Logo
শিরোনাম

সাকিব-মাহমুদউল্লাহকে ‘একটা ভালো মেমোরিস’ দিতে চান শান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image



স্পোর্টস রিপোর্টার:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৯তম দল হিসেবে গত পরশু দিন নিজেদের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করে বিসিবি। এই দল নিয়েই গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন টাইগাররা।

তবে তার আগে বুধবার শান্তবাহিনী সকালে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক অনুশীলন করেন। সেখান থেকে ড্রেসিং রুমে গিয়ে প্রস্তুত হয়ে বৈশ্বিক ক্রিকেট আসরে যাওয়ার আগে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন টাইগাররা।

সেখানে প্রথমে স্কোয়াডের ১৫ ক্রিকেটার পরবর্তীকালে কোচ ও বোর্ড সভাপতির সঙ্গে ফটোসেশন করা হয়। এরপর দুপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয় তরুণ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

সেখানেই আসন্ন বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে কথা বলেন। এ সময় এ বৈশ্বিক ক্রিকেট আসরে স্কোয়াডে থাকা দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ভালো স্মৃতি দেওয়ারও প্রত্যাশা করেন শান্ত।


সবশেষ ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগার স্কোয়াডে শান্তকে যুক্ত করার পর বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়। কারণ সে সময় ব্যাট হাতে ধারাবাহিক ছিলেন না তিনি।

তবে পরবর্তীকালে আসরটিতে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। পাঁচ ম্যাচে দুই ফিফটির ইনিংসের মধ্য দিয়ে ১৮০ করেন তিনি। সেখান থেকেই শান্তর ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। এরপর ২০২৩ সালটা তো কাটিয়েছেন স্বপ্নের মতো। যদিও সম্প্রতি ব্যাট হাতে খুব বেশি একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই শান্ত।

তবে বিশ্বকাপে দলের জন্য ভালো কিছু করতে পারবেন বলেই মনে করেন টাইগার তরুণ এ অধিনায়ক।

এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অবশ্যই আমার শেষ বিশ্বকাপটায় ভালো স্মৃতি রয়েছে। আমার মনে হয় সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। আশা করবে... এবার আমি বলব যে ব্যাটিং নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করছি, তা না, আমার যেই কঠোর পরিশ্রম করা কিংবা আমার যে জায়গায় উন্নতি করার দরকার, ঐ জিনিসগুলো আমি অনুশীলনে করছি, তো আমি আশা করছি এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ভালোভাবেই আবার ফিরে আসব।’

বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সবকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। তার পরই রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সব শেষ এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পেলে তিনিও সাকিবের পাশেই থাকতেন।

ধারণা করা হচ্ছে এই দুই ক্রিকেটারের এটাই এই ফরম্যাটে শেষ বিশ্বকাপ। কেননা তারা তাদের ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে রয়েছেন। সাকিবের বর্তমান বয়স ৩৭ বছর এবং মাহমুদউল্লাহর ৩৮। আর এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে এবারের আসরে বিশেষ কিছু উপহার দিতে চান তরুণ টাইগার অধিনায়ক।

এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখনো জানি না, এটা তাদের শেষ বিশ্বকাপ কি না, এটা একটা ধারণা। তবে তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে আমরা যারা আছি, অবশ্যই চাইব যে ওনারা এত লম্বা সময় ধরে খেলছেন, তাদেরকে একটা ভালো মেমোরিস দেওয়ার।


যে ভালো একটা বিশ্বকাপ শেষ করে তাদের উপহার দিলাম, অবশ্যই এটা আমাদের দায়িত্ব, সবার মধ্যেই অবশ্য তা থাকে। পাশাপাশি সাকিব ভাই রিয়াদ ভাইয়ের কাছে বাড়তি অতিরিক্ত কিছু চাই না। ওনারা যেভাবে পারফর্ম করছেন, যার যে রোল, সেটা যদি ঠিকভাবে পালন করতে পারেন, তাহলে দল অবশ্যই লাভবান হবে।

যে জিনিসটা চাইব, তাদের যেই অভিজ্ঞতাটা আছে সেটা যদি প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের মধ্যে ছড়িয়ে দেন, তাহলে আমাদের দলে যে ছোটো ছোটো জায়গাগুলোতে উন্নতির দরকার রয়েছে, সেগুলোতে খুব ভালো অবস্থানে থাকব।’

সাধারণত বিগত বছরগুলোতে দেখা গিয়েছিল, কোনো বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। করা হয় অনেক ক্রিকেটার ও নির্বাচককে নিয়ে সমালোচনাও। তবে এবার তেমনটি দেখা না গেলেও খানিকটা আলোচনার জন্ম দিয়েছে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়া নিয়ে। দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন যে, সাইফুদ্দিন তাদের চাওয়া পূরণ করতে পারেনি, তাই প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকলেও শেষ মুহূর্তে কাটা পড়েছে এই পেস অলরাউন্ডারের নাম।

আর সেখানেই সুযোগ পেয়েছেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। তাই স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়ককেও মুখোমুখি হতে হয় সাইফুদ্দিনের বাদ পড়া আর সাকিবের যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে।

এ নিয়ে শান্ত বলেন, ‘সাকিব আমার মনে হয়, এখন যে অবস্থানে আছে, ওর বলের পেসটা স্বাভাবিকভাবে সাইফুদ্দিনের থেকে একটু বেশি। এছাড়া সাইফুদ্দিনের কাছ থেকে আমরা যেই রকম আশা করছিলাম, ঐ অনুযায়ী সব মিলিয়ে একটু কমবেশি ছিল।


পুরো বিস্তারিত আমি বলতে চাই না। তবে দুই জনই খুব কাছাকাছি ছিল। তো আমাদের কাছে সাইফুদ্দিনের বিষয়টায় সাকিবের ওপর আত্মবিশ্বাস বেশি মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে কিংবা সেখানকার (বিশ্বকাপ) কন্ডিশন যদি চিন্তা করি, আমাদের মনে হয়েছে সাকিব বেটার অপশন হবে।’

ভিন্ন আরেকটি প্রশ্নের জবাবে এ প্রসঙ্গে অধিনায়ক আরও বলেন, ‘যে জিনিসটা হয়েছে, সাইফুদ্দিন-সাকিব দুই জনই খুবই কাছাকাছি ছিল। আমরা কাকে নেব, শেষ সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুই জনই সমান ম্যাচ খেলেছে, জিনিসটা এমন না যে কে আট উইকেট নিয়েছে কিংবা কে নেয়নি, সেটা চিন্তা করে এক জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে এক জনকে নেওয়া হয়েছে।

বিষয়টা হলো সব মিলিয়ে দলের কেমন প্রয়োজন টিমের জন্য...থাকে না বিশ্বাসের একটা ব্যাপার কারো ওপর হয়তো একটু বেশি ছিল কিংবা কারো ওপর একটু কম ছিল। আমাদের সবার কাছে মনে হয়েছে সাকিব ব্যাটার কিছু ডেলিভারি করতে পারবে দলের কম্বিনেশন অনুসারে।’

বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিনটি প্রস্তুতিমূলক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ২১, ২৩ ও ২৫ মে। এরপর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে টাইগাররা।


আরও খবর



নওগাঁয় এবার ৬ কোটি টাকা মূল্যের চামড়ার বাণিজ্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

এবার নওগাঁয় সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই চামড়া ক্রয়-বিক্রয় করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই চামড়া সংরক্ষণ করছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। এবার নওগাঁয় প্রকার ভেদে গরুর চামড়া ৩ থেকে ৭শত টাকা দরে বিক্রি হলেও ছাগলের চামড়া কিনে লোকসান গুনছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে সঠিক নিয়মে চামড়া সংরক্ষন করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৭৪ টন লবণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। তাই এবার নওগাঁয় চামড়া নষ্ট হয়নি এবং ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা মূল্যের বাণিজ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। সূত্রে জানা এবার কোরবানীর ইদে নওগাঁয় ৩লাখ ৭৮ হাজার গবাদিপশু জবাই করা হয়েছে যার মধ্যে সিংহভাগই হচ্ছে গরু। তবে এবার গরুর ল্যাম্পিস্কিন রোগে আক্রান্ত চামড়াগুলোর দাম একেবারেই নেই। এছাড়া গরুর চামড়ার দাম মিললেও প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ছাগলের চামড়ার দাম নেই। ব্যবসায়ীরা বলছেন শ্রমিক সংকট ও লবণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ছোট ছোট চামড়া সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। অপরদিকে কোম্পানিগুলোও ছোট ছোট চামড়াগুলো নিতে অনিহা প্রকাশ করে যার কারণে ছাগলের চামড়ার চাহিদা একেবারে না থাকার কারণেই এমন অবস্থার সৃষ্টি। এবার নওগাঁয় ছাগলের চামড়া প্রকার ভেদে ১০ থেকে ২শত টাকা মূল্য পর্যন্ত ক্রয় করা হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।অপরদিকে এবার সরকারের নির্ধারণ করা মূল্য অনুসারে সকল চামড়া ক্রয় করার ঘোষণা হওয়ায় লাভের আশায় গ্রামগঞ্জ থেকে একটু বেশি দামে চামড়া কিনে লোকসান গুনছেন মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা। এদিকে একটি চামড়াও যেন নষ্ট না হয় সেই লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো সরকারের পক্ষ থেকে নওগাঁর ১১টি উপজেলার বড় বড় বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিগুলোতে ৭৪ টন লবণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে যাতে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাপ্ত চামড়াগুলো পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সহজেই সংরক্ষণ করা যায়। তবে দীর্ঘদিন যাবত ধরে চামড়া নেওয়ার পর কোম্পানিরা ব্যবসায়ীদের পাওনা টাকা সঠিক ভাবে পরিশোধ করে না। তাই শুধু ইদুল আজাহাতেই নয় সারা বছরই একটি কমিটির মাধ্যমে চামড়া শিল্পকে মনিটরিং করার অনুরোধ জানিয়েছেন নওগাঁর চামড়া ব্যবসায়ীরা। নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার ফড়িয়া চামড়া ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম জানান, ভেবেছিলাম এবার চামড়া কিনে একটু লাভের মুখ দেখবো। কিন্তু প্রতিবছরের ন্যায় এবারোও লোকসান গুনতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের কাছে চামড়া বিক্রি করতে গেলে ক্রুটির শেষ নেই। তাই লোকসান দিয়েই চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে। আর ছাগলের চামড়ার তো কোন দামই নেই। তবে এবার চামড়া নিয়ে মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ম বন্ধ হয়েছে।

নওগাঁ চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, তারা সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই চামড়া ক্রয় করেছেন। তবে এবার শতকরা ২০ থেকে ৩০ ভাগ ল্যাম্পিস্কিন রোগে আক্রান্ত গরু জবাই করা হয়েছে। ফলে দাগ পড়া সেই চামড়াগুলো ফিট হিসেবে নয় কেজি হিসেবে কোম্পানিরা তাদের কাছ থেকে গড় মূল্যে ক্রয় করবে তাই তারাও সেই চামড়াগুলো কম দামে কিনতে বাধ্য হয়েছেন। তবে সরকারি ভাবে বিনামূল্যে লবণ গুলো যদি আদি চামড়া ব্যবসায়ীদের মাঝে দেয়া হতো তাহলে যে পরিমাণ চামড়া এবার নষ্ট হয়েছে তাও নষ্ট হতো না। যেসব প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে লবণ দেওয়া হয়েছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই জানে না কিভাবে চামড়া সংরক্ষণ করতে হয়। তাই তারা সেই লবণগুলো খোলাবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে।

নওগাঁ চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি মো. মমতাজ হোসেন বলেন, এবার নওগাঁতে ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা মূল্যের চামড়া ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। যদি কোম্পানিগুলো নগদ মূল্যে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া ক্রয় করে তাহলেই মঙ্গল। তবে ট্যানারী মালিকদের উপর নির্ভরশীল না হয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সারা বছরই যদি একটি কমিটির মাধ্যমে চামড়া শিল্পকে তদারকি করা হয় এবং চামড়া শিল্পে যে দুর্নীতি আর অনিয়মের সিন্ডিকেট আছে সেগুলো ভেঙ্গে দেয়া যায় তাহলে ধীরে ধীরে আবার চামড়া শিল্পের যৌবন ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন এই চামড়া ব্যবসায়ী। নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, নওগাঁয় চামড়া ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে যেন কোন প্রকারের অরাজকতার সৃষ্টি না হয় এবং সরকারের পক্ষ থেকে প্রদান করা লবণের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঈদের আগেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একাধিক সভা করা হয়েছে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে চামড়া নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেও প্রচার প্রচারণার চালানো হয়েছে। তাই এবার জেলায় চামড়া সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপগুলো মাঠ পর্যায়ে সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করায় দেশের জাতীয় সম্পদ চামড়া তেমন একটা নষ্ট হয়নি। এছাড়া প্রথমবারের মতো এবার সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে লবণ বিতরণ করায় মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ম বন্ধ হয়েছে। এছাড়া নওগাঁ জেলা ভারতের সীমান্তবর্তী হওয়াই এক ইঞ্চি চামড়াও যেন পাচার না হতে পারে সেই বিষয়টি কঠোর ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। ফলে এবার নওগাঁয় সুষ্ঠ ভাবে চামড়া ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।


আরও খবর



টিউলিপের সঙ্গে দেখা করবেন না ড. ইউনূস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস লন্ডন সফরের সময় লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করতে ড. ইউনূসকে দেখা করার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন টিউলিপ।

টিউলিপের বিরুদ্ধে তার খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে অবৈধভাবে জমি গ্রহণের অভিযোগ আনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। লন্ডনে সাবেক ট্রেজারি মিনিস্টার টিউলিপ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানোর অভিযোগ করেছেন তিনি।

একটি চিঠিতে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুরোধ করেন টিউলিপ। তিনি উল্লেখ করেন, এই সাক্ষাৎ ‘ঢাকায় দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সহায়ক হতে পারে।’

বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূসকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি চলতি সফরে টিউলিপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কিনা।

ড. ইউনূস বলেন, ‘না, করব না। কারণ এটা আইনি প্রক্রিয়া। আমি আইনি প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে চাই না। প্রক্রিয়াটি চলতে থাকুক।’

টিউলিপ যুক্তি দেখিয়েছেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ তাদের অভিযোগের সমর্থনে কোনো প্রমাণ দেয়নি এবং তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

এর জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি আদালতের বিষয়। আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে মামলা চালিয়ে নেওয়ার মতো যথেষ্ট উপাদান আছে কিনা অথবা তা বাতিল করা হবে।’ বাংলাদেশের প্রসিকিউটরদের আরও স্বচ্ছ হওয়া উচিত এবং টিউলিপকে অপরাধের প্রমাণ দেওয়া উচিত কিনা– এই প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দুদকের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে এবং তারা সঠিক কাজটিই করছে।’

যদি টিউলিপ বাংলাদেশে কোনো অপরাধে দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে তাঁর প্রত্যর্পণ চাওয়া হবে কিনা– এই প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘যদি এটি আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হয়, তবে অবশ্যই।’

এদিকে বিবৃতিতে টিউলিপ জানান, ড. ইউনূস দেখা করতে অস্বীকৃতি জানানোয় তিনি হতাশ। তিনি বলেন, ‘কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি (অধ্যাপক ইউনূস) এ প্রতিহিংসার কেন্দ্রে রয়েছেন।’

টিউলিপ আরও বলেন, ‘আমি আশা করি তিনি এখন সংবাদমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়ার অভ্যাস বন্ধ করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেবেন। আদালতকে এটা প্রমাণ করার সুযোগ দেবেন যে, তাদের তদন্তের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই।’

শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অর্থের একটি বড় অংশ যুক্তরাজ্যে রয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, আমার হতাশ হওয়া উচিত নাকি তাঁর (স্টারমার) হতাশ হওয়া উচিত। এটা এক ধরনের মিসড অপারচুনিটি (হাতছাড়া হওয়া সুযোগ)।’ স্টারমারকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এলে সুযোগ হতো বিশ্রাম করে পরিস্থিতি দেখার ও অনুভব করার।’

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সাক্ষাৎসূচি স্থির না করার কারণ ব্যাখ্যা করেছে কিনা– এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা এ ধরনের কোনো ব্যাখ্যা পাইনি। সম্ভবত তিনি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত।’

বিবিসি জানতে পেরেছে, আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সমন্বয় কেন্দ্র (আইএসিসিসি) হাসিনার শাসনামলে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সহায়তা করার সুযোগ খুঁজছে।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




ব্যাংকে ফিরল ১৯ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 |

Image

ঈদুল ফিতরের পরের মাসেই ব্যাংকে ফিরেছে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা। ঈদের মাসে সাধারণত বাড়তি খরচের কারণে নগদ টাকা তোলার প্রবণতা দেখা যায়। এ কারণে মার্চ মাসে ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে নগদ অর্থ বেড়েছিল প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। তবে এর পর তা দ্রুত ব্যাংকে ফিরে এসেছে। এ ছাড়া আমানত পরিস্থিতিরও উন্নতি হতে শুরু করেছে। সর্বশেষ এপ্রিল মাসে ব্যাংকগুলোর আমানত বেড়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। অর্থনীতিবিদরা

বলছেন, ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়ে গেলে অর্থনীতির জন্য তা ক্ষতিকর হয়। এতে টাকার লেনদেন বা হাত বদলের গতি কমে এবং মানি ক্রিয়েশন ব্যাহত হয়। অন্যদিকে, ব্যাংকে টাকা ফেরার অর্থ হলো তারল্য পরিস্থিতির উন্নতি এবং বিনিয়োগে সহায়ক পরিবেশের সৃষ্টি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুদের হার বৃদ্ধি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে ব্যাংক খাতের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে। বিশেষ করে পতিত শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন সরকার দায়িত্ব নিলে আগের আমলের ব্যাংক খাতের লুটপাট ও অনিয়মগুলো প্রকাশ্যে আসে, যা জনগণের আস্থার সংকটে বড় প্রভাব ফেলেছিল। ফলে ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তোলার চাপ ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছিল। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নগদ অর্থ ব্যাংকে ফেরার ধারা শুরু হয়, যা এখনও অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের এপ্রিল শেষে ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে নগদ টাকার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকায়, যা এক মাস আগেও ছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসে ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থ কমেছে ১৯ হাজার ৬৫ কোটি টাকা বা ৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। তবে ঈদের কারণে মার্চ মাসে ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থ বেড়েছিল প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। তার আগের ছয় মাস ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থের পরিমাণ ২০ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা কমেছিল।

প্রাপ্ত তথ্য বলছে, গত বছরের জানুয়ারিতে ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৫ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭৪ কোটি, মার্চে ২ লাখ ৬১ হাজার ১৯৫ কোটি, এপ্রিলে বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৮ কোটি, মে মাসে ২ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৮ কোটি, জুনে ২ লাখ ৯০ হাজার ৪৩৬ কোটি, জুলাইয়ে ২ লাখ ৯১ হাজার ৬৩০ কোটি এবং আগস্টে বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯২ হাজার ৪৩৪ কোটি ৪ লাখ টাকায়। তবে সেপ্টেম্বর থেকে সেটি কমতে শুরু করে।

অন্যদিকে, গত এপ্রিল শেষে দেশের ব্যাংক খাতে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ২০ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। এক মাস আগে মার্চে যার পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ ১৮ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। ফলে এক মাসের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে আমানত বেড়েছে প্রায় ১ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। আগের মাস মার্চে ব্যাংকগুলোতে রেকর্ড পরিমাণ আমানত বেড়েছিল, প্রায় ২৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। এদিকে গত এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৮ দশমিক ২১ শতাংশ। মার্চে আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ। আর গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল মাত্র ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫




ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনার প্রকোপ বাড়ছে

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

গত মাসের শেষ দিক থেকে ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এরইমধ্যে পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ভারতের পাশাপাশি অন্য কিছু দেশেও করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নয়াদিল্লি থেকে পিটিআই এ খবর জানায়।

চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর পাওয়া বেশ কয়েকটি দেশের মধ্যে ভারতই সর্বশেষ। ভাইরাসটিকে বিশ্বব্যাপী মহামারি ঘোষণা করার পাঁচ বছরের বেশি সময় পরও এর নতুন নতুন ভেরিয়েন্টের আবির্ভাব অব্যাহত রয়েছে।

ভারতে এক সপ্তাহে করোনা রোগী বেড়েছে ১২০০ শতাংশের বেশি। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশটিতে সক্রিয় করোনা রোগী ১ হাজার ২শ’ শতাংশের চেয়ে বেশি বেড়েছে।

রবিবার সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩১ মে পর্যন্ত ভারতে সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে।

ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে ৩ হাজার ৩৯৫ সক্রিয় করোনাভাইরাস রোগী ছিলেন। যা গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ১ হাজার ২শ’ শতাংশ বেশি। গত ২২ মে ভারতে সক্রিয় করোনা রোগী ছিল ২৫৭। আর ২৬ মে ছিল ১ হাজার ১০ জন।

মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার থেকে শনিবারের মধ্যে দেশটিতে ৬৮৫ জন নতুন করোনাভাইরাস আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

এনডিটিভি বলেছে, সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলো হচ্ছে কেরালা, মহারাষ্ট্র ও দিল্লি। কেরালায় শুক্রবার ১৮৯ জন নতুন কোভিড আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এই রাজ্যে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৩৩৬ জন।

এছাড়া মহারাষ্ট্র ৪৬৭, দিল্লিতে ৩৭৫, গুজরাটে ২৬৫, কর্ণাটকে ২৩৪, পশ্চিমবঙ্গে ২০৫, তামিলনাড়ুতে ১৮৫ এবং উত্তরপ্রদেশে ১১৭ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন। অন্যদিকে রাজস্থানে ৬০, পুদুচেরিতে ৪১, হরিয়ানায় ২৬, অন্ধ্রপ্রদেশে ১৭ এবং মধ্যপ্রদেশে ১৬ সক্রিয় রোগীর তথ্য জানা গেছে। চলতি বছরে ভারতে কোভিডে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, পশ্চিম এবং দক্ষিণে করোনার রোগীদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে দেখা গেছে। নতুন রূপগুলো ওমিক্রনের সাবভেরিয়েন্ট।

আইসিএমআর প্রধান ড. রাজীব বেহেল বলেছেন, এই সাবভেরিয়েন্টগুলোই সংক্রমণ বৃদ্ধির মূল কারণ। তিনি জানান, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রথমে দক্ষিণ ভারতে, পরের পশ্চিম ভারত এবং এখন উত্তর ভারতেও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সব আক্রান্ত সমন্বিত রোগ নজরদারি কর্মসূচির (আইডিএসপি) মাধ্যমে নজর রাখা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত সংক্রমণের তীব্রতা খুবই কম, তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তার মতে, এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ রোগী হালকা উপসর্গ নিয়ে সংক্রমিত হচ্ছেন। আর তাই জটিল রোগীর সংখ্যা খুবই কম। তবে তিনি বলেছেন, সতর্ক থাকতে হবে এবং প্রস্তুত থাকাই সবচেয়ে ভালো।

২০২০ সালে শুরু হওয়া এই মহামারিতে এখন পর্যন্ত ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৪ কোটি। মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড় ৫ লাখ মানুষের। বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিনেশন প্রকল্প-এর আওতায় ভারতের ৭২ কোটি মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এদিকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের হার আবারও ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক ব্যবহারে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের ভিড়যুক্ত স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটিতে ৫ হাজার ৩৬৪ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন।

এছাড়া ১ জানুয়ারি থেকে ভারতে ৪ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ৫৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।


আরও খবর



মহাসড়কে ইউটার্নের দাবিতে গজারিয়ায় মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

গজারিয়া মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা সেতুর নিচ দিয়ে ইউ-টার্নের  দাবিতে মানববন্ধন করেছে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলাবাসী।

উপজেলাবাসীর ব্যানারে মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে গজারিয়ার বালুয়াকান্দি হাঁসপয়েন্ট এলাকায় এ মানববন্ধনে অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন থেকে উপস্থিত বক্তারা বলেন গজারিয়া উপজেলা একটি শিল্পঅঞ্চল এলাকা। এই এলাকায় পরিকল্পিত কোন ইউ-টার্ন না থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।

তারা আরো বলেন এই মহাসড়কে বিকল্প পথ এবং ইউ-টার্ন না থাকায় যানবাহন গুলো বিপরীত লেনে ঘুরতে গিয়ে সড়কে প্রাণহানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এতে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন।


মানববন্ধন থেকে দ্রুত ইউ-টার্ন নির্মাণের দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

স্থানীয়রা জানান, ইউ-টার্ন সুবিধা চালু হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে এবং জনদুর্ভোগ লাঘব হবে। মানববন্ধনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও মহাসড়কে জরুরি ভিত্তিতে মেঘনা সেতুর নিচ দিয়ে ও ভাটেরচর ব্রিজের নিচ ইউ-টার্ন স্থাপনের আহ্বান জানানো হয়।

মানববন্ধনে নানা শ্রেনী পেশার হাজার মানুষ অংশ গ্রহণ করে।স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মো:ফারুক হোসেন এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য মো:ইসহাক আলী, দেওয়ান হারুন অর রশিদ, দেলোয়ার হোসেন সরকার,মাসুম আহমেদ,রিফাত প্রধান,মমিন মৃধা,বাদশা মেম্বার, নিজাম মোল্লা, শাহাদাত হোসেন পান্নু, মোকলেস দেওয়ান,ইপু প্রধান প্রমুখ।


আরও খবর