিজের ব্যবহৃত পুরোনো ফোন/ল্যাপটপ অন্য কারও ব্যবহারের উদ্দেশ্যে দেওয়ার সময় নিজের সকল ব্যক্তিগত তথ্য ভালোভাবে ডিলিট করতে হবে।

সকল সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টের সিকিউরিটি অপশনে থাকা প্রাইভেসি সেটিংস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নিজের ব্যক্তিগত তথ্যের এ্যাকসেস সবার কাছে দেওয়া যাবে না।

একই পাসওয়ার্ড একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টের জন্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করুন। এমনভাবে সংরক্ষণ করুন যেন অন্য কেউ সহজেই তা খুঁজে বের করতে না পারে।

অপরিচিত কারও সাথে অনলাইনে চ্যাট করা, ব্যক্তিগত ছবি শেয়ার করা বা কোনো সম্পর্কে জড়ানো নিরাপদ নয়। ব্যক্তিগত কোনো মূহুর্তের ছবি কোনো ডিভাইসে সংরক্ষণ করা যাবে না।

সাইবার বুলিংয়ের উদ্দেশ্যে কেউ আপত্তিকর মেসেজ পাঠালে তার উত্তর না দিয়ে বা প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে স্ক্রিনশট নিতে হবে এবং পুলিশের সহযোগিতা চাইতে হবে।

“Google Yourself" গুগলে নিজের নাম সার্চ দিয়ে দেখতে হবে আপত্তিকরভাবে কোথাও নিজের নাম বা ছবি ব্যবহার করা হয়েছে কি না।

কোনো একাউন্ট থেকে বিব্রতকর ছবি বা মেসেজ পাঠানো হলে সে একাউন্ট ব্লক করে দিতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে বা অন্যের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে কোনো মন্তব্য করা যাবে না।

সঠিকভাবে যাচাই না করে কোনো ধরনের গুজব বা মিথ্যা তথ্য শেয়ার করা যাবে না।

ব্যবহার্য সকল ডিভাইসে ভালো মানের এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।

প্রতিনিয়ত bank statement লক্ষ্য করবেন, যদি আপনি লক্ষ্য করেন কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত transaction হচ্ছে অতিসত্বর ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানান।

আপনি যে বিষয় সম্পর্কে জানেন না অর্থাৎ অজানা উৎস থেকে কিছু ডাউনলোড করবেন না।

প্রতিনিয়ত আপনার সফটওয়্যার আপডেট রাখুন।

কোনো ব্যক্তিগত তথ্য প্রবেশের আগে আপনি বৈধ ওয়েবসাইটে রয়েছেন কি না তা পরীক্ষা করে দেখুন।

ভিপিএন ব্যতীত এনক্রিপ্ট না করা পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করবেন না।

পর্ন সাইটগুলোতে এমন ভাইরাস রয়েছে যা আপনার ফোন / কম্পিউটারে হ্যাক করতে পারে এবং আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ডের মতো সংবেদনশীল তথ্যে অ্যাক্সেস পেতে পারে। তাই এই সাইটগুলোতে যাওয়া খুবই তথ্য সম্পর্কিত ঝুঁকি থাকে।

আপনার মোবাইল নম্বর সামাজিক মিডিয়া বা সন্দেহজনক বা অজানা ওয়েবসাইটগুলোতে শেয়ার করবেন না।

ফোন থেকে সমস্ত অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন ডিলিট করে ফেলুন।

আপনার ডিভাইসটি বিক্রি করার আগে আপনার সংবেদনশীল অ্যাপ্লিকেশনগুলো এবং ফোনটিকে ফরম্যাট করে নিন।

ফেসবুক একাউন্টের নিরাপত্তা বিধানে করণীয়

সহজে অনুমানযোগ্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। ব্যক্তিগত তথ্য যেমন: জন্ম তারিখ, নিজের নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ইত্যাদি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

Capital letter, small letter, number & symbol মিলিয়ে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। পাসওয়ার্ডকে অনেকটা টুথব্রাশের মতো ব্যবহার করতে হবে- আমরা যেমন একটি ভালো টুথব্রাশ বেছে নেই, কারও সাথে তা শেয়ার করি না এবং অন্তত তিন মাস পর পর তা পরিবর্তন করি, ঠিক একইভাবে পাসওয়ার্ড কারও সাথে শেয়ার করা যাবে না এবং নির্দিষ্ট সময় পর তা পরিবর্তন করতে হবে।

Two factor authentication অপশন চালু রাখতে হবে (ফেসবুকের সেটিংস থেকে Security & login > use two-factor authentication এ গিয়ে মোবাইল নম্বর কিংবা ই-মেইল যুক্ত করতে হবে) অন্য কেউ লগইন করতে চাইলেও এই ই-মেইলে বা মোবাইল নম্বরে আসা কোড জানতে পারবে না বিধায় সুরক্ষিত থাকা যাবে।

জন্ম তারিখ, ফোন নম্বরসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত রাখা যাবে না। এতে বিভিন্ন রকমের হয়রানি ও প্রতারণা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা সহজ হবে।

ফেসবুকের ক্ষেত্রে Trusted Contact-এ ৩ থেকে ৫ জন বিশ্বস্ত ফেসবুক বন্ধুকে যুক্ত রাখতে হবে। এর ফলে আইডি হ্যাক হয়ে গেলেও তা উদ্ধার করা সহজ হবে।

ফেসবুকের Privacy Settings অপশনটি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি, পোস্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে প্রোফাইল লক করে রাখতে হবে।

স্ট্যাটাস বা ব্যক্তিগত ছবি প্রাইভেসি নিশ্চিত করে শেয়ার করতে হবে। ফেসবুকে নিজের জীবনাচরণ যত বেশি উন্মুক্ত হবে তত বেশি ঝুঁকি থাকবে।

ফেসবুক একাউন্ট খোলার সময় জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নাম ও জন্ম তারিখ ব্যবহার করতে হবে। এতে আইডি হ্যাক হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হবে।

অপরিচিত কারো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট না করা উত্তম। অথবা একসেপ্ট করার পূর্বে যাচাই করা বা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ।

ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয়

প্রথমেই http://www.facebook.com/hacked লিঙ্কে প্রবেশ করতে হবে।

এরপর “Someone else got into my account without my permission”- এ ক্লিক করতে হবে। হ্যাক হওয়া একাউন্টটির তথ্য চাওয়া হলে সেখানে উল্লেখ করা ২টি অপশনের (ই-মেইল বা ফোন নম্বর) যে কোনো একটির ইনফরমেশন দিতে হবে।

এরপর “My account is compromised” এ ক্লিক করতে হবে। হ্যাক হওয়া একাউন্টটির তথ্য চাওয়া হলে সেখানে উল্লেখ করা ২টি অপশনের (ই-মেইল বা ফোন নম্বর) যে কোনো একটির ইনফরমেশন দিতে হবে।

প্রদত্ত তথ্য সঠিক হলে প্রকৃত একাউন্টটিই দেখাবে এবং বর্তমান অথবা পুরাতন পাসওয়ার্ড চাইবে; এখানে পুরাতন পাসওয়ার্ডটি দিয়ে “Continue” করতে হবে।

হ্যাকার যদি ই-মেইল এ্যাড্রেস পরিবর্তন করে না থাকে তাহলে আগের ই-মেইলে রিকভারি অপশন পাঠানো হবে। এর মাধ্যমে হ্যাকড ফেসবুক একাউন্ট উদ্ধার করা সম্ভব।

হ্যাকার যদি ই-মেইল এ্যাড্রেস, ফোন নম্বরসহ লগইনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পরিবর্তন করে থাকে তাহলে, Need another way to authenticate? > Submit a request to Facebook এ ক্লিক করলে ফেসবুক প্রোফাইলটি উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও আইডি সরবরাহের ফর্ম পূরণের মাধ্যমে হ্যাকড ফেসবুক এ্যাকাউন্ট উদ্ধার করা সম্ভব।

গোপনীয় বা ব্যক্তিগত কন্টেন্ট ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হলে করণীয়

কারও কোনো গোপনীয় বা ব্যক্তিগত কন্টেন্ট ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে যা করণীয়:

যে পোস্টের মাধ্যমে গোপনীয় বা ব্যক্তিগত কন্টেন্ট ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছে সে পোস্টের ডানদিকে রিপোর্ট করার অপশনে গিয়ে Find support or report post এ ক্লিক করতে হবে।

অপশনে থাকা বিভিন্ন ইস্যু যেমন - Fake news, violence, harassment ইত্যাদির মধ্য থেকে উপযুক্ত বিষয়টি নির্বাচন করতে হবে।

ভুক্তভোগী নিজে কিংবা তাঁর ফেসবুক বন্ধুরা Me/My friends থেকে উপযুক্ত অপশনটি নির্বাচন করে মিথ্যা বা মানহানিকর পোস্টটির বিরুদ্ধে রিপোর্ট করতে পারেন।

সংশ্লিষ্ট পোস্টটির সম্পূর্ণ লিঙ্কসহ স্ক্রিনশট নিয়ে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে যা পরবর্তীতে যেকোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে সহায়ক হবে।

গোপনীয় বা ব্যক্তিগত কনটেন্ট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে হয়রানি কিংবা বিড়ম্বনার শিকার হলে কালক্ষেপণ না করে নিকটস্থ থানা পুলিশকে অবহিত করতে হবে এবং পুলিশের কোনো সাইবার ইউনিটকে অবহিত করতে হবে।

সাইবার ক্রাইমের শিকার হলে প্রাথমিকভাবে থানায় অভিযোগ করা যেতে পারে; অথবা আইনজীবীর সহায়তা নিয়ে সরাসরি সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা যেতে পারে। (দেশের একমাত্র সাইবার ট্রাইব্যুনাল ঢাকায়)। পাশাপাশি নিম্নবর্ণিত যে কোনো হেল্প ডেস্কের সহযোগিতা নেওয়া যাবে:

১। সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন, কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, ৩৬, মিন্টো রোড, রমনা, ঢাকা। হেল্পডেস্ক নম্বর: ০১৭৬৯৬৯১৫২২। ই-মেইল: [email protected]

২। সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডি, ফোন: ০১৩২০০১০১৪৮ ই-মেইল: https://cid.gov.bd/

৩। ফেসবুক পেইজ-পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন (পিসিএসডব্লিউ)। ফোন নম্বর: ০১৩২০০০০৮৮৮ ই-মেইল: [email protected]

৪। হ্যালো সিটি এ্যাপস (ডাউনলোড ফ্রম গুগল প্লে স্টোর)

৫। রিপোর্ট টু র‍্যাব এ্যাপস (ডাউনলোড ফ্রম গুগল প্লে স্টোর)

৬। পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন যেতে পারে

৭। এছাড়াও নিম্নোক্ত পেইজে সংযুক্ত থাকা যেতে পারে-

facebook.com/cyberctdmp, facebook.com/dmpdhaka, facebook.com/cpccidbdpolice



আরও খবর

হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ফিচার আসছে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪

মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪




শ্রেণিকক্ষে পাঠ বা কোচিং ছাড়াই উচ্চ মাধ্যমিকে উপজেলায় প্রথম হলেন ফাতেমা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

হাফেজ উম্মে ফাতেমা। কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন বটে। কিন্তু কোন শ্রেণিক্ষ বা শিক্ষকের সাথে নেই কোন পরিচয়। একদিনও শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহন করেননি। বাড়িতে ছিলোনা কোন প্রাইভেট পড়ার শিক্ষকও। অথচ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উপজেলায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি। ২০২৩ সালে সরকারি সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে তিনি ১৩০০ ’র মধ্যে ১১৬৫ নম্বর পেয়েছেন।

কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, হাফেজ উম্মে ফাতেমা অভাবনীয় মেধার অধিকারি। সে একদিনও কলেজে ক্লাশ বা কোচিং করেনি। বাড়িতে একাই তার পাঠ চর্চা করেছে। সে আমাদের কলেজের মুখ উজ্জল করেছে। হাফেজ উম্মে ফাতেমা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবেন আশাকরি।

উম্মে ফাতেমা মাত্র ৮ বছর বয়সে পবিত্র কোরআনের হেফ্জ শেষ করেছেন। সে কারনে তার নাম এখন ‘হাফেজ উম্মে ফাতেমা’। তার পিতা মো. টিপু সুলতান আমতলী ইসলামীয়া কামিল মাদরাসার ইংরজি বিষয়ে অধ্যাপক। মা শিউলি খাতুন একজন গৃহিনী। তবে তিনি লোক প্রশাসন বিষয়ে অনার্স মাষ্টারস্ শেষ করেছেন।  

হাফেজ উম্মে ফাতেমা ভবিষ্যতে বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করতে চান। সে লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারিভউ দিয়ে খ ইউনিটে টিকেছেন। ইংরেজি, অর্থনীতি বা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করতে আগ্রহী হাফেজ উম্মে ফাতেমা। 


আরও খবর



বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির দাবিতে মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলে সিট ফিরিয়ে দেয়া, বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালু করা, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাধাদানকারী বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিচারের আওতায় আনা এবং বুয়েটসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মৌলবাদী-জঙ্গীবাদী তৎপরতার মূলোৎপাটন করার দাবিতে দাবিতে মানববন্ধন করেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পাশের রাস্তায় এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

এতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীল  ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির উপস্থিত ছিলেন । 

বক্তব্যে তারা বলেন, ছাত্ররাজনীতি বন্ধের নামে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের আস্ফালন মেনে নেয়া হবে না। মৌলবাদী গোষ্ঠীর কালোছায়া থেকে মুক্ত করে বুয়েটের নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি ফিরিয়ে দিতে হবে। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ সম্পূর্ণ  অসাংবিধানিক, মানবাধিকার পরিপন্থী ও শিক্ষা বিরোধী সিদ্ধান্ত ছাড়া নচেৎ কিছুই নয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। 

প্রসঙ্গত, এর আগে ১ এপ্রিল বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনতে  এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।


আরও খবর



৫৪ জেলায় বইছে তাপদাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

সবচেয়ে উষ্ণতম মাস এপ্রিল তাই দেশের প্রায় সবখানে এখন তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে অবস্থায় দেশের ৫৪ জেলায় বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ আগামী তিনদিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অফিস

সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের দেওয়া পূর্বাভাসে তথ্য জানানো হয়েছে। রাঙামাটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্ব্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে

এদিকে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। তীব্র গরমে উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ। এতে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুন

আবহাওয়া অফিস বলছে, রংপুর ,নীলফামারী, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা,বরিশাল ,চট্টগ্রাম, সিলেটে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ পরবর্তীতে সারা দেশে বিস্তার লাভ করতে পারে কোনো কোনো জেলায় তাপমাত্রা  উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রির ওপরে

আবহাওয়াবিদ শাহীনুর ইসলাম জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার রংপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

এদিকে গত চারদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু মাঝারি তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে মানুষ বাইরে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। সকাল ১০টার পর থেকে রোদের তাপে তেতে উঠছে চারপাশ। জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেশিরভাগ দিনই ৩৮ ডিগ্রির ওপরে থাকছে

এছাড়া গত দুইদিনের প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে  কুষ্টিয়ার জনজীবন। ঈদের পরদিন থেকে জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপদহের কারণে চরম বিপাকে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তারা বলছেন, প্রচন্ড তাপদাহের কারণে তাদের রাস্তায় বের হয়ে কাজ কর্ম করতে চরম কষ্ট হচ্ছে

কুষ্টিয়ার কুমারখালী আবহাওয়া অফিস বলছে, কুষ্টিয়ায় সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৮ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে


আরও খবর

১৫টি রুটে যত বাড়ল ট্রেনের ভাড়া

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

আগামী ৮ মে থেকে অনুষ্ঠেয় সব ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

গত ২৫ মার্চের পর সোমবারই প্রথম বৈঠক করে স্থায়ী কমিটি। এতে উপজেলা নির্বাচন, ঢাকায় ইসরায়েল থেকে বিমান আসাসহ নানা ইস্যুতে কথা বলেন বিএনপির নেতারা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই রপ্ত করেনি। তাদের অধীনে সব জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের নানাভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়া এবং নির্বাচনি প্রচারণায় হামলা ও শারীরিক আক্রমণসহ পথে পথে বাধা দেওয়া হয়। অনেককেই মনোনয়ন পত্র জমা দিতেও দেওয়া হয়নি।

অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মিত্র হতে পারে না বলে মনে করে বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, এই সরকার ভোট, সংবিধান, ভিন্নমত প্রকাশ, বহুদলের অংশগ্রহণে নির্বাচনসহ মানুষের সহজাত অধিকারগুলোকে নির্দয় দমনের কষাঘাতে বিপর্যস্ত করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তাই সহিংস সন্ত্রাসের ব্যাপক বিস্তারের ফলে এই অবৈধ সরকারের অপরাজনীতি ও নির্বাচনি প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বিএনপি আগামী ৮ মে থেকে শুরু হওয়া সব ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


আরও খবর



আসছেন কাতারের আমির, সই হবে ১১ চুক্তি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। তার এ সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারটি চুক্তি ও ছয়টি এমওইই। এ ছাড়া আলোচনায় প্রাধান্য পাবে মধ্যপ্রাচ্য সংকট ও রোহিঙ্গা সমস্যায় স্থায়ী সমাধানের বিষয়টি।

এছাড়া শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হবে। দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার বাংলাদেশে আসছেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তার এই সফরের বিস্তারিত গতকাল রবিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরেন হাছান মাহমুদ।

সফরটিকে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হবে। এই সফরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ কাতার হচ্ছে পেট্রোলিয়াম সমৃদ্ধ সর্বোচ্চ গড় মাথাপিছু আয়ের দেশ। শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং কূটনৈতিক মধ্যস্থতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ হিসেবে পরিচিত কাতার। বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজারও যেখানে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছে। পাশাপাশি এই সফর একটি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

স্বাধীনতার পর থেকেই কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক দিনের। কাতার বঙ্গবন্ধুকালীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী অন্যতম মুসলিম রাষ্ট্র। ২০২৩ সালে কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আবারও সুদৃঢ় হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কাতারের মহা মুহিম আমির বাংলাদেশ সফর করবেন।

সম্প্রতি কাতারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের কূটনৈতিক যোগাযোগ এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পরিধি বাড়ানোর লক্ষ্যে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ সৃষ্টি, জ্বালানি বিমান চলাচল, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। কাতারের আমিরের সফরে বাংলাদেশে ইকোনোমিক জোন করে দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমাদের সিরামিক আছে, আমাদের গার্মেন্ট প্রোডাক্ট আছে, আমাদের আরো অনেক এক্সপোর্ট আইটেম আছে, এগুলো রপ্তানি বাড়ানোর জন্য বলব। এছাড়া আমাদের ওষুধ আছে। এগুলো এখনো রপ্তানি হয়, এগুলো ভলিয়মটা আরো বাড়ানোর জন্য বলব। বাংলাদেশে যাতে তাদের ইনভেস্টমেন্ট হয়, বিশেষ করে আমাদের ইকোনোমিক জোনে যাতে তাদের ইনভেস্টমেন্ট হয় সেটাও আলোচনা করব। আমরা বিনিয়োগ চাইব, কাতার তো নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পারে, অর্থনৈতিক সেক্টরে বিনিয়োগ করতে পারে।


আরও খবর

১৫টি রুটে যত বাড়ল ট্রেনের ভাড়া

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪