Logo
শিরোনাম

সাকিবের সামনে নতুন ইতিহাস গড়ার হাতছানি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা বলা হয় সাকিব আল হাসানকে। ক্রিকেট বিশ্বেও বাংলাদেশের পোস্টার বয় হিসেবে পরিচিত তিনি। প্রায় ১৮ বছর ধরে লাল-সবুজের জার্সিতে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। লম্বা এই পথ চলায় দেশের তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটেরই অনেক রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন সাকিব।

বাংলাদেশ নিজেদের সবশেষ সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে। ওই সিরিজে উইকেট শিকারের দিক বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সবার ওপরে উঠে গিয়েছিলেন সাকিব। পেছনে ফেলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে

বল হাতে উইকেট পেলেও সাকিবের ব্যাটে রানের দেখা নেই অনেকটা দিন ধরেই। পাকিস্তান টেস্ট শেষ করে উড়াল দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে। সেখানে কাউন্টি ক্রিকেটে মাত্র এক ম্যাচ খেলে শিকার করেন ৯ উইকেট। ভারত সিরিজেও বল হাতে মাইলফলকের খুব কাছাকাছি আছেন সাকিব

ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে এর আগে কেবল চারজনই ক্রিকেটারই টেস্টে ৪০০০ রান করার পাশাপাশি ২৫০ উইকেট নেয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। সাকিব আল হাসান আছেন সেই এলিট ক্লাবে যুক্ত হওয়ার অপেক্ষায়। রানের কোটা আগেই পূরণ করে ফেলেছিলেন। দরকার বল হাতে ৮ উইকেট

সাকিব ক্যারিয়ারের ৬৯ টেস্ট শেষে রান ৪ হাজার ৫৪৩ রান করেছেন। তবে ২৫০ উইকেটের মাইল ফলক স্পর্শ করার জন্য আরও ৮টি উইকেট প্রয়োজন। ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্টে ৮টি উইকেট নিতে পারলেই ৩৭ বছরের অলরাউন্ডার টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০০ রানের পাশাপাশি ২৫০ উইকেট নেয়ার নজির গড়বেন

সাকিবের আগে এই কীর্তি করেছেন বিশ্ব ক্রিকেটের চার গ্রেট অলরাউন্ডার। ভারতের কপিল দেব, ইংল্যান্ডের স্যার ইয়ান বোথাম ছাড়াও এই ক্লাবে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস এবং নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টরির। রানের দিক থেকে তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অলরাউন্ডার। ১৬৬ টেস্ট খেলে ক্যালিস ১৩ হাজার ২৮৯ রান করেন এবং ২৯২টি উইকেট নেন

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কপিল দেব। ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক ১৩১টি টেস্টে ৫ হাজার ২৪৮ রান করার পাশাপাশি ৪৩৪টি উইকেট নিয়েছেন। তৃতীয় স্থানে আছেন বোথাম। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ১০২টি টেস্ট খেলে করেছিলেন ৫ হাজার ২০০ রান। নিয়েছিলেন ৩৮৩টি উইকেট। চতুর্থ স্থানে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। ১১৩টি টেস্ট খেলে ভেট্টরি ৪ হাজার ৫৩১ রান করেছেন। উইকেটের সংখ্যা ৩৬২


আরও খবর

শনিবার থেকে ফের শুরু আইপিএল

মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫




মাভাবিপ্রবিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:শনিবার ১০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১০ মে) রাত ১২টা ১৫ মিনিটে  বিশ্ববিদ্যালয়ের হল চত্বর সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাদের কণ্ঠে শোনা যায়— ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, হ তে হাসিনা তুই খুনি তুই খুনি, ক তে কাদের তুই খুনি তুই খুনি, ‘আবু সাঈদের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘২৪-এর বাংলায়, সন্ত্রাসের ঠাঁই নাই’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’ ইত্যাদি।

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার আহমেদ বলেন, “জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারিয়ে পালিয়ে গেলেও এখনো তাদের বিচারে অগ্রগতি নেই। হাজারো শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরার পরও সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।”, “আমরা জানতে চাই, আর কত রক্ত ঝরলে বিচার হবে? আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিচার বিলম্বে আমরা আর শান্ত থাকব না। অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান রাব্বি বলেন,অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে, যাতে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কাঠামো ও বিচারপ্রক্রিয়ার রূপরেখা স্পষ্ট হয়। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করা হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে এবং ছাত্র জনতা ঘরে ফিরবে না।

বিজিই  বিভাগের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম বলেন ,ছাত্রসমাজ আর চুপ করে থাকবে না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”আমাদের দাবি স্পষ্ট—যে রাজনৈতিক দল গণতন্ত্রকে হত্যা করে, তার কোনো বৈধতা থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।”এই আন্দোলন কোনো দলের পক্ষে নয়, বরং গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শিক্ষাঙ্গনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে পরিচালিত।


আরও খবর



ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে মাভাবিপ্রবির ছাত্রসংগঠনগুলো

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (৯ মে) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে ‘মাভাবিপ্রবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ (বৈছাআ), শিবির, ছাত্রদল ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতাকর্মীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পরীক্ষার্থীরা যেন কোনো সমস্যায় না পড়েন, সে লক্ষ্যে সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।

এছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে তথ্য সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন, পরীক্ষার্থীদের জন্য পথনির্দেশনা, জরুরি প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত অভিভাবকদের জন্য অস্থায়ী বিশ্রামস্থলের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ।

শিবিরের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, “ভর্তি পরীক্ষায় আগত পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা চেষ্টা করছি, যেন তাদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকতে পারি।”আমাদের পক্ষ থেকে যেসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে সেগুলো হলো: তথ্যসেবা, ‘আমানত কর্নার’ (পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার জন্য), কলম উপহার, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ, ছাউনির মাধ্যমে অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা,

চিকিৎসাসেবা এবং হাতপাখা উপহার।

ছাত্রদলের কর্মী মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, “মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের উদ্যোগে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বিগত দিনের মতো ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্য সহায়তা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া অভিভাবকদের বসার জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি সুপেয় ঠান্ডা পানি, স্যালাইন, বাইক সেবা সহ যত ধরনের সাহায্য দরকার হয়, আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আমাদের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সকল নেতাকর্মীরা উপস্থিত থেকে সর্বপ্রকার সাহায্য-সহযোগিতা করবে।

মাভাবিপ্রবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব তানভীর ইসলাম তামিম বলেন, “আগামী GST ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতায় মাভাবিপ্রবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বেশ কিছু কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট গেট থেকে সন্তোষ বাজার পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতে ট্রাফিক ব্যবস্থায় সহযোগিতা করবে সংগঠনটির সদস্যরা। পরীক্ষার্থীদের মোবাইল, ঘড়ি ও ব্যাগ নিরাপদে রাখার জন্য থাকবে সুরক্ষিত জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা। অভিভাবকদের জন্য নির্দিষ্ট বসার স্থান ও পর্যাপ্ত সুবিধা রাখা হবে যেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে অপেক্ষা করতে পারেন। সব মিলিয়ে, কোনো পরীক্ষার্থী যাতে কোনো ভোগান্তির শিকার না হন, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সহানুভূতির সঙ্গে কাজ করবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।”

“আমরা বিশ্বাস করি, এসব উদ্যোগ ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করবে।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কর্মী আক্তারুজ্জামান সাজু বলেন,"আমরা মাভাবিপ্রবিতে আগত ভর্তি পরীক্ষার্থীদের কলম উপহার দিয়ে আন্তরিকভাবে অভ্যর্থনা জানিয়েছি এবং আগামীকাল ‘এ’ ইউনিটের শিক্ষার্থীদেরও জানাবো। পাশাপাশি তীব্র গরমে তৃষ্ণার্ত পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মাঝে পানি বিতরণ করবো, যাতে তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়।

উল্লেখ্য, ‘এ’ ইউনিটে এবার ১ লাখ ৪২ হাজার ৭১৪ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এর আগে, গত ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা, যার ফলাফল প্রকাশিত হয় ২৮ এপ্রিল। এছাড়া ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২ মে এবং এর ফলাফল প্রকাশ করা হয় ৫ মে। ‘এ’ ইউনিটে সাধারণত বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে থাকে।


আরও খবর



কঙ্গোতে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় আগুন লেগে নিহত ১৪৮

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকায় আগুন লাগার পর সেটি উল্টে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৪৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

দেশটির উত্তরপশ্চিমের কঙ্গো নদীতে গত মঙ্গলবার উল্টে যাওয়ার সময় নৌকাটিতে নারী-শিশুসহ প্রায় ৫০০ আরোহী ছিল বলে শনিবার একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বলা হয়েছে। খবর স্কাই নিউজ, রয়টার্স ও দ্যা গার্ডিয়ানের।

দুর্ঘটনার পর মৃতের সংখ্যা ৫০ হবে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল।কিন্তু পরে নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

কঙ্গোতে প্রায়ই নৌকা দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। দেশটিতে নদীবেষ্ঠীত গ্রামগুলোতে যাতায়াতে এখনো পুরনো, কাঠের নৌযানই বেশি ব্যবহৃত হয়, সেসব নৌযানে প্রায়ই ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রীও ওঠে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা। গত সপ্তাহের নৌকা এ দুর্ঘটনায় এখনও কয়েকশ নিখোঁজ রয়েছে বলে শুক্রবার কঙ্গোর একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এইচবি কঙ্গোলো নামের ওই নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর ছেড়ে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাওয়ার সময় এমবানদাকা শহরের কাছে তাতে আগুন ধরে যায়।

নৌযানটিতে এক নারীর রান্না থেকেই এই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক বার্তা সংস্থাকে এমনটাই বলেছেন নদী কমিশনার কম্পিতেন্ত লয়োকো।

সাঁতার না জানা অনেক নারী-শিশু নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ার পর তাদের মৃত্যু হয়। জীবিত উদ্ধার প্রায় ১০০ জনকে স্থানীয় টাউন হলে অস্থায়ীভাবে বানানো এক আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে, অগ্নিদগ্ধদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত বছর কঙ্গোর উত্তরাঞ্চলে লেক কিভুতে ২৭৮ যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা উল্টে যাওয়ার ঘটনায় পানিতে ডুবে অন্তত ৭৮ জনে মৃত্যু হয়েছিল। পৃথক আরেক ঘটনায় দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ডিসেম্বরে নদীতে নৌকা ডুবে অন্তত ২২ জন মারা গেছে।


আরও খবর



ভারত কাশ্মীরে নিরাপত্তা ত্রুটির কথা স্বীকার করল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

ভারত কাশ্মীরের পেহেলগাম হামলার কারণ হিসেবে নিরাপত্তাব্যবস্থায় ত্রুটির কথা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার রুদ্ধদ্বার সর্বদলীয় বৈঠকে ভারতের বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীদের কাছে নিরাপত্তা ত্রুটির বিষয়টি স্বীকার করেছে। সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।

কাশ্মীরের পেহেলগামে মঙ্গলবার হামলায় ২৬ জন নিহতের পর পরিস্থিতি সম্বন্ধে বিরোধী দলগুলোর নেতাদের অবহিত করতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবার এ সর্বদলীয় বৈঠক ডাকে। বৈঠকে বিরোধী দলগুলোর একাধিক নেতা নিরাপত্তা ব্যবস্থার দৃশ্যমান ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যা মেনে নেয় মোদি সরকার।

সূত্র বলছে, বৈঠকে ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা বিরোধীদলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যদি কিছুই ভুল না হয়, তাহলে আমরা এখানে বসেছি কেন? কোথাও না কোথাও ত্রুটি হয়েছেই, আর সেটাই আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।’

সরকারের কাছে তারা জানতে চান, ‘কোথায় ছিল নিরাপত্তা বাহিনী? সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী কোথায় ছিল?’

এর জবাবে সরকারের ঊর্ধ্বতনরা বলেছেন, অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের কাছে বৈসরণ এলাকাটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার আগে স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে কিছু জানায়নি। সাধারণত, জুনের অমরনাথ যাত্রা পর্যন্ত বৈসরণে যাতায়াতে বিধিনিষেধ থাকে।

ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ঘটনাস্থলে দেরিতে পৌঁছানোর নিয়েও বৈঠকে উদ্বেগ জানানো হয়।

প্রত্যুত্তরে সরকারি কর্মকর্তারা জানান, ঘটনাস্থলটি এমন জায়গায় যেখানে পৌঁছাতে উঁচু পাহাড়ি পথে ৪৫ মিনিট হেঁটে যেতে হয়, এবং এই ধরনের জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার মতো প্রস্তুতিও ছিল না।

বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজ্জু সাংবাদিকদের জানান, ভারতকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই চালাতে হবে—এ ব্যাপারে সব দল একমত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই লড়াইয়ে সরকারের সঙ্গে আছে বলে জানিয়েছে সব দল। সরকার যে পদক্ষেপই নিক না কেন, তাতে তারা সমর্থন দেবে বলে সব দল এবং তাদের নেতারা এক সুরে জানিয়েছেন। ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে বৈঠকটি শেষ হয়েছে।’

লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধীও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘সবাই পেহেলগামে হামলার নিন্দা জানিয়েছে। যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে বিরোধীরা।’

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে এ সর্বদলীয় বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজ্জু, রাজ্যসভার নেতা জেপি নড্ডা, রাজ্যসভার বিরোধীদলীয় নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে, লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুলসহ আম আদমি, তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি, এনসিপি, শিবসেনা, এসপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মাটি খুঁড়তে গিয়ে অবিস্ফোরিত মার্টাল শেল উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

মুন্সিগঞ্জ (গজারিয়া) থেকে সৈয়দ মোঃ শাকিল:

মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের অর্ন্তগত আড়ালিয়া নামক গ্রামে মাটি খুঁড়তে গিয়ে মিলেছে এক অ-বিস্ফোরিত মর্টার শেল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২৮ এপ্রিল সোমবার সকালে গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা হানিফ মিয়ার জমিতে আইল তৈরির জন্য মাটি কাটার সময় এ বিস্ফোরক দ্রব্যটি পাওয়া যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাটি কাটার সময় হঠাৎ করে মাটির নিচ থেকে মর্টার শেলটি বেরিয়ে আসে। তবে সেটিকে মর্টার শেল না ভেবে প্রথমে স্থানীয়রা এটিকে সোনার মূর্তি কিংবা প্রাচীন সীমানা পিলার বলে মনে করেন। এ নিয়ে এলাকায় শুরু হয় নানা গুঞ্জন। অনেকে সেটি দেখতে ভিড় করতে থাকেন। সারা দিন মর্টার শেলটি নিজেদের হেফাজতে রাখলেও, পরে যখন বুঝতে পারেন এটি পাকিস্তান আমলের অ-বিস্ফোরিত মর্টার শেল তখন বিষয়টি দ্রুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উৎসুক জনতার ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বিস্ফোরণের ঝুঁকি এড়াতে এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে। পরে বোম ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করার প্রস্তুতি নেয়।

গজারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)শহিদুল ইসলাম জানান এই মর্টার শেলটি কামানের মর্টার শেল হবে। আমাদের এই বিষয়ে তেমন ধারণা নাই সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে এটি পাকিস্তান আমলের পুরনো একটি মর্টার শেল বা এর আগের কোন যুদ্ধ সময়কার দাতব্য বস্তু বলে ধারণা করা হচ্ছে। বোম ডিসপোজাল ইউনিট প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করবে।


আরও খবর